রূপন্তী দেহে বৃষ্টিস্নাত সাবরিনানা
মা !
ডাঃ সাবরিনা চৌধুরী একজন করাপ্ট ডাক্তার। বাংলাদেশে চিকিৎসার পেশায় করাপশন ঢুকিয়েছে যারা তাদের বেশীরভাগই ডাক্তার। ডায়াগনস্টিক সেন্টারের পরীক্ষা নিরীক্ষায় কমিশন দেয়া এটা তো ডাক্তার ব্যবসায়ীরাই শুরু করেছেন।
না বললেও আপনারা সবাই তাদের নাম জানেন। তারা সকলেই সমাজে প্রতিষ্ঠিত,সন্মানিত এবং ফার্মাসিউটিক্যালস ব্যবসায়ী। উনারা তাদের মার্কেটিং অফিসারের হাতে ডাক্তারদের নামে নামে কমিশনের খাম ধরিয়ে দেয়। কিন্তু যারা নেয় তারা সবার জন্যই বদনাম নিয়ে আসেন। ডাক্তারি পেশার প্রতি যে মানুষের ক্ষোভ, সেটা তৈরি হয়েছে এই কমিশন প্রথা নিয়ে মানুষের ঘৃণা থেকেই। আরো আছে Physician's Sample. Not for Sale নামে ডাক্তারদের বেশি ওষুধ দেয়া হয় যা ডাক্তাররা তাদের লোকজন দিয়ে খোলা বাজারে বিক্রি করেও আয় করেন।
বাংলাদেশে ফার্মাসিউটিক্যালস ব্যবসায় এই খাম ধরানো কৌশল যেই প্রথিতযশা কোম্পানীর মালিক শুরু করেছিলেন তাকে বাংলাদেশের সবাই ফার্মা ব্যবসার লিজেন্ড হিসেবে জানে। কীভাবে কোন কৌশলে তিনি এই পেশাকে বিষাক্ত করেছিলেন সেই গল্পও অনেকেই জানেন। বাংলাদেশে করাপশনই স্বাভাবিক। সৎ ব্যবসা একটি বিরল ঘটনা।
এবার দেখি রূপন্তী দেহে বৃষ্টিস্নাত সাবরিনানামা !
ডা. সাবরিনার বৃষ্টি ভেজা আল্ট্রা মর্ডান কতোগুলা ছবি হোমপেজে ভাসছে, সে কি চাহনি !
অথচ সাবরিনা তার স্বামী আরিফের চতুর্থ স্ত্রী !
সাবরিনার স্বামী আরিফের এক স্ত্রী থাকে রাশিয়ায়, আরেকজন থাকে লন্ডনে! আরেকজনের সাথে ডিভোর্স হলেও জেলে থাকা আরিফের জন্য আবার সে-ই এখন তদবির চালাচ্ছেন !
আরিফ আবার পুরোপুরি ড্রাগ এডিক্টেড এমনকি রিমান্ডে পুলিশের কাছে সে ইয়াবাও চেয়েছে !
কার্ডিয়াক সার্জন হিসেবে একটি পত্রিকায় ৪-৫ বছর আগে ডা. সাবরিনা চৌধুরীর একটা সাক্ষাৎকার প্রকাশিত হয়েছিলো।
পত্রিকার হেডলাইন হতো- 'মহৎ পেশার মহান মানুষেরা'!
তাদের কথা বার্তা শুনলে মনে হতো এইমাত্র আল্লাহর ওলি নেমে এসেছে !
প্রতারক এই সাবরিনাই সেই মহান ডা. সাবরিনা।
রিজেন্টেরও আগে সর্বপ্রথম জেকেজি হেলথ কেয়ারের ভুয়া রিপোর্ট দেয়ার তথ্য প্রকাশিত হয়েছে।
অখ্যাত এই জেকেজি কিভাবে করোনা টেস্ট করার অনুমতি পেলো সেটা স্বাস্থ্য অধিদপ্তরের কেউ জানে না !
সাহেদ-সাবরিনাদের এসব ফেরেশতারা করে দেয় !
জাতীয় হৃদরোগ ইন্সটিটিউটের ডাক্তার হয়েও সাবরিনা আবার এই 'জেকেজি'রও চেয়ারম্যান !
কিন্তু প্রতারণার ঘটনায় সাবরিনার স্বামীসহ ৬ জন গ্রেফতার হলেও জেকেজির চেয়ারম্যান ডা. সাবরিনা রয়েছে সবকিছুর ঊর্ধ্বে !
এখানেও আবার টুইস্ট আছে !
সোহরাওয়ার্দী হাসপাতালের এক ডাক্তারের সাথে সাবরিনাকে 'লিটনের আইসিউর' একই বেডে পেয়ে সেই ডাক্তারেরকে পিটিয়েছিলো তার মাদকাসক্ত স্বামী আরিফ।
এই ঘটনায় শেরেবাংলা নগর থানায় স্বামীর বিরুদ্ধে জিডি করেন ডা. সাবরিনা।
ওদিকে আবার জেকেজির এক নারী কর্মীকে শ্লীলতাহানি করায় গুলশান থানায় মামলা রয়েছে স্বামী আরিফের বিরুদ্ধে !
ডা. সাবরিনার বিএমএ নেতা পরিচয় এবং সরকারের উচ্চমহলের সাথে ঘনিষ্ঠতায় জেকেজির ক্ষমতার দাপট এতটাই বেড়েছিলো যে, তিতুমীর কলেজের মেয়েদের রুমে নিয়ে যেতো জেকেজির কর্মীরা।
তারা তিতুমীর কলেজের স্টাফদের মারধর করতো !
অশ্লীল নাচ গানে রাত কাটতো সবার।
আর জেকেজির অফিসে চলতো সাবরিনার স্বামী আরিফের মাদকের আড্ডা, নাচানাচি সাথে অশ্লীল কর্মকাণ্ড !
উচ্চশিক্ষিত + সচিব বাবার মেয়ে সাবরিনা ছোটবেলা থেকেই ওয়েস্টার্ন ধাঁচে বড় হওয়ায় জেকেজির নারী কর্মীদের কাছে ডা. সাবরিনা আবার রোলমডেল !
জেকেজির নারী কর্মীরাও সবাই অশ্লীল দেখতে এমন ড্রেস পরতো আর উদ্যমী জীবনযাপন করতো।
খোলামেলা কাপড়ে কর্মীদের সাথে আবার টিকটকে ভিডিও করতো ডা. সাবরিনা !
এ এক আজব দেশের গজব কাহিনী !
কেউ টাকা, কেউবা রূপের বিনিময়ে, যে যেভাবে পারছে তাদের ক্ষমতার দাপটে টেকা দায় !
শুনতে একটু কটু শোনালেও সত্য হচ্ছে,
আমাদের দেশে যে কোন ক্ষেত্রেই সুন্দরী মেয়েদের চেহারাকে তাদের ৫০% যোগ্যতা হিসেবে ধরা হয়।
বাকি ৫০% তাদের মাঠে-খাটে শ্রম দিয়ে বাগিয়ে নিতে হয় !
স্টুডেন্ট লাইফে সিনেমায় অভিনয় করতে চেয়ে প্রডিউসারদের পেছনে ঘুরেও হয়তো সঠিক জায়গায় শ্রম না দিতে পেরে ব্যর্থ ডা. সাবরিনারা এখন ঠিকই বুঝে গেছেন কোথায় শ্রম দিতে হয়, কিভাবে কাজ পাওয়া যায় !
টিভি-পত্রিকায় সাক্ষাৎকার দিয়ে গরিব আর মানবতার জন্য সাবরিনারা নিজেদের বিলিয়ে দেয়ার কথা বলে ক্ষমতাবান কারো খাটে বিলিয়ে দেয় !
দ্বৈত টেনিসের কোর্টের একপাশে যখন পাপিয়া-সাবরিনারা জুটি বেধে নামে, আর ওপাশে যদি ক্ষমতাবান উত্তরসূ্রীরা থাকে, সেই খেলাতো টাইব্রেকারে যাবেই !
আর ডা. সাবরিনার মতো শত শত সাবরিনারা রূপ আর শ্রমের সমন্বয় ঘটিয়ে অপরাধের রাজত্ব করে যাবে।
সূত্রঃবিভিন্ন পত্রপত্রিকা ও ফেসবুক থেকে নেয়া তথ্য । সংক্ষেপিত, পরিমার্জিত, সংশোধিত, পরিবর্ধিত, সংযোজিত।
*তার ব্যক্তিগত জীবন, পোশাক আশাক, চলাফেরা, জীবন যাপন নিয়ে আমার কোনো আপত্তি নেই। কিন্তু দেশের দায়িত্বশীল পদে থেকে দুর্নীতি করলে মানুষ তার ব্যাকগ্রাউন্ড নিয়ে টান দেবেই। তার হাতে মানুষের জীবন মরন। (কেউ আবার শিরক মনে করবেন না।)
Karim Chowdhury
11 July, 2020
Cumilla.
মা !
ডাঃ সাবরিনা চৌধুরী একজন করাপ্ট ডাক্তার। বাংলাদেশে চিকিৎসার পেশায় করাপশন ঢুকিয়েছে যারা তাদের বেশীরভাগই ডাক্তার। ডায়াগনস্টিক সেন্টারের পরীক্ষা নিরীক্ষায় কমিশন দেয়া এটা তো ডাক্তার ব্যবসায়ীরাই শুরু করেছেন।
না বললেও আপনারা সবাই তাদের নাম জানেন। তারা সকলেই সমাজে প্রতিষ্ঠিত,সন্মানিত এবং ফার্মাসিউটিক্যালস ব্যবসায়ী। উনারা তাদের মার্কেটিং অফিসারের হাতে ডাক্তারদের নামে নামে কমিশনের খাম ধরিয়ে দেয়। কিন্তু যারা নেয় তারা সবার জন্যই বদনাম নিয়ে আসেন। ডাক্তারি পেশার প্রতি যে মানুষের ক্ষোভ, সেটা তৈরি হয়েছে এই কমিশন প্রথা নিয়ে মানুষের ঘৃণা থেকেই। আরো আছে Physician's Sample. Not for Sale নামে ডাক্তারদের বেশি ওষুধ দেয়া হয় যা ডাক্তাররা তাদের লোকজন দিয়ে খোলা বাজারে বিক্রি করেও আয় করেন।
বাংলাদেশে ফার্মাসিউটিক্যালস ব্যবসায় এই খাম ধরানো কৌশল যেই প্রথিতযশা কোম্পানীর মালিক শুরু করেছিলেন তাকে বাংলাদেশের সবাই ফার্মা ব্যবসার লিজেন্ড হিসেবে জানে। কীভাবে কোন কৌশলে তিনি এই পেশাকে বিষাক্ত করেছিলেন সেই গল্পও অনেকেই জানেন। বাংলাদেশে করাপশনই স্বাভাবিক। সৎ ব্যবসা একটি বিরল ঘটনা।
এবার দেখি রূপন্তী দেহে বৃষ্টিস্নাত সাবরিনানামা !
ডা. সাবরিনার বৃষ্টি ভেজা আল্ট্রা মর্ডান কতোগুলা ছবি হোমপেজে ভাসছে, সে কি চাহনি !
অথচ সাবরিনা তার স্বামী আরিফের চতুর্থ স্ত্রী !
সাবরিনার স্বামী আরিফের এক স্ত্রী থাকে রাশিয়ায়, আরেকজন থাকে লন্ডনে! আরেকজনের সাথে ডিভোর্স হলেও জেলে থাকা আরিফের জন্য আবার সে-ই এখন তদবির চালাচ্ছেন !
আরিফ আবার পুরোপুরি ড্রাগ এডিক্টেড এমনকি রিমান্ডে পুলিশের কাছে সে ইয়াবাও চেয়েছে !
কার্ডিয়াক সার্জন হিসেবে একটি পত্রিকায় ৪-৫ বছর আগে ডা. সাবরিনা চৌধুরীর একটা সাক্ষাৎকার প্রকাশিত হয়েছিলো।
পত্রিকার হেডলাইন হতো- 'মহৎ পেশার মহান মানুষেরা'!
তাদের কথা বার্তা শুনলে মনে হতো এইমাত্র আল্লাহর ওলি নেমে এসেছে !
প্রতারক এই সাবরিনাই সেই মহান ডা. সাবরিনা।
রিজেন্টেরও আগে সর্বপ্রথম জেকেজি হেলথ কেয়ারের ভুয়া রিপোর্ট দেয়ার তথ্য প্রকাশিত হয়েছে।
অখ্যাত এই জেকেজি কিভাবে করোনা টেস্ট করার অনুমতি পেলো সেটা স্বাস্থ্য অধিদপ্তরের কেউ জানে না !
সাহেদ-সাবরিনাদের এসব ফেরেশতারা করে দেয় !
জাতীয় হৃদরোগ ইন্সটিটিউটের ডাক্তার হয়েও সাবরিনা আবার এই 'জেকেজি'রও চেয়ারম্যান !
কিন্তু প্রতারণার ঘটনায় সাবরিনার স্বামীসহ ৬ জন গ্রেফতার হলেও জেকেজির চেয়ারম্যান ডা. সাবরিনা রয়েছে সবকিছুর ঊর্ধ্বে !
এখানেও আবার টুইস্ট আছে !
সোহরাওয়ার্দী হাসপাতালের এক ডাক্তারের সাথে সাবরিনাকে 'লিটনের আইসিউর' একই বেডে পেয়ে সেই ডাক্তারেরকে পিটিয়েছিলো তার মাদকাসক্ত স্বামী আরিফ।
এই ঘটনায় শেরেবাংলা নগর থানায় স্বামীর বিরুদ্ধে জিডি করেন ডা. সাবরিনা।
ওদিকে আবার জেকেজির এক নারী কর্মীকে শ্লীলতাহানি করায় গুলশান থানায় মামলা রয়েছে স্বামী আরিফের বিরুদ্ধে !
ডা. সাবরিনার বিএমএ নেতা পরিচয় এবং সরকারের উচ্চমহলের সাথে ঘনিষ্ঠতায় জেকেজির ক্ষমতার দাপট এতটাই বেড়েছিলো যে, তিতুমীর কলেজের মেয়েদের রুমে নিয়ে যেতো জেকেজির কর্মীরা।
তারা তিতুমীর কলেজের স্টাফদের মারধর করতো !
অশ্লীল নাচ গানে রাত কাটতো সবার।
আর জেকেজির অফিসে চলতো সাবরিনার স্বামী আরিফের মাদকের আড্ডা, নাচানাচি সাথে অশ্লীল কর্মকাণ্ড !
উচ্চশিক্ষিত + সচিব বাবার মেয়ে সাবরিনা ছোটবেলা থেকেই ওয়েস্টার্ন ধাঁচে বড় হওয়ায় জেকেজির নারী কর্মীদের কাছে ডা. সাবরিনা আবার রোলমডেল !
জেকেজির নারী কর্মীরাও সবাই অশ্লীল দেখতে এমন ড্রেস পরতো আর উদ্যমী জীবনযাপন করতো।
খোলামেলা কাপড়ে কর্মীদের সাথে আবার টিকটকে ভিডিও করতো ডা. সাবরিনা !
এ এক আজব দেশের গজব কাহিনী !
কেউ টাকা, কেউবা রূপের বিনিময়ে, যে যেভাবে পারছে তাদের ক্ষমতার দাপটে টেকা দায় !
শুনতে একটু কটু শোনালেও সত্য হচ্ছে,
আমাদের দেশে যে কোন ক্ষেত্রেই সুন্দরী মেয়েদের চেহারাকে তাদের ৫০% যোগ্যতা হিসেবে ধরা হয়।
বাকি ৫০% তাদের মাঠে-খাটে শ্রম দিয়ে বাগিয়ে নিতে হয় !
স্টুডেন্ট লাইফে সিনেমায় অভিনয় করতে চেয়ে প্রডিউসারদের পেছনে ঘুরেও হয়তো সঠিক জায়গায় শ্রম না দিতে পেরে ব্যর্থ ডা. সাবরিনারা এখন ঠিকই বুঝে গেছেন কোথায় শ্রম দিতে হয়, কিভাবে কাজ পাওয়া যায় !
টিভি-পত্রিকায় সাক্ষাৎকার দিয়ে গরিব আর মানবতার জন্য সাবরিনারা নিজেদের বিলিয়ে দেয়ার কথা বলে ক্ষমতাবান কারো খাটে বিলিয়ে দেয় !
দ্বৈত টেনিসের কোর্টের একপাশে যখন পাপিয়া-সাবরিনারা জুটি বেধে নামে, আর ওপাশে যদি ক্ষমতাবান উত্তরসূ্রীরা থাকে, সেই খেলাতো টাইব্রেকারে যাবেই !
আর ডা. সাবরিনার মতো শত শত সাবরিনারা রূপ আর শ্রমের সমন্বয় ঘটিয়ে অপরাধের রাজত্ব করে যাবে।
সূত্রঃবিভিন্ন পত্রপত্রিকা ও ফেসবুক থেকে নেয়া তথ্য । সংক্ষেপিত, পরিমার্জিত, সংশোধিত, পরিবর্ধিত, সংযোজিত।
*তার ব্যক্তিগত জীবন, পোশাক আশাক, চলাফেরা, জীবন যাপন নিয়ে আমার কোনো আপত্তি নেই। কিন্তু দেশের দায়িত্বশীল পদে থেকে দুর্নীতি করলে মানুষ তার ব্যাকগ্রাউন্ড নিয়ে টান দেবেই। তার হাতে মানুষের জীবন মরন। (কেউ আবার শিরক মনে করবেন না।)
Karim Chowdhury
11 July, 2020
Cumilla.
মন্তব্যসমূহ
একটি মন্তব্য পোস্ট করুন