সরাসরি প্রধান সামগ্রীতে চলে যান

পোস্টগুলি

ডিসেম্বর, ২০২৩ থেকে পোস্টগুলি দেখানো হচ্ছে

আমেরিকার আদালতে একদিন

 আমেরিকার আদালতে একদিন ---------------------------------------------- ২০০০ সালের একদিন। চাকরি করতাম শেল গ্যাস স্টেশনে। অনেকেই জানেন, আমেরিকা-ইউরোপে রাত ২টা থেকে সকাল ৭টা পর্যন্ত যে কোনো প্রকার অ্যালকোহল, বিয়ার, হুইস্কি, কনিয়াগ ইত্যাদি বিক্রি সম্পূর্ণ নিষিদ্ধ। সব বার, নাইট ক্লাব, ডিসকো রাত ২টায় বন্ধ হয়ে যায়। অনেক কনভিনিয়েন্ট স্টোর ২৪ ঘন্টা খোলা থাকে। গ্যাস স্টেশন তো বটেই। এসব স্টোরে মদ, বিয়ার পাওয়া গেলেও রাত ২টা থেকে সকাল ৭টা পর্যন্ত বিক্রি নিষিদ্ধ। যদিও ফাঁকফোঁকর দিয়ে কিছু বিক্রি হয় তবে তা সামান্য। খুব সাবধানে।  আবার ২১ বছরের নীচের ছেলেমেয়েদের কাছে অ্যালকোহল বিক্রি দণ্ডনীয় অপরাধ। যেমন অপরাধ ২১ বছরের নীচে ছেলেমেয়েদের কাছে সিগারেট বা যে কোনো টোবাকো প্রোডাক্ট বিক্রি। এটি ফেডারেল ক্রাইম। সব সিগারেটের প্যাকেটে লেখা থাকে Underage Sale Prohibited. যদিও ২১ বছরের নীচে অনেক ছেলেমেয়ে সিগারেট ও অ্যালকোহল খায়। কখনো নিজেরাই কেনে বা সিনিয়র কাউকে অনুরোধ করে কেনায়। পুলিশ বা অ্যালকোহল কন্ট্রোল ডিপার্টমেন্টের লোকের কাছে ধরা পড়লে অনেক ঝামেলা। আদালত পর্যন্ত যেতে হয়। তবে আমেরিকাতে এসব স্টোরে বা গ্য...

তুই খাইজ্জানিটা থামা

 তুই খাইজ্জানিটা থামা ------------------------------- বাইরে বৃষ্টি পড়ছে। হালকা বাতাসও আছে। আবহাওয়া একটু ঠান্ডা। দক্ষিণ পশ্চিম দুই দিকের জানালা খোলে রেখেছি। দক্ষিণ দিকের বারান্দার দরজাও খোলে রেখেছি। শুধু পূর্ব দিকের জানালাটা বন্ধ। দুই খোলা জানালা আর দরজা দিয়ে ঠান্ডা বাতাস আসে। তবু আমি দরজা জানালা খোলা রাখি। পর্দাও গুটিয়ে রাখি। আমি আবদ্ধ রুম পছন্দ করি না। টপ ফ্লোর বলে বিছানায় শুয়ে শুয়েও বৃষ্টি দেখা যায়। আকাশ দেখা যায়। সামান্য ঠান্ডা আছে তাই কালো রঙের ফুল স্লিভ গোল গলার একটা গেঞ্জি পরে শুয়ে বুক পর্যন্ত লেপ টেনে লিখছি। ওদিকে টিভি চলছে। ঘুমের সময় ছাড়া সব সময় রুমে টিভি চলে। টিভির কথায় মনে হয় রুমে কেউ আছে। এতে একাকীত্ব দূর হয়। প্রচুর বইপুস্তক পড়া থাকলে আর ভাষাগত দক্ষতা থাকলে যে কোনো বিষয় নিয়ে লেখা যায়। সময়ও কাটে। আমার সময় কাটানোর প্রধান মাধ্যম ফেইসবুক। একটা গল্প দিয়েই শুরু হোক।  গল্পটি নিন্মরূপ... এটা হচ্ছে দুই ঢাকাইয়া যুবকের গল্প। দুজনেই পরস্পরের বন্ধু। একেবারে জানি দোস্ত। এই বন্ধুত্ব এতোই নিবিড় যে, একজনের বিপদের সময় অন্য বন্ধু দ্রুত সাহায্যের জন্য এগিয়ে আসবেই। খেলাধুলা বিশেষ করে ফু...

Don’t judge people before you truly know them

 Don’t judge people before you truly know them --------------------------------------------------------------. Please take few seconds to Read this story.. It’s Worth.. A 24 year old boy seeing out from the train’s window shouted… . “Dad, look the trees are going behind!” . Dad smiled and a young couple sitting nearby, looked at the 24 year old’s childish behavior with pity, suddenly he again exclaimed… . “Dad, look the clouds are running with us!” . . The couple couldn’t resist and said to the old man… . “Why don’t you take your son to a good doctor?” . . The old man smiled and said… . “I did and we are just coming from the hospital, my son was blind from birth, he just got his eyes today. . . . MORAL………. . Every single person on the planet has a story. Don’t judge people before you truly know them. The truth might surprise you.

২১শে ফেব্রুয়ারি

 ২১শে ফেব্রুয়ারি  ------------------------ এক ঘন্টা পরই ২১ ফেব্রুয়ারি । আগেও একবার লিখেছিলাম । আজ একটু বর্ধিত আকারে । গতকাল থেকে ইনবক্সে যে কি যন্ত্রণা শুরু হয়েছে এক আল্লাহ জানেন আর জানি আমি । কতোজন যে একুশে ফেব্রুয়ারি নিয়ে ম্যাসেজ দিয়েছেন তা দেখে আমি মর্মাহত হয়েছি । এভাবে ইনবক্সে ম্যাসেজ দিয়ে কাউকে বিরক্ত করা কোন সৌজন্যতায় পরে এটা তারাই ভালো বুঝেন । বাংলা ভাষার জন্য অনেকের কান্নাকাটি শুরু হয়ে গেছে । একুশে ফেব্রুয়ারি এখন সুবিধাবাদী ও সুবিধাভোগীদের বাংলা ভাষার জন্য কুম্ভীরাশ্রু বর্ষণের দিবস । ছাত্রছাত্রী, তরুন-তরুণীদের মুখে,হাতে 'ক' 'খ' 'গ' 'ঘ' এঁকে শহীদদের প্রতি শ্রদ্ধা প্রদর্শনের দিবস । বর্ণমালা,শহীদ মিনারসহ নানা ধরনের ছাপ মারা কাপড় পরে উৎসবে মত্ত হওয়ার দিবস। মাথায় পট্টি বেঁধে ঘুরাফেরার দিবস । অনেকের শখের বাগানের ফুল চুরি করার দিবস । বই মেলায় মেয়েদের উত্যক্ত করার দিবস । লেখক সাহিত্যিকদের কোপাকুপির দিবস । কিছু ধরাবাঁধা পুরনো কথার চর্বিত চর্বণ করে বুদ্ধিজীবীদের বক্তৃতার দিবস । স্বাধীন বাংলাদেশে বাংলা ভাষার জন্য তাদের হায় হায় করার দিবস । আগে এই দিবসটি ছিলো...

সতীদাহ প্রথা

 সতীদাহ প্রথা  --------------------- আপনারা সবাই জানেন, হিন্দু ধর্মের একটি গোড়া প্রথার নাম হচ্ছে ‘সতীদাহ প্রথা’। এ প্রথা অনুসারে স্বামীর মৃত্যুর পর চিতায় মৃত স্বামীর সাথে জীবিত স্ত্রীকেও পুড়িয়ে হত্যা করা হতো। তবে কোন মানুষই চায় না জীবিত দগ্ধ হতে, তাই ঐ বিধবা মহিলাটি পালিয়ে বাঁচার চেষ্টা করতো, কিন্তু হিন্দু গোড়া সমাজ, ঐ মহিলাটিকে টেনে-হেচড়ে-পিটিয়ে এরপর আগুনে নিক্ষেপ করতো । তবে মজার ব্যাপার হচ্ছে, অনেকে দাবি করে থাকে রামমোহন রায় নাকি হিন্দুদের সতীদাহ প্রথা বন্ধ করেছিলো । অনেকে দাবি করে, ব্রিটিশ বেনিয়া উইলিয়াম বেন্টিঙ্ক আইন করে সতীদাহ বন্ধ করেছিলো । আসলে মূল সত্য অন্যটা । প্রকৃত সত্য হচ্ছে, এর বহু আগেই মুসলিম শাসকরা বিভিন্ন সময় আইন করে এ নির্মম প্রথা বন্ধ করেন, কিন্তু ইতিহাসে শুধু রামমোহন ও বেন্টিঙ্কের কথাই উল্লেখ করা হয় । যেমন: ১. সতীদাহ প্রথা বন্ধের প্রথম সরকারি প্রচেষ্টা মুসলিমরা করেছিলেন। মুহাম্মদ বিন তুঘলক সর্বপ্রথম এই প্রথা বন্ধের চেষ্টা চালিয়ে ছিলেন। [L. C. Nand, Women in Delhi Sultanate, Vohra Publishers and Distributors Allahabad 1989] ২. মুঘল সম্রাটদের মধ্যে যারা সতীদা...