গায়েবী দেশ!!!
গায়েব শব্দের অর্থ- গুপ্ত,
অদৃশ্য, অন্তর্হিত, লুক্কায়িত। গায়েব কথাটি আমাদের দেশে বিভিন্ন অর্থে
ব্যবহার হয়। ধর্মীয়ভাবে ইলমে গায়েব, আলিমুল ( আলেমুল) গায়েব বহুল ব্যবহৃত ও
শ্রুত। ছোটবেলা গভীর রাতে হঠাৎ কোনো অপ্রত্যাশিত আওয়াজ হলে
বাবা,মা,ভাই,বোনেরা হারিকেন নিয়ে বের হয়ে আশেপাশে দেখতেন। কিছু না পেলে
বলতেন 'গায়েবী আওয়াজ '।
গায়েবের পরবর্তী শব্দই গায়েবী। গায়েব থেকেই গায়েবানা এসেছে। আমাদের দেশে গায়েবানা জানাজা হয়। মৃতদেহ যখন সামনে থাকে না অর্থাৎ অদৃশ্য থাকে।
ধর্মীয় অর্থে গায়েব হলো ঐ বিষয় যা বান্দা থেকে গোপন রয়েছে। আল্লাহকেও আমরা আলিমুল গায়েব বলি।
যেহেতু অদৃশ্য কোনো কিছুকে গায়েব বলা হয়,তাই এখন দেশ থেকে গনতন্ত্র গায়েব।
বাড়ী থেকে মানুষ গায়েব। রাস্তা থেকে মেয়েরা গায়েব। ব্যাংক থেকে টাকা
গায়েব। লকার থেকে সোনা গায়েব। খনি থেকে কয়লা গায়েব। আরো কতো কিছু যে এই দেশ
থেকে গায়েব! মূল্যবোধ গায়েব। সততা গায়েব। নীতি নৈতিকতা গায়েব। ভালোবাসা/
মমত্ববোধ গায়েব। তাই এটা গায়েবী দেশ!
Karim Chowdhury
24 August, 2020
Cumilla.
আমার দেখা ১৯৭৪ সালের দুর্ভিক্ষ সরকারঃ শেখ মুজিবের শাসনামল ১৯৭৪-এর দুর্ভিক্ষ বাংলাদেশে ১৯৭৪ সালের মার্চে শুরু হয়ে সেই বছরেরই ডিসেম্বরের দিকে গিয়ে শেষ হয়। এই দুর্ভিক্ষে অসংখ্য মানুষ অনাহারে মারা গিয়েছিল। এই দুর্ভিক্ষকে স্মরণকালের মধ্যে সবচেয়ে ভয়ানক হিসেবে গন্য করা হয়। ওই সময় আমি বুঝতাম। ক্লাশ ফোরে পড়তাম। আহারে ! কি যে অভাব ! অনেকের মতো আমরাও ভাত না খেয়ে রুটি খেয়েছি । তাও পরিমিত । কখনো জাউ খেয়েছি । শুকনো মরিচ পাওয়া যেতো না । কাঁচা মরিচের কেজি ছিলো ১৫০ টাকা । লবন ১২০ টাকা । আর সোনার ভরি ছিলো তখন ১৫০ টাকা । সোনা শুধু ওই সময় কম দাম ছিলো । চারদিকে অভাব । সারাদেশের মানুষের হাহাকার । কতো মানুষ না খেয়ে মারা গেছেন ! বিদেশি রিলিফ সব আওয়ামী লীগের লোকেরা চুরি করেছে । আর বেশিরভাগ রিলিফ সীমান্ত দিয়ে ভারতে চলে পাচার হয়েছিলো । তখন বর্ডার খোলা ছিলো তখন । মহিলাদের শাড়ি কাপড় ছিলো না । অনেকে মাছ ধরার জাল পরে লজ্জাস্থান ঢেকেছিলো । এসব ছবি পত্রিকায়ও ছাপা হয়েছিলো । কিন্তু আওয়ামী লীগ নেতাদের কোনো অভাব ছিলো না । বাংলাদেশের স্বাধীনতা যুদ্ধ শেষ হওয়ার মাত্র দুই বছর তিন মাসের মাথায় ...
মন্তব্যসমূহ
একটি মন্তব্য পোস্ট করুন