সরাসরি প্রধান সামগ্রীতে চলে যান

পোস্টগুলি

আগস্ট, ২০১৮ থেকে পোস্টগুলি দেখানো হচ্ছে

কাবেরী ও এক নিস্কলুষ ভালোবাসা

কাবেরী ও এক নিস্কলুষ ভালোবাসা কাবেরীর সঙ্গে আমার পরিচয় ২০১৬ সালের জুন মাসে । আজ থেকে দুই বছর আগে । ফেবুতে আমরা বন্ধু হই । তারপর ঘনিষ্ঠতা । তাঁর পুরো নাম কাবেরী মির্জা । প্রথম যখন বন্ধু হই তখনো কাবেরীর প্রোফাইলে তেমন কিছুই ছিলো না । শুধু লেখা ছিলো Lives in Dhaka. তাঁর হোম ডিস্ট্রিক্টও উল্লেখ ছিলো না । অন্য অনেকের মতো কাবেরীও আমার লেখা খুব পছন্দ করতো । আমাকে যারা চেনেন তারা জানেন যে, এক সময়ের তুমুল জনপ্রিয় সাপ্তাহিক যায়যায়দিন ম্যাগাজিনে তরুণ লেখকদের মধ্যে আমি বেশ জনপ্রিয় ছিলাম । ফেবুতে আমার লেখার স্টাইলও অনেকটা সে ধরণের । আমি জনপ্রিয় ছিলাম তা বর্তমানে নিউ ইয়র্কে বসবাসকারী Lovloo Reza , যিনি যায়যায়দিনের বিশাল কর্মী বাহিনীর একজন তিনি যেমন জানেন, অত্যন্ত আন্তরিক জুনিয়র বন্ধু তৎকালীন যায়যায়দিনের গবেষণা সহকারী সজীব ওনাসিস ও তার স্ত্রীও জানেন আমার জনপ্রিয়তা । সজীবের স্ত্রী Farhana Tania আমার লিস্টে আছেন । তিনিও একজন সাংবাদিক । আমি সজীবের শ্যামলীর বাসায় অনেক গিয়েছি, খেয়েছি, রাতে থেকেছিও । সজ...

আইসল্যান্ড বিয়ে করো

আইসল্যান্ড বিয়ে করো সরকারী নাম আইসল্যান্ড প্রজাতন্ত্র। ইউরোপ মহাদেশের একটি প্রজাতান্ত্রিক দ্বীপ রাষ্ট্র। এর রাজধানীর নাম রেইকিয়াভিক। ইংরেজি বানান Reykjavík। ইংরেজি বানানের কারনে আমাদের দেশে অনেকেই এমনকি পত্রিকাও লিখে রিকজাভিক। আইসল্যান্ডকে ভালোভাবে চিনি ১৯৮৬ সালে। আমি তখন জাপানে ছিলাম। নিয়মিত Japan Times, Mainichi Daily News পড়তাম। যারা রাজনীতির খবর রাখেন তারা জানেন, তখনো সোভিয়েত ইউনিয়ন ভেঙে যায় নি। আমেরিকার সঙ্গে চলছে ঠান্ডা যুদ্ধ। আমের িকা এক হুমকি দেয় তো সোভিয়েত ইউনিয়ন তিন হুমকি দেয় আমেরিকাকে। তখন সোভিয়েত প্রেসিডেন্ট ছিলেন মিখাইল গরবাচেভ। তিনিই সমাজতান্ত্রিক সোভিয়েত ইউনিয়নের শেষ প্রেসিডেন্ট। ১৯৮৬ সালে আমেরিকার প্রেসিডেন্ট ছিলেন রিপাবলিকান দলের রোনাল্ড রেগান। দুই পরাশক্তির স্নায়ু যুদ্ধ কমাতে আইসল্যান্ডের রাজধানীতে রেগান- গরবাচেভ শীর্ষ বৈঠকে বসে। ওই বৈঠকে গরবাচেভ রেগানকে দুই দেশের ( আমেরিকা - সোভিয়েত ইউনিয়নের) সব পারমাণবিক অস্ত্র ধ্বংস করার প্রস্তাব দিয়েছিলেন। কিন্তু রেগান - গরবাচেভের সেই প্রস্তাব প্রত্যাখ্যান করেছিলেন। আমার স্পস্ট মনে আছে, সেদিন জাপানের সব পত্রিক...

আমার ঢাকা যাওয়া এবং চেতনা

আমার ঢাকা যাওয়া এবং চেতনা আগে থেকেই শিডিউল (Schedule) যে কাল ঢাকা যাবো। Schedule কে আমেরিকান উচ্চারণে 'স্কেজুল' বলে। জেমিমার কয়েকটা বই নীলক্ষেত থেকে কিনবো। জিমু আগেই এসএমএস করে বইয়ের অর্ডার দিয়ে রেখেছে। আমার নিজেরও কয়েকটা বই কিনতে হবে। আমার বইগুলো নীলক্ষেত ছাড়া পাওয়া যায় না। নীলক্ষেত হলো বইয়ের কারখানা। জেমিমার মায়ের সঙ্গে আমার এগ্রিমেন্ট আছে যে,এক মাস তিনি জেমিমাকে নিয়ে কুমিল্লা আসবেন আরেক মাস আমি ঢাকা যাবো। একটু আগে সেতুকে ফোন করে আমার যাওয়া কনফার্ম করলাম। তিনি বললেন, দেশের এই সমস্যায় কাল না এসে নেক্সট উইকে এসো। আমি উত্তেজিত হয়ে বললাম,কেনো? তিনি জানালেন, শাহবাগে কিছু লোক জড়ো হয়েছে। আমি জানতে চাইলাম,চেতনার লোক কিনা? চেতনা তাদের মা, বোন, বউয়ের ওই জায়গা দিয়ে ঢুকিয়ে দেবো। চেতনার পক্ষে যারা কথা বলে তারা সব বেশ্যার ছেলে। খোঁজ নিয়ে দেখো এদের মায়েরা মাগি ছিলো। ৪৭ বছর হয় স্বাধীন দেশে স্বাধীনভাবে চলাফেরা, কথা বলতে পারি না। খানকির ছেলেদের টাকা দিয়ে কেনা যায়। খানকিকে টাকা দিলে যেমন চোদা যায়, সেই মায়ের ছেলেদের টাকা দিয়ে কেনা যাবে না? আমিতো ছাত্রদের সঙ্গে জয়েন করে অনে...

শেখ সেলিমের থাবড়া এবং সোহেল তাজ

শেখ সেলিমের থাবড়া এবং সোহেল তাজ সোহেল তাজ শেখ সেলিমের থাবড়া খেয়ে বাংলাদেশ থেকে চলে গিয়েছিলো...জাগো মনে নাই তাগোরে মনে করাইয়া দিলাম ১৯৭১ সালে ফরিদপুর শহরে ধর্ষণ, হত্যা, লুটের সাথে জড়িত থাকার অভিযোগ রয়েছে মুসা বিন শমসেরের নামে, যে ‘নুলা মুসা’ নামে ফরিদপুরে পরিচিত ছিল। পাকিস্তানী সৈন্যদের সাথে প্রত্যক্ষভাবে এই মুসা এসব অপকর্ম করে। ১৯৯৬ সালে আওয়ামী লীগ ক্ষমতায় আসলে ‘দৈনিক জনকণ্ঠে’ এসব অপকর্মের বিস্তারিত বিবরণ তুলে ধরেন জনকন্ঠের ফরিদপুর সংবাদদাতা প্রবীর সিকদার। এজন্য নুলা মুসা বাহিনী প্রবীর সিকদারকে হত্যার উদ্দেশে হামলা চালায়। প্রবীর সিকদার বেঁচে গেলেও একটি পা হারিয়ে আজীবনের জন্য পঙ্গু হয়ে যান। সেই চিহ্নিত রাজাকারের মেয়েকে পুত্রবধু করে এনেছিলো শেখ হাসিনার ফুফাতো ভাই শেখ ফজলুল করিম সেলিম। এই মুসার জন্যই শেখ সেলিম স্বরাষ্ট্র প্রতিমন্ত্রী সোহেল তাজকে চড় মারেন; যার কারনে সোহেল রাগে অভিমানে মন্ত্রীত্ব থেকে ইস্তফা দিয়ে সোজা আমেরিকা চলে যান । August 8 at 1:07 PM ·

মৃত ব্যক্তি

 মৃত ব্যক্তি মৃত ব্যক্তির জন্য হুজুরদের টাকা দিয়ে কোরআন খতম আর অনেক মানুষকে দাওয়াত খাওয়ালে যদি জান্নাত পাওয়া যেতো তবে কোন ধনী ব্যক্তিই জাহান্নামে যেতো না!! ধনী মাত্রই জান্নাতি হতো। ১০ আগস্ট ২০১৮

TO WHOM IT MAY CONCERN.

TO WHOM IT MAY CONCERN.  - " রাজাকার কাহিনীর অর্ধ শতক " রাজাকার রাজাকার বলে, " র " চক্র যখন আজও - কারণে -অকারণে , আকাশ বাতাস তোলপাড় করে বেড়ায় , তখন কিছু কথা বলতেই হয় । * ১৯৭১ সনে পুলিশ আর আনসার বাহিনীর মত পাকিস্তান সরকার রাজাকার নামে একটি বাহিনী গঠন করেছিল ।এই বাহিনী গঠনে তারা দেশের সাধারণ মানুষের মতামত গ্রহণ করেনি । দেশের ডান, বাম রাজনীতি এবং রাজনীতির বাইরের কিছু মানুষও -তখন রাজাকারে যোগ দিয়েছিল। গ্রাম বাসি, সাধারণ মানুষ , পাকিস্তান পন্থী যারা ভারতীয় ডোমিনেশন এবং হিন্দুস্তানের আগ্রাসী ভূমিকা কে মন থেকে কখনও কোন অবস্থায় মেনে নিতে পারেনি।তাদের অনেকে তখন গ্রাম ছেড়ে টাউনে এসে ,ভাসমান,বেকার ছিল । অনেকের সাথে এদের থেকেও কেউ কেউ রাজাকারে যোগ দিয়েছে। বাজে প্রকৃতির মানুষ সমাজে আছে। রাজাকারও এই সমাজের একটি অংশ।তবে ওই প্রতিকূল অবস্থার মাঝেও অনেক রাজাকার সহমর্মিতার সুন্দর অনেক কাহিনী রেখেছে যা আজ আর বলতে দেওয়া হয়না । কৌশল গত কারণে অনেক পরিবারে একজন রাজাকার অন্য জন মুক্তি যোদ্ধা এরূপ হাজারো উদাহরণ আছে। জাতীয় জীবনের শ্রেষ্ট অর্জন স্বাধীনতা ও মুক্তি যুদ্ধের ইতিহাস...

দুরন্তপনা

দুরন্তপনা দুরন্তপনার আর শেষ নেই আমার । তখন আমি রীতিমত পাঁচ বছর বয়সী এক মেয়ের বাবা । পাঁচ বছর আগে কুয়ালালামপুর ক্যারিফোর-(Carrefour) ডিপার্টমেন্ট ষ্টোরে । এটি ঠিক আমেরিকার ওয়াল মার্টের(Wal Mart) সমান বড় । ধনে পাতা ,শুটকি থেকে বলতে গেলে সব কিছু পাওয়া যায় এতে । গিয়েছিলাম হাফপ্যান্ট কিনতে । ঘরে চালানোর ( ব্যায়াম করার) সাইকেল দেখে চালাতে ইচ্ছা করলো । একজন সেলস গার্লকে ডেকে ছবি তুলতে বলায় সে জিহ্বায় কামড় দিয়ে হাত নেড়ে বুঝালো এটা নিষেধ । তাকে বললাম, আমি যদি এটা কিনি তবে কি চেক করবো না ? সে আমতা আমতা করে বললো, ছবি তোলা নিষেধ । তাকে বুঝিয়ে বললাম, ছবি একটা স্মৃতি । দাও না এক দুইটা ছবি তুলে । এখানে তো ম্যানেজমেন্টের কেউ নেই । আরো একটু পাম্প দেয়াতে মেয়েটি রাজি হয়ে ২টা মাত্র ছবি তুলতেই কোত্থেকে যেন আজরাইলের মতো এসে এক ভদ্রলোক হাজির হলো । তার গায়ের রঙ বেশ কালো । খুব লম্বা । তাকে দেখেই আমি বুঝেছি সে শ্রিলংকার তামিল । মালয়শিয়াতে প্রচুর তামিল আছে । মালয়শিয়ার চাকরি এবং বিজনেসে তামিলরা প্রভাবশালী । তাদের জন্য মালয়শিয়াতে রাজনৈতিক আশ্রয়ের ব্যবস্থা আছে । এলটিটিই অনেক বছর ধরে শ্রীলঙ্কার ...

ডিজিটাল কোকেইন

ডিজিটাল কোকেইন  পৃথিবীর তিন ভাগের এক ভাগ মানুষই এখন সামাজিক যোগাযোগের মাধ্যম ফেসবুকে অভ্যস্ত । এর একটা ব্যাপক প্রভাব পড়েছে সমাজে । কিন্তু আপনি কি জানেন আপনার শরীরেও পরছে এই প্রভাব ? চলুন জেনে নিই এরকম কয়েকটি প্রভাবের কথা । * ডিজিটাল কোকেইনঃ অনলাইন আসক্তিকে মনোবিজ্ঞানীরা এখন ডিজিটাল কোকেইন নাম দিয়েছেন । ফেসবুক যারা ব্যবহার করেন তাদের অনেকেই বলেছেন, একটু পর পর ফেসবুকে ঢুকে তাদের দেখতে ইচ্ছে করে নতুন কোনো নোটিফিকেশন এলো কিনা ?আর একবার ঢুকলে কিভাবে যে ঘন্টার পর ঘন্টা পার হয়ে যায় তা যেন তারা টেরই পান না । শোনে মাদক আসক্তির মতো মনে হচ্ছে না ? ব্রেন স্কেনে মাদকাসক্ত আর অনলাইন আসক্তদের একই রকম ছবি দেখা গেছে । দুজনেরই মস্তিষ্কের সামনের ওয়েব ম্যাটারগুলো ক্ষয়ে যাওয়া । ব্রেনের ওয়েব ম্যাটার নিয়ন্ত্রন করে মানুষের আবেগ, মনোযোগ ও সিদ্ধান্ত গ্রহণকে । আর তা ক্ষয়ে যাওয়া মানে এই ক্ষমতাগুলো কমে যাওয়া । কাজেই সোশ্যাল মিডিয়ার নিয়ন্ত্রনহীন ব্যবহার আপনার আবেগকে ভারসাম্যহীন করতে পারে । নষ্ট করতে পারে আপনার মনোযোগ ও সিদ্ধান্ত নেয়ার সামর্থকে । মানুষের মস্তিষ্কে ডোপামিন নামে এক ধরনের কেমিক্য...

Chemotherapy and Cancer

Chemotherapy and Cancer After chemotherapy treatment, it's true that it takes years to feel alive... with the side effects of the chemotherapy and radiation, you will never be back to 100% because of the weakened immune system. Sure, in the most difficult moments of life you realize who your real friends are or the people who really appreciate you. Unfortunately, like most friendships, FB friends will leave you in the middle of a st ory. They'll publish an "enjoyed" for the story, but unfortunately they don't really read your message when they see it's long. More than half may have stopped reading. Some may have gone to the next post on your news feed. I have decided to publish this message in support of the families of friends and relatives who have fought this terrible disease until the end... Now, I focus on those who take the time to read this message until the end... a little test, if you like, just to see who reads, and who shares it withou...

দামাল ছেলে এবং মেয়েরা!!!

দামাল ছেলে এবং মেয়েরা!!! গত ৫ দিন ঢাকার রাজপথে বাংলার দামাল ছেলেরা (এবং অবশ্যই মেয়েরা) যা করে দেখিয়েছে- ৭১ এর পর মনে হয় আর দেখেনি কেউ। * তারা অহিংস আন্দোলনের প্রতিজ্ঞা নিয়ে পথে নেমেছে... * তারা সরকারি শিক্ষাপ্রতিষ্ঠান আর বেসরকারি শিক্ষাপ্রতিষ্ঠান একত্রিত হয়ে কাজ করেছে... * তারা নতুন নতুন চমৎকার সব স্লোগান তৈরি করে প্ল্যাকার্ড বানিয়ে জনগণকে জাগ্রত করেছে... * মোটর সাইকেলের জন্য আলাদা লেন, রিকশার আলাদা লেন, ভারী যানবাহনের আলাদা লেন, প্রাইভেট গাড়ির আলাদা লেন আবার জরুরি ব্যবস্থার (অ্যাম্বুলেন্স কিংবা ফায়ার সার্ভিস) জন্য সম্পূর্ণ আলাদা ফাঁকা একটি লেন... এটা এতদিন স্বপ্নেও ভাবা যায়নি। আশাতীত সফলতার সাথে জনগণের বহু কাঙ্ক্ষিত এই 'লেন' সমস্যার সমাধান করেছে পুঁচকে ছেলেপুলেগুলো... কি সুন্দর পিঁপড়ার মতো সারিবদ্ধ হয়ে চলেছে সকল যানবাহন...! এমন কি রিকশা কিংবা সিএনজি অটোরিকশা সুযোগ বুঝে তাদের সামনে চাকা অন্য লেনে ঢুকিয়ে বসে থাকেনি...! * প্রতিটা বাস, গাড়ি, মোটর সাইকেলের বৈধ কাগজপত্র আছে কিনা এবং ড্রাইভিং সিটে বসা চালকের বৈধ লাইসেন্স আছে কিনা তা পরীক্ষা করেছে... কি আশ্চর্য...

TO WHOM IT MAY CONCER

TO WHOM IT MAY CONCERN " রাজাকার কাহিনীর অর্ধ শতক " রাজাকার রাজাকার বলে, " র " চক্র যখন আজও - কারণে -অকারণে , আকাশ বাতাস তোলপাড় করে বেড়ায় , তখন কিছু কথা বলতেই হয় । * ১৯৭১ সনে পুলিশ আর আনসার বাহিনীর মত পাকিস্তান সরকার রাজাকার নামে একটি বাহিনী গঠন করেছিল ।এই বাহিনী গঠনে তারা দেশের সাধারণ মানুষের মতামত গ্রহণ করেনি । দেশের ডান, বাম রাজনীতি এবং রাজনীতির বাইরের কিছু মানুষও -তখন রাজাকারে যোগ দিয়েছিল। গ্রাম বাসি, সাধারণ মানুষ , পাকিস্তান পন্থী যারা ভারতীয় ডোমিনেশন এবং হিন্দুস্তানের আগ্রাসী ভূমিকা কে মন থেকে কখনও কোন অবস্থায় মেনে নিতে পারেনি।তাদের অনেকে তখন গ্রাম ছেড়ে টাউনে এসে ,ভাসমান,বেকার ছিল । অনেকের সাথে এদের থেকেও কেউ কেউ রাজাকারে যোগ দিয়েছে। বাজে প্রকৃতির মানুষ সমাজে আছে। রাজাকারও এই সমাজের একটি অংশ।তবে ওই প্রতিকূল অবস্থার মাঝেও অনেক রাজাকার সহমর্মিতার সুন্দর অনেক কাহিনী রেখেছে যা আজ আর বলতে দেওয়া হয়না । কৌশল গত কারণে অনেক পরিবারে একজন রাজাকার অন্য জন মুক্তি যোদ্ধা এরূপ হাজারো উদাহরণ আছে। জাতীয় জীবনের শ্রেষ্ট অর্জন স্বাধীনতা ও মুক্তি যুদ্ধের ইত...

পিকিউলিয়ার জীবন

পিকিউলিয়ার জীবন আমার জীবন সবসময় একটু পিকিউলিয়ার । সকালে ঘুম থেকে উঠে মুখ না ধুয়ে চা খেয়ে ফ্রেশ হয়ে আবার শুয়ে আছি । আজ সকাল ঠিক সাড়ে নয়টায় আমার জিপি নাম্বারে একটা মিস কল এলো বাং লালিংক নাম্বার থেকে । অপরিচিত নাম্বার । সক্কাল বেলা আমার মেজাজ খারাপ করার জন্য যথেষ্টরও বেশি । কারন মিস কল । ইউরোপ আমেরিকায় "মিস কল" শব্দটা আমি কখনোই শুনিনি । কারো প্রয়োজন হলে কাউকে সে কল করবে এটাইতো স্বাভাবিক । মিস কল , মিস্টার কল, মিসেস কল এসব আবার কী ? ১০ মিনিট পর আবার কল এলো । আমি ধরে বললাম ,গুড মর্নিং । ওপাশ থেকে এক মেয়ে বললো, আপনি এতো কিপটা ? আমি বললাম, মানে ? সে বললো , মিস কল দিলাম কল ব্যাক করলেন না যে ? আমি মেজাজ খারাপ করে বললাম, কে বলছেন ? কোত্থেকে বলছেন ? সে উলটো জিজ্ঞেস করলো, আপনি কি করিম চৌধুরী ? হ্যাঁ । সে তার নাম বললো । কুড়িগ্রাম থেকে বলছে । বিবাহিতা । ২৫ বছর বয়সি । ৭ বছরের একটা মেয়ে আছে । স্বামী সংসার সবই আছে । কণ্ঠস্বর খুব মিষ্টি মেয়েটির । কোন ভনিতা ছাড়াই সে বললো , করিম, আপনাকে ভালোবাসি আমি । আমি বললাম থ্যাংক ইউ । আমার সৌভাগ্য । আমার নাম্বার কোথায় পেলেন ? আমার ফরটিন ...

দৃষ্টিভঙ্গী

দৃষ্টিভঙ্গী একেকজন মানুষের দৃষ্টিভঙ্গী, চিন্তা চেতনা, ব্যক্তিত্ব আলাদা হবে এটাই স্বাভাবিক । আমি যেমন আমার মতো তেমনি আরেকজনও তার মতো । তবে একসাথে পথ চলতে গেলে, বা বন্ধু হলে বেশিভাগ ক্ষেত্রেই তা প্রায় কাছাকাছি হতে হয় । নইলে যতো আন্তরিক সম্পর্কই হোক না কেন এক সময় সে সম্পর্ক আর থাকে না বা টিকিয়ে রাখা যায় না, ইচ্ছা থাকা সত্ত্বেও । এমন কি দাম্পত্য জীবনও নয় । ধরা যাক, আমি একজন মডারেট মুসলিম । আরেক বন্ধু কট্টর মুসলিম বা মৌলবাদী । তার সঙ্গে একটা নির্দিষ্ট সময় পর্যন্ত চলা যেতে পারে কিন্তু এক সময় সেই চলা আর হবে না । যেমন গত সপ্তাহে টানা ছয়দিন বৃষ্টি ছিলো । আমি বিরক্তি প্রকাশ করতেই একজন বললো, বৃষ্টি হলো আল্লাহর রহমত । আমি তীব্র আপত্তি করে বললাম, এসব ফালতু কথা কি না বললেই নয় ? আল্লাহর কি শুধু রহমতই আছে ? গজব নেই ? দেশের কোটি কোটি মানুষের বিরাট অসুবিধা । রাস্তাঘাট সব ডুবে গেছে । মানুষের স্বাভাবিক জীবন যাত্রা ব্যাহত হচ্ছে । বৈরি আবহাওয়ায় ট্রান্সপোর্ট কষ্ট (cost)বেড়ে যাওয়ায় সবজি, মাছ ইত্যাদির দাম বেড়ে গেছে । সময় মতো বাড়ি ফেরা যাচ্ছে না । রিক্সা, সিএনজির ভাড়া তিন চারগুন বেড়ে গেছে...

ওয়াই-ফাই এর ক্ষতিকারক দিক

ওয়াই-ফাই এর ক্ষতিকারক দিক তথ্যপ্রযুক্তির এই যুগে ওয়াই-ফাই নেই এমন বাড়ি বা অফিস খুঁজে পাওয়া যাবে না। প্রায় সব বাসা-ব াড়ি, অফিস, দোকানেই ওয়াই-ফাই ব্যবহার করা হচ্ছে। কিন্তু ওয়াই-ফাই কতটা ক্ষতি করছে সে বিষয়টি অনেকেরই অজানা। ওয়াই-ফাইয়ের কারণে আমরা মারাত্মক স্বাস্থ্য ঝুঁকিতে রয়েছি। বিশেষ করে শিশুদের জন্য ওয়াই-ফাই একটি নীরব ঘাতক। শিশুদের মস্তিষ্ক এবং ঘুমের ক্ষেত্রে মারাত্মক ক্ষতি বয়ে আনছে ওয়াই-ফাই। এই ক্ষতিগুলো সরাসরি চোখে দেখা যাচ্ছে না। কিন্তু ধীরে ধীরে তা আমাদের শরীরে এমন সব নেতিবাচক প্রভাব ফেলছে যা আমাদের মৃত্যু দিকে ঠেলে দিচ্ছে। ওয়াই-ফাইয়ের কারণে যেসব ক্ষতি হচ্ছে সেগুলো দেখে নিন- শিশুদের স্বাভাবিক বিকাশ বাধাগ্রস্ত: ওয়াই-ফাই থেকে নির্গত নন-থার্মাল রেডিও ফ্রিকুয়েন্সি কোষের স্বাভাবিক বিকাশে বাধা প্রদান করে। বিশেষ করে ভ্রূণের উন্নয়ন বাধাগ্রস্ত হয়। এই রেডিয়েশনের কারণে টিস্যুর স্বাভাবিক উন্নয়ন ব্যহত হয়। এতে করে শিশুদের স্বাভাবিক বিকাশ ক্ষতিগ্রস্ত হচ্ছে। ঘুমের ব্যাঘাত ঘটায়: ওয়াই-ফাই মারাত্মকভাবে ঘুমের ব্যাঘাত ঘটায়। ওয়াই-ফাই এবং মোবাইল ফোন থেকে নির্গত কম মাত্রার কম্পনাঙ...

লেয়লা

লেয়লা ফ্র্যাংকলি বললে ঘটনাটি এমন । তখন ভিয়েনায় থাকতাম । কাজ করতাম ম্যাকডোনাল্ডসে । ভিয়েনা থেকে ১৫ কিলোমিটার দূরে । জায়গাটির নাম শপিং সিটি সুদ(Shopping City Sued) । এখানে বেশ বড় একটা শপিং সেন্টার আছে । অনেকটা আমেরিকার ওয়াল মার্ট(Wal Mart) এর মতো । ম্যাকডোনাল্ডসটিও বেশ বড় । ম্যাক ড্রাইভতো আছেই । বাইরেও আলাদা ম্যাক গার্ডেন আছে । নিজস্ব পার্কিং ব্যবস্থা । আমরা ৬৬ জন এমপ্লয়ি ছিলাম বিভিন্ন দেশের । একজন ম্যানেজার, চারজন অ্যাসিস্টেন্ট ম্যানেজার । লেইট নাইট ডিউটিতে ম্যাকডোনাল্ডসের মাইক্রোতে আমাদের যার যার বাসায় পৌঁছে দেয়া হতো । এক গাড়িতে ইউরোপের একটি দেশে রাত ১২টা ১টার সময় বিভিন্ন দেশের ১০/১২ জন যুবক ছেলেমেয়ে কি হৈ হুল্লোড়টাই না করতাম আমরা ! ইরানের মেয়ে লেয়লাকে আমার খুব ভালো লাগতো । খুব সুন্দরী ছিলো লেয়লা । ইরানীরা লায়লা উচ্চারণ করে না । মেয়েটির পুরো নাম ছিলো খাকপুর লেয়লা (Khakpur Leila) । শিয়া মুসলিম । ১৯৮০-১৯৮৮ এই নয় বছর ইরাক ইরান যুদ্ধ ছিলো । ওই সময় অনেক ইরানী ইউরোপে গিয়ে রাজনৈতিক আশ্রয় নিয়েছিলো । লেয়লাও তাদের একজন । আমি ১৯৯১ সালের কথা বলছি । তার সঙ্গে কাজ করতে গেলেই...