সরাসরি প্রধান সামগ্রীতে চলে যান

পাগলামি

 পাগলামি

--------------

সব মানুষের মাঝেই কিছু না কিছু পাগলামি আছে। কারো বেশি কারো কম। সব মানুষই কোনো না কোনোভাবে পাগল। যারা বলেন, তারা পাগল না, তারাই বড় পাগল। আমেরিকায় এক ম্যাগাজিনে পড়েছিলাম, পৃথিবীর কোনো মানুষই সম্পূর্ণ সুস্থ নয়। কারো সাইকোলজিক্যাল ডিসঅর্ডার, কারো মেন্টাল ডিসঅর্ডার, কারো ফিজিক্যাল ডিসঅর্ডার আছেই।

ব্লেইস পাস্কাল Blaise Pascal নামে একজন নামজাদা  ফরাসী চিন্তাবিদ ছিলেন (১৬২৩-১৬৬২)। যিনি ঘোর ক্যাথলিক ছিলেন।  তিনি বলতেন, মানুষ পাগল স্বভাবতই। এতই পাগল যে, যদি কেউ মনে করে সে পাগল না, এটা হচ্ছে পাগলামির নতুন প্রমাণ। আপনি যদি মনে করেন  আপনি পাগল নন আপনিই বড় পাগল। আপনি আমি কেনো? ৭০০ কোটি পাগল নিয়েই পৃথিবীর বাস।

মেয়ের জন্য পাত্র দেখে আসার পর মেয়ের বাবা লোকজনকে জিজ্ঞেস করলেন, পাত্র কেমন? সকলেই বললো, ছেলে খুবই ভালো। তবে মনে হয় মাথায় একটু গন্ডগোল আছে। মেয়ের বাবার উত্তর, এইটা কোনো সমস্যা না। মাথায় তো আমারও গন্ডগোল আছে।

এই যে অস্ট্রেলিয়া প্রবাসী বনি আমিন (ইউটিউবার) ভিয়েনা প্রবাসী সেফুদা, ময়মনসিংহের ঈসমাইল ভাই, বাংলা ভিশনের নাজনীন মুন্নী, বহুল আলোচিত হিরো আলম, সনি টিভির কপিল শর্মা, জার্মান প্রবাসী খাদিজাতুল কোবরা সোনিয়া, অক্সফোর্ড প্রবাসী মুনজেরিন শহিদ, নিউইয়র্ক প্রবাসী প্রিসিলা, ফাতিহা আয়াত, জার্মান প্রবাসী হাবিব ও নাতালিয়াসহ সবার মাথায়ই গন্ডগোল আছে। শুধু তারাই নন। আইনস্টাইন থেকে স্টিফেন হকিং পর্যন্ত সবার মাথায়ই কিছু না কিছু গন্ডগোল ছিলো। 

তাই আমার মাথায়ও গন্ডগোল আছে।

Karim Chowdhury

মন্তব্যসমূহ

এই ব্লগটি থেকে জনপ্রিয় পোস্টগুলি

আমার দেখা ১৯৭৪ সালের দুর্ভিক্ষ

আমার দেখা ১৯৭৪ সালের দুর্ভিক্ষ সরকারঃ শেখ মুজিবের শাসনামল ১৯৭৪-এর দুর্ভিক্ষ বাংলাদেশে ১৯৭৪ সালের মার্চে শুরু হয়ে সেই বছরেরই ডিসেম্বরের দিকে গিয়ে শেষ হয়। এই দুর্ভিক্ষে অসংখ্য মানুষ অনাহারে মারা গিয়েছিল। এই দুর্ভিক্ষকে স্মরণকালের মধ্যে সবচেয়ে ভয়ানক হিসেবে গন্য করা হয়। ওই সময় আমি বুঝতাম। ক্লাশ ফোরে পড়তাম। আহারে ! কি যে অভাব ! অনেকের মতো আমরাও ভাত না খেয়ে রুটি খেয়েছি । তাও পরিমিত । কখনো জাউ খেয়েছি । শুকনো মরিচ পাওয়া যেতো না । কাঁচা মরিচের কেজি ছিলো ১৫০ টাকা । লবন ১২০ টাকা । আর সোনার ভরি ছিলো তখন ১৫০ টাকা । সোনা শুধু ওই সময় কম দাম ছিলো । চারদিকে অভাব । সারাদেশের মানুষের হাহাকার । কতো মানুষ না খেয়ে মারা গেছেন ! বিদেশি রিলিফ সব আওয়ামী লীগের লোকেরা চুরি করেছে । আর বেশিরভাগ রিলিফ সীমান্ত দিয়ে ভারতে চলে পাচার হয়েছিলো । তখন বর্ডার খোলা ছিলো তখন । মহিলাদের শাড়ি কাপড় ছিলো না । অনেকে মাছ ধরার জাল পরে লজ্জাস্থান ঢেকেছিলো । এসব ছবি পত্রিকায়ও ছাপা হয়েছিলো । কিন্তু আওয়ামী লীগ নেতাদের কোনো অভাব ছিলো না । বাংলাদেশের স্বাধীনতা যুদ্ধ শেষ হওয়ার মাত্র দুই বছর তিন মাসের মাথায় ...

বোতল

বোতল মানব জীবনে বোতল অপরিহার্য । বোতল অনেক অর্থেও ব্যবহার হয় । কোনো কোনো এলাকায় আনস্মার্ট, বেয়াক্কেল প্রকৃতির লোককেও বোতল বলা হয় । ইউরোপ আমেরিকায় থাকতে আমি ডৃংক করতাম । হার্ড ডৃংক কমই খেতাম । প্রতিদিনই বিয়ার খেতাম । বিয়ার স্বাস্থ্য ভালো রাখে ও কাজ করতে এনার্জি জোগায় । পরিমিত বিয়ার খেলে কেউ মাতাল হয় না । মাঝে মাঝে বিশেষ কোনো পার্টিতে হুইস্কি খাওয়া হতো । তাও দামি ব্র্যান্ডের । জনি ওয়াকার ব্ল্যাক লেবেল, টিচার্স, পাসপোর্ট, হেনেসি, শিভাস রিগাল, জ্যাক ড্যানিয়েলস । সাকুরায়ও অনেক সময় এসব ব্র্যান্ডের হুইস্কি পাওয়া যায় না । তো দেশে আসার পরও কিছু দিন ডৃংক করেছিলাম । কুমিল্লায় সরকার অনুমোদিত একটা মদের দোকান আছে চক বাজারে । নামঃ নাদের ট্রেডিং কোং । এটা প্রায় আজ ৫০ বছর । এখানে বিদেশি ব্র্যান্ডের ডৃংক পাওয়া যায় না । দেশিয় কোম্পানি ‘কেরো এন্ড কোং’ যা দর্শনায় অবস্থিত তার তৈরি ভদকা, হুইস্কি, জিন পাওয়া যায় । আমাদের সমাজতো রক্ষনশীল । তাই কান্দিরপাড় থেকে একটা স্প্রাইট কিনে অর্ধেক খেতে খেতে চক বাজার যেতাম । নাদেরে যখন পৌঁছতাম তখন স্প্রাইটের বোতল অর্ধেক খালি হয়ে যেতো । আমি বাবুল ভাইকে স্প্...

অশ্লীল নাম

বাংলাদেশের কিছু প্রতিষ্ঠান ও স্থানের বিচিত্র বা বিকৃত অর্থের নাম যা পরিবর্তন করা উচিতঃ ১. বোদা মহিলা মহাবিদ্যালয়, বোদা, পঞ্চগড় ২. চুমাচুমি সরকারি প্রাথমিক বিদ্যালয়, রাঙ্গামাটি ৩. সোনাপোতা সরকারি প্রাথমিক বিদ্যালয়, খুলনা ৪. মানুষমারা সরকারি প্রাথমিক বিদ্যালয়, নীলফামারি ৫. সোনাকাটা ইউনিয়ন, তালতলী, বরগুনা ৬.বড়বাল ইউনিয়ন, মিঠাপুকুর, রংপুর ৭.সোনাখাড়া ইউনিয়ন, রায়গঞ্জ, সিরাজগঞ্জ ৮. ধনকামড়া গ্রাম, ভোদামারা, দিনাজপুর ৯.গোয়াকাটা, দোহার, ঢাকা ১০. গোয়াতলা, ময়মনসিংহ ১১.লেংটার হাট, মতলব, চাঁদপুর