সরাসরি প্রধান সামগ্রীতে চলে যান

পোস্টগুলি

মে, ২০১৮ থেকে পোস্টগুলি দেখানো হচ্ছে

সুমি

সুমি চার বছর আগে । সিলেটের চা বাগানে । ছবিটি তুলেছিলো আমার জুনিয়র বন্ধু সুমি । মেয়েটি আমাকে খুব ভালোবাসতো । পত্রিকায় আমার লেখা পড়েই ফোন করেছিলো । কথায় ক থায় আন্তরিকতা গড়ে উঠে । তখন আমি রেইস কোর্স থাকতাম । রেইস কোর্সে আমার বন্ধুরাও এই ঘটনা জানতো । আমার মন খারাপ জেনে সে আমাকে সিলেট নিয়ে গিয়েছিলো । নেয়া বলতে আমাকে অনুরোধ করেছিলো যেন সিলেট যাই । আমি সেই অনুরোধে সাড়া দিয়ে গিয়েছিলাম । তার আগে সে আমাকে তাদের বাসায় যেতে অনুরোধ করেছিলো । আমি তার ফ্যামিলি সম্পর্কে জানতে চাইলে বলেছিলো, তার বাবা-মা, বড় ভাই-ভাবী, দুই ছোট বোন, এক ছোট ভাই নিউ ইয়র্ক থাকেন । দেশে সে, তার বড় বোন ,আর এক ছোট ভাই আছে । তারাও ইমিগ্রেশন ফরমালিটিস শেষ হলে আমেরিকায় চলে যাবে । ২০১২ সালের মাঝামাঝি একদিন সুমি ফোন করে তার বড় আপাকে দিলো । আপা আমাকে তাদের বাসায় যাওয়ার আমন্ত্রণ জানালেন । ১৯৮১ সালে একবার সিলেট গিয়েছিলাম কুমিল্লা জেলা পুলিশের ফুটবল টিমের সঙ্গে । এক রাত ছিলাম । খেলা শেষে আবার চলে আসি । একজন পুলিশ অফিসারের সঙ্গে আমার সখ্য ছিলো । আমি তখন ইন্টারমিডিয়েট ফার্স্ট ইয়ারে পড়তাম । এরপর আর সিলেট যাইনি । তো সুমি...

ভারত আমাদের বন্ধু নয়। ভারত আওয়ামী লীগের বন্ধু।

ভারত আমাদের বন্ধু নয়। ভারত আওয়ামী লীগের বন্ধু। ১৯৭১ সালে ভারত আমাদের স্বাধীনতার জন্য ১ কোটি শরণার্থীকে আশ্রয় দেয়নি,সাহায্য করেনি। ভারত পাকিস্তান ভাঙায় সাহায্য করেছিলো। ভারত ১৯৭৫ সালে পট পরিবর্তনের পর শেখ হাসিনাকেও ১৯৮১ সাল পর্যন্ত আশ্রয় দিয়েছিলো। অথচ শেখ হাসিনা ১৫ই আগস্ট ১৯৭৫ সালে বেলজিয়ামের ব্রাসেলস ছিলেন। সেখান থেকে তিনি জার্মানিতে যান। তখন জার্মানিতে বাংলাদেশের রাষ্ট্রদূত ছিলেন প্রয়াত হুমায়ুন রশিদ চৌধুরী। যিনি এরশাদের পররাষ্ট্র মন্ত্রী ছিলেন। পরে ১৯৯৬ সালে আওয়ামী লীগ সরকার গঠন করলে তিনি ওই সংসদের স্পিকার নিযুক্ত হন। শেখ হাসিনা চাইলে রাষ্ট্র প্রধানের কন্যা হিসেবে ইউরোপের যে কোনো দেশেই আশ্রয় পেতেন। কিন্তু তিনি ভারত বেছে নেন। প্রয়াত ইন্দিরা গান্ধী বলেছিলেন," মাথার এক দিকে ব্যথা নিয়ে ঘুমানো যায়। দুই দিকে ব্যথা নিয়ে ঘুমানো যায় না। " ভারতের দুই দিকে দুই পাকিস্তান ভারতের জন্য দুই দিকে মাথাব্যথা ছিলো। এখন এক দিকে ব্যথা।

মুসলিম সন্ত্রাসী

 মুসলিম সন্ত্রাসী নিউইয়র্কের রাস্তায় এক ভদ্রমহিলা হেঁটে যাচ্ছিলেন। রাস্তার পাশে তিনি দেখতে পেলেন, একটা বাচ্চা ছেলে বেলুন নিয়ে খেলছে। হঠাৎ একটা পাগলা কুকুর কোথা থেকে এসে ছেলেটাকে আক্রমন করে বসলো। ছেলেটা চিৎকার করে সাহায্য চাচ্ছিলো, কিন্তু রাস্তার কোন লোকই তাকে সাহায্য করতে এগিয়ে যাচ্ছিলো না। এটা দেখে মহিলাটি বাচ্চাটাকে সাহায্য করতে ঝাঁপিয়ে পড়লো। বেশ কিছুক্ষণ রক্তারক্তি যুদ্ধের পরে কুকুরটা মারা গেল, এবং ভদ্র মহিলাটি ছেলেটার জীবন রক্ষা করলো। রাস্তায় তখন অনেক মানুষ জমে গেছে, তাদের মুহুর্মুহ করতালিতে তখন রাস্তা সরগরম। সবাই ভদ্রমহিলাকে খুব অভিবাদন জানালো, এই রকম বীরোচিত কাজ করার জন্য বীর উপাধী দিয়ে দিলো। ততক্ষণে সংবাদিকরা চলে এসেছে। তারা ঘটনাস্থলের ছবি তুলে ভদ্র মহিলার ও ছবি তোলা শুরু করলো। ভদ্রমহিলাকে বললো, "আগামীকাল নিউইয়র্ক টাইমসে আপনার ছবি সহকারে এই ঘটনাটাই হেডলাইন হবে। হেডলাইনটি হবে এই রকমঃ নিউইয়র্কের অসীম সাহসী নাগরিকের অসাধারন বীরত্ত্বে বেঁচে গেল একটি শিশু"। ভদ্রমহিলা বললেন, " কিন্তু আমি তো নিউইয়র্কের অধিবাসী নই"। সাংবাদিকরা বললো...

জেমিমার পাসপোর্ট

জেমিমার পাসপোর্ট জেমিমার বয়স যখন চার বছর তখনি আমি জেমিমার মেশিন রিডেবল পাসপোর্ট করে রেখেছিলাম । কাগজপত্রে আর ডকুমেন্টে আমি নিজে যেমন সবসময় আপ টু ডেট থাকি জেমিমাকেও তেমন করেই গড়ে তুলতে চেয়েছি । যদিও তার মার সঙ্গে আমার সেপারেশন হয়ে গেছে তবে আমার ইচ্ছা অনুযায়ি তিনি জেমিমাকে গড়ে তুলছেন । গতকাল আমি মিরপুর ১ নাম্বারে G Mart এর Supreme Dinner এ অপেক্ষা করছিলাম । দুপুর সাড়ে ১২ টায় জেমিমা এলো তার মার সঙ্গে । আমাকে দেখেই জড়িয়ে ধরে চুমু খেয়ে বললো " পাপা, তুমি দাড়ি রেখেছো কেন ? কাজটা তুমি ঠিক করোনি ।" তারপর জেমিমা হট ডগ এর অর্ডার করাতে আমি অবাক হয়েছি । হট ডগ আমার প্রিয় ফাস্ট ফুড । ইউরোপ আমেরিকায় অনেক খেয়েছি । অনেকক্ষণ বাবা মেয়ে দুষ্টুমি করলাম । আমি এখনো জেমিমাকে দুট্টু মেয়ে বলে ডাকি । জেমিমার মা বললো, G Mart এর উল্টো দিকেই দোতলায় V I P's Party Center । ওখানেই আমরা লাঞ্চ করবো । সেন্ট্রালি এয়ার কনডিশনড রেস্তোরা । খুব পরিস্কার পরিবেশ রেস্তোরার । এবার আমাদের সঙ্গে জয়েন করলো কুমিল্লা থেকে যাওয়া -বন্ধু শামিম , ইঞ্জিনিয়ার কবির আর ব্যবসায়ী মোখলেস । ৩০ আইটেমের বুফে লাঞ...

নজরুল

নজরুল কবি, শিল্পী, সাহিত্যিক, লেখকদের জীবনে বহুমুখী প্রেম হয় । তারা প্রেমিকও । প্রেমিক না হলে সৃষ্টিশীল কিছু করা যায় না । তারা বহুমুখী মেধার অধিকারী । অনেকেই বলেন, বহ ুমুখী মেধাসম্পন্ন মানুষের বহুমুখী প্রেম হবে এটাই স্বাভাবিক । মেধাবীদের মেয়েরা ভালোও বাসে । তারা যেমন প্রেমকে বড় করে লিখেন- নারীকে বড় করে লিখেন আবার উল্টোও লিখেন । কলেজ জীবনে নজরুল সাহিত্য প্রচুর পড়েছি । নজরুলের একটা কবিতার কিছু অংশ আজো মনে আছে । মেয়ে বন্ধুদের রাগানোর জন্য এই কবিতাটা আমি প্রায়ই তাদের সামনে আবৃতি করতাম । কাজী নজরুল ইসলামের ওই কবিতাটির নাম ছিলো... “পূজারিণী” নারী নাহি হতে চায় শুধু একা কারো এরা দেবি এরা লোভী যতো পুজা পায় এরা চায় ততো আরো ইহাদের অতি লোভী মন এক জনে তৃপ্ত নয় এক পেয়ে সুখী নয় যাচে বহুজন যে পুজা পুজিনি আমি স্রস্টা ভগবানে যারে দিনু সেই পুজা সে-ই আজ প্রতারণা হানে...”   May 25, 2017

কিম জং উনের কাছে আমেরিকান প্রেসিডেন্ট ডোনাল্ড ট্রাম্পের চিঠি।

আগামী মাসে সিংগাপুরে প্রস্তাবিত শীর্ষ বৈঠক বাতিল করে উত্তর কোরীয় নেতা কিম জং উনের কাছে আমেরিকান প্রেসিডেন্ট ডোনাল্ড ট্রাম্পের চিঠি ।

শুধু একটি রাত চাই

শুধু একটি রাত চাই রুমানিয়ায় বেড়াতে গিয়েছিলাম ১৯৯২ সালে । অস্টৃয়া থেকে হাঙ্গেরি হয়ে রুমানিয়া । হাঙ্গেরি এবং রুমানিয়া দু’দেশে যেতে ই আমাদের ভিসা লাগে । রুমানিয়ান বান্ধবী ক্লাউদিয়া আমার সঙ্গে ম্যাকডোনাল্ডস এ কাজ করতো । ওরা ইংরেজি জানেনা বললেই চলে । শুধু রুমানিয়ান নয় । হাঙ্গেরি, চেক রিপাবলিক, স্লোভাকিয়া, পোল্যান্ড, বুলগেরিয়া, যুগোস্লাভিয়াসহ পূর্ব ইউরোপের তথা ইস্টার্ন ব্লক বা সাবেক সমাজতান্রিক দেশগুলোর লোকেরা একেবারেই ইংরেজি জানে না । ছাত্র জীবনে সমাজতান্ত্রিক আদর্শ ভালো লাগতো বলে লেনিন রচনাবলী, মাও সে তুং রচনাবলী , কার্ল মার্ক্সের ‘দি ক্যাপিটাল’সহ রাহুল সাংকৃত্যায়নের অনেক বই পড়েছিলাম । এখনো আগ্রহ আছে । তাই সুযোগ পেয়ে সমাজতান্ত্রিক দেশগুলো দেখার সুযোগ হাত ছাড়া করতে চাইনি । ক্লাউদিয়া আমাকে নিয়ে ভিয়েনাস্থ রুমানিয়ান দূতাবাসে গেলে সহজেই ভিসা পেয়ে যাই । আগেই আমার ধারণা ছিলো সমাজতান্ত্রিক দেশগুলোর অর্থনৈতিক অবস্থা খুবই খারাপ । এর আগে আমি চেকোস্লোভাকিয়া, সাবেক যুগোস্লাভিয়া ও হাঙ্গেরি ঘুরে এসেছি । যে টাকা বেতন পেতাম ঘুরাঘুরি করেই তা খরচ করে ফেলতাম । অনেকে আমাকে ‘বাদাইম্মা’ বলতো । অ...

ফেবুর চ্যাট লিস্ট

 ফেবুর চ্যাট লিস্ট ফেবুতে বসলে চ্যাটলিস্টের উপর দিকে কিছু নাম দেখা যায় ... এদের সাথে একসময় অনেক কথা হতো ... এখন আর হয়না ... সেই সময়টুকু হারিয়ে গেছে ... সেই ভালোলাগাটুকু আর নেই ... তাও ভদ্রতাবশত একে অন্যের ফ্রেন্ডলিস্টের কোনায় বসে থাকা হয় ... পরস্পরের পোস্ট চোখে পড়লে নীরবে একটা লাইক দিয়ে জানিয়ে দেওয়া হওয়া হয়ঃ "জানি ভালো আছো তুমি, আমিও থাকি!" মাঝে মাঝে নিজের কোন এক পুরানো পোস্টে ঢুকে খুব বোকা বোকা লাগে ... পাগলের প্রলাপের মত নিজেই একের পর এক কমেন্ট করে গিয়েছি ... হঠাৎ বুঝতে পারি ফাঁকে ফাঁকে অন্য কারো কমেন্ট ছিলো ... আইডিটা আর নেই কিন্তু আমার কথাগুলো তার না থাকাটাই নীরবে চিৎকার করে জানিয়ে দিচ্ছে!! কেউ কেউ থেকেও যেন থাকে না ... কেউ কেউ আবার জীবনে অল্প সময়ের জন্য এসে প্রচন্ড ভালোলাগার পরশ ভুলিয়ে আবার টুপ করে হারিয়ে যায় ... খুব ছোট্ট ছোট্ট এইসব স্মৃতিগুলো হঠাৎ একাকি রাতে মন খারাপ করিয়ে দেয় ... অকারণেই!! May 24, 2017 ·

এয়ারফোর্স ওয়ান

এয়ারফোর্স ওয়ান আমেরিকান প্রেসিডেন্টকে বহনকারী বিমানের নাম এয়ারফোর্স ওয়ান । বিশ্বজুড়ে এ বিমান নিয়ে আগ্রহের শেষ নেই । বিশ্বের সবচেয়ে অত্ যাধুনিক বিমানগুলোর অন্যতম এটি । মার্কিন প্রতিরক্ষা দপ্তর বিশেষভাবে এ বিমানটি তৈরী করেছে, যেখানে সবধরনের নিরাপত্তা সুনিশ্চিত করা হয়েছে । বিশ্বজুড়ে বিমানটি নিয়ে ব্যাপক আলোচনার কারনে এ বিমানটি অনেক পরিচিত । কিন্তু তারপরও বিমানটি সম্পর্কে এখানে যে নয়টি তথ্য দেয়া হলো সেগুলো এখনো অজানাই । ১.মার্কিন প্রেসিডেন্টকে বহনকারী বিমানটি ২৩২ মিটার লম্বা । ২.বিমানের ডানাগুলো ১৯৫ ফুট প্রশস্ত । ৩.বিমানটির কাঠামো এতই শক্ত যে, এটি ভূমি থেকে উৎক্ষেপিত নিউক্লিয়ার বোমাও প্রতিরোধে সক্ষম । ৪.প্রতিটি জানালাই বুলেটসহ যেকোন সামরিক হামলা মোকাবিলায় সক্ষম । ৫.এয়ারফোর্স ওয়ানের প্রতিঘন্টার উড্ডয়নের খরচ দুই লাখ মার্কিন ডলার । ৬.বিমানটিতে মোট ৮৫ টি ফোন লাইন আছে । ৭.বিমানটির ভেতরের অংশের মোট আয়তন চার হাজার স্কয়ার ফিট । ৮.বিমানটির যাত্রীধারণ ক্ষমতা ৭৬ জন, ক্রু মেম্বার ২৬ জন । ৯.প্রেসিডেন্টের ওভাল অফিসের মতো পুরো আরেকটি অফিস আছে বিমানটিতে । May 24, 2017

মাদক সম্পূর্ণ বন্ধ করা সম্ভব নয়

মাদক সম্পূর্ণ বন্ধ করা সম্ভব নয় মাদক সম্পূর্ণ ধ্বংস বা বন্ধ করা কিছুতেই সম্ভব নয়। এটা প্রাকৃতিক। ইয়াবা, ফেন্সিডিল বন্ধ করা যেতে পারে। গাঁজা, পপি ফুল থেকে হিরোইন, এগুলো উদ্ভিদ। পৃথিবীর সব দেশে জন্মায়। ফ্লোরিডায় এক মেয়ে প্রায়ই গাঁজা খেতো। তার নাম ক্রিস্টিনা। সে আমাদের গ্যাস স্টেশনে রেগুলার কাস্টমার ছিলো। স্টোর থেকে এল প্রোডাক্টো (El Producto)[ চুরুট] নিয়েই বাইরে গিয়ে গাঁজা বানাতো। গ্লাস দিয়ে ভেতর থেকে দেখা যেতো। একদিন তাকে জিজ্ঞে স করেছিলাম, Hey, Christina, why do you smoke marijuana? Why don't you drink Alcoholic Beverages? ( তুমি গাঁজা খাও কেন? মদ খাও না কেন?)। আমাকে অবাক করে দিয়ে সে বলেছিলো, Marijuana is created by God. But Alcoholic Beverage is manufactured by human. ( গাঁজা আল্লাহ বানিয়েছে। মদ মানুষ বানিয়েছে)। পৃথিবীর সব দেশে গাঁজা হয়। মাটি পেলেই তার অংকোরোধগম হয়। এটা কি করে বিনাশ করা সম্ভব? পৃথিবীর অনেক দেশেই সরকার গাঁজা নিয়ন্ত্রণে ব্যর্থ হয়ে তা বৈধ করে দিয়েছে। নেদারল্যান্ডসে বহুবছর ধরেই গাঁজা বৈধ। আমেরিকার অনেক স্টেটে গাঁজা বৈধ। আপনাদের দোস্ত দেশের ফেন্...

চাকরিজীবী মেয়েরা

অভিজ্ঞতা থেকে বলছি,কাউকে আহত করার জন্য নয়। যে সব মেয়েরা চাকরি করে এবং ফেবুতে বেশি সময় দেয়,তারা স্বামী বা প্রেমিককে মন দিয়ে ভালোবাসতে পারে না। চাকরিজীবী মহিলারা অফিসে পুরুষের সান্নিধ্য পায়,পাশাপাশি চেয়ারে বসে। কাজের কথা বলে। ফৃ টাইমে গল্প করে। ৮/১০ ঘন্টা বেশ কিছু পুরুষ কলিগের সঙ্গে থাকে। এটা এক ধরনের পুরুষ সঙ্গ। ফলে সংসার করলেও স্বামীর প্রতি তার আগ্রহ কম থাকে। অনেক সময় স্বামীর সঙ্গে কলিগের তুলনা করে মনে মনে। আর যে সব বিবাহিতা মেয়েরা ফেসবুকে বেশি সময় দেয়,তারাতো আরো বেশি। ভার্চুয়াল হলেও নিজের স্ট্যাটাসে কোন বন্ধু কেমন কমেন্ট করলো, তা সে মনযোগ দিয়ে দেখে। এ নিয়ে ব্যস্ত থাকে। কমেন্টের উত্তর দেয়। কমেন্টের উত্তর দেয়ার সময় ওই পুরুষ তার চিন্তা চেতনায় স্থান করে নেয়। এতে স্বামী বা প্রেমিক তার কাছে কিছু সময়ের জন্য গৌন হয়ে যায়। কারো কমেন্ট মন:পুত হলে তার প্রতি আগ্রহ জন্মে। ঘরে বসেই পুরুষ সঙ্গ পায়। অনেকে চ্যাটও করেন । প্রিয় মানুষের সঙ্গে যোগাযোগ করার চেয়ে ফেবু বন্ধুদের নিয়ে সময় কাটাতেই সে বেশি আনন্দ পায়। এটাও এক ধরনের ভালোবাসা বা ভালোলাগা। ভিন্নমত পোষন করার কোনো অপশন নেই। আমার স...

সাইকেলের টায়ার ফুটো করা

সাইকেলের টায়ার ফুটো করা অথবা মন্ত্রীদের ৭৫ হাজার টাকার মোবাইল ফোন মন্ত্রী, প্রতিমন্ত্রী, উপমন্ত্রী ও সচিবদেরকে বিনামূল্যে ৭৫ হাজার টাকায় মোবাইল ফোন দেয়ার প্রস্তাবে নীতিগত অনুমোদন দিয়েছে মন্ত্রিসভা। এই নিয়ে ফেসবুকে সমালোচনার ঝড় বয়ে যাচ্ছে। কেউ কেউ বলছেন যে তাঁদের দেয়া করের অর্থ এইভাবে অপচয় হচ্ছে সেটা অগ্রহণযোগ্য; কেউ কেউ এই নিয়ে হাসি-ঠাট্টাও করছেন। এই আলোচনা এবং প্রশ্নগুলো আপাতদৃষ্টে বেশ ইতিবাচক, বাংলাদেশের নাগরিকদের একাংশ সরকারকে জবাবদিহির মুখোমুখি করতে চাইছেন। কিন্ত যারা এই নিয়ে এত মন্তব্য করছেন আসলেই কী তাঁরা সরকারের জবাবদিহির প্রশ্নটিকে গুরুত্ব দেন? ধরুন এই যে সিদ্ধান্ত তার জন্যে কত ব্যয় হবে? ৯৮ লাখ ২৫ হাজার টাকা। মাত্র ৯৮ লাখ ২৫ হাজার টাকা। এই ফোনগুলোর জন্যে যতদিন ধরে বিল দেয়া হবে তার পরিমাণ কত হবে? কেউ একটা হিসেব করতে পারেন। কিন্ত প্রায় একই সময়ে আরেকটা খবর বেরিয়েছে, ‘অস্ট্রেলিয়ার তেল-গ্যাস অনুসন্ধান কোম্পানি সান্তোসকে ২৩০ কোটি টাকা লুটে নেওয়ার অভিনব এক সুযোগ করে দিয়েছে সরকারের জ্বালানি বিভাগ। এর মধ্যে ১২৯ কোটি টাকা নিয়ে গেছে সান্তোস। বাকি ১০১ কোটি টাকার জন্য চাপ দ...

সেনানিবাসে ব্যাংক ডাকাতি এবং অপরাপর প্রসঙ্গ

সেনানিবাসে ব্যাংক ডাকাতি এবং অপরাপর প্রসঙ্গ ঢাকা সেনানিবাসের অত্যন্ত স্পর্শকাতর স্থানে অবস্থিত একটি বেসরকারী ব্যাংকের বুথে নিরপত্তা প্রহরীকে হত্যা করে সব টাকা লুট হয়েছে! বিষয়টি দেশবাসীকে ভাবিয়ে তুলেছে! সেনাভবনের পার্শ্বে, পুরাতন ডিজিএফআই হোডকোয়ার্টারের বিপরীতে, সোনালী ব্যাংক কর্পোরেট ব্রাঞ্চের পার্শ্বে এহেন দুর্ধর্ষ ঘটনা জানান দিচ্ছে- সেনাবাহিনী ও সেনানিবাসের নিরাপত্তা ঠিকঠাক মত কাজ করছে না। সেনাভবন অর্থাৎ, সেনাবাহিনী প্রধানের বাসভবনের আশে পাশে কড়া পাহারা, তথা নিশ্ছিদ্র নিরাপত্তা থাকার কথা। কেতাবে লেখা থাকলে বাস্তবে নিশ্চয়ই সিস্টেমে বড় ধরনের গোলমাল আছে। আগে ধরে নেয় হতো, ক্যান্টনমেন্ট এমন একটি জায়গা, যেখানে আর যাই হোক, নিরাপত্তার কোনো সংকট নেই। চোর ডাকাত দূরের কথা, কোথাও কিছু রাস্তায় পরে থাকলেও কেউ তুলে নিবে না। অবস্থা দেখে স্পষ্ট বোঝা যাচ্ছে- সে যুগ হয়েছে বাসী। ঢাকা সেনানিবাসের ঘটনাস্থলের কাছাকাছি এলাকায় দীর্ঘকাল বসবাস করায় এর অলিগলি সব চেনা, মুখগুলোও পরিচিত। সেনানিবাসে ঢুকতে বেরুতে সিভিলিয়ানদের যে কী হয়রানি, তা ভুক্তভোগী মাত্রই জানেন বুঝেন। তদুপরি সিসিটিভি ও লেটেস্...

সাইকেলের টায়ার ফুটো

সাইকেলের টায়ার ফুটো করা অথবা মন্ত্রীদের ৭৫ হাজার টাকার মোবাইল ফোন মন্ত্রী, প্রতিমন্ত্রী, উপমন্ত্রী ও সচিবদেরকে বিনামূল্যে ৭৫ হাজার টাকায় মোবাইল ফোন দেয়ার প্রস্তাবে নীতিগত অনুমোদন দিয়েছে মন্ত্রিসভা। এই নিয়ে ফেসবুকে সমালোচনার ঝড় বয়ে যাচ্ছে। কেউ কেউ বলছেন যে তাঁদের দেয়া করের অর্থ এইভাবে অপচয় হচ্ছে সেটা অগ্রহণযোগ্য; কেউ কেউ এই নিয়ে হাসি-ঠাট্টাও করছেন। এই আলোচনা এবং প্রশ্নগুলো আপাতদৃষ্টে বেশ ইতিবাচক, বাংলাদেশের নাগরিকদের একাংশ সরকারকে জবাবদিহির মুখোমুখি করতে চাইছেন। কিন্ত যারা এই নিয়ে এত মন্তব্য করছেন আসলেই কী তাঁরা সরকারের জবাবদিহির প্রশ্নটিকে গুরুত্ব দেন? ধরুন এই যে সিদ্ধান্ত তার জন্যে কত ব্যয় হবে? ৯৮ লাখ ২৫ হাজার টাকা। মাত্র ৯৮ লাখ ২৫ হাজার টাকা। এই ফোনগুলোর জন্যে যতদিন ধরে বিল দেয়া হবে তার পরিমাণ কত হবে? কেউ একটা হিসেব করতে পারেন। কিন্ত প্রায় একই সময়ে আরেকটা খবর বেরিয়েছে, ‘অস্ট্রেলিয়ার তেল-গ্যাস অনুসন্ধান কোম্পানি সান্তোসকে ২৩০ কোটি টাকা লুটে নেওয়ার অভিনব এক সুযোগ করে দিয়েছে সরকারের জ্বালানি বিভাগ। এর মধ্যে ১২৯ কোটি টাকা নিয়ে গেছে সান্তোস। বাকি ১০১ কোটি টাকার জন্য চাপ ...

পলিটিশিয়ান!!!

পলিটিশিয়ান!!! যখন অস্টৃয়া ছিলাম তখন তো টগবগে যুবকই । নেপোলিয়নের হেড কোয়ার্টার শনব্রুনে প্রায়ই যেতাম । খুব সুন্দর জায়গা। প্রাণ জুড়িয়ে যায়। কি পরিচ্ছন্ন! চমৎকার সবুজের সমারোহ। ১৭শ শতাব্দিতে ভিয়েনার শনব্রুনে নেপোলিয়নের হেড কোয়ার্টার ছিলো । তখন নেপোলিয়ন সম্পর্কে জানার কৌতূহল বেড়ে গিয়েছিলো । নেপোলিয়ন বোনাপার্টকে নিয়ে ফরাসীরা আজো গর্ব করে । নেপোলিয়ন ফরাসী জাতিকে জগৎ সভ্যতার শ্রেষ্ঠ আসনে নিতে চেয়েছিলেন । যেমন চেয়েছিলেন জার্মান ডিক্টেটর অ্যাডলফ হিটলার জার্মানি কে । তো একদিন ভিয়েনার একটা বড় লাইব্রেরি থেকে কেনা এমিল লুডউইগের লেখা নেপোলিয়নের জীবনী পড়ে জেনেছিলাম, নেপোলিয়ন যখন ইজিপ্ট অভিযানে গিয়েছিলেন, তখন তিনি কোরানও পাঠ করেছিলেন জাহাজে বসে । সেখানকার মুসলমানদের মন জয় করবার জন্য তিনি যখন তখন কোরান থেকে উদ্ধৃতি দিতেন নিজের সুবিধা মতো । ইজিপ্টে গিয়ে তিনি একটা নতুন নামও নিয়েছিলেন । সুলতান এল কেবির । আমাদের দেশের রাজনীতিবিদরাও নেপোলিয়নের মতো মানুষের মন জয় করবার জন্য নানান কথা বলেন । আমরা যে একেবারেই বুঝি না তাতো নয় । শনব্রুনে নেপোলিয়নের হেড কোয়ার্টারে তোলা একটা ছবি । পেছন থেকে ছবি...

Life is like a piano

Life is like a piano , the white keys represents happiness and the black show sadness. But as you go through life's journey remember that the black keys also create music.

নীরবে চলে গেলো ষড়যন্ত্রের ২০ শে মে

নীরবে চলে গেলো ষড়যন্ত্রের ২০ শে মে    শেখ হাসিনা লেঃ জেঃ নাসিমকে দিয়ে ১৯৯৬ সালেই ২০০৭ সালের মতো সামরিক অভ্যুত্থান ঘটিয়ে ক্ষমতা কুক্ষিগত করার ব‍্যর্থ চেষ্টা করেছিলেন। অদ্ভুত হলেও সত্যি যে বাংলাদেশে প্রত্যেকটি সামরিক সরকার গঠিত হয়েছিল আওয়ামী লীগের নেতৃত্বে কিংবা সমর্থনে। ১৯৭৫ সালে সিনিয়র আওয়ামী লীগ নেতা খন্দকার মোশতাকের নেতৃত্বে শেখ মুজিবকে হত্যার মাধ্যমে দেশের প্রথম সামরিক অভ্যুত্থান হয় এবং সামরিক আইন জারী করা হয়, সেই সামরিক আইন প্রত্যাহার করে দেশকে বহুদলীয় গনতন্ত্রে ফিরিয়েছিল েন প্রেসিডেন্ট জিয়াউর রহমান। ১৯৮২ সালে লেঃ জেঃ এরশাদের সামরিক শাসনকে স্বাগত জানিয়েছিলেন শেখ হাসিনা; বিবিসির সাথে সাক্ষাতকারে বলেছিলেন- আই এম নট আনহ্যাপি! সেই এরশাদ এখনো হাসিনার বিশেষ দূত! ১৯৯৬ সালে ক্যাপ্টেন (অবঃ) তাজুলের মাধ্যমে লেঃ জেঃ নাসিমকে দিয়ে দিয়ে সামরিক অভ্যুত্থানের ব্যর্থ চেষ্টা করেছিলেন। আর ২০০৭ সালে লেঃ জেঃ মঈনের সামরিক অভ্যুত্থানকে স্বাগত জানিয়ে সেই সামরিক সরকারের শপথ অনুষ্ঠানে উপস্থিত হয়েছিলেন শেখ হাসিনা এবং সাংবাদিকদের কাছে দাবী করেছিলেন ঐ অভ্যুত্থান ছিল তার আন্দোলন...

সহবাস

সহবাস অনেকদিন আগে আমার লেখক বন্ধু Mahmuda Akhter বলেছিলেন, “আপনি ইদানীং অতীত স্মৃতিচারণ বেশি করছেন ।” আমি অতীতের কথাই বেশি লিখি । বেশিরভাগই আত্মজৈবন িক কথা । কয়েকদিন হয় একটা কথা মনে পড়ছে । লিখবো কি লিখবো না এ নিয়ে দ্বিধায় ছিলাম । আজ এক বন্ধুকে বলায় সে বললো, স্মৃতি কথা তো স্মৃতিই । এখানে ভালো স্মৃতি থাকবে । খারাপ স্মৃতিও থাকবে । সুখের কথা থাকবে । দুঃখের কথা থাকবে । কান্নার কথা থাকবে । আবার হাসির কথাও থাকবে । তেমনি এক হাসির কথা । আমি তখন ক্লাশ টেনে পড়তাম । বড় আপার ঝাউতলা বাসায় থাকতাম। ছোটবেলা থেকেই আমি একটু অন্য রকম । কেউ বলতো পোংটা, কেউ বলতো বান্দর, কেউ বলতো বৃটিশ, কেউ বলতো ইঁচড়েপাকা । কেউ বলতো মেধাবি । আমাদের দেশের মানুষেরতো মতের শেষ নেই ! তো শহর থেকে অনেক দূরের গ্রামের এক ভদ্রলোক এলেন ১৫ দিন আপার বাসায় থাকবেন । সেই আশির দশকে। তিনি বিএ পরীক্ষা দেবেন । ভিক্টোরিয়া কলেজে সীট । শহরে কোনো আত্মীয় নেই । দুলাভাইয়ের দিকে কেমন যেন আত্মীয় তিনি । তাই পরীক্ষা যতোদিন ততোদিন তিনি থাকবেন । তার থাকার জায়গা হলো আমার রুমে । আমি পড়ি টেনে আর তিনি বিএ পরীক্ষা দেবেন । অনেক সিনিয়র বলা যায় ...

ড. Matiur Rahman

ড. Matiur Rahman ------------------------- আমরা আজ পাঁচ বছর ফেবুতে ফ্রেন্ড । আমার অনেক লেখায়-ই উনি কমেন্ট করেন সময় পেলে । আমার লেখা পছন্দও করেন । আমিও তাঁর পোষ্ট পছন্দ করি । এ মাসের ১৩ তারিখ আমি 'লিজা' নামে একটা গল্প লিখেছিলাম । সেখানে তিনি কমেন্ট করেছেন এমন... "Matiur Rahman: চমৎকার একটা লেখা । কি সুন্দর নিষ্কলুষ ভালবাসার গল্প ! কিন্তু শতকরা ৯৫ ভাগ পুরুষরাই নিজের স্ত্রীর ব্যাপারে এরকম করে থাকেন, যেমন লিজা অথবা কাবেরীর স্বামী করেছেন বলে উল্লেখ করেছেন । তার কারণ, ১) সবাই মনের দিক থেকে আপনার মতো এত উদার হতে পারেনা; ২) স্ত্রী অন্য কারো প্রতি আকৃষ্ট হলে স্বামীরা নিজেকে ছোট মনে করেন । তবে আমার একটা পরামর্শ - এরকম অনেকগুলো ছোটগল্প সংকলিত করে “ভালবাসার গল্প” এই নামে একটা বই আপনি পাবলিশ করার চিন্তা করতে পারেন । ভাল থাকুন, আরো লিখুন ।'' আমি কমেন্টে উত্তর দিয়েছিলাম এমন... "Karim Chowdhury: আমার অনেক গল্প আছে । পড়েছেন সুদূর আমেরিকা থেকে । পরামর্শ দিয়েছেন বই প্রকাশ করার । অনেক ধন্যবাদ আপনাকে । এ দেশের প্রকাশকরা সুবিধার নয় । তবু আপনার মতামত গুরুত্বসহক...

দীপ্তিহীন অগ্নি

দীপ্তিহীন অগ্নি আজ থেকে অনেক বছর পর। বেশি না। ধরো ২০ বছর। আমি পৃথিবী থেকে বিদায় নেবো হয়তো তার আগেই। আমার ধারণা এতোদিন আমি বাঁচবো না। তোমার ছেলেরা বড় হয়ে লেখাপড়া শেষ করে বিয়ে শাদী করবে। চাকরি, ব্যবসা, সংসার নিয়ে ব্যস্ত থাকবে। তুমি পৌঁছাবে ৫০ এর কোঠায়। চুল পাকবে। যৌবন হবে গত। দেহ বিগতশ্রী, দৃষ্টি হবে বিদ্যুৎহীন। কপালের রেখাগুলো প্রচুর প্রসাধন প্রলেপের দ্বারাও তখন আর কোনোমতেই গোপনসাধ্য থাকবে না। সে সময় কোনো এক শিশির ভেজা শীতের সকালে, কিংবা কোনো এক হেমন্ত ের বিকেলে, অথবা কোনো এক বর্ষণ মুখর সন্ধ্যায়,কিংবা কোনো এক গভীর রাতে বা কোনো এক চৈত্রের ঘুঘু ডাকা দুপুরে অবকাশ মূহুর্তে বহু বছর আগেকার এক 'পাগলু'র তীব্র ভালোবাসার কথা স্মরণ করে ক্ষণিকের জন্যও তোমার মন উম্মনা হবে কিনা তা জানার কোনো উপায় থাকবে না। অদর্শন বেদনায় কোনো চিত্ত হবে না উদাস উতল। কোনো কপোল থেকে গড়িয়ে পড়বে না নয়নের উদ্বেল অশ্রুবিন্দু। সংসার থেকে যেদিন হবে অপসৃত, কোনো পীড়িত হৃদয়ে বাজবে না এতোটুকু ব্যথা,কোনো মনে রইবে না ক্ষীণতম স্মৃতি। যাযাবরের ভাষা নকল করে বলা যায়... " প্রেম জীবনকে দেয় ঐশ্বর্য,মৃ...

বিশ্বকাপ ফুটবল ও অপদার্থ জনগণ

বিশ্বকাপ ফুটবল ও অপদার্থ জনগণ ৫টি বিশ্বকাপ আমি দেশের বাইরে দেখেছি। ১৯৮৬ সালে মেক্সিকোতে অনুষ্ঠিত বিশ্বকাপ দেখেছিলাম। তখন আমি জাপানে। সেবার আর্জেন্টিনা চ্যাম্পিয়ন হয়েছিলো। ম্যাড়াডোনা তখনই নাম করেছিলো। যদিও তাকে আমার ততো ভালো খেলোয়াড় মনে হয় নি। ১৯৯০ সালে আমি অস্টৃয়াতে ছিলাম। সেবার ইটালিতে বিশ্বকাপ অনুষ্ঠিত হয়েছিলো। পাশের দেশ অস্টৃয়া। সেবার ফাইনাল হয়েছিলো জার্মানি আর আর্জেন্টিনার মধ্যে। জার্মানি চ্যাম্পিয়ন হয়েছিলো। ১৯৯৪ সালে হয়েছিলো আমেরিকার নয়টি সিটিতে । তখনো আমি অস্টৃয়া। সেবার ব্রাজিল চ্যাম্পিয়ন হয়েছিলো। ১৯৯৮ সালে হয়েছিলো ফ্রান্সে। তখন আমি আমেরিকায়। সেবার স্বাগতিক ফ্রান্স চ্যাম্পিয়ন হয়েছিলো। ২০০২ সালে বিশ্বকাপ ফুটবল অনুষ্ঠিত হয়েছিলো যৌথভাবে জাপান ও সাউথ কোরিয়ায়। তখনো আমি আমেরিকায়। নিজের কথা বেশি লেখা হয়ে গেলো যদিও। কোনো দেশেই ফুটবল নিয়ে এতো উম্মাদনা আমি দেখিনি। আমাদের দেশে যতো উম্মাদনা হয়। আগামি মাসের ১৪ তারিখ বিশ্বকাপ ২০১৮ শুরু হচ্ছে রাশিয়া ফেডারেশনে । কিন্তু পরিতাপের বিষয় এই যে, আমরা স্বাধীনতার ৪৭ বছরেও বিশ্বকাপ ফুটবল খেলতে সমর্থ হই নি। কিন্তু এই দেশে ফুটবল উন্মা...

ফেসবুক

ফেসবুক বাংলাদেশে যার হাতে একটা কম দামি মোবাইল আছে সেও ফেইসবুক একাউন্ট খুলে বসে আছে। লেখাপড়া কিছুই নেই। ওদের একমাত্র কাজ নিজের ও বন্ধুদের ছবি আপলোড করা। কয়টা লাইক পড়লো তা গুনে দেখা। আর মেয়েদের ছবি দেখা এবং লাইক মারা । বাংলাদেশে এইক্ষেত্রে এক সাম্যবাদী বিপ্লব ঘটে গেছে। নারী-পুরুষ, ছোট বড়, কাজেরলোক, বুয়া, ড্রাইভার,মালী, দারোয়ান-গাড়োয়ান, রাজমিস্ত্রী-রংমিস্ত্রী, ছাত্রছাত্রী, শিক্ষক, মডেল, সাংবাদিক, রাজনীতিবিদ, সন্ত্রাসী , চোর, ডাকাত , ছিনতাইকারী , ধর্ষণকারী , প্রতারক, সৎ, অসৎ নাস্তিক, আস্তিক, মদখোর, হুজুর,নিজ স্ত্রী-পরস্ত্রী, শ্যালক-শ্যালিকা, বালক-বালিকা, গায়ক-গায়িকা, নায়ক-নায়িকা,জমির দালাল, গরুর দালাল, চাকরির দালাল, দোকানদার, ব্যবসায়ী, চাকরিজীবী, কেরানি-অফিসার, বেকার, তরকারি বিক্রেতা, চা দোকানদার, যৌনকর্মী, মাদক বিক্রেতা-সেবি, হাফ ম্যাড, ফুল ম্যাড, শিক্ষিত-অশিক্ষিত সবারই ফেইসবুক একাউন্ট আছে । অনেকে ফেবু ঠিক ভাবে চালাতেও জানে না । ফেসবুক একাউন্ট যেন স্ট্যাটাসের প্রতীক হয়ে গেছে । এই কমিউনিস্ট ব্যবস্থাপনা কিভাবে আমাদের সমাজে বহাল হলো তা গবেষণার দাবি রাখে। (আমি কোন পেশাকেই ছোট করে দেখিনা । ...

মুজিব থেকে হাসিনা

মুজিব থেকে হাসিনা!! গণপ্রজাতন্ত্রী বাংলাদেশের প্রথম নির্বাচন হয় মার্চ, ১৯৭৩ সালে। ব্যক্তিগত আগ্রহ-অনাগ্রহের ব্যাপার নয়, পেশাগত দায়িত্ব পালন করতে হয় ওই নির্বাচনে। মাস খানেক ঘুম হারাম। বঙ্গবন্ধু ও আওয়ামী লীগে অন্যান্য নেতার সঙ্গে সারা দেশ ঘুরেছি। হেলিকপ্টারে তাঁর সঙ্গে সফর করার সময় ওই কয়েক সপ্তাহে বঙ্গবন্ধুকে খুব কাছে থেকে দেখেছি। স্টেটসম্যান, আনন্দবাজার পত্রিকা, হিন্দুস্তান স্ট্যান্ডার্ড, যুগান্তর, পিটিআই প্রভৃতি প্রতিষ্ঠানের কয়েকজন ভারতীয় সাংবাদিকও আমা দের সঙ্গে থাকতেন। খুব বড় হেলিকপ্টার। কোনো অসুবিধা হতো না। যেখানেই যেতাম, আমাদের খাওয়াদাওয়ার খোঁজ না নিয়ে বঙ্গবন্ধু খেতে বসতেন না। ভোটের দুই দিন আগে তাঁর সঙ্গে শেষ নির্বাচনী প্রচারণায় যাই মুন্সিগঞ্জ ও মানিকগঞ্জে। সংক্ষিপ্ত সভা শেষে স্থানীয় নেতা হাবু মিয়া ও কর্মকর্তাদের সঙ্গে বঙ্গবন্ধু হাস্যরস করছিলেন। তিনি তাঁদের লক্ষ করে আমাদের দেখিয়ে বললেন, ‘ওদের খাঁটি ছানার মিষ্টিমণ্ডা কিছু খাওয়াও। তা না হলে কিসের মধ্যে কী লেখে।’ হেলিকপ্টারে ওঠার সময় এসডিও (মহকুমা প্রশাসক) হিন্দুস্তান স্ট্যান্ডার্ড-এর তুষার পণ্ডিত ও আমার হাতে কয়েক হাঁড়...

Exploitation of Rohingya girls

Exploitation of Rohingya girls Bangladesh has achieved a lot of international praise for giving shelter to the Rohingya fleeing brutal ethnic cleansing in Myanmar.But the news brings disturbing developments. It is a matter of sorrow and shame that young Rohingya girls are victim of sexual exploitation and are being sold into prostitution in Cox's Bazar, as recently reported by the BBC. Apparently, the government and security forces have not taken enough steps to stop this type of criminal activities. Now it is time that the government takes proper actions against the criminals trafficking those helpless girls. Otherwise, the good reputation that Bangladesh had earned for itself in Rohingya crisis will quickly disappear.

রবার্ট মুগাবে

  রবার্ট মুগাবে জিম্বাবুইয়ের সাবেক প্রেসিডেন্ট রবার্ট মুগাবের হাস্যরসবোধ সর্বজনবিদিত। একবার তিনি বলেছিলেন " তুমি যদি দেখতে কুৎসিত হও তবে তুমি কুৎসিত ই। কারণ কেউ এক্সরে নিয়ে ঘুরে বেড়াচ্ছে না যে, তোমার ভেতরের সৌন্দর্য দেখবে। "

কুমিল্লার ইতর

কুমিল্লার ইতর স্কুল কলেজ জীবন থেকেই শোনে এসেছি কয়েকটি বিশেষ জেলার লোক কুমিল্লার লোকদের 'ইতর' বলে যা নিগেটিভ বা ঋণাত্মক অর্থে ব্যবহার হয়। গ্রেটার নোয়াখালীর লোকেরাই কুমিল্লার লোকদের 'ইতর' বলে বেশি । দুই প্রতিবেশি জেলার মাঝে কেন এই বিরোধ তা আমার বোধগম্য নয় । আমাদের স্কুল কলেজ জীবনে ফেনি,লক্ষীপুর জেলা ছিলো না । গ্রেটার নোয়াখালীর অংশ ছিলো। ব্রাম্মনবাড়িয়া, চাঁদপুরও কুমিল্লার সাব ডিভিশন ছিলো। এরশাদ সাহেব যখন ১৯ জেলাকে ৬৪ জেলা করলেন তখন চাঁদপুর, ব্রাম্মনবাড়িয়াও জেলার মর্যাদা পায়। আর গ্রেটার নোয়াখালী ভেঙে ফেনি ও লক্ষীপুর জেলা হয়। যদিও ফেনি,লক্ষীপুরের ভাষাও নোয়াখালীর ভাষা। 'আঁই কিচ্চি' টাইপ। কয়েকদিন আগে আমার এক বন্ধু বলেছে, নোয়াখালী, সিলেট আর চট্রগ্রামের ভাষা শোনলে ইচ্ছা করে মাতৃভাষার জন্য আবার যুদ্ধ করি। আমি আমার 'ভেলভেট প্রতারণা ' লেখায় লিখেছিলাম, " বাংলা ভাষাটা নোয়াখালী গিয়ে আহত হয়েছে, সিলেট গিয়ে নিহত হয়েছে,আর চট্রগ্রাম গিয়ে লাশটাই গায়েব হয়ে গেছে।" আমি বিদেশে অনেক জেলার লোকের সঙ্গে চলেছি। বিদেশে জেলার চেয়ে দেশ বড় হয়ে দেখা দেয় । আম...

পাসওয়ার্ড

পাসওয়ার্ড আমার এলাকার কিছু মেয়ে আছে । তারা কেউ আমার ছাত্রী আবার কেউ দূর সম্পর্কের আত্মীয় । কলেজ পড়ুয়া এসব মেয়ে তাদের ফেসবুক একাউন্টের পাসওয়ার্ড ভালোবাসায় গদগদ হয়ে প্রেমিক কে দেয় । এসব মেয়েরা আমার লেখায় কমেন্ট করে । স্বাভাবিকভাবেই আমি তাদের কমেন্টের উত্তর দিই । কিন্তু কিছুক্ষণ পর দেখা যায় তার কমেন্টটা ডিলিট করে দিয়েছে । এতে আমার উত্তর অপ্রাসঙ্গিক হয়ে যায় । তাই এই শ্রেণির কয়েকজনকে ব্লক করেছি । গতকাল একজন আমাকে বললো, সে তার কমেন্ট ডিলিট করে নি । তার একাউন্ট অন্য কেউ নিয়ে গেছে । একজনের একাউন্ট অন্য কেউ কিভাবে নেয় তাকে প্রশ্ন করলে সে কোনো সদত্তর দিতে পারে নি । তাই অনুরোধ, বয়ফ্রেন্ড হোক আর গার্লফ্রেন্ড হোক, স্বামী হোক আর স্ত্রী হোক- কারো পাসওয়ার্ড কাউকে দেয়া শুধু অন্যায় নয়, অপরাধ । এটা ব্যক্তিত্বহীনতাও বটে । কেউ যদি মনে করে ইনবক্সে কারো সঙ্গে চ্যাট করে প্রেমে জড়িয়ে পড়বে বন্ধু, বান্ধবী, স্বামী বা স্ত্রী তাহলে তাদের ফেসবুক চালানোর প্রয়োজন কী ? আর এতো অবিশ্বাস নিয়ে প্রেম ভালোবাসার দরকার কী ? স্বামী স্ত্রীর বেলায়ও একই কথা খাটে । প্রিয়জন পাসওয়ার্ড জানা ভালোবাসার প্রকাশ নয় । এ...

শাকিল

শাকিল ছেলেটির নাম শাকিল। জহিরের নূরজাহান হোটেলে ওয়েটারের জব করে । তার বয়স ১৪ । পড়েছে ক্লাশ ফোর পর্যন্ত। বাড়ি সৈয়দপুর । এখন আমি মীম কনফেকশনারিতে কফি খাচ্ছি । সে বললো,স্যার আমারে একটা ফেসবুক একাউন্ট খুইল্লা দেন না!!!! আমি স্নেহের সুরেই ধমক দিয়ে বললাম,তুমি ফেসবুক দিয়ে কি করবা ? তার ছবি তুলে তাকে জিজ্ঞেস করলাম,ফেবুতে আমি এখন তোমার কথা লিখবো । তোমার আপত্তি আছে ? সে খুশি হয়ে রাজি হলো । তার সামনেই লিখলাম । ফোর পর্যন্ত পড়া শাকিলের মতো কোটি কোটি ছেলে মেয়ে এদেশে ফেসবুক চালায়!!!!!! কাল শোনেছি তার ফেসবুক একাউন্ট আছে !!!!! মে ১৬, ২০১৭

হাংগেরি

হাংগেরি পূর্ব ইউরোপ যাকে বলে ইস্টার্ন ব্লক তথা সাবেক সভিয়েট ব্লকের সমাজতান্ত্রিক দেশগুলোতে ঘুরতে অনেক মজা । জিনিষপত্রের দাম খুব কম । হাঙ্গেরির মুদ ্রার নাম ফরিন্ট (Forint) । ভিয়েনা থেকে বাসে বা ট্রেনে সরাসরি বুডাপেস্ট যাওয়া যায় । ভিয়েনা টু বুডাপেস্ট দূরত্ব মাত্র ১৩৪ মাইল বা ২১৫ কি.মি । হাঙ্গেরির রাজধানী বুডাপেস্ট শহরটি বেশ মনোরম । ড্যানিয়ুব নদীর তীরে এই শহর । ভিয়েনাও ড্যানিয়ুব নদীর তীরে । আবার চেক রিপাবলিকের রাজধানী প্রাগও ড্যানিয়ুব নদীর তীরে । ড্যানিয়ুব ইউরোপে খুব নাম করা নদী । সবাই জানেন বুডা আর পেস্ট নামে দুটি আলাদা শহরকে একসঙ্গে জোড়া হয়েছে । মাঝখান দিয়ে বয়ে চলেছে ড্যানিয়ুব নদী । বুডা শহরটি প্রাচীন , আর পেস্ট একবারেই আধুনিক । বাংলাদেশের চেয়ে একটু ছোট দেশ হাঙ্গেরি । তখন জনসংখ্যা ছিলো ৮০ লাখ । এখন এক কোটি । হাঙ্গেরি ল্যান্ড লক ( Land locked) মানে ভুবেষ্টিত দেশ যার কোন সমুদ্র সৈকত নেই । বালাতোন হ্রদই তাদের সী বীচ । উল্লেখ করার মতো হাঙ্গেরিতে অনেক কিছু আছে । তার মধ্যে বালাতোন হ্রদ (Balaton Lake) অন্যতম । বুডাপেস্ট থেকে বালাতোন যেতে দু’ঘন্টা লাগে ।...

সূরা লাহাব

  সূরা লাহাব ধর্মীয় কিছু কিছু বিষয়ে আমার খটকা লাগে। যেমন, আবু লাহাব মারা গেছে বহু আগে। নিশ্চয়ই তার হাড় মাংস গলিত হয়েছে ও মাটির সাথে মিশে গেছে। তার পরেও আমরা নামাজে সূরা লাহাব পাঠ করে তার হাতকে ধ্বংস হওয়ার কামনা করি। মৃত ব্যাক্তিতো নিজেই ধ্বংস এবং ক্ষয় প্রাপ্ত, তার পরেও তাকে ধ্বংস হতে বলা কি যৌক্তিক? তবে কি আল্লাহ মৃত্যুর পর আবু লাহাবের শরীর এখনও অক্ষত রেখেছেন? ইসলামি স্কলারদের মতামত জানতে চাই। আমি পড়েছি, অনেক সূরা নাজিল হয়েছে সেই সময়কার অবস্থার প্রেক্ষিতে যা বর্তমানে প্রয়োজন নেই।

মার মৃত্য

মার মৃত্য আগে বিভিন্ন দিবস আমি ঘটা করেই পালন করতাম । ফাদার্স ডে,মাদার্স ডে,ভ্যালেনটাইনস ডে,থ্যাংকসগিভিং ডে,মেমোরিয়েল ডে । আমার ঘটা করে পালন করা ছিলো ওইসব বিশেষ দিনের উপর পত্রিকায় আরটিক্যাল লেখা । মাকে নিয়ে লিখিনি আলাদা কোন লেখা । বিভিন্ন লেখায় মার প্রসঙ্গ এসেছে । বাবাকে নিয়ে আমার বিশেষ কোনো স্মৃতি নেই। বাবার কোনো ছবিও নেই। বাবা খুব রক্ষণশীল ছিলেন। ছবি তোলা পাপ মনে করতেন। ছবিতে আমার মা । সেই কলেজ জীবনে । মা মারা যান ২০ আগস্ট,১৯৯৭ । আমি তখন নিউ ইয়র্কে ছিলাম । প্রথম খবর দিয়েছিলো ভাতিজা বাবলু হংকং থেকে ফোন করে । নিউ ইয়র্ক সময় ভোর পাঁচটা । আমি থাকতাম ৪৪৪ থার্ড এভিনিউতে । ম্যানহাটান বা নিউ ইয়র্ক সিটির গুরুত্বপূর্ণ জায়গা । এই সিটিকে ক্যাপিটাল অফ দ্য ওয়ার্ল্ড বলা হয় । জাতিসংঘ সদর দফতর, বেলভিউ হসপিটাল,টাইমস স্কোয়ার ,এম্পায়ার স্টেট বিল্ডিং,১১ সেপ্টেম্বর ২০০১ সালে সন্ত্রাসী বিমান হামলায় বিধ্বস্ত টুইন টাওয়ার বা ওয়ার্ল্ড ট্রেড সেন্টার,পাবলিক লাইব্রেরি,রকফেলার সেন্টার,এবিসি,এনবিসি,সিবিএস,ফক্স নিউজ চ্যানেল সবই ছিলো বাসা থেকে ওয়াকিং ডিসট্যান্স । একদিকে হাডসন রিভ...