সরাসরি প্রধান সামগ্রীতে চলে যান

ন্যাটো জোট- ওয়ারশ প্যাক্ট এবং রাশিয়া-ইউক্রেন যুদ্ধ

 ন্যাটো জোট- ওয়ারশ প্যাক্ট এবং রাশিয়া-ইউক্রেন যুদ্ধ।

************************************************


দ্বিতীয় বিশ্বযুদ্ধের পর ১৯৪৯ সালে আমেরিকার নেতৃত্বে ১২টি দেশ নিয়ে ন্যাটো জোট গঠিত হয়েছিলো সাবেক সোভিয়েত ইউনিয়নের সামরিক শক্তিকে মোকাবেলা করার জন্য। বর্তমানে ন্যাটো জোটের সদস্য দেশ মোট ৩০টি। 


আটলান্টিকের দুই পাড়ে অবস্থিত উত্তর আমেরিকার মার্কিন যুক্তরাষ্ট্র ও কানাডা এবং ইউরোপের অধিকাংশ দেশ এই জোটের সদস্য। এছাড়া তুরস্কও এই জোটের সদস্য। ন্যাটোর বর্তমান সদর দপ্তর যদিও বেলজিয়ামের ব্রাসেলসে, পূর্বে এর সদর দপ্তর ছিলো ফ্রান্সের প্যারিসে। সদস্য রাষ্ট্রগুলোর মধ্যে তুরস্ক ও আলবেনিয়াই কেবল মুসলিম দেশ। জেসন স্টলবার্গ বর্তমানে ন্যাটো মহাসচিব হিসেবে দায়িত্ব পালন করছেন।


ন্যাটোর ৩০ সদস্য দেশগুলো হলো— আলবেনিয়া, বেলজিয়াম, বুলগেরিয়া, কানাডা, ক্রোয়েশিয়া, চেক প্রজাতন্ত্র, ডেনমার্ক, এস্তোনিয়া, ফ্রান্স, জার্মানি, গ্রিস, হাঙ্গেরি, আইসল্যান্ড, ইতালি, লাটভিয়া, লিথুয়ানিয়া, লুক্সেমবার্গ, মন্টিনেগ্রো, নেদারল্যান্ডস, উত্তর মেসিডোনিয়া, নরওয়ে, পোল্যান্ড, পর্তুগাল, রোমানিয়া, স্লোভাকিয়া, স্লোভেনিয়া, স্পেন, তুরস্ক, যুক্তরাজ্য এবং মার্কিন যুক্তরাষ্ট্র।


ন্যাটো একটি সম্মিলিত প্রতিরক্ষা গোষ্ঠী। ন্যাটোর সম্মিলিত সামরিক বাহিনীর খরচ পৃথিবীর সকল দেশের সামরিক খরচের প্রায় ৭০ ভাগ।


The North Atlantic Treaty Organization, also called the North Atlantic Alliance, is an intergovernmental military alliance among 28 European countries and 2 North American countries. Established in the aftermath of World War II, the organization implements the North Atlantic Treaty, signed 4 April 1949. 

Founded: April 4, 1949, Washington, D.C., United States

Headquarters: Brussels, Belgium. 


ন্যাটোকে মোকাবেলা করার জন্য ছয় বছর পর সাবেক সোভিয়েত ইউনিয়নও তার বন্ধু দেশগুলো নিয়ে একটা প্যাক্ট করেন যার নাম ছিলো 'ওয়ারশ প্যাক্ট'। পোল্যান্ডের রাজধানী ওয়ারশতে( Warsaw) এই চুক্তি স্বাক্ষর হয়েছিলো বলে এর নাম 'ওয়ারশ প্যাক্ট'। 


ওয়ারশ প্যাক্ট স্নায়ুযুদ্ধ চলাকালীন কেন্দ্রীয় ও পূর্ব ইউরোপের আটটি সমাজতান্ত্রিক রাষ্ট্র নিয়ে গঠিত সম্মিলিত প্রতিরক্ষা চুক্তি। এটি ছিলো কাউন্সিল ফর মিউচুয়াল ইকোনোমিক অ্যাসিসটেন্স বা (কমিকন) এর সঙ্গে সামরিক দিক দিয়ে সম্পূরক। কমিকন ছিলো তৎকালীন কেন্দ্রীয় ও পূর্ব ইউরোপের সমাজতান্ত্রিক রাষ্ট্রের আঞ্চলিক অর্থনৈতিক প্রতিষ্ঠান।


ওয়ারশ প্যাক্টের সদস্য দেশ ছিলো আটটি।

১. বুলগেরিয়া 

২. চেকোস্লোভাকিয়া 

৩. পূর্ব জার্মানি 

৪. হাঙ্গেরি 

৫. পোল্যান্ড 

৬. রোমানিয়া 

৭. সোভিয়েত ইউনিয়ন 

৮. আলবেনিয়া। 


ওয়ারশ চুক্তিটি ১৯৫৫ সালে লন্ডন এবং ১৯৫৪ সালের প্যারিস সম্মেলন অনুসারে পশ্চিম জার্মানির ন্যাটোতে একীভূত হওয়ার প্রতিক্রিয়া হিসাবে তৈরি হয়েছিলো। ওয়ারশ চুক্তিটি ন্যাটোর ক্ষমতার ভারসাম্য হিসেবেও প্রতিষ্ঠিত হয়েছিলো। পরিবর্তে ন্যাটো এবং ওয়ারশ এর মধ্যে সরাসরি কোনো সামরিক দ্বন্দ্ব হয়নি, কিন্তু একে অপরের বিরুদ্ধে প্রক্সি যুদ্ধে লিপ্ত ছিলো। ন্যাটো এবং ওয়ারশ চুক্তি উভয়ই সামরিক বাহিনীর সম্প্রসারণ এবং সংশ্লিষ্ট ব্লকে তাদের একীকরণের দিকে পরিচালিত করেছিলো।


The Warsaw Treaty Organization, officially the Treaty of Friendship, Cooperation and Mutual Assistance, commonly known as the Warsaw Pact, was a collective defense treaty signed in Warsaw, Poland, ... 

Founded: May 14, 1955, Warsaw, Poland

Dissolved: 1 July 1991

Headquarters: Moscow


১৯৯১ সালে সোভিয়েত ইউনিয়ন ভেঙে যে ১৪টি রাষ্ট্র গঠিত হয়, ১৯১৭ সালের রুশ বিপ্লবের পূর্বে সেগুলো তদানীন্তন রুশ সাম্রাজ্যের অন্তর্ভুক্ত ছিলো। সোভিয়েত ইউনিয়ন ভেঙে যাওয়ায় অ্যাটোমেটিক ওয়ারশ প্যাক্ট বিলুপ্ত হয়ে যায়। আমেরিকা তখন বলেছিলো, তারা আর ন্যাটোকে সম্প্রসারিত করবে না। আমেরিকার মতলব ভালো হলে তখনি ন্যাটো জোট বিলুপ্ত করে দিতো। যেহেতু সোভিয়েত ইউনিয়নের মতো পরাশক্তি আর নেই। ওয়ারশ প্যাক্টও নেই। কিন্তু আমেরিকা তার কথা রাখেনি। পূর্ব ইউরোপের সমাজতান্ত্রিক দেশগুলোতে সমাজতান্ত্রিক শাসনেরও অবসান ঘটে। যে সব দেশ সোভিয়েত ইউনিয়নের বন্ধু ছিলো। 


আমেরিকা ন্যাটো সম্প্রসারণ করতে করতে ১২ সদস্য থেকে ৩০ সদস্যে পরিণত করে। যে পোল্যান্ড ওয়ারশ প্যাক্ট এর সদস্য ছিলো সেই পোল্যান্ড এখন ন্যাটো সদস্য! পোল্যান্ডের সঙ্গে রাশিয়ার দীর্ঘ স্থল সীমান্ত আছে। যে চেকোস্লোভাকিয়া ওয়ারশ প্যাক্ট এর সদস্য ছিলো সেই চেক রিপাবলিক এখন ন্যাটো সদস্য! চেক রিপাবলিকের সঙ্গেও রাশিয়ার দীর্ঘ স্থল সীমান্ত রয়েছে। (১৯৯৩ সালে চেকোস্লোভাকিয়া ভেঙে দুটো দেশ হয়। চেক রিপাবলিক ও স্লোভাকিয়া।) এখন  স্লোভাকিয়াও ন্যাটো জোটের সদস্য। 


এখন আমেরিকার লক্ষ্য ইউক্রেনকে ন্যাটো জোটের সদস্য করা। ইউক্রেনও চাচ্ছে ইইউ ও ন্যাটোতে যোগ দিতে। ইউক্রেন ইউরোপের সবচেয়ে বড় দেশ আয়তনের দিক থেকে। ভেঙে যাওয়ার পরও রাশিয়া পৃথিবীর সবচেয়ে বড় দেশ এটা সবাই জানে। ইউক্রেনের সঙ্গে রাশিয়ার ২৩০০ কিলোমিটার স্থল সীমান্ত আছে। রাশিয়াকে চারদিক দিয়ে ন্যাটো ঘিরে ফেলেছে। ন্যাটোর এই আগ্রাসী লক্ষ্যের প্রতিবাদ রাশিয়া বার বার করেছে। কিন্তু আমেরিকা রাশিয়ার কথায় কর্ণপাত করেনি। ন্যাটো মানে আমেরিকাই। যে দেশই ন্যাটোর সদস্য সে দেশেই ন্যাটোর সামরিক ঘাটি থাকে। এই সামরিক ঘাটিতে সেনা, নৌ, বিমান বাহিনীর সব অস্ত্রও থাকে। নিউক্লিয়ার ওভারহেড বহনকারী মিসাইল তো থাকেই। রাশিয়ার নাকের ডগায় এসে তুমি মিসাইল তাক করে রাখবে আর মস্কো চুপচাপ বসে থাকবে? এখনো আমেরিকাকে সামরিকভাবে চ্যালেঞ্জ করতে পারে একমাত্র রাশিয়া। ভেঙে যাওয়ার পরও সব পারমাণবিক বোমা ও অন্যান্য গুরুত্বপূর্ণ সামরিক অস্ত্র রাশিয়ার কাছেই আছে।  


আমি এখন TRT World টিভি দেখছি আর লিখছি। কেউ পুতিনকে যুদ্ধাপরাধী বলতে চাইছে ইউক্রেনে সিভিলিয়ান ক্যাজুয়ালটির জন্য। একশোর মতো শিশু মারা গেছে তা নিয়ে অনেক মায়াকান্না। সিএনএন,  বিবিসি তো এমন নিউজ লাফিয়ে লাফিয়ে দিচ্ছে। 

সম্পূর্ণ বিনা দোষে হাজার হাজার মাইল দূর থেকে উড়ে  এসে আমেরিকা ইরাক আক্রমণ করে মাত্র বাইশ দিনেই সাদ্দাম হোসেনের পতন ঘটায়। ইরাকে আমেরিকা পনেরো লাখ বেসামরিক নাগরিক হত্যা করেছে। সেখানে কতো লাখ শিশু ছিলো কে জানে? তখন যুদ্ধাপরাধ হয় না? তখন মানবতা লঙ্ঘিত হয়নি? আমি মুসলমান হিসেবে ইরাকের পক্ষে বলছি না। মানুষ হিসেবে বলছি। ইরাক যুদ্ধের সময় আমি আমেরিকা ছিলাম আর সোভিয়েত ইউনিয়ন ভেঙে যাওয়া, পূর্ব ইউরোপের দেশগুলোতে সমাজতন্ত্রের পতন, বার্লিন ওয়াল ভেঙে দুই জার্মানির একত্র হওয়ার সময় আমি ইউরোপে ছিলাম। কাছে থেকে অনেক কিছু দেখার, জানার সুযোগ ছিলো। 


আমেরিকায় নয় বছর থেকে এটুকু বলতে পারি, অভ্যন্তরীণ আমেরিকা খুব ভালো। মানুষ যে স্বপ্নের দেশ বলে আমেরিকা আসলে তাই। তাদের দেশের আইনের শাসন, মানবাধিকার, মৌলিক অধিকার, উন্নত জীবন যাপন,  বাক ও ব্যক্তি স্বাধীনতা অসাধারণ। কিন্তু আমেরিকার সাম্রাজ্যবাদী ফরেন পলিসি আমি ছাত্রজীবন থেকেই ঘৃণা করে আসছি, আজো করি।


রাশিয়া-ইউক্রেন যুদ্ধ দীর্ঘায়িত হলে তৃতীয় বিশ্ব যুদ্ধ শুরু হতে পারে বলে কয়েকজন বিশিষ্ট আমেরিকান ডিপ্লোমেট আশংকা প্রকাশ করেছেন। 


আমি এই যুদ্ধের জন্য আমেরিকা দায়ী বলে মনে করি। সোভিয়েত ইউনিয়ন থাকলে আমেরিকা এভাবে ইরাক আক্রমণ করতে পারতো না বলে আমার ধারণা। ইরাক, সিরিয়া, লিবিয়া সোভিয়েত ইউনিয়নের ঘনিষ্ঠ বন্ধু ছিলো। সোভিয়েত ইউনিয়ন ভেঙে যাওয়ায় পৃথিবীর সামরিক ভারসাম্য নষ্ট হয়ে গেছে। আমেরিকা একক শক্তি হিসেবে আত্নপ্রকাশ করেছে। 


পুতিনকে ভিলেইন, এক নায়ক যাই বলুন না কেনো রাষ্ট্র  নেতা হিসেবে মি.পুতিনের ইউক্রেন আক্রমণ সঠিক সিদ্ধান্ত বলে আমি মনে করি। ইউক্রেনে ন্যাটোকে রুখে দিতে পুতিনকে কঠোর সিদ্ধান্ত নিতে হয়েছে। এছাড়া তার আর কোনো অপশন নেই। তুমি আমার ঘরের কাছে এসে মিসাইল তাক করে রাখবা আর আমি বসে বসে আঙুল চুষবো? আমি পুতিন হলে তাই করতাম।


আরো অনেক কিছু লেখার ছিলো কিন্তু ফেইসবুকে মানুষ বড় লেখা পড়ে না। তাই সংক্ষেপে এটুকুই।

© Karim Chowdhury 

      March 17, 2022

      Cumilla.

মন্তব্যসমূহ

এই ব্লগটি থেকে জনপ্রিয় পোস্টগুলি

আমার দেখা ১৯৭৪ সালের দুর্ভিক্ষ

আমার দেখা ১৯৭৪ সালের দুর্ভিক্ষ সরকারঃ শেখ মুজিবের শাসনামল ১৯৭৪-এর দুর্ভিক্ষ বাংলাদেশে ১৯৭৪ সালের মার্চে শুরু হয়ে সেই বছরেরই ডিসেম্বরের দিকে গিয়ে শেষ হয়। এই দুর্ভিক্ষে অসংখ্য মানুষ অনাহারে মারা গিয়েছিল। এই দুর্ভিক্ষকে স্মরণকালের মধ্যে সবচেয়ে ভয়ানক হিসেবে গন্য করা হয়। ওই সময় আমি বুঝতাম। ক্লাশ ফোরে পড়তাম। আহারে ! কি যে অভাব ! অনেকের মতো আমরাও ভাত না খেয়ে রুটি খেয়েছি । তাও পরিমিত । কখনো জাউ খেয়েছি । শুকনো মরিচ পাওয়া যেতো না । কাঁচা মরিচের কেজি ছিলো ১৫০ টাকা । লবন ১২০ টাকা । আর সোনার ভরি ছিলো তখন ১৫০ টাকা । সোনা শুধু ওই সময় কম দাম ছিলো । চারদিকে অভাব । সারাদেশের মানুষের হাহাকার । কতো মানুষ না খেয়ে মারা গেছেন ! বিদেশি রিলিফ সব আওয়ামী লীগের লোকেরা চুরি করেছে । আর বেশিরভাগ রিলিফ সীমান্ত দিয়ে ভারতে চলে পাচার হয়েছিলো । তখন বর্ডার খোলা ছিলো তখন । মহিলাদের শাড়ি কাপড় ছিলো না । অনেকে মাছ ধরার জাল পরে লজ্জাস্থান ঢেকেছিলো । এসব ছবি পত্রিকায়ও ছাপা হয়েছিলো । কিন্তু আওয়ামী লীগ নেতাদের কোনো অভাব ছিলো না । বাংলাদেশের স্বাধীনতা যুদ্ধ শেষ হওয়ার মাত্র দুই বছর তিন মাসের মাথায় ...

বোতল

বোতল মানব জীবনে বোতল অপরিহার্য । বোতল অনেক অর্থেও ব্যবহার হয় । কোনো কোনো এলাকায় আনস্মার্ট, বেয়াক্কেল প্রকৃতির লোককেও বোতল বলা হয় । ইউরোপ আমেরিকায় থাকতে আমি ডৃংক করতাম । হার্ড ডৃংক কমই খেতাম । প্রতিদিনই বিয়ার খেতাম । বিয়ার স্বাস্থ্য ভালো রাখে ও কাজ করতে এনার্জি জোগায় । পরিমিত বিয়ার খেলে কেউ মাতাল হয় না । মাঝে মাঝে বিশেষ কোনো পার্টিতে হুইস্কি খাওয়া হতো । তাও দামি ব্র্যান্ডের । জনি ওয়াকার ব্ল্যাক লেবেল, টিচার্স, পাসপোর্ট, হেনেসি, শিভাস রিগাল, জ্যাক ড্যানিয়েলস । সাকুরায়ও অনেক সময় এসব ব্র্যান্ডের হুইস্কি পাওয়া যায় না । তো দেশে আসার পরও কিছু দিন ডৃংক করেছিলাম । কুমিল্লায় সরকার অনুমোদিত একটা মদের দোকান আছে চক বাজারে । নামঃ নাদের ট্রেডিং কোং । এটা প্রায় আজ ৫০ বছর । এখানে বিদেশি ব্র্যান্ডের ডৃংক পাওয়া যায় না । দেশিয় কোম্পানি ‘কেরো এন্ড কোং’ যা দর্শনায় অবস্থিত তার তৈরি ভদকা, হুইস্কি, জিন পাওয়া যায় । আমাদের সমাজতো রক্ষনশীল । তাই কান্দিরপাড় থেকে একটা স্প্রাইট কিনে অর্ধেক খেতে খেতে চক বাজার যেতাম । নাদেরে যখন পৌঁছতাম তখন স্প্রাইটের বোতল অর্ধেক খালি হয়ে যেতো । আমি বাবুল ভাইকে স্প্...

অশ্লীল নাম

বাংলাদেশের কিছু প্রতিষ্ঠান ও স্থানের বিচিত্র বা বিকৃত অর্থের নাম যা পরিবর্তন করা উচিতঃ ১. বোদা মহিলা মহাবিদ্যালয়, বোদা, পঞ্চগড় ২. চুমাচুমি সরকারি প্রাথমিক বিদ্যালয়, রাঙ্গামাটি ৩. সোনাপোতা সরকারি প্রাথমিক বিদ্যালয়, খুলনা ৪. মানুষমারা সরকারি প্রাথমিক বিদ্যালয়, নীলফামারি ৫. সোনাকাটা ইউনিয়ন, তালতলী, বরগুনা ৬.বড়বাল ইউনিয়ন, মিঠাপুকুর, রংপুর ৭.সোনাখাড়া ইউনিয়ন, রায়গঞ্জ, সিরাজগঞ্জ ৮. ধনকামড়া গ্রাম, ভোদামারা, দিনাজপুর ৯.গোয়াকাটা, দোহার, ঢাকা ১০. গোয়াতলা, ময়মনসিংহ ১১.লেংটার হাট, মতলব, চাঁদপুর