ইসরাইল- ফিলিস্তিন সংঘাত
-----------------------------------------
১৯৪৮-৪৯, ১৯৫৬, ১৯৬৭, ১৯৭৩, ১৯৮২, ২০০৬ এই ছয় বার পূর্ণ মাত্রায় আরব- ইসরাইল যুদ্ধ হয়েছিলো। একবারও আরবরা জিততে পারেনি।
২২টি মুসলিম দেশ নিয়ে আরব লীগ। আজ পর্যন্ত কোনো বিষয়ে তারা একমত হতে পারেনি। কেনো?
The Arab League formally the League of Arab States is a regional organization in the Arab world, which is located in North Africa, West Asia, and part of East Africa. The Arab League was formed in Cairo on 22 March 1945, initially with six members: Egypt, Iraq, Transjordan, Lebanon, Saudi Arabia, and Yemen joined as a member on 5 May 1945. Currently, the League has 22 members.
Headquarter: Cairo, Egypt.
Official Language: Arabic
৫৭টি দেশ দেশ নিয়ে অর্গেনাইজেশন অফ ইসলামিক কনফারেন্স। গত কিছুদিনের যুদ্ধে ওআইসি কিছুই করেনি।
The Organisation of Islamic Cooperation (OIC) is the second largest inter-governmental organisation after the United Nations, with the membership of 57 states, covering four continents. The OIC is the collective voice of the Muslim world to ensure and safeguard their interest on economic socio and political areas.
A Brief on the Organisation of Islamic Cooperation (OIC)
Membership: 57 member states
Founded: September 25, 1969
Headquarter : Jeddah, Saudi Arabia
Official languages: Arabic; English; French
ছাত্রজীবনে আমি আমেরিকা বিরোধী ছিলাম। সরাসরি রাজনীতি করিনি। তবে'মার্কিন সাম্রাজ্যবাদ নিপাত যাক' বলে অনেক শ্লোগান দিয়েছি। ছোট খাটো কম্যুনিস্ট ছিলাম। সোভিয়েত ইউনিয়নের পক্ষে ছিলাম। ৯০ দশকে ইউরোপ ছিলাম। খুব কাছে থেকে সমাজতন্ত্রের পতন দেখেছি। কয়েকটি সমাজতান্ত্রিক দেশ ভ্রমণ করে ওইসব দেশের নাগরিকদের সঙ্গে কথা বলে বুঝেছি কেনো সমাজতন্ত্র ভেঙে গেলো।
এক সময় আমেরিকায় গিয়ে বুঝেছি কেনো পুঁজিবাদের সঙ্গে সমাজতন্ত্র পেরে উঠেনি। আমেরিকা তার নিজ দেশে মুক্ত, স্বাধীন, বাক ও ব্যক্তি স্বাধীনতা, মানবাধিকার, আইনের শাসন, নাগরিক সুবিধা ও অধিকারে পৃথিবীর এক নাম্বার দেশ। বেশি দূরে যাওয়ার দরকার নেই। ১৯৭২ সালে ওয়াটারগেট কেলেংকারী 'ওয়াশিংটন পোস্ট' এ প্রকাশিত হলে প্রেসিডেন্ট নিক্সনকে পদত্যাগ করতে হয়েছিলো। এই সেদিন বিল ক্লিনটন হোয়াইট হাউস ইন্টার্ন মনিকা লিউনস্কির সঙ্গে পরকীয়ায় জড়ালে সারা আমেরিকা তোলপাড় হয়ে যায়। ইন্ডিপেন্ডেন্ট কাউন্সিলের ল'ইয়ার কেনেথ স্টার প্রেসিডেন্ট ক্লিনটনকে বিরাট হেস্তনেস্ত করেন। ক্লিনটন এই সম্পর্ক অস্বীকার করেন। কেনেথ স্টার প্রমাণ করেন মনিকার সঙ্গে ক্লিনটনের যৌন সম্পর্ক ছিলো। ক্লিনটন ইমপিচমেন্টের পর্যায়ে চলে গিয়েছিলেন। শেষমেশ স্ত্রী হিলারিকে সঙ্গে নিয়ে একযোগে আমেরিকার সব টিভি চ্যানেলে উপস্থিত হয়ে দেশের জনগণের কাছে ঘটনার সত্যতা স্বীকার করে মাফ চান। জাতির কাছে মিথ্যা বলার জন্য তিনি অনুতাপ প্রকাশ করে নি:শর্ত ক্ষমা চান। আমি নিউ ইয়র্কের বাসায় বসে নিজে ক্লিনটনের মাফ চাওয়ার ভাষণ দেখলাম, শুনলাম।
খারাপ যতোই হোক বুশ জুনিয়র, ( খারাপ কেনো? আফগানিস্তান, ইরাক দখল করেছে সেজন্য? বিন লাদেন আমেরিকাকে খোঁচা মারতে গেছে কেনো?) তার দুই মেয়ে জেনা বুশ ও বারবারা বুশ মদ খেয়ে গাড়ি চালালে পুলিশ তাদের ফাইন করে। অথচ তাদের বাবা তখন সিটিং প্রেসিডেন্ট! প্রেসিডেন্টের মেয়েকেও পুলিশ ফাইন করতে পারে। এই হলো আমেরিকা।
কয়েকদিন আগে ইমিডিয়েট পাস্ট প্রেসিডেন্ট ট্রাম্পকে গ্রেফতার করা হয়। তিনি ১ মিলিয়ন ডলারে জামিনে আছেন এখন। বর্তমান প্রেসিডেন্ট জো বাইডেনের ছেলের দুর্নীতির অভিযোগের তদন্ত চলছে।
আমেরিকাকে বলা হয় Land of opportunity. যোগ্যতা থাকলে তার মূল্যায়ন হবেই। সেজন্যই ব্ল্যা*ক ওবামা প্রেসিডেন্ট হতে পেরেছিলেন।
আমেরিকার বেশিরভাগ মিডিয়ার মালিক ইহুদী। কি সংবাদপত্র, কি টেলিভিশন। নিউইয়র্কে অনেক ইহুদীর সঙ্গে কথা বলার সুযোগ হয়েছিলো। প্রচুর ইহুদীর বসবাস নিউইয়র্কে।
অপ্রয়োজনীয় কথা বলে লাভ নেই। সব আরব দেশ মিলেও আমেরিকার সাথে পারবে না। পারবে না ইসরাইলের সঙ্গেও। হামাসের রকেট হামলার পর ইসরাইল কয়েক হাজার ফিলিস্তিনি মেরেছে। গতকাল হাসপাতালে বিমান হামলা চালিয়ে ১০০০ এর উপর রোগীসহ অনেক ডাক্তার মেরে ফেলেছে। মুসলিম বিশ্ব নিন্দা জানায়, ফেইসবুকে বাঙালী মুসলমানরা ইসরাইলের বিরুদ্ধে স্ট্যাটাস দিয়ে ফাটাই ফেলতেছে। মনে হচ্ছে, এরা হেঁটে গিয়ে ইসরাইল দখল করবে! চুলও ছিড়তে পারেনি ইসরাইলের। আরব বিশ্বের সামরিক দিকে সবচেয়ে শক্তিশালী দেশ ইরাক শেষ করে দিয়েছে। আরেক শক্তিশালী দেশ সিরিয়া শেষ। আরেক শক্তিশালী দেশ মিশর। আমেরিকা- ইসরাইলের ঘনিষ্ঠ বন্ধু। মুহাম্মদ মুরসিকে মেরে সেনাপ্রধান আবদেল ফাত্তাহ আল সিসিকে মিশরের প্রেসিডেন্ট বানায় ইসরাইল।
ইহুদীরা আমেরিকা সরকারকে নিয়ন্ত্রণ করে।
ইসলাম শ্রেষ্ঠ ধর্ম এসব বলে অন্য ধর্মের লোককে ঘৃণা করা হয়। প্রতিনিয়ত মুসলমানরা এদেরকে
ইহুদী, খৃষ্টান, নাসারা বলে গালাগালি করে। বাংলাদেশের ওয়াজ করা মাওলানা, ফেইসবুকার, ইউটিউবার আর কট্টরপন্থী ও উগ্রবাদী মুসলমানরা হিংসা, বিদ্বেষ আর অন্য ধর্মের মানুষকে ঘৃণা করতে শেখায়। জিহাদের নামে অমুসলিমদের হত্যা করতে বলে। আবার বলে ইসলাম শান্তির ধর্ম! এই বাটপারি ওরা ধরে ফেলেছে।
তাই অন্য ধর্মের লোকেরা বসে থাকবে কেনো?
দ্বিতীয়ত: মুসলিম সমাজ অনেক ভাগে বিভক্ত। এরা নবী নূরের তৈরি না মাটির তৈরি, তারাবিহ নামাজ ৮ রাকাত না ২০ রাকাত, আমীন আস্তে বলাবে না জোরে বলবে, বিতির নামাজ ১ রাকাত না ৩ রাকাত, ঈদের নামাজ ৬ তাকবীর না ১২ তাকবীরে পড়বে এসব নিয়ে নিজেরদের মধ্যে ঝগড়াঝাটিতে ব্যস্ত। মুসলমানদের মধ্যেই অনেক সমস্যা। শিক্ষাদীক্ষায় অনেক পিছিয়ে। নিরপেক্ষ ও তুলনামূলক একাডেমিক আলোচনা করলেও যদি সেই আলোচনা ইহুদী খৃষ্টানদের পক্ষে যায় তখন এই দেশের কথিত মুসলমানরা 'নাস্তিক' 'মুরদাত' বলতেও দ্বিধা করে না। অথচ কোনো মুসলমান যখন ইসলাম ত্যাগ করে নাস্তিকতা বা অন্য ধর্ম অবলম্বন করে তখন তাকে ইসলামী পরিভাষায় মুরতাদ বলে।
এরা দাড়ি, টুপি, আর মহিলাদের হিজাব নিয়েই ব্যস্ত। মুসলিম সমাজ দুর্নীতিতে ছেয়ে গেছে। মুসলমানদের মধ্যে কোনো নৈতিকতা নেই। ঘুষ নেয়ার পর তিনি বলেন,
" আপনার কাজ হয়ে যাবে ইনশাআল্লাহ।"
তিনি আরো বলেন,
"টাকা (ঘুষ)দিলে দেন। আমি নামাজ পড়তে যাবো।"
রোজার মাসে তিনি বলেন,
" ইফতার খাওয়ার টাকা দিবেন না?" এই হলো বাঙালী মুসলমান!
আরো কিছু কথা ছিলো কিন্তু কেউ মনে আঘাত পান তা আমি চাই না। জর্জ ওয়াশিংটন বিশ্ববিদ্যালয়ের অধ্যাপক হুসেন আসকারীর গবেষণায় মুসলমান সমাজের চিত্র ভয়ানকভাবে ফুটে উঠেছে।
"ইসলামিক দেশগুলো কতখানি ইসলামিক এই নিয়ে গবেষণা করেন জর্জ ওয়াশিংটন ইউনিভার্সিটির অধ্যাপক হুসেন আসকারী। ইসলাম ধর্মে রাষ্ট্র ও সমাজ চলার যে বিধান দেয়া হয়েছে তা যে দেশগুলো প্রতিদিনের জীবনে মেনে চলে তা খুঁজতে যেয়ে দেখা গেলো,-- যারা সত্যিকারভাবে ইসলামিক বিধানে চলে তারা কেউ বিশ্বাসী মুসলিম দেশ নয়।
স্টাডিতে দেখা গেছে সবচেয়ে ইসলামিক বিধান মেনে চলা দেশ হচ্ছে নিউজিল্যান্ড এবং দ্বিতীয় অবস্থানে লুক্সেমবার্গ। তারপর এসেছে পর্যায়ক্রমে আয়ারল্যান্ড, আইসল্যান্ড, ফিনল্যান্ড, ডেনমার্ক ষষ্ঠ ও কানাডা সপ্তম অবস্থানে। মালয়েশিয়া ৩৮তম, কুয়েত ৪৮তম, বাহরাইন ৬৪তম এবং অবাক করা কান্ড সৌদি আরব ১৩১তম অবস্থানে। গ্লোবাল ইকোনমি জার্নালে প্রকাশিত এই গবেষণায় বাংলাদেশের অবস্থান সৌদীদেরও নীচে।
গবেষণায় দেখা গেছে, মুসলমানরা নামাজ, রোজা, সুন্নাহ, কোরআন, হাদিস, হিজাব, দাড়ি, লেবাস নিয়ে অতি সতর্ক কিন্তু রাষ্ট্রীয়, সামাজিক ও পেশাগত জীবনে ইসলামের আইন মেনে চলে না।
মুসলমানরা পৃথিবীর সবার চেয়ে বেশি ধর্মীয় বয়ান,ওয়াজ নসিহত শোনে কিন্তু কোনো মুসলিম দেশ পৃথিবীর সেরা রাষ্ট্র হতে পারেনি। অথচ গত ষাট বছরে মুসলমানরা অন্ততঃ ৩০০০ বার জুমার খুতবা শুনেছে।
একজন বিধর্মী চাইনিজ ব্যবসায়ী বলেছেন, মুসলমান ব্যবসায়ীরা আমাদের কাছে এসে দুই নম্বর নকল জিনিষ বানানোর অর্ডার দিয়ে বলে, অমুক বিখ্যাত কোম্পানির লেবেল লাগাবেন। পরে যখন তাদেরকে বলি আমাদের সাথে খানা খান, তখন তাঁরা বলেন, হালাল না, তাই খাবো না। তাহলে নকল মাল বিক্রি করা কি হালাল?
একজন জাপানি নব্য মুসলিম বলেছেন, আমি পশ্চিমা দেশগুলোতে অমুসলিমদের ইসলামের বিধান পালন করতে দেখি, আর পূর্বের দেশগুলোতে ইসলাম দেখি কিন্তু কোন মুসলিম দেখি না। আলহামদুলিল্লাহ, আমি আগেই ইসলাম এবং মুসলমানদের পার্থক্য বুঝেই আল্লাহর ধর্ম গ্রহন করেছি।
ইসলাম ধর্ম শুধু নামাজ রোজা নয়, এটি একটি জীবন বিধান এবং অন্যের সাথে মোয়ামালাত আর মোয়াশারাতের বিষয়। একজন নামাজ রোজা করা আর কপালে দাগওয়ালা মানুষও আল্লাহর চোখে একজন মোনাফেক হতে পারে।
নবী(স:) বলেছেন, "আসল সর্বহারা আর রিক্ত মানুষ হচ্ছে তারা, যারা কেয়ামতের দিন রোজা, নামাজ, হজ্ব, দান খয়রাত নিয়ে হাজির হবে কিন্তু দুর্নীতি করে সম্পদ দখল, অন্যদের হক না দেয়া, মানুষের উপর অত্যাচারের কারণে রিক্ত হস্তে জাহান্নামে যাবে।"
ইসলামের দুটি অংশ, একটি হচ্ছে বিশ্বাসের প্রকাশ্য ঘোষণা যাকে 'ঈমান' বলা হয়, আর একটি হচ্ছে বিশ্বাসের অন্তর্গত বিষয় যাকে 'এহসান' বলা হয়,-- যা ন্যায়গতভাবে সঠিক সামাজিক নিয়ম কানুন মেনে চলার মাধ্যমে বাস্তবায়ন হয়। দু'টোকে একত্রে প্র্যাকটিস না করলে ইসলাম অসম্পূর্ন থেকে যায় যা প্রতিটি নামের মুসলমান দেশে হচ্ছে।
ধর্মীয় বিধি নিষেধ মানা যার যার ব্যক্তিগত দায়িত্বের মধ্যে পড়ে এবং এটি আল্লাহ ও বান্দার মধ্যকার বিষয়। কিন্তু সামাজিক বিধি নিষেধ মেনে চলা একজন বান্দার সাথে অন্য বান্দার মধ্যকার বিষয়। অন্য কথায়, ইসলামিক নীতিমালা যদি মুসলমানরা নিজেদের জীবনে ব্যবহারিক প্রয়োগ না করে, মুসলিম সমাজ দুর্নীতিতে ছেয়ে যাবে এবং আমাদের ভবিষ্যৎ হবে অসম্মানজনক।
বার্নার্ড' শ একবার বলেছিলেন, "ইসলাম হচ্ছে শ্রেষ্ঠ ধর্ম এবং মুসলমানরা হচ্ছে সর্ব নিকৃষ্ট অনুসারী।"
এই হলো মুসলমান!!!!
শিক্ষাদীক্ষা, জ্ঞান, বিজ্ঞান, প্রযুক্তিতে মুসলমান সমাজ অনেক পিছিয়ে।
অন্যদিকে ইহুদি বা জিউস(Jews) ধর্মাবলম্বীরা কেমন আমরা দেখবো।
পৃথিবীতে ইহুদিদের মোট সংখ্যা দেড় কোটির মতো।
একটি মাত্র ইহুদি রাষ্ট্র – ইসরাইল।
ইসরাইলে ইহুদির সংখ্যা মাত্র ৫৪ লাখ, অবশিষ্ট প্রায় এক কোটি ইহুদি সারা পৃথিবীতে ছড়িয়ে আছে।
এর মধ্যে আমেরিকাতে ৭০ লাখ, কানাডাতে ৪ লাখ আর বৃটেনে ৩ লাখ ইহুদি থাকে।
ইহুদিরা মার্কিন জনসংখ্যার মাত্র ২%, আর পৃথিবীর মোট জনসংখ্যার মাত্র ০.২%।
অর্থাৎ পৃথিবীর প্রতি ৫০০ জনে একজন ইহুদি!
কিন্তু জনসংখ্যার দিক দিয়ে ঢাকা শহরেরও কম হলেও বিশ্বে ইহুদি সম্প্রদায় থেকে যুগে যুগে বেরিয়ে এসেছে অসংখ্য প্রতিভাবান ব্যক্তি।
ইহুদীরা অনেক এগিয়ে। ঐক্যবদ্ধ। তাদের সঙ্গে মুসলমানরা পারবে না বলে আমার মত।
প্রথমত ইহুদী জাতি জ্ঞান, বিজ্ঞান, প্রযুক্তিতে অনেক এগিয়ে। বাংলাদেশের সাধারণ মানুষের ইহুদীদের সম্পর্কে কোনো জ্ঞানই নেই।
আমেরিকান বিশ্ববিদ্যালয়গুলোর দৃষ্টান্ত হচ্ছে এমন, ওআইসি-র ৫৭টি দেশে বিশ্ববিদ্যালয় আছে পাঁচ হাজারের মতো, আর এক আমেরিকাতেই বিশ্ববিদ্যালয় আছে প্রায় ছয় হাজার-এর কাছাকাছি।
ওআইসিভুক্ত দেশগুলোর একটা বিশ্ববিদ্যালয়ও যেখানে The World University Ranking সাইট এর প্রথম ১০০টা বিশ্ববিদ্যালয়ের মধ্যে স্থান পায়নি, সেখানে প্রথম একশোর মধ্যে জায়গা করে নিয়েছে আমেরিকার ৪৫টা বিশ্ববিদ্যালয়। (প্রথম দশটার মধ্যে সাতটা)
যেখানে প্রথম ২০০-র মধ্যে ওআইসিভুক্ত ৫৭ টি মুসলিম দেশের একটি মাত্র বিশ্ববিদ্যালয় হচ্ছে তুরস্কের Bogazici University (১৯৯ তম)।
সেখানে আমেরিকার বিশ্বসেরা বিশ্ববিদ্যালয়গুলোর ২০% স্টুডেন্টস ইহুদি সম্প্রদায় থেকে আসা।
আমেরিকান নোবেল বিজয়ীদের মোটামুটি ৪০% ইহুদি অর্থাৎ নোবেল বিজয়ী প্রতি চার থেকে পাঁচ জনের একজন ইহুদি।
আমেরিকার অধিকাংশ বিশ্ববিদ্যালয়ের প্রফেসর ইহুদি।
আমেরিকার উত্তর-পূর্বাঞ্চলীয় আটটি বিশ্ববিদ্যালয়কে একত্রে আইভি লিগ বলে। এই আটটি বিশ্ববিদ্যালয়কে একত্রে একটি গ্রুপ হিসেবে পরিচয় প্রদানের ক্ষেত্রেও “আইভি লিগ” নামটি ব্যবহৃত হয়। আটটি বিশ্ববিদ্যালয় হলো: ব্রাউন ইউনিভার্সিটি, কলাম্বিয়া ইউনিভার্সিটি, কর্নেল ইউনিভার্সিটি, হার্ভার্ড ইউনিভার্সিটি, প্রিন্সটন ইউনিভার্সিটি, ইউনিভার্সিটি অফ পেনসিলভানিয়া, ডার্টমাউথ কলেজ এবং ইয়েল ইউনিভার্সিটি।
২০০৯ সালের এক জরিপে দেখা গেছে আইভি লীগ বিশ্ববিদ্যালয়ের সব ক'জন ভিসি-ই ইহুদি।
হতে পারে ইহুদিরা আমেরিকার মোট জনসংখ্যার ২ শতাংশ, কিন্তু আমেরিকান রাজনীতিতে তাদের প্রভাব একচেটিয়া। আমেরিকার ১০০ জন সিনেটরের মধ্যে ১৩ জন ইহুদি।
আমেরিকার এক্সপোর্ট ইমপোর্ট ব্যাংকসহ গুরুত্বপূর্ণ ব্যাংকগুলো ইহুদিদের দখলে। ফলে আমেরিকার কেউ চাইলেও এদের কিছু করতে পারবে না। বরং জিউশ কমিউনিটি বা ইহুদি সম্প্রদাকে হাতে না রাখলে ক্ষমতায় টেকা যাবে না। এসব কারণে শুধু জিউশ কমিউনিটির সঙ্গে যোগাযোগ রাখতে ক্ষমতাসীন মার্কিন প্রেসিডেন্টের প্রশাসনের কয়েকজন শীর্ষ কর্মকর্তাকে সার্বক্ষণিকভাবে কাজ করে যেতে হয়।
আমেরিকার রাজনৈতিক ও আর্থসামাজিক ব্যবস্থাপনা নিয়ন্ত্রণ করে মূলতঃ কর্পোরেট হাউজগুলো। তারা প্রেসিডেন্ট পর্যন্ত বানাতে পারে এবং প্রেসিডেন্টকে সরাতে পারে। এসব কর্পোরেট হাউজগুলোর দিকে তাঁকালে দেখা যায় এদের মালিক কিংবা অধিকাংশ ক্ষেত্রেই কম্পানিগুলোর মূল দায়িত্বে থাকা প্রধান নির্বাহী কর্মকর্তা বা চীফ এক্সজিকিউটিভ অফিসার, সিইও হলেন ইহুদি কমিউনিটির মানুষ।
এই কথা মাইক্রোসফটের ক্ষেত্রে যেমন সত্য তেমনি জাপানি কোম্পানি সনির আমেরিকান অফিসের জন্যও সত্য। প্রায় অধিকাংশ গুরুত্বপূর্ণ পদে জিউশ আমেরিকানরা কাজ করছেন। জিউশ কমিউনিটির ক্ষমতাধর বিলিয়নেয়াররা মিলিতভাবে যে কোনো ঘটনা ঘটিয়ে দিতে পারেন।
আমেরিকায় দৈনিক পত্রিকা বিক্রি হয় প্রতিদিন প্রায় কমপক্ষে ৫৮ মিলিয়ন কপি। জাতীয় ও স্থানীয় মিলিয়ে দেড় হাজার পত্রিকা সেখানে প্রকাশিত হয়। এসব পত্রিকাসহ বিশ্বের অধিকাংশ পত্রিকা যে নিউজ সার্ভিসের সাহায্য নেয় তার নাম দি এসোসিয়েটেড প্রেস বা এপি (AP)। এ প্রতিষ্ঠানটি এখন নিয়ন্ত্রণ করছেন এর ইহুদি ম্যানেজিং এডিটর ও ভাইস প্রেসিডেন্ট মাইকেল সিলভারম্যান। তিনি প্রতিদিনের খবর কী যাবে, না যাবে তা ঠিক করেন।
আমেরিকার পত্রিকাগুলোর মধ্যে রাজনৈতিক, অর্থনৈতিক ও সামাজিক ক্ষেত্রে সবচেয়ে প্রভাব বিস্তারকারী তিনটি পত্রিকা হলো নিউইয়র্ক টাইমস্, ওয়াল ষ্টৃট জার্ণাল এবং ওয়াশিংটন পোষ্ট। এ তিনটি পত্রিকার পূর্ণ নিয়ন্ত্রণ ইহুদিদের হাতে।
ওয়াটারগেট কেলেংকারীর জন্য প্রেসিডেন্ট নিক্সনকে পদত্যাগ করতে বাধ্য করেছিলো ওয়াশিংটন পোষ্ট। এর বর্তমান সিইও ডোনাল্ড গ্রাহাম ইহুদি মালিকানার তৃতীয় প্রজন্ম হিসেবে কাজ করছেন। উগ্রবাদী ইহুদি হিসেবে তিনি পরিচিত। ওয়াশিংটন পোষ্ট আরও অনেক পত্রিকা প্রকাশ করে। এর মধ্যে আর্মিদের জন্যই করে ১১টি পত্রিকা।
আমেরিকার রাজনৈতিক জগতে প্রভাবশালী নিউইয়র্ক টাইমস-এর প্রকাশক প্রজন্মের পর প্রজন্ম ধরে ইহুদিরা হয়ে আসছেন। বর্তমান প্রকাশক ও চেয়ারম্যান আর্থার সালজবার্গার প্রেসিডেন্ট ও সিইও রাসেল টি লুইস এবং ভাইস চেয়ারম্যান মাইকেল গোলডেন সবাই ইহুদি।
বিশ্বের অর্থনীতি যারা নিয়ন্ত্রণ করেন তাদের নিয়ন্ত্রণ করে ওয়াল ষ্টৃট জার্নাল। আঠারো লাখেরও বেশি কপি চলা এই পত্রিকার ইহুদি প্রকাশক ও চেয়ারম্যান পিটার আর কান তেত্রিশটিরও বেশি পত্রিকা ও প্রকাশনা সংস্থা নিয়ন্ত্রণ করেন।
এর চেয়েও ভয়ংকর তথ্য হলো ইহুদিদের সমর্থন ব্যতীত কেউ আমেরিকার প্রেসিডেন্ট হতে পারেন না, কোনো প্রেসিডেন্ট, প্রেসিডেন্ট থাকতে পারেন না।
বাংলাদেশের রাজনীতিতে ভারতের প্রভাব যতোটুকু- আমেরিকান রাজনীতিতে ইহুদিদের প্রভাব তার চেয়েও অনেক অনেক বেশি।
প্রধান ধর্মগুলোর পর পৃথিবীতে যে মতবাদটি সবচেয়ে বেশী প্রভাব ফেলেছে সেই কমিউনিজমের স্বপ্নদ্রষ্টা কার্ল মার্কস ইহুদি সম্প্রদায় থেকে এসেছেন।
বিশ্বের মানুষকে মুগ্ধ করে রাখা যাদু শিল্পি হুডিনি ও বর্তমানে ডেভিড কপারফিল্ড এসেছেন একই কমিউনিটি থেকে।
এসেছেন আলবার্ট আইনস্টাইনের মতো বিজ্ঞানী, যাকে বিংশ শতাব্দীর শ্রেষ্ঠ বিজ্ঞানী বলা হয় আর প্রফেসর নোয়াম চমস্কি'র মত শিক্ষাবিদ ও দার্শনিক যাকে প্রদত্ত ডক্টরেটের সংখ্যা আশিটিরও বেশি।
ভয়ংকর তথ্য হলো ইহুদিদের সমর্থন ব্যতীত কেউ আমেরিকার প্রেসিডেন্ট হতে পারেন না, কোনো প্রেসিডেন্ট, প্রেসিডেন্ট থাকতে পারেন না।
বাংলাদেশের রাজনীতিতে ভারতের প্রভাব যতোটুকু- আমেরিকান রাজনীতিতে ইহুদিদের প্রভাব তার চেয়েও অনেক অনেক বেশি।
আমেরিকার প্রেসিডেন্ট নির্বাচনে নির্বাচনী ফান্ড বা তহবিল সংগ্রহ একটা বড় ধরণের চ্যালেঞ্জ। বারাক ওবামা বা বিল ক্লিনটন নিজের টাকায় প্রেসিডেন্ট হতে পারতেন না। ডোনেশান এবং পার্টির টাকায় তাদের নির্বাচনী ব্যয় মিটাতে হয়েছে। আর মার্কিন প্রেসিডেন্ট প্রার্থীদের সবচেয়ে বড় নির্বাচনী ফান্ড দাতা প্রতিষ্ঠান হচ্ছে – AIPAC – America Israel Public Affairs Committee.
আমেরিকার এক্সপোর্ট ইমপোর্ট ব্যাংকসহ গুরুত্বপূর্ণ ব্যাংকগুলো ইহুদিদের দখলে। ফলে আমেরিকার কেউ চাইলেও এদের কিছু করতে পারবে না। বরং জিউশ কমিউনিটি বা ইহুদি সম্প্রদাকে হাতে না রাখলে ক্ষমতায় টেকা যাবে না। এসব কারণে শুধু জিউশ কমিউনিটির সঙ্গে যোগাযোগ রাখতে ক্ষমতাসীন মার্কিন প্রেসিডেন্টের প্রশাসনের কয়েকজন শীর্ষ কর্মকর্তাকে সার্বক্ষণিকভাবে কাজ করে যেতে হয়।
মিডিয়া জগতে যদি আপনি তাঁকান তাহলে দেখবেন;
CNN, AOL, HBO, Cartoon Network, New line Cinema, Warner Bross, Sports illustrated, People - Gerald Levin – ইহুদি মালিক নিয়ন্ত্রিত।
ABC, Disney Channel, ESPN, Touchstone pictures-Michael Eisner–ইহুদি মালিক নিয়ন্ত্রিত।
Fox Network, National Geographic, 20th century Fox Rupert Murdoch – ইহুদি মালিক নিয়ন্ত্রিত।
Top 4 famous Newspapers of USA & their Editors.
New York Times–Arthur Sulzberger
New York Post–Rupert Murdoch
Washington Post–K.M. Graham
Wall street journal–Robert Thomson
সব কয়টি খবরের কাগজই ইহুদি মালিক নিয়ন্ত্রিত।
আপনার প্রিয় মিডিয়া ফেইসবুক এর প্রতিষ্ঠাতা Mark Zuckerberg পর্যন্ত একজন ইহুদি।
কেনো ইহুদিরা এতো বুদ্ধিমান হয় এই নিয়ে গবেষণা করেন আমেরিকান ডাক্তার স্টিফেন কার লিওন।
তিনি তার গবেষণায় লিখেন....
"ইসরাইলের কয়েকটি হাসপাতালে তিন বছর মধ্যবর্তীকালীন কাজ করার কারনেই বিষয়টি নিয়ে গবেষণা করার চিন্তা আমার মাথায় আসে।
এতে অমত করার কোনোই সুযোগ নেই যে, ইহুদিরা ইঞ্জিনিয়ারিং, সংগীত, জ্ঞান, বিজ্ঞানসহ জীবনের প্রায় প্রতিটি ক্ষেত্রেই অন্যদের থেকে অনেক অনেক এগিয়ে এবং বিশেষ করে ব্যবসার ক্ষেত্রে। প্রসাধনী, খাদ্য, অস্ত্র, ফ্যাশন, ফিল্ম ইন্ডাষ্ট্রি ইত্যাদিসহ (হলিউড) পৃথিবীর প্রায় সত্তর ভাগের কাছাকাছি ব্যবসা প্রতিষ্ঠান এদের দখলে।
দ্বিতীয় বছর আমি যখন ক্যালিফোর্নিয়া ফেরত যাচ্ছিলাম তখন এই চিন্তা আমার মাথায় আসে যে, স্রষ্টা কেনো তাদেরকে এই বিশেষ ক্ষমতা(বুদ্ধিমত্তা) দিয়ে দুনিয়াতে পাঠিয়েছেন। এটা কি নিতান্তই কোনো কাকতালীয় ব্যাপার নাকি ব্যাপারটা মনুষ্যসৃষ্ট? ফ্যাক্টরি থেকে যেমন বিভিন্ন জিনিস বানানো যায় তেমন করে কি বুদ্ধিমান ইহুদি বানানো সম্ভব? সকল তথ্য উপাত্ত সঠিকভাবে সংগ্রহ করে আমার গবেষণা শেষ করতে প্রায় আট বছর সময় লেগে যায়, যেমন তাদের খাদ্যাভাস, সংস্কৃতি, ধর্ম, গর্ভাবস্থার প্রস্তুতি ইত্যাদি এবং পরবর্তীতে এসব আমি অন্যান্য জাতির সঙ্গে তুলনা করবো।
প্রথমেই শুরু করা যাক মহিলাদের গর্ভাবস্থার প্রাক প্রস্তুতি দিয়ে। ইসরাইলে প্রথমেই যে জিনিসটা আমার নজড়ে আসে সেটা হচ্ছে গর্ভবতী মায়েরা সবসময় গান বাজনা এবং পিয়ানো বাজাবে এবং তাদের স্বামীদেরকে নিয়ে গনিতের বিভিন্ন সমস্যার সমাধান করবে। গর্ভবতী মহিলারা সবসময় গনিতের বই সাথে নিয়ে ঘুরে যেটা দেখে আমি সত্যিকার অর্থেই খুব আশ্চার্যিত হয়েছিলাম। এমনকি আমি নিজেও কয়েকবার তাদের গনিতের সমস্যা সমাধান করে দিয়েছিলাম। আমি একবার একজনকে জিজ্ঞেস করেছিলাম যে, এটা কি তুমি তোমার গর্ভের সন্তানের জন্য করছো? তখন সে উত্তর দিয়েছিলো, হ্যাঁ। এটা আমরা করি যাতে শিশু গর্ভে থাকা অবস্থা থেকেই প্রশিক্ষন নিতে পারে এবং পরবর্তীতে জন্মের পর আরো বেশি মেধাবী হয়ে বেড়ে উঠতে পারে। বাচ্চা প্রসবের আগ পর্যন্ত তারা তাদের এই গানিতিক সমস্যার সমাধান চালিয়ে যায়।
এর পরেই যে জিনিসটি আমি পর্যবেক্ষন করি সেটি হচ্ছে তাদের খাদ্যাভাস। গর্ভবতী মায়েরা আলমন্ড, খেজুড় আর দুধ খেতে খুব ভালোবাসে। দুপুরের খাবারের তালিকায় থাকে রুটি এবং মাছ(মাথা ছাড়া), আলমন্ড এবং অন্যান্য বাদাম যুক্ত সালাদ। তারা বিশ্বাস করে যে মাছ মস্তিষ্কে পুষ্টি সরবরাহ করে অপর দিকে মাছের মাথা মস্তিষ্কের জন্য খারাপ। এছাড়াও গর্ভবতী মহিলাদের কড লিভার খাওয়া ইহুদি সংস্কৃতির একটি অংশ।
আমি যখন রাতের খাবারের দাওয়াতে অংশ নিতাম তখন দেখতাম তারা সব সময় মাছ খেতে খুব পছন্দ করতো এবং মাংস পরিত্যাগ করতো। তাদের বিশ্বাস মতে মাছ এবং মাংস দুটি একসাথে খেলে তা শরীরের কোনো কাজে লাগে না। অপর দিকে সালাদ এবং বাদাম তাদের খাদ্য তালিকায় অবশ্যই থাকবে, বিশেষ করে আলমন্ড।
তারা যে কোনো প্রধান আহারের আগে ফল খাবে। তারা বিশ্বাস করে যে যদি প্রধান আহারের পরে ফল খাওয়া হয় তবে তা নিদ্রার উদ্রেগ ঘটাবে যা পাঠ গ্রহনের ক্ষেত্রে বাধার কারন হয়ে দাঁড়াবে।
ইসরাইলে ধূমপান করা নিষিদ্ধ। যদি আপনি তাদের বাসার অতিথি হয়ে থাকেন তবে বাসার ভেতরে ধূমপান করা থেকে বিরত থাকবেন। না হলে তারা খুব বিনীতভাবে তাদের বাসার বাইরে গিয়ে ধূমপান করবার অনুরোধ জানাবে। ইসরাইলি বিশ্ববিদ্যালয়ের বিজ্ঞানীদের মতে, ধূমপান মস্তিষ্কের কোষগুলোকে ধীরে ধীরে ধ্বংশ করে দেয় এবং শরীরের জ্বীন এবং ডিএনএকে ক্ষতিগ্রস্থ করে ফলে বংশপরম্পরায় ত্রুটিযুক্ত মস্তিষ্কের কোষযুক্ত বাচ্চা জন্মগ্রহন করবে।(এখানে একটা জিনিস খেয়াল করবেন যে, পৃথিবীর বড় বড় সব সিগেরেটের কোম্পানিগুলো ইহুদিদের।)
বাচ্চারা কি খাবার খাবে সেটা সবসময় তাদের পিতামাতা ঠিক করে দেয়। প্রথমে ফল খাবে এরপর প্রধান খাবার খাবে যেমন রুটি, মাছ এরপর কড লিভারের তেল খাবে। আমার দেখা প্রত্যেকটি ইহুদি বাচ্চারই সাধারনত তিনটি ভাষার উপর দখল থাকে - হিব্রু, আরবী এবং ইংরেজি। শিশুকাল থেকেই প্রত্যেকটি বাচ্চাকে ভায়োলিন এবং পিয়ানো বাজানোর প্রশিক্ষন দেওয়া হয়।
তারা বিশ্বাস করে এতে করে তাদের আইকিউ লেভেল এর বৃদ্ধি ঘটে এবং বাচ্চারা মেধাবী হয়ে বেড়ে উঠে। জিউস বিজ্ঞানীদের মতে, সঙ্গীতের কম্পন মস্তিষ্কের কোষগুলোকে উদ্দীপিত করে। একারনেই ইহুদিদের মাঝে এত মেধাবী মানুষ দেখা যায়।
ক্লাশ এক থেকে ছয় পর্যন্ত তাদেরকে গনিত এবং ব্যবসা শিক্ষা শিখানো হয়। বিজ্ঞান তাদের এক নম্বর পছন্দের বিষয়। ইহুদি বাচ্চারা কিছু বিশেষ ক্রিয়ায় অংশগ্রহন করে যেমন; দৌঁড়, ধনুবিদ্যা এবং শুটিং। তারা মনে করে শুটিং এবং ধনুবিদ্যা তাদের মস্তিষ্ককে সঠিকভাবে সিদ্ধান্ত গ্রহনের ক্ষেত্রে সাহায্য করে।
উচ্চ মাধ্যমিকে বিজ্ঞান শিক্ষার উপর বিশেষ জোড় প্রদান করা হয়। এসময় তারা বিভিন্ন জিনিস বানানোর চেষ্টা করে থাকে এর মধ্যে সব ধরনের প্রজেক্ট থাকে। যদিও তাদের বানানো কিছু কিছু জিনিস অনেক হাস্যকর এবং ব্যবহার অযোগ্য লাগতে পারে। কিন্তু সব কিছুতে গুরুত্বের সাথে মনোযোগ দেওয়া হয় বিশেষ করে যদি সেটা হয় যুদ্ধোপকরন, ঔষধ কিংবা যন্ত্রবিজ্ঞান। যে সকল প্রকল্প বা ধারনাগুলো সফলতা পায় সেগুলোকে উচ্চ বিদ্যাপীঠগুলোতে পাঠিয়ে দেওয়া হয় আরো ভালো ভাবে গবেষণা করবার জন্য।
বিশ্ববিদ্যালয়ের শেষ বছরে ব্যবসা শিক্ষা অনুষদকে সবচেয়ে বেশি গুরুত্ব দেওয়া হয়। ব্যবসা শিক্ষায় সকল ছাত্রছাত্রীদের একটি করে প্রজেক্ট দেওয়া হয় এবং তারা শুধু মাত্র পাস করতে পারবে যদি তাদের গ্রুপ (প্রতি গ্রুপে আনুমানিক ১০জন) সেই প্রজেক্ট থেকে এক মিলিয়ন আমেরিকান ডলার লাভ করতে পারে।
অবাক হওয়ার কিছুই নেই, এটাই বাস্তবতা। এবং এই কারনে পৃথিবীর অর্ধেকেরও বেশি ব্যবসা প্রতিষ্ঠান ইহুদিদের দখলে।
আপনারা কি কখনো ইহুদিদের প্রার্থনা করতে দেখেছেন? তারা প্রার্থনা করবার সময় সবসময় তাদের মাথা ঝাঁকায়।
তারা বিশ্বাস করে তাদের এই কার্যকলাপ তাদের মস্তিষ্কে আরো অধিক পরিমান অক্সিজেন সরবরাহ করে। ( একই জিনিস ইসলাম ধর্মেও দেখা যায়- তারা নামাজের শেষে সালাম ফিরাবার সময় মাথা ডানে এবং বামে ঘুরায়।)
জাপানিদের দেখলেও দেখতে পাবেন যে তারা তাদের একজন আরেকজনের সাথে দেখা হলে মাথা নামিয়ে সম্মান করে এবং এটা তাদের সংস্কৃতির অংশ। আর জাপানীদের মাঝেও অনেক মেধাবী দেখা যায়।
জাপানিরা শুশী(তাজা মাছ) খেতে অনেক পছন্দ করে। আপনার কি মনে হয় মাথা নাড়ানো এবং মাছ খাওয়ার ব্যাপারটা কাকতালীয় কোনো ব্যাপার?
আমেরিকায় ইহুদিদের বানিজ্যিক কেন্দ্র নিউইয়র্কে অবস্থিত। যেখান থেকে তাদের জন্য খাদ্যসামগ্রী সরবরাহ করা হয়।
যদি কোনো ইহুদি ব্যক্তির লাভজনক কোনো আইডিয়া থাকে তাহলে সেই বানিজ্যিক কেন্দ্র হতে সুদবিহীন মূলধনের ব্যবস্থা করে দেওয়া হয় এবং সেটাকে সফল করতে সব ধরনের সহযোগিতা প্রদান করে থাকে।
একইভাবে জিউস কোম্পানিতে যেমন – স্টারবাক্স, লিভাইস, হলিউড, ওরাকল, কোকাকোলা, ডানকিন ডোনাটসহ যে সকল প্রতিষ্ঠান রয়েছে তাদের ফ্রি স্পন্সরশীপ দেওয়া হয়।
নিউইয়র্কে ডাক্তারি পাস করে যে সকল ছাত্রছাত্রী বের হয় তাদেরকে এই বানিজ্যিক কেন্দ্রের আওতায় নিবন্ধন করে বেসরকারীভাবে প্র্যাকটিস করতে সুদবিহীন লোনের ব্যবস্থা করে দেওয়া হয়। এখন আমি বুঝতে পারছি কেনো নিউইয়র্ক এবং ক্যালিফোর্নিয়ায় স্প্যাশালিস্ট ডাক্তারের এতো অভাব।
আমি আগেও বলেছি ধূমপানের কারনে বংশ পরম্পরায় বোকা/গর্ধব এক প্রজন্ম বেড়ে উঠে। ২০০৫ সালে আমি যখন সিঙ্গাপুর ভ্রমন করেছিলাম সেখানেও আমি অবাক হয়ে দেখেছিলাম, ধুমপায়ীরা সমাজ থেকে বিতারিত এবং এক প্যাকেট সিগারেটের দাম ইউএসডি সাত ডলার।
ইসরাইলের মতোই ধূমপান সেখানে প্রায় নিষিদ্ধ। সিঙ্গাপুরের সরকার ব্যবস্থা অনেকটা ইসরাইলের মতো। আর এ কারনেই সে দেশের বিশ্ববিদ্যালয়গুলো অনেক উচ্চমানের। যদিও দেশটির আয়তন কেবল মাত্র নিউইয়র্কের ম্যানহাটন শহরের সমান।
এবার একটু ইন্দোনেশিয়া দেশটার দিকে তাঁকান। সেখানে মোটামুটি সবাই ধূমপান করে। এক প্যাকেট সিগারেটের দাম খুবই সস্তা, মাত্র ইউএসডি ০.৭ সেন্টস।
কিন্তু জনসংখ্যার খুব কম সংখ্যক মানুষ মেধাবী! দেশটির বিশ্ববিদ্যালয়ের সংখ্যা আপনি হাতে গুনে বলে দিতে পারবেন।
এমন কোনো কিছু তারা উৎপন্ন করে না যা নিয়ে তারা গর্ব করতে পারে, নিচু মানের প্রযুক্তি, এমনকি তারা তাদের নিজেদের ভাষা ছাড়া অন্য কোনো ভাষায় কথাও বলতে পারে না।
যেমন, তাদের দেশের মানুষদের জন্য ইংরেজিতে ভালো দখল নেওয়া অনেক কষ্টসাধ্য ব্যাপার। আর এর কারন হচ্ছে ধূমপান করা, বাজে খাদ্যাভাস এবং তাদের সংস্কৃতি।
আমার এই গবেষনায়, আমি ধর্ম এবং জাতিকে মূল বিষয়বস্তু করিনি। কেনো ইহুদিরা এতো অহংকারি আর কেনোইবা ফেরাউনের সময় থেকে শুরু করে হিটলারের সময় পর্যন্ত এতো নিগ্রহের শিকার হতে হয়েছে। আমার মতে বিষয়টা রাজনৈতিক এবং টিকে থাকার অদম্য বাসনা।
আমার এই গবেষনার মূল বক্তব্য ছিলো–আমরা কি ইহুদিদের মতো এমন একটা বুদ্ধিমান প্রজন্ম তৈরি করতে পারবো?
উত্তর হ্যাঁ হতে পারে। কিন্তু এর জন্য আমাদের প্রতিদিনের খাদ্যাভাস পরিবর্তন করতে হবে, পরিবর্তন করতে হবে আমাদের বাচ্চা লালন পালনের পদ্ধতিকে। তাহলেই হয়তো তিন প্রজন্ম পর এটা আমরা অর্জন করতে সক্ষম হবো।
আপনারা সবাই ভালো থাকবেন, শান্তিতে থাকবেন এবং মানবজাতির কল্যানের জন্য একটি বুদ্ধিমান প্রজন্ম গড়ে তুলতে সক্ষম হবেন, সে আপনি যেই হয়ে থাকেন না কেনো।"
এবার মিলিয়ে দেখুন মুসলিমরা ইহুদীদের সঙ্গে পারবে কিনা? নইলে ইসলাম শ্রেষ্ঠ ধর্ম, আমরা শেষ নবীর উম্মত এসব বলেই বসে থাকতে হবে। আর ফেইসবুকে ওয়াজ, কোরানের আয়াত, হাদিস পোস্ট দেয়া আর শেয়ার করার মধ্যেই আপনার ইসলাম সীমাবদ্ধ থাকবে।
© Karim Chowdhury
19 October 2023
Cumilla
Bangladesh.
মন্তব্যসমূহ
একটি মন্তব্য পোস্ট করুন