সরাসরি প্রধান সামগ্রীতে চলে যান

পোস্টগুলি

সেপ্টেম্বর, ২০১৮ থেকে পোস্টগুলি দেখানো হচ্ছে

ব্র্যাড পিট এবং অ্যাঞ্জেলিনা জোলির বিচ্ছেদ

ব্র্যাড পিট এবং অ্যাঞ্জেলিনা জোলির বিচ্ছেদ হলিউডের জনপ্রিয় অভিনেতা যুগল ব্র্যাড পিট এবং অ্যাঞ্জেলিনা জোলির বিচ্ছেদ নিয়ে মানুষের মনে এখন অনেক প্রশ্ন। কেন ভেঙ্গে গেল এই সম্পর্ক? ছয় সন্তানকে নিয়ে ‘ব্র্যাঞ্জ েলিনা’র সংসারের কথা বলতে গিয়ে একটি সাক্ষাৎকারে মিলোস ফরম্যানের ওয়ান ফ্লিউ ওভার দ্য কুকুস নেস্ট’ এই ছবিটির কথাই টেনে এনেছিলেন ব্র্যাড পিট। মজা করেই বলেছিলেন, মানসিক প্রতিবন্ধীদের হাসপাতালকে নিয়ে তৈরি হওয়া ওই ছবির সঙ্গে তাঁর বাড়ির পরিবেশের মিল পান তিনি! তিনি বলেন, আমাদের বাড়িতে ও ভাবেই সকাল হয়। চিৎকার-চেঁচামেচি চলে সন্ধ্যা পর্যন্ত। কখনও কখনও তার পরেও! বিভিন্ন সাক্ষাৎকারে মজা করে বলেছিলেন, সন্তানদের সামলাতে, নিয়মিত মারধর করি, খেতেও দিই না মাঝেমাঝে। তখন তিনি হয়তো জানতেন না কয়েক বছর পর এই ছেলেমেয়েদের প্রশ্নেই ইতি পড়বে ব্র্যাড পিট-অ্যাঞ্জেলিনা জোলির রূপকথার দাম্পত্যে। জানা যায়, বাবার প্রভাব থেকে ছেলেমেয়েদের বাঁচাতে ব্র্যাডকে ছেড়ে চলে যাওয়ার সিদ্ধান্ত নিয়েছেন জোলি? মার্কিন একটি ওয়েবসাইট থেকে জানা যায়, সন্তানদের বড় করার ক্ষেত্রে পিটের আচার-আচরণ দেখে হতাশ হ...

শিমন পেরেজ

শিমন পেরেজ শিমন পেরেজ (এই শব্দ সম্পর্কে listen (সাহায্য·তথ্য); হিব্রু ভাষায়: שמעון פרס‎; জন্ম: ২ আগস্ট, ১৯২৩-২৮ সেপ্টেম্বর, ২০১৬) উইজনিউ এলাকায় জন্মগ্রহণকারী পোলীয় বংশোদ্ভূত বিশিষ্ট ইসরায়েলী রাজনীতিবিদ। ২০০৭ থেকে ২০১৪ মেয়াদে ইসরায়েলের ৯ম রাষ্ট্রপতির দায়িত্ব পালন করেছেন। দীর্ঘ ৬৬ বছরের অধিক রাজনৈতিক জীবনে তিনি দুইবার প্রধানমন্ত্রী ছিলেন। এছাড়াও আরও দুইবার স্বরাষ্ট্রবিষয়ক মন্ত্রীর দায়িত্বসহ ১২বার মন্ত্রীসভার সদস্য ছিলেন। নভেম্বর, ১৯৫৯ সালে নেসেটে প্রথমবারের মতো সংসদ সদস্য নির্বাচিত হয়েছিলেন। *প্রারম্ভিক জীবন সাইমন পার্স্কি নামে আইজাক ও সারা পার্স্কি দম্পতির সন্তান হিসেবে পোল্যান্ডের উইজনিউ এলাকায় জন্মগ্রহণ করেন তিনি। বাড়ীতে তাঁরা হিব্রু, ইদিস ও রুশ ভাষায় কথা বলতেন। এছাড়াও, বিদ্যালয়ে তিনি পোলীয় ভাষা শিখেন। এসময় তিনি ইংরেজি ও ফরাসির পাশাপাশি হিব্রু ভাষায়ও দক্ষতা অর্জন করেন। বাবা কাঠের ব্যবসায়ী ছিলেন ও মা গ্রন্থাগারিক ছিলেন। গারশন নামীয় তাঁর এক ছোট ভাই ছিল। প্রয়াত মার্কিন চলচ্চিত্র তারকা লরেন বাকল সম্পর্কে তাঁদের আত...

খেলারাম খেলে যা

খেলারাম খেলে যা কলেজ জীবনেই সৈয়দ শামসুল হকের এই উপন্যাসটি পড়েছিলাম। যৌনতায় ভরপুর এই উপন্যাসের একটি লাইন এখনো মনে আছে.... "জাহেদা জানালা দিয়ে দেখো আকাশে কি সুন্দর চাঁদ উঠেছে। জাহেদা বলেছিলো" বুঝছি আপনে অহন আমারে লাগাইবার চান"। আজ "খেলারাম খেলে যা" র সব্যসাচী লেখক সৈয়দ শামসুল হকের ২য় মৃত্যু বার্ষিকী। রাজনৈতিক চাটাচাটিকে একটা শিল্প হিসাবে দাড় করাতে যে ক'জন সাহিত্যিক আজীবন অক্লান্তভাবে খেটে গেছেন জনাব হক নি:সন্দেহে তাদের কাতারে সামনেই থাকবেন। জনাব হক একজন সাহিত্যিক ছিলেন, তবে সেটা রাজনীতি নিরপেক্ষ ছিলো না। একজন এক্স রাজনীতিবিদ( 😁 ) হিসেবে আমি তার রাজনৈতিক দিকটা তুলে ধরবো মাত্র। সৈয়দ শামসুল হকের রাজনৈতিক অবস্থান ছিল খুবই ইন্টারেস্টিং! সৈয়দ শামসুল হক জীবনের শেষ সময়ে আওয়ামী লীগের নেতৃস্থানীয় বুদ্ধিজীবী হিসেবে পরিচিতি পেয়েছিলেন। তার আগে কোন কোন মহলের সাথে তার কিরূপ সখ্যতা ছিলো একনজরে দেখে আসা যাক: (১) ১৯৬৫ সালের ভারত-পাকিস্তান যুদ্ধের সময় তিনি তার রিপোর্টে পাকিস্তান সেনাবাহিনীর প্রশংসা করেন। এর অবশ্য নগদ প্রতিদানও পেয়েছিলেন তিনি। পাকিস্তান ...

এ ব্রোকেন ড্রিম, সুরেন্দ্র কুমার সিনহা

 এ ব্রোকেন ড্রিম, সুরেন্দ্র কুমার সিনহা সংক্ষেপিত অনুবাদঃ পৃষ্ঠা ৪৭৭ – ৪৭৯। “কোন ব্যক্তি, প্রতিষ্ঠান কিংবা জাতির গ্রহণযোগ্যতা ধ্বংস করতে হলে তার কার্যকর এক উপায় হলো পরিকল্পিতভাবে চরিত্রহনন করা। চরিত্রহননের এ কাজটির বেশ কিছু তরিকা আছে। মিথ্যা অভিযোগ তুলতে হয়, গুজব ছড়াতে হয়, বিভিন্ন তথ্য বিকৃত করতে হয়। পাশপাশি কোন কথার ভুল ব্যাখ্যা, অর্ধ সত্য কথা কিংবা ইচ্ছাকৃত ভুল উপস্থাপনও বেশ কাজে দেয়। কোন ভিকটিমের উপর শারিরীকভাকে আক্রমণের আগে ক্ষেত্র প্রস্তুত করতে তার চরিত্রহনন করে এভাবেই তাকে অমানুষ হিসেবে দেখানো শুরু হয়। তবে কোন একজন মানুষ যখন কারো চরিত্রহনন করে সেই ঘটনা এবং পুরো রাষ্ট্রযন্ত্র মিলে যখন কারো চরিত্রহনন করতে দল বেঁধে ঝাপিয়ে পড়ে, এ দুই ঘটনায় বড় একটা পার্থক্য আছে। কোন সরকার যদি এই কাজ করে তাহলে বুঝে নিতে হয়, ঐ সমাজে অপরাধীদের বিচারবিহীন এক রাজত্ব কায়েম হতে যাচ্ছে। কারণ সাধারণ মানুষ সরকারের এসব কথাকে বিশ্বাস করে। ২০১৭ এর জুলাই মাসের প্রথম সপ্তাহে আইনমন্ত্রী এক সংবাদ সম্মেলন করেন। সেখানে তিনি জঘন্যতম ভাষায় আমার উপর হামলে পড়েন। দেশের প্রধান বিচারপতি সম্পর্কে মন্...

গনেশ যতই বড় এবং বিশ্বস্ত হোক, উল্টে যাওয়া অসম্ভব নয়!

গনেশ যতই বড় এবং বিশ্বস্ত হোক, উল্টে যাওয়া অসম্ভব নয়! সিনিয়র বিচারপতিদের ডিঙ্গিয়ে জনাব সুরেন্দ্র কুমার সিনহাকে প্রধান বিচারপতি নিয়োগের প্রকৃত রহস্য কি ছিল? আওয়ামী লীগের পক্ষ থেকে এমন একটি প্রশ্নের বাহ্যিক জবাব ছিল, দেশের প্রধান বিচারপতি হিসেবে একজন হিন্দুকে নিয়োগ দিয়ে আওয়ামী লীগ তাদের উদারতা এবং ধর্মনিরপেক্ষতার নজির পেশ করেছে। কিন্তু প্রকৃতপক্ষে 'বহুত ফয়দা' চিন্তা করেই আওয়ামী লীগ জনাব সুরেন্দ্র কুমার সিনহাকে প্রধান বিচারপতি করেছিল। যেমন; ১. ভারতের আস্থা অর্জন, ২. দেশের সংখ্যালঘুদের আস্থা অর্জন, ৩. বিশ্বস্ততার সাথে সরকারের নীলনকশার আলোকে জামায়াত এবং ভারতীয় আধিপত্যবাদ বিরোধীদেরকে সাইজ করা এবং ৪. গণেশ উল্টে না যাওয়ার নিশ্চয়তা। আমরা আজকে গণেশ উল্টে যাওয়া সম্পর্কে সামান্য আলোকপাত করবো। অতীতে আওয়ামী লীগের ভিতর 'মুসলিম আওয়ামী লীগ' কতৃক গণেশ উল্টে যাওয়ার বেশ ঘটনা ঘটেছিল। বঙ্গবন্ধুর দক্ষিণ হস্ত খ্যাত খন্দকার মোস্তাক আহমদসহ বঙ্গবন্ধু হত্যার সাথে জড়িত সকলেই ছিল মুসলিম আওয়ামী লীগার+মুক্তিযোদ্ধা। মতিউর রহমান রেন্টু, 'আমার ফাঁসি চাই' বইয়ের লেখক,এমন খাস...

এ ব্রোকেন ড্রিম বাই সুরেন্দ্র কুমার সিনহা।

এ ব্রোকেন ড্রিম বাই সুরেন্দ্র কুমার সিনহা।  পৃষ্ঠা ৪৮০ – ৫২৩/শেষ পর্যন্ত সংক্ষেপিত অনুবাদঃ "সব কিছু মিলে এ সময় আমি মানসিকভাবে খুব দুর্বল হয়ে পড়লাম। জাপানের এক কনফারেন্সে যাওয়ার প্রোগ্রাম আগে থেকে ঠিক করা ছিলো। চিন্তা করলাম জাপানে ঐ কনফারেন্সের আগে কানাডায় গিয়ে ছোট মেয়ের সাথে কয়েকদিন কাটালে হয়তো ভালো লাগবে। তবে মনে মনে ভাবছিলাম, জাপানের কনফারেন্সে হয়তো যাবো না। কানাডায় পৌছার পরদিন ভারতের দ্য হিন্দু এবং ইন্ডিয়ান এক্সপ্রেস পত্রিকাগুলোতে খবর প্রকাশ হলো, তারা সরকারের সাথে আমার ঝামেলার কথা বিস্তারিত লিখেছে। দেশের বাইরে আন্তর্জাতিকভাবেও এখন খবর ছড়িয়ে গেলো। ভেবে দেখলাম, সরকার যে কোন উপায়ে বিচার বিভাগের নিয়ন্ত্রণ নিয়েই ছাড়বে। আমি প্রধান বিচারপতির পদে থাকার অর্থ হচ্ছে সরকারের এসব কাজকর্ম কোনভাবেই বন্ধ হবে না। এরকম চলতে থাকলে আমি আমার দায়িত্বও ঠিকমতো পালন করতে পারবো না। একা আমাকে টার্গেট করেই প্রধানমন্ত্রী নোংরা ভাষায় বিদ্বেষ ছড়িয়ে যাচ্ছেন। তার সাথে যোগ দিয়েছে তার দলের মন্ত্রী এমপি নেতারা সবাই। দুইজন বিচারপতিকে তিনি ম্যানেজ করার পরও আমি তাদের মত বদলে ফেলেছি এ অপমান শেখ হাসিন...

"শহীদ" কোন ব্যক্তিগত সম্পত্তি নয় যে তাঁর উত্তরাধিকার থাকবে।

"শহীদ" কোন ব্যক্তিগত সম্পত্তি নয় যে তাঁর উত্তরাধিকার থাকবে। "শহীদ" শব্দটা আমরা ইসলামের ঐতিহ্য থেকে ধার করেছি। এটা সর্বোত্তম সন্মানের মৃত্যু। এই মৃত্যু সৌভাগ্যের, কারণ জাতি, সমাজ বা রাষ্ট্র শহীদি মৃত্যুকে সকলের তরফ থেকে গ্রহণ করে; সে অমরত্ব পায়। শহীদি মৃত্যু তখনই মহান যখন সেই শহীদের আত্মত্যাগের উত্তরাধিকার হয় সেই সমাজ, জাতি বা রাস্ট্রের সবাই। শহীদের একটা বায়োলজিক্যাল জীবনও থাকে। সেখানে তার প্রিয়জনেরা থাকে, সেই হিসেবে সেই পরিবারের কাছে শহীদের মৃত্যু একটা ব্যক্তিগত শোকের বিষয়ও বটে। কিন্তু তাই বলে শহীদের বায়োলজিক্যাল পরিবারের শহীদের আইকনিক এনটিটিতে তার আলাদা কোন উত্তরাধিকার জন্মায় না। সেটা জন্মালে শহীদ শব্দটা তার তাৎপর্য হারায়। এটা করতে গেলেই সে, শহীদি মৃত্যুকে তার সামস্টিক উত্তরাধিকার থেকে ছিন্ন করে পরিবারের সম্পদ বানায়। এভাবে শহীদি মৃত্যু তার মর্যাদা হারাতে থাকে। শহীদের আদর্শিক উত্তরাধিকারে তার বায়োলজিক্যাল পরিবারের ততটুকুই হিস্যা যতটুকু হিস্যা তার একজন সহ নাগরিকের। শহীদের পুত্র বা কন্যা হইয়া আপনি দেশের তাবৎ মানুষের মাথা কিনা নেন নাই জনাব। আপনার পিত...

এক মেয়ের পা এবং লাইক!

এক মেয়ের পা এবং লাইক ! সকালে ঘুম ভেঙে দেখি আট টা বাজে । শরীরটাও বেশি ভালো লাগছে না । আবার ঘুমালাম । ১১টায় উঠলাম । ২ মগ চ া খেলাম ( বাজারের হিসেবে ৮ কাপ হবে)। সবাই জানেন আমি স্মোক করি । চেইন স্মোকার । কম্পিউটার খোঁচাখুঁচি করে নিজে নিজেই ঠিক করলাম । প্রায় দুই ঘন্টা । আমি থাকি চার তলায় । দুপুর ১টা বাজে । খেতেও ইচ্ছে করছে না কিছু । তখনো মুখ ধুই নি । কম্পিউটারে খোঁচাখোঁচি করতে গিয়ে দেখি এক মেয়ে তার পা’য়ের একটা ছবি আপলোড করেছে । দেখলাম এই পা মানে ঠ্যাং এর ছবিতে লাইক পড়েছে ৯৪৭ টা । কমেন্ট অসংখ্য । ‘কতো সুন্দর এই পা । না জানি তুমি কতো সুন্দর । পা তো নয় যেন একটা গোলাপ ফুল’ । এ জাতীয় অনেক কমেন্ট । আমি পোষ্ট টা দেখে কিছুটা অবাক হলাম । একটা ঠ্যাং এর এতো কদর ! প্রায়ই লক্ষ্য করি, মেয়েরা যখনি কিছু আপলোড করে সেটা তাদের পায়ের ছবিই হোক,হাতের ছবিই হোক আর নাকের ছবিই হোক বা এক চোখের ছবিই হোক সে সব ছবিতে অগনিত লাইক আর কমেন্ট । আবার কোনো মেয়ে তার একটা ছবি দিয়ে যদি লিখে।'আমাকে দেখতে কেমন লাগছে'। তাহলে খাইছে । মেয়ে বন্ধুদের ছোট করার জন্য বলছি না, ফেবুতে প্রায়ই দেখি মেয়েরা কোনো ছবি ব...

ফেসবুক : উপদেশ, কমেন্ট, ছবি এবং বন্ধু সংখ্যা

ফেসবুক : উপদেশ, কমেন্ট, ছবি এবং বন্ধু সংখ্যা অনেক সময় আমরা অনেক কিছু বলি বা করি যা নিজেদের অ জান্তেই ভুল বলে প্রমাণিত হয় । কিছু ভুল আছে তা পরে বুঝলেও কিছুই করার থাকে না । সেই ভুলে অনেক ক্ষতি যেমন হয় তেমনি অনেক সময় প্রিয়জনকেও হারাতে হয় । কিছু ভুল মার্জনীয় হলেও অনেক ভুলই মার্জনার বাইরে । আগে অনেককেই অনেক বিষয়ে বলতাম । এখন আর বলি না । কি দরকার ? অযথা মানুষকে পরামর্শ বা উপদেশ দেয়ার ? আমি যা বলবো তা-ই ঠিক তা নির্ধারণের মাপকাঠিই বা কী ? মানুষ সব সময় তার নিজের পছন্দ মতো কথাই শুনতে চায় । ফেবুতেও আমরা কার বন্ধু হবো বা হবো না তা নিজেকেই নির্ধারণ করতে হয় । বেশিরভাগ অজানা মানুষই ফেসবুকে বন্ধু হয় । নিজের আত্নীয়স্বজন বা বন্ধুতো আর ৪০/৫০ জনের বেশি না কারোই । তাহলে এই শত শত হাজার হাজার বন্ধু আসে কোত্থেকে ? দূর সম্পর্কের কোনো আত্নীয়ও যে আমার খুব শুভাকাঙ্ক্ষী হবে এতে কোনো নিশ্চয়তা নেই । বাংলাদেশে টুইটার বা অন্য কোনো মাধ্যম বেশি ব্যবহার হয় না যতোটুকু ফেসবুক হয় । টুইটারের ভাষা ইংরেজি। ফেবুতে প্রায় ৮০% লোক ভুল বানানে বাংলা লিখে! আবার ইংরেজি? এখানে পাঠকের চেয়ে লেখক বেশি ! অনেকদিন থেকে লক্ষ...

ওমাওয়ারিসান

ওমাওয়ারিসান করিম চৌধুরী টোকিওর ব্যস্ত এলাকা শিনজুকুতে আমাদের স্কুল । নাম মাত্র ল্যাংগুয়েজ স্কুলে যাই । নাম মাত্র বললাম এই জন্য যে, টোকিওর মাটিতে পা রেখেই শুধু ভাষার কারনে দেশটি আমার অপ্রিয় হয়ে গেলো । যদিও আমরা কয়েক বন্ধু এই স্কুলটিতে ভর্তি হয়ে ঢাকার জাপানি দূতাবাস থেকে ভিসা নিয়ে পড়াশোনার উদ্দেশেই টোকিও গিয়েছিলাম । আমাদের ভিসা স্ট্যাটাস ছিলো ৪-১-১৬-৩ । ছয় মাস পর পর ভিসার মেয়াদ বাড়াতে হয় । আমাদের ল্যাংগুয়েজ স্কুলটির নাম ছিলো ‘জাপান ফরেন ল্যাংগুয়েজ ইন্সটিটিউট ইনকর্পোরেটেড’ সংক্ষেপে বলা হতো জাফলি JAFLI . পৃথিবীর বিভিন্ন দেশের প্রচুর ছাত্রছাত্রী এই স্কুলে । বিশেষ করে অনুন্নত দেশগুলোর । চীন, ফিলিপিন্স, মঙ্গোলিয়া, ভিয়েতনাম, বাংলাদেশ, কম্বোডিয়া, ইন্ডিয়া, উত্তর কোরিয়া, পাকিস্তানসহ আরো অনেক দেশের । কিন্তু জানুয়ারি মাসের প্রচন্ড শীতে টোকিওর নারিতা এয়ারপোর্টে নেমে 'স্কাই লাইনার' এক্সপ্রেস ট্রেন ধরে টোকিও মুল শহরে পৌঁছে প্রায় পাগল হয়ে গেলাম । কিচ্ছু পড়তে পারিনা । দোকানের সাইনবোর্ড থেকে সাবওয়ে ডাইরেকশন পর্যন্ত জাপানিতে লেখা । কোন ইংরিজি শব্দ চোখে পড়লো না । এসএসসি-এই...

মালয়শিয়ান ইমিগ্রেশনে ঝামেলা এবং আমার ফুকেট দেখা

মালয়শিয়ান ইমিগ্রেশনে ঝামেলা এবং আমার ফুকেট দেখা   পৃথিবীর তিন মহাদেশের অনেকগুলো দেশ দেখা হয়ে গেলো । এ শিয়া, ইউরোপ এবং উত্তর আমেরিকা মহাদেশ । কোনো দেশের এয়ারপোর্ট ইমিগ্রেশন থেকেই আমি ডিপোর্ট হইনি । তবে থাইল্যান্ডের সঙ্গে পশ্চিম মালয়শিয়ার সড়ক পথে যে ইমিগ্রেশন সেখান থেকে ২০১১ সালে ডিপোর্ট হয়েছিলাম । এটা ঠিক ডিপোর্ট নয় । আমাকে বিমানে মালয়শিয়া ঢুকতে হবে । সড়ক পথে নয় । মালয়শিয়ার তিন মাসের মাল্টিপল ভিসা ছিলো । তিন মাসের ভিসা হলেও মালয়শিয়ান এয়ারপোর্ট ইমিগ্রেশন প্রথম এন্টৃতে ৩০ দিন থাকার অনুমতি দেয় । ( আমেরিকার পাঁচ বছরের মাল্টিপল ভিসা থাকলেও যেমন প্রথম এন্টৃতে ছয় মাস থাকার অনুমতি দেয় ।) নিয়ম অনুযায়ি এক মাস মানে ঠিক ত্রিশ দিনের মাথায় ভিসা এক্সটেনশন করতে হবে । এটা দু’ভাবে করা যায় । একঃ মালয়শিয়ার প্রশাসনিক রাজধানী পুত্রজায়ায় তাদের ইমিগ্রেশন হেড কোয়ার্টারে গিয়ে ভিসার মেয়াদ বাড়াতে হবে । দুইঃ মালয়শিয়া থেকে ত্রিশ দিনের মধ্যে অন্য কোন দেশে চলে যেতে হবে । আবার মালয়শিয়া এলে পুনরায় ত্রিশ দিন থাকার অনুমতি দেবে । মালয়শিয়ার প্রতিবেশি সিঙ্গাপুর,থাইল্যান্ড,ইন্দোনেশিয়া এবং ব্রুনাই । আম...

শেফালি একটু ফাঁক করো

শেফালি একটু ফাঁক করো নিউ ইয়র্ক থাকতে প্রথম কিছু কবিতা লিখেছিলাম । সাপ্তাহিক প্রবাসী, সাপ্তাহিক ঠিকানা, সাপ্তাহিক বাংলা পত্রিকায় । উত্তর আমেরিকায় সবচেয়ে জনপ্রিয়,বহুল প্রচারিত ‘সাপ্তাহিক ঠিকানা’ । সিরাজগঞ্জের বন্ধু বুলবুল একদিন বললো, বাংলাদেশে কাউয়ার(কাক)থাইক্যা কবি বেশি । বুলবুল ম্যানেজমেন্টে মাস্টার্স করেছিলো । আপনি বরং গদ্য লিখেন । আপনি যেহেতু অনেক দেশ ভ্রমণ করেছেন সে সব অভিজ্ঞতা কি কবিতায় প্রকাশ করা সম্ভব ? কাউয়ার কথা শোনে মনে খুব দুঃখ পেয়েছিলাম । এরপর থেকে আমি আর এক লাইনও কবিতা লিখিনি। " পাগল " নামে একটা ভালোবাসার (প্রেমের নয়) গল্প লিখলাম । ফ্যাক্স করে পাঠালাম সাপ্তাহিক বাংলা পত্রিকায়। তখন বাংলা পত্রিকার সম্পাদক ছিলেন মি.ফজলুর রহমান । তিনি গুরুত্ব দিয়ে গল্পটি ছাপলেন । একটি লাইন তিনি এডিট করেছিলেন । মানে বাদ দিয়েছিলেন । কেন তা বাদ দেয়া হলো তা জানতে বাংলা পত্রিকা অফিসে ফোন করেছিলাম । সম্পাদক ফজলু ভাই ফোন ধরেই বলেছিলেন, পাগল সাহেব কেমন আছেন ? বলেন আর কি পাগলামি আছে আপনার ? ওই গল্প ছাপা হবার পর নিউ ইয়র্কে সাংবাদিক মহলে অনেকেই আমাকে পাগল সাহেব বলে ডাকতেন । এটা...

একদিন প্রাগে

একদিন প্রাগে সেই কবে চেক রিপাবলিক বেড়াতে গিয়েছিলাম । সঙ্গে ছিলো টমাস । সাবেক সোভিয়েত ব্লকের সমাজতান্ত্রিক দেশগুলোতে ঘুরতে বেশ মজা । মানুষজনও বেশ আন্তরিক । দ্বিতীয় বিশ্বযুদ্ধের পর ইউরোপটাকে ভাগাভাগি করে নিয়েছিলো আমেরিকা আর সোভিয়েত ইউনিয়ন । প্রথম নাম ছিলো চেকোস্লোভাকিয়া । ১৯৪৮ সাল থেকে ২৩ এপৃল ১৯৯০ পর্যন্ত চেকোস্লোভাকিয়া সমাজতান্ত্রিক শাসন চালু ছিলো । ৯০ দশকে সোভিয়েত ব্লকের পূর্ব ইউরোপের সবগুলো দেশে সমাজতন্ত্র ভেঙে পরে। আমি তখন অস্টৃয়ার রাজধানী ভিয়েনা ছিলাম। পূর্ব ইউরোপের ওই উত্তাল দিনগুলো এখনো চোখের সামনে ভাসে। কতো আনন্দই না করেছিলাম ইউরোপীয় জীবনে!!! চেকোস্লোভাকিয়াকে সোভিয়েত ইউনিয়নের স্যাটালাইট রাস্ট্র বলা হতো। সমাজতান্ত্রিক চেকোস্লোভাকিয়ার শেষ প্রেসিডেন্ট ছিলেন আলেকজান্ডার ডুবচেক। চেকোস্লোভাকিয়ার বিপ্লব ছিলো শান্তিপূর্ণ । কমিউনিস্ট প্রেসিডেন্ট আলেকজান্ডার ডুবচেক জনরোষ দমন করতে সেনাবাহিনী নামালেও লাখ লাখ চেকোস্লোভাকিয়ান রাস্তায় নেমে ভারী অস্ত্রে সজ্জিত সেনাবাহিনীর দিকে ফুল ছিটিয়ে দেন। সেনাবাহিনী একটিও গুলি না ছুড়ে জনগনের সঙ্গে একাত্মতা প্রকাশ করে। কমিউনিস্ট শাসনের অব...

ইন্দিরা 'গান্ধী' হলেন কিভাবে ?

ইন্দিরার পিতা- জওহরলাল নেহরু, স্বামী - ফিরোজ জাহাঙ্গির খান ।  তবে তিনি ইন্দিরা গান্ধী হলেন কিভাবে ? - সেদিন ভারতীয় রাজনীতি বিষয়ে এক পরিচিত কলেজ প্রভাষকের সাথে আলাপ হচ্ছিল। একথা সেকথার পর এক পর্যায়ে তিনি আমার কাছে জানতে চাইলেন, ইন্দিরা গান্ধী মহাত্মা গান্ধীর কন্যা না নাতনী। আমি আশ্চর্য হইনি। কারণ আমার জানামতে আমাদের দেশের বেশির ভাগ মানুষ এরকমই মনে করে। উত্তর দিলাম- পুত্র বধু। দেখলাম লেকচারার সাহেবের ইতিহাস জ্ঞান বেশ টনটনে। তিনি আমার নির্বুদ্ধিতায় মর্মাহত হয়ে বললেন- ধুর মিয়া, ইন্দিরা গান্ধী বিয়ে করেছিলেন এক পার্সিয়ানকে, নাম ফিরোজ গান্ধী,ধর্মে অগ্নিউপাসক। তাঁর সাথে অনেক আলাপ হল। সেদিকে না গিয়ে আসল কথায় আসি। ইন্দিরা গান্ধী । পুরো নাম ইন্দিরা প্রিয়দর্শিনী নেহরু। স্বামী ফিরোজ জাহাঙ্গির খান । পিতা জওহর লাল নেহরু। মা কমলা নেহেরু, দাদা মতিলাল নেহেরু। দেখা যাচ্ছে স্বামীর দিক, পিতার দিক কোন দিকেই ' গান্ধী ' নেই। তাহলে ইন্দিরা প্রিয়দর্শিনী নেহরু ইন্দিরা গান্ধী হলেন কিভাবে? ফিরোজ ভারতীয় জাতীয় কংগ্রেস পার্টির একজন নবীন সদস্য ছিলেন এবং এলাহাবাদে পার্টির কাজের স...

পাসওয়ার্ড

পাসওয়ার্ড ফেবুতে অনেক বিবাহিতা মেয়ে বন্ধু আছেন । আমার অভিজ্ঞতা থেকে বলছি, যারা শুধুই হাউজ ওয়াইফ এবং ফেসবুক চালান তাদের ফেবু পাসওয়ার্ড তাদের স্বামীরা জানেন । কিন্তু যে সব মহিলারা চাকরি করেন এবং ফেসবুক চালান তাদের পাসওয়ার্ড কিন্তু তাদের স্বামীরা জানেন না । কেন ? এ নিয়ে একটু চিন্তা করেছি । আমি শুধু আমার চিন্তার কথাই লিখছি । ভিন্নমতও থাকতে পারে । ১। হাউজ ওয়াইফ স্ত্রীর স্বামীরা তাদের স্ত্রীকে সন্দেহ করেন । সারাদিন বাসায় থাকে । ইনবক্সে কারো সঙ্গে ইন্টিমেসি হয় কিনা তা চেক করার জন্যই স্ত্রীর পাসওয়ার্ডটা জেনে রাখেন । ২। কেউ কেউ ঘনিস্ট বন্ধু বা প্রেমিককেও পাসওয়ার্ড স্বেচ্ছায় দেন যার ফলাফল ক্ষতিকর বলে প্রমাণিত হয়েছে । ৩। চাকরিজীবী মহিলারা এক্ষেত্রে রেমেডি পান কারন কর্মক্ষেত্রেই অনেক পুরুষের সান্নিধ্য পান তারা । কথা বলতে হয় । কাছাকাছি চেয়ারে বসতে হয় । এসব ভেবে তাদের স্বামীরা হয়তো বেশি উদার । অথবা চাকরিজীবী মহিলারা বেশি ব্যক্তিত্বসম্পন্ন । অনেক দিন আগে একজন ভদ্র মহিলার সঙ্গে আমার ইনবক্সে কথা হতো । তিনি বিবাহিতা । দুই সন্তানের জননী । শিক্ষিতা, রুচিশীল । একদিন আমার ইনবক্সে দেখি...