সরাসরি প্রধান সামগ্রীতে চলে যান

পোস্টগুলি

অক্টোবর, ২০১৮ থেকে পোস্টগুলি দেখানো হচ্ছে

স্বেচ্ছাচারী জীবনযাপন

স্বেচ্ছাচারী জীবনযাপন স্বেচ্ছাচারী জীবনযাপনের মধ্যে জীবনকে খুঁড়ে খুঁড়ে দেখার চেষ্টা সব সময় করেছি । আমার মতো সাধারণ ঘরের একটা সাধারণ ছেলে যে অনেকগুলো উন্নত দেশ দেখবো তা আমার স্বপ্নে ছিলো না । প্রতিমাসে মোটা অংকের টাকা বেতন পেতাম । সঞ্চয় করার চিন্তা ছিলো না কখনো । বিয়ে করিনি, বাবা, মা জীবিত নেই। পিছুটানও নেই অন্য কোনো । জাপানের কথা বাদ দিলেও আমি যখন ইউরোপে ছিলাম তখন আইন কানুন অনেক সহজ ছিলো । যখন অস্টৃয়ায় ছিলাম তখন চার বছর বৈধভাবে ওদেশে থাকলে পাসপোর্ট দেয়া হতো । পাসপোর্ট নেয়ার জন্য অস্টৃয়ার স্বরাষ্ট্র মন্ত্রণালয় থেকে আমাকে চিঠিও দেয়া হয়েছিলো । কিন্তু আমি দ্বৈত নাগরিকত্ব নিতে আগ্রহী ছিলাম না । ইচ্ছা করলে ইউরোপের যে কোনো দেশে আমি স্থায়ীভাবে থেকে যেতে পারতাম । সেদিকে আমার কোনো মনযোগ ছিলো না । আমার তো নিজের দেশ আছেই । আমেরিকায়ও ছিলাম প্রায় নয় বছর । অনেক ফাঁকফোঁকর দিয়ে ওদেশেও স্থায়ী পারমিট নিয়ে থেকে যাওয়া যায় । অনেক বাংলাদেশিই সেই পন্থা অবলম্বনের পরামর্শ দিয়েছিলো । নিউ ইয়র্ক থাকতে সিরাজগঞ্জের বন্ধু বুলবুল আমার জন্য পারভীন নামের আমেরিকান পাসপোর্টধারী এক মেয়ের সঙ্গে বিয়েও ঠিক কর...

ডায়েরীর পাতায় 16 মে, 1973, বুধবার

ডায়েরীর পাতায় 16 মে, 1973, বুধবার " ডায়েরীর পাতায় 16 মে, 1973, বুধবার । ...সারা দিনই রাষ্ট্র প্রধানের ( বিচারপতি আবু সাঈদ চৌধুরী ) মন খুব খারাপ । আমাকে ডেকে বললেন, আমি সর্বদা স্বাধীনভাবে কাজ করে ছি। আজ পারছি না । ভাষানী সাহেব আমার পিতৃবন্ধু হওয়া সত্ত্বেও তাকে দেখতে যাওয়ার অধিকার আমার নেই । এর চেয়ে দুঃখজনক আর কি হতে পারে? বঙ্গবন্ধুর প্রতি এমন বিরূপতা আর কখনও প্রকাশ করেননি তিনি । আমাকে বিশ্বস্ততার সঙ্গে বললেন, দেশে গণতন্ত্রের আদর্শ প্রতিষ্ঠিত হচ্ছে না । বঙ্গবন্ধু সমস্ত ক্ষমতা কেন্দ্রীভূত করে রেখেছেন । তিনি ডিক্টেটরের মতো কাজ করছেন । তার চিন্তার বাইরে অন্য কারো চিন্তার দাম নেই, এভাবে কি চলে? আমি চুপ করে রইলাম । তিনি বললেন, গণতন্ত্র ব্যক্তির চেয়ে বড় । স্যার আবার বললেন, বঙ্গবন্ধু আমাকে বলছিলেন, আপনারা আমাকে জাতির পিতা করেছেন । নিজের সম্পর্কে কেউ কি এমন করে বলে? না, এভাবে কাজ করা আর সম্ভব নয় । ....স্যার বললেন, বঙ্গবন্ধু গাজী গোলাম মোস্তফার একটি নথি পাঠিয়েছেন । সেটিতে সই করার চেয়ে পদত্যাগ করাই মঙ্গল । 24 ডিসেম্বর 1973 সনে পদত্যাগ করলেন রাষ্ট্রপ্রধান আবু সাঈদ চৌধুরী ।"...

Don't Judge People

Don't Judge People "Don’t judge people before you truly know them". Please take few seconds to Read this story.. It’s Worth.. A 24 year old boy seeing out from the train’s window shouted… . “Dad, look the trees are going behind!” . Dad smiled and a young couple sitting nearby, looked at the 24 year old’s childish behavior with pity, suddenly he again exclaimed… . “Dad, look the clouds are running with us!” . . The couple couldn’t resist and said to the old man… . “Why don’t you take your son to a good doctor?” . . The old man smiled and said… . “I did and we are just coming from the hospital, my son was blind from birth, he just got his eyes today.” . . . MORAL………. . Every single person on the planet has a story. Don’t judge people before you truly know them. The truth might surprise you.

তাবলীগে চার মাস

তাবলীগে চার মাস তাহলে এভাবেই বলি, চার মাস তাবলীগ জামাতের সঙ্গে থেকে বুঝেছি, যারা মৃত্যু পরবর্তী জীবনে বিশ্বাস করে এবং ইহজাগতিক দুনিয়াকে ক্ষণস্থায়ী মনে করে দৃঢ়ভাবে তারাই উগ্রপন্থী বা ধর্মীয় চরমপন্থী । যদিও তাবলীগ জামাতে উগ্রতা নেই । তাবলীগ জামাত মানুষকে ইসলামের পথে আসার দাওয়াত দেয়াতেই নিজেদের সীমাবদ্ধ রেখেছে । কিন্তু জিহাদ, ধর্মীয় কারনে হত্যা, সুইসাইড বোম্বার এসবের প্রতি মৌন সমর্থন দেয় তাবলীগ বা প্রতিবাদ করে না। কিন্তু এটাতো সত্য যে, এক শ্রেণির মুস লিম চরমপন্থায় বিশ্বাস করে । তালেবান, আল কায়দা, আফগান মোজাহিদ, জেএমবির মতো ধর্মীয় চরমপন্থীরা বিশ্বাস করে, যে মৃত্যু স্বাভাবিক তার কোনো গুরুত্ব নেই । মৃত্যু যখন শাহাদাৎ বরণ হয় তখন বেহেশত হয়ে যায় নিশ্চিত । সমস্যা হলো কোনটা ন্যায় বা জিহাদ সে বিষয়ে একমত হওয়া । চরমপন্থীরা মানুষের জীবন, সম্পদ রক্ষার চেয়ে জিহাদ করে বেহেশতে যাওয়াই একমাত্র লক্ষ্য বলে মনে করে । ইহজাগতিক সম্পদ, এমনকি জীবন তাদের আদর্শের কাছে একেবারেই গৌণ । তালেবান নেতা মোল্লা ওমর, আল কায়দা নেতা বিন লাদেনসহ আরো অনেকেই এমন বিশ্বাস করতেন । আমার ধারনা, সুইসাইড বোম্বার তৈরি হয় ...

অতীত স্মৃতিচারণ

অতীত স্মৃতিচারণ লেখিকা বন্ধু Mahmuda Akhter গত পরশু আমার স্ট্যাটাসের নিচে কমেন্ট করেছেন এভাবে... ‘’ Mahmuda Akhter আপনার মধ্যে স্মৃতি কাতরতা লক্ষ্যণীয়। বেশ কিছুদিন ধরে আপনি অতী ত নিয়ে স্মৃতিচারণ করেই যাচ্ছেন। পড়তে খারাপ লাগছে না। অতীত সবসময়ই মধুময়। তাই বলে শুধু অতীত নিয়ে থাকলে তো চলবে না !’’ সত্যি বলতে কি আমি লেখালেখি করবো এই ইচ্ছা ছাত্র জীবন থেকেই ছিলো । আর পেশা হিসেবে আমার ভালো লাগতো, সাংবাদিকতা, অধ্যাপনা অথবা বিসিএস ক্যাডারভুক্ত চৌকস ডিপ্লম্যাট হওয়া । ইন্টার মেডিয়েট জীবনে আর্মি অফিসার হওয়ার স্বপ্ন ছিলো । ২০/২৫ টা পরীক্ষায় পাস করে আইএসএসবি থেকে শেষ দিন অর্থাৎ প্রেসিডেন্সিয়াল ভাইভাতে বাদ পড়েছিলাম । এরপর ডিপ্লম্যাট হবো বলে ঢাকা বিশ্ববিদ্যালয়ে আন্তর্জাতিক সম্পর্ক বিভাগে পড়েছিলাম । কিন্তু একটা বিশেষ ঘটনায় হঠাৎ সিদ্ধান্তে আমি ইউরোপ চলে যাই । সেই থেকে জীবনের মোড় ঘুরে যায় । কিন্তু লেখা পড়ার সংস্পর্শে ছিলাম সবসময় । ৭ বছরের ইউরোপিয়ান জীবনে নিউজ ইউক ও টাইম আমার বাসায়ই আসতো । লন্ডনের টেলিগ্রাফ, সানডে টাইমস, ইন্ডিপেনডেন্ট, গার্ডিয়ান, প্যারিস থেকে প্...

মাতৃভাষা

মাতৃভাষা যারা লেখালেখি করে তারা শব্দের কারবারী । নিজস্ব ধরনের শব্দ ব্যবহারেই তার বৈশিষ্ট্য ,শব্দকে নিয়ে সে খেলাও করতে পারে, সেটা মাতৃভাষাতেই সবচেয়ে বেশি সম্ভব । লেখা কিং বা কথা বলার সময় সঠিক শব্দটা খুঁজে না পেলে একজন লেখকের শারীরিক কষ্ট হয়,অপমান বোধ হয় । ভুল ভাষা আর যাকেই হোক,কোনো লেখককে মানায় না । তবু আমরা অনেক সময় বাধ্য হই । ইংরেজ-আমেরিকানদের সঙ্গে সব সময় আমাদের এক অসম প্রতিযোগিতায় থাকতে হয় । তারা কথা বলে মাতৃভাষায়, আমরা বলি আয়ত্ত করা ইংরেজিতে । অনেক সময় তারা ভাষার মোচড়ে চকিত রসিকতা করে, আমরা তার উত্তর না দিতে পেরে মুখে হাসি মাখিয়ে রাখি । শুধু ইংরেজ-আমেরিকান নয় । জাপান, অস্টৃয়া, সুইজারল্যান্ড, জার্মানি এসব দেশেও দেখেছি, অনেকেই ভালো ইংরেজি জানে কিন্তু আমাদের সঙ্গে বলে না । তাদের ভাষায় কথা বলে । ভাষার আধিপত্য অনেক বড় আধিপত্য । এরা সেই সুযোগটাই নেয় । একবার আমি অস্টৃয়ার ম্যাকডোনাল্ডসের মালিক মি.হারমান মইক (Herman Moik) এর সঙ্গে বিবাদে জড়িয়ে পড়েছিলাম । তাও প্রায় ১০০ লোকের এক পার্টিতে । আমি বলেছিলাম, আমিতো জার্মান কম জানি । তোমার অন্য এমপ্লয়ি বিশেষ করে হাঙ্গেরি, চেক রিপ...

দুইটা মা= একটা মামা

দুইটা মা= একটা মামা একেবারেই ব্যক্তিগত । ইদানীং স্কুল কলেজ জীবনের কথা খুব মনে পড়ে । ছবিতে আমার মেজো আপা । দুই দিকে দুই আদরের ভাগ্নি । আপার নাম মিসেস ফিরোজা বেগম । বাসা কান্দিরপাড় । আপার পাঁচ মেয়ে এক ছেলে । নাজমা, ঝর্ণা, পান্না, শিল্পি, লাভলি । একমাত্র ছেলে শাহিন । সবার ছোট । আমার স্কুল-কলেজ জীবন আপার বাসায়ই কেটেছে । দুলাভাই মি. দেলোয়ার হোসেন সরকার দারুণ মজার মানুষ । শৌখিন । আরেক দিন দুলাভাইকে নিয়ে । আজ দুই ভাগ্নিকে নিয়ে একটু স্মৃতি । নাজমা, ঝর্ণা আমার অল্প ছোট । আমার সঙ্গে ওদের সম্পর্ক ছিলো বন্ধুর মতো । কখনো ভাইয়ের মতো । ওদেরকে ভালোওবাসতাম খুব । ঝগড়া করতাম, রাগারাগি করতাম,মারামারিও করেছিলাম বোধহয় । বলা যায় , আমি বড় হয়েছি ওদের সঙ্গে । প্রেম ট্রেম নিয়ে ওদের শাসন করলে অন্য রুম থেকে আমাকে শুনিয়ে শুনিয়ে বলতো, নিজে প্রেম করে আবার আমাদের মারে ! সবার বিয়ে হয়ে গেছে । ঘর সংসার নিয়ে ব্যস্ত । সকলেই কুমিল্লা শহরে থাকে । শিল্পি আমেরিকায় । আপার বাসায় মাঝে মাঝে গেলেও ভাগ্নিদের বাসায় যাওয়াই হয় না । দু’দিন আগে দেখি শাহনাজ পারভীন ঝর্ণা নামে একজন । আমি ফ্রেন্ড রিকো পাঠালাম । ঝর্ণা...

গাঁজা পরিমাণ মতো সেবনে অনেক উপকার !!!!

গাঁজা পরিমাণ মতো সেবনে অনেক উপকার !!!! গাঁজার নেশা হলে, বা সে নেশা বাড়াবাড়ি পর্যায়ে গেলে জীবনে বিপদ ডেকে আনতে পারে৷ তবে গবেষকরা বলছেন পরিমাণ মতো গাঁজা ওষুধ হিসেবে সেবন করলে নাকি অনেক উপকার৷ নয়টি উপকার সম্পর্কে জানুন৷ ১। মৃগীরোগ কমায় যুক্তরাষ্ট্রের ভার্জিনিয়া কমনওয়েলথ বিশ্ববিদ্যালয়ের গবেষকরা ২০১৩ সালেই জানিয়েছেন, মারিজুয়ানা বা গাঁজা একটি নির্দিষ্ট মাত্রায় নিলে মৃগী বা এ ধরণের কিছু স্নায়ুরোগ থেকে দূরে থাকা যায়৷ বিজ্ঞান বিষয়ক সাময়িকী জার্নাল অফ ফার্মাকোলজি অ্যান্ড এক্সপেরিমেন্টাল থেরাপিউটিক্স-এ ছাপাও হয়েছে তাঁদের এই গবেষণালব্ধ তত্ত্ব৷ ২। গ্লুকোমা দূরে রাখতে সহায়তা করে এই বিষয়টি তো প্রায় দশ বছর আগে জানা গেছে৷ যুক্তরাষ্ট্রের ন্যাশনাল আই ইন্সটিটিউট জানিয়েছিল মারিজুয়ানা গ্লুকোমার ঝুঁকিও কমায়৷ গ্লুকোমা চোখের এমন এক রোগ যা চির অন্ধত্ব ডেকে আনে৷ ৩। আলৎসহাইমার শত্রু দ্য জার্নাল অফ আলৎসহাইমার’স ডিজিজে প্রকাশিত এক প্রতিবেদনে বলা হয়, মারিজুয়ানা মস্তিষ্কের দ্রুত নিষ্ক্রিয় হয়ে পড়াও রোধ করে৷ আর এভাবে আলৎসহাইমার ঝুঁকিও কমাতে পারে মারিজুয়ানা৷ তবে মারিজুয়ানা ‘ওষুধ’...

এই খবরদার

এই খবরদার আমেরিকা থাকতে আমি মাঝে মাঝে মাথা কামাতাম । আমেরিকার বেশির ভাগ পুলিশ মাথা কামায় । বিশেষ করে ফ্লোরিডার পুলিশ । হয়তো ফ্লোরিডার আবহাওয়া সারা বছরই গরম বলে । একদিন আম ার পরিচত এক পুলিশ অফিসারকে জিজ্ঞেস করেছিলাম,তোমাদের এই মাথা কামানোতে সরকারের কোন বিধিনিষেধ নেই ? ওই পুলিশ অফিসার ঠোঁট উল্টে আমাকে বলেছিলো,Who Cares? একবার শিল্পী রফিকুল আলম,আবিদা সুলতানা ও রথীন্দ্রনাথ রায় গেলেন আমেরিকায় কনসার্ট করতে । আমরা সংগীতপ্রিয় অনেকে মিলে তাদের নিয়ে একটা কনসার্ট করেছিলাম ফ্লোরিডার Fort Myers City তে। মিতালী মুখার্জি ও ভুপিন্দর শিং এর গাওয়া "যেটুকু সময় তুমি থাকো পাশে মনে হয় এ দেহে প্রাণ আছে বাকিটা সময় যেন মরণ আমার হৃদয় জুড়ে নামে অথৈ আধাঁর...'' এই রোমান্টিক বাংলা ডুয়েট গানটি আমার খুবই প্রিয় । একটু রিদমিক । অনেক পরে রফিকুল আলম ও আবিদা সুলতানাও এই ডুয়েট গানটি গেয়েছিলেন । কনসার্ট শুরু হলো । আমি কামানো মাথা নিয়ে দাঁড়িয়ে চিৎকার দিয়ে হাত তুলে বললাম ‘এই খবরদার, “যেটুকু সময়, যেটুকু সময়"। সোহেল,আমি,ইমতিয়াজ,কাজী,কবির,বাবু,রুমি,দিদার এই কয়েকজন কথা বলার আগে প্রায়ই...

লেবাস বদলানো

লেবাস বদলানো একটা গল্প মনে পড়ছে । গল্পটি আমেরিকায় থাকতে পড়েছিলাম । কার লেখা ঠিক মনে নেই। যতদূর মনে পড়ে গল্পটি নিম্নরূপ ঃ মধ্য বয়সি সিলভিয়া গুরুতর সড়ক দুর্ঘটনায় আহত হয়ে হসপিট ালে ভর্তি হন। তাকে যখন অপারেশন থিয়েটারে নিয়ে যাওয়া হয় তখন তিনি প্রায় মৃত্যুর অভিজ্ঞতা অর্জন করেন। তিনি ঈশ্বর কে দেখতে পান এবং জিজ্ঞাসা করেন-তার জীবনটা কি শেষ হয়ে যাচ্ছে ? ঈশ্বর বলেন,তুমি আরো চল্লিশ বছর বাঁচবে । অপারেশন সাকসেসফুল হয় এবং সিলভিয়া বেঁচে যান। কিছুদিন হসপিটালে থেকে লাইপো সাকশান অপারেশানের মাধ্যমে শরীরের সমস্ত মেদ ফেলে দেন। আরো চল্লিশ বছর তিনি যুবতী রূপে বাঁচতে চান। উইগ বা পরচুলা লাগিয়ে তিনি প্রায় যুবতীর রূপ ধারণ করেন। হসপিটাল থেকে বেরিয়ে সিলভিয়া যখন রাস্তায় নামেন তখনি ঘটলো বড় দুর্ঘটনা । একটা অ্যাম্বুলেন্স সিলভিয়াকে চাপা দেয় এবং তিনি মারা যান। সমাহিত করার পর সিলভিয়া আবার ঈশ্বরের দেখা পান। তিনি ঈশ্বরকে প্রশ্ন করেন-আপনি বলেছিলেন আমি আরো চল্লিশ বছর বাঁচবো কিন্তু কেন এতো তাড়াতাড়ি মারা গেলাম? ঈশ্বর তখন মৃদু হেসে সিলভিয়াকে বলেন, সত্যি বলতে কি আজরাইল তোমাকে চিনতে পারেনি। গল্পটা এখানেই শেষ । আম...

ফাঁসির আগে রেহানার হৃদয় কাঁপানো চিঠি

ফাঁসির আগে রেহানার হৃদয় কাঁপানো চিঠি রেহানা জাব্বারিকে ধর্ষণ চেষ্টাকারীর বুকে ছুরি চালিয়ে হত্যার অপরাধে মৃত্যুদণ্ড দেয় ইরানের সুপ্রিম কোর্ট। ২৫ অক্টোবর তার মত্যুদণ্ড কার্যকর করা হয়। মৃত্যুর আগে মাকে শেষ চিঠি লিখে গেছেন রেহানা। হৃদয় নিংড়ানো সেই চিঠিতে মাকে শোকগ্রস্ত হতে বার বার বারণ করেছেন রেহানা। মৃত্যুকে তিনি অভিহিত করেছেন নিয়তির বিধান হিসেবে, তবে সে জন্য তিলমাত্র অনুতাপ করেননি। বরং ফাঁসির পর তার দেহাংশ দান করার অনুরোধ জানিয়েছেন জন্মদাত্রীকে। রেহানার সেই মর্মস্পর্শী চিঠি গণমাধ্যমের হাতে তুলে দিয়েছেন মানবাধিকার সংগঠন ও শান্তিকামী গোষ্ঠীর সদস্যরা। মাকে লেখা রেহানা জাব্বারির শেষ চিঠি: প্রিয় শোলেহ, আজ জানতে পারলাম এবার আমার ‘কিসাস’ (ইরানের আইন ব্যবস্থায় কর্মফল বিষয়ক বিধি)-এর সম্মুখীন হওয়ার সময় হয়েছে। জীবনের শেষ পাতায় যে পৌঁছে গিয়েছি, তা তুমি নিজের মুখে আমায় জানাওনি ভেবে খারাপ লাগছে। তোমার কি মনে হয়নি যে এটা আমার আগেই জানা উচিত ছিল? তুমি দুঃখে ভেঙে পড়েছ জেনে ভীষণ লজ্জা পাচ্ছি। ফাঁসির আদেশ শোনার পর তোমার আর বাবার হাতে চুমু খেতে দাওনি কেন আমায়? দুনিয়া আমায় ১৯...

গর্বিত বাঙালী!!!

গর্বিত বাঙালী!!! অনেককেই বলতে শুনি " বাঙালী হিসেবে আমি গর্ব বোধ করি "। কিন্তু আমেরিকান ইউরোপিয়ানদের মুখে এমন গর্বের কথা শুনিনি কখনো । পশ্চিমাদের সঙ্গে যদি আমাদের তুলনা করি তবে আমরা অনেক অশিক্ষিত এবং খ্যাত । আমরা যদি বেশির ভাগ বাঙালীর কথা ধরি তাহলে আমাদের রূচিবোধ নিম্ন শ্রেণির , ব্যক্তিত্বও ভালোনা । আমরা হাই কমোডে বসে হাগু করা শিখেছি কয়েকদিন আগে... আমাদের হিরো হয় সাকিব খান । ফুটবলে আগামী একশ বছরে আমাদের বিশ্বকাপে যাবার সম্ভাবনা নেই । আমরা চ্যাম্পিয়ান হই দুর্নীতিতে । আমরা পোশাকে ফলো করি পশ্চিমাদের । আমাদের জাতীয় পোশাক লুঙ্গি জিনিসটাকে আমার নিজের কাছেই মেয়েদের পেটিকোটের মত লাগে । প্রযুক্তিতে তারা বেস্ট... মুভিতে বেস্ট... তারা বিজ্ঞানী , তারা মহাকাশ... তারা নাসা... তারা শত শত নোবেল জয়ী ; তারপরেও আমরা গর্বিত বাঙালি । আবেগে আমরা পশ্চিমাদের চেয়ে অনেক এগিয়ে । বাঙালির আবেগ একটু অন্য রকম... মিলিটারির কামানের সামনে লুঙ্গি মালকোঁচা দিয়ে বাঁশ নিয়ে জেতা যায়না । অনেকেই যুদ্ধের ময়দানে মাথা ঝাকাতে ঝাকাতে গান গায়... 'একটি ফুলকে বাঁচাব বলে যুদ্ধ করি' । আপনি এসব গ...

দাঁত,প্রেম ও ব্লু শার্ট

দাঁত,প্রেম ও ব্লু শার্ট আজ কয়েকদিন দাঁতের ব্যথায় বেশ অস্থির। মনটা মোটেও ভালো নেই। শরীরটাও কেমন যেন রিদমে নেই । দাঁত ব্যথায় মাথা ভা র হয়ে থাকে। কথায় আছে দাঁতের ব্যথা আঁতে লাগে। ট্রিটমেন্ট চলছে রেগুলার। আমার দু'টো দাঁত বৃজ করে লাগাতে হবে। ডান দিকের উপরে মাড়ির দ্বিতীয় দাঁত এবং বাঁ দিকের নিচের মাড়ির দ্বিতীয় দাঁত ( ডেন্টিস্টরা বলেন ৫ নাম্বার দাঁত)। এই দু'টো দাঁতে ইনফেকশন হয়েছিলো। তাই ফেলে দিতে হয়েছে। এখন খেতেই পারছি না। আজ ১৫ দিন ধরে প্রতিদিন ডেন্টিস্ট এর কাছে যেতে হচ্ছে। এখনো এসেছি। বৃজ করা হলো,ফেলে দেয়া দাঁত দুটোর দুই দিকের ভালো দু'টো দাঁত একটু কেটে এক্সরে করে মাপ নিয়ে সেই মাপে ফেলে দেয়া দাঁত বানানো হয়েছে ল্যাবরেটরিতে ঢাকায় । এক সঙ্গে তিনটি করে ৬টি দাঁত বানানো হয়েছে। ওই বানানো দাঁতের ভেতর ডেন্টাল সিমেন্ট দিয়ে লাগিয়ে দেয়া হলো আজ। দুই দিকের ভালো দু'টো দাঁত মাঝেরটাকে ধরে রাখবে। সে জন্য এটাকে বৃজ করা বলে। তার আগে ভালো দাঁত দু'টোকে রুট ক্যানাল করা হয়েছে। এই দাঁত অরিজিনাল দাঁতের মতোই কাজ করে। এবং এটা ফিক্সড হয়ে থাকবে। বিদেশে দাঁতের টৃটমেন্ট খুব এক্স...

আমার আমি এবং আমরা

আমার আমি এবং আমরা প্রিয় বন্ধুরা, ভালোবাসা ও শুভেচ্ছা । কেমন আছেন সবাই ? আজ এমন এক প্রসঙ্গে লিখবো যা হয়তো আপনাদের বিরক্তি র কারন হতে পারে । তবু আমার মতো অভাজনের এই চিঠি পড়লে খুশি হবো । কৃতজ্ঞ থাকবো । আপনারা লক্ষ্য করে থাকবেন, মাঝে মাঝে কিছু ফেইক আইডি থেকে আমাকে ব্যক্তিগত আক্রমণ করে চরিত্রহনন করার চেষ্টা করা হয় । যা সম্পূর্ণ মিথ্যা ও ভিত্তিহীন । চারদিন আগে Samima Nasrin নামে একটা ফেইক আইডি থেকে আমার বিরুদ্ধে কুৎসা রটনা করা হয় । অনেক বাজে কথা বলা হয় । মেয়েদের প্রসঙ্গ টেনে আনা হয়। আমি মেয়েদের নিয়ে গল্প লিখি তা নিয়ে বাজে মন্তব্য করা হয়। আমি একাধিক একাউন্ট চালাই এমন অভিযোগ করা হয় । ওই আইডি টা আমার এলাকার একটা ছেলের হতে পারে । বা আমার নির্দিষ্ট কোনো ফেসবুক বন্ধুর হতে পারে। এক সময় যাদের সঙ্গে আমার বেশ আন্তরিকতা ছিলো। এখন নেই। তাদের কারনেই। আমি সেই একাউন্ট ডিসএবল্ড করে দিয়েছি । বন্ধুরা দেখে থাকবেন আমি ফেবুতে অনেক লিখি । শেয়ার করি । এতো কিছু করে একজন লোকের পক্ষে কি একাধিক একাউন্ট চালানো সম্ভব ? গত বছরও নাদিয়া ফেরদৌস নামে একটা ফেইক আইডি থেকে অনেক বাজে মন্তব্য করা হয় আম...

মানুষ এক বিচিত্র প্রাণী!!!

মানুষ এক বিচিত্র প্রাণী!!! পৃথিবীতে যত রকমের প্রাণী আছে তন্মধ্যে মানুষই সবচেয়ে বিচিত্র । মানুষ ন্যায় নীতির কথা বলে অথচ মানুষই অন্যায় আর দুর্নীতি করে ! মানুষ তৈরি করেছে বিচার ব্যবস্থা অথচ মানুষই মানুষের প্রতি অবিচার করে । ভালোবাসা নিয়ে মানুষের গর্বের শেষ নেই অথচ মানুষের ইতিহাস হত্যা লীলায় ক্লেদাক্ত । মানুষের নিষ্ঠুরতা হিংস্রতম পশুর চেয়েও বেশি । মেকিয়াভেলি তার 'দ্য প্রিন্স' বইতে উল্লেখ করেছেন, মানুষের মতো স্বার্থপর প্রাণী এই জগতে আর একটিও নেই । মানুষ বিশ্বাসের কথা বলে অথচ মানুষই বিশ্বাসঘাতক । আজ যাকে বিশ্বাসঘাতক বা শত্রু বলে শাস্তি দেয়া হলো,কয়েকযুগ পর তাকেই বলা হয় হিরো । যার গলায় পরানো হয়েছিলো ফাঁসির দড়ি, পরে তার কবরে বা মুর্তির গলায় পরানো হয় ফুলের মালা । আজ মহান আদর্শবাদী হিসেবে যার নামে জয়ধ্বনি দেওয়া হচ্ছে,পরের যুগের ইতিহাসে তাকেই অভিহিত করা হয় স্বার্থান্ধ খুনী হিসেবে । মানুষই মানুষ সম্পর্কে এ রকম ভুল করে ! মানুষ ইতিহাস লিখে আবার মানুষই ইতিহাস বদলায়। মানুষ এক বিচিত্র প্রাণী!!! 20.10.2016

জুতা কাহিনী

জুতা কাহিনী অনেকেরই মনে থাকার কথা ১৪ ডিসেম্বর ২০০৮ সালে সাবেক মার্কিন প্রেসিডেন্ট বুশের উদ্দেশে ইরাকি সাংবাদিক মুনতাজার আল জাইদির জুতা নিক ্ষেপের ঘটনা । রবীন্দ্রনাথের ‘জুতা আবিস্কার’ কবিতাও অনেকেই পড়েছেন । ইংরেজ শাসনামলে দীনবন্ধু মিত্র রচিত নীলদর্পণ যখন মঞ্চস্থ হতো, তখন ইংরেজদের অত্যাচারের মঞ্চ-অভিনয় দেখে দর্শক জুতা নিক্ষেপ করতো । একই ঘটনা ঘটেছিলো পলাশী যুদ্ধ নিয়ে রচিত সিরাজদ্দৌলা যখন মঞ্চস্থ হয় । মীর জাফরের কার্যকলাপের অভিনয় দেখে উত্তেজিত দর্শক নিজের জুতার মায়া ত্যাগ করেছিলো । পৃথিবীর প্রায় সব দেশেই জুতা নিয়ে অনেক গল্প, কবিতা, গান, কৌতুক ইত্যাদি রচিত হয়েছে । অসংখ্য হাস্যকর ঘটনা ঘটেছে । আমাদের এই উপমহাদেশেও জুতা নিয়ে কবিতা (যেমন—একদা ছিল না জুতা চরণ যুগলে...), গান (যেমন—মেরা জুতা হে জাপানি...), প্রবাদ-প্রবচন (যেমন—গরু মেরে জুতা দান) ইত্যাদি আরও কত কি রচিত হয়েছে, কোনো হিসাব নেই । ভালো ব্র্যান্ডের জুতার প্রতি অনেকের দুর্বলতাও আছে । আমারো আছে । আমি রকপোর্ট, পারপোর্ট জুতা ইউজ করেছি । এখনো  এক জোড়া আছে । এর নাম পাসপোর্ট । কিনেছিলাম কুয়ালালামপুর পেট্রোনাস টুইন টাওয়া...