সরাসরি প্রধান সামগ্রীতে চলে যান

বেখেয়ালি না ইচ্ছে প্রনোদিত...

 বেখেয়ালি না ইচ্ছে প্রনোদিত...

------------------------------------------

ইট দিয়ে সবুজ ঘাস ঢেকে রাখতে রাখতে একটা সময় যদি ইটা টা সরিয়ে নেয়া হয় তখন ঘাসটা যেমন তার আসল রং হারিয়ে কোমল এবং সাদা রং ধারণ করে।  আমি ঠিক তেমনি হয়ে গিয়েছিলাম। তখন যে কোনো রঙেই হয়তো আমাকে রাঙানো যেতো! সে সুযোগটা হাতছাড়া করেনি আর আমিও তার রঙে রঙিন হয়ে গেলাম। এতে আমার যতটুকু চাওয়া না ছিলো তার থেকে হাজার গুন বেশি ছিলো তার। হয়তোবা তার প্রয়োজন ছিলো বলেই এতো আগ্রহ ছিলো।

একটা সময় ছিলো যে আমার ভালোলাগাগুলো তার পার্সে থাকতো। আমার চাওয়ার আগেই সেটা সে পূর্ণ করতো। সে কখনো অনুভূতি প্রকাশ করতে পারতো না। তবে তার বুকে হাত রেখে আমি সে অনুভুতি অনুভব করতে পারতাম। সে যে শুধু আমার ভালেবাসা ছিলো তা নয় বরং আমার অনেক প্ল্যান পরিকল্পনায় জুড়েও আমি তাতে বিচরন করতাম৷ আমার সারাদিনের নয় শুধু বরং আমার ভবিষ্যতের পরিকল্পনাও তাকে নিয়েই করতে শুরু করলাম।। 

এভাবে বহুদিন গেল। আস্তে আস্তে সে ব্যস্ত হতে থাকলো। কথা চললেও কোথাও একটা যেন গ্যাপ তৈরী হতে থাকলো।। 

তবুও তার সঙ্গে মানসিক দূরত্বটা তৈরী করতে পারলাম না।  

আমাদের ভালেবাসায় বেত ঝাড়ের মতো পথ তৈরী হলো শুধু ঝগড়া হলো না৷ কারণ আমি ঝগড়া না আলোচনা করতে পছন্দ করি আর সে মৌনতা প্রকাশ করতো।  সে তার মতো করে আমাকে সাপোর্ট করে আমিও আমার মতো করে। 

মনোমালিন্য হলেও শুধু ভাঙনটা হয়না।  কারণ আমি তাকে ছাড়তেই চাই না হয়তোবা সেও তাই! 

আমাদের দেখা হয় কথা হয় প্রেম হয় সব হয় শুধু আগের মতো পাগলামিটা হয়না। সে এতো বেশি মানসিক ভাবে বয়স্ক হয়ে গেছে যে আমি অবাক হই!  হঠাৎ করে সে কীভাবে এতো বেশি বদলাতে পারে!  চৈত্রের পরে মরা গাছে যেমন সবুজ পত্র জাগে আমিও ঠিক তেমনি এক বুক আশা নিয়ে অপেক্ষা করছি যে সে বুকের চরা থেকে এমন প্রাণবন্ত কিছু হবে।  নাহ্ তা তো হচ্ছে না!

এতে করে আমার চিন্তা ভাবনায় অনেক ঝট পাকে।  তার সব কিছু জানতে চেয়েও আমার কেনো যেন না জানাটাই পছন্দের হয়ে গেল!

শুধু তার প্রতি ভালোবাসাটা কমাতে পারলাম না!

তাকে যাই বলিনা কেন সে সব কিছুতেই ওকে বলে সায় দেয়। শুধু সে কাজটা করে না। 

বেখেয়ালি বলবো নাকি ইচ্ছে প্রনোদিত..........

Karim Chowdhury 

13 October, 2023

Cumilla.

মন্তব্যসমূহ

এই ব্লগটি থেকে জনপ্রিয় পোস্টগুলি

আমার দেখা ১৯৭৪ সালের দুর্ভিক্ষ

আমার দেখা ১৯৭৪ সালের দুর্ভিক্ষ সরকারঃ শেখ মুজিবের শাসনামল ১৯৭৪-এর দুর্ভিক্ষ বাংলাদেশে ১৯৭৪ সালের মার্চে শুরু হয়ে সেই বছরেরই ডিসেম্বরের দিকে গিয়ে শেষ হয়। এই দুর্ভিক্ষে অসংখ্য মানুষ অনাহারে মারা গিয়েছিল। এই দুর্ভিক্ষকে স্মরণকালের মধ্যে সবচেয়ে ভয়ানক হিসেবে গন্য করা হয়। ওই সময় আমি বুঝতাম। ক্লাশ ফোরে পড়তাম। আহারে ! কি যে অভাব ! অনেকের মতো আমরাও ভাত না খেয়ে রুটি খেয়েছি । তাও পরিমিত । কখনো জাউ খেয়েছি । শুকনো মরিচ পাওয়া যেতো না । কাঁচা মরিচের কেজি ছিলো ১৫০ টাকা । লবন ১২০ টাকা । আর সোনার ভরি ছিলো তখন ১৫০ টাকা । সোনা শুধু ওই সময় কম দাম ছিলো । চারদিকে অভাব । সারাদেশের মানুষের হাহাকার । কতো মানুষ না খেয়ে মারা গেছেন ! বিদেশি রিলিফ সব আওয়ামী লীগের লোকেরা চুরি করেছে । আর বেশিরভাগ রিলিফ সীমান্ত দিয়ে ভারতে চলে পাচার হয়েছিলো । তখন বর্ডার খোলা ছিলো তখন । মহিলাদের শাড়ি কাপড় ছিলো না । অনেকে মাছ ধরার জাল পরে লজ্জাস্থান ঢেকেছিলো । এসব ছবি পত্রিকায়ও ছাপা হয়েছিলো । কিন্তু আওয়ামী লীগ নেতাদের কোনো অভাব ছিলো না । বাংলাদেশের স্বাধীনতা যুদ্ধ শেষ হওয়ার মাত্র দুই বছর তিন মাসের মাথায় ...

বোতল

বোতল মানব জীবনে বোতল অপরিহার্য । বোতল অনেক অর্থেও ব্যবহার হয় । কোনো কোনো এলাকায় আনস্মার্ট, বেয়াক্কেল প্রকৃতির লোককেও বোতল বলা হয় । ইউরোপ আমেরিকায় থাকতে আমি ডৃংক করতাম । হার্ড ডৃংক কমই খেতাম । প্রতিদিনই বিয়ার খেতাম । বিয়ার স্বাস্থ্য ভালো রাখে ও কাজ করতে এনার্জি জোগায় । পরিমিত বিয়ার খেলে কেউ মাতাল হয় না । মাঝে মাঝে বিশেষ কোনো পার্টিতে হুইস্কি খাওয়া হতো । তাও দামি ব্র্যান্ডের । জনি ওয়াকার ব্ল্যাক লেবেল, টিচার্স, পাসপোর্ট, হেনেসি, শিভাস রিগাল, জ্যাক ড্যানিয়েলস । সাকুরায়ও অনেক সময় এসব ব্র্যান্ডের হুইস্কি পাওয়া যায় না । তো দেশে আসার পরও কিছু দিন ডৃংক করেছিলাম । কুমিল্লায় সরকার অনুমোদিত একটা মদের দোকান আছে চক বাজারে । নামঃ নাদের ট্রেডিং কোং । এটা প্রায় আজ ৫০ বছর । এখানে বিদেশি ব্র্যান্ডের ডৃংক পাওয়া যায় না । দেশিয় কোম্পানি ‘কেরো এন্ড কোং’ যা দর্শনায় অবস্থিত তার তৈরি ভদকা, হুইস্কি, জিন পাওয়া যায় । আমাদের সমাজতো রক্ষনশীল । তাই কান্দিরপাড় থেকে একটা স্প্রাইট কিনে অর্ধেক খেতে খেতে চক বাজার যেতাম । নাদেরে যখন পৌঁছতাম তখন স্প্রাইটের বোতল অর্ধেক খালি হয়ে যেতো । আমি বাবুল ভাইকে স্প্...

অশ্লীল নাম

বাংলাদেশের কিছু প্রতিষ্ঠান ও স্থানের বিচিত্র বা বিকৃত অর্থের নাম যা পরিবর্তন করা উচিতঃ ১. বোদা মহিলা মহাবিদ্যালয়, বোদা, পঞ্চগড় ২. চুমাচুমি সরকারি প্রাথমিক বিদ্যালয়, রাঙ্গামাটি ৩. সোনাপোতা সরকারি প্রাথমিক বিদ্যালয়, খুলনা ৪. মানুষমারা সরকারি প্রাথমিক বিদ্যালয়, নীলফামারি ৫. সোনাকাটা ইউনিয়ন, তালতলী, বরগুনা ৬.বড়বাল ইউনিয়ন, মিঠাপুকুর, রংপুর ৭.সোনাখাড়া ইউনিয়ন, রায়গঞ্জ, সিরাজগঞ্জ ৮. ধনকামড়া গ্রাম, ভোদামারা, দিনাজপুর ৯.গোয়াকাটা, দোহার, ঢাকা ১০. গোয়াতলা, ময়মনসিংহ ১১.লেংটার হাট, মতলব, চাঁদপুর