সরাসরি প্রধান সামগ্রীতে চলে যান

হিন্দু- মুসলিম

 যেখানে মিষ্টান্ন ভান্ডার নামক হিন্দু দোকান থেকে জিলাপি কিনে মসজিদে মিলাদ পড়ানো হয়। কোন মুসল্লি এটা নিয়ে চিন্তা না করে নিশ্চিন্তে মিলাদ শেষে জিলাপি খেতে খেতে বাড়ি যায়।

*চা দোকানে একই কাপে হিন্দু মুসলিম চা খেয়ে যুগের পর যুগ বসবাস করছে। কারো মাথায় এটা নিয়ে ব্যথা বেদনা নেই।

*হিন্দুদের দাওয়াতে অধিকাংশ লোক থাকে মুসলিম এলাকাবাসী, বন্ধুবান্ধব মুসলিমদের দাওয়াতেও খুব স্বাভাবিকভাবে হিন্দুরা অংশ নেয়। এতে কেউই কিছু মনে করে না।

*সামাজিক কোন অনুষ্ঠানে একই টেবিলে একই প্লেটে হিন্দু মুসলিম পাশাপাশি বসে খাবার খাচ্ছে। মুসলিম লোকটি গরু মাংশ খাচ্ছে না, কারন তার বন্ধুটির জন্য।

* বর্তমানে সামাজিক অনেক অনুষ্ঠানে গরু রাখা হয় না শুধু সবার কথা ভেবে। 

*অনেক হিন্দুদের বিয়েতে কাচ্চি করা হয় এবং মুসলমানদের জন্য জবাই আলাদা ভাবে করা হয়।(আমি নিজে স্বাক্ষী)

*পাবলিক বাসে, রিক্সায়, ক্লাসের বেঞ্চে পাশাপাশি বসে দিব্যি চলাফেরা করে হিন্দু মুসলিম। কারো কোন সমস্যা নেই।

*মসজিদ আর মন্দির একই এলাকায় আছে অনেক জায়গায়। দুই পক্ষই ইবাদত করছে। কারোরই কোন অসুবিধা হয়না যুগ যুগ ধরে।

বিশ্বের আর কোন দেশে এরকম সুন্দর দৃষ্টান্ত দেখাতে পারবেন??

এত সুন্দর সম্প্রীতি আমার জানামতে আর কোথাও নেই। ভারতে তো তা কল্পনাও করা যায়না। তবুও এত কথা কেন? এত মিথ্যা প্রপোগান্ডা কেন ছড়ানো হচ্ছে? কিছু মানুষ এর জন্য দায়ী। এরা গভীর ষড়যন্ত্র করছে বছরের পর বছর। কিন্তু এরা সফল হয়নি, সফল হতে পারবে না ইনশাআল্লাহ। কারন আমাদের দেশের মানুষ সত্যিকার অসাম্প্রদায়িক, আমরা হিন্দু মুসলিম বিভেদ করি না। আমাদের ভিতরে ঘষেটি বেগম কারা তা সবারই জানা। বাংলাদেশ এখন মীরজাফরদের তা জানার আর বাকি নেই।

প্রতিটি ধর্মে কিছু খারাপ মানুষ আছে। তাদের জন্য জন্য সবাইকে দোষ দেওয়া কি ন্যায় সম্মত?

মন্তব্যসমূহ

এই ব্লগটি থেকে জনপ্রিয় পোস্টগুলি

আমার দেখা ১৯৭৪ সালের দুর্ভিক্ষ

আমার দেখা ১৯৭৪ সালের দুর্ভিক্ষ সরকারঃ শেখ মুজিবের শাসনামল ১৯৭৪-এর দুর্ভিক্ষ বাংলাদেশে ১৯৭৪ সালের মার্চে শুরু হয়ে সেই বছরেরই ডিসেম্বরের দিকে গিয়ে শেষ হয়। এই দুর্ভিক্ষে অসংখ্য মানুষ অনাহারে মারা গিয়েছিল। এই দুর্ভিক্ষকে স্মরণকালের মধ্যে সবচেয়ে ভয়ানক হিসেবে গন্য করা হয়। ওই সময় আমি বুঝতাম। ক্লাশ ফোরে পড়তাম। আহারে ! কি যে অভাব ! অনেকের মতো আমরাও ভাত না খেয়ে রুটি খেয়েছি । তাও পরিমিত । কখনো জাউ খেয়েছি । শুকনো মরিচ পাওয়া যেতো না । কাঁচা মরিচের কেজি ছিলো ১৫০ টাকা । লবন ১২০ টাকা । আর সোনার ভরি ছিলো তখন ১৫০ টাকা । সোনা শুধু ওই সময় কম দাম ছিলো । চারদিকে অভাব । সারাদেশের মানুষের হাহাকার । কতো মানুষ না খেয়ে মারা গেছেন ! বিদেশি রিলিফ সব আওয়ামী লীগের লোকেরা চুরি করেছে । আর বেশিরভাগ রিলিফ সীমান্ত দিয়ে ভারতে চলে পাচার হয়েছিলো । তখন বর্ডার খোলা ছিলো তখন । মহিলাদের শাড়ি কাপড় ছিলো না । অনেকে মাছ ধরার জাল পরে লজ্জাস্থান ঢেকেছিলো । এসব ছবি পত্রিকায়ও ছাপা হয়েছিলো । কিন্তু আওয়ামী লীগ নেতাদের কোনো অভাব ছিলো না । বাংলাদেশের স্বাধীনতা যুদ্ধ শেষ হওয়ার মাত্র দুই বছর তিন মাসের মাথায় ...

বোতল

বোতল মানব জীবনে বোতল অপরিহার্য । বোতল অনেক অর্থেও ব্যবহার হয় । কোনো কোনো এলাকায় আনস্মার্ট, বেয়াক্কেল প্রকৃতির লোককেও বোতল বলা হয় । ইউরোপ আমেরিকায় থাকতে আমি ডৃংক করতাম । হার্ড ডৃংক কমই খেতাম । প্রতিদিনই বিয়ার খেতাম । বিয়ার স্বাস্থ্য ভালো রাখে ও কাজ করতে এনার্জি জোগায় । পরিমিত বিয়ার খেলে কেউ মাতাল হয় না । মাঝে মাঝে বিশেষ কোনো পার্টিতে হুইস্কি খাওয়া হতো । তাও দামি ব্র্যান্ডের । জনি ওয়াকার ব্ল্যাক লেবেল, টিচার্স, পাসপোর্ট, হেনেসি, শিভাস রিগাল, জ্যাক ড্যানিয়েলস । সাকুরায়ও অনেক সময় এসব ব্র্যান্ডের হুইস্কি পাওয়া যায় না । তো দেশে আসার পরও কিছু দিন ডৃংক করেছিলাম । কুমিল্লায় সরকার অনুমোদিত একটা মদের দোকান আছে চক বাজারে । নামঃ নাদের ট্রেডিং কোং । এটা প্রায় আজ ৫০ বছর । এখানে বিদেশি ব্র্যান্ডের ডৃংক পাওয়া যায় না । দেশিয় কোম্পানি ‘কেরো এন্ড কোং’ যা দর্শনায় অবস্থিত তার তৈরি ভদকা, হুইস্কি, জিন পাওয়া যায় । আমাদের সমাজতো রক্ষনশীল । তাই কান্দিরপাড় থেকে একটা স্প্রাইট কিনে অর্ধেক খেতে খেতে চক বাজার যেতাম । নাদেরে যখন পৌঁছতাম তখন স্প্রাইটের বোতল অর্ধেক খালি হয়ে যেতো । আমি বাবুল ভাইকে স্প্...

অশ্লীল নাম

বাংলাদেশের কিছু প্রতিষ্ঠান ও স্থানের বিচিত্র বা বিকৃত অর্থের নাম যা পরিবর্তন করা উচিতঃ ১. বোদা মহিলা মহাবিদ্যালয়, বোদা, পঞ্চগড় ২. চুমাচুমি সরকারি প্রাথমিক বিদ্যালয়, রাঙ্গামাটি ৩. সোনাপোতা সরকারি প্রাথমিক বিদ্যালয়, খুলনা ৪. মানুষমারা সরকারি প্রাথমিক বিদ্যালয়, নীলফামারি ৫. সোনাকাটা ইউনিয়ন, তালতলী, বরগুনা ৬.বড়বাল ইউনিয়ন, মিঠাপুকুর, রংপুর ৭.সোনাখাড়া ইউনিয়ন, রায়গঞ্জ, সিরাজগঞ্জ ৮. ধনকামড়া গ্রাম, ভোদামারা, দিনাজপুর ৯.গোয়াকাটা, দোহার, ঢাকা ১০. গোয়াতলা, ময়মনসিংহ ১১.লেংটার হাট, মতলব, চাঁদপুর