সরাসরি প্রধান সামগ্রীতে চলে যান

পোস্টগুলি

মে, ২০২৫ থেকে পোস্টগুলি দেখানো হচ্ছে

সুড়ঙ্গ

 সুড়ঙ্গ নাভীর ছয় ইঞ্চি নিচে এক আজব সুড়ঙ্গ রয়েছে, সেই সুড়ঙ্গের অতল দেশে, কত দেশ-মহাদেশ নিরুদ্দেশ হয়েছে। নারী দেহ এক মহাকাল, কত যুগ- কত কাল সেই মহাকালের অতলে তলিয়েছে। সুড়ঙ্গের গায়ে নিপুন খাঁজকাটা,  আছে দিব্য অনলের আঁচ, গায়ে তার আদিমতার শাণিত ধাঁচ।  তারই মাঝে আদিম ঝর্ণা, সেই ঝর্ণার জলে মনুর জন্ম রহস্য আছে লিখা। সুড়ঙ্গের গায়ে এক অচিন তালা আঁটা, খুলে না তালা নর চাবি ছাড়া। কোন সে অচিন মুন্সী সেই তালার চাবি বানিয়েছে, চাবি নিয়ে চাবি ওয়ালা থেকে থেকে দিচ্ছে ধোঁকা। চাবির চূড়ায় আদিম ফুয়ারা, সেই ফুয়ারা করে শীতল তপ্ত সুড়ঙ্গ,  তাতেই সৃষ্ট এই আদি মানব রহস্য।  সুড়ঙ্গের কাঙাল এই দুনিয়া সুড়ঙ্গ রসে হয়ে মাতাল,হয়েছে বোকা। সুড়ঙ্গের অতল গহব্বরে এক সুধার ফোয়ারা রয়েছে, সেই সুধারই সন্ধানে, কত আউল-বাউল ঘর ছেড়েছে। সুড়ঙ্গের গায়ে আজব নকশা কাটা, সেই নকশাতেই নর চাবি পড়েছে বাঁধা। জগৎ শ্রেষ্ঠ  শিল্পী তাঁর তুলিতে সুড়ঙ্গ  রহস্য গড়েছে, তাইতো এই জগৎ নোনা মদে, মাতাল হয়েছে। সুড়ঙ্গ এক চোরাবালি,  যে দিয়েছে পা, মাতাল হয়ে ভুলেছে দুনিয়াবি।  সুড়ঙ্গে কত জন-মহাজন কূল-মান খুইয়েছে, কত রাজা, প...

এডুকেশনাল কনসালটেন্সি

 এডুকেশনাল কনসালটেন্সি আদম ব্যবসার আরেক রূপ। আমাদের কলেজ জীবনে আশির দশকে ঢাকার  মালিবাগ চৌধুরীপাড়ার ঠিকানা ইউজ করে পত্রপত্রিকায় একটা বিজ্ঞাপন ছাপা হতো।  প্রতিষ্ঠানটির নাম ছিল 'চৌধুরী এডুকেশনাল কনসালটেন্ট'।  এই এখনকার মতো যারা ছাত্র হিসেবে বিদেশে যায় এরকম আর কি। আমার ব্যক্তিগত অভিজ্ঞতা থেকে দেখেছি  ইন্টারমিডিয়েট পাস করে এইসব ছাত্র বিভিন্ন প্রতিষ্ঠানের সাথে যোগাযোগ করে মোটা অংকের টাকা পে করে বিদেশে যায়। ২০-২৫ লাখ টাকাও লাগে। যেসব ছাত্ররা এভাবে যায় তারা সেখানে গিয়ে কেউই পড়াশোনা করে না। পড়তে পারে না।  বাংলাদেশের অনেক পরিবাররের পক্ষে বিদেশে ছেলে পড়বে তাই প্রতি মাসে টাকা পাঠাবে তা সম্ভব নয়। সাধারন পরিবারের সামর্থ্য নাই প্রতি মাসে মাসে টাকা পাঠানোর। সেখানে পার্টটাইম কাজ করে, ইউনিভার্সিটিতে ক্লাস করে, আবার ইউনিভার্সিটি পড়া বাসায় পড়ে, নিজে রান্না করে খেয়ে, বাজার করে, নিজের কাপড় নিজে ধুয়ে, ইস্ত্রি করে, অর্থাৎ এ টু জেড সবকিছু নিজে করে এইভাবে পড়াশোনা করা সম্ভব নয়।  আমি নিজেও ১৯৮৬ সালে স্টুডেন্ট ভিসায় জাপান গিয়েছিলাম।  পড়াশোনা করা যাবে না ব...

মোবাইল ফোনের সিম কেনায় সতর্ক হোন

 মোবাইল ফোনের সিম কেনায় সতর্ক হোন -----------------------------------------------------------মোবাইল ফোনের সিম কার্ড তুলতে সাবধান। লক্ষ্য করে দেখবেন আইডি দেয়ার পর তারা বায়োমেট্রিক করার জন্য আপনার ফিঙ্গার প্রিন্ট নেয়। ঘাপলাটা এখানেই। খেয়ায় করেছেন নিশ্চয়ই, ফিঙ্গার প্রিন্ট নেয় তারা দুই হাতের চার আঙুলের। ডান হাতের বৃদ্ধাংগুলি আর তর্জনী। বাম হাতেরও তাই। এই ফিঙ্গার প্রিন্ট তারা কয়েকবার নেয়। মেশিনে নিচ্ছে না বলে কয়েকবার আঙুল চাপতে হয়। এটা এক বিরাট অপরাধ। এইভাবে কয়েকবার ছাপ নেয়ার পর তারা একই আইডি দিয়ে দুই বা ততোধিক সিমের রেজিষ্ট্রেশন করে। আপনাকে একটা সিমই দিবে। আর আপনার আইডি ও ফিঙ্গার প্রিন্ট দিয়ে তোলা বাকি সিমগুলো অন্য কাষ্টমারের কাছে বিক্রি করে দেয় উচ্চ দামে। এই সিমগুলো অপরাধমূলক কাজে ব্যবহার করা হয়। বাস্তার পাশে অটোতে সিম বিক্রি হয়। ১০০ টাকায়। এইসব সিম কিনতে বায়োমেট্রিক লাগে না। আজই এই নাম্বারে কল করে জেনে নিন আপনার নামে কয়টি সিম রেজিষ্ট্রেশন করা আছে। সিম রেজিস্ট্রেশন কার নামে জানার জন্য *16001# কোডটি ডায়াল করতে হবে। এরপর, NID কার্ডের শেষ ৪ ডিজিট লিখে সেন্ড করলে উক্ত সিম যে এনআইডি দিয়ে র...