সরাসরি প্রধান সামগ্রীতে চলে যান

You have to ভাবতে হবে

 

You have to ভাবতে হবে




গতকাল এই ছবি দিয়ে একটা ছোট পোস্ট লিখেছিলাম। আমার ঘনিষ্ঠ ও প্রিয় বন্ধু Faruk Hasan লন্ডন থেকে কমেন্ট করেছেন, মাঝখানেরটা জারজ। উনি খুব ফানি ক্যারেক্টর। আমিও। তাই উনার কমেন্টের নিচে আমি লিখেছিলাম....
জারজ হোক আর যাই হোক তিনিও আমেরিকার স্বার্থই দেখেছেন। আমি ব্যক্তিগতভাবে বুশকে পছন্দ করি না। নির্বাচনের আগে আল গোরের সঙ্গে তার কিছু প্রেসিডেনশিয়াল বিবেট দেখেছিলাম লাইভ। আমেরিকার বিভিন্ন টিভি চ্যানেলে। ক্লিনটন ও তার টার্মে আমি আমেরিকায় ছিলাম। মুসলিমদের উপর তার অনেক অত্যাচার। আমরা সবাই জানি। আফগানিস্তান ও ইরাক যুদ্ধের পুরোটা সময় আমেরিকা ছিলাম। আমেরিকারই অনেক সংবাদ মাধ্যমে প্রকাশ ইরাকে ১৫ লাখ বেসামরিক লোক হত্যা করা হয়েছে।
আমার ব্যক্তিগত বিশ্বাস ওসামা বিন লাদেন আর প্রধানত দুটো আরব রাস্ট্র বুশকে এই সুযোগ করে দিয়েছে। আমার এও বিশ্বাস, মুসলিম বিশ্বের অনৈক্য এবং কিছু মুসলিম শাসকের ব্যক্তিগত স্বার্থই আমেরিকাকে এই সুযোগ দেয়।
নবীজীর মৃত্যুর পর থেকেই মুসলিম সমাজে যে বিভক্তির সৃষ্টি হয় তা গত ১৫০০ বছর ধরেই চলছে। পৈত্রিক সম্পত্তির মতো ইসলাম ধর্মকে চার মাজহাবিরা চার ভাগে ভাগ করে নেয়। এখন বিভক্তি আরো বেড়েছে।
ইতিহাস কি বলে?
১৯০৬ সালের পূর্বে কোনো আহলে হাদিস ছিলো না।
১৮৯৬ সালের পূর্বে কোনো বেরলভী ছিলো না।
১৮৬৭ সালের পূর্বে কোনো দেওবন্দী ছিলো না।
২৫০ হিজরীর পূর্বে কোনো হানবালি ছিলো না।
২০০ হিজরীর পূর্বে কোনো মালিকি ছিলো না।
২০৪ হিজরীর পূর্বে কোনো শাফি ছিলো না।
১৫০ হিজরীর পূর্বে কোনো হানাফী ছিলো না।
এমন কি রাসূল (স.) এর ইন্তেকালের সময় কোনো সুন্নী ও শিয়াও ছিলো না। ছিলো শুধু মুসলমান। কি বুঝলেন ?

শিয়া সুন্নীসহ বাকি সব সম্প্রদায় আপনি লন্ডনের বাসায় শুয়ে শুয়ে চিন্তা করেন। এই চিন্তা করতে গিয়ে তোষক চার ইঞ্চি ডাবলেও উত্তর পাবেন না।
মুসলমান সমাজের বিভক্তি যতোদিন থাকবে ততোদিন অত্যাচার চলবেই।
এটাও ভাববেন, তিনজন প্রধান নবী কেনো শুধু আরব দেশেই এলেন? তাও ৫/৬শ মাইলের মধ্যে। মুসা নবী মিশরে, ইশা নবী জেরুজালেমে, আমাদের নবীজী মক্কায়। পৃথিবীতে এতো জায়গা থাকতে শুধু ওখানেই কেনো? You have to ভাবতে হবে। আমি কিন্তু আস্তিক।
© Karim Chowdhury
28 July, 2020
Cumilla.

মন্তব্যসমূহ

এই ব্লগটি থেকে জনপ্রিয় পোস্টগুলি

আমার দেখা ১৯৭৪ সালের দুর্ভিক্ষ

আমার দেখা ১৯৭৪ সালের দুর্ভিক্ষ সরকারঃ শেখ মুজিবের শাসনামল ১৯৭৪-এর দুর্ভিক্ষ বাংলাদেশে ১৯৭৪ সালের মার্চে শুরু হয়ে সেই বছরেরই ডিসেম্বরের দিকে গিয়ে শেষ হয়। এই দুর্ভিক্ষে অসংখ্য মানুষ অনাহারে মারা গিয়েছিল। এই দুর্ভিক্ষকে স্মরণকালের মধ্যে সবচেয়ে ভয়ানক হিসেবে গন্য করা হয়। ওই সময় আমি বুঝতাম। ক্লাশ ফোরে পড়তাম। আহারে ! কি যে অভাব ! অনেকের মতো আমরাও ভাত না খেয়ে রুটি খেয়েছি । তাও পরিমিত । কখনো জাউ খেয়েছি । শুকনো মরিচ পাওয়া যেতো না । কাঁচা মরিচের কেজি ছিলো ১৫০ টাকা । লবন ১২০ টাকা । আর সোনার ভরি ছিলো তখন ১৫০ টাকা । সোনা শুধু ওই সময় কম দাম ছিলো । চারদিকে অভাব । সারাদেশের মানুষের হাহাকার । কতো মানুষ না খেয়ে মারা গেছেন ! বিদেশি রিলিফ সব আওয়ামী লীগের লোকেরা চুরি করেছে । আর বেশিরভাগ রিলিফ সীমান্ত দিয়ে ভারতে চলে পাচার হয়েছিলো । তখন বর্ডার খোলা ছিলো তখন । মহিলাদের শাড়ি কাপড় ছিলো না । অনেকে মাছ ধরার জাল পরে লজ্জাস্থান ঢেকেছিলো । এসব ছবি পত্রিকায়ও ছাপা হয়েছিলো । কিন্তু আওয়ামী লীগ নেতাদের কোনো অভাব ছিলো না । বাংলাদেশের স্বাধীনতা যুদ্ধ শেষ হওয়ার মাত্র দুই বছর তিন মাসের মাথায় ...

বোতল

বোতল মানব জীবনে বোতল অপরিহার্য । বোতল অনেক অর্থেও ব্যবহার হয় । কোনো কোনো এলাকায় আনস্মার্ট, বেয়াক্কেল প্রকৃতির লোককেও বোতল বলা হয় । ইউরোপ আমেরিকায় থাকতে আমি ডৃংক করতাম । হার্ড ডৃংক কমই খেতাম । প্রতিদিনই বিয়ার খেতাম । বিয়ার স্বাস্থ্য ভালো রাখে ও কাজ করতে এনার্জি জোগায় । পরিমিত বিয়ার খেলে কেউ মাতাল হয় না । মাঝে মাঝে বিশেষ কোনো পার্টিতে হুইস্কি খাওয়া হতো । তাও দামি ব্র্যান্ডের । জনি ওয়াকার ব্ল্যাক লেবেল, টিচার্স, পাসপোর্ট, হেনেসি, শিভাস রিগাল, জ্যাক ড্যানিয়েলস । সাকুরায়ও অনেক সময় এসব ব্র্যান্ডের হুইস্কি পাওয়া যায় না । তো দেশে আসার পরও কিছু দিন ডৃংক করেছিলাম । কুমিল্লায় সরকার অনুমোদিত একটা মদের দোকান আছে চক বাজারে । নামঃ নাদের ট্রেডিং কোং । এটা প্রায় আজ ৫০ বছর । এখানে বিদেশি ব্র্যান্ডের ডৃংক পাওয়া যায় না । দেশিয় কোম্পানি ‘কেরো এন্ড কোং’ যা দর্শনায় অবস্থিত তার তৈরি ভদকা, হুইস্কি, জিন পাওয়া যায় । আমাদের সমাজতো রক্ষনশীল । তাই কান্দিরপাড় থেকে একটা স্প্রাইট কিনে অর্ধেক খেতে খেতে চক বাজার যেতাম । নাদেরে যখন পৌঁছতাম তখন স্প্রাইটের বোতল অর্ধেক খালি হয়ে যেতো । আমি বাবুল ভাইকে স্প্...

অশ্লীল নাম

বাংলাদেশের কিছু প্রতিষ্ঠান ও স্থানের বিচিত্র বা বিকৃত অর্থের নাম যা পরিবর্তন করা উচিতঃ ১. বোদা মহিলা মহাবিদ্যালয়, বোদা, পঞ্চগড় ২. চুমাচুমি সরকারি প্রাথমিক বিদ্যালয়, রাঙ্গামাটি ৩. সোনাপোতা সরকারি প্রাথমিক বিদ্যালয়, খুলনা ৪. মানুষমারা সরকারি প্রাথমিক বিদ্যালয়, নীলফামারি ৫. সোনাকাটা ইউনিয়ন, তালতলী, বরগুনা ৬.বড়বাল ইউনিয়ন, মিঠাপুকুর, রংপুর ৭.সোনাখাড়া ইউনিয়ন, রায়গঞ্জ, সিরাজগঞ্জ ৮. ধনকামড়া গ্রাম, ভোদামারা, দিনাজপুর ৯.গোয়াকাটা, দোহার, ঢাকা ১০. গোয়াতলা, ময়মনসিংহ ১১.লেংটার হাট, মতলব, চাঁদপুর