সরাসরি প্রধান সামগ্রীতে চলে যান

বিলকিস চিঠি

 আফরোজা আক্তার চৌধুরী (বিলকিস)

পিতা: সহিদুর রহমান চৌধুরী 

ঘোরামারা চৌধুরী বাড়ি।

----------------------------------------------------------

তোর বাপ তোদেরকে মিথ্যা বলে আত্মীয়-স্বজন সবাইকে ছোট করছে আর তোদেরকে মাথার উপরে উঠাইছে। তোদেরকে বুঝাইতে চাইছে তোর বাপ আমার জন্য আর মায়ের জন্য বিরাট কিছু করে ফেলছে। তোরাও মনে করিস আত্নীয় স্বজনের মাঝে তোর বাপ একজন নবী।

তোর বাপ কার জন্য কি করছে সেটার আসল কাহিনী আমার কাছ থেকে শুন শুয়োরের বাচ্চা। আমার জন্ম ১৯৬২ সালে। তোর বাপ বিয়ে করছে ১৯৭৪ সালে। আমি তখন ক্লাস ফাইভে পড়ি। সবকিছু মনে আছে। কাশেম ভাই আগে ছোটনা বিয়ে করছিলেন। সেই বউয়ের সাথে কাশেম ভাইয়ের ছাড়াছাড়ি হয়ে যায় ১৯৭৩ সালে। আমি অনেক দিন কাশেম ভাইয়ের সাথে ছোটনা ভাবিদের বাড়িতে বেড়াতে যেতাম। সেই ভাবির নাম ছিল সুফিয়া আক্তার খানম। সুন্দরী, শিক্ষিত, অভিজাত, ধনী পরিবার ছিলো ভাবীদের। ছোটনা খান বাড়ি তাদের বাড়ি। এই বিয়ে বড় দুলাভাই আলী আকবর সাহেব করিয়েছিলেন। আমাকে ভাবি অনেক আদর করতেন। কোলেও নিছেন। থ্রিতে থাকতে আমাকে পড়াইছেনও। তিনি শিক্ষিত ছিলেন। সেই সময় তিনি আই এ পাস ছিলেন। 

সেই বিয়ে ভেঙ্গে যাওয়ার পর কাসেম ভাই বাবলুর মাকে বিয়ে করেন। তখন কাশেম ভাই টঙ্গীর অলিম্পিয়া টেক্সটাইল মিলে টাইম কিপার হিসেবে চাকরি করতেন। আর ভাবিকে বাড়িতে রেখেছিলেন। তোর বাপ বিয়ে করার পরই আলাদা হয়ে বাড়ির লোকজনকে ডাকে। আমাকে আর মাকে কে খাওয়াইবো এই বিচার চেয়ে? তোর বাপ দিনে ১০০ বার বলতো, 'আমার একটা ভবিষ্যৎ আছে না?' মোস্তফা চাচার দাদা, আমিন ভাইয়ের বাবা সুজাত চাচা, কাদির চাচা, (আবুল খায়ের ভাইয়ের বাবা) খালন চাচাসহ বাড়ির সবাই আমাদের উঠানে বসে মিটিং করে সিদ্ধান্ত দেয় যে, আমি কাশেম ভাইয়ের ঘরে আর মা তোর বাপের ঘরে খাবে। এভাবে বছর খানেক চললো। মালেক ভাই তখন মিরপুর সেনানিবাসে ভাবি বাচ্চাদেরকে নিয়ে থাকেন। তাই এসব ঝামেলায় ওনাকে আর ডাকা হয়নি। 

আমাদের বেশ কিছু জমি ছিলো। বড় ক্ষেত আর চন্দ্রা ক্ষেতের কথা আমার মনে আছে। এখন হাসেম মিয়ার যে বসত এটাও আমাদের ছিলো। ১১ গন্ডা। ৫০০ টাকায় মা বিক্রি করেছিলেন এই ১১ গন্ডা গফুর চাচার কাছে। বড় ক্ষেত বলতাম কারণ এই জমি এক কানি চার গন্ডা। এখনো এই জমি আছে জসিম তাদের কাছে। যুব উন্নয়নের পিছনে। ১৯৭০ সালে অভাবের কারণে মা এই জমিটা বিক্রি করে দেন জুলফু ভাইয়ের কাছে ৪৫০০ টাকায়। জুলফু ভাইকে (জসিমের আব্বা) মা বলেছিলেন, আমার পুতেরা যদি কোনদিন পয়সাওয়ালা হইয়া জমিডা ফেরত নিতে চায়, এই দামে জমিডা ফেরত দিবা। জুলফু ভাই রাজি হয়েছিলেন।

১৯৭১ সালে যুদ্ধের পর মালেক ভাই ৭২ সালে বাড়িতে আসেন। এসে মালেক ভাই মাকে বললেন যে,জুলফু ভাইরে খবর দেন। আমরা আমাদের জমিডা ফেরত নেব। তখন জুলফু ভাইরে খবর দিলে খুশু ফুফুর জামাই আনোয়ার সাহেব আসেন মালেক ভাইয়ের সাথে কথা বলতে। আমাদের উঠানে দাঁড়িয়ে এই নিয়ে তর্কাতর্কি হয়। তারা জমি ফেরত দিতে রাজি হয় নাই। তখন মালেক ভাইয়ের কোমরে পিস্তল ছিল। পিস্তল হাতে নিয়া খুশু ফুফুর জামাইয়ের মাথার মধ্যে পিস্তল ধরে এবং বলে গুলি করে দেবো। তুমি জামাই। তুমি কেন আসলা কথা বলতে? যেহেতু মালেক ভাই মুক্তিযুদ্ধ থেকে এসেছে এবং অস্ত্র আছে হাতে তাই তারা ভয় পাইছে। মালেক ভাই বিরাট সাহসী এক পুরুষ মানুষ ছিলেন। সেই সাহসের কারণে তিনি মারা গেলেও সরকার রাষ্ট্রীয় মর্যাদায় উনাকে দাফন করবে। ভুল ত্রুটি যাই করুক আমাদের ফ্যামিলির গর্ব মালেক চৌধুরী। ভুল ত্রুটি আর কি?  টাকা পয়সা জমায় নাই। সেজন্য উনার ছেলেমেয়েরা কষ্ট করে বড় হইছে। কিন্তু উনি তোর বাপের মতো ভাই বোনেরারে খায় নাই।

পরে জুলফু ভাই খবর পাঠায় যে জমি তারা ফেরত দেবে তবে বর্তমান বাজার মূল্যে ফেরত নিতে হবে । মা এই জমি বিক্রি করছিলেন ১৯৭০ সালে ৪৫০০ টাকায়। আর ১৯৭২ সালে এটা ফেরত নেওয়ার জন্য দাম হয়েছে ১০৫০০ টাকা। তখন কাশেম ভাই, মালেক ভাই, তোর বাপ মিলে টাকা দিয়ে এই জমিটা ফেরত আনেন। তোর বাপ আর কাশেম ভাই টাকা ধার আনেন আলী আকবর দুলাভাইয়ের কাছ থেকে। সেই টাকাও দুলাভাইকে ঠিকমতো দেয়া হয় নাই। এই নিয়ে অনেক ঝগড়াঝাটিও হইছিলো। মা তখন বললেন, মন্তু তো ছোট। তার তো কিছু নাই। তারে তোরা আড়াই গন্ডা জায়গা দে। তখন আমার নামেও আড়াই গন্ডা দেওয়া হইছে। তখন এই জমি সবাই ভাগাভাগি কইরা নেয়। ছয় গন্ডা কাসেম ভাই, ছয় গন্ডা মালেক ভাই, ছয় গন্ডা তোর বাপ। মোট ১৮ গন্ডা। আমার নামে আড়াই গন্ডা। হইলো সাড়ে বিশ গন্ডা। আর বাকিটা ছিল মার নামে।

যখন কাশেম ভাই ভাবিকে নিয়ে বাড়ি থেকে চলে যাবে বলে সিদ্ধান্ত হয়েছে তখন তোর বাপ পাগলের মতো হইয়া বাড়ির সব লোকেরে আবার ডাকে। আমারে আর মারে এখন কে খাওয়াইবো? তোর বাপ বাল করছে। কাহিনী শুন কুত্তার বাচ্চা। বহুত বেদনা নিয়া আমি বড় হইছি। এরপর বাড়ির সবাই আবার বসে আমাদের উঠানে। মিটিংয়ে মালেক ভাইরে খবর দিয়ে মিরপুর থেকে বাড়িতে আনে। মিটিংয়ে সিদ্ধান্ত হয়। মালেক ভাইয়ের ছয় গন্ডা, কাশেম ভাইয়ের ছয় গন্ডা তোর বাপেরে দিয়ে দিবে। বিনিময়ে তোর বাপ, মা আর আমারে খাওয়াইবো। কাশেম ভাই আর মালেক ভাই তোর বাপের চেয়ে কোটি গুন ভালো মানুষ। মালেক ভাইতো পুরাই আমার মতো। বালের টাকা আর জমি নিয়া মিয়া চিন্তা করে নাই। মিয়া টাকা চিনলে ঐ সময়ই কোটি কোটি টাকার মালিক থাকতো। মুক্তিযুদ্ধের পর দেশে অনেক সুযোগ ছিলো। 

 তোরা বলোছ তোর বাপ সব আত্নীয় স্বজনরে দেখছে। উনি তো তোদেরই খাওয়াইতে পারতো না। অন্যরে কি বাল দেখবো? আমি তো তখন প্রাইমারি স্কুলে পড়ি। এইভাবে তোর বাপের ঘরে আমি আর মা খাইতে লাগলাম। অন্য কোন খরচ নাই। আব্বা সকালে উঠে ফজরের নামাজ পড়ে নুরু বুবুর বাসায় চলে যায় সাইকেল চালিয়ে। দুপুরে খাইয়া, রাতে খাইয়া আব্বা বাড়িতে আসে। বড় আপা তখন জাফর খান রোডের বাসায় থাকেন ।কাজেই আব্বার হিসাব নাই।

তোর বাপের ৬ গন্ডা আগেই বিক্রি করে দিছে।এইভাবে কিছুদিন তোদের ঘরে মা আর আমি খাইয়া , মা দেখলেন যে অসুবিধা হইতেছে।মা জমি আর আমারে নিয়া আলাদা হয়ে যান। সেই জমিতে ধান চাষ করা হয়। মা আর আমি এক সাথে খাই। মা-ই রান্না করতেন। তোর মা ভালো হইছে কোন দিন? সারাদিনই কাইজ্জা করতো। সব দেখছি। সব মনে আছে। এর পরে এইভাবে আমরা মা পুত কিছুদিন আলাদা খাই। পরে তোর বাপ হিটলারি কইরা আবার আমারে আর মারে খাওয়ানোর বিনিময়ে কাসেম ভাইয়ের ছয় ৬ গন্ডা, মালেক ভাইয়ের ৬ গন্ডা, আমার আড়াই গন্ডা আর মায়ের নামে  সাড়ে ৩ গন্ডা যেটা ছিল সেটা তোর বাপে নিয়া নেয়।

১৯৭৫ সালের ডিসেম্বর মাসে আমি সেভেন পাস করছি। তখন আমি চলে গেলাম গাংচর 'আনোয়ারা লজ' ফরিদা আপার বাসায়। ভর্তি হলাম ইউসুফ হাই স্কুলে। তখন থেকে রেজাউল ভাই আমার খরচ দেয়।মা বাড়িতে। ফরিদা আপার বাসায় দুই বছর থাকার পর ১৯৭৭ সালের ১৫ ডিসেম্বর রাতে রেজাউল ভাই এক্সিডেন্ট করে পঙ্গু হয়ে যায়। তখন আমি চলে আসি বড় আপার ঝাউতলা সৈয়দ শামসুল হক সড়কের বাসায় আহমেদ মঞ্জিলে। ১৯৭৮ সালে। এখানে ছিলাম এক বছর। এরপর আলী আকবর দুলাভাই আড়িখোলা হাবিবুর রহমান টেক্সটাইল মিলে বুবুসহ সবাইকে নিয়ে চান্দিনা চলে যান। মিলের অফিসার্স কোয়ার্টারে ৷ আব্বাকেও নিয়া যায়। এখন আমি কই যাই? আমি ঝাউতলা তাহের, জাহাঙ্গীর তারার বাসায় থাকি। ধর্ম সাগর পার রাত কাটাই। এইভাবে চলতেছিলো। তোর বাপ কোনো খবর নেয় নাই। কিছু দিন পর ১৯৭৯ সালের প্রথম দিকে দেলোয়ার দুলাভাই টঙ্গীর বাসা ছেড়ে মনোহরপুর সোনালী ব্যাংকের পিছনে আনোয়ারা ভিলায় বাসা ভাড়া নেয়। মা পাগলের মতো দুলাভাইয়ের কাছে যায়। গিয়ে আমার সমস্ত কিছু বলে। আমারে লইয়া মা বিপদে পড়ছে। এখন আমারে কি করা যায়। এইসব বুঝাইয়া বলেন। তখন দেলোয়ার দুলাভাই বলেন, তারে আমার বাসায় থাকতে কন। একদিন বিকালে আনোয়ার মামু, নাজমার চাচতো ভাই- দুলাভাইয়ের ভাতিজা পুলিশ লাইন আসে আমাকে খুঁজতে। আমাকে দেখে বলে, মন্টু মামু, নানি বাসাত আইছে। আপনেরে যাইতে কইছে। তখন আমি যাইয়া সোনালী ব্যাংকের  পিছনে আনোয়ারা ভিলা বাসায় উঠি। দুলাভাই বলেন, তুমি আমার বাসায় থাকো। আর লেখাপড়া করো। ভাগ্নীদের দিকে খেয়াল রাইখো। সেই থেকে আমি ১৯৮৩ সাল পর্যন্ত এই বাসায় ছিলাম। এখান থেকেই আমি মেট্রিক, ইন্টার পাস করি। ৮৩ সালের শেষ দিকে নাজমার আব্বা রামঘাট বাসা করলে আমি সেখানে চলে যাই। ১৯৮৪ সালে আমি শিক্ষা বোর্ডে চাকরি নেই। দুইটা ফার্স্ট ডিভিশন পেয়েও টাকার অভাবে আমি পড়াশোনা করতে পারিনি। নইলে আমি আজ দেশের বুদ্ধিজীবী থাকতাম। কুকুরের বাচ্চা, তোরা কস তোর বাপ সবার জন্য করছে। কি বাল করছে? ১৯৮৯ সাল পর্যন্ত রামঘাট ফিরো বুবুর বাসায় ছিলাম। ১৯৮৬ সালের জানুয়ারি মাসে আমি এক বন্ধুর কাছ থেকে টাকা নিয়ে জাপান যাই। ৮৭ সালের ফেব্রুয়ারিতে ফিরে এসে বিএ পরীক্ষা দিয়ে সেকেন্ড ডিভিশনে পাস করি।তোরা গান চোদাস তোর বাপ এই করে ফেলছে, সেই করে ফেলেছে। ঠিক জিহবা টেনে ছিড়ে ফেলবো তোদের। বাল করছে তোর বাপ। মা, আর আমারে খাওয়ানোর জন্য দেয়া কাশেম ভাই ও মালেক ভাইয়ের ৬+৬=১২ গন্ডা, আমার আড়াই গন্ডা আর মার জমি সব তোর বাপ খাইছে। তোর বাপ ১৯৮১/৮২ সালে আমিন ভাইসহ সিরিয়া যাইবো বলে সেই জমি বিক্রি করে দূর্গাপুরের ‍হুমায়ুন চেয়ারম্যানের বড় ভাই হাবীব সাহেবকে টাকা দেন। কিন্তু যাইতে পারে নাই। সেই টাকা নিজে খাইছে আর তোরারে খাওয়াইছে।

বিএ পাস করে আমি ঢাকায় জেনিসের ডাইরেক্টর হিসেবে দায়িত্ব পালন করার জন্য ঢাকা চলে যাই ১৯৮৮ সালের ডিসেম্বরে এবং ঢাকা বিশ্ববিদ্যালয়ে আন্তর্জাতিক সম্পর্ক বিভাগে ভর্তি হই। এক বছর আমি ফকিরাপুল মোড়ে নুরানী হোটেলের ৫৫ নাম্বার রুমে থাকি আর জেনিসের কাজ করি। তখন জেনিস এখানে ছিলো। ডিআইটি এক্সটেনশন রোডে। মুন্না জাপান। জেনিসের অফিস নেওয়া থেকে সবকিছু আমি করি। ফাঁকে ফাঁকে ইউনিভার্সিটিতে যাই। ক্লাসও করি। মুন্নার লগে আমার মতবিরোধ হইছে এই জিদ্দে আমি জেনিস ছেড়ে দেই এবং ইউরোপে চলে যাই ১৯৮৯ সালের ডিসেম্বরে।

মতবিরোধের কারণ আমার ভালো লেখাপড়া, দেশের এক নাম্বার বিশ্ববিদ্যালয়ে নামি-দামি সাবজেক্টে এম.এ পড়ি। দেখতে সুন্দর, স্মার্ট। জেনিসের কাজে সিনসিয়ারিটি, সততা এসব দেখে মুন্নার বাবা মা তাদের চতুর্থ মেয়ে শেলিকে আমার কাছে বিয়ে দিতে চায়। আমি শেলিকে বিয়ে করবো না। মুন্নার আট বোন। একটাও দেখতে সুন্দর না। ওরা মাঝে মাঝে ফিরো আপার বাসায় যেত। একদিন আপা আমাকে বলে  'মুন্নার বইনডি একটাও সুন্দর না। দেখলে মায়া লাগে না।'

৯৫তে গেলাম আমেরিকায়। তো তোর বাপ যে তোরারে কইছে আত্মীয়-স্বজন খাওয়াইছে, এই করছে, সেই করছে,কি বাল ফালাইছে তোর বাপ? হিসাব দিলাম। আমারে আর মাকে নিয়া তোর বাপ ব্যবসা করছে। আর তোরা বলিস তোর বাপ সবাইরে খাওয়াইছে। ফাইজলামি চুদাও? রেজাউল ভাই এক্সিডেন্ট করার পর কিছুদিন ফরিদা আমাদের বাড়িতে ছিলেন। তোদের ঘরে খাইছে। এরপর ফরিদা আবার চলে গেছেন নুরু বুবুর বাসায়। তারপর ফিরো বুবুর বাসায়। এই বাসা, সেই বাসা থেকে চাকরি করছে। আর বাড়িতে আসলে তোর বাপের লগে দেখা করতে এক পোটলা নিয়া আসতো। মাগনা খাইছে না তোর বাপের ঘরে কেউ। দুই বেলা খাইলে ১০ বেলার টাকা দিয়া গেছে। সেখান থেকে তোরাও খাইছোস। এমন কোন আত্মীয়-স্বজন নাই যে তোর আব্বারে সাহায্য করে নাই। শেষমেশ তোর বাপ ফরিদার অংশও লেইখ্যা লইছে।

৯৫ সালে আমি ইউরোপ থেকে দেশে এসে যখন কোহিনূরের বিয়ে হয় তখন মা একদিন আমাকে ডেকে নিয়ে বললেন, তোর বাপের যক্ষা রোগের চিকিৎসার টাকা নাই। আমারও টাকা তখন শেষ। আমার গলায় তখন দুইটা স্বর্ণের চেইন ছিল। এক পাকিস্তানি বন্ধু তারিক আমারে উপহার দিছিলো ইউরোপে। কোহিনূরের বিয়ের ভিডিওতে আমার গলায় সেই চেইন দুইটা আছে।

আমি কাপরিয়াপট্টি লুতু ভূঁইয়া জুয়েলার্সে গিয়ে সেই চেইন দুইটা ১১ হাজার টাকা বিক্রি করে তোর আব্বার হাতে ১০ হাজার টাকা দিছিলাম চিকিৎসা করার জন্য। কুত্তার বাচ্চা আজ আমার কোন খোঁজ নিস না তোরা! মাদারচোদ।  নার্গিসের বিয়ের জন্য আমেরিকা থেকে প্রথমে ৫০ হাজার টাকা পাঠিয়েছি তোর বাপের একাউন্টে। দুই তিন মাস পর তোর মা আমারে চিঠি লিখে জানাইলো, (চিঠি তো নার্গিস লিখতো) 

"তুমি আলম, শাহ আলমকে বলিও না। (আলম, শাহ আলমের সাথে আমার খুব ঘনিষ্ঠতা ছিলো)। তোমার ভাইয়ের যে রোগটা হইছে এইটা নার্গিসেরও হইছে। চিকিৎসায় তোমার সব টাকা শেষ। এখন তুমি টাকা না দিলে নার্গিসকে বিয়ে দিতে পারবো না।"  সত্য না মিথ্যা কার বালে জানে। আমি আবার ৫০ হাজার টাকা পাঠাইছি নার্গিসের বিয়ের জন্য তোর বাপের একাউন্টে।এই নার্গিস শুয়ন্নি কোনো দিন আমার একটা খোঁজ নিছে? তাইরে বিয়া দিছি আমার টাকা দিয়া। বেঈমান। 

রবির সাথে তোর অপকর্মের পর আমি যখন তোর বাপের সাথে যোগাযোগ বন্ধ করে দিছিলাম। তখন তুই আমাকে নিউইয়র্কে চিঠি লেখস নাই বদমাইশ? মনে নাই সেই লাইন?  "কাকা, আপনি না আমাকে আম্মু ডাকতেন। মানুষ ভুল করে আবার ক্ষমাও পায়। কাকা, আমাকে ক্ষমা করে দিয়ে আম্মু বলে আপনার বুকে টেনে নেন।" মনে থাকবো ক্যামনে? তোদের জন্মই তো হইছে বেঈমান হইয়া।

৯৫তে গেলাম আমেরিকায়। তো তোর বাপ যে তোরারে কইছে আত্মীয়-স্বজন খাওয়াইছে, এই করছে, সেই করছে,কি বাল ফালাইছে তোর বাপ? হিসাব দিলাম। আমারে আর মাকে নিয়া তোর বাপ ব্যবসা করছে। আর তোরা বলিস তোর বাপ সবাইরে খাওয়াইছে। ফাইজলামি চুদাও? রেজাউল ভাই এক্সিডেন্ট করার পর কিছুদিন ফরিদা আমাদের বাড়িতে ছিলেন। তোদের ঘরে খাইছে। এরপর ফরিদা আবার চলে গেছেন নুরু বুবুর বাসায়। তারপর ফিরো বুবুর বাসায়। এই বাসা, সেই বাসা থেকে চাকরি করছে। আর বাড়িতে আসলে তোর বাপের লগে দেখা করতে এক পোটলা নিয়া আসতো। মাগনা খাইছে না তোর বাপের ঘরে কেউ। দুই বেলা খাইলে ১০ বেলার টাকা দিয়া গেছে। সেখান থেকে তোরাও খাইছোস। এমন কোন আত্মীয়-স্বজন নাই যে তোর আব্বারে সাহায্য করে নাই। শেষমেশ তোর বাপ ফরিদার অংশও লেইখ্যা লইছে।

৯৫ সালে আমি ইউরোপ থেকে দেশে এসে যখন কোহিনূরের বিয়ে হয় তখন মা একদিন আমাকে ডেকে নিয়ে বললেন, তোর বাপের যক্ষা রোগের চিকিৎসার টাকা নাই। আমারও টাকা তখন শেষ। আমার গলায় তখন দুইটা স্বর্ণের চেইন ছিল। এক পাকিস্তানি বন্ধু তারিক আমারে উপহার দিছিলো ইউরোপে। কোহিনূরের বিয়ের ভিডিওতে আমার গলায় সেই চেইন দুইটা আছে।

আমি কাপরিয়াপট্টি লুতু ভূঁইয়া জুয়েলার্সে গিয়ে সেই চেইন দুইটা ১১ হাজার টাকা বিক্রি করে তোর আব্বার হাতে ১০ হাজার টাকা দিছিলাম চিকিৎসা করার জন্য। কুত্তার বাচ্চা আজ আমার কোন খোঁজ নিস না তোরা! মাদারচোদ।  নার্গিসের বিয়ের জন্য আমেরিকা থেকে প্রথমে ৫০ হাজার টাকা পাঠিয়েছি তোর বাপের একাউন্টে। দুই তিন মাস পর তোর মা আমারে চিঠি লিখে জানাইলো, (চিঠি তো নার্গিস লিখতো) 

"তুমি আলম, শাহ আলমকে বলিও না। (আলম, শাহ আলমের সাথে আমার খুব ঘনিষ্ঠতা ছিলো)। তোমার ভাইয়ের যে রোগটা হইছে এইটা নার্গিসেরও হইছে। চিকিৎসায় তোমার সব টাকা শেষ। এখন তুমি টাকা না দিলে নার্গিসকে বিয়ে দিতে পারবো না।"  সত্য না মিথ্যা কার বালে জানে। আমি আবার ৫০ হাজার টাকা পাঠাইছি নার্গিসের বিয়ের জন্য তোর বাপের একাউন্টে।এই নার্গিস শুয়ন্নি কোনো দিন আমার একটা খোঁজ নিছে? তাইরে বিয়া দিছি আমার টাকা দিয়া। বেঈমান। 

রবির সাথে তোর অপকর্মের পর আমি যখন তোর বাপের সাথে যোগাযোগ বন্ধ করে দিছিলাম। তখন তুই আমাকে নিউইয়র্কে চিঠি লেখস নাই বদমাইশ? মনে নাই সেই লাইন?  "কাকা, আপনি না আমাকে আম্মু ডাকতেন। মানুষ ভুল করে আবার ক্ষমাও পায়। কাকা, আমাকে ক্ষমা করে দিয়ে আম্মু বলে আপনার বুকে টেনে নেন।" মনে থাকবো ক্যামনে? তোদের জন্মই তো হইছে বেঈমান হইয়া।

এরপর আমি নিউইয়র্ক থেকে ফ্লোরিডায় গেলাম। তোর ভাই ওই বেজন্মা আমারে চিঠি লেখছে। তার নাকি পড়ার খরচ চলে না। তোর বাপ ব্রিক ফিল্ডে চাকরি করে। আমি দক্ষিণ বাড়ির হাকিম ভাইয়ের ফোনে ৬৮০২ নাম্বারে কল করে সোহাইগ্যারে  জিগাইলাম, কতো টাকা তার পড়ার খরচ? তারে তিন বছরের অনার্স খরচ একবারে তার একাউন্টে পাঠাইছি ৬০ হাজার টাকা। এরপর আমারে আবার চিঠি লেখছে, তোদের মাটির ঘরটা ভাইঙ্গা লাইছে। তার একটা বড় ভাই নাই। আমিই তার বড় ভাই। টাকার জন্য চাচারেও ভাই ডাকে! কতো বড় মাদারচোদ! টাকার কি মাহাত্ম্য। এখন আমি টাকা দিলে একটা ঘর করতে পারে। যদি কোনদিন অবস্থা ভালো হয় তখন আমারে দেখবে। আমি তখন তোদের ঘর করার জন্য সোহাইগ্যার একাউন্টে ৯০ হাজার টাকা পাঠাইছি। ব্যাংক একাউন্ট নাম্বার আমার কাছে আছে।

সেই সোহাইগ্যা আমার গেইটে লাথি মাইরা কইছিলো, মোবাইল ফোনটা নাকি আমার পোন্দে দিয়া ভইরা দিবো। আমি বাড়ি ছাড়ছি তোর বাপ আর সোহাইগ্যার  জন্য। তোর বাপ লাথি দিয়া আমার ওয়াল ভাঙছিলো। যেদিন সোহাইগ্যা আমার গেটে লাথি দিয়া বলছিলো, মোবাইল ফোনটা পুন্দে দিয়া ভইরা দিবো। আমি তখন বাসার ভিতর থেকে ভিডিও করছিলাম। সেদিন যদি দুই বছরের জেমিমা কুমিল্লা বাসায় না থেকে ঢাকা বাসায় থাকতো, তো সেদিনই সোহাইগ্যারে মাইরা ফেলতাম। আমার গেইটের ভিতর দা, ছেনি, খুন্তি, কোদাল সব ছিলো। ফুল গাছের পরিচর্যা করার জন্য এসব দরকার ছিলো। এরপর সারাজীবন জেল খাটতাম। আইজ ১৬ বছর তোরা সোহাইগ্যার মৃত্যু দিবস পালন করতে হইতো। আমি যখন বাইর হতে চাইছিলাম তখন জেমিমার মা আমার হাত ধরে জেমিমারে দেখাইয়া ইঙ্গিত দিলো, তুমি কিছু করলে জেমিমারে তারা মাইরা ফেলবো। বাইচ্চা গেছে সোহাইগ্যা সেদিন। আল্লাহর কাছে শুকরিয়া আদায় কর । এখন থেকে আমি মাঝে মাঝে বাড়িতে আসবো। তোদের ফ্যামিলির কেউ আমার সাথে এই জীবনে আর কোনো কথা বলবি না। তোদের সাথে সম্পর্ক জীবনেও শেষ মরণেও শেষ। আমিতো অসুস্থ। সারাদিন বাসায় শুয়ে থাকি। ডাল, ভাত কয়টা রান্না করে খাই। প্রতিদিন বিকেলে দুই ঘন্টা হাঁটি। শংকরপুর দিয়ে চক্ষু হাসপাতাল হয়ে বরদুইল পর্যন্ত যাই। আবার কোনো দিন রেল স্টেশনে হাঁটতে যাই। এখন ঘোড়ামারার দিকে হাঁটবো।

আজাদ, আলম, সোহেল, বাবলু, পারভেজ আজ পর্যন্ত আমার সামনে দাঁড়িয়ে কোনো বেয়াদবি করেনি। আমি ওয়াল করায় আলম তাদের অসুবিধা বেশি হইছিলো। হেরা তো আমার ওয়াল ভাঙেনি। তোর বাপ আমার ওয়াল ভাঙছে। এর জন্য তুই দায়ী। তোদের দিকে আমার একটা পকেট গেইট ছিলো। আমি সেটাই বন্ধ করছিলাম। তুই দেইখ্যা বাপেরে ব্রিক ফিল্ডে ফোন কইরা খোঁচা মারছোস। তাই উনি উত্তেজিত হইয়া আইসা আমার ওয়াল ভাঙছে। তুই এই বাড়িত বিয়া কইরা তোর বাপের গুপ্তচর হিসেবে কাজ করোছ। আরেক দিন আমি তোর বাপের লগে তর্কাতর্কি করায় তুই সেইদিক থাইকা আইসা  আমারে কইছিলি, ' আমার বাপ এইনি পাওয়া আছিলো'। তুই হইলি ডাবল মাদারচোদ। তুই সেইদিক থাইকা এই দিকে আসছিস কেনো ? আমার পোলা মাইয়া নাই বলে আমারে একা পাইয়া তোরা বাপ, পুত, মাইয়া দৌঁড়াইয়া আইতি। তোর বাপের সাথে তর্কাতর্কি হলেই তোরা মাইয়া পোলা তোদের  বাপের পক্ষ হইয়া দৌঁড়াইয়া আইতি। তোরারে আমি ৫০ বছর ধইরা চিনি।

আমেরিকা থেকে এসে হ্যাপিরে হোন্ডার পিছে নিয়া ডেইলি ২/৩ হাজার টাকার বাজার করিনি? তোদের কোনো অভাব ছিলো? তোদের রুমে স্টিল আলমারিতে টাকার বান্ডেল রাখতাম। চাবি হ্যাপির কাছে ছিলো। কোন দিন হিসাব চাইনি। আমার হোন্ডা সোহাইগ্যা দিনের পর দিন চালাইছে না? ট্রাক্টর কিনে 'হ্যাপী ট্রান্সপোর্ট ' নাম দিছিলাম না? মাইসে বুদ্ধি দেয় জায়গা কিনার আর তোর বাপ বুদ্ধি দিছে ট্রাক্টর কিনার!!! ট্রাক্টর কিনার পর কোম্পানি একটি রঙিন টেলিভিশন উপহার দেয় আমাকে। সেই টেলিভিশনও আমি তোদের ঘরে দেই । এরপর ডিস শাহীনকে ২০০০ টাকা দিয়ে তার কিনে তোদের বাসায় ডিসের কানেকশান দেই । তোরা কি জীবনে টেলিভিশন দেখছোস নি ? আমার ঘরে তখনও টেলিভিশন নাই । এইবার বুঝছোস নি শুয়োরের বাচ্চা কি করছি তোদের জন্য ? হ্যাপির বিয়ের পর আমি আমার বাসা ছেড়ে তোদের টিনের ঘরে এসে ১৫ দিন থাকি। হ্যাপি আর কাজল যেন আমার বাসায় নতুন কাপল হিসেবে হানিমুন করতে পারে। সেই হ্যাপি কোন দিন আমার খোঁজ নিছে? তোরা সবডি মাদারচোদ। শেষ কথা, ভদ্রলোকের মতো আমি যে হিসাব নিচে দিচ্ছি এই টাকাগুলি দিয়ে দিতে বলবি তোর বাপ আর সোহাইগ্যারে। বেশি চাইবো না আর নইলে মামলা কইরা ২৫/২৮বছর আগের এত টাকা বর্তমান মূল্য ১ কোটি টাকা দেওন লাগবো । তোর ভাই সোহাইগ্যা কত বড় বেঈমান এর একটা উদাহরণ দেই। দেলোয়ার দুলাভাই তোর বাপেরে মাগুরা টেক্সটাইল মিলে চাকরি যোগাড় কইরা দিছিলেন । আর ফিরো বুবু মারা যাওয়ায় এই সোহাইগ্যা ঢাকা থেকে কুমিল্লায় এসে দেখে যায় নি । অথচ নার্গিসের শ্বশুর মারা যাওয়ায় এই বেজন্মা গাড়ী নিয়া আইছিলো । ফিরো বুবু তোরার আপন ফুফু আর নার্গিসের শ্বশুর তালুই। তোদের বেঈমানির জলন্ত প্রমাণ । দুই তিন বছর আগে পারভেজ আমাকে ৭০/৮০ হাজার টাকা দিছে তার কেয়ারটেকার জসিমের মাধ্যমে। কখনো ১০ কখনো ৫ হাজার টাকা করে। সোহাইগ্যা মাদারচোদ কি করছে আমার জন্য?

আমি আমেরিকার থেকে আসার পর বেশি কিছু ভালো ভালো বিয়ের প্রস্তাব এসেছিলো। অভিভাবক হিসেবে পাত্রী পক্ষকে আমি তোর বাপের সাথে কথা বলতে বলি। পাত্রী পক্ষ উনার সাথে যোগাযোগ করলে তিনি বলেন, সে পাগল ছাগল মানুষ। পরে কোনো ঝামেলা হলে আমি দায়িত্ব নিতে পারবো না। মিনু ফুফুর জামাই রউফ স্যারকেও তোর বাপ এই কথা বলছে। উনি একজন শিক্ষিত মহিলার সাথে আমার নিয়ে দিতে চেয়েছিলেন। একজন বড় ভাই কি এমন কথা বলতে পারেন? তিনি চাননি আমি বিয়ে করি। আমি ব্যাচেলর থাকলে উনার লাভ।

উল্টো তোর বাপ পাগল হয়ে গেছিলো হ্যাপিকে বিয়ে দেয়ার জন্য। ৪২ বছরের ভাই অবিবাহিত অথচ তিনি তার ২০ বছরের মেয়ের বিয়ের জন্য অস্থির! আমাকে বাদ দিয়ে তিনি তার মেয়েকে বিয়ে দেন। দেড় বছর পর আমি কাউকে না জানিয়ে একক সিদ্ধান্তে বিয়ে করি।

এবার হিসাব নে। 

নার্গিসের বিয়ে----১ লাখ

সোহাইগ্যার পড়ার খরচ ৬০ হাজার

তোদের ঘর করার খরচ ৯০ হাজার

আর যে জায়গা দিছি তা ৫০ হাজার। 

বাকিগুলি মাফ করে দিলাম।

এই চিঠিতে আমি যা লিখেছি তার সবগুলো আদালতে প্রমাণ করতে পারবো। আরও অনেক কিছু আছে। সেগুলো তোর বাপ আর ভাইকে কাঠগড়ায় দাঁড় করিয়ে আদালতে বলবো। মরে তো যাবোই। তোদের মুখোশ উন্মোচন করে দিয়ে যাবো। তোরে চিঠি লিখে জানাইছি কারণ তুই এখন এই পরিবারের হর্তাকর্তা।  

(তোর বাপেরে পুকুর বা বসত থেকে আধা গন্ডা বিক্রি করতে বলবি। এতেই আমার পাওনা টাকা হয়ে যাবে।এতো হোগা ছড়াইয়া থাকার দরকার নাই। মাইসেরে পোন্দাইয়া নিজের পোলা মাইয়ার জন্য সম্পদ রাখে তোর বাপে।)

করিম চৌধুরী 

গোমতী হাউজিং

তারিখ : ১৮ই সেপ্টেম্বর ২০২৪

বি.দ্র. এই বিষয়ে আমার সাথে তোদের পরিবারের কারো কোনো কথা বলার দরকার নাই। তৃতীয় কোনো ব্যক্তির মাধ্যমে আমার নামে চেক দিয়ে দিলেই চলবে।

মন্তব্যসমূহ

এই ব্লগটি থেকে জনপ্রিয় পোস্টগুলি

আমার দেখা ১৯৭৪ সালের দুর্ভিক্ষ

আমার দেখা ১৯৭৪ সালের দুর্ভিক্ষ সরকারঃ শেখ মুজিবের শাসনামল ১৯৭৪-এর দুর্ভিক্ষ বাংলাদেশে ১৯৭৪ সালের মার্চে শুরু হয়ে সেই বছরেরই ডিসেম্বরের দিকে গিয়ে শেষ হয়। এই দুর্ভিক্ষে অসংখ্য মানুষ অনাহারে মারা গিয়েছিল। এই দুর্ভিক্ষকে স্মরণকালের মধ্যে সবচেয়ে ভয়ানক হিসেবে গন্য করা হয়। ওই সময় আমি বুঝতাম। ক্লাশ ফোরে পড়তাম। আহারে ! কি যে অভাব ! অনেকের মতো আমরাও ভাত না খেয়ে রুটি খেয়েছি । তাও পরিমিত । কখনো জাউ খেয়েছি । শুকনো মরিচ পাওয়া যেতো না । কাঁচা মরিচের কেজি ছিলো ১৫০ টাকা । লবন ১২০ টাকা । আর সোনার ভরি ছিলো তখন ১৫০ টাকা । সোনা শুধু ওই সময় কম দাম ছিলো । চারদিকে অভাব । সারাদেশের মানুষের হাহাকার । কতো মানুষ না খেয়ে মারা গেছেন ! বিদেশি রিলিফ সব আওয়ামী লীগের লোকেরা চুরি করেছে । আর বেশিরভাগ রিলিফ সীমান্ত দিয়ে ভারতে চলে পাচার হয়েছিলো । তখন বর্ডার খোলা ছিলো তখন । মহিলাদের শাড়ি কাপড় ছিলো না । অনেকে মাছ ধরার জাল পরে লজ্জাস্থান ঢেকেছিলো । এসব ছবি পত্রিকায়ও ছাপা হয়েছিলো । কিন্তু আওয়ামী লীগ নেতাদের কোনো অভাব ছিলো না । বাংলাদেশের স্বাধীনতা যুদ্ধ শেষ হওয়ার মাত্র দুই বছর তিন মাসের মাথায় ...

বোতল

বোতল মানব জীবনে বোতল অপরিহার্য । বোতল অনেক অর্থেও ব্যবহার হয় । কোনো কোনো এলাকায় আনস্মার্ট, বেয়াক্কেল প্রকৃতির লোককেও বোতল বলা হয় । ইউরোপ আমেরিকায় থাকতে আমি ডৃংক করতাম । হার্ড ডৃংক কমই খেতাম । প্রতিদিনই বিয়ার খেতাম । বিয়ার স্বাস্থ্য ভালো রাখে ও কাজ করতে এনার্জি জোগায় । পরিমিত বিয়ার খেলে কেউ মাতাল হয় না । মাঝে মাঝে বিশেষ কোনো পার্টিতে হুইস্কি খাওয়া হতো । তাও দামি ব্র্যান্ডের । জনি ওয়াকার ব্ল্যাক লেবেল, টিচার্স, পাসপোর্ট, হেনেসি, শিভাস রিগাল, জ্যাক ড্যানিয়েলস । সাকুরায়ও অনেক সময় এসব ব্র্যান্ডের হুইস্কি পাওয়া যায় না । তো দেশে আসার পরও কিছু দিন ডৃংক করেছিলাম । কুমিল্লায় সরকার অনুমোদিত একটা মদের দোকান আছে চক বাজারে । নামঃ নাদের ট্রেডিং কোং । এটা প্রায় আজ ৫০ বছর । এখানে বিদেশি ব্র্যান্ডের ডৃংক পাওয়া যায় না । দেশিয় কোম্পানি ‘কেরো এন্ড কোং’ যা দর্শনায় অবস্থিত তার তৈরি ভদকা, হুইস্কি, জিন পাওয়া যায় । আমাদের সমাজতো রক্ষনশীল । তাই কান্দিরপাড় থেকে একটা স্প্রাইট কিনে অর্ধেক খেতে খেতে চক বাজার যেতাম । নাদেরে যখন পৌঁছতাম তখন স্প্রাইটের বোতল অর্ধেক খালি হয়ে যেতো । আমি বাবুল ভাইকে স্প্...

অশ্লীল নাম

বাংলাদেশের কিছু প্রতিষ্ঠান ও স্থানের বিচিত্র বা বিকৃত অর্থের নাম যা পরিবর্তন করা উচিতঃ ১. বোদা মহিলা মহাবিদ্যালয়, বোদা, পঞ্চগড় ২. চুমাচুমি সরকারি প্রাথমিক বিদ্যালয়, রাঙ্গামাটি ৩. সোনাপোতা সরকারি প্রাথমিক বিদ্যালয়, খুলনা ৪. মানুষমারা সরকারি প্রাথমিক বিদ্যালয়, নীলফামারি ৫. সোনাকাটা ইউনিয়ন, তালতলী, বরগুনা ৬.বড়বাল ইউনিয়ন, মিঠাপুকুর, রংপুর ৭.সোনাখাড়া ইউনিয়ন, রায়গঞ্জ, সিরাজগঞ্জ ৮. ধনকামড়া গ্রাম, ভোদামারা, দিনাজপুর ৯.গোয়াকাটা, দোহার, ঢাকা ১০. গোয়াতলা, ময়মনসিংহ ১১.লেংটার হাট, মতলব, চাঁদপুর