সরাসরি প্রধান সামগ্রীতে চলে যান

পোস্টগুলি

জুন, ২০১৮ থেকে পোস্টগুলি দেখানো হচ্ছে

আমেরিকার স্বাধীনতা দিবস উদযাপন

আমেরিকার স্বাধীনতা দিবস উদযাপন করিম চৌধুরী প্রতি বছর জুলাই মাসের চার তারিখ চমৎকারভাবে উদযাপিত হয় আমেরিকার স্বাধীনতা দিবস । দিনটি গুরুত্বপূর্ণ, সরকারি ছুটির দিন । ১৯৯৭ সালে দিনটি পড়েছিল শুক্রবারে । শনি ও রবিবার মিলে টানা তিন দিন ছুটি । সামারে চমৎকার লম্বা উইকএন্ড । গা-জ্বলা রোদে মানুষজন দল বেধে ছুটেছে আটলান্টিকের পাড়ে । সারাক্ষণ কোলাহল ভরপুর পৃথিবীর ব্যস্ততম সিটি, ক্যাপিটাল অফ দি ওয়ার্ল্ড বা বিশ্বের রাজধানী বলে পরিচিত নিউ ইয়র্ক আজ তুলনামূলকভাবে বেশ শান্ত । প্রতিদিনকার মতো কর্মচাঞ্চল্য আজ নেই । রাস্তায় গাড়ির সংখ্যা চোখে পড়ার মতো কম । এ দেশের বেশির ভাগ গুরুত্বপূর্ণ জাতীয় অনুষ্ঠানগুলো উইন্টারে । অথচ আমেরিকার স্বাধীনতা দিবসটি পড়েছে টাটকা সামারে । পশ্চিমের হাড় কাঁপানো শীতের কথা আমরা অনেকেই জানি । কিন্তু এই শীত প্রধান দেশগুলোতে যে এতো গরম পরে, তা এসব দেশে না গেলে কিংবা গল্প, উপন্যাস না পড়ে অনুমান করা কঠিন । জুন মাসের প্রথম থেকেই বড় বড় ডিপার্টমেন্ট ষ্টোর আর মোটরকার কম্পানিগুলো রেডিও, টিভি এবং পত্র পত্রিকায় অবিরাম বিজ্ঞাপন দিয়ে চলে ‘ইনডিপেনডেন্স ডে সেল’। অর্থাৎ স্বাধীনতা দিবস ...

মুজিবের একমাত্র মেধা

মুজিবের একমাত্র মেধা মুজিবের একমাত্র মেধা ছিল মূর্খ লোকদের উত্তেজিত করে তোলার ক্ষেত্রে। তিনি ছিলেন কথামালার যাদুকর ও মিথ্যের যাদুকর --- ওরিয়ানা ফ্যালাসি। নিচের অংশটুকু হুবহু তার টেপ থেকে নেয়া: “ম্যাসাকার ? হোয়াট ম্যাসাকার ?” “ঢাকা স্টেডিয়ামে মুক্তিবাহিনীর দ্বারা সংঘটিত ঘটনাটি।” “ঢাকা স্টেডিয়ামে কোন ম্যাসাকার হয়নি। তুমি মিথ্যে বলছো।” “মি. প্রাইম মিনিস্টার, আমি মিথ্যাবাদী নই। সেখানে আরো সাংবাদিক ও পনেরো হাজার লোকের সাথে আমি হত্যাকাণ্ড প্রত্যক্ষ করেছি। আপনি চাইলে আমি আপনাকে তার ছবিও দেখাবো। আমার পত্রিকায় সে ছবি প্রকাশিত হয়েছে।” “মিথ্যেবাদী, ওরা মুক্তিবাহিনী নয়।” “মি. প্রাইম মিনিস্টার, দয়া করে ‘মিথ্যেবাদী’ শব্দটি আর উচ্চারণ করবেন না। তারা মুক্তিবাহিনী। তাদের নেতৃত্ব দিচ্ছিল আবদুল কাদের সিদ্দিকী এবং তারা ইউনিফর্ম পরা ছিল।” “তাহলে হয়তো ওরা রাজাকার ছিল যারা প্রতিরোধের বিরোধিতা করেছিল এবং কাদের সিদ্দিকী তাদের নির্মূল করতে বাধ্য হয়েছিল।” “মি. প্রাইম মিনিস্টার, কেউ প্রমান করেনি যে, লোকগুলো রাজাকার ছিল এবং কেউই প্রতিরোধের বিরোধিতা করেনি। তারা ভীতসন্ত্রস...

একটি মেয়ের জন্য…!!

একটি মেয়ের জন্য…!! স্পেনের জালিম সম্রাট রডরিক তার আঞ্চলিক গভর্ণর কাউন্ট জুলিয়ানের মেয়ে ফ্লোরিডার সম্ভ্রমহানি করেছে! কন্যার এমন অপমান সহ্য করা যেকোন পিতার পক্ষেই কঠিন। কিন্তু কিছুই করার নেই। তবে তিনি শুনেছেন, ন্যায়বিচারক হিসেবে খ্যাত একজন আছেন- আফ্রিকার গভর্ণর মুসা বিন নুসাইর। কন্যাকে নিজের ব্যর্থ মুখ দেখানোর চেয়ে আফ্রিকা যাওয়াই উচিত মনে করলেন। জুলিয়ান এসেছেন মুসার কাছে। এক অসহায় পিতার মুখে কন্যার নির্মমতার কথা বাকরুদ্ধ হয়ে শুনছিলেন মুসা। কথা তখনো শে ষ হয়নি, হটাৎ তাঁর বিশ্বস্ত সেনাপতি তারিক বিন যিয়াদকে জরুরী তলব করে গম্ভীর স্বরে বললেন: চরিত্রহীন রডরিকের কাছে নারীরা নিরাপদ নয়। তাকে হটিয়ে সমগ্র স্পেন দখল করতে হবে। জুলিয়ান অবাক হয়ে দেখলেন, সেদিনই স্পেন দখলের জন্য রওনা হয়ে গেল তারিকের বিশাল বাহিনী..! ° গভর্ণর হাজ্জাজ বিন ইউসুফের কাছে দেবল [বর্তমান করাচী] থেকে একটি চিঠি এসেছে। দেবলের রাজা দাহির মুসলিম বণিক কাফেলাকে আটক করেছে। সেখান থেকে এক বন্দী মেয়ে চিঠিটি পাঠিয়েছে। মেয়েটি লিখেছে: "মুসলমানদের তলোয়ার যদি ভোতা না হয়, তারা যেন আমাদের ডাকে সাড়া দেয়!...

হাজার বছরের প্রতিশোধ নিলাম আজ

প্রসঙ্গ :- # হাজার বছরের # প্রতিশো ধ নিলাম আজ’ একথা কেনো বলেছিলেন # ইন্দিরা গান্ধী? ১৯৭১ সালের ১৬ ই ডিসেম্বর বাংলাদেশ নামে প্রিয় মাতৃভূমির অভ্যুদয় হয়। নতুন জীবনের জয়গান গাইবার জন্য প্রিয় মাতৃভূমির প্রতিটি মানুষ খুশিতে আত্মহারা হয়েছিল। বাংলাদেশের আপামর জনতা সেদিন উৎফুল্ল হয়েছিল, আনন্দে মেতেছিল বাংলাদেশীদের মনপ্রান… জানেন কি, সেদিন আমাদের সাথে সাথে আরেকটি দেশও বেজায় উৎফুল্ল হয়েছিল?! সেই দেশটার নাম আমাদেরই প্রতিবেশী বন্ধু ভারত। সেদিনই ভারতের পার্লামেন্টে তৎকালীন প্রধানমন্ত্রী ইন্দিরা গান্ধী বিজয়ের মুষ্টি উঁচিয়ে ঘোষণা দিয়েছিলেন, ‘হাজার সাল কা বদলা লিয়া’ অর্থাৎ হাজার বছরের প্রতিশোধ নিয়েছি! সামান্য কাণ্ডজ্ঞান সম্পন্ন মানুষ উপরের কথাটি শুনলে কোন প্রকার ব্যাখ্যা ছাড়াই বুঝতে পারে যে কথাটি তিনি কেন বলেছিলেন। ইতিহাস থেকে পাই, ব্রিটিশ থেকে স্বাধীনতা প্রাপ্তির মাত্র ২৩ বছর পর ভেঙ্গে দুই টুকরা হয় মুসলিম দেশ পাকিস্তান। সুতরাং এখানে স্পষ্ট প্রতীয়মান হয় হাজার বছরের বদলা বলতে এ ২৩ বছর কে বলা হয়নি, ইন্দিরা গান্ধী পাকিস্তানীদের সাথে এ ২৩ বছরের প্রতি আঙ্গুল তুলেণ ন...

জোক

 জোক পুরনো একটা জোক মনে পড়লো। গানের মতো অনেক কিছুই আমার মুখস্থ থাকে। যারা ইংরেজিতে ভালো শুধু তাদের জন্য । A wealthy man suspects his wife of being unfaithful.So he hired a detective to watch his wife.The man wants report in English but the detective is very weak in English.Following is the detective's report...... "You leave house, I watch house, Man come to house, Man ring door bell, Wife open door, Man go in house, Man and wife leave house, They go railway station, I go railway station, They go on train, I go on train, They get off train, I get off train, They go to hotel, I go to hotel, They go inside room, I no go inside room, I climb tree outside window, I saw from tree through window, He undress She, She undress He, He play with She, She play with He, I play with me, He fell from bed, She fell from bed, I fell from tree, I no see more."

কাবেরী

কাবেরী   ঠিক এক বছর আগে। এই দিনে। আমার ফেসবুক বন্ধু Kaberi Mirza ও তার হাসব্যান্ড Mirza Mamun এই সকাল বেলায়ই ঢাকা থেকে রান্না করে আমার জন্য গরুর মাংস,পোলাউ,কাস্টার্ড, এক বৈয়াম কফি,একটা বিদেশি রেড বুল,তিন প্যাকেট সিগারেট, সিগারেট রাখার একটা সুন্দর বক্স যাতে লাইটারও আছে । আলাদা একটা দামি লাইটার নিয়ে এসেছেন । এসব ভালোবাসাই আমার বড় অনুপ্রেরণা । শুধু ধন্যবাদই তাদের জন্য যথেষ্ট নয় । ফেবুতে আমার লেখা পড়েই তারা আমাকে চেনে । ভালোবাসে ।   June 27, 2017 সেদিন তাদের আমি বাসায় মানে চার তলায় উঠে চা খেয়ে যাওয়ার আমন্ত্রণ জানিয়েছিলাম। আমাকে তারা বলেছিলো,ফেরার পথে চা খেয়ে যাবেন। আমি সারাদিন তাদের জন্য অপেক্ষা করেছিলাম। কিন্তু তারা আসেন নি এবং আমাকে ফোন করে এপয়েন্টমেন্ট ক্যানসেলও করেন নি। এরপর আমি ফেবুতে তাদের স্ট্যাটাস দেখি তারা ঢাকায় ফিরে গেছে। তখন আমি আগের দুটো স্ট্যাটাস লিখি। সেই থেকেই তাদের সঙ্গে আমার সম্পর্কের অবনতি। এবং আস্তে আস্তে তা শেষ। এখন তারা শুধুই স্মৃতি আমার কাছে। আমি যেমন তাদের ভুলতে পারছি না,আমি জানি তারাও কোন দিন আমাকে ভুলতে পারবে না। 27.06.2018

ভূয়া মুক্তিযোদ্ধা

ভূয়া মুক্তিযোদ্ধারা রাজাকার আলবদরের চাইতেও বেশী ঘৃনিত, নিকৃষ্ট ও পাপী . ১৯৭৫ সালের ১৫ই অগাস্টে র আগে আমরা জানতাম মুক্তিযোদ্ধার সংখ্যা(FF) = ৫৭০০০, মুজিব বাহিনী(BLF) = ৩০০০ হাজার, কাদের সিদ্দিকি বাহিনী = ১০০০ সহ মোট = ৬১০০০। এর মধ্যে আবার ৫৭০০০ মুক্তিযোদ্ধা(FF) সহ আওয়ামীলীগের মূল নেতৃত্ব তথা সৈয়দ নজরুল ইসলাম,তাজউদ্দিন আহমেদ, মনসুর আলী, কামরুজ্জামান, আব্দুল মান্নান, আব্দুল মোমেন,ব্যরিস্টার আমিরুল ইসলাম, জেনারেল ওসমানী ও শেখ কামাল সহ ১৯৭০ সনের আওয়ামীলীগের ১৬৭ জন এমএনএ , ৩০০জন এমপিএ সবাই ৩০০০ মুজিব বাহিনীকে মুক্তিবাহিনী বলে স্বীকার করতেন না। তাঁরা এই ৩০০০ মুজিব বাহিনীকে স্বাধীনতার বিরুদ্ধ বা শত্রু বলে মনে করতেন। যাক,তবুও ধরে নিলাম ১৯৭৫ এর ১৫ই অগাস্টের আগে মুক্তিযোদ্ধার সংখ্যা ছিল ৩০০০ বিতর্কিত মুজিব বাহিনী সহ ৬১০০০। জিয়াউর রহমান ক্ষমতায় এলে তাঁকে কেন্দ্র করে কেউ কেউ বলা শুরু করে শুধু আওয়ামীলীগের লোকেরা ও ভারতীয় সেনারাই যুদ্ধ করে নাই। আমরাও যুদ্ধ করেছি। জিয়াউর রহমানকে সামনে রেখে এই বক্তব্য দিয়ে ২০,০০০ নতুন মুক্তিযোদ্ধা যোগ হয়। সংখ্যা হলো ৮১০০০। ১৯৮৪ সালে এরশাদ ক্ষমতায় এসে ত...

বাতাস

বাতাস বাতাস লেগে হয়ে যেতে পারেন গর্ভবতী!!! কি সুন্দর দৃষ্টিপথ! ডাঃএর কাছে মা নিয়ে গেলো ২১ বৎসরের মেয়েকে.... অবিবাহিতা । রোগী'র কমপ্লেইন হলো,গত ৩মাস যাবত তার পিরিয়ড বন্ধ এবং সাথে এক ডাক্তারের ৩মাস পূর্বের প্রেসক্রিপশন দেখিয়ে অভিযোগ করলো, ঐ ডাক্তারের ঔষুধ খেয়েই তার এই সমস্যা হইছে ! প্রেসক্রিপসনে দেখলাম UTI-এর চিকিৎসা দেওয়া । রুগী ও তার মা'কে বুঝানো'র চেষ্টা করলাম যে, ঐ ঔষুধগুলোতে এই রকম হওয়ার কোন সম্ভাবনাই নাই । ব্যার্থ হলাম... তারা তাদের অভিযোগেই অটল । যা হোক,কথা না বাড়িয়ে একটা তলপেটের USG ও প্রস্রাবের রুটিন পরীক্ষা করতে বললাম । USG করতে গিয়ে দেখি ..১২সপ্তাহের Pregnancy ....আমি অবাক হলাম না, এই রকম অনেক দেখেছি ! মেয়ে এবং তার মা'কে বলার সাথে সাথে মেয়ে লাফ দিয়ে উঠলো USG বেড থেকে,'কি বলেন এইসব ? আম্মা গো, আম্মা এই ডাক্তার এই সব কি বলে ! কি ভাবে সম্ভব !! আম্মা বিশ্বাস করো...ডাক্তার সাব বিশ্বাস করেন,আমার এই রকম কোন কিছুই ছিলো না ।আল্লাহ্ গো আল্লাহ্ ..তুমি আমারে একি শুনাইলা....' কাঁদতে কাঁদতে প্রায় অজ্ঞান হয়ে যাওয়ার দশা । মা'র ...

বিয়ানি

বিয়ানি গতকাল আমাদের দেশের কিছু নাম নিয়ে অল্প কিছু লিখেছিলাম । এতে অনেকেই রাগ করেছেন । আমি কি বুঝাতে চেয়েছিলাম তা অনেকে বুঝতেই পারেন নি । দেশপ্রেমের সঙ্গে যে নামের কোনো সম্পর্ক নেই এটা বুঝার মেধা আল্লাহ তাদের দেন নি । নাম নিয়ে মানুষ কতো রকমের বিভ্রান্তিতে পড়ে তা জানতে কাইন্ডলি এই নোটটা পড়ে নেবেন । জীবন চলার পথে আমি যা শিখেছি তাই লিখি । এসএসসি-এইচএসসি পরীক্ষার সার্টিফিকেট ও মার্কশীটে রোল নাম্বার কিভাবে লিখে তা সকলের জানা আছে । পরীক্ষা কেন্দ্রগুলোর নাম খেয়াল করবেন । যেমন কেন্দ্রের নাম যদি হয় কুমিল্লা তবে লেখা হয় কেন্দ্র-কুম । নং .........। কেন্দ্রের নাম যদি হয় বুড়িচং তবে লেখা হয় কেন্দ্র বুড়ি । নং.........। তেমনি ছাগলনাইয়া হলে লেখা হয় কেন্দ্র ছাগল । নং.........। বিয়ানী বাজার হলে লেখা হয় কেন্দ্র- বিয়ানী । নং......... । ছাত্র জীবনে কিছু সময় কুমিল্লা শিক্ষাবোর্ডে চাকরি করেছিলাম । আমরাও পরীক্ষা কেন্দ্রগুলোর সংক্ষিপ্ত নামই বলতাম । যেমনঃ কুম, বুড়ি, ছাগল, বিয়ানী । আগে আমাদের সময় সংশ্লিস্ট বিষয়ের শিক্ষকরা খাতা দেখার পর তা শিক্ষা বোর্ডে জমা দিতেন । তারপর বড় খাতায় পরীক্ষার...

বাংলাদেশের প্রথম ক্রসফায়ার

বাংলাদেশের প্রথম ক্রসফায়ার আজ থেকে ৪০ বছর আগে বাংলাদেশের প্রথম এবং আলোচিত ক্রসফায়ার তথা বিচারবহির্ভূত হত্যাকান্ডটি সংঘঠিত হয়েছিল। অত্যন্ত ঠান্ডা মাথায় এই হত্যাকান্ডটি ঘটায় শেখ মুজিব বাহিনী। যাকে হত্যা করা হয় তিনি ছিলেন মুজিবের আতঙ্ক এবং বাংলার রাজনীতিতে একজন কিংবদন্তীী বিপ্লবী। কেউ কেউ বলতেন তিনি বাংলার চে গুয়েভারা। কমরেড সিরাজ শিকদার তাঁর নাম। তাঁকে হত্যা করার পর শেখ মুজিব সংসদে দাঁড়িয়ে খুব দম্ভ করে বলেছিলেন,- 'কোথায় আজ সিরাজ শিকদার?' নতুন প্রজন্ম কি জানে বাংলাদেশের এই ইতিহাস? পড়ুন- ২রা জানুয়ারি ১৯৭৫ সনের এই দিনে স্বাধীন বাংলাদেশে প্রথম ক্রসফায়ারের শিকার হন সিরাজ শিকদার। প্রথমা প্রকাশন থেকে প্রকাশিত মহিউদ্দিন আহমদের "জাসদের উত্থান পতন ঃ অস্থির সময়ের রাজনীতি" গ্রন্থের ১৫৪ নং পৃষ্ঠায় সেই ক্রসফায়ারের বর্ননা দেয়া হয়েছে এভাবে- "পচাত্তরের ১লা জানুয়ারী সিরাজ শিকদারকে চট্টগ্রাম থেকে গ্রেফতার করা হয়। পুলিশ কর্মকর্তা মারুফুল হক তাকে গ্রেফতার করেন। তাকে হাতকড়া পরিয়ে চোখ বেঁধে বিমানে করে ঢাকায় নিয়ে আসা হয়। তেজগাঁও বিমানবন্দরে তাকে নামানো হলে পু...

হংকং টু ম্যানিলা

হংকং টু ম্যানিলা হংকং থেকে ক্যাথে প্যাসেফিক ( Cathay Pacific- হংকংয়ের এয়ারলাইন্স ) এয়ারলাইন্সে ম্যানিলা গিয়েছিলাম একদিন । সেই কবে ১৯৯৫ সালে । হংকং থেকে ম্যানিলা ৩ ঘন্টা ১০ মিনিটের ফ্লাইট । ঢাকা - কুয়ালালামপুর ফ্লাইটের সমান । ক্যাথে প্যাসেফিক এয়ারলাইন্সের ইনফ্লাইট সার্ভিস যেমন ভালো তেমনি বিমানগুলোও প্রায় নতুনের মতো । যাত্রীও হয় প্রচুর । হংকং - ম্যানিলা মাত্র ৩ ঘন্টার ছোট দূরত্ব হলেও ক্যাথে প্যাসিফিক এই রুটেও ৭৪৭ এর মতো বড় বোয়িং ব্যবহার করে । বিমানে উঠে দেখি ৭৪৭ই আমাদের ম্যানিলা নিয়ে যাবে । যাত্রীও প্রচুর । হংকং বৃটিশ কলোনি থাকা অবস্থায় ক্যাথে প্যাসেফিক ফ্লাইট সার্ভিস শুরু করে। ১৯৯৭ সালে চায়নার অধীনে চলে গেলেও এই ফ্লাইট সার্ভিস চায়না বন্ধ করে নি। ফিলিপিন্সের প্রতি আমার আগ্রহ ছিলো খুব । ১৯৮৬ সালে যখন জাপান গিয়েছিলাম তখন ম্যানিলাতে ২ ঘণ্টার ট্রানজিট ছিলো । খুব আনন্দের ছিলো বিকেলের সেই ফ্লাইট । কৃসেলডা নামের ফিলিপিন্সের একটা মেয়ে ছিলো আমার পাশের সিটে । বয়স ২২/২৩ । আমি কথা বলতে পছন্দ করি। সহযাত্রী যেই হোক তার সঙ্গে কথা বলা হয়। কেউ না কেউ শুরু করে। ইকোনমি ক্লাশে বিমানের স...

চেতনাজীবি!!!

চেতনাজীবি!!! ১৯৭১ এর পর ভোল পাল্টে অনেক বড় চেতনাজীবি সেজেছিল কবি শামসুর রহমান ও কবির চৌধুরী। বিপরীতে নীতির প্রশ্নে আপোষ করেন নি বলে জেলে গিয়েছিলেন কবি তালিম হোসেন, বাংলাদেশ বেতার হতে চাকরিচ্যূত হয়েছিলেন কবি ফররুখ আহমেদ। কবির চৌধুরী ১৭ ই মে, ১৯৭১ খ্রি. তারিখে কবি শামসুর রহমান কর্তৃক সম্পাদিত দৈনিক পাকিস্তান পত্রিকায় পাকিস্তানের সংহতি রক্ষায় বিবৃতি দিয়ে বলেছিলেন, 'মুক্তিযোদ্ধারা ভারতের দালাল’। কবির চৌধুরী মুক্তিযুদ্ধের পুরো সময়টাতেই বাংলা একাডেমীর মহাপরিচালকের দায়িত্ব পালন করেছেন। আরো উল্লেখ্য কবির চৌধুরীর পুরো পরিবার মুক্তিযুদ্ধের বিপক্ষে ছিল. তার বড় ভাই কাইয়্যুম চৌধুরী পাকিস্তান সেনাবাহিনীর কর্নেল ছিলেন। তিনি মুক্তিযুদ্ধের পক্ষে ভূমিকা রাখেননি অথবা নীরবও থাকেন নি বরং সরাসরি বিপক্ষে অবস্থান নিয়েছিলেন। তিনি আজীবন পাকিস্তানে থেকে গেছেন, স্বাধীন বাংলাদেশে কোনদিন আসেননি । কবির চৌধুরীর অপর ভাই মুনির চৌধুরী মৃত্যুর আগের দিন পর্যন্ত পাকিস্তানের পক্ষে অবস্থান নিয়েও এখন শহীদ বুদ্ধিজীবি ! অথচ এই মুনির চৌধুরীর বিশ্ববিদ্যালয়ের বাসায় পাকিস্তান সেনবাহিনীর নিয়মিত মি...

গণতন্ত্রের ফাঁক

গণতন্ত্রের ফাঁক গণতন্ত্র কি আসলেই সংখ্যা গরিষ্ঠের শাসন? আমার কাছে তা মনে হয় না। ধরা যাক, কোনো একটি সংসদীয় এলাকায় ১০ লাখ ভোটার আছে। ওই এলাকায় প্রার্থী আছে চার জন। ধরা যাক,একজন প্রার্থী আওয়ামী লীগ, একজন বিএনপি,আরেকজন জামায়াত ইসলামি এবং অন্যজন স্বতন্ত্র প্রার্থী । এখন আওয়ামী লীগ প্রার্থী পেলো ৪ লাখ ভোট, বিএনপি পেলো ৩ লাখ ভোট, জামায়াত পেলো ২ লাখ ৫০ হাজার ভোট আর স্বতন্ত্র প্রার্থী পেলো ৫০ হাজার ভোট। আওয়ামী লীগ প্রার্থী জয়ী হয়ে গেলো সর্বোচ্চ ভোট পেয়ে মানে ৪ লাখ। যদিও ৬ লাখ লোকই তাকে চায় নি। তাহলে গণতন্ত্র সংখ্যা গরিষ্ঠের শাসন হয় কিভাবে?

“অ্যাঁই কিচ্চি"

“অ্যাঁই কিচ্চি" আমরা যারা জাপান, ইউরোপ, আমেরিকায় ছিলাম- তারা দেশের বিভিন্ন জেলার মানুষের সঙ্গে ঘনিষ্ঠভাবে চলারফেরা করার সুযোগ পায় । আমিও পেয়ে ছিলাম এমন সুযোগ । তিনি ছাগলনাইয়ার আবুল কালাম আযাদ । এক সময় ফেনির সাপ্তাহিক হাজারিকা’র বার্তা সম্পাদক ছিলেন । অস্টৃয়ায় আমার সঙ্গে ঘনিষ্ঠতা । সজ্জন মানুষ । এক সময় কম্যুনিস্ট পার্টি করতেন তাই আমার সঙ্গে মিলতো বেশি । উনার ছেলের নামও রেখেছেন লেনিন । আন্তরিক মানুষ । সমবয়সি হলেও আমার পাগলামি দেখে আমাকে বুঝাতেন । উলটা পালটা চললে বন্ধুর মতো শাসন করতেন । আমার জন্য নোয়াখালী তিনি বিয়েও ঠিক করেছিলেন । আমি ফেনি জেলার এই লোকটির কাছে ঋণী হয়ে রইলাম । নিউ ইয়র্কে গিয়ে পেলাম শাহ আলম ভাইকে । আমার বয়সি । আমি আমেরিকায় গিয়ে উঠেছিলাম লেক্সিংটন এভিনিউর ‘হোটেল আমেরিকা ইন্টারন্যাশনাল’এ । দুইদিন রেস্ট করে হাঁটতে বেরুলাম । একটু সামনে গিয়ে দেখি ‘স্পাইস কর্নার’ । একটা বাংলা কাম ইন্ডিয়ান স্টোর । আমেরিকায় আজ আমার দুই দিন । এই দোকানে কি কি পাওয়া যায় তা দেখার জন্য Spice Corner এর ভেতরে গিয়ে বিভিন্ন র‍্যাকে সাজানো আইটেমগুলো দেখছিলাম । এমন সময় তিনি আম...

অসভ্য

 অসভ্য মানুষ কতো অসভ্য হয় দেখুন!!! এই মেয়ে ( মেয়ে না হিজড়া কে জানে) নচিকেতার একটা গান লিখেছে।আমি শুধু কমেন্টে লিখেছিলাম," কমা দিয়ে লেখা উচিৎ ছিলো। নয়তো মানুষ ভাববে এটা আপনার লেখা।" সে উত্তর দিয়েছে " তর এতো চুলকায় কেন?" লিখেই আমাকে আনফ্রেন্ড করেছে। কাছে পাইলে মোবাইল বা কম্পিউটারটা ওই জায়গা দিয়ে ঢুকিয়ে দিতাম। সে সব সময় অন্যের লেখা চুরি করে। তার পোষ্টে লাইকের অভাব নেই। এই হলো ফেসবুকের লাইক!!!

অ্যাঁই কিচ্চি

অ্যাঁই কিচ্চি \রাত ১১ টায় "অ্যাঁই কিচ্চি" , বিজেমের চেয়ারম্যান মীর্জা তারেকুল কাদের, বন্ধু কাবেরী মীর্জা , নিউ ইয়র্ক প্রবাসী বেগমগঞ্জের শাহ আলম, ভিয়েনা প্রবাসী ছাগলনাইয়ার আবুল কালাম আযাদ ,লক্ষ্মীপুরের ফরিদ বাংগালি , অভিনেতা মাহফুজ, তারিন তাদেকেও আমি ব্যক্তিগত ভাবে চিনি । জহির রায়হান, শহিদুল্লাহ কায়সার, শমী কায়সার, মওদুদ আহমেদ ,এবি এম মুসা, ড.সাদত হোসাইন, ইকবাল সোবহান চৌধুরী ,(নোয়াখালিতে অনেক গুণীজন আছেন) । জয়নাল হাজারিকেও জানি । যোগাযোগ নেই অনেক বছর । আমি কুমিল্লার কিন্তু বিদেশে গিয়ে নোয়াখালি আর ফেনির লোকদের সঙ্গে আন্তরিক সম্পর্ক গড়ে উঠেছিলো । ইউরোপ আমেরিকায় নোয়াখালির কোনো লোক নতুন গিয়ে উঠলে তার জন্য যা করার সব করে তারা । টাকা না থাকলেও তার সব খরচ বহন করে । খাওয়া থাকার জায়গা দেয় । এমনকি ইমিগ্রেশন ফি দিয়ে লিগ্যাল করার জন্য সবাই টাকা দিয়ে তাকে সেট করে দেয় । পরে আস্তে আস্তে সবার টাকা শোধ করে দিবে। কি চমৎকার মানবিকতা !!! অ্যাঁই কিচ্চি"র শানে নুযূল প্রকাশিত হবে । আমেরিকায় বসবাসকারী নোয়াখালি আর ফেনির বন্ধুদের কথাও থাকবে । ফেনি সরকারি কলেজের সহকারি অ...

ফেসবুকঃ কতোরূপ ! সতর্কতামূলক পোষ্ট।

ফেসবুকঃ কতোরূপ ! সতর্কতামূলক পোষ্ট। “আরে আমি প্রথম থেকেই সন্দেহ করছিলাম । না জানি আপনি কোন সমস্যায় পড়েন । আপনি তো শুধু সোজা বুঝেন । সরল, আবেগপ্রবণ মানুষ । সহজেই যে কোন মানুষকে বিশ্বাস করেন । আমার কাছে আপনার ওই বন্ধুত্বটা স্বাভাবিক মনে হয়নি । ভদ্রলোক আর ভদ্রমহিলার আপনার প্রতি যে আচরণ ফেসবুকে আপনার লেখায় জেনেছি তা আমার কাছে মোটেও মহৎ মনে হয়নি । যদিও আপনি তাদের মহৎ, মহান বলে লিখেছিলেন । এসব নিয়ে কেন অযথা ভাবছেন ? মনে মনে দোয়া করেন, আল্লাহ আপনাকে বাঁচাইছে । তাদের সঙ্গে থাকলে আপনি বিপদে পড়তে পারতেন । একজন তরুণী স্ত্রী শুধু ফেসবুকের পরিচয়ে আপনার বাসায় গিয়েছেন একা আপনাকে পুডিং দিতে আর তার স্বামী নিচে গাড়িতে বসেছিলেন ! কোনো লাভ ছাড়া স্বামীরা এমন উদার হয় না । আপনার আজকের কথা শুনে একটা পাগলেও বুঝবে যে, আপনার সঙ্গে এমন সম্পর্ক তৈরিতে ভদ্রমহিলার স্বামীর স্বার্থ জড়িত ছিলো । সে জন্য তিনি স্ত্রীকে ইউজ করেছেন । ভদ্রলোক যখন বুঝেছে, আপনাকে দিয়ে সেই স্বার্থ উদ্ধার হবে না তখনি সম্পর্কটা ভেঙে দিয়েছে । ফেসবুকের স্ট্যাটাস আর ছবি দেখে কে কেমন তা চেনা যায় না । বাস্তবে এবং ফেসবুকে অন...

মেয়েদের ষোল কলা

মেয়েদের ষোল কলা আমাদের এলাকায় মেয়েদের নিয়ে একটা বহুল প্রচলিত কথা আছে “মেয়েদের ষোল কলা”। ছোটবেলা থেকেই তা শুনে আসছি । অবাক হয়ে ভাবতাম, একটা না দুইটা না, ষোলটা কলা আছে মেয়েদের ! কিন্তু কখনো এই কলা দেখিনি । ছোটবেলা বড়দের মুখে এই কলার কথা শুনে মনে হতো ইশ, একটা কলা যদি দেখতে পেতাম বা খেতে পারতাম ! ভালো বলুন আর খারাপ বলুন ছোট বেলা থেকেই আমি কৌতূহলী । নতুন কিছু শুনলেই ওটার প্রতি আকর্ষণবোধ করতাম । আমাদের এলাকার এক সিনিয়র ভাই যিনি সবার কমন ফ্রেন্ড । তিনি আমার বড় ভাইদের বন্ধু আবার আমারো বন্ধু । নাম জহিরুল ইসলাম । লেখাপড়া খুব কম হলেও তিনি খুবই ফানি । আজো । দশম শ্রেণিতে পড়ার সময় তাঁর কাছে জানতে চাইলাম, আচ্ছা জহির ভাই, মেয়েদের নাকি ষোলটা কলা আছে ? আমি যদি দেখতে বা খেতে চাই তবে কি করতে হবে ? তিনি বললেন, এই কলা দেখা যায় না, খাওয়াও যায় না । কিন্তু যে একবার দেখেছে সে জীবনেও আর দেখতে চাইবে না । আমি অনুনয় বিনয় করে বললাম, আমার যে দেখতে ইচ্ছা করে জহির ভাই । তিনি বললেন, তুইতো এখনো ছোট । অনেক বড় মানুষ যেমন ধর শিক্ষক, হুজুররা এই কলা দেখেছে । তারা আর দেখতে চায় না । আমি অবাক হয়ে বললাম, কেন ? ...

মুজিবের একমাত্র মেধা

মুজিবের একমাত্র মেধা মুজিবের একমাত্র মেধা ছিল মূর্খ লোকদের উত্তেজিত করে তোলার ক্ষেত্রে। তিনি ছিলেন কথামালার যাদুকর ও মিথ্যের যাদুকর --- অরিয়ানা ফ্যালাচি নিচের অংশটুকু হুবহু তার ট েপ থেকে নেয়া: “ম্যাসাকার ? হোয়াট ম্যাসাকার ?” “ঢাকা স্টেডিয়ামে মুক্তিবাহিনীর দ্বারা সংঘটিত ঘটনাটি।” “ঢাকা স্টেডিয়ামে কোন ম্যাসাকার হয়নি। তুমি মিথ্যে বলছো।” “মি. প্রাইম মিনিস্টার, আমি মিথ্যাবাদী নই। সেখানে আরো সাংবাদিক ও পনেরো হাজার লোকের সাথে আমি হত্যাকাণ্ড প্রত্যক্ষ করেছি। আপনি চাইলে আমি আপনাকে তার ছবিও দেখাবো। আমার পত্রিকায় সে ছবি প্রকাশিত হয়েছে।” “মিথ্যেবাদী, ওরা মুক্তিবাহিনী নয়।” “মি. প্রাইম মিনিস্টার, দয়া করে ‘মিথ্যেবাদী’ শব্দটি আর উচ্চারণ করবেন না। তারা মুক্তিবাহিনী। তাদের নেতৃত্ব দিচ্ছিল আবদুল কাদের সিদ্দিকী এবং তারা ইউনিফর্ম পরা ছিল।” “তাহলে হয়তো ওরা রাজাকার ছিল যারা প্রতিরোধের বিরোধিতা করেছিল এবং কাদের সিদ্দিকী তাদের নির্মূল করতে বাধ্য হয়েছিল।” “মি. প্রাইম মিনিস্টার, কেউ প্রমান করেনি যে, লোকগুলো রাজাকার ছিল এবং কেউই প্রতিরোধের বিরোধিতা করেনি। তারা ভীতসন্ত্রস...

ফ্লোরিডার বিউটি কুইন

ফ্লোরিডার বিউটি কুইন করিম চৌধুরী আমেরিকার পঞ্চাশটি ষ্টেটের যেমন ভিন্ন ভিন্ন প্রতীক, ফুল,পাখি,পতাকা,সংবিধান, জীবনযাত্রাও ভিন্ন তেমনি আবহাওয়াও ভিন্ন । নিউইয়র্ক, পেলসিভানিয়া, মেরিল্যান্ড, অরেগন, মিশিগান, ইন্ডিয়ানা, কলোরাডো, ইলিনয়েস, নিউজার্সি, টেক্সাস, নেভাডাসহ প্রায় সব স্টেটে যখন প্রচন্ড তুষারপাত হয়,শীতে মানুষ জমে যায়,মাইনাস তাপমাত্রায় নাকের পানি ঝরে,কান লাল হয়ে যায়। কয়েক কেজি শীতের কাপড় পড়তে হয় ফ্লোরিডায় তখন একটা টি শার্ট আর শর্ট পড়ে ঘুরে বেড়ানো যায় । প্রতিটি স্টেটে ট্যাক্স, নিয়ম-কানুন, কিছু আইন এমনকি মানুষের জীবন যাত্রাও ভিন্ন । ইংরেজি উচ্চরনেও কিছুটা পার্থক্য আছে । আমার কাছে মনে হয়েছে ৫০টি ষ্টেটই ৫০টি দেশ । সব কয়টি মিলেই ইউনাইটেড স্টেটস অফ আমেরিকা । আমরা যেমন পরিচয় দিই বা নিই কে কোন জেলার তেমনি নিউ ইয়র্কের লোকেরা পরিচয় দেয় I am New Yorker. ফ্লোরিডার লোক পরিচয় দেয় I am Floridian. ক্যালিফোর্নিয়ারর লোক ক্যালিফোর্নিয়ান । ফ্লোরিডা দক্ষিণ- পুর্ব আমেরিকার শেষ ষ্টেট । ফ্লোরিডার এক দিকে জর্জিয়া ও অ্যাল্যাবামা ষ্টেট । বাকি তিন দিকেই আটলান্টিক মহাসাগর আর মেক্সিকো উপসাগর ...