সরাসরি প্রধান সামগ্রীতে চলে যান

এইদেশে দুর্নীতি!!

এইদেশে দুর্নীতি!!!




"বাবা হয়ে ছেলেকে দিয়ে মদ আনিয়ে খেলে, সেই ছেলে বাবার সামনে সিগারেট, গাঁজা খাবে। এটাই স্বাভাবিক। এই সরকারের আব্বারও ক্ষমতা নেই প্রশাসন আর আমলাদের দুর্নীতি থামায়। শুধুমাত্র কারসাজি করে ক্ষমতায় থাকতে গিয়ে পুরো রাস্ট্রের ব্যবস্থাপনা নষ্ট করে ফেলেছে। আমলা কামলা আর প্রশাসন খুব ভালো করে জানে,- নতুন সরকার এলে এদের চামড়া দিয়ে জনগন ডুগডুগি বাজাবে। তাই এরা সকলেই নিরাপত্তা ও বউ বাচ্চার কথা চিন্তা করে বিদেশে বাড়ি, গাড়ি ও আজীবন বসে খাবার ব্যবস্থা করে রেখেছে । নিরাপত্তার কথা ভেবে, দুর্নীতি করা এদের জন্য ফরজ হয়ে গেছে ।"

কোনোভাবেই থামছে না সরকারের বিভিন্ন প্রকল্পে পণ্য ক্রয়ে অস্বাভাবিক দামের প্রস্তাব দেয়া। এ যেন স্থায়ী সংস্কৃতিতে পরিণত হয়েছে। এবার ‘সমন্বিত ব্যবস্থাপনার মাধ্যমে কৃষি যান্ত্রিকীকরণ’ শীর্ষক প্রকল্পে ১০ হাজার টাকা করে ধরা হয়েছে একেকটি প্লাস্টিক ড্রাম ও বঁটির দাম। শুধু তাই নয়, একটি অ্যালুমিনিয়ামের বড় চামচ এক হাজার টাকা ও এক কেজি মসলা রাখার প্লাস্টিকের পাত্রের দাম দুই হাজার টাকা প্রস্তাব দেয়া হয়েছে। এরকম আরও অনেক পণ্য ক্রয়ের ক্ষেত্রেই রয়েছে বাজারের তুলনায় অসামঞ্জস্যপূর্ণ দাম। গত ১৪ জুলাই ৩ হাজার ২০ কোটি টাকা ব্যয়ের এ প্রকল্পটি অনুমোদন দিয়েছে জাতীয় অর্থনৈতিক পরিষদের নির্বাহী কমিটি (একনেক)।
সূত্রঃযুগান্তর।
এখানে উল্লেখ্য, একনেকের যে কোনো প্রকল্পের অনুমোদন দেয় প্রধানমন্ত্রী। প্রধানমন্ত্রী ছাড়া একনেকের যে কোনো প্রকল্প অনুমোদন দেয়ার ক্ষমতা কারো নেই।
Karim Chowdhury
July 21,2020
Cumilla.

 

মন্তব্যসমূহ

এই ব্লগটি থেকে জনপ্রিয় পোস্টগুলি

আমার দেখা ১৯৭৪ সালের দুর্ভিক্ষ

আমার দেখা ১৯৭৪ সালের দুর্ভিক্ষ সরকারঃ শেখ মুজিবের শাসনামল ১৯৭৪-এর দুর্ভিক্ষ বাংলাদেশে ১৯৭৪ সালের মার্চে শুরু হয়ে সেই বছরেরই ডিসেম্বরের দিকে গিয়ে শেষ হয়। এই দুর্ভিক্ষে অসংখ্য মানুষ অনাহারে মারা গিয়েছিল। এই দুর্ভিক্ষকে স্মরণকালের মধ্যে সবচেয়ে ভয়ানক হিসেবে গন্য করা হয়। ওই সময় আমি বুঝতাম। ক্লাশ ফোরে পড়তাম। আহারে ! কি যে অভাব ! অনেকের মতো আমরাও ভাত না খেয়ে রুটি খেয়েছি । তাও পরিমিত । কখনো জাউ খেয়েছি । শুকনো মরিচ পাওয়া যেতো না । কাঁচা মরিচের কেজি ছিলো ১৫০ টাকা । লবন ১২০ টাকা । আর সোনার ভরি ছিলো তখন ১৫০ টাকা । সোনা শুধু ওই সময় কম দাম ছিলো । চারদিকে অভাব । সারাদেশের মানুষের হাহাকার । কতো মানুষ না খেয়ে মারা গেছেন ! বিদেশি রিলিফ সব আওয়ামী লীগের লোকেরা চুরি করেছে । আর বেশিরভাগ রিলিফ সীমান্ত দিয়ে ভারতে চলে পাচার হয়েছিলো । তখন বর্ডার খোলা ছিলো তখন । মহিলাদের শাড়ি কাপড় ছিলো না । অনেকে মাছ ধরার জাল পরে লজ্জাস্থান ঢেকেছিলো । এসব ছবি পত্রিকায়ও ছাপা হয়েছিলো । কিন্তু আওয়ামী লীগ নেতাদের কোনো অভাব ছিলো না । বাংলাদেশের স্বাধীনতা যুদ্ধ শেষ হওয়ার মাত্র দুই বছর তিন মাসের মাথায় ...

বোতল

বোতল মানব জীবনে বোতল অপরিহার্য । বোতল অনেক অর্থেও ব্যবহার হয় । কোনো কোনো এলাকায় আনস্মার্ট, বেয়াক্কেল প্রকৃতির লোককেও বোতল বলা হয় । ইউরোপ আমেরিকায় থাকতে আমি ডৃংক করতাম । হার্ড ডৃংক কমই খেতাম । প্রতিদিনই বিয়ার খেতাম । বিয়ার স্বাস্থ্য ভালো রাখে ও কাজ করতে এনার্জি জোগায় । পরিমিত বিয়ার খেলে কেউ মাতাল হয় না । মাঝে মাঝে বিশেষ কোনো পার্টিতে হুইস্কি খাওয়া হতো । তাও দামি ব্র্যান্ডের । জনি ওয়াকার ব্ল্যাক লেবেল, টিচার্স, পাসপোর্ট, হেনেসি, শিভাস রিগাল, জ্যাক ড্যানিয়েলস । সাকুরায়ও অনেক সময় এসব ব্র্যান্ডের হুইস্কি পাওয়া যায় না । তো দেশে আসার পরও কিছু দিন ডৃংক করেছিলাম । কুমিল্লায় সরকার অনুমোদিত একটা মদের দোকান আছে চক বাজারে । নামঃ নাদের ট্রেডিং কোং । এটা প্রায় আজ ৫০ বছর । এখানে বিদেশি ব্র্যান্ডের ডৃংক পাওয়া যায় না । দেশিয় কোম্পানি ‘কেরো এন্ড কোং’ যা দর্শনায় অবস্থিত তার তৈরি ভদকা, হুইস্কি, জিন পাওয়া যায় । আমাদের সমাজতো রক্ষনশীল । তাই কান্দিরপাড় থেকে একটা স্প্রাইট কিনে অর্ধেক খেতে খেতে চক বাজার যেতাম । নাদেরে যখন পৌঁছতাম তখন স্প্রাইটের বোতল অর্ধেক খালি হয়ে যেতো । আমি বাবুল ভাইকে স্প্...

অশ্লীল নাম

বাংলাদেশের কিছু প্রতিষ্ঠান ও স্থানের বিচিত্র বা বিকৃত অর্থের নাম যা পরিবর্তন করা উচিতঃ ১. বোদা মহিলা মহাবিদ্যালয়, বোদা, পঞ্চগড় ২. চুমাচুমি সরকারি প্রাথমিক বিদ্যালয়, রাঙ্গামাটি ৩. সোনাপোতা সরকারি প্রাথমিক বিদ্যালয়, খুলনা ৪. মানুষমারা সরকারি প্রাথমিক বিদ্যালয়, নীলফামারি ৫. সোনাকাটা ইউনিয়ন, তালতলী, বরগুনা ৬.বড়বাল ইউনিয়ন, মিঠাপুকুর, রংপুর ৭.সোনাখাড়া ইউনিয়ন, রায়গঞ্জ, সিরাজগঞ্জ ৮. ধনকামড়া গ্রাম, ভোদামারা, দিনাজপুর ৯.গোয়াকাটা, দোহার, ঢাকা ১০. গোয়াতলা, ময়মনসিংহ ১১.লেংটার হাট, মতলব, চাঁদপুর