সরাসরি প্রধান সামগ্রীতে চলে যান

অস্টৃয়া

 অস্টৃয়া

ইদানীং ভিডিও আপলোড করি বেশি। বিদেশ নিয়ে লিখলে, তাদের প্রশংসা করলে অনেকেই ট্যারা চোখে দেখেন। বিশেষ করে যারা ধর্মান্ধ। তাই ভিডিওর সঙ্গে অল্প কয়েকটা কথা জুড়ে দেবো বলে মনঃস্থির করেছি। কিন্তু অনেক বন্ধুরাই ভিডিও দেখবেন না। এতে মেগাবাইটও বেশি খরচ হয়।
এটি আমার প্রিয় শহর ভিয়েনা। নিউ ইয়র্ক দ্বিতীয় অবস্থানে। আর টোকিও তৃতীয়।
ভিয়েনা বসবাসের জন্য ২০১৭/২০১৮ এই দুই বছর পর পর পৃথিবীর শ্রেষ্ঠ অর্থাৎ ১ নাম্বার শহরের তালিকায় ছিলো। এই শহরে আমি যৌবনের প্রধান ৭টি বছর কাটিয়েছি। ভিডিওতে দেখা যায় এমন সবগুলো জায়গাগুলো আমি চিনি এবং ওসব জায়গায় গিয়েছি। কিছু কিছু জায়গায় কিছু নতুন স্থাপনা হয়েছে। অস্টৃয়ার প্রাকৃতিক সৌন্দর্য মুগ্ধ হওয়ার মতো।
বসবাসের জন্য অস্টৃয়া একটি সুন্দর ও নিরাপদ দেশ। কল্যাণমূলক রাস্ট্র ইংরেজিতে যাকে বলে Welfare State. জনসংখ্যা মাত্র ৮২ লাখ। প্রধান নদী ড্যানিউব Danube.এই নদীর তীরেই ভিয়েনা। ৭ বছরে কতো হাজার বার ডানিউব নদীতে সাতার কেটেছি, বোটিং করেছি। ৭টি স্টেট নিয়ে অস্টৃয়া একটি ফেডারেল রাস্ট্র। অস্টৃয়ার ভাষা জার্মান। অস্টৃয়ার স্থানীয় নাম অর্থাৎ জার্মান ভাষায় 'অস্তারাইখ'। ইউরোপে সব দেশ তাদের নিজের ভাষায় দেশের নাম বলে। যেমন জার্মানি 'ডয়েচল্যান্ড', ইটালি 'ইতালিয়া'। অস্টৃয়ার রাজধানীকেও তাদের ভাষায় বলা হয় 'ভিন' Wien.জার্মান ভাষায় W এর উচ্চারণ V হয়।
শিল্প, সাহিত্য, সংস্কৃতি, সঙ্গীতে অস্টৃয়া নামি-দামি দেশ। বিশ্বখ্যাত সঙ্গীতজ্ঞ মোজার্ট Mozart অস্টৃয়ার। আবার জার্মান ডিক্টেটর এডলফ হিটলার Adolf Hitler এর জন্মও অস্টৃয়ার ব্রনো শহরে।
অন্যান্য শহরের নামও তাদের ভাষায়। অস্টৃয়ার প্রতিবেশি ৯ টি দেশ।
Germany, Czech Republic, Slovakia, Hungary, Slovenia, Croatia, Liechtenstein, Italy and Switzerland. মন চাইলেই প্রতিবেশি ৯টি দেশে যে কোনো সময় যাওয়া যায়। ২/৩/৪ ঘন্টা লাগে বাসে,ট্রেনে, কারে। ভিসা কোনো সমস্যা নয়। অস্টৃয়ার রেসিডেন্ট পারমিট থাকলে উন্নত সব দেশের এম্ব্যাসি ভিসা দেয়। আমি হলাম এমনি নাচুনে বুড়ি উনারা ভিসা দিয়ে দিলেন আরো ঢোলে বাড়ি। আমি যে এতোগুলা দেশ ভ্রমণ করেছি তার একমাত্র সাপোর্ট ছিলো অস্টৃয়ার রেসিডেন্ট পারমিট।
Karim Chowdhury
14 July, 2020
Cumilla.

মন্তব্যসমূহ

এই ব্লগটি থেকে জনপ্রিয় পোস্টগুলি

আমার দেখা ১৯৭৪ সালের দুর্ভিক্ষ

আমার দেখা ১৯৭৪ সালের দুর্ভিক্ষ সরকারঃ শেখ মুজিবের শাসনামল ১৯৭৪-এর দুর্ভিক্ষ বাংলাদেশে ১৯৭৪ সালের মার্চে শুরু হয়ে সেই বছরেরই ডিসেম্বরের দিকে গিয়ে শেষ হয়। এই দুর্ভিক্ষে অসংখ্য মানুষ অনাহারে মারা গিয়েছিল। এই দুর্ভিক্ষকে স্মরণকালের মধ্যে সবচেয়ে ভয়ানক হিসেবে গন্য করা হয়। ওই সময় আমি বুঝতাম। ক্লাশ ফোরে পড়তাম। আহারে ! কি যে অভাব ! অনেকের মতো আমরাও ভাত না খেয়ে রুটি খেয়েছি । তাও পরিমিত । কখনো জাউ খেয়েছি । শুকনো মরিচ পাওয়া যেতো না । কাঁচা মরিচের কেজি ছিলো ১৫০ টাকা । লবন ১২০ টাকা । আর সোনার ভরি ছিলো তখন ১৫০ টাকা । সোনা শুধু ওই সময় কম দাম ছিলো । চারদিকে অভাব । সারাদেশের মানুষের হাহাকার । কতো মানুষ না খেয়ে মারা গেছেন ! বিদেশি রিলিফ সব আওয়ামী লীগের লোকেরা চুরি করেছে । আর বেশিরভাগ রিলিফ সীমান্ত দিয়ে ভারতে চলে পাচার হয়েছিলো । তখন বর্ডার খোলা ছিলো তখন । মহিলাদের শাড়ি কাপড় ছিলো না । অনেকে মাছ ধরার জাল পরে লজ্জাস্থান ঢেকেছিলো । এসব ছবি পত্রিকায়ও ছাপা হয়েছিলো । কিন্তু আওয়ামী লীগ নেতাদের কোনো অভাব ছিলো না । বাংলাদেশের স্বাধীনতা যুদ্ধ শেষ হওয়ার মাত্র দুই বছর তিন মাসের মাথায় ...

বোতল

বোতল মানব জীবনে বোতল অপরিহার্য । বোতল অনেক অর্থেও ব্যবহার হয় । কোনো কোনো এলাকায় আনস্মার্ট, বেয়াক্কেল প্রকৃতির লোককেও বোতল বলা হয় । ইউরোপ আমেরিকায় থাকতে আমি ডৃংক করতাম । হার্ড ডৃংক কমই খেতাম । প্রতিদিনই বিয়ার খেতাম । বিয়ার স্বাস্থ্য ভালো রাখে ও কাজ করতে এনার্জি জোগায় । পরিমিত বিয়ার খেলে কেউ মাতাল হয় না । মাঝে মাঝে বিশেষ কোনো পার্টিতে হুইস্কি খাওয়া হতো । তাও দামি ব্র্যান্ডের । জনি ওয়াকার ব্ল্যাক লেবেল, টিচার্স, পাসপোর্ট, হেনেসি, শিভাস রিগাল, জ্যাক ড্যানিয়েলস । সাকুরায়ও অনেক সময় এসব ব্র্যান্ডের হুইস্কি পাওয়া যায় না । তো দেশে আসার পরও কিছু দিন ডৃংক করেছিলাম । কুমিল্লায় সরকার অনুমোদিত একটা মদের দোকান আছে চক বাজারে । নামঃ নাদের ট্রেডিং কোং । এটা প্রায় আজ ৫০ বছর । এখানে বিদেশি ব্র্যান্ডের ডৃংক পাওয়া যায় না । দেশিয় কোম্পানি ‘কেরো এন্ড কোং’ যা দর্শনায় অবস্থিত তার তৈরি ভদকা, হুইস্কি, জিন পাওয়া যায় । আমাদের সমাজতো রক্ষনশীল । তাই কান্দিরপাড় থেকে একটা স্প্রাইট কিনে অর্ধেক খেতে খেতে চক বাজার যেতাম । নাদেরে যখন পৌঁছতাম তখন স্প্রাইটের বোতল অর্ধেক খালি হয়ে যেতো । আমি বাবুল ভাইকে স্প্...

ফেবুতে মেয়েদের পোস্ট

ফেবুতে মেয়েদের পোস্ট সকালে ঘুম ভেঙে দেখি আট টা বাজে । শরীরটাও বেশি ভালো লাগছে না । আবার ঘুমাল াম । ১১টায় উঠলাম । ২ মগ চা খেলাম ( বাজারের হিসেবে ৮ কাপ হবে)। সবাই জানেন আমি স্মোক করি । চেইন স্মোকার । কম্পিউটার খোঁচাখুঁচি করে নিজে নিজেই ঠিক করলাম । প্রায় দুই ঘন্টা । আমি থাকি চার তলায় । দুপুর ১টা বাজে । খেতেও ইচ্ছে করছে না কিছু । তখনো মুখ ধুই নি । কম্পিউটারে খোঁচাখোঁচি করতে গিয়ে দেখি এক মেয়ে তার পা’য়ের একটা ছবি আপলোড করেছে । দেখলাম এই পা মানে ঠ্যাং এর ছবিতে লাইক পড়েছে ৯৪৭ টা । কমেন্ট অসংখ্য । ‘কতো সুন্দর এই পা । না জানি তুমি কতো সুন্দর । পা তো নয় যেন একটা গোলাপ ফুল’ । এ জাতীয় অনেক কমেন্ট । আমি পোষ্ট টা দেখে কিছুটা অবাক হলাম । একটা ঠ্যাং এর এতো কদর ! প্রায়ই লক্ষ্য করি, মেয়েরা যখনি কিছু আপলোড করে সেটা তাদের পায়ের ছবিই হোক,হাতের ছবিই হোক আর নাকের ছবিই হোক বা এক চোখের ছবিই হোক সে সব ছবিতে অগনিত লাইক আর কমেন্ট । মেয়ে বন্ধুদের ছোট করার জন্য বলছি না, ফেবুতে প্রায়ই দেখি মেয়েরা কোনো ছবি বা দু এক লাইন হাবিজাবি লিখলে লাইক আর কমেন্টের বন্যা বয়ে যায় । অনেক মেয়েরা শখ করে পিঠা, ...