সরাসরি প্রধান সামগ্রীতে চলে যান

ডটার অব দ্য ইস্ট



 ডটার অব দ্য ইস্ট               

---------------------------

সেদিন ছিলো ২০০৭ এর ২৭ ডিসেম্বর বৃহস্পতিবার। সেদিন আমি বিবিসিতে লাইভ দেখেছিলাম বেনজিরের জনসভা। এবং তাকে যখন গুলি করা হয় আর তিনি গাড়িতে লুটিয়ে পরেন তাও বিবিসি লাইভ কভার করে। সূর্য মিলিয়ে যাচ্ছিলো তখন পাকিস্তানের রাওয়ালপিন্ডির পশ্চিম দিগন্তে। লিয়াকত বাগের সফল জনসভা শেষে সহাস্য বেনজির ভুট্টো গাড়িতে ওঠেন। সানরুপ খোলে দাঁড়িয়ে যান ভক্ত সমর্থকদের বিদায় জানাতে। চারপাশে প্রিয় নেত্রীর উদ্দেশ্যে জয়ধ্বনিরত জনতা, তাদের দিকে প্রসন্ন হাত তোলা নেত্রী- এই সুখময় মুহুর্তটি ছিন্নভিন্ন করে দেয় আততায়ীর বুলেট ও বোমা, পলকের মধ্যে। প্রাণ উৎসর্গ করেন বেনজির মাত্র চুয়ান্ন(৫৪) বছর বয়সে। গনতন্ত্রকামী সাহসী নেত্রী। রাজপথে প্রাণ হারায় অসংখ্য নেতা- কর্মী সমর্থক। নৃশংস ওই হত্যাকাণ্ডে পুরো পাকিস্তান যতোটা কেঁপে ওঠে, ততোটাই কেঁপে ওঠে পুরো বিশ্বের বিবেক।

ক্ষোভ ও বেদনা প্রকাশ করে বিশ্বের রাষ্ট্র প্রধান ও রাজনৈতিক নেতাগণ। জাতিসংঘ নিরাপত্তা পরিষদ শ্রদ্ধা জানায় অকাল প্রয়াত এই নেত্রীর প্রতি প্রতি, গভীর নিন্দা করে ওই নির্মম হত্যাকাণ্ডের। এই উপমহাদেশের জনগণ শুধু ক্ষুব্ধ ও ব্যথিতই হয়নি, তারা এই অঞ্চলের রাজনীতির নিয়তি ও নিরাপত্তার কথা ভেবে গভীর শঙ্কিত হয়ে ওঠে। 

বেনজির মুসলিম বিশ্বের প্রথম মহিলা প্রধানমন্ত্রী, যিনি দুবার নির্বাচনে জিতে ক্ষমতাসীন হন। বেনজির লেখাপড়া করেছেন আমেরিকার হার্ভার্ড বিশ্ববিদ্যালয়ে ও ইংল্যান্ডের অক্সফোর্ড ইউনিভার্সিটিতে। তিনি অক্সফোর্ড স্টুডেন্ট ইউনিয়ন সভাপতিও নির্বাচিত হয়েছিলেন সেই ছাত্রজীবনেই।

এমন এক রাজনৈতিক পরিবারের সন্তান বেনজির, যে পরিবারের পিতা, পাকিস্তানের দক্ষ রাজনীতিবিদ জুলফিকার আলী ভুট্টো ১৯৭৭ সালে সেনাবাহিনী প্রধান জেনারেল জিয়াউল হকের দ্বারা ক্ষমতাচ্যুত হন। গ্রহণ করতে হয় তাকে ফাঁসির রজ্জু। ১৯৭৯ সালের ৪ এপৃল খুব ভোরে তাকে ফাঁসি দেয়া হয় কাউকে না জানিয়ে। এমনকি জেলের দুই একজন সামরিক অফিসার ছাড়া এই ফাঁসির কথা কেউ জানতো না।

ভুট্টো খুবই জনপ্রিয় ছিলেন পাকিস্তানে। মাত্র ৫১ বছর বয়সে ভুট্টোর জীবন কেড়ে নেন জেনারেল জিয়াউল হক। সেনাবাহিনীর গাড়িতে নিয়ে দাফন করা হয় তার নিজ শহর সিন্ধু প্রদেশের লারকানায় তাদের নিজস্ব পারিবারিক করবস্থানে। লারকানায় তাদের বাড়ির নাম "আল মুর্তজা"। 

বেনজিরের ছোট দুই ভাই শাহনেয়াজ ভুট্টো ও মুর্তজা ভুট্টো আর এক ছোট বোন সমন ভুট্টো। বেনজিরের গায়ের রঙ গোলাপি ছিলো বলে বাবা জুলফিকার আলী ভুট্টো তার ডাক নাম রেখেছিলেন পিংকি। সিন্ধু প্রদেশের রাজধানী বন্দর নগরী করাচিতে আরব সাগর ঘেষে তাঁদের আলীশান বাড়ি। ঠিকানা ৭০ ক্লিফটন এভিনিউতে। বাড়ির নাম ফলকে লেখা...

জুলফিকার আলী ভুট্টো 

বার এট ল

স্যার শাহনেওয়াজ ভুট্টো 

৭০ ক্লিফটন এভিনিউ 

করাচি।

স্যার শাহনেওয়াজ ভুট্টো বেনজিরের দাদা।

ভুট্টোর ফাঁসির পর মা নুসরাত ভুট্টোর সঙ্গে বেনজির কারারুদ্ধ থাকেন দীর্ঘদিন।

পরে বেনজির পাকিস্তান পিপলস পার্টির চেয়ারপারসন নিযুক্ত হন। পিপিপি বা পাকিস্তান পিপলস পার্টি পাকিস্তানের সবচেয়ে বড় ও জনপ্রিয় রাজনৈতিক দল।

দুই ছোট ভাই মুর্তজা ভুট্টো ও শাহনেয়াজ ভুট্টোর অকাল মৃত্যু তাকে সহ্য করতে হয়। ষড়যন্ত্র, অবৈধ ক্ষমতা দখল, সামরিক শাসন- যে দেশের একটি সাধারণ বিষয়, সেখানে বেনজির লড়েছেন গনতন্ত্রের জন্য। কখনো জয়ী হয়েছেন, কখনো পরাজিত। দেখেছেন তিনি অনেক অন্ধকার, পর্দার আড়ালের বহু কিছু, আর তাঁর বলারও আছে বহু কিছু। এ বইয়ে বেনজির যেমন নিজের ও পরিবারের কথা বলায় শুধু মনোযোগী ছিলেন না, বলেছেন তাঁর মাতৃভূমি পাকিস্তানের রাজনীতির অন্ধকার ও আলোর কথা, তুলে ধরেছেন ওই রাজনীতির স্বরূপ। 

পাকিস্তানের অন্যতম ধনী ও খুবই উচ্চ শিক্ষিত এক পরিবারের উপর জিয়াউল হক কেমন অত্যাচার করেছেন, এ বইয়ে রয়েছে তার বিশদ বর্নণা। 

১৯৮৮ সালের আগস্ট মাসে ৫ জন লেফটেন্যান্ট জেনারেল ও তৎকালীন পাকিস্তানে নিযুক্ত আমেরিকান রাষ্ট্রদূত আরনল্ড রাফেলসহ জেনারেল জিয়াউল হকের সি- ১৩০ সামরিক পরিবহন বিমান রাওয়ালপিন্ডির ভাওয়ালপুরে বিধস্ত হলে প্রেসিডেন্ট জিয়াউল হকসহ সবাই নিহত হন। জিয়া যুগের অবসান হয়। ওই দুর্ঘটনার কারণ আজো জানা যায়নি।

বেনজির ভুট্টোর এই বই সম্পর্কে লন্ডনের কয়েকটি পত্রিকার মন্তব্য এমন....

"এক অনবদ্য কাহিনী - ভালোবাসা,নাটকীয় উত্থান- পতন ও সাহসের।"

ইভেনিং স্ট্যান্ডার্ড 

"সাহসী মহিলা এবং এক যোদ্ধা, নিজের কথা অকপটে সুন্দরভাবে বলা।"

ইনডিপেন্ডেন্ট

"সাহসী ও বিরল প্রজাতির এক নারীর কথা, এক শহীদ পরিবারের কথা এবং দেশের জন্য যুদ্ধরত এক সাহসী যোদ্ধার কথা- যে লড়াই করছে গনমানুষের স্বাধীনতা ও নির্যাতিত মানুষের মুক্তির জন্য।"

সানডে টাইমস।

বইটি মেয়েদের বেশি পড়া উচিৎ। কিভাবে এতো নিপিড়ন ও অত্যাচার সহ্য করে ঘুরে দাঁড়িয়েছিলেন বেনজির ভুট্টো। জেলে তাকে ঘুমাতে দেয়া হতো না। তাকে মানসিকভাবে অসুস্থ করে দিতে এমন কাজ নেই যা জেনারেল জিয়াউল হক করেননি। রাত ২/৩ টার সময় তার সেলের সামনে সেনাবাহিনীর বুটজুতো পরে খট খট আওয়াজ করে কে যেনো হেঁটে যায়। কিন্তু বেনজির কাউকে দেখতে পান না। বইটি পড়লে যে কারো প্রাণ কাঁদবে। জানাও যাবে অনেক অজানা তথ্য।

এই বইতে করাচির কোন ইংলিশ স্কুলে তিনি পড়েছেন, বাবা জুলফিকার আলী ভুট্টো- ইন্দিরা গান্ধীর সঙ্গে শিমলা চুক্তির সময় বেনজিরকে সঙ্গে নিয়ে যান। সেভেন গ্রেডে পড়ার সময় বাবা জুলফিকার আলী ভুট্টো বেনজিরকে নিয়ে জাতিসংঘের সাধারণ অধিবেশনে যোগ দেন। তিনি কিভাবে হার্ভার্ডে যান। সেখানে কারা তার বন্ধু হয়। তিনি কখন অক্সফোর্ডে ভর্তি হন। তার বাবাকে যেদিন গ্রেফতার করে জিয়াউল হকের সেনাবাহিনী বাসা থেকে নিয়ে যান, তার বর্ননা।  ফাঁসির আগে বাবার সঙ্গে শেষ দেখা, কি কথা হয়। ছোট ভাই শাহনেয়াজ ভুট্টোকে কিভাবে বিষ প্রয়োগে প্যারিসে হত্যা করা হয় তাদের নির্বাসিত জীবনে সব আছে বইটিতে। ১৯৮৭ সালে কেমন জমকালো অনুষ্ঠান করে তিনি আসিফ আলী জারদারিকে বিয়ে করেন। গর্ববতী অবস্থায় তিনি কিভাবে তা লুকিয়ে ( গর্ববতী হওয়ার খবর) জনসভা করেন সব আছে বইটিতে। আমি মনে করি এটি একটি অবশ্য পাঠ্য বই। 

বইটির মূল প্রকাশকঃ সায়মন এন্ড শুস্টার। ইংল্যান্ড। 

বাংলাদেশে বইটির বাংলা অনুবাদ প্রকাশ করেছে 'চারদিক' প্রকাশনী। বইটি আমাদের দেশের বইয়ের সাইজের নয়। দৈর্ঘে ১ ইঞ্চি আর প্রস্থে ১ ইঞ্চি পরিমাণ বড়। ৪২৪ পৃষ্ঠার বইটির দাম ১২০০ টাকা। ডিসকাউন্ট দিয়ে ১০০০ টাকা। সংগ্রহে রাখার মতো একটা বই।

বেনজির ভুট্টোর আরেকটি বই আমি কয়েকবার পড়েছি। ওই বই নিয়েও লেখার ইচ্ছা আছে। বইটির নাম Reconciliation: Islam Democracy and the West. রেকনসিলেশন: ইসলাম, গনতন্ত্র ও পশ্চিমা বিশ্ব।

Benazir Bhutto

Former Prime Minister of Pakistan

Benazir Bhutto was the 11th Prime Minister of Pakistan and the leader of the centre-left Pakistan Peoples Party. She was the first woman to head a Muslim majority nation. 

Born: June 21, 1953, Karachi, Pakistan.

Assassinated: December 27, 2007, Rawalpindi, Pakistan

Spouse: Asif Ali Zardari (m. 1987–2007)

Parents: Zulfikar Ali Bhutto, Nusrat Bhutto

Children: Bilawal Bhutto Zardari, Bakhtawar Bhutto Zardari, Asifa Bhutto Zardari

Quotes

*Democracy is necessary to peace and to undermining the forces of terrorism.

*The government I led gave ordinary people peace, security, dignity, and opportunity to progress.

*Military hardliners called me a 'security threat' for promoting peace in South Asia and for supporting a broad-based government in Afghanistan.

Karim Chowdhury 

2 June, 2022

Cumilla

Bangladesh. 

*আমি বুক রিভিউ লিখি না.এটা একটা খুব সংক্ষিপ্ত আলোচনা। বুক রিভিউ নয়।*

মন্তব্যসমূহ

এই ব্লগটি থেকে জনপ্রিয় পোস্টগুলি

আমার দেখা ১৯৭৪ সালের দুর্ভিক্ষ

আমার দেখা ১৯৭৪ সালের দুর্ভিক্ষ সরকারঃ শেখ মুজিবের শাসনামল ১৯৭৪-এর দুর্ভিক্ষ বাংলাদেশে ১৯৭৪ সালের মার্চে শুরু হয়ে সেই বছরেরই ডিসেম্বরের দিকে গিয়ে শেষ হয়। এই দুর্ভিক্ষে অসংখ্য মানুষ অনাহারে মারা গিয়েছিল। এই দুর্ভিক্ষকে স্মরণকালের মধ্যে সবচেয়ে ভয়ানক হিসেবে গন্য করা হয়। ওই সময় আমি বুঝতাম। ক্লাশ ফোরে পড়তাম। আহারে ! কি যে অভাব ! অনেকের মতো আমরাও ভাত না খেয়ে রুটি খেয়েছি । তাও পরিমিত । কখনো জাউ খেয়েছি । শুকনো মরিচ পাওয়া যেতো না । কাঁচা মরিচের কেজি ছিলো ১৫০ টাকা । লবন ১২০ টাকা । আর সোনার ভরি ছিলো তখন ১৫০ টাকা । সোনা শুধু ওই সময় কম দাম ছিলো । চারদিকে অভাব । সারাদেশের মানুষের হাহাকার । কতো মানুষ না খেয়ে মারা গেছেন ! বিদেশি রিলিফ সব আওয়ামী লীগের লোকেরা চুরি করেছে । আর বেশিরভাগ রিলিফ সীমান্ত দিয়ে ভারতে চলে পাচার হয়েছিলো । তখন বর্ডার খোলা ছিলো তখন । মহিলাদের শাড়ি কাপড় ছিলো না । অনেকে মাছ ধরার জাল পরে লজ্জাস্থান ঢেকেছিলো । এসব ছবি পত্রিকায়ও ছাপা হয়েছিলো । কিন্তু আওয়ামী লীগ নেতাদের কোনো অভাব ছিলো না । বাংলাদেশের স্বাধীনতা যুদ্ধ শেষ হওয়ার মাত্র দুই বছর তিন মাসের মাথায় ...

বোতল

বোতল মানব জীবনে বোতল অপরিহার্য । বোতল অনেক অর্থেও ব্যবহার হয় । কোনো কোনো এলাকায় আনস্মার্ট, বেয়াক্কেল প্রকৃতির লোককেও বোতল বলা হয় । ইউরোপ আমেরিকায় থাকতে আমি ডৃংক করতাম । হার্ড ডৃংক কমই খেতাম । প্রতিদিনই বিয়ার খেতাম । বিয়ার স্বাস্থ্য ভালো রাখে ও কাজ করতে এনার্জি জোগায় । পরিমিত বিয়ার খেলে কেউ মাতাল হয় না । মাঝে মাঝে বিশেষ কোনো পার্টিতে হুইস্কি খাওয়া হতো । তাও দামি ব্র্যান্ডের । জনি ওয়াকার ব্ল্যাক লেবেল, টিচার্স, পাসপোর্ট, হেনেসি, শিভাস রিগাল, জ্যাক ড্যানিয়েলস । সাকুরায়ও অনেক সময় এসব ব্র্যান্ডের হুইস্কি পাওয়া যায় না । তো দেশে আসার পরও কিছু দিন ডৃংক করেছিলাম । কুমিল্লায় সরকার অনুমোদিত একটা মদের দোকান আছে চক বাজারে । নামঃ নাদের ট্রেডিং কোং । এটা প্রায় আজ ৫০ বছর । এখানে বিদেশি ব্র্যান্ডের ডৃংক পাওয়া যায় না । দেশিয় কোম্পানি ‘কেরো এন্ড কোং’ যা দর্শনায় অবস্থিত তার তৈরি ভদকা, হুইস্কি, জিন পাওয়া যায় । আমাদের সমাজতো রক্ষনশীল । তাই কান্দিরপাড় থেকে একটা স্প্রাইট কিনে অর্ধেক খেতে খেতে চক বাজার যেতাম । নাদেরে যখন পৌঁছতাম তখন স্প্রাইটের বোতল অর্ধেক খালি হয়ে যেতো । আমি বাবুল ভাইকে স্প্...

ফেবুতে মেয়েদের পোস্ট

ফেবুতে মেয়েদের পোস্ট সকালে ঘুম ভেঙে দেখি আট টা বাজে । শরীরটাও বেশি ভালো লাগছে না । আবার ঘুমাল াম । ১১টায় উঠলাম । ২ মগ চা খেলাম ( বাজারের হিসেবে ৮ কাপ হবে)। সবাই জানেন আমি স্মোক করি । চেইন স্মোকার । কম্পিউটার খোঁচাখুঁচি করে নিজে নিজেই ঠিক করলাম । প্রায় দুই ঘন্টা । আমি থাকি চার তলায় । দুপুর ১টা বাজে । খেতেও ইচ্ছে করছে না কিছু । তখনো মুখ ধুই নি । কম্পিউটারে খোঁচাখোঁচি করতে গিয়ে দেখি এক মেয়ে তার পা’য়ের একটা ছবি আপলোড করেছে । দেখলাম এই পা মানে ঠ্যাং এর ছবিতে লাইক পড়েছে ৯৪৭ টা । কমেন্ট অসংখ্য । ‘কতো সুন্দর এই পা । না জানি তুমি কতো সুন্দর । পা তো নয় যেন একটা গোলাপ ফুল’ । এ জাতীয় অনেক কমেন্ট । আমি পোষ্ট টা দেখে কিছুটা অবাক হলাম । একটা ঠ্যাং এর এতো কদর ! প্রায়ই লক্ষ্য করি, মেয়েরা যখনি কিছু আপলোড করে সেটা তাদের পায়ের ছবিই হোক,হাতের ছবিই হোক আর নাকের ছবিই হোক বা এক চোখের ছবিই হোক সে সব ছবিতে অগনিত লাইক আর কমেন্ট । মেয়ে বন্ধুদের ছোট করার জন্য বলছি না, ফেবুতে প্রায়ই দেখি মেয়েরা কোনো ছবি বা দু এক লাইন হাবিজাবি লিখলে লাইক আর কমেন্টের বন্যা বয়ে যায় । অনেক মেয়েরা শখ করে পিঠা, ...