সরাসরি প্রধান সামগ্রীতে চলে যান

পোস্টগুলি

এপ্রিল, ২০২০ থেকে পোস্টগুলি দেখানো হচ্ছে

আমেরিকান ভিক্ষুক

আমেরিকান ভিক্ষুক ভিক্ষুকের সামনে একটা এলুমিনিয়ামের থালা । তার পাশেই লেখা... " দয়া করে কয়েন ফেলে শব্দ দূষণ করবেন না । নোট প্রদান করুন ।" বিষয়টা অনেকের কাছে হাসির বা অবিশ্বাস্য মনে হলেও আমার কাছে সত্য মনে হয়েছে । আমি বিদেশে খুব ঘোরাঘুরি করতাম । সুযোগ পেয়ে বাঁদরামিও কম করিনি । ভিক্ষুক নিয়ে সবারই কম বেশি অভিজ্ঞতা আছে । আমেরিকার প্রায় সবকিছুই আমার ভালো লাগে একমাত্র তাদের সাম্রাজ্যবাদী ফরেন পলিসি ছাড়া । বাংলাদেশের কয়েকজন ভিক্ষুককে এক সময় আমি মারতেও চেষ্টা করেছিলাম । বিবেকের বাধায় মারতে পারিনি । ওরা ভীষণ বিরক্ত করে। সময় অসময় বুঝে না। সকালে বাসায় এসে ডোর বেল বাজিয়েও ডাকে অথচ আমি ঘুমে! এক আমেরিকান ভিক্ষুকের সঙ্গেও আমার ঝগড়া হয়েছিলো । সেই কবে রবিবার এক বিকেলে ১৯৯৭ সালের সামারে । আমি নিউ ইয়র্কের ফিফথ এভিনিউ ধরে হাঁটছিলাম । অনেক নামি দামি লেখকরা তাদের লেখায় ফিফথ এভিনিউকে ( 5th Avenue ) পৃথিবীর বিখ্যাত রাস্তা বলে উল্লেখ করেছেন । ফিফথ এভিনিউর ফরটি সেকেন্ড স্টৃটের কোণায় নিউ ইয়র্ক পাবলিক লাইব্রেরি । অনেক বড় লাইব্রেরি । বিশাল বড় । সামনে পেছনে বিরাট লন। বিকেলে বসে সময় কাটাতে বেশ আনন্দম...

মাহমুদা আলিম

মাহমুদা আলিম অনেকদিন আগের কথা। ২০১২ সাল। মে মাস। মৌচাকে ঢিল ম্যাগাজিনে আমার 'জেমিমা' লেখাটি প্রকাশিত হয়েছিলো ফেব্রুয়ারির ভালোবাসা সংখ্যায়। অসংখ্য মানুষের ফোন কল পেয়েছিলাম। একদিন একটা ফোন পেলাম। তিনি কিছুক্ষণ কথা বলে নিজের সম্পর্কে বললেন। আমি শুনলাম। মাঝে মাঝে এসএমএস ও ইমেইলে তিনি যোগাযোগ করতেন। আমাকে সাহস ও উৎসাহ দিতেন। একদিন তিনি আমার সঙ্গে দেখা করতে চাইলেন। মে মাসের প্রথম দিকে আমি ঢাকা গেলাম জেমিমার সঙ্গে দেখা করতে। তখন মিরপুর সনি সিনেমার পাশে চিড়িয়াখানা রোডে জি মার্টেই জেমিমার সঙ্গে দেখা করতাম। জি মার্টেরই মালিকানাধীন সুপৃম ডিনার ফাস্টফুড রেস্টুরেন্টটার পরিবেশ বেশ ভালো ছিলো। ওখানে বসে জেমিমার সঙ্গে সময় কাটাতাম। কফি খেতাম। উল্টো দিকেই আগোরা। জি মার্টের উপরে আড়ং, গ্রামীণ চেকসহ বেশ কিছু ভালো ভালো দোকান আছে। তো সেদিন জি মার্টে জেমিমার সঙ্গে কথা বলছিলাম। সঙ্গে ছিলেন তার মা ও নানা। আমরা সদ্য সেপারেট। সকাল ১১টা বাজে তখন। তিনি ফোন করলেন। আমি মিরপুর ১ নাম্বার আছি শোনে খুব খুশি হয়ে বললেন,আমি আসছি। আজ আপনার সঙ্গে দেখা করবোই। আপনাকে একটু দেখতে চাই। উল্লেখ্য,তার বাসা মোহাম্মাদপ...

লুসিয়া

লুসিয়া ---------- অস্টৃয়ায় প্রথম কয়েকমাস মনে রাখার মতো এক গ্রামে ছিলাম। ভিয়েনা থেকে মাত্র ৩৫ মাইল দূরে। জায়গাটির নাম থেনেবার্গ ( Theneberg)। শহরের চেয়ে ইউরোপের গ্রামগুলো বেশি সুন্দর। পরিচ্ছন্ন। মানুষগুলোও আন্তরিক। কি নয়নাভিরাম প্রাকৃতিক দৃশ্য!! অনেকেই বলেন, আমাদের দেশের মতো প্রাকৃতিক সৌন্দর্য ইউরোপ-আমেরিকায় নেই। এই ধারণা একেবারেই ভুল। শুধু একটি দেশের রাজধানীতে গিয়ে কয়েকদিন থেকে এলেই ওই দেশটি সম্পর্কে জানা যায় না। আমাদের দেশের চেয়েও অনেকগুন বেশি প্রাকৃতিক সৌন্দর্যে ভরপুর ইউরোপ -আমেরিকা। দক্ষিন আমেরিকা আরো সুন্দর। কোনো একজন লিখেছিলেন.... " এমন দেশটি কোথাও খোঁজে পাবে নাকো তুমি সকল দেশের সেরা সে যে আমার জন্মভূমি। " অন্য দেশ সুন্দর বা অন্য দেশের অনেক কিছু ভালো, তা বলার অর্থ এই নয় যে নিজের দেশকে ছোট করা। বরং তা উদারতা। হীনমন্যতা নয় মোটেও। এই নিয়ে চট্টগ্রাম বিশ্ববিদ্যালয়ের এক অধ্যাপক বলেছিলেন, এটা ওই কবির দেখার সীমাবদ্ধতা। তিনি বাংলাদেশ ছাড়া পৃথিবীর আর কোনো দেশ দেখেন নি। ইউরোপের ওই বাসায় আমাদের ঠিক পাশের রুমে এক চেক ফ্যামিলি(চেকোস্লোভাকিয়ান) থাকতো । ছেলেটি আমার বয়সি । নাম জর...

কাবেরী

(বন্ধুরা অনেকেই জানেন আমার ১০ বছরের একাউন্ট টা হ্যাকড হয়েছে । যা ফিরে পাওয়ার কোনো সম্ভবনাই আর নেই । ওই একাউন্টের সব লেখাই আমার বাস্তব জীবনের গল্প। তাই লেখাগুলো হয়ে উঠে আত্মজীবনীমূলক। আমার যে কোনো লেখা বা স্মৃতি স্বযত্নে রাখবার চেষ্টা করি। স্মৃতি মূল্যবান সম্পদ। স্মৃতিহীন মানুষের মতো দ্বীন হীন আর নেই। অনেক বন্ধুরাই আমার জীবনের মিরাকল নিয়ে কিছুটা সংশয় প্রকাশ করেন । আমি বুঝি । অনেক ঘটনা অনেকে অবিশ্বাসও করেন। আমার জীবনে এমন সব ঘটনা আছে যা আমাদের দেশের বেশিরভাগ মানুষ কল্পনাও করতে পারবেন না। আজ আরেকটা মিরাকল ।) কাবেরী ******** কি লিখবো ? কি হলো ? কেনো হলো ? কেমন করে হলো ? আমি অবাক, আশ্চার্য, বিমোহিত, আনন্দিত, কিংকর্তব্যবিমুঢ়, অবিশ্বাস্য ! এটা কেমন করে সম্ভব ? আমি কি পারবো এই ভালোবাসা আর আন্তরিকতার বিনিময় দিতে কোনোদিন ? কেনো আমাকে এই চিরজীবনের কৃতজ্ঞতার পাশে আবদ্ধ করলো তারা ? আমি ‘করলো’ লিখেছি । ‘করলেন’ লিখিনি । কারন আজ থেকে আমি তাদের ফ্যামিলি ফ্রেন্ড । আমি কি লিখবো ? কেমন করে লিখবো ? কিভাবে সাজাবো এই লেখা আমি জানি না । আমার ভাষা নেই । I've really lost m...

এয়ারফোর্স ওয়ান

এয়ারফোর্স ওয়ান আমেরিকান প্রেসিডেন্টকে বহনকারী বিমানের নাম এয়ারফোর্স ওয়ান । বিশ্বজুড়ে এ বিমান নিয়ে আগ্রহের শেষ নেই । বিশ্বের সবচেয়ে অত্যাধুনিক বিমানগুলোর অন্যতম এটি । মার্কিন প্রতিরক্ষা দপ্তর বিশেষভাবে এ বিমানটি তৈরী করেছে, যেখানে সব ধরনের নিরাপত্তা সুনিশ্চিত করা হয়েছে । বিশ্বজুড়ে বিমানটি নিয়ে ব্যাপক আলোচনার কারনে এ বিমানটি অনেক পরিচিত । কিন্তু তারপরও বিমানটি সম্পর্কে এখানে যে নয়টি তথ্য দেয়া হলো সেগুলো এখনো অনেকেরই অজানা। ১.মার্কিন প্রেসিডেন্টকে বহনক ... ারী বিমানটি ২৩২ ফিট লম্বা । ২.বিমানের ডানাগুলো ১৯৫ ফুট প্রশস্ত । ৩.বিমানটির কাঠামো এতই শক্ত যে, এটি ভূমি থেকে উৎক্ষেপিত নিউক্লিয়ার বোমাও প্রতিরোধে সক্ষম । ৪.প্রতিটি জানালাই বুলেটসহ যে কোন সামরিক হামলা মোকাবিলায় সক্ষম । ৫.এয়ারফোর্স ওয়ানের প্রতি ঘন্টার উড্ডয়নের খরচ দুই লাখ মার্কিন ডলার । ৬.বিমানটিতে মোট ৮৫ টি ফোন লাইন আছে । ৭.বিমানটির ভেতরের অংশের মোট আয়তন চার হাজার স্কয়ার ফিট । ৮.বিমানটির যাত্রীধারণ ক্ষমতা ৭৬ জন, ক্রু মেম্বার ২৬ জন । ৯.প্রেসিডেন্টের ওভাল অফিসের মতো পুরো আরেকটি অফিস আছে বিমানটিতে । © করি...

মুক্তিযুদ্ধের বই

মুক্তিযুদ্ধের বই       বাংলাদের স্বাধীনতা যুদ্ধ নিয়ে অনেক বই লেখা হয়েছে । আমার পড়া সবচেয়ে বিতর্কিত বই হচ্ছে এন্থনি মাসকারেনহাসের Bangladesh : A legacy of Blood. বইটি ১৯৮৮ সালে পড়েছিলাম । পরে একাধিক বার পড়েছিলাম । এন্থনি মাসকারেনহাস পাকিস্তানি নাগরিক । ধর্মে খ্রিস্টান । তিনি লন্ডনের Sunday Times এর সাংবাদিক ছিলেন । এই বইটি পরে বাংলায় অনুবাদ হয়েছে । " বাংলাদেশ বক্তের ঋন " হিসেবে । এই বইটি বহুল পঠিত । কিন্তু বইটিতে তিনি সত্যের সঙ্গে কিছু কিছু মিথ্যাও জুরে দিয়েছেন । ওই বইতে তিনি লিখেছেন , শেখ মুজিব মারা যাওয়ার পর তার টুংগি পাড়ার বাড়িতে লুটপাট হয় । যা সম্পুর্ন মিথ্যা । এ বিষয়ে হুমায়ুন আহমেদ তার দেয়াল উপন্যাসেও উল্লেখ করেছেন । বাংলাদেশের রাজনীতি , স্বাধীনতা যুদ্ধ নিয়ে অনেক বই প্রকাশিত হয়েছে । এই বিষয়ে আমি ছাত্রজীবনে কিছু বই পড়েছিলাম । যেগুলো মনে পড়ছে সেগুলোর নামই লিখছি । ১ . লক্ষ প্রাণের বিনিময়ে - মেজর রফিকুল ইসলাম । ২ . আমি বিজয় দেখেছি - এ...