সরাসরি প্রধান সামগ্রীতে চলে যান

পোস্টগুলি

জুলাই, ২০২৩ থেকে পোস্টগুলি দেখানো হচ্ছে

টোকিও ইউনিভার্সিটি

 টোকিও ইউনিভার্সিটি                       Repost  ------------------------------- জাপানে গিয়েছিলাম সেই কবে! অনেক বছর আগে। স্টুডেন্ট ভিসা নিয়েই গিয়েছিলাম। কিন্তু ইন্টারমেডিয়েট পাসের পর জাপানে পড়াশোনা করতে হলে আগে জাপানি ভাষার কোর্স শেষ করতে হয়। কমপক্ষে চার বছর লাগে। ইংরেজি ভাষায় পড়ার সুযোগ নেই। যা দেশে থাকতে জানতাম না। ইনফরমেশন গ্যাপ থাকলে অনেক সমস্যা। তিন চার মাস পর পাগলের মতো হয়ে গেলাম। কয়েক মাস জাপানি ভাষার কোর্স করলাম। জাপানি ভাষা শ্রুতি মধুর হলেও আমার কাছে ভালো লাগেনি। ভাতকে-গোহান, পানিকে-মিজু, মাছকে-সাকানা, আলুকে-জাগাইমো, বন্ধুকে-তোমোদাচি, ধন্যবাদকে-দমো, স্কুলকে-গাক্কু, ছাত্রকে-গাকছেই, মানুষকে-জিন, দেশকে- কুনি, মেয়েকে(নারী)-ওন্না, পুরুষকে-ওতোকো, টাকাকে-ওকানে, ট্রেনকে-দেইংসা, পুলিশকে-ওমাওয়ারিসান, কফিকে-কহি, গুড মর্নিংকে- ওহাইয়ো গুজাইমাছ। তো আমার কাছে প্রতিদিন সকালে এই গুজাইমাছগিরি ভালো লাগেনি। প্রয়োজনীয় কিছু জরুরী ভাষা শিখে দেখলাম আমি তোতলা হয়ে যাচ্ছি। অনেক চেষ্টা করলাম ইংরেজিতে পড়ার। আমি আর কাউসার মিলে কয়েকটি ইউন...

পড়ুয়া

 পড়ুয়া                                             Repost ---------- ফেইসবুকে অনেক গ্রুপ আছে। গ্রুপে তেমন কেউ-ই বিশেষ কিছু লিখেন না। এমনকি সদস্যদের মাঝে পাঠকের সংখ্যাও অতি নগন্য। এটা খুবই দুঃখজনক। বই পড়ার উৎসাহ দিলেও অনেকে যে গ্রুপের ছোট ছোট লেখাও পড়েন না তারা কি বড় বই পড়েন? এ বিষয়ে আমার যথেষ্ট সন্দেহ আছে। পড়লে তো তাদের বুক রিভিউ অন্তত দেখতাম।  আমরা যারা লেখালেখি করতাম। ঈদে আমরা ম্যাগাজিনে গল্প লিখতামই। এটাই ছিলো আমাদের ঈদের প্রধান আনন্দ। ম্যাগাজিনও সাধারণ সংখ্যার পৃষ্ঠার চেয়ে অনেক বেশি পৃষ্ঠা নিয়ে বৃহৎ কলেবরে প্রকাশিত হতো। দামও ম্যাগাজিনের বেশি হতো। ঈদে অনেক পাঠক অন্যান্য শপিংয়ের সঙ্গে ম্যাগাজিনের 'ঈদ সংখ্যা' কিনতোই। কারণ ওই সংখ্যায় বিভিন্ন লেখকের ভালো ভালো লেখা থাকতো। ঈদ সংখ্যায় লেখার জন্য পাঠকদের জন্য ম্যাগাজিনে বিজ্ঞাপন দেয়া হলেও আমরা যারা নিয়মিত লিখতাম তাদেরকে সম্পাদক নিজে ফোন করে ঈদ সংখ্যায় লেখা দিতে অনুরোধ করতেন।  ফেইসবুকে বিভিন্ন গ্রুপ থাকলেও ভালো গল্...

দোস্ত খাইজ্জানিডা থামা

 দোস্ত খাইজ্জানিডা থামা ---------------------------------- এটা হচ্ছে দুই ঢাকাইয়া যুবকের গল্প। দুজনেই পরস্পরের ঘনিষ্ঠ বন্ধু। এই বন্ধুত্ব এতোই নিবিড় যে,একজনের বিপদে আরেকজন এগিয়ে আসবেই।  একেবারে জানি দোস্ত। কিন্তু একটা জায়গায় ওদের ভয়ংকর ধরনের মতবিরোধ। একজন আবাহনী ক্রীড়াচক্র এবং আরেকজন মোহামেডান ক্লাবের সমর্থক। অবস্থা এমন পর্যায়ে যে খেলার ফলাফলের উপর নির্ভর করে একজন আরেকজনের বাসায় গিফট পাঠায়। আর উপহার হলো নাজিরা বাজার বংশাল থেকে একটা আস্ত গরুর রান। এটা পাঠানোর পর আবার ফোন করে বন্ধুর কুশলাদি জিজ্ঞেস করে আর এই ফাঁকে উপহারের কথাও বলে।   তো একদিনের কথা বিশ্বাস ভাবে উল্লেখযোগ্য। সেদিন ছিলো আবাহনীয় ও মোহামেডানের লীগের একটি গুরুত্বপূর্ণ খেলা। তো দুই বন্ধু পুরান ঢাকার ট্র্যাফিক জ্যামে পড়ে স্টেডিয়ামে যখন পৌঁছলো তখন স্টেডিয়ামে তিল ধারনের জায়গা নেই। অগত্যা দুই বন্ধু কাঁটাতারের বেড়া ঘেঁষে দাঁড়িয়ে খেলা দেখতে শুরু করলো।  এমন সময় দুই বন্ধুর মধ্যে যে কথোপকথন হলো তা ছিলো নিন্মরূপ:        প্রথম বন্ধু:  দোস্ত, ফালফারতাসোস ভালোই আমি কোনোই আপত্তি দিমু না...

কাবেরী

 কাবেরী ----------- করিম চৌধুরী   (ভালোবাসা দিবস উপলক্ষে গল্প) কাবেরীর সঙ্গে আমার পরিচয় ২০১৬ সালের জুন মাসে। আজ থেকে সাত বছর আগে। ফেইসবুকে আমরা বন্ধু হই। তারপর ঘনিষ্ঠতা। তার পুরো নাম কাবেরী মির্জা। প্রথম যখন বন্ধু হই তখনো কাবেরীর প্রোফাইলে তেমন কিছুই ছিলো না। শুধু লেখা ছিলো Lives in Dhaka. তার হোম ডিস্ট্রিক্টও উল্লেখ ছিলো না। অন্য অনেকের মতো কাবেরীও আমার লেখা খুব পছন্দ করতো। আমাকে যারা চেনেন তারা জানেন যে, এক সময়ের তুমুল জনপ্রিয় সাপ্তাহিক যায়যায়দিন ম্যাগাজিনে তরুণ লেখকদের মধ্যে আমি বেশ জনপ্রিয় ছিলাম। মৌচাকে ঢিল ম্যাগাজিনেও আমি সবচেয়ে জনপ্রিয় লেখক ছিলাম। ফেইসবুকে আমার লেখার স্টাইলও অনেকটা সেরকম ।    ম্যাগাজিনে লেখার কারণে বাংলাদেশের সব জেলায় আমার পাঠক বন্ধু আছেন। ২০০০ সালে সম্পাদক মি.শফিক রেহমান ও মিসেস তালেয়া রেহমান ফ্লোরিডা আমার কাছে বেড়াতে গিয়ে আমাকে বলেছিলেন, তোমার লেখা ছাপা হলে মেলব্যাগে পাঠকের চিঠি আসে বেশি। আমি বিদেশের অভিজ্ঞতার কথা বেশি লিখি এবং আমার লেখায় প্রচুর ফান থাকে। হয়তো কাবেরী সেটিই বেশি পছন্দ করেছিলো। যতোদিন আমরা বন্ধু ছিলাম ফেইসবুকে ততোদিন আমার ...