চেতনাজীবি!!!
১৯৭১ এর পর ভোল পাল্টে অনেক
বড় চেতনাজীবি সেজেছিলো কবি শামসুর রহমান ও কবির চৌধুরী। বিপরীতে নীতির
প্রশ্নে আপোষ করেন নি বলে জেলে গিয়েছিলেন কবি তালিম হোসেন, বাংলাদেশ বেতার
হতে চাকরিচ্যূত হয়েছিলেন কবি ফররুখ আহমেদ।
কবির চৌধুরী ১৭ ই মে, ১৯৭১ খ্রি. তারিখে কবি শামসুর রহমান কর্তৃক সম্পাদিত দৈনিক পাকিস্তান পত্রিকায় পাকিস্তানের সংহতি রক্ষায় বিবৃতি দিয়ে বলেছিলেন, 'মুক্তিযোদ্ধারা ভারতের দালাল’।
কবির চৌধুরী মুক্তিযুদ্ধের পুরো সময়টাতেই বাংলা একাডেমীর মহাপরিচালকের দায়িত্ব পালন করেছেন। আরো উল্লেখ্য কবির চৌধুরীর পুরো পরিবার মুক্তিযুদ্ধের বিপক্ষে ছিল. তার বড় ভাই কাইয়্যুম চৌধুরী পাকিস্তান সেনাবাহিনীর কর্নেল ছিলেন। তিনি মুক্তিযুদ্ধের পক্ষে ভূমিকা রাখেননি অথবা নীরবও থাকেন নি বরং সরাসরি বিপক্ষে অবস্থান নিয়েছিলেন। তিনি আজীবন পাকিস্তানে থেকে গেছেন, স্বাধীন বাংলাদেশে কোনদিন আসেননি ।
কবির চৌধুরীর অপর ভাই মুনির চৌধুরী মৃত্যুর আগের দিন পর্যন্ত পাকিস্তানের পক্ষে অবস্থান নিয়েও এখন শহীদ বুদ্ধিজীবি ! অথচ এই মুনির চৌধুরীর বিশ্ববিদ্যালয়ের বাসায় পাকিস্তান সেনবাহিনীর নিয়মিত মিটিং বসতো। ঢাবি’র প্রবীণ শিক্ষক শান্তি নারায়ণ ঘোষ এখনও বেঁচে আছেন। রিটায়ার করে এখন সম্ভবত নর্থ সাউথ বিশ্ববিদ্যালয়ে যোগ দিয়েছেন। তার কাছে গেলে এই ঘটনার সত্যতা জানতে পারবেন।
তার সম্পর্কে মন্তব্য জনাব কাদের সিদ্দীকি মন্তব্য দেখুন।
'পাকিস্তানের পক্ষে ১৯৭১ সালে ঢাকার ৩১ জন বুদ্ধিজীবী বিবৃতি দিয়েছিল।
তাতে এক নম্বরে স্বাক্ষর করেছিল মুনির চৌধুরী। মুনির চৌধুরী পুরো যুদ্ধের
সময় একদিনের জন্যও নিজের কর্মস্থলে যাওয়া বন্ধ করেনি। এমনকি নভেম্বর
মাসের বেতনও তিনি তুলছিলেন '. সূত্র: আমার দেশ, ০৪/১০/১১ ইং ।
স্বাধীনতার পর মুনির চৌধুরীর ভাই কবির চৌধুরী (এখন মৃত) এবং বোন ফেরদৌসী
মজুমদার এর চেতনা চর্চা দেখে অবাক হয়ে ভাবি - এদের কি ন্যূনতম লজ্জা শরম
নাই ?
সূত্রঃঅরক্ষিত স্বাধীনতাই পরাধীনতা।
Karim Chowdhury
29 July, 2020
Cumilla.
মন্তব্যসমূহ
একটি মন্তব্য পোস্ট করুন