সরাসরি প্রধান সামগ্রীতে চলে যান

পোস্টগুলি

ফেব্রুয়ারী, ২০২৪ থেকে পোস্টগুলি দেখানো হচ্ছে

কাবা দখল

 সালাফিপন্থীদের কাবা দখল  ---------------------------------------- এইতো সেদিন মাত্র ৪৫ বছর আগে আমরা তখন নাইন টেনে পড়ি। ১৯৭৯ সালে কাবা শরীফ দখল করেছিলো সালাফিপন্থী একদল উগ্র তথাকথিত মুসলিম। এই সালাফিপন্থীরাই আজকের আহলে হাদিস। এরা কিছু নির্দিষ্ট এজেন্ডা বাস্তবায়ন করতেছে এ দেশে। এরা মূলত ওয়াহাবী মতাদর্শের অনুসারী। ২০-২৫-৩০-৩৫ বছরের পোলাপান এগুলো না বুঝে এই নিয়ে লাফালাফি করছে। এটা বেদাত ওটা বেদাত। মানে তাদের কাছে আমাদের ইসলাম শিখতে হবে। কিছু ভুয়া হাদিস আর না বুঝে কোরান পড়া ছাড়া এরা অন্য কোনো বইপুস্তক পড়েনি। আলজাজিরা, টিআরটি, সিএনএনসহ কোনো টিভি এরা দেখেনা। পত্রপত্রিকা পড়ে না। ইসলামের ইতিহাস এরা কিছুই জানে না। এরা নামাজকে বলে সালাত, ধন্যবাদকে বলে জাজাকাল্লাহ খাইরান। কবে জানি রাষ্ট্রভাষা আরবি দাবি করে বসে ঠিক নেই। জুনিয়র আহলে হাদিস সদস্যদের জন্য এই পোস্ট। সিনিয়র অনেকেই জানেন। ১৯৭৯ সালের নভেম্বর মাসে পবিত্র মক্কা নগরীতে কট্টরপন্থী সালাফিরা কাবা ও হারাম শরীফ দখল করে নেয়। ইসলামের পবিত্রতম স্থান কাবা এবং একে ঘিরে তৈরি মসজিদ আল হারাম বা হারাম শরিফ দখল  করেছিলো সালাফিপন্থী গোষ্ঠী। ...

পাগলামি

 পাগলামি -------------- সব মানুষের মাঝেই কিছু না কিছু পাগলামি আছে। কারো বেশি কারো কম। সব মানুষই কোনো না কোনোভাবে পাগল। যারা বলেন, তারা পাগল না, তারাই বড় পাগল। আমেরিকায় এক ম্যাগাজিনে পড়েছিলাম, পৃথিবীর কোনো মানুষই সম্পূর্ণ সুস্থ নয়। কারো সাইকোলজিক্যাল ডিসঅর্ডার, কারো মেন্টাল ডিসঅর্ডার, কারো ফিজিক্যাল ডিসঅর্ডার আছেই। ব্লেইস পাস্কাল Blaise Pascal নামে একজন নামজাদা  ফরাসী চিন্তাবিদ ছিলেন (১৬২৩-১৬৬২)। যিনি ঘোর ক্যাথলিক ছিলেন।  তিনি বলতেন, মানুষ পাগল স্বভাবতই। এতই পাগল যে, যদি কেউ মনে করে সে পাগল না, এটা হচ্ছে পাগলামির নতুন প্রমাণ। আপনি যদি মনে করেন  আপনি পাগল নন আপনিই বড় পাগল। আপনি আমি কেনো? ৭০০ কোটি পাগল নিয়েই পৃথিবীর বাস। মেয়ের জন্য পাত্র দেখে আসার পর মেয়ের বাবা লোকজনকে জিজ্ঞেস করলেন, পাত্র কেমন? সকলেই বললো, ছেলে খুবই ভালো। তবে মনে হয় মাথায় একটু গন্ডগোল আছে। মেয়ের বাবার উত্তর, এইটা কোনো সমস্যা না। মাথায় তো আমারও গন্ডগোল আছে। এই যে অস্ট্রেলিয়া প্রবাসী বনি আমিন (ইউটিউবার) ভিয়েনা প্রবাসী সেফুদা, ময়মনসিংহের ঈসমাইল ভাই, বাংলা ভিশনের নাজনীন মুন্নী, বহুল আলোচিত হিরো আলম, সনি ট...

আমার খৎনা কাহিনী

 আমার খৎনা কাহিনী ইসলামি সংস্কৃতিতে পুরুষদের মধ্যে খৎনা বা ত্বকচ্ছেদ প্রথা প্রচলিত যা আরবি ভাষায় খিত্না বা খিতান্‌ নামে প্রচলিত। পুরুষ খৎনা মুসলিম সমাজে ব্যাপক প্রচলিত এবং আইনত ইসলামের সকল মাযহাব কর্তৃক প্রতিষ্ঠিত অনুশাসন হিসাবে গৃহীত হয়েছে। এটি বৃহত্তর ইসলামি সম্প্রদায়ের (উম্মাহ) অন্তর্ভুক্ত হওয়ার চিহ্ন হিসাবে বিবেচিত হয়। গত কয়েকদিন সুন্নতে খৎনার সময় দুটো ছেলের প্রাণ গিয়েছে। একজনের নাম আয়ান। আরেকজনের নাম আয়হাম। খুবই দুঃখজনক ঘটনা। এই ঘটনা দুটো পত্রিকায় পড়ে আমার নিজের সুন্নতে খৎনার কথা মনে পড়ে গেল।  আমার খৎনা একটু দেরিতে হয়েছিলো। তখন ক্লাস ফাইভে পড়ি। একদিন স্কুল থেকে ফিরে খেতে বসেছি। সেজো ভাবী ভাত দিয়েছেন। আমি খাচ্ছি। এমন সময় ভাবী বললেন, 'কালকে তোমারে জবাই করবো'।  আমি অবাক হয়ে ভাবীর কাছে জানতে চাইলাম ঘটনা কী। ভাবী জানালেন, কালকে তোমার মুসলমানি। আমাদের সময় গ্রামে খৎনাকে মুসলমানি বলা হতো। আমি অর্ধেক ভাত রেখে উঠে গেলাম। ভাবী বললেন, কি ব্যাপার ভাত খাইলানা? আমি কিছু না বলে ঘর থেকে বেরিয়ে গেলাম। আমার মনে এক বিরাট যন্ত্রনা শুরু হলো। বিরাট ভয়। ছুরি দিয়ে পোঁচ দিয়ে আম...

গোলামের পুত

 গোলামের পুত ২০১৩ সালে মেন্টালি খুব ডিস্টার্বড ছিলাম। কনজুগাল লাইফে বিপর্যয়সহ সামাজিক, ব্যক্তিগত অনেক কারণে। ওই সময় আমি নিজেকে সম্পূর্ণ আলাদা করে ফেলি। কারো সঙ্গেই যোগাযোগ রাখিনি। তখন কুমিল্লা সিএমএইচ-এর সামান্য দূরে একটা চার তলা বাসার দোতলায় ছিলাম কয়েকমাস। বাসায় কেয়ারটেকার থাকলেও সে সকাল ছয়টায় মূল কলাপসিবল গেট খুলে দেয়। যে কেউ আসা-যাওয়া করতে পারে ওই চারতলা বিল্ডিংয়ে। আমি তখন ঘুমাই রাতের ২টা ৩টার সময়। উঠি সকাল দশটা এগারোটায়। একদিন সকাল সাতটার সময়  ডোর বেল বাজলো। আমার চোখে দুনিয়ার ঘুম। ২টা স্লিপিং পিল খেয়ে ঘুমিয়েছি রাত ৩টায়। আমার রুমে কেউ আসে না। পরিচিতজন, আত্নীয়স্বজন জানেই না আমি কোথায় আছি। মহাবিরক্তি নিয়ে উঠে দরজাটা খুললাম। দেখি ৩৫/৪০ বছরের এক ভিখারিনী হাত পেতে আমার কাছে ভিক্ষা চাইলো। তাৎক্ষণিক আমার মাথায় রক্ত উঠে গেল। উত্তেজনায় আমি হিতাহিত জ্ঞান হারিয়ে ফেলি। একজন অশিক্ষিত, অভদ্র, অসভ্য মানুষ হয়ে গেলাম মুহুর্তেই। দরজার পাশে দুই হাত লম্বা ছোট একটা কাঠের চারকোণা লাঠি ছিলো। লাঠিটা হাতে নিয়ে আমি হুংকার দিয়ে বললাম,  "চো*দা*নি*র ঝি আইজ ভিক্ষা তোর ওই জায়গা দিয়ে দিব...

লিজা

 লিজা -------- ২০১৩ সালের মার্চ মাসের মাঝামাঝি। 'মৌচাকে ঢিল ' ম্যাগাজিনের ফাল্গুনী ভালোবাসা সংখ্যা বাজারে এসে গেছে। আমার 'ভালোবাসার গান' লেখাটি প্রকাশিত হয়েছে। ম্যাগাজিনের একেকটা সংখ্যা বাজারে আসে আর আমার ফোন ধরতে ধরতে অবস্থা কাহিল হয়! সে সময় আমার আশেপাশে যারা ছিলেন তারা দেখেছেন দিনে কতোবার আমাকে ফোন ধরতে হতো! লেখার শেষে লেখকের ফোন নাম্বার ও ইমেইল অ্যাড্রেস উল্লেখ করা হতো। লেখার শেষে লেখকের ফোন নাম্বার কেনো দেয়া হবে এই নিয়ে একদিন সম্পাদক শফিক রেহমানের ১৫ ইস্কাটন গার্ডেন-এর বাসায় আলোচনার এক পর্যায়ে তিনি বলেছিলেন,  "যে কোনো লেখায় পাঠক প্রতিক্রিয়া জানায় কিন্তু মৌচাকে ঢিলে আমি কোনো চিঠিপত্র বিভাগ রাখিনি। যায়যায়দিনেও মেলব্যাগ নামে সামান্য জায়গা রেখেছিলাম। পাঠকরা এতো বেশি চিঠি পাঠায় যে সব চিঠি ছাপতে গেলে আমার অনেক পাতা বরাদ্ধ রাখতে হবে যা সম্ভব নয়। লেখকের ফোন নাম্বার দিলে পাঠক সরাসরি তার প্রতিক্রিয়া লেখককে জানাতে পারে। এতে পাঠক-লেখকের মধ্যে একটা সেতু বন্ধনও তৈরি হয়। মেয়ে লেখকরা চাইলে ফোন নাম্বার গোপন রাখা হয়।" একদিন একটা এসএমএস পেলাম সিটিসেল নাম্বার থেকে ইংরেজি হরফে...

আমেরিকান ভিক্ষুক

 আমেরিকান ভিক্ষুক ---------------------------- ভিক্ষুকের সামনে একটা এলুমিনিয়ামের থালা। তার পাশেই লেখা... "দয়া করে কয়েন ফেলে শব্দ দূষণ করবেন না। নোট প্রদান করুন।" বিষয়টা অনেকের কাছে হাসির বা অবিশ্বাস্য মনে হলেও আমার কাছে সত্য। আমি বিদেশে খুব ঘোরাঘুরি করতাম। সুযোগ পেয়ে বাঁদরামিও কম করিনি। ভিক্ষুক নিয়ে সবারই কম বেশি অভিজ্ঞতা আছে। আমেরিকার প্রায় সবকিছুই আমার ভালো লাগে একমাত্র তাদের সাম্রাজ্যবাদী ফরেন পলিসি ছাড়া। বাংলাদেশের কয়েকজন ভিক্ষুককে তাদের আচরণের কারণে এক সময় আমি মারতেও চেষ্টা করেছিলাম। বিবেকের বাধায় মারতে পারিনি। ওরা ভীষণ বিরক্ত করে। সময় অসময় বুঝে না। সকালে বাসায় এসে ডোর বেল বাজিয়েও ডাকে অথচ আমি ঘুমে! এক আমেরিকান ভিক্ষুকের সঙ্গেও আমার ঝগড়া হয়েছিলো। সেই কবে রোববার গ্রীস্মের এক বিকেলে আমি নিউ ইয়র্কের ফিফথ্ এভিনিউ ধরে হাঁটছিলাম। অনেক নামি দামি লেখকরা তাদের লেখায় ফিফথ্ এভিনিউকে ( 5th Avenue ) পৃথিবীর বিখ্যাত রাস্তা বলে উল্লেখ করেছেন। ফিফথ্ এভিনিউর ফর্টি সেকেন্ড স্টৃটের কোণায় নিউ ইয়র্ক পাবলিক লাইব্রেরি। অনেক বড় লাইব্রেরি। বিশাল বড়। সামনে পেছনে বিরাট লন। বিকেলে বসে সময় কাটানো বে...