হ্যালো আপনাকে বলছি
----------------------------------
আপনি জঙ্গিদের মতো লম্বা দাড়ি রেখে ফেইসবুকে ধর্মীয় পোস্ট দিয়ে ফাটাই ফেলতেছেন। আপনার মতো ধার্মিক আর নেই। আপনাকে ইসলাম ধর্মের সোল এজেন্সি দেয়া হয়েছে? আপনি এবং আপনাদের মতবাদের সঙ্গে ভিন্নমত পোষণ করলেই আপনারা নাস্তিক,ধর্ম বিরোধী বলেন!
আপনার বাবা চাচারা সুদের উপরে টাকা নেয় এবং দেয় আপনি সেটা জানেন? অনেকের সুদের টাকা সময় মতো দিতে না পারায় আপনার চাচারা এখন পালিয়ে পালিয়ে থাকে। এক যৌন কর্মীর কাছ থেকেও আপনার বড় চাচা ৬ লাখ টাকা সুদের উপর নিয়েছে। আর কতো নীচে নামবেন আপনারা? মানুষকে মুখ দেখাতে লজ্জা করে না? আপনি এসব জানেন না? আপনি সব জানেন। তখন আপনার ইসলামী চেতনার দণ্ড খাড়ায় না? আপনার বাবা সুদের উপরে লাখ লাখ টাকা মানুষের কাছ থেকে নিয়ে বিভিন্ন কাজকর্ম করায়। আপনি জানেন না আপনার বাবার উপার্জনের সব টাকাই হারাম টাকা। সম্পদ যা আছে সবই হারামের টাকায়। আপনি সেই হারাম টাকার খাবার খেয়েই বড় হয়েছেন। এখন আপনার স্ত্রী সন্তানও হারাম টাকার খাবারই খায়। আপনার সন্তানের চিকিৎসা হয় হারাম টাকায়। কারণ বউ বাচ্চা খাওয়ানোর মতো যোগ্যতা আপনার নেই। আপনি বেহেশত নিয়ে পেরেশান। আপনি জানেন না আপনার বাবা জমির দালালি করে, পাসপোর্টের দালালি করে, ভূমি অফিসে দালালি করে, বিদেশে লোক পাঠানোর দালালি করে টাকা রোজগার করে। আপনি জানেন না আপনার বাবা দুই নম্বরী রাস্তায় মোটর সাইকেল কিনেছে যার কোনো কাগজপত্র নাই। সেই মোটর সাইকেল আপনি চালান। আপনার ড্রাইভিং লাইসেন্সও নেই। কয়টা টাকা খরচ করে লাইসেন্স করতেও আপনাদের কলিজা ফেটে যায়। তখন আপনার ইসলামী চেতনার দণ্ড খাড়ায় না? ভিসার জন্য কম্পিউটার দোকানে দেশের বড় ডাক্তারের প্রেসক্রিপশন বানিয়ে তাতে আপনি ডাক্তারের সই করেন! তখন আপনার ইসলাম কোথায় থাকে?
এতো সব হারামের মধ্যে থেকে ধর্ম নিয়ে ফেইসবুকে লাফালাফি করতে আপনার লজ্জা হয় না? আমিতো মনে করি, আপনি আপনার বাপ চাচাদের এসব অনৈসলামিক কাজ ঢেকে রাখার জন্য ধর্মকে ঢাল হিসেবে ব্যবহার করছেন। আপনি এখনো বাবার হোটেলে স্ত্রী সন্তান নিয়ে খান। আর ফেইসবুকে ধর্ম প্রচার করেন। আপনি যা খান তা হারাম আপনি জানেন না? নাকি এসব হারাম উপার্জনের খাওয়া খান বলে এগুলো ঢাকার জন্যই আপনি ধর্মের লেবাস ধরেছেন। সেটা আপনিই ভাল জানেন। আপনি ফেইসবুকে আপনাদের তরিকার ভুয়া হাদিস পোস্ট করে পোলাপানকে বেয়াদব বানাচ্ছেন। এর কারণ কী? আপনাদের মতো অপরাধী পরিবারের সন্তানরাই সমাজে ইসলাম ধর্ম নিয়ে বেশি লাফায়। এতে আপনার বাবা মাও সমর্থন দেয়। কারণ মানুষ বলবে অমুকের ছেলেটা কী ধার্মিক দেখেছেন। এতে আপনার বাবা মারও সুবিধা হয়। ছেলের ইসলামী লেবাস তারা পাপমুক্তির পথ বলে মনে করে। আপনার মেজো চাচা কেনো বলে,'যুগ যুগ ধরে বিদেশ করলাম আমরা আর বড়লোক হয় উনি (আপনার বাবা)'। আপনার মেজো চাচাই একজন জেন্টলম্যান। এখন আপনার চাচারাও বুঝে ফেলেছে আপনার বাবার কুকীর্তি। এজন্যই এখন একে অপরের বিরুদ্ধে। আপনার ছোট চাচা ড্রাগ এডিক্টেড। তা সবাই জানে।
আমি এই জীবনে ধর্ম, সাহিত্য, ইতিহাস, ভ্রমণ কাহিনী, আত্নজীবনী, ফিচার, কলাম, প্রবন্ধ, নিবন্ধ, দেশীয় ও আন্তর্জাতিক রাজনীতির যতো বই পড়েছি, এখনো পড়ছি সেই বইগুলো এক পাল্লায় আর আপনার পুরো গোষ্ঠী আরেক পাল্লায় ওজন দিলে আমার পড়া বইয়ের পাল্লায়ই ভারী হবে।
খোঁজ নিয়ে দেখেন আমার এক ছাত্র এখন আর্মি অফিসার। এক ছাত্রী রাজশাহী বিশ্ববিদ্যালয়ে। এক ছাত্র ময়মনসিংহ মেডিকেল কলেজে থার্ড ইয়ারে পড়ছে। এক ছাত্রী কুমিল্লা বিশ্ববিদ্যালয়ে পড়ছে। আরেক ছাত্র গত মাসে সিডনি বিশ্ববিদ্যালয়ে ভর্তি হয়ে অস্ট্রেলিয়া চলে গেছে। এরা আপনার আশেপাশেই। খোঁজ নিলেই জানতে পারবেন। আপনার গুনধর বাপ আমার এসব ছাত্রছাত্রীদের চিনে।
গতকাল ১৯ মার্চ আমার আর্মি অফিসার ছাত্রটি কুমিল্লা বাসায় এসেছে। তার বর্তমান পোস্টিং রাজেন্দ্রপুর সেনানিবাসে। পদবী ক্যাপ্টেন। আমাকে দুপুরে ফোন করে তার মা বলেন, করিম ভাই, আপনার আর্মি অফিসার ছাত্র বাসায় এসেছে। আপনাকে ইফতার খাওয়ার দাওয়াত দিয়েছে।
আমি গিয়েছি। এক সাথে ইফতার খেয়েছি।
আপনারা এই এলাকার স্থায়ী অধিবাসী নন। আত্নীয়তার সূত্রে জায়গা পেয়ে এখানে স্থায়ী হয়েছেন। আপনার বাবা একজন খুবই খারাপ প্রকৃতির মানুষ। তিনি লেখাপড়াও জানেন না। তাই এলাকার লোকদের হাতে রাখার জন্য বছরে এক দুই বার এলাকার কিছু মুরুব্বিকে দাওয়াত দিয়ে খাওয়ায়। এটা আপনার বাবা এলাকার লোকদের চাঁদা দেয়। আপনার বাবা বিশ্বাস করে কাউকে বাসায় ভাত খাওয়াতে পারলে চক্ষু লজ্জায় সে আর আপনার বাবার বিরুদ্ধে যাবে না। এভাবে বাসায় খাইয়ে আপনার বাবা মানুষকে ব্ল্যাকমেইল করে। কেউ আপনার বাবার বিরুদ্ধাচারণ করলে বলে ফেলবে আমার বাসায় এতোদিন খেয়ে আজ আমার বিরুদ্ধে?এই লোকের নলার (লোকমা) শরম নাই।
আমরা এতোটাই বোদাই? বুঝি না? এবার বুঝছেন তো আপনার বাবা কতো বড় চিজ? দুনিয়াটা খাইয়া এখন গোমতী হাউজিংয়ে থাকি। জীবনে বহু কারিগর দেখেছি। কাকে বুঝাতে আসেন?
চুপচাপ বসে থাকেন। বেশি লাফালাফি করবেন না। আগে নিজের ঘর ঠিক করেন। এরপর অন্যকে জ্ঞান দিতে আইসেন।
আপনি আসেন আমাকে ইসলামী জ্ঞান দিতে!
আপনার চেয়ে আমাদের বাসার কাজের বুয়াও বেশি ইসলাম জানে।
মন্তব্যসমূহ
একটি মন্তব্য পোস্ট করুন