সরাসরি প্রধান সামগ্রীতে চলে যান

পোস্টগুলি

অক্টোবর, ২০২৪ থেকে পোস্টগুলি দেখানো হচ্ছে

বেখেয়ালি না ইচ্ছে প্রনোদিত...

 বেখেয়ালি না ইচ্ছে প্রনোদিত... ------------------------------------------ ইট দিয়ে সবুজ ঘাস ঢেকে রাখতে রাখতে একটা সময় যদি ইটা টা সরিয়ে নেয়া হয় তখন ঘাসটা যেমন তার আসল রং হারিয়ে কোমল এবং সাদা রং ধারণ করে।  আমি ঠিক তেমনি হয়ে গিয়েছিলাম। তখন যে কোনো রঙেই হয়তো আমাকে রাঙানো যেতো! সে সুযোগটা হাতছাড়া করেনি আর আমিও তার রঙে রঙিন হয়ে গেলাম। এতে আমার যতটুকু চাওয়া না ছিলো তার থেকে হাজার গুন বেশি ছিলো তার। হয়তোবা তার প্রয়োজন ছিলো বলেই এতো আগ্রহ ছিলো। একটা সময় ছিলো যে আমার ভালোলাগাগুলো তার পার্সে থাকতো। আমার চাওয়ার আগেই সেটা সে পূর্ণ করতো। সে কখনো অনুভূতি প্রকাশ করতে পারতো না। তবে তার বুকে হাত রেখে আমি সে অনুভুতি অনুভব করতে পারতাম। সে যে শুধু আমার ভালেবাসা ছিলো তা নয় বরং আমার অনেক প্ল্যান পরিকল্পনায় জুড়েও আমি তাতে বিচরন করতাম৷ আমার সারাদিনের নয় শুধু বরং আমার ভবিষ্যতের পরিকল্পনাও তাকে নিয়েই করতে শুরু করলাম।।  এভাবে বহুদিন গেল। আস্তে আস্তে সে ব্যস্ত হতে থাকলো। কথা চললেও কোথাও একটা যেন গ্যাপ তৈরী হতে থাকলো।।  তবুও তার সঙ্গে মানসিক দূরত্বটা তৈরী করতে পারলাম না।   আমাদের ভাল...

আজব দেশে গজব দাবি

 আজব দেশে গজব দাবি  ------------------------------------------ চ্যানেল আইয়ের খবরে দেখলাম, সরকারি চাকরিতে প্রবেশের সময় সীমা ছেলেদের জন্য ৩৫ ও মেয়েদের জন্য ৩৭ করার আলোচনা চলছে। এবং আন্দোলনকারীরা ৭২ ঘন্টার আলটিমেটাম দিয়েছে। ৭২ ঘন্টার মধ্যে প্রজ্ঞাপন জারি করতে হবে বলে তারা সময় বেঁধে দিয়েছেন। এখন পরিস্থিতিটা এই যে, ছাত্ররা যা বলে তাই করতে হবে। বিনয়ের সঙ্গে ভিন্নমত প্রকাশ করে কয়েকটি কথা বলতে চাই।  মানুষ বাঁচে কয় বছর? ৩৫ বছরে চাকরিতে ঢুকলে একটা ছেলে বিয়ে করবে কখন? সাধারণত চাকরিতে ঢুকেই এদেশে ছেলেরা বিয়ে করে। বেকার ছেলের কাছে কোনো অভিভাবক মেয়ে বিয়ে দেন না। ৩৫ বছরে তো যৌবনই প্রায় শেষ। এই বয়সে বিয়ে করে স্ত্রীর সাথে সেক্স করার শারীরিক সামর্থ্য কতোটুকু থাকে? আর ৩৫ বছর বয়সে চাকরিতে ঢুকে দেশকে তারা কি সার্ভিস দেবেন? ৪০ বছরে চুল দাড়ি পেকে যায়। ৪০ বছরের পর জীবনীশক্তিও হ্রাস পায়। কাজ করার শারীরিক মানসিক সামর্থ্য কমে যায়।  অনেক পেশায় ৩৫ বছরের আগেই  অবসর গ্রহণ করে। যেমন খেলোয়াড়। সেনাবাহিনীতে ৩৫ বছরে একটা ছেলে লেফটেন্যান্ট কর্নেল হতে পারে। একজন লেফটেন্যান্ট কর্নেল একজন জেলা প্রশাসক...

বিলকিস চিঠি

 আফরোজা আক্তার চৌধুরী (বিলকিস) পিতা: সহিদুর রহমান চৌধুরী  ঘোরামারা চৌধুরী বাড়ি। ---------------------------------------------------------- তোর বাপ তোদেরকে মিথ্যা বলে আত্মীয়-স্বজন সবাইকে ছোট করছে আর তোদেরকে মাথার উপরে উঠাইছে। তোদেরকে বুঝাইতে চাইছে তোর বাপ আমার জন্য আর মায়ের জন্য বিরাট কিছু করে ফেলছে। তোরাও মনে করিস আত্নীয় স্বজনের মাঝে তোর বাপ একজন নবী। তোর বাপ কার জন্য কি করছে সেটার আসল কাহিনী আমার কাছ থেকে শুন শুয়োরের বাচ্চা। আমার জন্ম ১৯৬২ সালে। তোর বাপ বিয়ে করছে ১৯৭৪ সালে। আমি তখন ক্লাস ফাইভে পড়ি। সবকিছু মনে আছে। কাশেম ভাই আগে ছোটনা বিয়ে করছিলেন। সেই বউয়ের সাথে কাশেম ভাইয়ের ছাড়াছাড়ি হয়ে যায় ১৯৭৩ সালে। আমি অনেক দিন কাশেম ভাইয়ের সাথে ছোটনা ভাবিদের বাড়িতে বেড়াতে যেতাম। সেই ভাবির নাম ছিল সুফিয়া আক্তার খানম। সুন্দরী, শিক্ষিত, অভিজাত, ধনী পরিবার ছিলো ভাবীদের। ছোটনা খান বাড়ি তাদের বাড়ি। এই বিয়ে বড় দুলাভাই আলী আকবর সাহেব করিয়েছিলেন। আমাকে ভাবি অনেক আদর করতেন। কোলেও নিছেন। থ্রিতে থাকতে আমাকে পড়াইছেনও। তিনি শিক্ষিত ছিলেন। সেই সময় তিনি আই এ পাস ছিলেন।  সেই বিয়ে ভে...