সরাসরি প্রধান সামগ্রীতে চলে যান

পোস্টগুলি

জুলাই, ২০২০ থেকে পোস্টগুলি দেখানো হচ্ছে

রংবাজ

  রংবাজ "... ঘটনাটি শুনেছিলাম মরহুম সিনিয়র মন্ত্রী মশিয়ুর রহমান যাদু মিয়ার কাছ থেকে। তার মগবাজারের বাসায় বলেছিলেন তিনি ঘটনাটি। পরবর্তীতে জনসভায় বক্তৃতাকালেও এই ঘটনাটি তিনি বলেছেন। সম্ভবত: ১৯৭৩ সাল। মুজিবী কারাগার থেকে মুক্তি পেয়েছেন যাদু ভাই। কয়েকদিন পর রাজধানীর একটি থানার ওসির সাথে দেখা করতে গেলেন। ওসি তার বন্ধু। যাদুভাই ওসি সাহেবকে কেমন আছেন জিজ্ঞেস করায় তিনি বললেন, 'কেমন আছি বলে লাভ নেই। তার চেয়ে একটি ঘটনা বলি, তা থেকেই বুঝে নিতে পারবেন কেমন আছি আমরা।' ওসি সাহেব বললেন, একদিন একজন লম্বা চুলওয়ালা রংবাজকে (তখন সন্ত্রাসীদের রংবাজ বলা হতো) রিভলবারসহ ধরে আনলাম। তাকে এনে আমার রুমে চেয়ারে বসিয়ে চা খাওয়ালাম। তারপর বললাম, 'বাবা, তোমার মাথার চুল এতো সুন্দর আর লম্বা। আমাকে ওখান থেকে দু'গাছি চুল দেবে?' ছেলেটি একটু অবাক হলেও মাথা থেকে দু'টি চুল তুলে আমাকে দিল। আমি চুল দু'টিকে একটি খামে ভরে পকেটে রাখলাম। তারপর বললাম, 'এবার বলো তোমার কোন মুরুব্বী আছেন কিনা, থাকলে ফোন করো।' সে একজন নেতাকে ফোন করলো। সেই আওয়ামী নেতা আমাকে বললেন...

আজব দেশের গজব কাহিনী

আজব দেশের গজব কাহিনী এই মহিলা হলেন ডা.সাবরিনা। যার পোষাক দেখলেই বুঝা যায় উনি কোন জাতের ডাক্তার। এই মহিলার ল্যাপটপের মাধ্যমেই করোনার ১৫৪৬০টি ভূয়া রিপোর্ট বের করে টেস্টের জন্য জনপ্রতি নেওয়া হয় সর্বনিম্ন পাঁচ হাজার টাকা। বিদেশি নাগরিকদের কাছে জনপ্রতি একশ' ডলার। এ হিসাবে করোনার টেস্ট বাণিজ্য করে জেকেজি হাতিয়ে নিয়েছে সাত কোটি ৭০ লাখ টাকা। আর বাংলাদেশের মানুষ পেলো প্রতারক উপাধি। এরা লেখাপড়া শিখেছে, উচ্চশিক্ষিত হয়েছে আর দেশের বুকে লাথি মেরে দেশকে বেইজ্জতি করতে শিখেছে। এরা প্রধানমন্ত্রী পর্যন্ত যায় কিভাবে?

রূপন্তী দেহে বৃষ্টিস্নাত সাবরিনানামা !

রূপন্তী দেহে বৃষ্টিস্নাত সাবরিনানা মা ! ডাঃ সাবরিনা চৌধুরী একজন করাপ্ট ডাক্তার। বাংলাদেশে চিকিৎসার পেশায় করাপশন ঢুকিয়েছে যারা তাদের বেশীরভাগই ডাক্তার। ডায়াগনস্টিক সেন্টারের পরীক্ষা নিরীক্ষায় কমিশন দেয়া এটা তো ডাক্তার ব্যবসায়ীরাই শুরু করেছেন। না বললেও আপনারা সবাই তাদের নাম জানেন। তারা সকলেই সমাজে প্রতিষ্ঠিত,সন্মানিত এবং ফার্মাসিউটিক্যালস ব্যবসায়ী। উনারা তাদের মার্কেটিং অফিসারের হাতে ডাক্তারদের নামে নামে কমিশনের খাম ধরিয়ে দেয়। কিন্তু যারা নেয় তারা সবার জন্যই বদনাম নিয়ে আসেন। ডাক্তারি পেশার প্রতি যে মানুষের ক্ষোভ, সেটা তৈরি হয়েছে এই কমিশন প্রথা নিয়ে মানুষের ঘৃণা থেকেই। আরো আছে Physician's Sample. Not for Sale নামে ডাক্তারদের বেশি ওষুধ দেয়া হয় যা ডাক্তাররা তাদের লোকজন দিয়ে খোলা বাজারে বিক্রি করেও আয় করেন। বাংলাদেশে ফার্মাসিউটিক্যালস ব্যবসায় এই খাম ধরানো কৌশল যেই প্রথিতযশা কোম্পানীর মালিক শুরু করেছিলেন তাকে বাংলাদেশের সবাই ফার্মা ব্যবসার লিজেন্ড হিসেবে জানে। কীভাবে কোন কৌশলে তিনি এই পেশাকে বিষাক্ত করেছিলেন সেই গল্পও অনেকেই জানেন। বাং...

আজব দেশের গজব কাহিনী

আজব দেশের গজব কাহিনী বাংলাদেশের ডাক্তার মন্ত্রণালয়ের স্বাস্থ্য অধিদপ্তরের সঙ্গে করোনা পরীক্ষার চুক্তিকৃত জেকেজির চেয়ারম্যান ডাঃ সাবরিনা চৌধুরী ও স্বামী আরিফ চৌধুরী ঢাকাসহ দেশের বিভিন্ন জায়গা থেকে নমুনা সংগ্রহ করে কোনো পরীক্ষা না করেই প্রতিষ্ঠানটি ১৫ হাজার ৪৬০ জনকে করোনার টেস্টের ভুয়া রিপোর্ট সরবরাহ করে হাতিয়ে নিয়েছে ৭ কোটি ৭০ লাখ টাকা। (ছবিঃ ডাঃসাবরিনা চৌধুরী ও আরিফ চৌধুরী)

ডাঃ সাবরিনার হুমকি এবং কিছু কথা

ডাঃ সাবরিনার হুমকি এবং কিছু কথা ডাঃ সাবরিনার বিরুদ্ধে কুৎসা রটালে তিনি আইনের আশ্রয় নেবেন বলে হুমকি দিয়েছেন বাংলা ভিশনের সঙ্গে ফোন সাক্ষাৎকারে। আপনার জেকেজির অপকর্মতো ধরেছে র‍্যাবের ভ্রাম্যমাণ আদালত। আগে র‍্যাবের বিরুদ্ধে মামলা করতে হবে। কয়জনের বিরুদ্ধে মামলা করবেন? এতো হাজার হাজার লোককে রাখার জায়গা জেল খানায় আছে তো? আর ফোনে কেনো? আপনি চাইলেই যে কোনো টিভি চ্যানেল আপনাকে কথা বলতে দেবে৷ প্রয়োজনে টিভি ক্যামেরা আপনার বাসা য় যাবে। ডেকেই দেখুন যায় কিনা? বাসা থেকেই আপনি লাইভে বলুন। আপনার বিরুদ্ধে আনা অভিযোগগুলো ভুল প্রমাণ করুন। আমরা আপনার কাছে ক্ষমা চাইবো। এতো সুন্দর, আকর্ষণীয়, স্মার্ট, আবেদনময়ী একজন কার্ডিয়াক সার্জন অপমানিত হোক আমরা তা কিছুতেই চাই না। জেকেজি'র ভুয়া পরীক্ষায় মানুষের কাছ থেকে হাতিয়ে নেয়া ৮ কোটি টাকা দিয়ে করোনা রোগীদের চিকিৎসার জন্য একটা ছোটখাটো টেস্ট সেন্টার গড়ে তুলুন। আমরা অবৈতনিক সার্ভিস দেবো। নইলে 'সাবরিনা' নামটা আমার মতো অনেকের প্রিয় হলেও কেউ আর সাবরিনা নামটা রাখবে না। আমরা দুর্নীতি, অন্যায়ের কথাও বলতে পারবো না? বাংলাদেশে কি উত্তর কোরিয়ার শাসন চ...

ভাবমূর্তি সংকটে বাংলাদেশ

ভাবমূর্তি সংকটে বাংলাদেশ কার্ডিয়াক সার্জন ডাক্তার সাবরিনা এবং রিজেন্ট হাসপাতালের মালিক শাহেদ বিদেশে দেশের ভাবমূর্তি চরমভাবে ক্ষতিগ্রস্ত করেছেন। ইটালিতো পুরো বিমানই ফেরত পাঠালো। বিদেশি পত্রপত্রিকা নিউজ করেছে, বাংলাদেশে করোনা পরীক্ষার ভুল রিপোর্ট দেয়া হয়। কয়েকটি দেশ ইতিমধ্যে বাংলাদেশিদের প্রবেশ নিষিদ্ধ করেছে। ভবিষ্যতে বাংলাদেশিদের ভিসা পেতেও সমস্যা হবে। এই মহামারীর দুর্যোগে ডাক্তার সাবরিনা ও শাহেদ যা করেছেন তা মৃত্যুদন্ডতূল্য অপরাধ। ইতিমধ্যে নিষেধাজ্ঞা আরোপ করেছে ইতালি, জাপান ও কোরিয়া। অর্থাৎ এসব দেশে বাংলাদেশিরা আপাতত আর যেতে পারছেন না। কারণ ওইসব দেশে যেসব বাংলাদেশি অবস্থান করছিলেন তারা যখন ফিরে যান, তখন তাদের শরীরে কভিড-১৯ 'পজিটিভ' ধরা পড়ে। বাংলাদেশি বংশোদ্ভূত ইতালির নাগরিকরা করোনাভাইরাস 'নেগেটিভ' সার্টিফিকেট নিয়ে রোম বিমানবন্দরে অবতরণ করলে তাদের শরীরে করোনাভাইরাস 'পজিটিভ' ধরা পড়ে। ফলে তাদেরকে আর ইতালি ঢুকতে দেওয়া হয়নি। তাদের সবাইকে বাংলাদেশে ফেরত পাঠানো হয়। এই ঘটনায় আকাশপথ বন্ধের ঝুঁকিতে রয়েছে বাংলাদেশ। ইতোমধ্যে ইতালি আগামী এক সপ্তাহ বাংলাদ...

অস্টৃয়া

  অস্টৃয়া ইদানীং ভিডিও আপলোড করি বেশি। বিদেশ নিয়ে লিখলে, তাদের প্রশংসা করলে অনেকেই ট্যারা চোখে দেখেন। বিশেষ করে যারা ধর্মান্ধ। তাই ভিডিওর সঙ্গে অল্প কয়েকটা কথা জুড়ে দেবো বলে মনঃস্থির করেছি। কিন্তু অনেক বন্ধুরাই ভিডিও দেখবেন না। এতে মেগাবাইটও বেশি খরচ হয়। এটি আমার প্রিয় শহর ভিয়েনা। নিউ ইয়র্ক দ্বিতীয় অবস্থানে। আর টোকিও তৃতীয়। ভিয়েনা বসবাসের জন্য ২০১৭/২০১৮ এই দুই বছর পর পর পৃথিবীর শ্রেষ্ঠ অর্থাৎ ১ নাম্বার শহরের তালিকায় ছিলো। এই শহরে আমি যৌবনের প্রধান ৭টি বছর কাটিয়েছি। ভিডিওতে দেখা যায় এম ন সবগুলো জায়গাগুলো আমি চিনি এবং ওসব জায়গায় গিয়েছি। কিছু কিছু জায়গায় কিছু নতুন স্থাপনা হয়েছে। অস্টৃয়ার প্রাকৃতিক সৌন্দর্য মুগ্ধ হওয়ার মতো। বসবাসের জন্য অস্টৃয়া একটি সুন্দর ও নিরাপদ দেশ। কল্যাণমূলক রাস্ট্র ইংরেজিতে যাকে বলে Welfare State. জনসংখ্যা মাত্র ৮২ লাখ। প্রধান নদী ড্যানিউব Danube.এই নদীর তীরেই ভিয়েনা। ৭ বছরে কতো হাজার বার ডানিউব নদীতে সাতার কেটেছি, বোটিং করেছি। ৭টি স্টেট নিয়ে অস্টৃয়া একটি ফেডারেল রাস্ট্র। অস্টৃয়ার ভাষা জার্মান। অস্টৃয়ার স্থানীয় নাম অর্থাৎ জার্মান ভাষায় 'অস্তার...

কে এই সাবরিনা?

কে এই সাবরিনা? ডা. সাবরিনা আরিফ। নামটি এখন ‘টক অব দ্য কান্ট্রি’। তিনি জাতীয় হৃদরোগ ইনস্টিটিউট ও হাসপাতাালের কার্ডিয়াক সার্জারি বিভাগের রেজিস্ট্রার হিসেবে কর্মরত ছিলেন। টেলিভিশন টকশো কিংবা স্বাস্থ্যবিষয়ক আলোচনার নিয়মিত মুখ সাবরিনা নানা সময়ে দিতেন সুস্থ থাকার নানা ফর্মুলা। চিকিৎসক মহলে বেশ প্রভাবও ছিল তার। সৈয়দ মোশাররফ হুসাইন নামে এক সাবেক আমলার মেয়ে সাবরিনা পড়ালেখা করেছেন সলিমুল্লাহ মেডিকেল কলেজে। ২৭তম বিসিএসে তিনি সরকারি চাকরিতে যোগ দেন। পুরো নাম ডা. সাবরিনা শারমিন হুসাইন। আরিফ চৌধুরীকে বিয়ের পর নাম পাল্টে হয়ে যান ডা. সাবরিনা আরিফ চৌধুরী। ডা. সাবরিনা জোবেদা খাতুন স্বাস্থ্যসেবা (জেকেজি) প্রজেক্টের চেয়ারম্যান। ওই প্রতিষ্ঠানের প্রধান নির্বাহী আরিফ চৌধুরীর চতুর্থ স্ত্রী তিনি। যদিও সাবরিনার দাবি, আরিফ চৌধুরীর সঙ্গে তার এখন কোনও সম্পর্ক নেই। তবে হৃদরোগ হাসপাতালে তার কক্ষের সামনে গিয়ে দেখা যায় স্বামীর নামযুক্ত নেমপ্লেটে লিখা ডা. সাবরিনা আরিফ। সূত্রে দেয়া তথ্যে জানা যায়, চিকিৎসক মহলে প্রভাবশালী ডা. সাবরিনা চিকিৎসকদের একটি প্রভাবশালী সংগঠনের দাপুটে এক নেতার জুনিয়র বান্ধবী...

মেয়েটির জন্য খারাপ লাগছে

মেয়েটির জন্য খারাপ লাগছে মেয়েটির জন্য খারাপ লাগছে খুব। কিসের অভাবে,কি প্রত্যাশায় সে এমন অপরাধ জগতে জড়িত হলো? তার তো কোনো কিছুর অভাব ছিলো না। সচিব বাবার অভিজাত ঘরের মেয়ে। দেশের একজন কার্ডিয়াক সার্জন। কতো সম্মান নিয়ে জীবন যাপন করতে পারতো। আর আজ নিজের ভুল বা উচ্চাকাঙ্খার কারনে নিজেকে ধূলোয় মিশিয়ে দিলো! তার জেকেজি ভুয়া রিপোর্ট দিয়ে ৮ কোটি টাকা হাতিয়ে নিয়েছে। এই মেয়ে, ৮ কোটি টাকা তোমার জন্য কোনো টাকা হলো? ঢাকার ভালো জায়গায় ৮ কোটি টাকা দিয় েতো একটা বাড়িও বানানো যায় না। তুমি আমার বয়সে ছোট। আমার বোন, মেয়ে, ভাগ্নী, জুনিয়র বন্ধুও হতে পারতে। কেনো নিজের এতো উজ্জ্বল ক্যারিয়ারটা নষ্ট করলা? তুমি দেশ বিখ্যাত ডাক্তার হতে পারতে। দেশের মানুষ তোমাকে মাথায় নিয়ে নাচতো। তোমার মতো সুন্দরী, স্মার্ট মেয়েদের আমাদের সমাজের কিছু ক্ষমতাবান চরিত্রহীন পুরুষই নষ্ট করেছে। তুমি তা বুঝোনি কেনো? তুমিতো উচ্চ শিক্ষিত মেয়ে। দেখো, আজ তোমার পাশে কেউ নেই! জার্মান সংবাদ মাধ্যম 'ডয়েচে ভেলে' রিপোর্ট করেছে, তার সঙ্গে সরকারের উচ্চ পর্যায়ের কার কার ঘনিষ্ঠ সম্পর্ক ছিলো এবং তাদের সহযোগিতায় সে এমন অপরাধ করতে ...