সরাসরি প্রধান সামগ্রীতে চলে যান

সুমি

সুমি




২০১৩ সালে। সিলেটের চা বাগানে। ছবিটি তুলেছিলো আমার জুনিয়র বন্ধু সুমি। মেয়েটি আমাকে খুব ভালোবাসতো। পত্রিকায় আমার লেখা পড়েই ফোন করেছিলো। যায়যায়দিন, মৌচাকে ঢিল ম্যাগাজিনে লেখার শেষে লেখকের ফোন নাম্বার ও কোথা থেকে লিখেছেন তা উল্লেখ করা হতো।
কথায় কথায় আন্তরিকতা গড়ে উঠে। তখন আমি রেইস কোর্স থাকতাম। রেইস কোর্সে আমার বন্ধুরাও এই ঘটনা জানতো। আমার মন খারাপ জেনে আমাকে সিলেট নিয়ে গিয়েছিলো সুমি। নেয়া বলতে আমাকে অনুরোধ করেছিলো যেন সিলেট যাই। আমি সেই অনুরোধে সাড়া দিয়ে গিয়েছিলাম। তার আগে সে আমাকে তাদের বাসায় যেতে অনুরোধ করেছিলো। আমি তার ফ্যামিলি সম্পর্কে জানতে চাইলে বলেছিলো, তার বাবা-মা, বড় ভাই-ভাবী, দুই ছোট বোন, এক ছোট ভাই নিউ ইয়র্ক থাকেন। দেশে সে, তার বড় বোন, আর এক ছোট ভাই আছে। তারাও ইমিগ্রেশন ফরমালিটিস শেষ হলে আমেরিকায় চলে যাবে।

২০১২ সালের মাঝামাঝি একদিন সুমি ফোন করে তার বড় আপাকে দিলো। আপা আমাকে তাদের বাসায় যাওয়ার আমন্ত্রণ জানালেন। ছাত্রজীবনে একবার সিলেট গিয়েছিলাম কুমিল্লা জেলা পুলিশের ফুটবল টিমের সঙ্গে। এক রাত ছিলাম। খেলা শেষে আবার চলে আসি। একজন পুলিশ অফিসারের সঙ্গে আমার সখ্য ছিলো। আমি তখন ইন্টারমিডিয়েট ফার্স্ট ইয়ারে পড়তাম। এরপর আর সিলেট যাইনি।
তো সুমি ও তার বড় বোনের অনুরোধে ২০১২ সালের জুলাই মাসে সিলেট গেলাম। ট্রেন জার্নি আমি সব সময়ই ইনজয় করি। তবে তা হতে হবে প্রথম শ্রেণিতে। কুমিল্লা থেকে ট্রেনে সিলেট গেলাম। সন্ধ্যা নেমে গেছে তখন। ফোনে পরিচিত। তাও একটি মেয়ের বাসায় বাসায় যাচ্ছি ! কি নাটকীয় আমার জীবন ! আমার অবশ্য ডর ভয় নেই পরাণে। ভুত পেত্নিও বিশ্বাস করি না। সিলেট স্টেশনে নেমে সুমিকে ফোন করলাম। অবশ্য ট্রেনে থাকতে ১০/১২ বার কথা হয়েছে। সুমি বাসার লোকেশন জানিয়ে দিয়েছিলো। সিলেট শহরের অভিজাত এলাকা হাউজিং স্টেটে তাদের বাসা। রেলওয়ে স্টেশন থেকে রিকশায় যাওয়া যায়।

সুরমা বৃজ পার হয়ে জিন্দাবাজার হয়ে হাউজিং পৌঁছলাম। তখন রাত ৮টা। সিলেটের কিচ্ছু চিনি না। ভাষাও জানি না। হাউজিংয়ের সবগুলো বাসাই অভিজাত। আমাকে বাসার যে নাম্বার সুমি দিয়েছিলো ওই নাম্বারের বাসার সামনে রিকশা যেতেই সুমি রাস্তায় দাঁড়িয়ে হাত নেড়ে রিকশাকে বললো, এই এখানে, এখানে। অভিজাত একটা ডুপ্লেক্স বাড়ি। এই প্রথম আমি সুমিকে দেখলাম ! লাল সবুজের কম্বিনেশন থ্রি পিস পরা, ফর্শা গায়ের রঙ, আকর্ষনণীয় ফিগার। লেখকের দৃষ্টিতে নারী দেহের সৌন্দর্যের আরো বর্ননা দেয়া গেলেও এখানে এর বেশি দেয়া সম্ভব নয়। ওই সময় তার বয়স ছিলো ২৪ বছর। টগবগে তরুণী। সুমি তখনো স্পিনস্টার ( Spinster)।
সুমির সঙ্গেই তাদের বাসায় ঢুকলাম। আমার সঙ্গে একটা ট্র‍্যাভেল ব্যাগে টুথপেস্ট, ব্রাশ, সেভিং কিটস, শ্যাম্পু, সাবান, টাওয়েল ও প্রয়োজনীয় কাপড়। আরেকটা ব্যাগে ল্যাপটপ। কুমিল্লার মাতৃ ভান্ডার থেকে কয়েক কেজি রসমালাই নিয়েছিলাম। জুলাই মাসের তীব্র গরম ছিলো। আমি গোসল করার কথা বলতেই সুমি নিজে আমাকে বাথরুমে নিয়ে সবকিছু দেখিয়ে দিলো। আমি গোসল সেরে ট্রাউজার আর গেঞ্জি পড়ে বসলাম লিভিং রুমে। এবার চা, বিস্কিট, মিষ্টি ট্রেতে নিয়ে সুমির বড় বোন এলেন। আমি উনাকে দেখে খুবই বিস্মিত হলাম ! এতো সুন্দরী নারী আমি জীবনে খুব কম দেখেছি । খুবই ফর্শা। হাতগুলোতে উনার নীলাভ রগ দেখা যায়!!! এতোই ফর্শা। শুধু ফর্শা নয়, ডাকসাইটে সুন্দরী । দু'বাচ্চার মা হলেও বোঝাই যায়নি তিনি বিবাহিতা। আমি দাঁড়িয়ে স্ট্যান্ডিং ওভেশন দিলাম। এরপর এলেন সুমির খালা আর খালাতো বোন রেবি। তারা হবিগঞ্জ থেকে বেড়াতে এসেছেন। পরিচিত হলাম। কথা বললাম। সুমির ছোট ভাই শহিদ এলো সব শেষে। আমিতো হরবর করে সব কথাই বলে ফেলি। নিজের সম্পর্কেও তাই বললাম।
তিন দিন সুমিদের বাসায় ছিলাম। একেবারেই আপনজনের মতো। আমি ঘুম থেকে জেগেই মুখ না ধোয়ে চা খাই। এখনো। একথা শোনে সুমি বলেছিলো, আচ্ছা, ঠিক আছে। সকাল ৭/৮ টায় চায়ের কাপ হাতে নিয়ে এসে সুমি আমাকে ঘুম থেকে ডেকে তুলতো। আমি উঠলেই মুচকি হাসি দিয়ে চায়ের কাপ আমার হাতে দিয়ে বলতো,খবিশ। একদিন সুমির দুই বোন নিউ ইয়র্ক থেকে ফোন করলে সুমি আমার সঙ্গেও কথা বলিয়ে দেয় তার দু'বোনকে। তিন দিন পর চলে আসি। সুমি নিয়মিত ফোন করে আমার খোঁজ নিতো।
ওই সময় মানে ২০১২ সালে আমার খুব মন খারাপ ছিলো দাম্পত্য কলহের কারনে। একদিন সুমি অনুরোধ করে আমাকে বলে, 'করিম ভাই, আপনি সিলেট চলে আসেন। আমি কাছে থেকে আপনার মন ভালো করে দেবো।' আমিও বোকার মতো রাজি হয়ে যাই। একা মানুষ। তাছাড়া কেউ আদর করে ডাকলে আমি উপেক্ষা করতে পারি না। যেতেও কোনো বাধা নেই। সবচেয়ে বড় কথা, আমার মনে কোনো অপরাধবোধ নেই।
কাপড় চোপড়, বই পুস্তক নিয়ে চলে গেলাম সিলেট ২০১২ সালের ডিসেম্বরে। উঠলাম দরগা গেইটের পাশে এক হোটেলে। সুন্দরবন কুরিয়ার সার্ভিসে বইগুলো পার্সেল করেছিলাম। ১৪ কার্টুন বই। আমাকে নিয়ে দুইদিন ঘুরে সুমি খাদিম পাড়া একটা বাসা ভাড়া করলো।
আমাকে তিন মাস সিলেটে রেখে দিয়েছিলো সুমি ! কি আশ্চার্য !
খাদিম পাড়া শাহ পরাণ মাজারের কাছাকাছি। এর পাশেই খাদিম নগর। বেশ নিরিবিলি জায়গা। মানুষ জন কম। সুমিই জীবনে প্রথম আমাকে জাফলং নিয়ে যায় ! জাফলং গিয়ে দেখলাম কিভাবে মাটির নিচ থেকে পাথর উঠানো হয়। এটিও এক আশ্চর্য । আমি নাম দিয়েছিলাম পাথরের খনি। জাফলং নদীর পানি বেশ স্বচ্ছ। নদী থেকেও প্রচুর পাথর উত্তোলন করা হয়।
জাফলং থেকেই ইন্ডিয়ার মেঘালয়ের পাহার দেখা যায়। জাফলংয়ের সব ছবিই হারিয়ে গেছে ল্যাপটপ চুরি হওয়ায়। প্রতিদিন সুমি আমার কাছে ওই বাসায় যেতো। তিন, চার ঘন্টা থাকতো। ওই বাসার পাশেই আরেকটা সিলেটি বাসায় আমাকে তার আত্মীয় পরিচয় দিয়ে তিন বেলা খাওয়ার ব্যবস্থা করে দিয়েছিলো অন পেমেন্টে।
আমার জীবনের অনেক কথাই গল্পের চেয়েও বিস্ময়কর ! Truth is stranger than fiction. সত্য গল্পের চেয়েও বিস্ময়কর। এই কথাটি কে লিখেছিলেন জানি না। একথা মনে হয় আমার মতো আরো অনেক মানুষের জন্যই লিখেছিলেন।
কতো জায়গায় ওকে নিয়ে ঘুরেছি ! একদিন সুমি আমাকে বলেছিলো " করিম ভাই, আপনাকে বিয়ে করতে আমার ইচ্ছা করে ।" আমি ধমক দিয়ে বলেছিলাম, তোমার বয়স কম। এসব আবেগী কথা। শাওন টাইপ কথা বলবা না। আমি হুমায়ুন আহমেদ না। আমি তোমার অনেক বড় বয়সে। দ্বিতীয়বার একথা বললে আমি চলে যাবো।
এতো ঘনিষ্ঠতার কথা শোনে অনেকের মনেই অনেক প্রশ্ন জাগতে পারে।
জিন্দাবাজার 'রাজা ম্যানশন' এর পাশে "পানসি" রেস্তোরায় ওকে নিয়ে প্রায়ই খেতাম। বিল সুমিই দিতো। পানসি খুব নামকরা রেস্তোরা সিলেটে। খাবারের মানও খুব ভালো। প্রায় ৫০ রকমের ভর্তা হয় প্রতিদিন। পানসি রেস্তোরাঁ ঘেঁষে হাসন রাজার বাড়ি যা এখন "রাজা মিউজিয়াম "। সেখানেও বেশ কয়েকদিন গিয়েছিলাম। হাসন রাজার চেয়ার, আসবাব, হাতের লেখাসহ অনেক কিছু আছে এই মিউজিয়ামে। সিলেটের প্রাকৃতিক সৌন্দর্য বলাই বাহুল্য। সিলেটের মানুষজন অতিথিপরায়ণ বলে আমার মনে হয়েছে। ধার্মিকতো বটেই। তবে বাংলা ভাষাটা নোয়াখালী গিয়ে আহত হয়েছে, সিলেট গিয়ে নিহত হয়েছে আর চট্টগ্রাম গিয়ে লাশটাই গায়েব হয়ে গেছে। সিলেটি ভাষা জাপানি ভাষার চেয়েও কঠিন।
আমরা প্রায়ই যেতাম বলে পানসির ম্যানেজার, বয় সকলেই আমাদের মুখ চিনতো। আমি বরাবরই স্মার্ট আর ওয়েল ড্রেসড থাকতে পছন্দ করি। সাত বছর আগের কথা। একদিন সুমি আগে চলে গিয়েছিলো রেস্টুরেন্টে। পানসির ম্যানেজার নাকি ওকে বলেছিলো, "আপা, দুলাভাই অনেক সুন্দর আর স্মার্ট "। খেতে খেতে সুমি এই কথা বলে হেসে কুটি কুটি যাচ্ছিলো !
একদিন সুমি আমাকে গৌর গোবিন্দ টিলায় নিয়ে গিয়েছিলো। খুব সুন্দর জায়গা। ও আমাকে কিছু সিলেটি ভাষাও শিখিয়েছিলো। এমসি কলেজ, ওসমানী মেডিক্যাল কলেজ, বন্দর, রাগিব-রাবেয়া ফাউন্ডেশন, শাহ পরান মাজার, হযরত শাহজালাল মাজারের পেছনে অনেক সাহাবির কবর সুমি আমাকে ঘুরে ঘুরে দেখিয়েছিলো। জিন্দাবাজার, মিরবক্সটোলাসহ সিলেট শহরের কতো কিছু সুমি আমাকে চিনিয়েছিলো!
ও আমাকে তীব্রভাবে ভালোবাসতো। আমি চাইলেই ওর সঙ্গে যে কোনো ধরনের সম্পর্ক করতে পারতাম। কিন্তু আমি ভালোবাসাকে নিষ্কলুষ রাখতে সব সময় বদ্ধপরিকর।
আমাকে অনেক গিফট দিয়েছিলো সুমি। ওকে নিয়ে দরগা গেইটের ( এই নামটিও তখন শিখেছিলাম- হযরত শাহজালাল মাজারের প্রধান গেইটকে দরগা গেইট বলে)। এখানে অনেক হোটেল ও রেস্তোরাঁ। দুই পাশের রেস্তোরাঁগুলোতে বেশি সময় কাটাতাম। শাহ জালাল মাজারের মসজিদে অনেক নামাজ পড়েছি। আমার নামাজ পড়া মসজিদের মধ্যে বেস্ট মসজিদ। মখমলের কার্পেট, সেজদায় গিয়ে মাথা ঠেকালে ভীষণ আরাম লাগে। ফ্লোর খুব মোলায়েম নরম কার্পেটের কারনে। দামি দামি এসি লাগানো। সিলেট ধনী জেলা। আমি নামাজ পড়ে সবচেয়ে বেশি আরাম পেয়েছিলাম ওই মসজিদে।
আজ অনেকদিন হয়, তিন বছর সুমি ফোন করে না। গত বছর সুমির ছোট ভাই ফোনে জানালো, সুমির বিয়ে হয়েছে। তিন দিন পর সুমি ফোন করে কেঁদে কেঁদে বললো, আমাকে তুমি ভুল বুঝো না। এই প্রথম সুমি আমাকে 'তুমি' বললো। আমি হাসতে হাসতে তাকে অভিনন্দন জানালাম।
( আমার গল্প পড়ে অনেকেই অবাক হতে পারেন । এতে অবাক হওয়ার কিছু নেই। ফেসবুকের লেখা পড়েও কতোজন আমাকে নিঃস্বার্থ ভালোবেসেছিলেন ! আমি ফেসবুকে তাদের ছবিসহ লিখে তা জানিয়েছিলাম বন্ধুদের। এইতো তিন বছর আগেও কাবেরী মির্জা নামের নোয়াখালীর এক বন্ধু তার স্বামী মির্জা মামুনসহ আমার বাসায় এসে আমাকে খাবারসহ অনেক গিফট দিয়ে গিয়েছিলেন কয়েকদিন। কাবেরীও আমাকে অনেক ভালোবাসতো। দুই বছর মধুর সম্পর্ক ছিলো। পরে হয়তো কোনো পারিবারিক কারনে দূরে সরে গেছে। তবু তাদের সকলের এই ভালোবাসা আমি আজীবন কৃতজ্ঞতার সঙ্গেই স্মরন রাখবো। এই পোষ্টে কাবেরীর কমেন্টও ছিলো!)
বিঃদ্রঃ এই লেখাটি ২০১৭ সালে লিখেছিলাম আমার হ্যাকড হওয়া একাউন্টে। কিছু জায়গা এডিট করেছি। উল্লেখ্য, আমার এই কাহিনী যায়যায়দিনের গবেষণা সহকারি ও মৌচাকে ঢিল ম্যাগাজিনের সহকারি সম্পাদক মি. Sajib Onasis ও সম্পাদক মি. শফিক রেহমানও জানতেন। তাদের সঙ্গে আমি সবকিছু শেয়ার করতাম।
©Karim Chowdhury
18 August, 2020
Cumilla.

মন্তব্যসমূহ

এই ব্লগটি থেকে জনপ্রিয় পোস্টগুলি

আমার দেখা ১৯৭৪ সালের দুর্ভিক্ষ

আমার দেখা ১৯৭৪ সালের দুর্ভিক্ষ সরকারঃ শেখ মুজিবের শাসনামল ১৯৭৪-এর দুর্ভিক্ষ বাংলাদেশে ১৯৭৪ সালের মার্চে শুরু হয়ে সেই বছরেরই ডিসেম্বরের দিকে গিয়ে শেষ হয়। এই দুর্ভিক্ষে অসংখ্য মানুষ অনাহারে মারা গিয়েছিল। এই দুর্ভিক্ষকে স্মরণকালের মধ্যে সবচেয়ে ভয়ানক হিসেবে গন্য করা হয়। ওই সময় আমি বুঝতাম। ক্লাশ ফোরে পড়তাম। আহারে ! কি যে অভাব ! অনেকের মতো আমরাও ভাত না খেয়ে রুটি খেয়েছি । তাও পরিমিত । কখনো জাউ খেয়েছি । শুকনো মরিচ পাওয়া যেতো না । কাঁচা মরিচের কেজি ছিলো ১৫০ টাকা । লবন ১২০ টাকা । আর সোনার ভরি ছিলো তখন ১৫০ টাকা । সোনা শুধু ওই সময় কম দাম ছিলো । চারদিকে অভাব । সারাদেশের মানুষের হাহাকার । কতো মানুষ না খেয়ে মারা গেছেন ! বিদেশি রিলিফ সব আওয়ামী লীগের লোকেরা চুরি করেছে । আর বেশিরভাগ রিলিফ সীমান্ত দিয়ে ভারতে চলে পাচার হয়েছিলো । তখন বর্ডার খোলা ছিলো তখন । মহিলাদের শাড়ি কাপড় ছিলো না । অনেকে মাছ ধরার জাল পরে লজ্জাস্থান ঢেকেছিলো । এসব ছবি পত্রিকায়ও ছাপা হয়েছিলো । কিন্তু আওয়ামী লীগ নেতাদের কোনো অভাব ছিলো না । বাংলাদেশের স্বাধীনতা যুদ্ধ শেষ হওয়ার মাত্র দুই বছর তিন মাসের মাথায় ...

বোতল

বোতল মানব জীবনে বোতল অপরিহার্য । বোতল অনেক অর্থেও ব্যবহার হয় । কোনো কোনো এলাকায় আনস্মার্ট, বেয়াক্কেল প্রকৃতির লোককেও বোতল বলা হয় । ইউরোপ আমেরিকায় থাকতে আমি ডৃংক করতাম । হার্ড ডৃংক কমই খেতাম । প্রতিদিনই বিয়ার খেতাম । বিয়ার স্বাস্থ্য ভালো রাখে ও কাজ করতে এনার্জি জোগায় । পরিমিত বিয়ার খেলে কেউ মাতাল হয় না । মাঝে মাঝে বিশেষ কোনো পার্টিতে হুইস্কি খাওয়া হতো । তাও দামি ব্র্যান্ডের । জনি ওয়াকার ব্ল্যাক লেবেল, টিচার্স, পাসপোর্ট, হেনেসি, শিভাস রিগাল, জ্যাক ড্যানিয়েলস । সাকুরায়ও অনেক সময় এসব ব্র্যান্ডের হুইস্কি পাওয়া যায় না । তো দেশে আসার পরও কিছু দিন ডৃংক করেছিলাম । কুমিল্লায় সরকার অনুমোদিত একটা মদের দোকান আছে চক বাজারে । নামঃ নাদের ট্রেডিং কোং । এটা প্রায় আজ ৫০ বছর । এখানে বিদেশি ব্র্যান্ডের ডৃংক পাওয়া যায় না । দেশিয় কোম্পানি ‘কেরো এন্ড কোং’ যা দর্শনায় অবস্থিত তার তৈরি ভদকা, হুইস্কি, জিন পাওয়া যায় । আমাদের সমাজতো রক্ষনশীল । তাই কান্দিরপাড় থেকে একটা স্প্রাইট কিনে অর্ধেক খেতে খেতে চক বাজার যেতাম । নাদেরে যখন পৌঁছতাম তখন স্প্রাইটের বোতল অর্ধেক খালি হয়ে যেতো । আমি বাবুল ভাইকে স্প্...

অশ্লীল নাম

বাংলাদেশের কিছু প্রতিষ্ঠান ও স্থানের বিচিত্র বা বিকৃত অর্থের নাম যা পরিবর্তন করা উচিতঃ ১. বোদা মহিলা মহাবিদ্যালয়, বোদা, পঞ্চগড় ২. চুমাচুমি সরকারি প্রাথমিক বিদ্যালয়, রাঙ্গামাটি ৩. সোনাপোতা সরকারি প্রাথমিক বিদ্যালয়, খুলনা ৪. মানুষমারা সরকারি প্রাথমিক বিদ্যালয়, নীলফামারি ৫. সোনাকাটা ইউনিয়ন, তালতলী, বরগুনা ৬.বড়বাল ইউনিয়ন, মিঠাপুকুর, রংপুর ৭.সোনাখাড়া ইউনিয়ন, রায়গঞ্জ, সিরাজগঞ্জ ৮. ধনকামড়া গ্রাম, ভোদামারা, দিনাজপুর ৯.গোয়াকাটা, দোহার, ঢাকা ১০. গোয়াতলা, ময়মনসিংহ ১১.লেংটার হাট, মতলব, চাঁদপুর