সরাসরি প্রধান সামগ্রীতে চলে যান

পোস্টগুলি

ডিসেম্বর, ২০১৯ থেকে পোস্টগুলি দেখানো হচ্ছে

TIME

TIME বিশ্বখ্যাত টাইম ম্যাগাজিন একবার বেগম জিয়াকে নিয়ে এক্সক্লুসিভ কভার স্টোরি করেছিলো ৷ টাইম ম্যাগাজিন বিশ্বে খুব প্রভাবশালী সাপ্তাহিক । টাইম আমেরিকার সাপ্তাহিক ম্যাগাজিন। ১৯২৩ সালের ৩ মার্চ টাইমের প্রথম সংখ্যা প্রকাশিত হয়। আজ থেকে ৯৬ বছর আগে। Newsweek (নিউজউইক)ও ছিলো। বেশ কয়েক বছর হয় নিউজউইক তাদের পৃন্ট এডিশন বন্ধ করে দেয়। এখন নিউজউইক শুধু অনলাইনে পড়া যায়। টাইম ম্যাগাজিন পৃথিবীর সব দেশে পাওয়া যায়। আমাদের ঢাকায়ও । সোনারগাঁও হোটেল, শেরাটন হোটেল যা এখন রূপসী বাংলা, রূপসী বাংলার উল্টো দিকে সাকুরা বারের মার্কেটের নিচেও পাওয়া যায় । এক কপি টাইমের দাম ৪২০ টাকা ৷ টাইম একযোগে পৃথিবীর অনেক দেশে ছাপা হয়। আটলান্টিক এডিশন বা ইউরোপীয় সংস্করণ ছাপা হয় লন্ডনে। এশিয়া এডিশন ছাপা হয় হংকং । সাউথ প্যাসিফিক এডিশন ছাপা হয় সিডনিতে। আমেরিকান সংস্করণ ছাপা হয় নিউ ইয়র্কে। সাপ্তাহিক ম্যাগাজিন হিসেবে টাইমের সার্কুলেশন পৃথিবীতে সবচেয়ে বেশি। টাইম এর পৃন্ট এডিশন ২৬ মিলিয়ন কপি। ২ কোটি ৬০ লাখ কপি টাইম ছাপা হয় সপ্তাহে! অনেক দেশে ইংরেজির পাশাপাশি ওই দেশের ভাষায়ও প্রকাশিত হয়...

জহির রায়হান নিখোঁজ

 জহির রায়হান নিখোঁজ জহির রায়হান নিখোঁজ হওয়ার মাস দেড়েক পর শহিদুল্লা কায়সার ও জহির রায়হানের বোন নাফিসা কবির , শহিদুল্লাহ কায়সারের স্ত্রী পান্না কায়সার , জহিরের ২য় স্ত্রী সুচন্দাসহ ১৯৭১ সালে নিহত বুদ্ধিজীবীদের পরিবারের অনেকে বঙ্গবন্ধু শেখ মুজিবুর রহমানের সাথে দেখা করতে যান। তিনি সবাইকে বাড়ির গেইটে অপেক্ষামান রাখেন । এক সময় শেখ মুজিবুর রহমান গেইটের সামনে এসে বিক্ষোভ ও দেখা করার কারণ জানতে চাইলে এক পর্যায়ে শেখ মুজিবুর রহমানের সাথে নাফিসা কবিরের উত্তপ্ত বাক্য বিনিময় হয় — মুজিব : অনেকে ত দালালী করে ম রেছে। নাফিসা কবির : বুদ্ধিজীবীরা কেউ দালালী করে মরেনি। দালালী যারা করেছে তারা এখনও বেঁচে আছে। সে দালালদের বিচারের দাবী জানাতে এসেছি। (সূত্র – মুক্তিযুদ্ধ : আগে ও পরে / পান্না কায়সার, পৃ: ১৬৮) জহির রায়হানের প্রথম স্ত্রী প্রয়াত অভিনেত্রী সুমিতা দেবী এক সাক্ষাতকারে বলেছিলেন “জহির রায়হান নিখোঁজ এই নিয়ে পত্র-পত্রিকায় বেশ লেখালেখিও হলো। একদিন বড়দি অর্থাৎ জহিরের বড় বোন নাসিমা কবিরকে ডেকে নিয়ে শেখ মুজিব বললেন, জহিরের নিখোঁজ হওয়া নিয়ে এ রকম চিৎকার করলে তুমিও নিখোঁজ হয়ে যাবে। পরে ন...

বিড়াল

বিড়াল তখন ফ্লোরিডা শেল গ্যাস স্টেশনেই কাজ করতাম । কম বেশি অনেকেই জানেন, ফ্লোরিডা আমেরিকার কোস্টাল স্টেট । তিন দিকেই আটলান্টিক ও মেক্সিকো উপসাগর ঘিরে রেখেছে ফ্লোরিডাকে । অন্যদিকে জর্জিয়া ও অ্যালাবামা স্টেট । আবহাওয়া ঠিক বাংলাদেশের মতো । প্রচুর ঝড়বৃষ্টি, সাইক্লোন, টর্নেডো ফ্লোরিডায় হয় । কোনো টাইম টেবিল নেই । একদিন প্রচুর বৃষ্টি হচ্ছিলো । আমি সিগারেট খেতে স্টোরের বাইরে এসেছিলাম। সিগারেট খেতে খেতে দেখলাম, একটি বিড়াল গারবেজের কাছে খুব জড়সড়ো হয়ে বসে আছে । যদিও আমেরিকার গ্যাস স্টেশনে শেড আছে । কেউ গাড়ির তেল নিতে চাইলে ভিজতে হবে না । আমার খুব মায়া হলো বিড়ালটার জন্য । যেন সে একটু আদর পেতে চায় । একটু আশ্রয় চায় যে কেউ তাকে এই দুর্যোগপূর্ন আবহাওয়ায় একটু মায়া করুক । আমি কাছে গিয়ে বিড়ালটাকে ধরতেই সে চার পা দিয়ে আমার বুকে জড়িয়ে ধরে ঝুলে রইলো । কিছুতেই আমি তাকে ছাড়াতে পারলাম না । চার পায়ের নখ দিয়ে জড়িয়ে ধরলে তা ছাড়ানো সম্ভব নয় । তাহলে শেলের ওয়ার্কিং গেঞ্জি খোলতে হবে । আমার কাছে মনে হলো সে একটু আদর চায় । আশ্রয় চায় । আমার বুকে মুখ ঘষতে লাগলো । আমি বুঝেছি সে আমাকে চুমু ...

রূপপুর পারমানবিক বিদ্যুৎ কেন্দ্র ও কিছু কথা

রূপপুর পারমানবিক বিদ্যুৎ কেন্দ্র ও কিছু কথা বাংলাদেশ আগামী দিনের কোনো চিন্তা না করেই ঝুঁকিপূর্ণ কাজটি করে দেশের সর্বনাশ করে আগামী দিনের সকল প্রজন্মকে শেষ করে দেবে না তো ? বাংলাদেশের মতো ছোট,গরিব ও বিপুল জনসংখ্যা অধ্যুষিত একটি দেশে পারমাণবিক বিদ্যুৎ কেন্দ্র করা কতোটা যৌক্তিক? এ প্রশ্ন অনেক আগে থেকেই অনেকেই তুলেছেন। প্রফেসর আনু মুহাম্মদের নেতৃত্বে সুন্দরবন রক্ষার আন্দোলন আজো চলছে। এর তেজস্ক্রিয়তায় পরিবে শ বিপর্যয় ঘটবে মারাত্মকভাবে । আমাদের দেশে এমন একটি পারমাণবিক চুল্লি করা হচ্ছে সম্পূর্ণ বিদেশি বিশেষজ্ঞদের উপর নির্ভর করে। এই প্রকল্পের সব টাকা-ই রাশিয়া থেকে ঋন নেয়া। রাশিয়া তার পেছনে আছে ভারত। কোনো রকম দুর্ঘটনার পূর্ব প্রস্তুতি আমাদের সরকারগুলোর কখনোই থাকে না। রিখটার স্কেলে সাত মাত্রার ভূমিকম্প হলেই কয়েক কোটি লোকের প্রাণহানি ঘটবে। ভূমিকম্প পরবর্তী উদ্ধার কাজের কোনো অবকাঠামোই আমাদের নেই। যন্ত্রপাতি বলতে গেলে কিছুই নেই। এমন দুর্বল দেশে পারমাণবিক চুল্লির বিস্ফোরণ সরাসরি কেয়ামত। মনে আছে চেরনোবিল দুর্ঘটনার কথা? ২৬ এপ্রিল ১৯৮৬ সালে ওই দুর্ঘটনা ঘটে। ৪ নাম্বার চুল...

বই

বই গত মাসে (নভেম্বর, ২০১৯) বেনজীর ভুট্টোর লেখা ' Daughter of the East '- ডটার অব দ্য ইস্ট ও হুমায়ুন আহমেদের ' দেয়াল ' উপন্যাস দু'টো শেষ করলাম পড়ে। বেনজিরের বইটি বেশ বড়। আগে ইংরেজিটা পড়েছিলাম আমেরিকায় । এবার বাংলাটা পড়লাম। বাংলা অনুবাদ প্রকাশ করেছে 'চারদিক' প্রকাশনী। দাম ১০০০ টাকা। ডিসকাউন্ট দিয়ে ৮০০ টাকা। ৪২৪ পৃষ্ঠার বই। আমাদের দেশের বইয়ের যে ফর্মা বেনজিরের বইয়ের ফর্মা সে রকম নয়। আমাদের দেশের গল্প,উপন্যাস, আত্নজীবনীমূলক বইয়ের চেয়ে দৈর্ঘে এক ইঞ্চি ও প্রস্থে এক ইঞ্ চি বড়। বেনজীরের আত্নজীবনীমূলক বই ' ডটার অব দ্য ইস্ট '। বেনজীরের মতো উচ্চ শিক্ষিত লোকদের বইয়ের কভার পৃষ্ঠায় তাদের নাম উপরে বড় করে লেখা থাকে। নামের নিচে বইয়ের নাম ছোট করে লেখা। পাকিস্তানের অনেক অজানা তথ্যে ভরপুর বইটি। কি অত্যাচার জেনারেল জিয়াউল হক করেছিলো ভুট্টো পরিবারের উপর তা জানলে গা শিউরে উঠে। তার ছোটবেলা থেকে পারভেজ মোশররফ পর্যন্ত বিস্তারিত আছে বইটিতে। ১৯৭৭ সালে জিয়াউল হকের অভ্যুত্থান। তাদের গ্রেফতার। কারাজীবন। ১৯৭৯ সালের ৪ ...

জন্মশত বার্ষিকী

জন্মশত বার্ষিকী বাপের জন্মশত বার্ষিকী শুরু হবার কথা ছিলো আজ থেকেই,১০০ দিনের কাউন্ট ডাউন! কেবল আজকেই খরচ হচ্ছে ১২০০ কোটি টাকা! এক মন্ত্রী জানিয়েছেন, এই অকাজে বাজেট ধরা হয়েছে ৫০,০০০ কোটি টাকা খরচ! কোত্থেকে আসবে এই টাকা? কে দেবে? সব টাকাই জনগন থেকে চুষে নেয়া হয়েছে! সরকারী বাজেটের আনঅডিটেড ফান্ড, পিঁয়াজ সিন্ডিকেট ও ক্যাসিনো সিন্ডেকেটসহ বড় বড় ব্যবসায়ী ও দুর্নীতিবাজদের কাছ থেকে জোগাড় করা হচ্ছে। সারা বিশ্বের কয়েক হাজারসহ প্রতিবেশী দেশের ক্ষমতাসীনদের, রাজনীতিকদের, সাংবাদিক ও বুদ্ধিজীবিদের থেকে শত শত লোককে দাওয়াত দেয়া হয়েছে । তাদের বিমান ভাড়া, হোটেল, থাকা খাওয়া যাবতীয় খরচ বহন করা হবে এই ফান্ড থেকে। এই খরচের কোনো জবাবহিহিতা থাকবে না, কোনো অডিট হবে না। এই মহাযজ্ঞ করতে গিয়ে দেশ চুলোয় গেলে যাক! মানুষ চায় তো অনেক কিছু, কিন্তু সব আশা কি পুরণ হয়? দেশে এখনো চারজনে একজন বেকার। মোট কর্মক্ষম বেকার প্রায় পাচঁ কোটি। তাদের জন্য কর্ম সুযোগ সৃষ্টি করার কোনো উদ্যোগ নেই। আর এতো টাকা খরচ করে পৃথিবীর কোনো নেতার জন্ম শত বার্ষিকী উৎযাপন করা হয়নি কোথাও। এমন গরিব দেশে এসব করা কি মানায়? ০৮ ডিসে...

বুদ্ধিজীবী হত্যাকান্ড

বুদ্ধিজীবী হত্যাকান্ড চারদিন পরই ১৪ ডিসেম্বর। শহীদ বুদ্ধিজীবী দিবস। বাংলাদেশের অনেক ইতিহাসই বিকৃত ও মিথ্যাচারে ভরপুর। বুদ্ধিজীবী হত্যাকাণ্ড তার একটি। বাংলাদেশের সবকিছুই রহস্যাবৃত, এসব রহস্যের হোতারা সংখ্যায় অনেক, বাংলাদেশের সমাজ-সংস্কৃতি-রাজনীতি-অর্থনীতি-সরকার-প্রশাসনের সকল কিছুই তাদের নিয়ন্ত্রনে সব সময়েই ছিল এবং সব সময়েই থাকবে, তাই এসব রহস্য রহস্যের মধ্যেই ধামাচাপা পড়ে থাকবে, কখনোই এসবের প্রকৃত স্বরূপ প্রকাশ পাবে না। "বুদ্ধিজীবী হত্যাকান্ড ঘটিয়েছিলো ভারতীয় সৈন্যরা আওয়ামী লীগের সহযোগিতায়। স্বাধীন হবার মাত্র দুইদিন আগে পাকিস্তানী সৈন্যরা আত্নসমর্পন অনুষ্ঠান আর প্রাণ বাঁচাতে ব্যস্ত ছিলো। ওই ক্রিটিক্যাল মুহুর্তে পাকিস্তানিদের পক্ষে এমন কাজ করা সম্ভব ছিলো না। ভারত দেশের শ্রেষ্ঠ সন্তানদের হত্যা করে জাতিকে পঙ্গু করে পাকিস্তানের উপর দোষ চাপিয়েছিলো। মনে রাখতে হবে ১৪ ডিসেম্বর পূর্ব পাকিস্তানে লাখ লাখ ভারতীয় সৈন্য ঢুকেছিলো।" সূত্রঃThe Betrayal of East Pakistan. লেখকঃলেফটেন্যান্ট জেনারেল আমির আব্দুলাহ খান নিয়াজি। কমান্ডার, ইস্টার্ন গ্যারিসন। আমি মুক্তিযুদ্ধ দেখা জ...

তিব্বত কৃম

তিব্বত কৃম বাংলাদেশে বিদেশি সব ব্রান্ড নেম কসমেটিকস নকল তৈরি হয় পুরান ঢাকায়। বেবি লোশন থেকে সাবান। পারফিউম থেকে ফেয়ার এন্ড হ্যান্ডসাম ফেস কৃম পর্যন্ত। তাই এখন থেকে তিব্বত কৃম ইউজ করবো বলে গতকাল কিনেছি। কোহিনূর কেমিক্যালের এটা এখনো নকল হয়নি। ছোটবেলা দেখেছি মা,বোন,ভাবিরা এই তিব্বত কৃমই ব্যবহার করতেন। আমার মুখেও দিয়ে দিতেন। এর গন্ধ পেলে ছোটবেলার স্মৃতি মনে পরে। ১৫ ডিসেম্বর ২০১৯ কুমিল্লা।

আজ আত্মসমর্পনের দিন

 আজ আত্মসমর্পনের দিন আজ ভারতীয় সেনাবাহিনীর হাতে পরাজিত হানাদার পাকিস্তান সেনাবাহিনীর আত্মসমর্পনের দিন। লেফটেন্যান্ট জেনারেল নিয়াজি আত্মসমর্পনের চুক্তিতে স্বাক্ষর করছেন। তার পেছনে দাঁড়িয়ে আছে বাঁদিক থেকে ভাইস এডমিরাল কৃষ্ণন, এয়ার মার্শাল দেওয়ান, লেফটেনান্ট জেনারেল সগত সিং, জেনারেল জে এফ আর জ্যাকব, তাঁর কাঁধের ওপর ফ্লাইট লেফটেনান্ট কৃষ্ণমূর্তি তাঁকিয়ে আছেন। অল ইন্ডিয়া রেডিওর সাংবাদিক সুরজিৎ সেন ডান দিকে মাইক্রোফোন ধরে আছেন। এয়ার কমোডর এ কে খোন্দকার, ডেপুটি কমাণ্ডার ইন চিফ, বাংলাদেশ আর্মড ফোর্সেস সাক্ষী হিসাবে হাজির ছিলেন, কিন্তু উইকিপেডিয়ার এই ছবিতে তাঁকে দেখা যাচ্ছে না। এই হলো আমাদের 'বিজয় দিবস' – আমরা এই দিনটিই আজ উদযাপন করছি। কার 'বিজয়' ? হীনবুদ্ধি পরাধীন জনগোষ্ঠিকে 'স্বাধীন' করা দূরে থাক, স্বাধীন ভাবে চিন্তা করতে শেখানোটাও কঠিন কাজ। 'বিজয়' আর 'পরাধীনতা'র ফারাক কে এদের বোঝাবে? মুক্তিযুদ্ধে আমাদের অবশ্যই অর্জন রয়েছে, এই অর্জনকে রক্ষা আমদের কর্তব্য, সেই কর্তব্য বোধ থেকেই দিল্লীর আগ্রাসন ও দখলদারী ভূমিকাকে মেনে নেবার কোন ...

কয়েকটি ''শহীদ !! চৌধুরী'' পরিবারের ইতিকথা

কয়েকটি ''শহীদ !! চৌধুরী'' পরিবারের ইতিকথা আসুন এক শহীদ ''চৌধুরী'' পরিবারের সাথে পরিচয় হই । এ এমন এক পরিবার যার প্রতিটি সদস্যই ছিল রাজাকার, কিন্তু মহামতি মুক্তিযোদ্ধা ফিল্টারের আশির্বাদে আজ তারা সবাই আজ মুক্তিযোদ্ধা আর আমাদের জিয়াউর রহমান হয়ে গেছেন পাকিস্থানি এজেন্ট । . কবির চৌধুরীঃ এক নামে পরিচিত ব্যাক্তি। আওয়ামীদের অন্যতম থিংকট্যাংক ছিলেন। গত আওয়ামী সরকার কবির চৌধুরীকে জাতীয় অধ্যাপক বানিয়েছিল। আগে ছিলেন ঘাদানিক (ঘাতক-দালাল নির্মুল কমিটি) সভাপতি। অথচ এই কবির চৌধুরীর পুরো পরিবার ছিল রাজাকার ও পাকিস্তানপন্থী। . ১৯৬৯-৭১ সালে মহান মুক্তিযুদ্ধের পুরো সময় কবীর চৌধুরী পাক হানাদার সরকারের বিশ্বস্ত অনুচর হিসেবে বাংলা একাডেমীর মহাপরিচালকের দায়িত্ব পালন করেছিল। পাকিস্তানের সংহতি রক্ষার কথা বলে মহান মুক্তিযোদ্ধাদের ভারতীয় দালাল আখ্যায়িত করে ১৯৭১ সালের ১৭ মে দৈনিক পাকিস্তান পত্রিকায় বিবৃতি দিয়েছিলো কবীর চৌধুরী। . কাইয়ুম চৌধুরীঃ কবির চৌধুরীর বড় ভাই কাইয়ুম চৌধুরী পাকিস্তান হানাদার বাহিনীর একজন কর্নেল হিসেবে ১৯৭১ সালে পাকিস্তানের পক্...

শেখ মুজিবের প্রশাসনে রাজাকারবৃন্দ

শেখ মুজিবের প্রশাসনে রাজাকারবৃন্দ ইয়াহিয়া খান শেখ মুজিবের বিরুদ্ধে যে মামলার ট্রায়াল শুরু করেছিলেন সেই মামলায় শেখ মুজিবের বিরুদ্ধে সাক্ষী ছিলেন করাচির 'ডন' পত্রিকার ঢাকার প্রতিনিধি মাহবুবুল আলম। শেখ মুজিবুর রহমান প্রধানমন্ত্রী হয়ে মাহবুবুল আলমকে প্রেস সেক্রেটারি নিযুক্ত করেন। একাত্তর সালে ঢাকার এপিপি অফিসের জেনারেল ম্যানেজার আবুল হাশিম ছিলেন প্রধানমন্ত্রী শেখ মুজিবুর রহমানের জনসংযোগ অফিসার। সিএসপি রফিকুল্লাহ ছ িলেন প্রধানমন্ত্রীর সেক্রেটারি। কুখ্যাত খুনি জেনারেল টিক্কা খানের পিএস অনু ইসলাম চাকরি পান গণভবনে। মোনায়েম খানের এডিসি ব্রিগেডিয়ার মশরুলকে শেখ মুজিব নিজের এডিসি পদে নিয়োগ দেন। পাকিস্তান আমলে তাজউদ্দিন আহমদের উপর নজরদারির জন্য একটি টিম ছিল '৩০৩' নামে। ওই ৩০৩ টিমের সদস্য সিএসপি মতিউল ইসলামকে বসানো হয়েছিল অর্থসচিব পদে। ১৯৭১ সালে পাকিস্তানি বাহিনীর গণহত্যা ধ্বংসলীলার সময়ে ঢাকা সিটির পুলিশের এসপি হিসেবে পাকিস্তান সরকারের চাকুরি করেছেন ই এ চৌধুরী। স্বাধীনতার পরে তিনি প্রমোশন পেয়ে ডিআইজি হন এবং গোয়েন্দা বিভাগের প্রধানের দায়িত্ব ল...

হাদিস, বোরখা ও কিছু কথা

হাদিস, বোরখা ও কিছু কথা আমি যতদূর জানি, নবীজীর মৃত্যুর ২৫০ ( দুইশত পঞ্চাশ) বছর পর হাদিস সংগ্রহের কাজ শুরু করেন ইমাম বুখারী। এর মাঝে চার জেনারেশন গত হয়েছে। তাই বেশিরভাগ হাদিসই ভুয়া। সে সব কথা যে নবী বলেছেন তার সুনির্দিষ্ট প্রমাণ কি? ইসলাম ধর্মে হাজার হাজার ভুয়া হাদিস আছে। নবীজী যা বলেন নি তাও হাদিস বলে চালিয়ে দেয়া হচ্ছে! কোরান একদিনে নাজিল হয়নি। যা অধিকাংশ মুসলিম জানে না। তারা বলে কোরান শব ই ক্বদর রাতে নাজিল হয়েছে। যা সম্পূর্ণ মিথ্যা। কোরানকে গ্রন্থাকারে প্রথম ছাপেন হজরত উসমান (রাঃ)৷ উসমান হাজার হাজার কোরান পুড়িয়ে ফেলেন। তাও অধিকাংশ মুসলিম জানেন না। কোরান বিভিন্ন আরবি উপভাষায়ও নাজিল হয়েছিলো। এক কোরানের সাথে আরেক কোরানের মিল ছিলো না। তাই হজরত উসমান শুধু আরবি ভার্সানের কোরান রেখে বাকি সব পুড়িয়ে ফেলেন। ইসলাম ধর্মের এমন অনেক কথা আছে যা মোল্লা, মাওলানারা আমাদের বলেন না। কেনো? হজরত উসমানকে ক্ষমতা থেকে সরাতে নবীর দুই নাতি হাসান ও হোসেন তাদের দলবল নিয়ে অনেক চেস্টা করেছেন। শেষ পর্যন্ত উসমানকে তার বাসায় নির্মমভাবে হত্যা করা হয়। তার মৃতদেহ তিন দিন বাসায় পড়েছিলো। তার দে...