সরাসরি প্রধান সামগ্রীতে চলে যান

পোস্টগুলি

জানুয়ারী, ২০১৯ থেকে পোস্টগুলি দেখানো হচ্ছে

ফ্লোরিডাতে নৌ-ভ্রমণ

ফ্লোরিডাতে নৌ-ভ্রমণ করিম চৌধুরী ( লেখাটি যায়যায়দিনের বিশেষ "নৌ ভ্রমণ" সংখ্যায় ছাপা হয়েছিলো । লিখেছিলাম ফ্লোরিডা থেকে।) একদিন খুব মন খারাপ ছিলো। ফ্লোরিডায় গিয়েছি নিউ ইয়র্ক থেকে । নিউ ইয়র্কের মতো কসমোপলিটন সিটি থেকে বাইরে গেলে প্রথম প্রথম একটু খারাপ লাগে । আমি ফ্লোরিডায় যে সিটিতে ছিলাম তার নাম ফোর্ট মায়ার্স । একেবারে মেক্সিকো উপসাগর ঘেঁষে । বাসা থেকে সাগরের গর্জন শোনা যায় । খুব কম মানুষের বসবাস । এসব অঞ্চলকে কান্ট্রি সাইড বলা হয় । ফ্লোরিডায় কখনোই তুষারপাত হয় না । এই জন্যই ফ্লোরিডার ডাক নাম সানসাইন স্টেট । আবহাওয়া ঠিক বাংলাদেশের মতো । সারা বছর বেশ গরম ফ্লোরিডায় । ডিসেম্বর ,জানুয়ারিতে আবহাওয়া একটু ঠান্ডা হলেও বাংলাদেশের চেয়েও কম শীত । কোস্টাল স্টেট বলে ঝড়, বৃষ্টি, সাইক্লোন,টর্নেডো ফ্লোরিডায় লেগেই থাকে । পশ্চিমা দেশে কোনো স্টেট এমন হতে পারে তা না দেখলে বিশ্বাসই হবে না । ফ্লোরিডার তিন দিকেই সমুদ্র । আটলান্টিক মহাসাগর আর মেক্সিকো উপসাগর ঘিরে রেখেছে ফ্লোরিডাকে । অন্য দিকে জর্জিয়া আর অ্যালাবামা স্টেট । আমেরিকার প্রতিটি স্টেটের আবহাওয়া ও আরো কিছু বিশেষত্বের জন্য ৫০টি স্...

সম্পাদক ও গ্যাটিস

সম্পাদক ও গ্যাটিস করিম চৌধুরী ( লেখাটি ২০০৩ সালের জুন মাসে সাপ্তাহিক যায়যায়দিনে প্রকাশিত হয়েছিলো। লিখেছিলাম ফ্লোরিডা থেকে ।) ছাত্রজীবনে তিন চারটি দৈনিক পত্রিকা পড়তাম। আমাদের ছাত্রজীবনে পত্রিকায়ই ছিলো দৈনিক ৫/৬টি । ১৯৮৮ সালের কথা । সাপ্তাহিক যায়যায়দিন তখন নিষিদ্ধ । মিনার মাহমুদ-এর সম্পাদনায় সাপ্তাহিক বিচিন্তা তখন কিছুটা জনপ্রিয়। মিজানুর রহমান মিজান সম্পাদিত সাপ্তাহিক খবর তখন দৈনিক রূপে প্রকাশিত হচ্ছে। আমি দৈনিক খবর-এর পাঠক ছিলাম না। আমার কিছু ঘনিষ্ঠ বন্ধু যারা ছাত্রলীগ করতো তারা সবাই ছিল দৈনিক খবরের পাঠক ছিলো । এক সিনিয়র ভাই/ বন্ধু, যিনি জেলা ছাত্রলীগের প্রভাবশালী নেতা, মি. আতিক উল্লাহ খোকন, তিনি একদিন আমাকে ডেকে বললেন, সন্ধ্যার পর তুই একটু বাসায় আসিস। দরকার আছে। আতিক ভাইয়ের বাসা ঝাউতলা । শহীদ শামসুল হক সড়কে । আতিক ভাই এখন কুমিল্লা শহরের দোকান মালিক সমিতির সভাপতি । বাসায় গেলে তিনি আমাকে দুটো দৈনিক খবর হাতে দিয়ে বললেন, তুইতো অনেক পত্রপত্রিকা পড়িস। দু'দিনের এই দুটো খবর পত্রিকা দেখে আমাকে বলতো সমস্যাটা কোথায়? আমি কিছু বুঝতে পারছি না। কিন্তু মনে সন্দেহ জাগছে। কোথায় ...

শানু

শানু রিমোট টিপতেই StarGold এলো ৷ এখন রাত সাড়ে বারোটা । সব সময়তো রাজনীতি আর নিজের অভিজ্ঞতার কথা লিখি ৷ আমাদের জীবনে বিনোদনতো নেই ই। রক্তারক্তি, মারামারি, হানাহানি চলছে সারাদেশে । দুঃখের মাঝেও আমরা সবাই সুখ খুঁজি । এটাও মানব চরিত্রের এক বিশেষ দিক। খুব সুখের সময়ে কিছু ছবি দেখলে বা গান শোনলে এগুলো মনে থাকে বেশি ৷ অনেক বছর পর আবার দেখলে বা শোনলে সেই সময়টা চোখের সামনে ভেসে উঠে অবিকল । ২০০১ সালে ফ্লোরিডা ছিলাম । আজ থেকে ১৭ বছর আগে । ফেসবুকের নাম গন্ধও তখন ছিলো না। ফেসবুক এসেছে ২০০৪ সালে । ইউটিউব তো ছিলোই না । ইউটিউব এসেছে ২০০৫ সালে । সবাই কম বেশি স্মৃতিকাতর। একা মানুষ একটু বেশি স্মৃতিকাতর হয় । ইতিমধ্যেই আমি অনেক মেয়েদের নিয়ে গল্প লিখেছি । পত্রিকায় ও ফেবুতে। এখন StarGold এ একটা ছবি চলছে । আমার বেশ ঘনিষ্ঠ বন্ধু ছিলো শরিয়তপুরের নড়িয়া উপজেলার শামু । ভালো নাম শামসুর রহমান। আমার জুনিয়র । শামুর স্ত্রীর নাম শানু । ভালো নাম শাহানা । শানু আমাকে খুব ভালোবাসতো । ফ্লোরিডার সব বন্ধুরা তা জানতো । শামুও জানতো ৷ আমার সঙ্গে প্রেমময় সম্পর্ক ছিলো তার স্ত্রীর । শামু সেটা মেনে নিয়েছি...

ডিজিটাল কোকেইন

ডিজিটাল কোকেইন পৃথিবীর তিন ভাগের এক ভাগ মানুষই এখন সামাজিক যোগাযোগের মাধ্যম ফেসবুকে অভ্যস্ত । এর একটা ব্যাপক প্রভাব পড়েছে সমাজে । কিন্তু আপনি কি জানেন আপনার শরীরেও পরছে এই প্রভাব ? চলুন জেনে নিই এরকম কয়েকটি প্রভাবের কথা । * ডিজিটাল কোকেইনঃ অনলাইন আসক্তিকে মনোবিজ্ঞানীরা এখন ডিজিটাল কোকেইন নাম দিয়েছেন । ফেসবুক যারা ব্যবহার করেন তাদের অনেকেই বলেছেন, একটু পর পর ফেসবুকে ঢুকে তাদের দেখতে ইচ্ছে করে নতুন কোনো নোটিফিকেশন এলো কিনা ? আর একবার ঢুকলে কিভাবে যে ঘন্টার পর ঘন্টা পার হয়ে যায় তা যেন তারা টেরই পান না । শোনে মাদক আসক্তির মতো মনে হচ্ছে না ? ব্রেন স্কেনে মাদকাসক্ত আর অনলাইন আসক্তদের একই রকম ছবি দেখা গেছে । দুজনেরই মস্তিষ্কের সামনের ওয়েব ম্যাটারগুলো ক্ষয়ে যাওয়া । ব্রেনের ওয়েব ম্যাটার নিয়ন্ত্রন করে মানুষের আবেগ, মনোযোগ ও সিদ্ধান্ত গ্রহণকে । আর তা ক্ষয়ে যাওয়া মানে এই ক্ষমতাগুলো কমে যাওয়া । কাজেই সোশ্যাল মিডিয়ার নিয়ন্ত্রনহীন ব্যবহার আপনার আবেগকে ভারসাম্যহীন করতে পারে । নষ্ট করতে পারে আপনার মনোযোগ ও সিদ্ধান্ত নেয়ার সামর্থকে । মানুষের মস্তিষ্কে ডোপামিন নামে এক ধরনের কে...

সেনাবাহিনী মোতায়েন এবং.....

সেনাবাহিনী মোতায়েন এবং..... দেশের সবাই ভাবছেন,নির্বাচনে সেনাবাহিনী নামলেই সব কিছু ঠিক হয়ে যাবে । আমার তা বিশ্বাস হয় না। সেনাবাহিনীর ক্ষমতা সীমাবদ্ধ। তারা কাজ করবে রিটার্নিং অফিসারের নির্দেশে ৷ পুলিশ, র‍্যাব, বিজিবি পরিস্থিতি নিয়ন্ত্রনে ব্যর্থ হলে রিটার্নিং অফিসার সেনাবাহিনীর সাহায্য চাইলে তবেই তারা হস্তক্ষেপ করবে। রিটার্নিং অফিসার মানে ডিসি । ৬৪ জেলার সব ডিসি আওয়ামী লীগ সমর্থক। ডিসি,এসপি, ইউএনও,ওসি সবাই সরকারি দলের ৷ তাছাড়া ভোট কে ন্দ্রের ভেতরে কি ভাবে ভোট চুরি হয় সেটা সেনাবাহিনী জানার কথা নয় ৷ উপরে ঠাট বাট ভেতরে সদরঘাট। লাভ কি ? শুধু স্ট্রাইকিং ফোর্স হিসেবে সেনাবাহিনী থাকবে তাও নির্দেশ না পেয়ে কোনো অ্যাকশনে যেতে পারবে না। তাছাড়া গত দশ বছরে সেনাবাহিনী দেশের ক্রান্তিকালে কোনো ভুমিকাই রাখেনি । ব্যারিস্টার মইনুল হোসেন এখনো জেলে । হাজার হাজার নিরপরাধ মানুষ জেলে । জেল খানায় জায়গা নেই । একজনের জায়গায় তিনজন থাকে । বিডিআর বিদ্রোহে ৫৭ জন চৌকষ সেনা কর্মকর্তা নিহত হলেও সেনাবাহিনী কিছুই করেনি । যেখানে তারা তাদের সহকর্মীদের প্রাণ বাঁচাতে এগিয়ে আসেনি সেখানে দেশের মানুষের জন্য...

মুক্তিযুদ্ধ ব্যবসা

মুক্তিযুদ্ধ ব্যবসা আওয়ামী লীগ ছাড়া বাকী যারা মুক্তিযুদ্ধ ব্যবসা করতে যাবেন, তারা হারবেন। মুক্তিযুদ্ধ ব্যবসায় আওয়ামী লীগরে হারানোর উপায় একটাই, এই ব্যবসায় অংশগ্রহণ না করা। আওয়ামী লীগের এই ব্যবসা হালে পানি পাইতো না, যদি না অন্যরা এই ব্যবসায় পার্টিসিপেট করতো। জিয়া পরবর্তী বিএনপি এর জন্য বহুলাংশে দায়ী। জিয়ারে স্বাধীনতার ঘোষক ঘোষণা, মুক্তিযুদ্ধ বিষয়ক মন্ত্রণালয় ইত্যাদি কইরা বিএনপি আওয়ামী লীগের এই ব্যবসার পালে বাতাস দিছে। মুক্তিযুদ্ধ বিষয়ক মন্ত্রণালয়! হাউ ফানি!! আরো বহু বহু দেশে স্বাধীনতা যুদ্ধ হইছে, এরকম আর কোন দেশ আছে, যেখানে এরকম একটা মন্ত্রণালয় আছে? বিএনপি বলেন আর সিপিবি-জামাত বলেন- যারাই মুক্তিযুদ্ধ ব্যবসা করবেন, তারা আওয়ামী লীগই করলেন। বিএনপির লোকজন এখন নতুন প্রতিযোগিতায় নামছে, বিএনপি বেশী মুক্তিযোদ্ধা নমিনেশান দিছে না আওয়ামী লীগ বেশী দিছে। হাস্যকর! বাংলাদেশের রাজনীতিতে মুক্তিযুদ্ধ আওয়ামী লীগ আর ইন্ডিয়ার কারেন্সি। তাদের কারেন্সি দিয়া তাদের হারাইতে পারবেন না। কোনদিন না।   December 23, 2018 at 9:55 PM ·

গোল্ডেন জিপিএ বলতে কিছু নেই

গোল্ডেন জিপিএ বলতে কিছু নেই জেমিমা পিএসসি পরীক্ষায় জিপিএ ৫ ( A+) পেয়েছে। দুপুরে ফোনে আমাকে জানালো জিমুর মা। কিছুক্ষণ পর জেমিমাও ফোন করে জানালো। বললাম,রাখো তোমার জিপিএ- ৫ । এখন জাল মারলে বিভিন্ন এলাকায় অনেক জিপিএ-৫ পাওয়া যায়। " I am GPA- 5" পেয়ে কোনো লাভ নেই । ইংরেজিতে কতো পেয়েছো সেটা বলো ? মেয়ে জানালো ৯৯ । আমি এতেই খুশি । মেয়েকে কনগ্র‍্যাচুলেশন জানালাম । বললাম, মার্কস সার্টিফিকেট পাঠাও ৷ ঘুম থেকে উঠে দেখি আমার ইমেইলে তার মার্ক সার্টিফিকেট পাঠিয়েছে pdf ফরমেটে । শুধু অংকে পেয়েছে ৯২ । আর সব সাবজেক্টে ৯৪,৯৬ । তবে হাইয়েস্ট মার্ক ইংরেজিতেই পেয়েছে । ৬০০ নাম্বারে ৫৭১ পেয়েছে জেমিমা । ট্যালেন্টপুলে বৃত্তিও নাকি পাবে । মার্কস সার্টিফিকেটে পিতার নাম 'করিম চৌধুরী' দেখে আমার কেমন যেন এক অনুভূতি হলো ! যা একেবারেই নতুন । মেয়ের কোনো একাডেমিক ডকুমেন্টে এই প্রথম আমার নাম দেখলাম ! অংকে কম পাওয়ার কারন জেনেটিক । ছাত্র জীবনে আমিও অংকে দুর্বল ছিলাম আর ইংরেজিতে ভালো ছিলাম । এক দেড় বছর বয়স থেকে সাড়ে পাঁচ বছর বয়স পর্যন্ত আমি সব সময় তাকে ইংরেজি শেখাতাম । সারা...

দুধ খেয়ে প্রতিজ্ঞাঃ বিদায় রাজনীতি

দুধ খেয়ে প্রতিজ্ঞাঃ বিদায় রাজনীতি সেনাবাহিনী নামার পরও বিভিন্ন জায়গায় প্রার্থীদের উপর হামলা হচ্ছে! পুলিশের মতো হামলার পর সেনাবাহিনী ঘটনাস্থলে এলে লাভ কি ? এক লাখ সত্তর হাজার পুলিশ সদস্য নির্বাচন উপলক্ষে কাজ করবে। সেনাবাহিনীর সদস্য সংখ্যা কতো? আমি কখনোই সক্রিয় রাজনীতি করিনি । তাই বলে আমি রাজনৈতিক মূর্খ না । বয়সতো ৫০+ । লেখাপড়ার দিক দিয়েও অশিক্ষিত না । রাজনীতির বই ই জীবনে বেশি পড়েছি। মুক্তিযুদ্ধও দেখেছি, ১৯৭৩ এর নির্বাচন দেখেছি,৭৫ দেখেছি, ৭ই নভেম্বর দেখেছি, জিয়ার গনভোট দেখেছি, ১৯৭৯ সালের সংসদ নির্বাচন দেখেছি,৩০ মে ১৯৮১ দেখেছি, জিয়া পরবর্তী ১৯৮১ সালের নির্বাচন দেখেছি, ১৯৮৬ সালের এরশাদের নির্বাচন দেখেছি, এরশাদের পতন দেখেছি, দেশের বাইরে থাকলেও প্রতিদিনই পত্রিকা পড়েছি, ১৯৯১, ১৯৯৬,২০০১ এর নির্বাচন দূর থেকেও ভালোই দেখেছি,জেনেছি, ২০০৭ সালের মইনুদ্দিন - ফখরুদ্দীনের তত্বাবধায়ক সরকার দেখেছি, ২০০৮ সালের নির্বাচনে পোলিং এজেন্ট এর দায়িত্বও পালন করেছি। তাই অভিজ্ঞতা একেবারেই কম তাও বলি কিভাবে? এখন দেখি দলীয় সরকারের অধীনে কিভাবে বিরোধী দলের নেতাকর্মীদের মামলা, হামলা করা হয়- যত...

ভিয়েনায় মারামারি!!!

ভিয়েনায় মারামারি!!! আমার জীবনের যুবক বয়সের প্রধান সময়টা কেটেছে ইউরোপ – আমেরিকায় । তাই আমার অনেক পোষ্টের পুনরাবৃত্তি বা পুনরোক্তি হতে পারে । কোন ছবি কখন দিয়েছিলাম বা কি লিখেছিলাম তা সব সময় মনে থাকে না । আমি খুব পড়তে ভালোবাসি । স্কুল জীবন থেকেই গল্প, কবিতা, উপন্যাস, প্রবন্ধ, ফিচার, ভ্রমণ কাহিনী, আত্নজীবনীসহ অন্যান্য বইতো আর কম পড়িনি । একবার আমেরিকায় একজনকে পেয়েছিলাম, ফ্লোরিডার ফোর্ট মায়ার্স সিটিতে । সবাই উনাকে ‘জামাল মামু’ ডাকতো । বাড়ি ঢাকায় । আমাদের সিনিয়র ছিলেন । উনি কিভাবে সবার কমন মামু হলেন তা আমি আজো জানি না । তো একদিন কাজের ফাঁকে আমাকে ফিউদর দস্তয়ভস্কির উপন্যাস ‘জুয়াড়ি’ পড়তে দেখে বলেছিলেন, '‘কি করতে এসব মিছা কথা পড়েন মামু ?’' এমন কথাও আমি জীবনে প্রথম শুনেছিলাম । তার কথা, ''লেখকরা কল্পনা করে বানিয়ে বানিয়ে গল্প উপন্যাস লিখে । আমিতো জানিই এটা সত্য না, তো জেনে শুনে মিছা কথা পড়বো কেন ?’' তার কথায় আমি মনে কষ্ট পেয়েছিলাম । পরে ভাবলাম, কষ্ট করে কল্পনার রং মাখিয়ে গল্প উপন্যাস লেখার চেয়ে আমি আমার জীবনের গল্পই লিখবো । পত্রপত্রিকায় আমার সব লেখাই ছিল...

পিএসসি, জেএসসি, স্মার্টফোন, ফেসবুক,আত্নহত্যা!!!

পিএসসি, জেএসসি, স্মার্টফোন, ফেসবুক,আত্নহত্যা!!! ছোট ছোট ছেলেমেয়েদের উপর একটা বিরাট মানসিক চাপ । বিশেষ করে পিএসসি ও জেএসসি পরীক্ষা । পড়ে এক স্কুলে পরীক্ষা দেয় আরেক স্কুলে । অভিভাবকদেরও বিরাট হয়রানি । অন্য স্কুলে যাতায়াতে ট্রান্সপোর্ট সমস্যা ছাড়াও অনেক রকমের ভোগান্তি পোহাতে হয় । এদেশে নির্দিষ্ট সময়ে কোথাও পৌঁছা প্রায় অসম্ভব । তাছাড়া পিএসসি, জেএসসির ফলাফল ভবিষ্যৎ জীবনে কোথাও কাজে লাগে না বা কেউ সেটা দেখতেও চায় না । বিশ্ববিদ্যালয়ে ভর্তি বা চাকরির ক্ষেত্রেও কোনো কর্তৃপক্ষ এই দুই পরীক্ষার ফলাফল দেখতে চায় না বা বিবেচনায় নেয় না । এমনকি কলেজে ভর্তির ক্ষেত্রেও পিএসসি, জেএসসির ফলাফল কোনো বিবেচনায় আসে না । যে পরীক্ষার ফলাফল ভবিষ্যতে কোনোই কাজে লাগে না তা নিয়ে কেনো ছেলেমেয়ে ও অভিভাবকদের এতো হয়রানি করা হয় ? ফাঁক তালে এসব পরীক্ষায় পাস বা ভালো ফলের আশায় প্রাইভেট ও কোচিং বানিজ্য হয় রমরমা । এই দুটি পরীক্ষা বাতিল এখন সময়ের দাবি। আমার কাছে থেকে দেখার অভিজ্ঞতা থেকে বলতে পারি, গ্রামের প্রায় সব স্কুলেই এই দুই পরীক্ষায় ৫০/৬০ নাম্বারের উত্তর শিক্ষকরাই বলে দেয় । ৪০ নাম্বারের এমসিকিউ তো শ...

লেখালেখির ভালোবাসা

লেখালেখির ভালোবাসা অনেক পোষ্টেই আমি প্রাসঙ্গিকভাবে উল্লেখ করি যে, আমার বেশিরভাগ পাঠক বন্ধুই আমাকে চেনেন পত্রিকায় লেখার কারনে । প্রায় দশ বছর সাপ্তাহিক যায়যায়দিনে এবং পরে ‘যায়যায়দিন’ দৈনিক হয়ে যাওয়ায় এবং মি.শফিক রেহমানের হাতছাড়া হয়ে যাওয়ায় তিনি ‘মৌচাকে ঢিল’ নামে একটা মাসিক ম্যাগাজিন প্রকাশ করতেন । এখন মৌচাকে ঢিলও বন্ধ । তাই আমার পত্রিকায় লেখাও বন্ধ । আমি যে স্টাইল বা বিষয় বস্তু নিয়ে লিখি তার প্রায় বেশির ভাগই ইউরোপ- আমেরিকা নিয়ে । ওই পত্রিকা দুটোর পাঠক শ্রেণিও আলাদা ছিলো । শিক্ষিত ও আধুনিকমনস্ক । লেখালেখির অভ্যাসবশত ফেবুতে এসে ছোট করে একটু আধটু লিখি । অনেকটা দুধের স্বাধ ঘোলে মেটানোর মতোই । ওই দুটো পত্রিকায় লিখে আমি অসংখ্য মানুষের ভালোবাসা পেয়েছিলাম বা এখনো পাই । ২০১২ এবং ২০১৩ এই দুই বছরে আমার অল্প কিছু লেখা মৌচাকে ঢিল ম্যাগাজিনে প্রকাশিত হয়েছিলো । ওই পত্রিকা দুটোর সম্পাদকীয় নীতিমালা অনুযায়ি লেখার শেষে লেখকের ফোন নাম্বার, ইমেইল অ্যাড্রেস এবং কোথা থেকে লিখেছেন তা উল্লেখ থাকতো । তবে মেয়েরা চাইলে তাদের ফোন নাম্বার গোপন রাখতে পারতেন । আমার গোপন রাখার প্রয়োজন হয়নি । এ বিষ...

ইসলাম ও নির্বাচন

ইসলাম ও নির্বাচন নির্বাচনে ভালো ও যোগ্য প্রার্থীকে ভোট দেয়া আমাদের সকলের দায়িত্ব ও অধিকার । ভোট একটি আমানত । ভোট মানে সাক্ষ্য দেয়া, সমর্থন করা বা সুপারিশ করে প্রতিনিধি বানানো । এ প্রসঙ্গে মহান আল্লাহ পাকের ঘোষণা হলো- ' হে বিশ্বাসীগন, তোমরা ন্যায়ের উপর প্রতিস্ঠিত থাকো। আল্লাহর জন্য ন্যায়সঙ্গত সাক্ষ্য দান করো।' সুরা নিসাঃ আয়াত -১৩৫। ভোট না দেয়াটা অন্যায় । এ প্রসঙ্গে আল্লাহর নির্দেশ হলো- 'তোমরা তোমাদের সাক্ষ্য গোপন করো না, যে তা গোপন করে অবশ্যই তার অন্তর পাপী।' সুরা বাকারাহঃ আয়াত- ২৮৩। আল্লাহ পাক আরো এরশাদ করেন, 'কেউ কোনো ভালো কাজের সুপারিশ করলে তাতে তার অংশ থাকবে, আর কেউ কোনো মন্দ কাজের সুপারিশ করলে তাতেও তার অংশ থাকবে।' সুরা নিসাঃ আয়াত -৮৫। সুতরাং দেখা যাচ্ছে, আপনার একটি ভোট বা সমর্থনের মাধ্যমে নির্বাচিত হয়ে কেউ যদি কোনো ভালো কাজ করে তাহলে তার সওয়াবের অংশ যেমন আপনি পাবেন, তেমনি আপনার ভোট বা সমর্থনে নির্বাচিত হয়ে যদি কেউ পাপাচার করে, আমানতের খেয়ানত করে, জনগণের সম্পদ লুন্ঠন করে, মানুষের উপর জুলুম করে তাহলে তাকে ভোট দিয়ে নির্বাচিত করার কারনে ...

জেমিমার হাই স্কুলে ভর্তি

জেমিমার হাই স্কুলে ভর্তি জেমিমা নতুন স্কুলে যাওয়ার জন্য পাগল হয়ে আছে। ১ তারিখ থেকে তার ক্লাশ। স্কুল ড্রেস বানিয়ে আমাকে ছবি পাঠিয়েছে । খুশিতে আমাকে জানালো, তারা যারা জিপিএ ৫ পেয়েছে বিশেষ করে যারা সব সাবজেক্টে ৯০ এর উপর মার্কস পেয়েছে তাদের স্কুল থেকে ক্রেস্ট দেবে এবং তাদের স্কুল ড্রেসের সোল্ডারে মেরুন রঙের স্টিকার দেবে । অন্য শিক্ষার্থীদের চেয়ে তাদের আলাদা করার জন্য। স্কুলের মাসে বেতন ৪০০০ টাকা । বাংলা ভার্সানে ৩০০০ টাকা । জেমিমা ইংরেজি ভার্সানে টিকেছে । ইংরেজি ভার্সানেই ভর্তি হয়েছে। ইংরেজি ভার্সান মানে বোর্ডের বই ই পড়বে তবে তা ইংরেজিতে । ক্লাশে পড়ানোর ভাষা হবে ইংরেজি । এমন কি অংক, বাংলাও ইংরেজিতেই পড়বে । অর্থাৎ স্কুলের ক্লাশে বাংলায় কোনো কথা বলা যাবে না । সব বিষয়ই শিক্ষক ইংরেজিতে পড়াবেন । তাকে ইংরেজিতেই প্রশ্ন করতে হবে । আমি বলে দিয়েছি, খেলাধুলা, বিতর্ক, গান, স্কুলের ম্যাগাজিনে লেখা সব কিছুতেই যেন অংশগ্রহণ করে ৷ নাচতো পারেই । দীপ্ত টিভির 'অপরাজিতা' ধারাবাহিক নাটকে দুবছর আগে শিশু শিল্পীর ভুমিকায় নেচেও ছিলো । বলেছি, কঠিন কোনো বিতর্কের বিষয় হলে যে...

বীর উত্তম খেতাব প্রাপ্তদের (মোট ৬৯ জন ) নামের তালিকা

 বীর উত্তম খেতাব প্রাপ্তদের (মোট ৬৯ জন ) নামের তালিকা বীর উত্তম খেতাব প্রাপ্তদের (মোট ৬৯ জন ) নামের তালিকা নিম্নে দেয়া হলো । দেখে নিন বিএনপির কত জন আছে/ ছিল। আ'লীগের কত জন ছিল/আছে তাও দেখে নিন। Sl. no. ID no. Rank (At the time of the award) NAME 01 B.A.-5115 Major Ziaur Rahman 02 B.R.R.-1550 Lieutenant Colonel Md. A. Rob, M.N.A. 03 B.A.-5121 Major K. M. Shafiullah 04 B.A.-3613 Major Chitta Ranjan Dutta 05 B.A.-2215 Major Quazi Nuruzzaman 06 B.A.-5512 Major Mir Shawkat Ali 07 B.A.-5553 Major Khaled Mosharraf 08 B.A.-6030 Major Abul Manzur 09 B. A.-6472 Major Abu Taher 10 B.A.-182 Major A.J.M Aminul Haque 11 B.A.-6286 Captain A. N. M. Nuruzzaman 12 B.A.-7210 Major Rafiqul Islam 13 B.S.S.-7704 Captain Abdus Salek Choudhury 14 B.A.-7335 Major Mohammad Rafiqul Islam 15 - Leader Gonobahini Khwaja Nizamuddin Bhuyan (Shaheed) 16 B.A.-7942 Captain Harun Ahmed Choudhury 17 B.S.S.-8544 Major A.T.M. Haider 18 B.S.S.-10012 Captain M.A. Gaffar Haldar 19 B.A.-10170 Major...

অভিযোগ

অভিযোগ এক বন্ধু আমার গতকালের পোষ্টে কমেন্টে অভিযোগ করেছেন যে, আমি সব সময় মুক্তিযুদ্ধকে ছোট করে লিখি । এ ব্যাপারে আমার বক্তব্য এমন... বাংলাদেশের মুক্তিযুদ্ধ নিয়ে ৪৫ ব ছর পরও যে এতো বাড়াবাড়ি করা হয় এটা আমার মোটেও পছন্দ নয় । স্বাধীন জাতি হিসেবে গর্ব করার মতো উল্লেখযোগ্য কোনো অর্জন এখনো আমাদের নেই । বরং মুক্তিযোদ্ধে আমাদের ফ্যামিলির অবদান গর্ব করার মতো গৌরবোজ্জ্বল । মুক্তিযুদ্ধে আমার নিজেরও অবদান আছে । কুমিল্লা সেনানিবাস থেকে যখন পাকিস্তানি মিলিটারিরা আমাদের গ্রামে আসতো তখন পশ্চিম দিকের বড় এলাকা নিয়ে ধান ক্ষেতের যে মাঠ ছিলো ওখানে তাদের দেখলে আমরা বালকরা দৌঁড়ে এসে বাড়িতে বড়দের খবর দিতাম যে 'পাইয়ারা আইতাছে'। তখন বড়রা পালিয়ে যেতো । যদি মুক্তিবাহিনী বলা হয় তবে অল্প কিছু রাজাকার, আল বদর ছাড়া ওই সময় সাড়ে সাত কোটি বাঙালীই মুক্তিবাহিনী । যেমন সেনাবাহিনী । সেনাবাহিনীর সকল সদস্য যুদ্ধ করে না । সেনাবাহিনীর ইঞ্জিনিয়ার্স কোর বৃজ, কালভার্ট, পুল ইত্যাদি তৈরি করে । যুদ্ধ করে না । সেনা বাহিনীর মেডিক্যাল কোর ও সিগনাল কোরের সদস্যরাও যুদ্ধ করে না । মেডিক্যাল কোরের কাজ আহত সৈনিকদের চি...

আমি রাজনীতি করি না

আমি রাজনীতি করি না \ (আমি রাজনীতি করি না । আগেও করিনি । আমার কাছে এটাকে ঘৃন্য পেশা মনে হয় । তবে রাজনীতির বই পড়ি । আমাকে কেউ দলীয় লোক ভাববেন না । অনুরোধ করছি ।) ১। লক্ষ্য প্রাণের বিন িময়ে 2. Discovery of India 3. India wins freedom 4. Bangladesh: A Legacy of Blood 5. The Rape of Bangladesh 6. Bangladesh: An Unfinished Revolution 7. Witness to Surrender 8. If I am assassinated ৯। আমার দেখা রাজনীতির পঞ্চাশ বছর ১০। বাংলাদেশের রাজনীতিতে আওয়ামী লীগ 11. Era of Sheikh Mujibur Rahman 12. Daughter of the East 13. Reconciliation: Islam Democrecy and the West 14 . প্রধানমন্ত্রিত্বের নয় মাস । ১৫। শান্তির স্বপ্নে ১৬। এক জেনারেলের আত্মকাহিনী ১৭। একাত্তরের দিনগুলি ১৮। আমি বিজয় দেখেছি ১৯। জাতীয়তাবাদ বিতর্ক ২০। কথামালার রাজনীতি ২১। স্বৈরাচারের দশ বছর 22 . In the Line of Fire ২৩। নেতা জনতা ও রাজনীতি সহ আরো কতো বই যে পড়েছিলাম ! মাও সেতুং রচনাবলী, লেনিন রচনাবলী,পেরেস্ত্রোইকা ও গ্লাসনস্ট, কার্ল মার্ক্সের দি ক্যাপিটাল , প্লেটোর রিপাবলিক, এরিস্টটলের পলিটিক্স । ম্যাকিয়াভেল...

ছাত্রীদের ভালোবাসা

ছাত্রীদের ভালোবাসা নিজের কথাই লিখি বেশি । অনেকের মনে হতে পারে ফেবুতে এতোসব কথা বলা দরকার কি ? আমার মনে হয় একটু ভিন্ন । ছোট ছোট অনেক ব্যক্তিগত ঘটনাও তো একটা গল্প । মনে অপরাধবোধ না থাকলে সব কথাই স্পষ্ট করে বলা যায় । বেশ কিছুদিন হয় অসুস্থতা জড়িয়ে ধরেছে । যদিও অন্যদের মতো ফেবুতে লিখে বন্ধুদের দোয়া চাইনি । খারাপ বা দু:সংবাদের কথা লিখতে ভালো লাগে না । সুখের কথা, আনন্দের কথাই লিখতে ভালো লাগে । সুখ ভাগাভাগি করে নেয়া যায় । দু:খ ভাগাভাগি করা যায় না । ওটা শুধুই নিজস্ব । মাঝে মাঝে ভাবি, জীবনে কোনটা বেশি ? সুখ না দুঃখ ? সকাল সোয়া দশটায় ডোর বেল বাজলো । ঘুম থেকে উঠে দরজা খোলতেই দেখি আমার দুই সাবেক ছাত্রী । ছাত্রী কি কখনো সাবেক হয় ? জানি না । ওরা এবার এসএসসি পরীক্ষা দেবে । প্রায় সব ছাত্রছাত্রীর সঙ্গেই আমার বেশ বন্ধুত্বসুলভ সম্পর্ক ছিলো । এখনো আছে । দরজা খোলতেই নিপা বললো, দিলাম তো স্যার আপনার মেজাজটা খারাপ করে । আমি স্নেহ করে বললাম, আয় । বস । বলেই আমি এসে শুয়ে পড়ি আবার । সুমি বললো, নিপা দেখছোস, আগে স্যারের রুমগুলো কতো পরিস্কার থাকতো । এখন কি ময়লা ? আমাকে কিছু না বলেই ওরা আম...