সরাসরি প্রধান সামগ্রীতে চলে যান

ফাটুসকি

 ফাটুসকি

-------------

কিছু বই পড়েছিলাম আগে। সে সব বইতে পাকিস্তানের ভেতরের রাজনীতির অনেক কথা জানা যায়। জানা যায় অভিজাত শ্রেণির জৌলসপূর্ন জীবন যাপন। আবার নৃ*শংস হ*ত্যা। জুলফিকার আলী ভুট্টোর 'If I am assassinated' বা 'আমাকে হত্যা করা হলে'- বইটি ছাত্র জীবনেই পড়েছিলাম।

পরে বেনজীর ভুট্টোর Daughter of the East পড়েছিলাম। 


পরে জেনারেল নিয়াজির একটা বই পড়েছিলাম  The Betrayal of East Pakistan. 

বৃগেডিয়ার সিদ্দিক সালিকের Witness to Surrender ছাত্র জীবনেই পড়া। এই বইগুলোতে বাংলাদেশের স্বাধীনতা যুদ্ধের অনেক অজানা তথ্যও আছে। 

সাবেক প্রেসিডেন্ট পারভেজ মোশাররফের In the Line of Fireও পড়েছি। আমাদের সাবেক সেনাপ্রধান জেনারেল মইন ইউ আহমদের "শান্তির স্বপ্নে" ২০০৮ সালে প্রকাশের সঙ্গে সঙ্গেই পড়েছিলাম। এই বইতেও পাকিস্তান প্রসঙ্গ আছে।


এসব বই পড়তে আমার ভালো লাগে। রাষ্ট্রের ক্ষমতাশালীদের ভেতরের খবর আর তাদের রাজকীয় জীবন যাপন খুবই আকর্ষণীয়।


পাকিস্তান সম্পর্কে আমার মোটামুটি ধারণা আছে। কয়েকদিন ধরে জুলফিকার আলী ভুট্টোর নাত্নী, মুর্তজা ভুট্টোর মেয়ে, বেনজির ভুট্টোর ভাতিজী- ফাতিমা ভুট্টোর একটা বই পড়ছি। অর্ধেক পড়ে মেয়েটি সম্পর্কে জানার কৌতুহল হলো। তিনি বেশ ভালো লিখেন। ইন্টারনেট ঘেটে তার কিছু ছবি দেখলাম। সে দেখতে কেমন। ৪০ বছর বয়সী একটা মেয়ে! তার অনেকগুলো পাবলিকেশন্স এই বয়সেই! সবগুলো বই ইংরেজিতে। লন্ডন আর নিউ ইয়র্ক থেকে প্রকাশিত। দেখতেও মেয়েটি বেশ সুন্দরী । তার Songs of Blood and Sword বইটিতে আরো অনেক তথ্য আছে। বেনজিরের স্বামী জারদারীকে তারা কেউ পছন্দ করতেন না তাও উল্লেখ আছে। তার বাবা মুর্তজা ভুট্টোকে জারদারীর নির্দেশে বাসার সামনে ৭ জন দেহরক্ষীসহ হ*ত্যা করা হয় ২০ সেপ্টেম্বর ১৯৯৬ সনে। ফাতিমা তখন মাত্র ১৪ বছর বয়সের কিশোরী। 


বেনজীর ভুট্টো তখন প্রধানমন্ত্রী ছিলেন। বেনজীরের পর মুর্তজাই ছিলেন পাকিস্তান পিপলস পার্টির জনপ্রিয় নেতা। জারদারির পথের কাঁটা সরাতেই তিনি এই ঘৃন্য হ*ত্যাকা*ন্ড ঘটান। 


ফাতিমা ১৯৮২ সালে আফগানিস্তানে জন্মগ্রহণ করেন। ভুট্টোর ফাঁ*সির পর নির্বাসনে তিনি পিতামাতার সঙ্গে তাদের দামেস্কের বাড়িতে ছিলেন। তিনি লেখাপড়া করেছেন নিউ ইয়র্কের কলাম্বিয়া ইউনিভার্সিটিতে এবং ইউনিভার্সিটি অফ লন্ডনের স্কুল অফ ওরিয়েন্টাল এন্ড আফ্রিকান স্টাডিজ-এ। 

এখন পাকিস্তানের করাচিতে থাকেন। বিভিন্ন ইংরেজি পত্রিকায় কলাম লিখেন। ফাতিমাকে তার বাবা মুর্তজা 'ফাতি' ডাকতেন। তার রাশান ডাক নামেও ডাকতেন কখনো। তার রাশান ডাক নাম ফাটুসকি। ফাটুসকির কিছু ছবি বন্ধুদের সঙ্গে শেয়ার করলাম।


বইটির বাংলা অনুবাদ প্রকাশ করেছে 'দ্য স্কাই পাবলিশার্স'। দাম: ১২০০ টাকা।

© Karim Chowdhury 

April 27, 2022

Cumilla.

মন্তব্যসমূহ

এই ব্লগটি থেকে জনপ্রিয় পোস্টগুলি

আমার দেখা ১৯৭৪ সালের দুর্ভিক্ষ

আমার দেখা ১৯৭৪ সালের দুর্ভিক্ষ সরকারঃ শেখ মুজিবের শাসনামল ১৯৭৪-এর দুর্ভিক্ষ বাংলাদেশে ১৯৭৪ সালের মার্চে শুরু হয়ে সেই বছরেরই ডিসেম্বরের দিকে গিয়ে শেষ হয়। এই দুর্ভিক্ষে অসংখ্য মানুষ অনাহারে মারা গিয়েছিল। এই দুর্ভিক্ষকে স্মরণকালের মধ্যে সবচেয়ে ভয়ানক হিসেবে গন্য করা হয়। ওই সময় আমি বুঝতাম। ক্লাশ ফোরে পড়তাম। আহারে ! কি যে অভাব ! অনেকের মতো আমরাও ভাত না খেয়ে রুটি খেয়েছি । তাও পরিমিত । কখনো জাউ খেয়েছি । শুকনো মরিচ পাওয়া যেতো না । কাঁচা মরিচের কেজি ছিলো ১৫০ টাকা । লবন ১২০ টাকা । আর সোনার ভরি ছিলো তখন ১৫০ টাকা । সোনা শুধু ওই সময় কম দাম ছিলো । চারদিকে অভাব । সারাদেশের মানুষের হাহাকার । কতো মানুষ না খেয়ে মারা গেছেন ! বিদেশি রিলিফ সব আওয়ামী লীগের লোকেরা চুরি করেছে । আর বেশিরভাগ রিলিফ সীমান্ত দিয়ে ভারতে চলে পাচার হয়েছিলো । তখন বর্ডার খোলা ছিলো তখন । মহিলাদের শাড়ি কাপড় ছিলো না । অনেকে মাছ ধরার জাল পরে লজ্জাস্থান ঢেকেছিলো । এসব ছবি পত্রিকায়ও ছাপা হয়েছিলো । কিন্তু আওয়ামী লীগ নেতাদের কোনো অভাব ছিলো না । বাংলাদেশের স্বাধীনতা যুদ্ধ শেষ হওয়ার মাত্র দুই বছর তিন মাসের মাথায় ...

বোতল

বোতল মানব জীবনে বোতল অপরিহার্য । বোতল অনেক অর্থেও ব্যবহার হয় । কোনো কোনো এলাকায় আনস্মার্ট, বেয়াক্কেল প্রকৃতির লোককেও বোতল বলা হয় । ইউরোপ আমেরিকায় থাকতে আমি ডৃংক করতাম । হার্ড ডৃংক কমই খেতাম । প্রতিদিনই বিয়ার খেতাম । বিয়ার স্বাস্থ্য ভালো রাখে ও কাজ করতে এনার্জি জোগায় । পরিমিত বিয়ার খেলে কেউ মাতাল হয় না । মাঝে মাঝে বিশেষ কোনো পার্টিতে হুইস্কি খাওয়া হতো । তাও দামি ব্র্যান্ডের । জনি ওয়াকার ব্ল্যাক লেবেল, টিচার্স, পাসপোর্ট, হেনেসি, শিভাস রিগাল, জ্যাক ড্যানিয়েলস । সাকুরায়ও অনেক সময় এসব ব্র্যান্ডের হুইস্কি পাওয়া যায় না । তো দেশে আসার পরও কিছু দিন ডৃংক করেছিলাম । কুমিল্লায় সরকার অনুমোদিত একটা মদের দোকান আছে চক বাজারে । নামঃ নাদের ট্রেডিং কোং । এটা প্রায় আজ ৫০ বছর । এখানে বিদেশি ব্র্যান্ডের ডৃংক পাওয়া যায় না । দেশিয় কোম্পানি ‘কেরো এন্ড কোং’ যা দর্শনায় অবস্থিত তার তৈরি ভদকা, হুইস্কি, জিন পাওয়া যায় । আমাদের সমাজতো রক্ষনশীল । তাই কান্দিরপাড় থেকে একটা স্প্রাইট কিনে অর্ধেক খেতে খেতে চক বাজার যেতাম । নাদেরে যখন পৌঁছতাম তখন স্প্রাইটের বোতল অর্ধেক খালি হয়ে যেতো । আমি বাবুল ভাইকে স্প্...

ফেবুতে মেয়েদের পোস্ট

ফেবুতে মেয়েদের পোস্ট সকালে ঘুম ভেঙে দেখি আট টা বাজে । শরীরটাও বেশি ভালো লাগছে না । আবার ঘুমাল াম । ১১টায় উঠলাম । ২ মগ চা খেলাম ( বাজারের হিসেবে ৮ কাপ হবে)। সবাই জানেন আমি স্মোক করি । চেইন স্মোকার । কম্পিউটার খোঁচাখুঁচি করে নিজে নিজেই ঠিক করলাম । প্রায় দুই ঘন্টা । আমি থাকি চার তলায় । দুপুর ১টা বাজে । খেতেও ইচ্ছে করছে না কিছু । তখনো মুখ ধুই নি । কম্পিউটারে খোঁচাখোঁচি করতে গিয়ে দেখি এক মেয়ে তার পা’য়ের একটা ছবি আপলোড করেছে । দেখলাম এই পা মানে ঠ্যাং এর ছবিতে লাইক পড়েছে ৯৪৭ টা । কমেন্ট অসংখ্য । ‘কতো সুন্দর এই পা । না জানি তুমি কতো সুন্দর । পা তো নয় যেন একটা গোলাপ ফুল’ । এ জাতীয় অনেক কমেন্ট । আমি পোষ্ট টা দেখে কিছুটা অবাক হলাম । একটা ঠ্যাং এর এতো কদর ! প্রায়ই লক্ষ্য করি, মেয়েরা যখনি কিছু আপলোড করে সেটা তাদের পায়ের ছবিই হোক,হাতের ছবিই হোক আর নাকের ছবিই হোক বা এক চোখের ছবিই হোক সে সব ছবিতে অগনিত লাইক আর কমেন্ট । মেয়ে বন্ধুদের ছোট করার জন্য বলছি না, ফেবুতে প্রায়ই দেখি মেয়েরা কোনো ছবি বা দু এক লাইন হাবিজাবি লিখলে লাইক আর কমেন্টের বন্যা বয়ে যায় । অনেক মেয়েরা শখ করে পিঠা, ...