সরাসরি প্রধান সামগ্রীতে চলে যান

বাঙালী মুসলমান বড়ই বিচিত্র!!!!!

 বাঙালী মুসলমান বড়ই বিচিত্র!!!!!

------------------------------------------------;

এ ধরনের আমার সব লেখাই বায়োগ্রাফি। আত্নজৈবনিক। কল্পনার রঙ মিশিয়ে কঠিন বাস্তবকে অযথা হৃদয়গ্রাহী করার চেষ্টা কখনো করি না।

ছাত্রজীবনে পরিচিত কয়েকজনের অনুরোধে আমি কয়েকজন ছাত্রী পড়াতাম। মানে টিউশনি করতাম। আমার এক ছাত্রীর মা কখনোই আমার সামনে আসতেন না। খুব রক্ষণশীল ছিলেন বলে আমার মনে হতো। দরজার ফাঁক দিয়ে দু'একদিন দেখেছিলাম। খুব সুন্দরী ছিলেন তিনি। আমার দশম শ্রেণীতে পড়ুয়া ছাত্রী পপিও খুব সুন্দরী ছিলো। আমি তখন ইন্টার সেকেন্ড ইয়ারে পড়তাম। ছাত্রীর মা আমাকে খুব আদর করতেন। ছাত্রীকে দিয়ে ভালো ভালো খাবার পাঠাতেন। ছাত্রীর মাধ্যমে আমার ব্যক্তিগত ও পারিবারিক খোঁজ খবর নিতেন। ছাত্রী বেশি কিছু জিজ্ঞেস করলে বিরক্ত হয়ে বলতাম, এতো কিছু জানতে চাও কেনো? ছাত্রী বলতো, আম্মু বলেছে আপনাকে জিজ্ঞেস করতে। পপিদের বাসা বাগিচাগাঁও ফারার বৃগেড অফিসের পাশেই যে পুকুর তার উত্তর পূর্ব কোণায়।

একদিন পড়াবার সময় আমার সুন্দরী ছাত্রী বললো, স্যার,আপনি একটু ঘুরে বসেন। আম্মু বাজারে যাবে। আমি অবাক হয়ে ছাত্রীকে বললাম, তোমার আম্মু আমার সামনে আসে না,বাজারে হাজার হাজার মানুষের সামনে যেতে পারে!

ছাত্রী আমতা আমতা করে বললো, কি জানি! 

আমরা বাঙালি মুসলমানরা নামাজও পড়ি আবার হলিউড বলিউডের মুভিও দেখি। বাসায় কোরান শরিফ, আমপাড়া, পাখাওয়ালা রোরাকের ছবি রাখি আবার সালমান, শাহরুখ, কারিনা, ক্যাটরিনার ছবিও রাখি। মক্কা চাই মুম্বাইও চাই। ওয়াজ মাহফিলের জন্য যতো আগ্রহ দেখাই আবার কোনো কনসার্টের জন্যও আগ্রহ কম থাকে না।

বাসায় ছেলেমেয়ের শিক্ষক, স্বামীর বন্ধুর সামনে যাই না কিন্তু শপিং মলে বা বিয়েশাদীসহ বিভিন্ন অনুষ্ঠানে নিয়মিত যাই!!! বাঙালী মুসলমানেরা বড়ই বিচিত্র ।

Karim Chowdhury 

22 August, 2020

Cumilla.

মন্তব্যসমূহ

এই ব্লগটি থেকে জনপ্রিয় পোস্টগুলি

আমার দেখা ১৯৭৪ সালের দুর্ভিক্ষ

আমার দেখা ১৯৭৪ সালের দুর্ভিক্ষ সরকারঃ শেখ মুজিবের শাসনামল ১৯৭৪-এর দুর্ভিক্ষ বাংলাদেশে ১৯৭৪ সালের মার্চে শুরু হয়ে সেই বছরেরই ডিসেম্বরের দিকে গিয়ে শেষ হয়। এই দুর্ভিক্ষে অসংখ্য মানুষ অনাহারে মারা গিয়েছিল। এই দুর্ভিক্ষকে স্মরণকালের মধ্যে সবচেয়ে ভয়ানক হিসেবে গন্য করা হয়। ওই সময় আমি বুঝতাম। ক্লাশ ফোরে পড়তাম। আহারে ! কি যে অভাব ! অনেকের মতো আমরাও ভাত না খেয়ে রুটি খেয়েছি । তাও পরিমিত । কখনো জাউ খেয়েছি । শুকনো মরিচ পাওয়া যেতো না । কাঁচা মরিচের কেজি ছিলো ১৫০ টাকা । লবন ১২০ টাকা । আর সোনার ভরি ছিলো তখন ১৫০ টাকা । সোনা শুধু ওই সময় কম দাম ছিলো । চারদিকে অভাব । সারাদেশের মানুষের হাহাকার । কতো মানুষ না খেয়ে মারা গেছেন ! বিদেশি রিলিফ সব আওয়ামী লীগের লোকেরা চুরি করেছে । আর বেশিরভাগ রিলিফ সীমান্ত দিয়ে ভারতে চলে পাচার হয়েছিলো । তখন বর্ডার খোলা ছিলো তখন । মহিলাদের শাড়ি কাপড় ছিলো না । অনেকে মাছ ধরার জাল পরে লজ্জাস্থান ঢেকেছিলো । এসব ছবি পত্রিকায়ও ছাপা হয়েছিলো । কিন্তু আওয়ামী লীগ নেতাদের কোনো অভাব ছিলো না । বাংলাদেশের স্বাধীনতা যুদ্ধ শেষ হওয়ার মাত্র দুই বছর তিন মাসের মাথায় ...

বোতল

বোতল মানব জীবনে বোতল অপরিহার্য । বোতল অনেক অর্থেও ব্যবহার হয় । কোনো কোনো এলাকায় আনস্মার্ট, বেয়াক্কেল প্রকৃতির লোককেও বোতল বলা হয় । ইউরোপ আমেরিকায় থাকতে আমি ডৃংক করতাম । হার্ড ডৃংক কমই খেতাম । প্রতিদিনই বিয়ার খেতাম । বিয়ার স্বাস্থ্য ভালো রাখে ও কাজ করতে এনার্জি জোগায় । পরিমিত বিয়ার খেলে কেউ মাতাল হয় না । মাঝে মাঝে বিশেষ কোনো পার্টিতে হুইস্কি খাওয়া হতো । তাও দামি ব্র্যান্ডের । জনি ওয়াকার ব্ল্যাক লেবেল, টিচার্স, পাসপোর্ট, হেনেসি, শিভাস রিগাল, জ্যাক ড্যানিয়েলস । সাকুরায়ও অনেক সময় এসব ব্র্যান্ডের হুইস্কি পাওয়া যায় না । তো দেশে আসার পরও কিছু দিন ডৃংক করেছিলাম । কুমিল্লায় সরকার অনুমোদিত একটা মদের দোকান আছে চক বাজারে । নামঃ নাদের ট্রেডিং কোং । এটা প্রায় আজ ৫০ বছর । এখানে বিদেশি ব্র্যান্ডের ডৃংক পাওয়া যায় না । দেশিয় কোম্পানি ‘কেরো এন্ড কোং’ যা দর্শনায় অবস্থিত তার তৈরি ভদকা, হুইস্কি, জিন পাওয়া যায় । আমাদের সমাজতো রক্ষনশীল । তাই কান্দিরপাড় থেকে একটা স্প্রাইট কিনে অর্ধেক খেতে খেতে চক বাজার যেতাম । নাদেরে যখন পৌঁছতাম তখন স্প্রাইটের বোতল অর্ধেক খালি হয়ে যেতো । আমি বাবুল ভাইকে স্প্...

ফেবুতে মেয়েদের পোস্ট

ফেবুতে মেয়েদের পোস্ট সকালে ঘুম ভেঙে দেখি আট টা বাজে । শরীরটাও বেশি ভালো লাগছে না । আবার ঘুমাল াম । ১১টায় উঠলাম । ২ মগ চা খেলাম ( বাজারের হিসেবে ৮ কাপ হবে)। সবাই জানেন আমি স্মোক করি । চেইন স্মোকার । কম্পিউটার খোঁচাখুঁচি করে নিজে নিজেই ঠিক করলাম । প্রায় দুই ঘন্টা । আমি থাকি চার তলায় । দুপুর ১টা বাজে । খেতেও ইচ্ছে করছে না কিছু । তখনো মুখ ধুই নি । কম্পিউটারে খোঁচাখোঁচি করতে গিয়ে দেখি এক মেয়ে তার পা’য়ের একটা ছবি আপলোড করেছে । দেখলাম এই পা মানে ঠ্যাং এর ছবিতে লাইক পড়েছে ৯৪৭ টা । কমেন্ট অসংখ্য । ‘কতো সুন্দর এই পা । না জানি তুমি কতো সুন্দর । পা তো নয় যেন একটা গোলাপ ফুল’ । এ জাতীয় অনেক কমেন্ট । আমি পোষ্ট টা দেখে কিছুটা অবাক হলাম । একটা ঠ্যাং এর এতো কদর ! প্রায়ই লক্ষ্য করি, মেয়েরা যখনি কিছু আপলোড করে সেটা তাদের পায়ের ছবিই হোক,হাতের ছবিই হোক আর নাকের ছবিই হোক বা এক চোখের ছবিই হোক সে সব ছবিতে অগনিত লাইক আর কমেন্ট । মেয়ে বন্ধুদের ছোট করার জন্য বলছি না, ফেবুতে প্রায়ই দেখি মেয়েরা কোনো ছবি বা দু এক লাইন হাবিজাবি লিখলে লাইক আর কমেন্টের বন্যা বয়ে যায় । অনেক মেয়েরা শখ করে পিঠা, ...