সরাসরি প্রধান সামগ্রীতে চলে যান

দরকার নাই হায়

 দরকার নাই হায়               

-----------------------

হিন্দি ভাষা সম্পর্কে আমার জ্ঞান নেই বললেই চলে।তবে হিন্দি প্রেমের গান বুঝি! ওই ভাষার প্রতি আমি কখনোই আকর্ষণ বোধ করিনি। অনেকদিন আগে আমার হিন্দি বলার ধরণ নিয়ে ছোট করে লিখেছিলাম।

আমার এক বন্ধু সম্ভবত হিন্দি নিয়ে আমার ওই পোষ্টটি পড়েননি। গতকাল তিনি আমাকে দুটো এসএমএস করেছেন হিন্দিতে। ইংরেজি বর্ণমালা দিয়ে হিন্দি লিখেছেন।

১। ‘Main tujko kitna chahta hoon ye tu kabhi soch na sake .’

২। ‘Main chaahun tujko meri jan bepanaah

Fida hoon tujphe meri jaan bepanaah.’

১ নাম্বারটা এমন হতে পারে, ম্যা তুজকো কিত না চাতা হু ইয়ে তু কাভি সোচ না সাকে। এটুকু বুঝেছি যে, আমি তোমাকে কতোটা চাই তা তুমি বুঝতে পারো না।(জানি না হয়েছে কিনা।)

২ নাম্বারটা কিছুই বুঝিনি তবে এখানে ভালোবাসার কথা আছে। ‘ম্যা চা হু তুজকো মেরি জান….’ আছে তো। শেষের লাইন কি তা বুঝিনি।

যা হোক, আমি যেভাবে হিন্দি পারি বন্ধুকে সেভাবেই উত্তর লিখেছি।

“আমি হিন্দি নেহি বুঝতা হায়। তুমি কেনো আমাকে হিন্দি লিখতা হায়?"

তাজমহলে এমন হিন্দি বলায় এক হকার আমার দিকে অবাকভাবে তাঁকিয়েছিলো।

সেই কথা আজ আবার।

আমি হিন্দি বলতে পারিনা। কখনো চেষ্টাও করিনি। তবে কিছু বুঝি। ছোটবেলা থেকেই আমার ধারণা ছিলো, ক্রিয়া পদের শেষে ''তা" আর যে কোন বাক্যের শেষে "হায়" জুড়ে দিলেই হিন্দি হয়ে যায়। যেমন 'যাইতা হায়', 'খাইতা হায়' 'করতা হায়' 'বুঝতা হায়' 'ঘুমাইতা হায় ' 'আমি তোমাকে ভালোবাসতা হায়' ‘তুমি আমাকে নেহি বুঝতা হায়’ ‘উনি মেরা দুলাভাই হায়’ ইত্যাদি। 


তো ভারতের উত্তর প্রদেশের আগ্রায় তাজ মহলে গিয়েছিলাম। তাজ মহলের আশেপাশে প্রচুর হকার বিভিন্ন জিনিষ বিক্রি করে। আমাদের মতো টুরিস্ট দেখলে ওরা খুব জ্বালায়। কেনার জন্য পীড়াপীড়ি করে। কয়েকজনকে ইংরেজিতে I don't need বলে বিদায় করেছি। তারপরও অনেক হকার যন্ত্রণা করছিলো। এক পর্যায়ে আমি রেগে গিয়ে হিন্দিতে ধমক দিয়ে বলেছিলাম 'দরকার নাই হায়' ।

 © Karim Chowdhury 

14 April, 2022

Cumilla.

মন্তব্যসমূহ

এই ব্লগটি থেকে জনপ্রিয় পোস্টগুলি

আমার দেখা ১৯৭৪ সালের দুর্ভিক্ষ

আমার দেখা ১৯৭৪ সালের দুর্ভিক্ষ সরকারঃ শেখ মুজিবের শাসনামল ১৯৭৪-এর দুর্ভিক্ষ বাংলাদেশে ১৯৭৪ সালের মার্চে শুরু হয়ে সেই বছরেরই ডিসেম্বরের দিকে গিয়ে শেষ হয়। এই দুর্ভিক্ষে অসংখ্য মানুষ অনাহারে মারা গিয়েছিল। এই দুর্ভিক্ষকে স্মরণকালের মধ্যে সবচেয়ে ভয়ানক হিসেবে গন্য করা হয়। ওই সময় আমি বুঝতাম। ক্লাশ ফোরে পড়তাম। আহারে ! কি যে অভাব ! অনেকের মতো আমরাও ভাত না খেয়ে রুটি খেয়েছি । তাও পরিমিত । কখনো জাউ খেয়েছি । শুকনো মরিচ পাওয়া যেতো না । কাঁচা মরিচের কেজি ছিলো ১৫০ টাকা । লবন ১২০ টাকা । আর সোনার ভরি ছিলো তখন ১৫০ টাকা । সোনা শুধু ওই সময় কম দাম ছিলো । চারদিকে অভাব । সারাদেশের মানুষের হাহাকার । কতো মানুষ না খেয়ে মারা গেছেন ! বিদেশি রিলিফ সব আওয়ামী লীগের লোকেরা চুরি করেছে । আর বেশিরভাগ রিলিফ সীমান্ত দিয়ে ভারতে চলে পাচার হয়েছিলো । তখন বর্ডার খোলা ছিলো তখন । মহিলাদের শাড়ি কাপড় ছিলো না । অনেকে মাছ ধরার জাল পরে লজ্জাস্থান ঢেকেছিলো । এসব ছবি পত্রিকায়ও ছাপা হয়েছিলো । কিন্তু আওয়ামী লীগ নেতাদের কোনো অভাব ছিলো না । বাংলাদেশের স্বাধীনতা যুদ্ধ শেষ হওয়ার মাত্র দুই বছর তিন মাসের মাথায় ...

বোতল

বোতল মানব জীবনে বোতল অপরিহার্য । বোতল অনেক অর্থেও ব্যবহার হয় । কোনো কোনো এলাকায় আনস্মার্ট, বেয়াক্কেল প্রকৃতির লোককেও বোতল বলা হয় । ইউরোপ আমেরিকায় থাকতে আমি ডৃংক করতাম । হার্ড ডৃংক কমই খেতাম । প্রতিদিনই বিয়ার খেতাম । বিয়ার স্বাস্থ্য ভালো রাখে ও কাজ করতে এনার্জি জোগায় । পরিমিত বিয়ার খেলে কেউ মাতাল হয় না । মাঝে মাঝে বিশেষ কোনো পার্টিতে হুইস্কি খাওয়া হতো । তাও দামি ব্র্যান্ডের । জনি ওয়াকার ব্ল্যাক লেবেল, টিচার্স, পাসপোর্ট, হেনেসি, শিভাস রিগাল, জ্যাক ড্যানিয়েলস । সাকুরায়ও অনেক সময় এসব ব্র্যান্ডের হুইস্কি পাওয়া যায় না । তো দেশে আসার পরও কিছু দিন ডৃংক করেছিলাম । কুমিল্লায় সরকার অনুমোদিত একটা মদের দোকান আছে চক বাজারে । নামঃ নাদের ট্রেডিং কোং । এটা প্রায় আজ ৫০ বছর । এখানে বিদেশি ব্র্যান্ডের ডৃংক পাওয়া যায় না । দেশিয় কোম্পানি ‘কেরো এন্ড কোং’ যা দর্শনায় অবস্থিত তার তৈরি ভদকা, হুইস্কি, জিন পাওয়া যায় । আমাদের সমাজতো রক্ষনশীল । তাই কান্দিরপাড় থেকে একটা স্প্রাইট কিনে অর্ধেক খেতে খেতে চক বাজার যেতাম । নাদেরে যখন পৌঁছতাম তখন স্প্রাইটের বোতল অর্ধেক খালি হয়ে যেতো । আমি বাবুল ভাইকে স্প্...

অশ্লীল নাম

বাংলাদেশের কিছু প্রতিষ্ঠান ও স্থানের বিচিত্র বা বিকৃত অর্থের নাম যা পরিবর্তন করা উচিতঃ ১. বোদা মহিলা মহাবিদ্যালয়, বোদা, পঞ্চগড় ২. চুমাচুমি সরকারি প্রাথমিক বিদ্যালয়, রাঙ্গামাটি ৩. সোনাপোতা সরকারি প্রাথমিক বিদ্যালয়, খুলনা ৪. মানুষমারা সরকারি প্রাথমিক বিদ্যালয়, নীলফামারি ৫. সোনাকাটা ইউনিয়ন, তালতলী, বরগুনা ৬.বড়বাল ইউনিয়ন, মিঠাপুকুর, রংপুর ৭.সোনাখাড়া ইউনিয়ন, রায়গঞ্জ, সিরাজগঞ্জ ৮. ধনকামড়া গ্রাম, ভোদামারা, দিনাজপুর ৯.গোয়াকাটা, দোহার, ঢাকা ১০. গোয়াতলা, ময়মনসিংহ ১১.লেংটার হাট, মতলব, চাঁদপুর