একদিন। 'মেমোরিয়েল ডে' তে। হাডসন নদীতে। দ্বিতীয় বিশ্বযুদ্ধে ব্যবহৃত যুদ্ধ
বিমানের সঙ্গে। সেদিন নিউ ইয়র্কে বৃষ্টি ছিলো। তাই বা হাতে ছাতা। বিমানটিও
ছিলো একটা এয়ারক্রাফট ক্যারিয়ারের উপর। মেমোরিয়েল ডে-তে আমেরিকায় এসব
যুদ্ধাস্ত্রের প্রদর্শনী হয়। জনগণের জন্য উম্মুক্ত থাকে সেই প্রদর্শনী।
প্রতি বছর ৩১ মে আমেরিকায় মেমোরিয়াল ডে পালন করা হয়। গুরুত্বপূর্ণ সরকারি
ছুটি। আঞ্চলিক ও মহাযুদ্ধে যে সব আমেরিকান সৈন্য মারা গেছেন তাদের স্মরণ
করেই মেমোরিয়াল ডে বা স্মরণ দিবস। এই দিন আমেরিকার প্রেসিডেন্ট ভার্জিনিয়ায় ন্যাশনাল সিমেট্রিতে পুস্পস্তবক অর্পণ করেন। আহত ও নিহতদের অনেক পরিবারের সঙ্গে মিলিত হোন।
সেদিনের আবহাওয়ার কথা স্পষ্ট মনে পড়ছে। মনে পড়ছে সেই পরিচিত ম্যানহাটান বা নিউ ইয়র্ক সিটির কথা।
ছবিটা তুলেছিলেন যায়যায়দিনের আমার মতোই তরুণ লেখক শনতু আহমেদ ।
সাল ১৯৯৮।
Karim Chowdhury
30 July, 2020
Cumilla.
আমার দেখা ১৯৭৪ সালের দুর্ভিক্ষ সরকারঃ শেখ মুজিবের শাসনামল ১৯৭৪-এর দুর্ভিক্ষ বাংলাদেশে ১৯৭৪ সালের মার্চে শুরু হয়ে সেই বছরেরই ডিসেম্বরের দিকে গিয়ে শেষ হয়। এই দুর্ভিক্ষে অসংখ্য মানুষ অনাহারে মারা গিয়েছিল। এই দুর্ভিক্ষকে স্মরণকালের মধ্যে সবচেয়ে ভয়ানক হিসেবে গন্য করা হয়। ওই সময় আমি বুঝতাম। ক্লাশ ফোরে পড়তাম। আহারে ! কি যে অভাব ! অনেকের মতো আমরাও ভাত না খেয়ে রুটি খেয়েছি । তাও পরিমিত । কখনো জাউ খেয়েছি । শুকনো মরিচ পাওয়া যেতো না । কাঁচা মরিচের কেজি ছিলো ১৫০ টাকা । লবন ১২০ টাকা । আর সোনার ভরি ছিলো তখন ১৫০ টাকা । সোনা শুধু ওই সময় কম দাম ছিলো । চারদিকে অভাব । সারাদেশের মানুষের হাহাকার । কতো মানুষ না খেয়ে মারা গেছেন ! বিদেশি রিলিফ সব আওয়ামী লীগের লোকেরা চুরি করেছে । আর বেশিরভাগ রিলিফ সীমান্ত দিয়ে ভারতে চলে পাচার হয়েছিলো । তখন বর্ডার খোলা ছিলো তখন । মহিলাদের শাড়ি কাপড় ছিলো না । অনেকে মাছ ধরার জাল পরে লজ্জাস্থান ঢেকেছিলো । এসব ছবি পত্রিকায়ও ছাপা হয়েছিলো । কিন্তু আওয়ামী লীগ নেতাদের কোনো অভাব ছিলো না । বাংলাদেশের স্বাধীনতা যুদ্ধ শেষ হওয়ার মাত্র দুই বছর তিন মাসের মাথায় ...
মন্তব্যসমূহ
একটি মন্তব্য পোস্ট করুন