সরাসরি প্রধান সামগ্রীতে চলে যান

মেয়েটির জন্য খারাপ লাগছে

মেয়েটির জন্য খারাপ লাগছে

মেয়েটির জন্য খারাপ লাগছে খুব। কিসের অভাবে,কি প্রত্যাশায় সে এমন অপরাধ জগতে জড়িত হলো? তার তো কোনো কিছুর অভাব ছিলো না। সচিব বাবার অভিজাত ঘরের মেয়ে। দেশের একজন কার্ডিয়াক সার্জন। কতো সম্মান নিয়ে জীবন যাপন করতে পারতো। আর আজ নিজের ভুল বা উচ্চাকাঙ্খার কারনে নিজেকে ধূলোয় মিশিয়ে দিলো! তার জেকেজি ভুয়া রিপোর্ট দিয়ে ৮ কোটি টাকা হাতিয়ে নিয়েছে।
এই মেয়ে, ৮ কোটি টাকা তোমার জন্য কোনো টাকা হলো? ঢাকার ভালো জায়গায় ৮ কোটি টাকা দিয়েতো একটা বাড়িও বানানো যায় না। তুমি আমার বয়সে ছোট। আমার বোন, মেয়ে, ভাগ্নী, জুনিয়র বন্ধুও হতে পারতে। কেনো নিজের এতো উজ্জ্বল ক্যারিয়ারটা নষ্ট করলা? তুমি দেশ বিখ্যাত ডাক্তার হতে পারতে। দেশের মানুষ তোমাকে মাথায় নিয়ে নাচতো। তোমার মতো সুন্দরী, স্মার্ট মেয়েদের আমাদের সমাজের কিছু ক্ষমতাবান চরিত্রহীন পুরুষই নষ্ট করেছে। তুমি তা বুঝোনি কেনো? তুমিতো উচ্চ শিক্ষিত মেয়ে। দেখো, আজ তোমার পাশে কেউ নেই!
জার্মান সংবাদ মাধ্যম 'ডয়েচে ভেলে' রিপোর্ট করেছে, তার সঙ্গে সরকারের উচ্চ পর্যায়ের কার কার ঘনিষ্ঠ সম্পর্ক ছিলো এবং তাদের সহযোগিতায় সে এমন অপরাধ করতে উদ্ভুদ্ধ হয়। এবং তারা সাবরিনার এই অপরাধ কর্মকাণ্ড জানতেন। তাদের নামও সে প্রকাশ করেছে। অপরাধীকে সহযোগিতা করার অপরাধে তারাও কেনো অভিযুক্ত হবেন না? তারাই সাবরিনা, শাহেদ,জিকে শামীম, পাপিয়াদের গড়ে তুলেছেন।
টাকা পয়সার ভাগ বাটোয়ারাসহ যৌন সুখের আনন্দও তারা নিয়েছেন!
আমার মতে তাদেরও গ্রেফতার করে দৃষ্টান্তমূলক শাস্তি দেয়া হোক। সরকারের উচ্চ মহলের গৃন সিগনাল ছাড়া এমন অপরাধ করার সাহস কার আছে? জানি,এখন সাবরিনার দেয়া কোনো তথ্যই পুলিশ আমলে নেবে না। উচ্চ পর্যায়ের কোনো সরকারি কর্মকর্তাকে কিছু করার ক্ষমতা পুলিশ বা আদালতের নেই। পুলিশ, আদালতও চালায় তারাই। স্বাস্থ্য অধিদপ্তরের মহাপরিচালকও সাবরিনার এই ভুয়া রিপোর্ট দেয়ার তথ্য জানতেন বলে সাবরিনা পুলিশকে জানিয়েছে। তার সঙ্গে সাবরিনার ঘনিষ্ঠ সম্পর্কের কথাও সে পুলিশকে জানিয়েছে। কিন্তু মহাপরিচালকতো আরামেই আছেন! সাবরিনা জেলে!
Karim Chowdhury
15 July, 2020
Cumilla

মন্তব্যসমূহ

এই ব্লগটি থেকে জনপ্রিয় পোস্টগুলি

আমার দেখা ১৯৭৪ সালের দুর্ভিক্ষ

আমার দেখা ১৯৭৪ সালের দুর্ভিক্ষ সরকারঃ শেখ মুজিবের শাসনামল ১৯৭৪-এর দুর্ভিক্ষ বাংলাদেশে ১৯৭৪ সালের মার্চে শুরু হয়ে সেই বছরেরই ডিসেম্বরের দিকে গিয়ে শেষ হয়। এই দুর্ভিক্ষে অসংখ্য মানুষ অনাহারে মারা গিয়েছিল। এই দুর্ভিক্ষকে স্মরণকালের মধ্যে সবচেয়ে ভয়ানক হিসেবে গন্য করা হয়। ওই সময় আমি বুঝতাম। ক্লাশ ফোরে পড়তাম। আহারে ! কি যে অভাব ! অনেকের মতো আমরাও ভাত না খেয়ে রুটি খেয়েছি । তাও পরিমিত । কখনো জাউ খেয়েছি । শুকনো মরিচ পাওয়া যেতো না । কাঁচা মরিচের কেজি ছিলো ১৫০ টাকা । লবন ১২০ টাকা । আর সোনার ভরি ছিলো তখন ১৫০ টাকা । সোনা শুধু ওই সময় কম দাম ছিলো । চারদিকে অভাব । সারাদেশের মানুষের হাহাকার । কতো মানুষ না খেয়ে মারা গেছেন ! বিদেশি রিলিফ সব আওয়ামী লীগের লোকেরা চুরি করেছে । আর বেশিরভাগ রিলিফ সীমান্ত দিয়ে ভারতে চলে পাচার হয়েছিলো । তখন বর্ডার খোলা ছিলো তখন । মহিলাদের শাড়ি কাপড় ছিলো না । অনেকে মাছ ধরার জাল পরে লজ্জাস্থান ঢেকেছিলো । এসব ছবি পত্রিকায়ও ছাপা হয়েছিলো । কিন্তু আওয়ামী লীগ নেতাদের কোনো অভাব ছিলো না । বাংলাদেশের স্বাধীনতা যুদ্ধ শেষ হওয়ার মাত্র দুই বছর তিন মাসের মাথায় ...

বোতল

বোতল মানব জীবনে বোতল অপরিহার্য । বোতল অনেক অর্থেও ব্যবহার হয় । কোনো কোনো এলাকায় আনস্মার্ট, বেয়াক্কেল প্রকৃতির লোককেও বোতল বলা হয় । ইউরোপ আমেরিকায় থাকতে আমি ডৃংক করতাম । হার্ড ডৃংক কমই খেতাম । প্রতিদিনই বিয়ার খেতাম । বিয়ার স্বাস্থ্য ভালো রাখে ও কাজ করতে এনার্জি জোগায় । পরিমিত বিয়ার খেলে কেউ মাতাল হয় না । মাঝে মাঝে বিশেষ কোনো পার্টিতে হুইস্কি খাওয়া হতো । তাও দামি ব্র্যান্ডের । জনি ওয়াকার ব্ল্যাক লেবেল, টিচার্স, পাসপোর্ট, হেনেসি, শিভাস রিগাল, জ্যাক ড্যানিয়েলস । সাকুরায়ও অনেক সময় এসব ব্র্যান্ডের হুইস্কি পাওয়া যায় না । তো দেশে আসার পরও কিছু দিন ডৃংক করেছিলাম । কুমিল্লায় সরকার অনুমোদিত একটা মদের দোকান আছে চক বাজারে । নামঃ নাদের ট্রেডিং কোং । এটা প্রায় আজ ৫০ বছর । এখানে বিদেশি ব্র্যান্ডের ডৃংক পাওয়া যায় না । দেশিয় কোম্পানি ‘কেরো এন্ড কোং’ যা দর্শনায় অবস্থিত তার তৈরি ভদকা, হুইস্কি, জিন পাওয়া যায় । আমাদের সমাজতো রক্ষনশীল । তাই কান্দিরপাড় থেকে একটা স্প্রাইট কিনে অর্ধেক খেতে খেতে চক বাজার যেতাম । নাদেরে যখন পৌঁছতাম তখন স্প্রাইটের বোতল অর্ধেক খালি হয়ে যেতো । আমি বাবুল ভাইকে স্প্...

ফেবুতে মেয়েদের পোস্ট

ফেবুতে মেয়েদের পোস্ট সকালে ঘুম ভেঙে দেখি আট টা বাজে । শরীরটাও বেশি ভালো লাগছে না । আবার ঘুমাল াম । ১১টায় উঠলাম । ২ মগ চা খেলাম ( বাজারের হিসেবে ৮ কাপ হবে)। সবাই জানেন আমি স্মোক করি । চেইন স্মোকার । কম্পিউটার খোঁচাখুঁচি করে নিজে নিজেই ঠিক করলাম । প্রায় দুই ঘন্টা । আমি থাকি চার তলায় । দুপুর ১টা বাজে । খেতেও ইচ্ছে করছে না কিছু । তখনো মুখ ধুই নি । কম্পিউটারে খোঁচাখোঁচি করতে গিয়ে দেখি এক মেয়ে তার পা’য়ের একটা ছবি আপলোড করেছে । দেখলাম এই পা মানে ঠ্যাং এর ছবিতে লাইক পড়েছে ৯৪৭ টা । কমেন্ট অসংখ্য । ‘কতো সুন্দর এই পা । না জানি তুমি কতো সুন্দর । পা তো নয় যেন একটা গোলাপ ফুল’ । এ জাতীয় অনেক কমেন্ট । আমি পোষ্ট টা দেখে কিছুটা অবাক হলাম । একটা ঠ্যাং এর এতো কদর ! প্রায়ই লক্ষ্য করি, মেয়েরা যখনি কিছু আপলোড করে সেটা তাদের পায়ের ছবিই হোক,হাতের ছবিই হোক আর নাকের ছবিই হোক বা এক চোখের ছবিই হোক সে সব ছবিতে অগনিত লাইক আর কমেন্ট । মেয়ে বন্ধুদের ছোট করার জন্য বলছি না, ফেবুতে প্রায়ই দেখি মেয়েরা কোনো ছবি বা দু এক লাইন হাবিজাবি লিখলে লাইক আর কমেন্টের বন্যা বয়ে যায় । অনেক মেয়েরা শখ করে পিঠা, ...