সরাসরি প্রধান সামগ্রীতে চলে যান

সুড়ঙ্গ

 সুড়ঙ্গ

নাভীর ছয় ইঞ্চি নিচে এক আজব সুড়ঙ্গ রয়েছে,

সেই সুড়ঙ্গের অতল দেশে, কত দেশ-মহাদেশ নিরুদ্দেশ হয়েছে।

নারী দেহ এক মহাকাল, কত যুগ- কত কাল

সেই মহাকালের অতলে তলিয়েছে।

সুড়ঙ্গের গায়ে নিপুন খাঁজকাটা, 

আছে দিব্য অনলের আঁচ,

গায়ে তার আদিমতার শাণিত ধাঁচ। 

তারই মাঝে আদিম ঝর্ণা,

সেই ঝর্ণার জলে

মনুর জন্ম রহস্য আছে লিখা।

সুড়ঙ্গের

গায়ে এক অচিন তালা আঁটা,

খুলে না তালা নর চাবি ছাড়া।

কোন সে অচিন মুন্সী সেই তালার চাবি বানিয়েছে,

চাবি নিয়ে চাবি ওয়ালা থেকে থেকে দিচ্ছে ধোঁকা।

চাবির চূড়ায় আদিম ফুয়ারা,

সেই ফুয়ারা করে শীতল তপ্ত সুড়ঙ্গ, 

তাতেই সৃষ্ট এই আদি মানব রহস্য। 

সুড়ঙ্গের কাঙাল এই দুনিয়া

সুড়ঙ্গ রসে হয়ে মাতাল,হয়েছে বোকা।

সুড়ঙ্গের অতল গহব্বরে এক সুধার ফোয়ারা রয়েছে,

সেই সুধারই সন্ধানে, কত আউল-বাউল ঘর ছেড়েছে।

সুড়ঙ্গের গায়ে আজব নকশা কাটা,

সেই নকশাতেই নর চাবি পড়েছে বাঁধা।

জগৎ শ্রেষ্ঠ  শিল্পী তাঁর তুলিতে সুড়ঙ্গ  রহস্য গড়েছে,

তাইতো এই জগৎ নোনা মদে, মাতাল হয়েছে।

সুড়ঙ্গ এক চোরাবালি, 

যে দিয়েছে পা, মাতাল হয়ে ভুলেছে দুনিয়াবি। 

সুড়ঙ্গে কত জন-মহাজন কূল-মান খুইয়েছে,

কত রাজা, প্রজা হয়ে সুড়ঙ্গের দুয়ারে

মাথা নুইয়েছে।

সুড়ঙ্গের সন্ধানে কত দেব, কত ঋষি পথ-ভ্রষ্ট হয়েছে।

এই দুনিয়ায় আজব এক সুড়ঙ্গ রয়েছে,

সেই সুড়ঙ্গের জোরে এই সৃষ্টি-খেলা নিত্য চলেছে।

[দয়া করে ভুল ত্রুটি ক্ষমা করে আপনারা সবাই গঠনমূলক সমালোচনা করুন ।]



মন্তব্যসমূহ

এই ব্লগটি থেকে জনপ্রিয় পোস্টগুলি

আমার দেখা ১৯৭৪ সালের দুর্ভিক্ষ

আমার দেখা ১৯৭৪ সালের দুর্ভিক্ষ সরকারঃ শেখ মুজিবের শাসনামল ১৯৭৪-এর দুর্ভিক্ষ বাংলাদেশে ১৯৭৪ সালের মার্চে শুরু হয়ে সেই বছরেরই ডিসেম্বরের দিকে গিয়ে শেষ হয়। এই দুর্ভিক্ষে অসংখ্য মানুষ অনাহারে মারা গিয়েছিল। এই দুর্ভিক্ষকে স্মরণকালের মধ্যে সবচেয়ে ভয়ানক হিসেবে গন্য করা হয়। ওই সময় আমি বুঝতাম। ক্লাশ ফোরে পড়তাম। আহারে ! কি যে অভাব ! অনেকের মতো আমরাও ভাত না খেয়ে রুটি খেয়েছি । তাও পরিমিত । কখনো জাউ খেয়েছি । শুকনো মরিচ পাওয়া যেতো না । কাঁচা মরিচের কেজি ছিলো ১৫০ টাকা । লবন ১২০ টাকা । আর সোনার ভরি ছিলো তখন ১৫০ টাকা । সোনা শুধু ওই সময় কম দাম ছিলো । চারদিকে অভাব । সারাদেশের মানুষের হাহাকার । কতো মানুষ না খেয়ে মারা গেছেন ! বিদেশি রিলিফ সব আওয়ামী লীগের লোকেরা চুরি করেছে । আর বেশিরভাগ রিলিফ সীমান্ত দিয়ে ভারতে চলে পাচার হয়েছিলো । তখন বর্ডার খোলা ছিলো তখন । মহিলাদের শাড়ি কাপড় ছিলো না । অনেকে মাছ ধরার জাল পরে লজ্জাস্থান ঢেকেছিলো । এসব ছবি পত্রিকায়ও ছাপা হয়েছিলো । কিন্তু আওয়ামী লীগ নেতাদের কোনো অভাব ছিলো না । বাংলাদেশের স্বাধীনতা যুদ্ধ শেষ হওয়ার মাত্র দুই বছর তিন মাসের মাথায় ...

বোতল

বোতল মানব জীবনে বোতল অপরিহার্য । বোতল অনেক অর্থেও ব্যবহার হয় । কোনো কোনো এলাকায় আনস্মার্ট, বেয়াক্কেল প্রকৃতির লোককেও বোতল বলা হয় । ইউরোপ আমেরিকায় থাকতে আমি ডৃংক করতাম । হার্ড ডৃংক কমই খেতাম । প্রতিদিনই বিয়ার খেতাম । বিয়ার স্বাস্থ্য ভালো রাখে ও কাজ করতে এনার্জি জোগায় । পরিমিত বিয়ার খেলে কেউ মাতাল হয় না । মাঝে মাঝে বিশেষ কোনো পার্টিতে হুইস্কি খাওয়া হতো । তাও দামি ব্র্যান্ডের । জনি ওয়াকার ব্ল্যাক লেবেল, টিচার্স, পাসপোর্ট, হেনেসি, শিভাস রিগাল, জ্যাক ড্যানিয়েলস । সাকুরায়ও অনেক সময় এসব ব্র্যান্ডের হুইস্কি পাওয়া যায় না । তো দেশে আসার পরও কিছু দিন ডৃংক করেছিলাম । কুমিল্লায় সরকার অনুমোদিত একটা মদের দোকান আছে চক বাজারে । নামঃ নাদের ট্রেডিং কোং । এটা প্রায় আজ ৫০ বছর । এখানে বিদেশি ব্র্যান্ডের ডৃংক পাওয়া যায় না । দেশিয় কোম্পানি ‘কেরো এন্ড কোং’ যা দর্শনায় অবস্থিত তার তৈরি ভদকা, হুইস্কি, জিন পাওয়া যায় । আমাদের সমাজতো রক্ষনশীল । তাই কান্দিরপাড় থেকে একটা স্প্রাইট কিনে অর্ধেক খেতে খেতে চক বাজার যেতাম । নাদেরে যখন পৌঁছতাম তখন স্প্রাইটের বোতল অর্ধেক খালি হয়ে যেতো । আমি বাবুল ভাইকে স্প্...

ফেবুতে মেয়েদের পোস্ট

ফেবুতে মেয়েদের পোস্ট সকালে ঘুম ভেঙে দেখি আট টা বাজে । শরীরটাও বেশি ভালো লাগছে না । আবার ঘুমাল াম । ১১টায় উঠলাম । ২ মগ চা খেলাম ( বাজারের হিসেবে ৮ কাপ হবে)। সবাই জানেন আমি স্মোক করি । চেইন স্মোকার । কম্পিউটার খোঁচাখুঁচি করে নিজে নিজেই ঠিক করলাম । প্রায় দুই ঘন্টা । আমি থাকি চার তলায় । দুপুর ১টা বাজে । খেতেও ইচ্ছে করছে না কিছু । তখনো মুখ ধুই নি । কম্পিউটারে খোঁচাখোঁচি করতে গিয়ে দেখি এক মেয়ে তার পা’য়ের একটা ছবি আপলোড করেছে । দেখলাম এই পা মানে ঠ্যাং এর ছবিতে লাইক পড়েছে ৯৪৭ টা । কমেন্ট অসংখ্য । ‘কতো সুন্দর এই পা । না জানি তুমি কতো সুন্দর । পা তো নয় যেন একটা গোলাপ ফুল’ । এ জাতীয় অনেক কমেন্ট । আমি পোষ্ট টা দেখে কিছুটা অবাক হলাম । একটা ঠ্যাং এর এতো কদর ! প্রায়ই লক্ষ্য করি, মেয়েরা যখনি কিছু আপলোড করে সেটা তাদের পায়ের ছবিই হোক,হাতের ছবিই হোক আর নাকের ছবিই হোক বা এক চোখের ছবিই হোক সে সব ছবিতে অগনিত লাইক আর কমেন্ট । মেয়ে বন্ধুদের ছোট করার জন্য বলছি না, ফেবুতে প্রায়ই দেখি মেয়েরা কোনো ছবি বা দু এক লাইন হাবিজাবি লিখলে লাইক আর কমেন্টের বন্যা বয়ে যায় । অনেক মেয়েরা শখ করে পিঠা, ...