আমি জীবনে কোনো দুর্নীতি, অসততার সঙ্গে জড়িত ছিলাম না। উচ্চ মাধ্যমিক পাস করে আমি কুমিল্লা শিক্ষা বোর্ডে সংস্থাপন শাখায় দেড় বছর চাকরি করেছি। ১ টাকাও ঘুষ খাইনি। টাকার লোভ থাকলে আমি সেই সময়ই শিক্ষা বোর্ডে থেকে লাখ লাখ টাকা অবৈধ পথে আয় করতে পারতাম। এই লোভনীয় চাকরিতে রিজাইন করে জাপান চলে যাই। এক বছর জাপান ছিলাম। ভাষাগত সমস্যায় পড়াশোনা করা যায়নি বলে আমি জাপান থেকে ফিরে আসি। সেই সময় জাপানে হোটেলে প্লেট ধোয়ার কাজ করলে মাসে ২/৩ লাখ টাকা উপার্জন করা যেতো। সেটা ১৯৮৬ সালের কথা। আজ থেকে ৩৯ বছর আগে। আমি টাকার লোভী ছিলাম না।
তারপর দেশে এসে বিএ পরীক্ষা দিয়ে সেকেন্ড ডিভিশনে পাস করে ঢাকা বিশ্ববিদ্যালয়ে আন্তর্জাতিক সম্পর্ক বিভাগে ভর্তি হই। একই সঙ্গে জেনিসের ডাইরেক্টর হিসেবে জয়েন করি। মুন্নার সাথে মতবিরোধের কারণে আমি জেনিস ছেড়ে দিই এবং ইউরোপ চলে যাই।
জেনিসে থাকা অবস্থায় আমার বিরুদ্ধে কোনো আর্থিক অনিয়মের অভিযোগ নেই। ইউরোপ আমেরিকায় চুরিচামারি করা যায় না। এটা সবাই জানে। সবকিছুই কমপিউটারাইজড। ইউরোপ ছয় বছর থেকে ১৯৯৫ সালে আমি আমেরিকা চলে যাই। তখন বিল ক্লিনটন প্রেসিডেন্ট। নিউইয়র্কে ৫ বছর এবং ফ্লোরিডায় ৪ বছর আমি সততা ও সুনামের সঙ্গে চাকরি করেছি। আমার কর্মজীবন বিদেশেই কেটেছে।
দেশে এসে আমি কুমিল্লা পাবলিক স্কুলের প্রতিষ্ঠাতাদের মধ্যে একজন ছিলাম। সেখানে আমি স্কুলের মালিক হয়েও যোগ্য শিক্ষকের অভাবে ইংরেজি শিক্ষক ছিলাম। অনেক পরে আমাদের এলাকার ডাক্তার আবদুস সেলিমের অনুরোধে ও উৎসাহে আলেকজান মেমোরিয়াল হাই স্কুলে ষষ্ঠ শ্রেণি থেকে দশম শ্রেণি পর্যন্ত ইংরেজি শিক্ষক ছিলাম আড়াই বছর। কোনো পেশায়ই আমার বিরুদ্ধে কোনো অসততা বা দুর্নীতির অভিযোগ নেই। আমি একজন সৎ মানুষ।
কিন্তু আমার একজন নিকট আত্নীয় আমার বিরুদ্ধে বিভিন্ন কুৎসা রটিয়ে গ্রামে আমাকে অসম্মান করেছে। আমি আমার সেই নিকট আত্নীয়ের বিচার করবো।
মন্তব্যসমূহ
একটি মন্তব্য পোস্ট করুন