সরাসরি প্রধান সামগ্রীতে চলে যান

পীর, মাজার ও ওয়াজ মাহফিল

 কমেন্টারি: পীর, মাজার ও ওয়াজ মাহফিল

-----------------------------------------------------

শীতকাল এসেছে। ওয়াজ মাহফিলের ব্যবসা শুরু হবে।

সকাল, দুপুর, বিকাল ওয়াজের মাইকিংয়ে কান জ্বালাপালা হবে। 

ওয়াজ মাহফিলের ব্যবসার সাথে জড়িত চান্দিনার একজন। চান্দিনা কুমিল্লা শহর থেকে ২০ কিলোমিটার পশ্চিমে। তিনি সুফিবাদের অনুসারী। বয়সে আমার জুনিয়র। নাম হাবিব। তিনি সব সময় সাদা পাজামা পাঞ্জাবি আর নামকরা হোটেলের শেফদের মতো খাড়া সাদা টুপি পরেন। তার বাবার নাম খোরশেদ আলম। নামের শেষে লাগিয়েছেন 'বকশী'। এখন তার নাম খোরশেদ আলম বিকশী। এক সময় তিনি কুস্তিগির ছিলেন। কুস্তিগিরকে কুমিল্লায় গ্রামে 'মাআল' বলে। মাআল হিসেবে উনার বেশ পরিচিতি। 

পাঁচ ছয় বছর আগে আমি হাবিবের সঙ্গে কয়েক মাস চলেছি। ১৫/২০ দিন তার বাসায় গিয়েছি। এক দিন গল্প করতে করতে রাত হয়ে যাওয়ায় খোলা ছাদের উপর সারারাত কাটিয়েছি। 

তিনি তার গ্রামসহ পাশের গ্রামের অনেকের সাথে বন্ধুত্ব করেছেন। কুমিল্লা সেনানিবাসের মার্কেটে এসেও তিনি আমাদের মতো কিছু বন্ধু বানিয়েছেন। আমি যে তিন মহাদেশের ২৬ টা দেশের পানি খেয়ে আসছি তা জেনেও তিনি এই আমাকে মুরিদ বানাতে চেয়ে ভুলই করেছেন। আমিও ভাবলাম, ভেতরের খবর জানবো। তাই তার সঙ্গে চলাফেরা করি কয়েকমাস। 

বিভিন্ন গ্রামে গ্রামে ঘুরে তিনি গরীব মানুষদের জন্য

অল্প টাকা খরচ করে অনেকের উপকার করেন। তার বাবা ভালো পীর। সমস্যা হলে যোগাযোগ করতে বলেন। এভাবে অনেক মানুষকে ভিড়িয়েছেন। অনেকে তার বাবার মুরিদ। জায়গাজমি আছে বেশ। স্বচ্ছল পরিবার। বাড়িটা সম্পূর্ণ আলাদা। তাদের তিনতলা বাড়িটা বানিয়েছেন মাজারের আদলে। উপরে গম্বুজ দিয়েছেন। খোরশেদ আলম বকশী দুই বিয়ে করেছেন। একই বিল্ডিংয়ে দুই পার্ট করে এক অংশে ছোট স্ত্রীকে নিয়ে থাকেন।

একদিন শুক্রবার জুম্মার নামাজের সময় আমি তাদের বাড়িতে উপস্থিত ছিলাম। তাদের বাড়িতেই মসজিদ করেছেন। কিছু মুরিদ নিয়ে এখানেই নামাজ পড়েন। হাবিব খোরশেদ আলম বকশীর বড় ছেলে। তাই তাকে তিনি জুম্মার নামাজে ইমামতি করতে বলেন। হাবিবের সঙ্গে কয়েকমাস চলে অনুভব করেছি আমি ইসলাম ধর্ম সম্পর্কে যা জানি তার অর্ধেকও হাবিব জানে না। এবং যা জানে তাও ভুল জানে। এবং হাবিব পাঁচ ওয়াক্ত নামাজও পড়ে না। তবু তাকে ইমাম মেনেই নামাজ পড়লাম। কিন্তু মনের খুঁতখুঁতি যায়নি। আমার নামাজ হয়নি বলে আমি ১০০% শিউর। এসব ভোতলাবাজদের পেছনে নামাজ পড়লে নামাজ হবে কিভাবে? নামাজ শেষে মিলাদ পড়তে গিয়ে আমার আক্কেল গুড়ুম। দাঁড়িয়ে 'ইয়া নবী সালাহ মালাইকা'..... পড়তে গিয়ে দেখি খোরশেদ আলম বকশীর নাম নেয়া হয়েছে কয়েকবার! ইচ্ছা হয়েছিলো মিলাদেই থাপড়াই। 


কলেজ জীবনে আমি শহরের কালিয়াজুরিতে আইনুদ্দিন শাহ-র মাজার,(এই মাজারের পূর্ব দিকে একটা বড় বটগাছ আছে। মাজার কম্পাউন্ডেই। পেছনে পুকুর। অজু করতে গেলে এই বটগাছের নীচ দিয়ে যেতে হয়৷ এই গাছের নীচে এক গ্রুপ সব সময় গাঁজা খায়। আমি যতদিন গিয়েছি ততোদিনই গাঁজার গন্ধ পেয়েছি), দারোগা বাড়ির মাজারসহ সিলেটের শাহ জালাল,শাহ পরান মাজার, বাগেরহাটে খান জাহান আলীর মাজার, হাইকোর্টের মাজার, মিরপুর শাহ আলীর মাজার ইত্যাদিতে গিয়েছি। দেখতে। মানুষ কী করে সেখানে? শাহ আলীর মাজারও গাঁজার আক্রা।

মাজারের মধ্যেও প্রকারভেদ আছে! গরম মাজার, ঠান্ডা মাজার। 

প্রসঙ্গক্রমে বলে দেয়া ভালো, কুমিল্লায় হজরত শাহ জালালের মাজারও আছে। শহর থেকে ৫ কিলোমিটার দূরে। বিবির বাজার স্থল বন্দরের কাছে। শাহ জালাল সাহেব নাকি চলতি পথে বিশ্রাম নিতে এখানে বসেছিলেন। বসলেও মাজার! আমি ওই মাজারেও গিয়েছিলাম। 

পীর ফকিরকে আমি কখনোই বিশ্বাস করতাম না৷ এরা অসুস্থ মুরিদদের তাবিজ, পানি পড়া দেয়। বিনিময়ে টাকাও নেয়। যার নাম 'হাদিয়া'। আর নিজে অসুস্থ হলে হাসপাতালে ভর্তি হয়। বড় বড় ডাক্তারের চিকিৎসা নেয়। তাবিজ, পানি পড়া তখন কাজ করে না। এরা বাটি চালান, জিন চালানও দেয়।

স্কুল জীবনে আমি আমার জীবনের সবচেয়ে কষ্টার্জিত প্রথম প্রেম রক্ষার্থে তিনটা মাজার আর পাঁচ জন পীরের কাছে গিয়েছিলাম। সেই আশির দশকে এক দেড় হাজার টাকা হাদিয়া দিয়েছিলাম। তাবিজ, আরবী লেখা স্লিপ কতো কি দিয়েছে। চীনা মাটির প্লেটে কালির কলম (বল পয়েন্ট কলম না) দিয়ে প্রেমিকার নাম লিখে সামান্য পানি দিলে কলমে লেখা কালি আর পানি মিলে পানিটা কালো হয়ে গেলে বিসমিল্লাহ বলে ফুঁ দিয়ে খেতে হবে। অর্থাৎ প্রেমিকার নাম ধুয়ে সত্যি সত্যি পানি খেলাম। এই কালি পানি অনেক দিন খেয়েছি। মাগার কোনো কাজই হয়নি। ছ্যাঁকা ঠিকই খাইছি। ওই সময়ের এক দেড় হাজার টাকা এখন কয়েক লাখ। সেইসব পীরেরা মারা গেছেন। নইলে আমি এখন টাকা ফেরত দেয়ার জন্য তাদের খানকায় গিয়ে গন্ডগোল করতাম।

হাবিবরা প্রতি বছর জানুয়ারি মাসে ওয়াজ মাহফিল ও ওরস মোবারকের আয়োজন করে তাদের বাড়িতে। শত শত মানুষ আসে। উন্নত মানের বিরিয়ানি থাকে তবারুক হিসেবে। সব খরচ মুরিদরাই দেয়। কেউ গরু, কেউ কয়েকমন চাল, কেউ টাকা। গরীব লোকেরা এক বছর টাকা জমায় এই 'বিরাট ওয়াজ ও দোয়ার মাহফিলের' জন্য। 

ঘনিষ্ঠ হবার পর হাবিবের কাছে জেনেছি, তার বাবা মারা গেলে বাড়ির ভেতরেই কবর দেবে এবং এখানে মাজার হবে। কবরের জায়গাও আমাকে দেখিয়েছেন।

আমি অবাক হয়ে বললাম, আপনার বাবাতো মাজার করার মতো ব্যক্তি না। আর এই মাজার করার কারণই বা কী? হাবিব যা বললো, তাতে আমি আকাশ থেকে পরিনি। ছাত্র জীবনেই জানি এসব স্রেফ ব্যবসা। অশিক্ষিত, অসহায়, গরীব, ধর্মান্ধ  মানুষরাই এদের কাষ্টমার।

হাবিব জানালো, প্রতি বছর শীতকালে বাংলাদেশে ১০ হাজার কোটি টাকার ওয়াজ মাহফিলের ব্যবসা হয়। এতে কোনো জবাবদিহিতা নেই। ট্যাক্স নেই। 

বৃটিশ আমল দেখিনি। পাকিস্তান আমল থেকেই এই ওয়াজ মাহফিলের ব্যবসা চলে আসছে। 

তাফসিরুল কোরান আর ওয়াজ মাহফিল করে মানুষকে তো সঠিক পথে আনা যাচ্ছে না।

যদি যেতো, তবে এই দেশে এতো দুর্নীতি, অপরাধ, অনাচার, অন্যায়, ধর্ষণ, খাদ্যে ভেজাল, ওষুধে ভেজালসহ যাবতীয় অপকর্ম অনেক আগেই বন্ধ হয়ে যেতো। বরং তা দিন দিন বাড়ছে। জাপান, ইউরোপ, আমেরিকা, অস্ট্রেলিয়ায় তো ওয়াজ মাহফিল হয় না। ওরা তো মুসলমানদের চেয়ে সৎ। 

হেলিকপ্টারে বা দামি গাড়িতে ওয়াজ করতে আসা, এক ঘন্টা ওয়াজের জন্য লাখ টাকার উপর নিয়ে খুবই উন্নতমানের খাবার পেট ভরে খেয়ে, বিশ্রাম করে হুজুর মাইকে কেঁদে কেঁদে ওয়াজ করে! বেশিরভাগই বানানো গল্প। মাঝে মধ্যে দুই চারটা কোরানের আয়াত আরবিতে সূর করে পড়া আর মানুষের সাইকোলজি বুঝে কথা বলাই এদের একমাত্র উদ্দেশ্য। ধর্মকে পেশা হিসেবে নিলে দুর্নীতি ঢুকবেই। ওয়াজিয়ানরা বয়ানের সময় যেসব কথা ৩০ সেকেন্ডে বলা যায় তা বলতে ৩০ মিনিট লাগায়। এটাও এক বিরাট দুর্নীতি। 

হুজুররা ওয়াজ করেন এভাবে...  

টেনে টেনে বলেন,স্বামী বাসর ঘরে ঢুকলো। বাসর ঘরে ঢুকে দেখে স্ত্রী বিছানায় বসে আছে। 

এরপর তিনি দর্শক শ্রোতাদের প্রশ্ন করেন, কই বসে আছে?

 দর্শক শ্রোতারা সমস্বরে বলে, বিছানায় বসে আছে।

-দ্য ওয়াইফ ইজ সিটিং অন বেড। স্বামী দেখলো তার স্ত্রী বিছানায় বসে আছে। আস্তে করে স্ত্রীর পাশে বসলো। স্ত্রীকে সালাম দিলো। আসসালামু আলাইকুম।  সালাম দেয়া সুন্নত। স্ত্রীকে সালাম দেয়াও সুন্নত। স্ত্রীকে সালাম দেয়া কী? 

-স্ত্রীকে সালাম দেয়া সুন্নন্নন্নন্নন্নন্নন্নন্নন্নন্নত।

স্ত্রীকে সালাম দেয়া সুন্নত। সালাম দেয়া সুন্নত আর সালামের জবাব দেয়া?

-ওয়াজিব ।

-জোরে বলেন ঠিক কি না?

ঠিইইইইইইইইইক। 

স্ত্রী উত্তর দিলো- ওয়া'আলাইকুমুস সালাম ওয়া রাহমাতুল্লাহ ... আমাদের দেশের স্বামীরা কি স্ত্রীদের সালাম দেয়? আপনারা দেন? কয়জন দেন হাত তোলেন তো...

ওদিকে পাবলিক বিরস মুখে অধীর হয়ে অপেক্ষা করছে বাসর রাতের আসল ঘটনা শোনার জন্য! 

আরো আছে। আলহামদুলিল্লাহ কইবেন না? এই আলহামদুলিল্লাহ থেকে চলে যাবেন আরেক গল্পে। গল্প শেষে বলবেন, সোবাহানাল্লাহ কয় না রে! 

-সোবাহানাল্লাহহহ হ হ হ হ হ হ হ.....

এক ঘন্টার ওয়াজে ৫০ মিনিট এসব গাল গল্পই করেন। 

উচ্চস্বরে গভীর রাত পর্যন্ত ৮/১০ টা মাইক চার দিকে বাজিয়ে অসুস্থ বৃদ্ধ মানুষ, শিশু ও অন্যান্য ধর্মাবলম্বীদের ঘুমসহ নানাবিধ অসুবিধার সৃষ্টি করে মোটা অংকের টাকা হাতিয়ে নিচ্ছে এই ওয়াজিয়ান ও তার উদ্যোক্তারা। 

ওয়াজের আওয়াজ প্যান্ডেলের মধ্যে সীমাবদ্ধ রাখা উচিৎ। এ ক্ষেত্রে বড় স্পিকার ব্যবহার করা যায়। যারা ওয়াজ শোনার তারা প্যান্ডেলে এসেই শুনবেন। ছেলেমেয়েদের লেখাপড়া, অসুস্থ বৃদ্ধ মানুষ, শিশু ও অন্য ধর্মের মানুষদের ঘুম নষ্ট করে মাইক বাজিয়ে শোনানোর দরকার নেই। 

Karim Chowdhury 

17 November, 2023

Cumilla.

মন্তব্যসমূহ

এই ব্লগটি থেকে জনপ্রিয় পোস্টগুলি

আমার দেখা ১৯৭৪ সালের দুর্ভিক্ষ

আমার দেখা ১৯৭৪ সালের দুর্ভিক্ষ সরকারঃ শেখ মুজিবের শাসনামল ১৯৭৪-এর দুর্ভিক্ষ বাংলাদেশে ১৯৭৪ সালের মার্চে শুরু হয়ে সেই বছরেরই ডিসেম্বরের দিকে গিয়ে শেষ হয়। এই দুর্ভিক্ষে অসংখ্য মানুষ অনাহারে মারা গিয়েছিল। এই দুর্ভিক্ষকে স্মরণকালের মধ্যে সবচেয়ে ভয়ানক হিসেবে গন্য করা হয়। ওই সময় আমি বুঝতাম। ক্লাশ ফোরে পড়তাম। আহারে ! কি যে অভাব ! অনেকের মতো আমরাও ভাত না খেয়ে রুটি খেয়েছি । তাও পরিমিত । কখনো জাউ খেয়েছি । শুকনো মরিচ পাওয়া যেতো না । কাঁচা মরিচের কেজি ছিলো ১৫০ টাকা । লবন ১২০ টাকা । আর সোনার ভরি ছিলো তখন ১৫০ টাকা । সোনা শুধু ওই সময় কম দাম ছিলো । চারদিকে অভাব । সারাদেশের মানুষের হাহাকার । কতো মানুষ না খেয়ে মারা গেছেন ! বিদেশি রিলিফ সব আওয়ামী লীগের লোকেরা চুরি করেছে । আর বেশিরভাগ রিলিফ সীমান্ত দিয়ে ভারতে চলে পাচার হয়েছিলো । তখন বর্ডার খোলা ছিলো তখন । মহিলাদের শাড়ি কাপড় ছিলো না । অনেকে মাছ ধরার জাল পরে লজ্জাস্থান ঢেকেছিলো । এসব ছবি পত্রিকায়ও ছাপা হয়েছিলো । কিন্তু আওয়ামী লীগ নেতাদের কোনো অভাব ছিলো না । বাংলাদেশের স্বাধীনতা যুদ্ধ শেষ হওয়ার মাত্র দুই বছর তিন মাসের মাথায় ...

বোতল

বোতল মানব জীবনে বোতল অপরিহার্য । বোতল অনেক অর্থেও ব্যবহার হয় । কোনো কোনো এলাকায় আনস্মার্ট, বেয়াক্কেল প্রকৃতির লোককেও বোতল বলা হয় । ইউরোপ আমেরিকায় থাকতে আমি ডৃংক করতাম । হার্ড ডৃংক কমই খেতাম । প্রতিদিনই বিয়ার খেতাম । বিয়ার স্বাস্থ্য ভালো রাখে ও কাজ করতে এনার্জি জোগায় । পরিমিত বিয়ার খেলে কেউ মাতাল হয় না । মাঝে মাঝে বিশেষ কোনো পার্টিতে হুইস্কি খাওয়া হতো । তাও দামি ব্র্যান্ডের । জনি ওয়াকার ব্ল্যাক লেবেল, টিচার্স, পাসপোর্ট, হেনেসি, শিভাস রিগাল, জ্যাক ড্যানিয়েলস । সাকুরায়ও অনেক সময় এসব ব্র্যান্ডের হুইস্কি পাওয়া যায় না । তো দেশে আসার পরও কিছু দিন ডৃংক করেছিলাম । কুমিল্লায় সরকার অনুমোদিত একটা মদের দোকান আছে চক বাজারে । নামঃ নাদের ট্রেডিং কোং । এটা প্রায় আজ ৫০ বছর । এখানে বিদেশি ব্র্যান্ডের ডৃংক পাওয়া যায় না । দেশিয় কোম্পানি ‘কেরো এন্ড কোং’ যা দর্শনায় অবস্থিত তার তৈরি ভদকা, হুইস্কি, জিন পাওয়া যায় । আমাদের সমাজতো রক্ষনশীল । তাই কান্দিরপাড় থেকে একটা স্প্রাইট কিনে অর্ধেক খেতে খেতে চক বাজার যেতাম । নাদেরে যখন পৌঁছতাম তখন স্প্রাইটের বোতল অর্ধেক খালি হয়ে যেতো । আমি বাবুল ভাইকে স্প্...

অশ্লীল নাম

বাংলাদেশের কিছু প্রতিষ্ঠান ও স্থানের বিচিত্র বা বিকৃত অর্থের নাম যা পরিবর্তন করা উচিতঃ ১. বোদা মহিলা মহাবিদ্যালয়, বোদা, পঞ্চগড় ২. চুমাচুমি সরকারি প্রাথমিক বিদ্যালয়, রাঙ্গামাটি ৩. সোনাপোতা সরকারি প্রাথমিক বিদ্যালয়, খুলনা ৪. মানুষমারা সরকারি প্রাথমিক বিদ্যালয়, নীলফামারি ৫. সোনাকাটা ইউনিয়ন, তালতলী, বরগুনা ৬.বড়বাল ইউনিয়ন, মিঠাপুকুর, রংপুর ৭.সোনাখাড়া ইউনিয়ন, রায়গঞ্জ, সিরাজগঞ্জ ৮. ধনকামড়া গ্রাম, ভোদামারা, দিনাজপুর ৯.গোয়াকাটা, দোহার, ঢাকা ১০. গোয়াতলা, ময়মনসিংহ ১১.লেংটার হাট, মতলব, চাঁদপুর