সরাসরি প্রধান সামগ্রীতে চলে যান

বিয়ানী

 বিয়ানী

----------

আমাদের সময় এসএসসি-এইচএসসি পরীক্ষার সার্টিফিকেট ও মার্কশীটে রোল নাম্বার কিভাবে লিখা হতো তা সকলের জানা আছে। আমার সার্টিফিকেটগুলোতে এখনো তাই আছে। পরীক্ষা কেন্দ্রগুলোর নাম খেয়াল করবেন। যেমন কেন্দ্রের নাম যদি হয় কুমিল্লা শহরের কোনো স্কুল বা কলেজ তবে লেখা হতো...

কেন্দ্র-কুম । নং ৩৩৫৭০। কেন্দ্রের নাম যদি হয় বুড়িচং তবে লেখা হতো, কেন্দ্র-বুড়ি । নং.........। তেমনি ছাগলনাইয়া হলে লেখা হতো, কেন্দ্র- ছাগল । নং.........। বিয়ানী বাজার হলে লেখা হতো, কেন্দ্র- বিয়ানী । নং......... । 


তখন সারাদেশে যেমন চারটি বিভাগ ছিলো তেমনি শিক্ষা বোর্ডও ছিলো চারটি। ঢাকা, কুমিল্লা, রাজশাহী ও যশোর। কুমিল্লা শিক্ষা বোর্ডের অধীনে তৎকালীন চট্রগ্রাম বিভাগের সব জেলা অন্তর্ভুক্ত ছিলো। 


ছাত্র জীবনে কিছু সময় কুমিল্লা শিক্ষাবোর্ডে চাকরি করেছিলাম শখ করে। এই চাকরিরও একটা ইতিহাস আছে। আমাদের এক বন্ধু বেলাল, সঙ্গে একজন দাঁড়িওয়ালা যুবককে নিয়ে একদিন বাসায় এসে আমার ডাক নাম ধরেই বললো " মন্টু, তুই তো ইংরেজিতে ভালো। উনি আমাদের লজিং মাস্টার। কুমিল্লা শিক্ষা বোর্ডে লোক নিয়োগের বিজ্ঞাপন দিয়েছে। উনার একটা চাকরির খুব দরকার। তুইও যদি এক সঙ্গে আবেদন করিস তবে সিট পরবে কাছাকাছি। তুই তো এখন চাকরি করবি না। দুই পরীক্ষায় তোর ফার্স্ট ডিভিশন। তোর খাতাটা উনাকে দেখালে উনি নিয়োগ পরীক্ষায় টিকবে। আমাকে বেলাল বললো, তুই শুধু তোর দুই সার্টিফিকেট ও মার্কশীটের ফটোকপি, দুই কপি পাসপোর্ট সাইজ ছবি আর ক্যারেক্টর সার্টিফিকেট আমাকে দিলেই হবে। ( আমাদের সময় একজন প্রথম শ্রেণির গেজেটেড কর্মকর্তার দ্বারা চারিত্রিক সনদ জমা দিতে হতো যে কোনো আবেদনপত্রের সঙ্গে। ওই সময়ই দেখেছি, যে কর্মকর্তা আমাকে চারিত্রিক সনদ দিয়েছে সে নিজেই চরিত্রহীন!) কোনো পে অর্ডার আর অন্যান্য খরচ কিছুই তোকে দিতে হবে না। আমি দুইজনের আবেদন এক সঙ্গে করবো তাহলে সীট পাশাপাশি পরবে।" অর্থাৎ আমি এই পরীক্ষাটা দেবো শুধু ওই ব্যক্তিকে আমার লিখিত পরীক্ষার খাতাটা দেখিয়ে পাস করানোর জন্য।


ইন্টারমিডিয়েটে পড়ার সময় আর্মি অফিসার হওয়ার ইচ্ছা ছিলো। 


আমি সদ্য উচ্চ মাধ্যমিক পরীক্ষা পাস করে ১৩ বিএমএ লং কোর্সের প্রাথমিক মেডিকেল টেস্ট, ভাইভা, লিখিত পরীক্ষায় পাস করে আইএসএসবি'র কল আপ লেটার পেয়ে ঢাকা সেনানিবাসে ISSB তে যাই। আগের পরীক্ষাগুলো কুমিল্লা সেনানিবাসেই হয়। একজন লেফটেন্যান্ট কর্নেল, তিন জন মেজর, একজন ক্যাপ্টেন এর নেতৃত্বে আমরা এসব পরীক্ষায় অংশ গ্রহণ করি। লেফটেন্যান্ট কর্নেল চৌধুরী মোহাম্মদ আলী ছিলেন অধিনায়ক। 

(Inter Services Selection Board-ISSB-আন্তবাহিনী নির্বাচন বোর্ড)। চার দিন বিভিন্ন পরীক্ষায় অংশ গ্রহণ করে পাস করে, শেষ দিন প্রেসিডেন্টশিয়াল ভাইভায় বাদ পরে বাসায় এসে ইউনিভার্সিটিতে ভর্তির প্রস্তুতি নিচ্ছিলাম।


বেলালের কথায় ছেলেটিকে হেল্প করার জন্য আমি ওই পরীক্ষায় অংশ গ্রহণ করেছিলাম। কিছুদিন পর আমার ঠিকানায় ডাক যোগে একটা চিঠি এলো। খোলে দেখলাম, আমি লিখিত পরীক্ষায় উত্তীর্ণ হয়েছি। আগামী এতো তারিখে আমাকে মৌখিক পরীক্ষায় উপস্থিত থাকার জন্য অনুরোধ করা হয়েছে। মৌখিক পরীক্ষায় অংশ গ্রহণ করতে গিয়ে দেখি ভাইভা বোর্ডের চেয়ারম্যান শিক্ষা বোর্ডের সচিব। অধ্যাপক আনোয়ারুল আজিম সিদ্দিকী। উপস্থিত আছেন  পরীক্ষা নিয়ন্ত্রক, কলেজ ইন্সপেক্টর, প্রশাসনিক অফিসার, উপ পরীক্ষা নিয়ন্ত্রক। উনারা সকলেই অধ্যাপক। কেউ সহযোগি অধ্যাপক। উনারা সকলেই সরকারি কলেজের অধ্যাপক। ডেপুটেশনে শিক্ষা বোর্ডে কর্মরত আছেন। শিক্ষা বোর্ডের শীর্ষ কর্মকর্তা চেয়ারম্যান। তিনি এসব ছোট খাটো কাজে উপস্থিত থাকেন না। যাই হোক, মৌখিক পরীক্ষায় সবগুলো প্রশ্নের সঠিক জবাব দেয়ায় পরীক্ষা নিয়ন্ত্রক ও ইংরেজির অধ্যাপক এ এইচ এম মহিউদ্দিন আহমেদ সেক্রেটারিকে বললেন, স্যার, এই ছেলে চাকরি করবে না। ওর এসএসসি, এইচএসসি দুই পরীক্ষাতেই ফার্স্ট ডিভিশন। শিক্ষা বোর্ডে সচিব দ্বিতীয় পদ। চেয়ারম্যানের পরেই সচিব। তারপর কলেজ ইন্সপেক্টর, তারপর পরীক্ষা নিয়ন্ত্রক। 


আমি ভাইভা দিয়ে এসে বিকেলে কান্দিরপাড় বেলালকে জিজ্ঞেস করলাম, তোদের লজিং মাস্টার লিখিত পরীক্ষায় টিকেনি? বেলাল বললো, না। আমি অবাক হয়ে বললাম, এক ঘন্টার পরীক্ষা আমি আধা ঘণ্টায় শেষ করে বাকি আধা ঘণ্টা খাতাটা খোলে রেখেছিলাম তার জন্য।


পনেরো দিন পর আমার নামে ডাক যোগে চিঠি এলো। ৬ থেকে ৯ জুলাইর মধ্যে আমাকে প্রশাসনিক অফিসার  বরাবর জয়েনিং লেটার দিয়ে জয়েন করতে হবে।


আমি তখন চাকরি করবো না বলে মনস্থির করে রেখেছি। কিন্তু বন্ধু হিরু খুব জোড়াজুড়ি করে বললো,  আরে, তুইতো চাকরি করবি না জানি তবু জয়েন কর। একটা অভিজ্ঞতা হবে। হিরুর কথা শোনে আমি শেষ দিন ৯ জুলাই শিক্ষা বোর্ডে জয়েন করি।

আমাকে সংস্থাপন শাখায় পোস্টিং দেয়া হয়।


প্রথমেই বলেছিলাম সার্টিফিকেট ও মার্ক সার্টিফিকেট কিভাবে লেখা হতো তা নিয়ে। আমরাও পরীক্ষা কেন্দ্রগুলোর সংক্ষিপ্ত নামই বলতাম। যেমনঃ কুম, বুড়ি, ছাগল, বিয়ানী।


আগে আমাদের সময় সংশ্লিষ্ট বিষয়ের শিক্ষকরা খাতা দেখার পর তা শিক্ষা বোর্ডে জমা দিতেন। ওই খাতা দেখে শিক্ষা বোর্ডের সার্টিফিকেট শাখায় কর্মরত এমপ্লয়িরা বড় খাতায় পরীক্ষার্থীর নাম ও প্রতি বিষয়ের প্রাপ্ত নাম্বার লিখে ওই বড় খাতা শিক্ষা বোর্ডের 'গোপনীয় শাখা'য় জমা দিতেন। শিক্ষা রোর্ডে অনেকগুলো শাখা বা সেকশন আছে। যেমনঃ

মাধ্যমিক শাখা-১।  

মাধ্যমিক শাখা-২। 

উচ্চ মাধ্যমিক শাখা-১। 

উচ্চ মাধ্যমিক শাখা-২। 

কলেজ শাখা-১। 

কলেজ শাখা-২। 

সার্টিফিকেট শাখা। 

সাইকোলোস্টাইল শাখা।

গোপনীয় শাখা। 

একাউন্টস শাখা।

সংস্থাপন শাখা ইত্যাদি। 

প্রত্যেক সেকশনে একজন সেকশন অফিসার আছে। এখনো আছে। ওই খাতাকে শিক্ষাবোর্ডের ভাষায় টেবুলেশন(Tabulation) খাতা বা টেবুলেটিং( Tabulating) শীট বলা হতো।


ওই খাতা দেখে ছাত্রছাত্রীদের মার্ক সার্টিফিকেট বা মার্কশীট লিখতেন শিক্ষাবোর্ডে কর্মরত খুব জুনিয়র অফিসাররা। মার্ক সার্টিফিকেট লেখার জন্য শিক্ষা বোর্ড আমাদের আলাদাভাবে পেমেন্ট দিতো। আমি ছিলাম সংস্থাপন সেকশনে। সংস্থাপন শাখা খুব গুরুত্বপূর্ণ। প্রশাসনিক সব কিছুই এই শাখাতে। ৩২টি পদের জন্য ওই চাকরির নিয়োগ পরীক্ষায় ৫৫৬৭ জন ক্যান্ডিডেটের মধ্যে আমি লিখিত ও মৌখিক পরীক্ষা দুটোতেই ফার্স্ট হয়েছিলাম। বোর্ডের চেয়ারম্যান, সেক্রেটারি, কলেজ ইন্সপেক্টর, কন্ট্রোলার অফ এক্সামিনেশন, প্রশাসনিক অফিসার সবাই আমাকে খুব স্নেহ করতেন আমার রেজাল্টের কারনে। আর কলিগরা আমাকে মাথায় নিয়ে রাখতো। ওরা বলতো, করিম, তুমিতো দুই তিন বছরের মধ্যেই প্রমোশন পেয়ে আমাদের উপরে চলে যাবা।


পরে আমি রিজাইন করে স্টুডেন্ট ভিসা নিয়ে জাপান চলে যাই।


তো মার্কস সার্টিফিকেট লেখার সময় নাম নিয়ে আমার এক মজার অভিজ্ঞতা হয়েছিলো। এক কেন্দ্র শেষ করে আমরা আরেক কেন্দ্র লিখতাম। আমাদের সেকশনে তিন জন মেয়ে কলিগ ছিলো। মোরশেদা বেগম, সাজেদা বেগম ও পাঞ্চালি চক্রবর্তী। আমাদের একজন সিনিয়র কলিগ ছিলেন সাব্বির আহমেদ। খুব মজার মানুষ ছিলেন তিনি। কথায় কথায় ফান করতেন।


একদিন আমি পিয়নকে দিয়ে চা না আনিয়ে নিজেই শিক্ষা বোর্ডের পাশেই সালাউদ্দিন হোটেল এন্ড রেস্টুরেন্টে গিয়েছিলাম চা খেতে। আমি সিগারেট খেতাম তখন থেকেই। তাই মাঝে মাঝেই বাইরে যেতাম। সিনিয়রদের সামনে সিগারেট খেতাম না। আমি সেকশনে ফিরে আসতেই সাব্বির ভাই বললেন, করিম খবর শুনছো? আমি কিছুটা অবাক হয়ে বললাম কী খবর? 


তিনি বললেন, কাল থাইকা তো মোরশেদা বিয়ানী শুরু করবো। সঙ্গে সঙ্গে মোরশেদার চোখ মুখ লাল হয়ে গেলো লজ্জায়। আর লাল মুখ নিয়ে হাসতে হাসতেই সাব্বির ভাইকে বললো, সাব্বির ভাই, আপনি এতো শয়তানি কথা বলেন যা মান ইজ্জত নিয়াও টান দেয় ! সাব্বির ভাই বললেন, ওমা, তুমিইতো বললা, কাল থাইকা বিয়ানী শুরু করবা!

ব্যাপার হলো, মোরশেদার ছিলো ছালগনাইয়া আর বিয়ানী বাজার কেন্দ্রের মার্কস সার্টিফিকেট লেখার দায়িত্ব। সাব্বির ভাই উনাকে জিজ্ঞেস করেছিলো, মোরশেদা তোমার কয় কেন্দ্র লেখা শেষ হইছে? মোরশেদা বলেছিলো, ছাগল শেষ করছি। কাল থেকে বিয়ানী শুরু করবো।


*'বিয়ানী' কুমিল্লার স্থানীয় ভাষা। যার অর্থ সন্তান প্রসব করা।*

 © Karim Chowdhury 

11 June, 2023

Cumilla.

মন্তব্যসমূহ

এই ব্লগটি থেকে জনপ্রিয় পোস্টগুলি

আমার দেখা ১৯৭৪ সালের দুর্ভিক্ষ

আমার দেখা ১৯৭৪ সালের দুর্ভিক্ষ সরকারঃ শেখ মুজিবের শাসনামল ১৯৭৪-এর দুর্ভিক্ষ বাংলাদেশে ১৯৭৪ সালের মার্চে শুরু হয়ে সেই বছরেরই ডিসেম্বরের দিকে গিয়ে শেষ হয়। এই দুর্ভিক্ষে অসংখ্য মানুষ অনাহারে মারা গিয়েছিল। এই দুর্ভিক্ষকে স্মরণকালের মধ্যে সবচেয়ে ভয়ানক হিসেবে গন্য করা হয়। ওই সময় আমি বুঝতাম। ক্লাশ ফোরে পড়তাম। আহারে ! কি যে অভাব ! অনেকের মতো আমরাও ভাত না খেয়ে রুটি খেয়েছি । তাও পরিমিত । কখনো জাউ খেয়েছি । শুকনো মরিচ পাওয়া যেতো না । কাঁচা মরিচের কেজি ছিলো ১৫০ টাকা । লবন ১২০ টাকা । আর সোনার ভরি ছিলো তখন ১৫০ টাকা । সোনা শুধু ওই সময় কম দাম ছিলো । চারদিকে অভাব । সারাদেশের মানুষের হাহাকার । কতো মানুষ না খেয়ে মারা গেছেন ! বিদেশি রিলিফ সব আওয়ামী লীগের লোকেরা চুরি করেছে । আর বেশিরভাগ রিলিফ সীমান্ত দিয়ে ভারতে চলে পাচার হয়েছিলো । তখন বর্ডার খোলা ছিলো তখন । মহিলাদের শাড়ি কাপড় ছিলো না । অনেকে মাছ ধরার জাল পরে লজ্জাস্থান ঢেকেছিলো । এসব ছবি পত্রিকায়ও ছাপা হয়েছিলো । কিন্তু আওয়ামী লীগ নেতাদের কোনো অভাব ছিলো না । বাংলাদেশের স্বাধীনতা যুদ্ধ শেষ হওয়ার মাত্র দুই বছর তিন মাসের মাথায় ...

বোতল

বোতল মানব জীবনে বোতল অপরিহার্য । বোতল অনেক অর্থেও ব্যবহার হয় । কোনো কোনো এলাকায় আনস্মার্ট, বেয়াক্কেল প্রকৃতির লোককেও বোতল বলা হয় । ইউরোপ আমেরিকায় থাকতে আমি ডৃংক করতাম । হার্ড ডৃংক কমই খেতাম । প্রতিদিনই বিয়ার খেতাম । বিয়ার স্বাস্থ্য ভালো রাখে ও কাজ করতে এনার্জি জোগায় । পরিমিত বিয়ার খেলে কেউ মাতাল হয় না । মাঝে মাঝে বিশেষ কোনো পার্টিতে হুইস্কি খাওয়া হতো । তাও দামি ব্র্যান্ডের । জনি ওয়াকার ব্ল্যাক লেবেল, টিচার্স, পাসপোর্ট, হেনেসি, শিভাস রিগাল, জ্যাক ড্যানিয়েলস । সাকুরায়ও অনেক সময় এসব ব্র্যান্ডের হুইস্কি পাওয়া যায় না । তো দেশে আসার পরও কিছু দিন ডৃংক করেছিলাম । কুমিল্লায় সরকার অনুমোদিত একটা মদের দোকান আছে চক বাজারে । নামঃ নাদের ট্রেডিং কোং । এটা প্রায় আজ ৫০ বছর । এখানে বিদেশি ব্র্যান্ডের ডৃংক পাওয়া যায় না । দেশিয় কোম্পানি ‘কেরো এন্ড কোং’ যা দর্শনায় অবস্থিত তার তৈরি ভদকা, হুইস্কি, জিন পাওয়া যায় । আমাদের সমাজতো রক্ষনশীল । তাই কান্দিরপাড় থেকে একটা স্প্রাইট কিনে অর্ধেক খেতে খেতে চক বাজার যেতাম । নাদেরে যখন পৌঁছতাম তখন স্প্রাইটের বোতল অর্ধেক খালি হয়ে যেতো । আমি বাবুল ভাইকে স্প্...

অশ্লীল নাম

বাংলাদেশের কিছু প্রতিষ্ঠান ও স্থানের বিচিত্র বা বিকৃত অর্থের নাম যা পরিবর্তন করা উচিতঃ ১. বোদা মহিলা মহাবিদ্যালয়, বোদা, পঞ্চগড় ২. চুমাচুমি সরকারি প্রাথমিক বিদ্যালয়, রাঙ্গামাটি ৩. সোনাপোতা সরকারি প্রাথমিক বিদ্যালয়, খুলনা ৪. মানুষমারা সরকারি প্রাথমিক বিদ্যালয়, নীলফামারি ৫. সোনাকাটা ইউনিয়ন, তালতলী, বরগুনা ৬.বড়বাল ইউনিয়ন, মিঠাপুকুর, রংপুর ৭.সোনাখাড়া ইউনিয়ন, রায়গঞ্জ, সিরাজগঞ্জ ৮. ধনকামড়া গ্রাম, ভোদামারা, দিনাজপুর ৯.গোয়াকাটা, দোহার, ঢাকা ১০. গোয়াতলা, ময়মনসিংহ ১১.লেংটার হাট, মতলব, চাঁদপুর