সরাসরি প্রধান সামগ্রীতে চলে যান

আমি জীবনকে উপভোগ করেছি

 আমি জীবনকে উপভোগ করেছি

আমার প্রাইমারি জীবন গ্রামে কেটেছে। ডাংগুলি খেলেছি, গোল্লাছুট খেলেছি, হাডুডু খেলেছি, দাড়িয়াবান্ধা খেলেছি, মার্বেল খেলেছি, 'লুক পলান্তি' খেলেছি (হাইড এন্ড সিক),পুকুরে ডুবিয়ে ডুবিয়ে 'লাই' খেলেছি, আনতা পেতে মাছ ধরেছি, ঝড়ের সময় ভিজে আম কুড়িয়েছি, কাগজে লাল মরিচ গুড়া- লবণসহ ছোট ছুরি নিয়ে আম গাছে উঠে ডালে বসে বসে কাঁচা আম কেটে খেয়েছি, শীতকালে চুরি করে রাতে অন্যের খেজুর গাছ থেকে রস খেয়েছি, অন্যের গাছের ডাব চুরি করে খেয়েছি, জাম্বুরা দিয়ে ও কাগজের ঠোঙাতে খড় ঢুকিয়ে ফুটবল খেলেছি, ঘুড়ি উড়িয়েছি, ডোবায় কাদায় গড়াগড়ি করে মাছ ধরেছি, চাচাতো বোনদের সঙ্গে 'জামাই বউ' খেলেছি, দড়ি লাফানি খেলেছি, মাটিতে দাগ দিয়ে মেয়েদের সঙ্গে কুতকুত খেলেছি। ডোবা বা কুয়ার পাড়ে দাঁড়িয়ে পানিতে পেসাব করে পেসাব ঘুরিয়ে ঘুরিয়ে অ, আ লিখেছি। স্কুলের সাংস্কৃতিক অনুষ্ঠানে গান গেয়ে, কবিতা আবৃত্তি করে পুরস্কার পেয়েছি। বিকেলে মসজিদের বারান্দায় হুজুরের কাছে সূরা, কায়দা, আলিফলাম, কোরান পড়েছি।

দশম শ্রেণিতে উঠে প্রেমে পড়েছি। তখন শহরে থাকি। (আমার তিন বড় বোন শহরের স্থায়ী অধিবাসী। বড় আপা রেইস কোর্স, মেজো আপা কান্দিরপাড়, ছোট আপা গাংচর। হাই স্কুল ও কলেজ জীবন বোনদের বাসায় কেটেছে।) গ্রামের বাড়ি শহর খুব কাছে। কিছু প্রেমের গল্প উপন্যাস পড়ে সেই সব বই থেকে উদ্বৃতি দিয়ে জীবনে প্রথম প্রেমের চিঠি লিখেছি স্কুল জীবনে,(কিসের এসএমএস আর মেসেঞ্জার?), প্রেমিকার বাসার কাজের ছেলের সাথে টাকা খরচ করে বন্ধুত্ব করেছি। কারণ চিঠি আদান-প্রদানের সে ই একমাত্র পিয়ন। তার বিরাট ক্ষমতা! যে বাসায় গেলে আমাকে গুলি করবে সে ওই বাসায় থাকে! সব সময় তাকে তেল মেরে চলেছি। 

রেইস কোর্স, ঝাউতলা, বাগিচাগাঁও, বাদুরতলা, কান্দিরপাড়, মনোহরপুর মারামারি করেছি। মুক্তিযুদ্ধ দেখেছি। শেখ মুজিব, জিয়া হত্যা, এরশাদের সামরিক শাসন জারি, নব্বইয়ে এরশাদের পতন দেখেছি। ভালো ভাবে লেখাপড়া করেছি। দোকানে বাকি সিগারেট খেয়েছি। টিউশনি করেছি। বাজারের টাকা থেকে চুরি করে প্রচুর বাংলা সিনেমা দেখেছি। এক গুরুতর অপরাধ করে সেজো ভাই সহিদ চৌধুরীর উড়াধুরা মাইর থেকে বাঁচার জন্য গভীর রাতে বাঁশ ঝাড়ের নিচে গড়াগড়ি করে আমাকে জ্বিনে ধরার অভিনয় করেছি ১৫ দিন। মার কান্নাকাটিতে সেজো ভাই কবিরাজ আর হুজুর এনে আমাকে ঝারাইছে জ্বিন তাড়ানোর জন্য। কিন্তু আমি ভালো হইনি। জ্বিনের আছড় লেগেই ছিলো। বিপদ কেটে গেলে নিজে নিজেই জ্বিন চলে যায়!

কুমিল্লা শিক্ষাবোর্ডে সংস্থাপন শাখায় চাকরি করেছি। জেনিস শু-এর প্রতিষ্ঠাতা ডিরেক্টর হিসেবে দায়িত্ব পালন করেছি। আটাশি সালে ইউনিয়ন পরিষদের নির্বাচনে আমাদের এলাকার একটা ভোট কেন্দ্র দখল করে রেখেছি।

টোকিওর রাস্তায় হেঁটে বেরিয়েছি। দিনের পর দিন রামেন নুডুলস খেয়েছি। 

ইউরোপে খুব কাছে থেকে নব্বই দশকে সোভিয়েত ইউনিয়নের ভাঙন, পূর্ব ইউরোপে সমাজতন্ত্রের পতন দেখেছি। হারিয়ে যাওয়া দেশ যুগোস্লাভিয়া ঘুরে বেরিয়েছি। বেলগ্রেড, জাগরেব, লুবলিয়ানা, মারিবোর ঘুরেছি। পূর্ব জার্মানি আর পশ্চিম জার্মানি দেখেছি।আবার বার্লিন দেয়ালের ভেঙে আর দুই জার্মানির একত্র হওয়া দেখেছি। 

সোভিয়েত ইউনিয়নের প্রেসিডেন্ট লিওনিদ ব্রেজনেভের শাসনামল দেখেছি। তার মৃত্যু দেখেছি। তারপর পলিটব্যুরোর সিনিয়র মেম্বার প্রেসিডেন্ট কন্সটান্টিন চেরনেনকো ও ইউরি আন্দ্রোপভের মৃত্যু দেখেছি। সোভিয়েত ইউনিয়নের শেষ প্রেসিডেন্ট মিখাইল গরবাচেভের গ্রেফতার দেখেছি। তার মৃত্যু দেখেছি। বরিস ইয়েলৎসিনের উত্থান দেখেছি। তার বিশ্বস্ত সহযোগী আজকের রাশিয়ার ক্ষমতাধর প্রেসিডেন্ট  ভ্লাদিমির পুতিনকে যুবক দেখেছি। চেরনোবিল পারমাণবিক দুর্ঘটনা দেখেছি। আফগানিস্তানে সোভিয়েত আগ্রাসন দেখেছি। বাবরাক কারমাল-এর পতন দেখেছি। সুইডিশ প্রাইম মিনিস্টার ওলফ পামের হত্যাকাণ্ড দেখেছি।

১৯৭৯ সালে কট্টরপন্থী সুন্নীদের দ্বারা ইসলামের পবিত্রতম স্থান কাবা এবং একে ঘিরে তৈরি মসজিদ আল হারাম বা হারাম শরিফ দখল করেছিলো একটি সালাফিপন্থী গোষ্ঠী। তাদের দখল থেকে কাবাঘর মুক্ত করতে যে তীব্র লড়াই চলে, তাতে নিহত হয় শত শত মানুষ। তা দেখেছি।

ভিয়েনার আনাচে কানাচে ঘুরে বেরিয়েছি। ড্যানিউব নদীতে বছরের পর বছর সাতার কেটেছি। শনব্রুনে চিৎ হয়ে শুয়ে আকাশ দেখেছি।  ভিয়েনার বারে অস্টৃয়ানদের সাথে মারামারি করেছি। হিটলারের জন্মস্থান অস্টৃয়ার ব্রুনোতে গিয়েছি। বেলগ্রেড, প্রাগ, বুডাপেস্ট, বুখারেস্ট, বার্লিন, ড্রেসডেন, মিউনিখ, নুরেমবার্গ, আমস্টারডাম, ব্রাসেলস, সুইজারল্যান্ড ঘুরে বেড়িয়েছি। নাইট ক্লাব, বার,পাবে গিয়েছি। ডিসকোতে নেচেছি। প্রায় প্রতিদিন বিলিয়ার্ড খেলেছি। 

প্রিন্সেস ডায়ানার বিয়ে দেখেছি। প্যারিসে গাড়ি দুর্ঘটনায় তার মৃত্যু দেখেছি। 

নিউইয়র্ক সিটি তন্নতন্ন করে ঘুরে বেড়িয়েছি। 

আটলান্টিক মহাসাগরে সাতার কেটেছি। বিধ্বস্ত হওয়া টুইন টাওয়ারের ১১০ তলায় উঠে বিয়ার খেয়েছি। এম্পায়ার স্টেট বিল্ডিং এর ১০৮ তলায় উঠে বাইনোকুলার দিয়ে নিউ জার্সি, মেরিল্যান্ড, কানেকটিকাট, ওয়াশিংটন ডিসি দেখেছি। জাতিসংঘ সদর দফতরের সিড়িতে বসে আড্ডা মেরেছি। টাইমস স্কোয়ারে ৫ বছর তীব্র শীতে নতুন বছর উদযাপন করেছি। নিউইয়র্ক টাইমস, টাইম, ফক্স টিভি, এনবিসি টিভির হেড কোয়ার্টারের সামনে দাঁড়িয়ে ইলেকট্রনিক বিল বোর্ডে নিউজ পড়েছি। রকফেলার সেন্টারে দিন রাত কাটিয়েছি। হোয়াইট হাউসের সামনের রাস্তা পেনসিলভেনিয়া এভিনিউতে হেঁটেছি। কাছে থেকে হোয়াইট হাউস দেখেছি। নিউইয়র্কের মদিনা মসজিদে নামাজ পড়েছি।

বিল ক্লিনটনের নির্বাচন, বুশের নির্বাচন দেখেছি আমেরিকায় বসে। তীব্র শীতে তুষারে হেঁটেছি। ক্লিনটন ও মনিকা লিউনস্কির পরকীয়ায় তোলপাড় হওয়া আমেরিকা দেখেছি। নিউজার্সির আটলান্টিক সিটিতে ক্যাসিনো খেলেছি।

সাদ্দাম হোসেনের কুয়েত দখল দেখেছি। অপারেশন ডেজার্ট শিল্ড নামের গাল্ফ ওয়ার দেখেছি। আমেরিকার টুইন টাওয়ারে হামলা দেখেছি আমেরিকায় বসে। স্তব্ধ আমেরিকা! শুরু হয় আমেরিকার পালটা আঘাত হানার প্রস্তুতি। সারা আমেরিকায় উত্তেজনা। ওয়ার অন টেররের যুদ্ধে আফগানিস্তান ও ইরাক আক্রমণ ও দখল দেখেছি। ইরানের রেজা শাহ পাহলবির পতন দেখেছি। খোমেনির নেতৃত্বে ইরানে ইসলামিক বিপ্লব দেখেছি। আট বছরব্যাপী ইরাক-ইরান যুদ্ধ দেখেছি। সৌদি বাদশাহ ফয়সাল, বাদশাহ খালেদের মৃত্যু দেখেছি। জর্ডানের বাদশাহ হোসেনের মৃত্যুতে আশ্চর্য হয়েছি। তিনি বার্ধক্যজনিত রোগে চিকিৎসার জন্য নিউইয়র্ক গিয়েছিলেন। চিকিৎসকরা ২৪ ঘন্টার মধ্যে তার মৃত্যু হবে বলে ঘোষণা করলে তিনি তার শেষ ইচ্ছা জানান। তিনি তার মাতৃভূমি জর্ডানে শেষ নি:শ্বাস ত্যাগ করতে চান। সে রাতেই তাকে রয়াল জর্ডানিয়ান এয়ারলাইনসে নিউইয়র্ক থেকে আম্মান নিয়ে যাওয়া হয় এবং তিনি সেখানেই শেষ নি:শ্বাস ত্যাগ করেন। ল

ইন্দিরা গান্ধী হত্যাকাণ্ড, রাজীব গান্ধী হত্যাকাণ্ড, নেপালের রাজা বীরেন্দ্র ও রানী ঐশ্বর্য্যসহ রাজ পরিবারের সকলের হত্যাকাণ্ড দেখেছি। জুলফিকার আলি ভুট্টোর ফাঁসি, বিমান দুর্ঘটনায় জেনারেল জিয়াউল হকের মৃত্যু দেখেছি। বেনজির ভুট্টোকে মুসলিম বিশ্বের প্রথম মহিলা প্রধানমন্ত্রী হতে দেখেছি। বেনজিরের মৃত্যু দেখেছি। পারভেজ মোশাররফের ক্ষমতা দখল দেখেছি। গাদ্দাফির মৃত্যু, সাদ্দাম হোসেনের ফাঁসি দেখেছি। মিশরীয় প্রেসিডেন্ট আনোয়ার সাদাতের হত্যাকাণ্ড দেখেছি। হুসনি মোবারকের পতন দেখেছি। মুহাম্মদ মুরসীর ষড়যন্ত্রমূলক মৃত্যু দেখেছি। নেলসন মেন্ডেলার মুক্তি দেখেছি। ২৭ বছর জেল খেটে প্রেসিডেন্ট হতে দেখেছি। 

মাও সেতুং, দেং শিয়াও পিং এর মৃত্যু দেখেছি। চীনের তিয়েনানমের স্কোয়ারে হাজার হাজার মানুষকে হত্যা করতে দেখেছি। ভিয়েতনামি প্রেসিডেন্ট হো চি মিনের মৃত্যু দেখেছি। উত্তর কোরিয়ার প্রেসিডেন্ট কিম ইল সুং-এর মৃত্যু দেখেছি। তার ছেলে কিম জং উনের ক্ষমতায় আসা দেখেছি। গনঅভ্যুত্থানে ফিলিপিনের ২১ বছরের শাসক ফার্দিনান্দ মার্কোসকে পালিয়ে যেতে দেখেছি। শ্রীলঙ্কায় এলটিটির তামিল রাষ্ট্র গঠনে গৃহযুদ্ধ দেখেছি। এলটিটির প্রধান নেতা ভিলুপিল্লাই প্রভাকরণের হত্যাকাণ্ড দেখেছি। 

মালদ্বীপের প্রেসিডেন্ট মামুন আবদুল গাইযুমকে দেখেছি। ঢাকায় সার্ক সম্মেলন দেখেছি।

চীনের রাজধানী পিকিং থেকে বেইজিং, বার্মা থেকে মায়ানমার, রেঙ্গুন থেকে ইয়াঙুন হতে দেখেছি। বম্বে থেকে মুম্বাই, মাদ্রাজ থেকে চেন্নাই, Mecca থেকে Makkah, Dacca থেকে Dhaka হতে দেখেছি। ১৯ জেলা থেকে ৬৪ জেলা হতে দেখেছি। উপজেলা হতে দেখেছি। এরশাদের প্রশাসন বিকেন্দ্রীকরণ দেখেছি।

প্রেসিডেন্ট রোনান্ড রেগানকে গুলিবিদ্ধ হতে দেখেছি। রেগান শাসনামলে লিবিয়ার গাদ্দাফিকে মারার জন্য বেনগাজি ও ত্রিপলিতে বোমা হামলা দেখেছি। সিরিয়ার আমেরিকা বিরোধী শক্তিশালী আরব নেতা হাফেজ আল আসাদের মৃত্যু দেখেছি। পিএলও প্রধান  ইয়াসির আরাফাতের উত্থান ও মৃত্যু দেখেছি। ইসরাইলী প্রাইম মিনিস্টার আইজাক রবিনের হত্যাকাণ্ড দেখেছি। বৃটিশ প্রাইম মিনিস্টার মার্গারেট থেচারের মৃত্যু দেখেছি। কিউবায় ফিদের কাস্ত্রোর ৫০ বছরের শাসন দেখেছি। তার মৃত্যু দেখেছি।

ফকল্যান্ড দ্বীপ নিয়ে আর্জেন্টিনা-বৃটেন যুদ্ধ দেখেছি। মার্গারেট থেচার কয়েকদিনের যুদ্ধে ফকল্যান্ড দখল করে নেয়।

রিচার্ড নিক্সনের মৃত্যু দেখেছি। রেগানের মৃত্যু দেখেছি। জর্জ বুশ সিনিয়রের মৃত্যু দেখেছি। জাপান সম্রাটের বাসভবন দেখেছি। টোকিওতে ঘুরে বেড়িয়েছি। প্রশান্ত মহাসাগরে সাতার কেটেছি। ফিলিপিন্স, হংকং, চীন, সিঙ্গাপুর, মালয়েশিয়া, থাইল্যান্ড, লাওস, ইন্ডিয়া ঘুরেছি। 

মহাত্মা গান্ধীর সমাধি দেখেছি। জওহরলাল নেহেরুর কবর দেখেছি। ১ নং সফদার জং রোডে ইন্দিরা গান্ধীর সরকারি বাড়ি দেখেছি। ১০ নং জনপদে রাজীব, সোনিয়া গান্ধীর বাড়ি দেখেছি। তিন মুর্তি হাউস দেখেছি। নেহেরুর অফিস বাসা দেখেছি। চানক্যপুরী দেখেছি। উত্তর প্রদেশে তাজমহল দেখেছি। আগ্রা ফোর্ট দেখেছি। লোটাস টেম্পল দেখেছি। ফতেহপুর সিক্রিতে সম্রাট আকবরের করব দেখেছি। মথুরা বৃন্দাবনে শ্রীকৃষ্ণের জন্মস্থান দেখেছি। দিল্লির লালকেল্লা দেখেছি। ইন্ডিয়া গেইট দেখেছি। রাষ্ট্রপতি ভবন দেখেছি। ইন্ডিয়ান পার্লামেন্ট ভবন দেখেছি। সাউথ ব্লক দেখেছি। কুতুব মিনার দেখেছি। মুম্বাইতে আরব সাগরে হাজি আলী দেখেছি। কলকাতায় ভিক্টোরিয়া মেমোরিয়াল দেখেছি।

ফ্লোরিডা ঘুরে বেরিয়েছি। অরল্যান্ডোতে নাসা বা কেনেডি স্পেস সেন্টার দেখেছি। ইউনিভার্সেল স্টুডিও দেখেছি। সেরাসোটায় আটলান্টিক মহাসাগরে সাতার কেটেছি। মায়ামি, ওয়েস্ট পামবিচ ঘুরেছি। মেক্সিকো উপসাগরে স্পিডবোট চালিয়েছি। মাছ ধরেছি। কী ওয়েস্ট দ্বীপে আর্নেস্ট হেমিংওয়ের বাড়ি দেখেছি।  টমাস আলবা এডিসনের বাড়ি দেখেছি। ডিজনি ওয়ার্ল্ড  দেখেছি। 

ম্যাকডোনাল্ডস, বার্গার কিং, স্যান্ডউইচ হাউস, ডানকিন ডোনাটস, কেএফসি, পিৎজা হাট, স্টেক হাউজ, হুটার্স রেস্টুরেন্টে অনেক খেয়েছি। অনেক মানুষকে লাখ লাখ টাকা আর্থিক সাহায্য করেছি।

দেশ বিদেশের বাংলাভাষী পত্রপত্রিকায় লিখেছি। অনেক সেলিব্রিটির সঙ্গে চলেছি। মানুষের ভালোবাসা পেয়েছি।

ওসামা বিন লাদেনের আল কায়দার উত্থান দেখেছি, বিন লাদেনের হত্যা দেখেছি। 

কভিড ১৯ দেখেছি। সারা বিশ্বে লাখ লাখ মানুষের মৃত্যু দেখেছি। শত শত শহর লক ডাউন দেখেছি। শেখ হাসিনার অত্যাচার দেখেছি।

আরো কতো কী!!!

এখন ফেইসবুক, ইউটিউব, টিক টক, কন্টেন্ট ক্রিয়েটার, ব্লগার, ফেইসবুকে বন্ধু হয়ে প্রেমের টানে ব্রাজিল, মালয়েশিয়া থেকে মেয়েরা বাংলাদেশে ছুটে আসছে এসবও দেখি🤣🤣🤣🤣🤣🤣🤣

(শরীর খারাপ। শুয়ে শুয়ে ভাবছি। ভাবনার কথাই লিখেছি।)

মন্তব্যসমূহ

এই ব্লগটি থেকে জনপ্রিয় পোস্টগুলি

আমার দেখা ১৯৭৪ সালের দুর্ভিক্ষ

আমার দেখা ১৯৭৪ সালের দুর্ভিক্ষ সরকারঃ শেখ মুজিবের শাসনামল ১৯৭৪-এর দুর্ভিক্ষ বাংলাদেশে ১৯৭৪ সালের মার্চে শুরু হয়ে সেই বছরেরই ডিসেম্বরের দিকে গিয়ে শেষ হয়। এই দুর্ভিক্ষে অসংখ্য মানুষ অনাহারে মারা গিয়েছিল। এই দুর্ভিক্ষকে স্মরণকালের মধ্যে সবচেয়ে ভয়ানক হিসেবে গন্য করা হয়। ওই সময় আমি বুঝতাম। ক্লাশ ফোরে পড়তাম। আহারে ! কি যে অভাব ! অনেকের মতো আমরাও ভাত না খেয়ে রুটি খেয়েছি । তাও পরিমিত । কখনো জাউ খেয়েছি । শুকনো মরিচ পাওয়া যেতো না । কাঁচা মরিচের কেজি ছিলো ১৫০ টাকা । লবন ১২০ টাকা । আর সোনার ভরি ছিলো তখন ১৫০ টাকা । সোনা শুধু ওই সময় কম দাম ছিলো । চারদিকে অভাব । সারাদেশের মানুষের হাহাকার । কতো মানুষ না খেয়ে মারা গেছেন ! বিদেশি রিলিফ সব আওয়ামী লীগের লোকেরা চুরি করেছে । আর বেশিরভাগ রিলিফ সীমান্ত দিয়ে ভারতে চলে পাচার হয়েছিলো । তখন বর্ডার খোলা ছিলো তখন । মহিলাদের শাড়ি কাপড় ছিলো না । অনেকে মাছ ধরার জাল পরে লজ্জাস্থান ঢেকেছিলো । এসব ছবি পত্রিকায়ও ছাপা হয়েছিলো । কিন্তু আওয়ামী লীগ নেতাদের কোনো অভাব ছিলো না । বাংলাদেশের স্বাধীনতা যুদ্ধ শেষ হওয়ার মাত্র দুই বছর তিন মাসের মাথায় ...

বোতল

বোতল মানব জীবনে বোতল অপরিহার্য । বোতল অনেক অর্থেও ব্যবহার হয় । কোনো কোনো এলাকায় আনস্মার্ট, বেয়াক্কেল প্রকৃতির লোককেও বোতল বলা হয় । ইউরোপ আমেরিকায় থাকতে আমি ডৃংক করতাম । হার্ড ডৃংক কমই খেতাম । প্রতিদিনই বিয়ার খেতাম । বিয়ার স্বাস্থ্য ভালো রাখে ও কাজ করতে এনার্জি জোগায় । পরিমিত বিয়ার খেলে কেউ মাতাল হয় না । মাঝে মাঝে বিশেষ কোনো পার্টিতে হুইস্কি খাওয়া হতো । তাও দামি ব্র্যান্ডের । জনি ওয়াকার ব্ল্যাক লেবেল, টিচার্স, পাসপোর্ট, হেনেসি, শিভাস রিগাল, জ্যাক ড্যানিয়েলস । সাকুরায়ও অনেক সময় এসব ব্র্যান্ডের হুইস্কি পাওয়া যায় না । তো দেশে আসার পরও কিছু দিন ডৃংক করেছিলাম । কুমিল্লায় সরকার অনুমোদিত একটা মদের দোকান আছে চক বাজারে । নামঃ নাদের ট্রেডিং কোং । এটা প্রায় আজ ৫০ বছর । এখানে বিদেশি ব্র্যান্ডের ডৃংক পাওয়া যায় না । দেশিয় কোম্পানি ‘কেরো এন্ড কোং’ যা দর্শনায় অবস্থিত তার তৈরি ভদকা, হুইস্কি, জিন পাওয়া যায় । আমাদের সমাজতো রক্ষনশীল । তাই কান্দিরপাড় থেকে একটা স্প্রাইট কিনে অর্ধেক খেতে খেতে চক বাজার যেতাম । নাদেরে যখন পৌঁছতাম তখন স্প্রাইটের বোতল অর্ধেক খালি হয়ে যেতো । আমি বাবুল ভাইকে স্প্...

অশ্লীল নাম

বাংলাদেশের কিছু প্রতিষ্ঠান ও স্থানের বিচিত্র বা বিকৃত অর্থের নাম যা পরিবর্তন করা উচিতঃ ১. বোদা মহিলা মহাবিদ্যালয়, বোদা, পঞ্চগড় ২. চুমাচুমি সরকারি প্রাথমিক বিদ্যালয়, রাঙ্গামাটি ৩. সোনাপোতা সরকারি প্রাথমিক বিদ্যালয়, খুলনা ৪. মানুষমারা সরকারি প্রাথমিক বিদ্যালয়, নীলফামারি ৫. সোনাকাটা ইউনিয়ন, তালতলী, বরগুনা ৬.বড়বাল ইউনিয়ন, মিঠাপুকুর, রংপুর ৭.সোনাখাড়া ইউনিয়ন, রায়গঞ্জ, সিরাজগঞ্জ ৮. ধনকামড়া গ্রাম, ভোদামারা, দিনাজপুর ৯.গোয়াকাটা, দোহার, ঢাকা ১০. গোয়াতলা, ময়মনসিংহ ১১.লেংটার হাট, মতলব, চাঁদপুর