জন্মদিন
-------------
আমাদের বাবা মায়েরা আগে জন্মের সময় জন্ম তারিখ লিখে রাখতেন না। বাংলা মাসের হিসেবে বিশেষ কোনো ঘটনার কথা মনে রেখে জন্ম তারিখ মনে রাখতেন। পরে অনুমান ভিত্তিক একটা জন্ম তারিখ দিয়ে দিতেন। স্কুলে ভর্তির সময় শিক্ষকরা নিজের পছন্দ মতো একটা জন্ম তারিখ দিতেন। আবার নবম শ্রেণিতে রেজিস্ট্রেশনের সময় আরেকটু কমিয়ে শিক্ষকরা আরেকটা জন্ম তারিখ দিতেন।
ছেলেদের চাকরিতে ঢুকার বয়স যাতে বেশি হয়ে না যায় এবং বিয়েশাদীর ব্যাপারে মেয়েদের বয়স যেনো একটু কম দেখানো যায় সেই বিবেচনায়ও অনেক অভিবাবক মেয়েদের বয়স স্কুলে ভর্তির সময় অথবা বিয়ের কাবিনে ইচ্ছা করেই ২/১ বছর কেউ আরো বেশি কমিয়ে দেন।
আর যারা বিদেশে বিশেষ করে ইউরোপ-আমেরিকায় গিয়ে রাজনৈতিক আশ্রয় নেন তারাও নতুন জন্ম তারিখ দেন। এখন মধ্যপ্রাচ্যে যেতেও অনেকে জন্ম তারিখ পরিবর্তন করে পাসপোর্ট করেন। কেউ বয়স বাড়িয়ে দেন কেউ আবার কমিয়ে দেন।
এই হিসেবে বাংলাদেশের প্রায় অর্ধেকরও বেশি নাগরিকের জন্ম তারিখই ভুয়া এবং অনেকেরই আসল জন্মদিন এবং লিখিত জন্মদিনের মধ্যে কোনো মিল নেই। অনেকের একাধিক জন্মদিন আছে। স্কুল, কলেজ, পাসপোর্ট এবং অন্যান্য ডকুমেন্টে। এখন ফেইসবুকেও আরেকটা জন্ম তারিখ দিয়ে একাউন্ট খোলেন অনেকে!এটাই বাংলাদেশের সত্যিকার বাস্তবতা।
© Karim Chowdhury
26 October, 2023
Cumilla
মন্তব্যসমূহ
একটি মন্তব্য পোস্ট করুন