সরাসরি প্রধান সামগ্রীতে চলে যান

পোস্টগুলি

নভেম্বর, ২০১৯ থেকে পোস্টগুলি দেখানো হচ্ছে

Bamboo Shoots

Bamboo Shoots একটা পত্রিকায় বাঁশের অংকুর খাওয়ার কি উপকারিতা তা নিয়ে রিপোর্ট করেছে। অনেকেই দেখলাম এটাকে খুব নিগেটিভলি নিয়ে ফেবুতে পোস্ট দিয়েছেন। বাংলাদেশের পত্রিকায় রিপোর্ট করেছে দুই দিন আগে। আমি ৩০ বছর আগেই জাপানে এটা খেয়েছি। বাঁশের অংকুর একটা ভালো খাবার। আমরা যারা বিদেশে ছিলাম তারা প্রচুর খেয়েছি। ডিপার্টমেন্ট স্টোরে টিনের কৌটায় তা বিক্রি হয়। স্লাইস আকারে থাকে। বিশেষ বিশেষ কারিতে এই বাঁশের অংকুরের স্লাইস দেয়া হয়। এর ইংরেজি নাম Bamboo Shoots. ইউরোপ, আমেরিকার সব রেস্টুরেন্টে এই ব্যাম্বো শুটস আছে। চায়না,জাপান,হংকং,ফিলিপিন্স, থাইল্যান্ডেও খেয়েছি। ওরা ৪০/৫০ বছর আগে থেকেই তা খায়। এই ব্যাম্বো শুটসের স্লাইস আরো ছোট করে স্যুপেও দেয়া হয়। তরকারি রান্না করে খেয়ে দেখতে পারেন। তবে সঙ্গে অন্য সবজিও দেবেন। Why bamboo shoots are good to eat? Bamboo shoots contain phytochemicals, which have antibacterial and antiviral effects in the body. They are a good source of dietary fibre. Bamboo shoots contain potassium, important for a healthy heart and to maintain normal blood pressure....

কন্যা সন্তান

কন্যা সন্তান আমাদের দেশের 'অতি ধার্মিক' কিছু লোক যারা পোস্ট দেয়.... " কন্যা সন্তান যাদের হয় তারা অতি ভাগ্যবান। " এটা ইসলাম ধর্মের কতো নাম্বার হাদিস আমার জানা নেই। অথচ ছেলে সন্তানের জন্য এদেশের মানুষ পাগল হয়ে থাকে। ছেলে না হলে তাদের বংশ রক্ষা হবে না বলে তারা বিশ্বাস করে। বার বার মেয়ে সন্তান হওয়ার কারনে অনেকে স্ত্রীকে ডিভোর্স পর্যন্ত দেয়। কেউ আবার দ্বিতীয় বিয়ে করে। যদিও ছেলে বা মেয়ে হওয়াটা নির্ভর করে পুরুষের উপর। এটাও এই দেশের বেশিরভাগ মানুষ জানে না। কন্যা সন্তান দিয়েও বংশ রক্ষা হয়। কন্যা সন্তান কি আপনার জেনেটিক কোড বহন করে না? আমাদের দেশে এখনো কন্যা সন্তানকে পিতামাতা বোঝা মনে করে। ছেলেকে যতো গুরুত্ব দেয় মেয়েকে তা দেয় না। কারন সে অন্যের ঘরে চলে যাবে। এই হাদিস সৌদি আরবের জন্য। যখন ওই দেশের লোকেরা মেয়ে সন্তান হলে জীবন্ত কবর দিতো। এই হাদিস দিয়ে তাদের ওই বর্বর কাজকে নিরুৎসাহিত করা হতো। তাছাড়া আমাদের নবীজীর কোনো পুত্র সন্তান ছিলো না। যারা ইসলাম ধর্ম নিয়ে ব্যবসা করে, যেমন: মাজার ব্যবসা, ওয়াজ মাহফিল করার মাওলানা, মুহাদ্দিস, ক্বারি তারাই পুত্র সন্তান চায় বেশ...

একাউন্ট হ্যাকড

 একাউন্ট হ্যাকড তুমি/ তোমরা আমার নয় বছরের একাউন্ট হ্যাকড করতে পারো। কিন্তু আমার আদর্শ হ্যাক করতে পারবে না। আমার শিক্ষা,চিন্তা,মেধা, সততা,লেখার ক্ষমতা হ্যাক করতে পারবে না। কখনোই না। নয় বছরের একাউন্টে যা লিখেছিলাম তা এই একাউন্টেও থাকবে। দেখি এবার হ্যাক করো তো। কয়েকজন মেয়ে বন্ধু নিয়ে গল্প লিখেছিলাম। আমার একাউন্ট হ্যাকড হওয়ার এটাই প্রধান কারন বলে আমার বিশ্বাস। বিশেষ করে একজনকেই আমার বেশি সন্দেহ। সে আমার ফোন নাম্বার, ইমেই এড্রেসসহ আরো অনেক ব্যক্তিগত তথ্য জানতো। যে আমার বাসায় এসেছিলো। একাউন্ট হ্যাক করার মতো পণ্ডিত সে নয়। তার লেবেন্ডিস স্বামী করেছে বলে আমি মনে করি। ১০/২০ হাজার টাকা দিয়ে কোনো হ্যাকারকে হায়ার করা তার জন্য কোনো ব্যাপার না। সে যথেষ্ট স্বচ্ছল। অবৈধ উপার্জনে। ১৮ নভেম্বর, ২০১৯ কুমিল্লা।

কোরান ও শিক্ষিত

কোরান ও শিক্ষিত আমাদের এক সিনিয়র বন্ধু পোস্ট দিয়েছেন এমন... " পৃথিবীর সব শিক্ষা শেষ করলেও আপনি যদি কোরান না পড়েন তবে আপনি মূর্খ । " আমার প্রশ্ন, কোরান অবতীর্ণ হবার ১০০০ বছর আগে এরিস্টটল, প্লেটো, সিক্রেটিস তারা কি মূর্খ? বারট্রান্ড রাসেল, শেক্সপিয়র, আইনস্টাইন, নোয়াম চমস্কি, লিও টলস্টয়, ম্যাক্সিম গোর্কি, আদ্রে শাখারভ, পণ্ডিত নেহেরু তারা কি মূর্খ? আগাথা ক্রিস্টি, হ্যারল্ড লাসকি, স্টিফেন হকিং, গুন্টার গ্রাস, কার্ল মার্ক্স, ফ্রেডারিখ এঙ্গেলস তারা কি মূর্খ? টাইম, নিউ ইয়র্ক টাইমস, ওয়াশিংটন পোস্ট, ইউএসএ টুডে, লস এঞ্জেলেস টাইমস, হাপিংটন পোস্ট, জাপান টাইমস, ইন্টারন্যাশনাল হেরাল্ড ট্রিবিউন, সানডে টাইমস, দ্য গার্ডিয়ান, দ্য ইন্ডিপেনডেন্ট, টাইমস অফ ইন্ডিয়া, ইন্ডিয়ান একপ্রেস, হিন্দুস্থান টাইমস, দ্য ডন, এসব পত্রিকার কলামিস্টরা কি মুর্খ? অরুন্ধতী রায়, সুনীল গঙ্গোপাধ্যায়, অমর্ত্য সেন, ফ্রানৎস কাফকা ( চেক লেখক) তারা কি মুর্খ? হার্বার্ড, কেমব্রিজ, বার্কলে, স্ট্যানফোর্ড, প্রিস্টন, ইয়েল ইউনিভার্সিটি থেকে যারা ডিগ্রী নিয়েছেন তারা কি মুর্খ ? আপনি মনে হয় খুব মৃত্যু চিন্তায় অস্থির। ...

অক্সিজেন

অক্সিজেন শিশুকাল থেকে আমরা জেনে আসছি, বেঁচে থাকার অপরিহার্য উপাদান অক্সিজেন আসে বৃক্ষ থেকে। নাইনের জীব বিজ্ঞান বইতে পড়েছিলাম, সালোকসংশ্লেষণ প্রক্রিয়ায় বৃক্ষের উৎপাদিত অক্সিজেনেই বেঁচে আছি আমরা। কিন্তু আপনি জানেন কি, পৃথিবীর বায়ুমণ্ডলের অর্ধেক অক্সিজেন আসে সমুদ্র থেকে? হ্যাঁ, সমুদ্রে বসবাসকারী ক্ষুদ্র এককোষী সামুদ্রিক উদ্ভিদ ফাইটোপ্লাংকটনের কল্যাণে পৃথিবীর বায়ুমণ্ডলে যে পরিমাণ অক্সিজেন বিমুক্ত হচ্ছে, তা মোট অক্সিজেনের অর্ধেক। ১৯ নভেম্বর, ২০১৯ কুমিল্লা।

একাধিক ফেসবুক একাউন্ট

একাধিক ফেসবুক একাউন্ট যারা ফেবুতে সৃজনশীল লেখা লিখেন এবং চান তাদের লেখাগুলো সংগ্রহে থাক ফেবুতে। তাদের উচিৎ একটি বা দু'টি সহযোগী একাউন্ট খোলে রাখা ফেবুতে। যদিও তা ফেসবুকের টার্মস এন্ড কন্ডিশন লঙ্ঘন করে । কোনো ব্যক্তির একাধিক একাউন্ট ফেসবুক অনুমোদন করে না । কিন্তু আমার পরিচিত অনেকের একাউন্ট হ্যাকড হয়েছে । আমার তো নয় বছরের একাউন্টই হ্যাকড । হ্যাকড হওয়া একাউন্ট ফেরত পাওয়া প্রায় অসম্ভব । এতে ফেসবুক অথরিটিরও কিছু করার থাকে না । কারন হ্যাকার রা ইমেইল এড্রেসসহ সবকিছুই চেইঞ্জ করে ফেলে । তাই একটি বা দুটি সহযোগি একাউন্ট থাকলে ওইসব সেকন্ডারি একাউন্টে তাদের লেখা পোস্ট করে রাখা যায়। তাতে মুল একাউন্ট হ্যাকড বা ডিসএবল্ড হলেও লেখাগুলো পাওয়া যায় । অথবা ব্লগে একাউন্ট খোলে লেখাগুলো ব্লগে পোস্ট করে রাখা৷ ফেবুর একাউন্টের কোনো গ্যারান্টি নেই। যে কোনো উসিলায় ফেবু একাউন্ট কতৃপক্ষ ব্লক বা ডিসএবল্ড করে দিতে পারে। দুই বছর আগে ২০১৭ সালের মে মাসে আমার Karim Chowdhury একাউন্টটি ১৫ দিনের জন্য ডিসএবল্ড করে রেখেছিলো ফেসবুক। তখন আমি এই নতুন একাউন্টটি খোলতে বাধ্য হই। পরে ফেবুর সঙ্গে অনেক দেন দরবার কর...

ভাষার আধিপত্য

ভাষার আধিপত্য যারা লেখালেখি করে তারা শব্দের কারবারী । নিজস্ব ধরনের শব্দ ব্যবহারেই তার বৈশিষ্ট্য ,শব্দকে নিয়ে সে খেলাও করতে পারে, সেটা মাতৃভাষাতেই সবচেয়ে বেশি সম্ভব । লেখা কিংবা কথা বলার সময় সঠিক শব্দটা খুঁজে না পেলে একজন লেখকের শারীরিক কষ্ট হয়,অপমান বোধ হয় । ভুল ভাষা আর যাকেই হোক,কোনো লেখককে মানায় না । তবু আমরা অনেক সময় বাধ্য হই । ইংরেজ-আমেরিকানদের সঙ্গে সব সময় আমাদের এক অসম প্রতিযোগিতায় থাকতে হয় । তারা কথা বলে মাতৃভাষায়, আমরা বলি আয়ত্ত করা ইংরেজিতে । অ নেক সময় তারা ভাষার মোচড়ে চকিত রসিকতা করে, আমরা তার উত্তর না দিতে পেরে মুখে হাসি মাখিয়ে রাখি । শুধু ইংরেজ-আমেরিকান নয় । জাপান, অস্টৃয়া, সুইজারল্যান্ড, জার্মানি এসব দেশেও দেখেছি, অনেকেই ভালো ইংরেজি জানে কিন্তু আমাদের সঙ্গে বলে না । তাদের ভাষায় কথা বলে । ভাষার আধিপত্য অনেক বড় আধিপত্য । এরা সেই সুযোগটাই নেয় । একবার আমি অস্টৃয়ার ম্যাকডোনাল্ডসের মালিক মি.হারমান মইক (Herman Moik) এর সঙ্গে বিবাদে জড়িয়ে পড়েছিলাম । তাও প্রায় ১০০ লোকের এক পার্টিতে । আমি বলেছিলাম, আমিতো জার্মান কম জানি । তোমার অন্য এমপ্লয়ি বিশেষ করে হাঙ্গেরি, চেক ...

সুজানা

সুজানা মেয়েটি ভেনিজুয়েলার । সিঙ্গাপুরে মেয়েটির সঙ্গে আমার পরিচয় । কারাকাস (ভেনিজুয়েলার রাজধানী) ইউনিভার্সিটিতে ফটোগ্রাফিতে পড়াশোনা করছে । আমি ছাদ ছাড়া খোলা বাসে সিঙ্গাপুর পুরু সিটি ট্যুর করে এসে এখানে নেমেছি । সিঙ্গাপুর ট্যুর করার বাস এখান থেকেই ছাড়ে । জায়গাটির নাম সানটেক সিটি । আমাকে ডেকে মেয়েটি কিছু ইনফরমেশন জানতে চেয়েছিলো । আমার সঙ্গে অল্প কথায় মেয়েটি ঘনিষ্ঠ হয়ে গেলো । আমেরিকায় ছিলাম বলে দক্ষিন আমেরিকার দেশগূলো সম্পর্কে আমার মোটামুটি ধারণা আছে । কিছু স্প্যা নিশ ভাষাও জানি। ব্রাজিল,আর্জেন্টিনা, পেরু, কোস্টারিকা, হন্ডুরাস, কলাম্বিয়া , নিকারাগুয়া, এল সালভাদর, বলিভিয়া, প্যারাগুয়ে, ইকুয়েডর, সুরিমান, বেলিজ, গুয়াতেমালা, চিলি । দক্ষিণ আমেরিকার সবচেয়ে ধনী দেশ ভেনিজুয়েলা । তেল সম্মৃদ্ধ দেশ । রাজধানী কারাকাস । সমাজতান্ত্রিক ভাবধারায় সরকার পরিচালিত হয় । জনপ্রিয় প্রেসিডেন্ট হিউগু শাভেজ ৬ বছর আগে মাত্র ৫৭ বছর বয়সে ক্যান্সারে আক্রান্ত হয়ে মারা গিয়েছেন । তার গুরু ফিদেল কাস্ত্রোর দেশ কিউবার রাজধানী হাভানায় । ভেনিজুয়েলার মেয়েগুলো খুব মিশুক । সুন্দর । তাদের...

বাংলাদেশে র ( RAW)

বাংলাদেশে র ( RAW) ঢাকা শহরের কয়েক ডজন স্থানে ভারতীয় গোয়েন্দা সংস্থা র (RAW) গোপন ক্যাম্প রয়েছে। এসব ভাড়া করা বাড়িতে অস্ত্রশস্ত্র নিয়ে থাকে ভারতীয় গোয়েন্দারা। এরা সিভিল ড্রেসে যাওয়া আসা করে, তবে বাংলাদেশ সরকারের দেয়া সিকিউরিটি পাশ বহন করে। গুলশানে বিএনপি চেয়ারপারসের বাসা-অফিসে গোয়েন্দাগিরি করা, ডিপ্লোমেটিক জোনের খোঁজখবর রাখা এবং পাকিস্তান দূতাবাসের উপর নজরদারীর উদ্দেশ্যে গুলশান ২ নম্বর সেক্টরে দু’টি এরূপ ক্যাম্প রয়েছে। ঢাকা শহরের গুলশান ৭১ নম্বর সড়কে একটি, ৭২ নম্বরে একটি, বনানী ১১ নম্বর ও ১৫ নম্বর সড়কে একটি করে, ক্যান্টনমেন্টে বদিউজ্জামান সড়কে, ধানমন্ডি ৬ নম্বর রোডে, ধানমন্ডি, মোহাম্মদপুর, সচিবালয়ের পার্শ্বে, শেরে বাংলা নগর, মতিঝিল, পুরান ঢাকায় ভারতের গোয়েন্দা অফিসগুলি রয়েছে। ২০০৯ সালে শেখ হাসিনা ক্ষমতায় বসার পরে গোয়েন্দা তথ্য বিনিময়ের অজুহাতে ডিজিএফআইর কচুক্ষেত প্রধান অফিসে যাতায়ত শুরু করে ভারতের র। পরবর্তীতে এর ক্ষেত্র বাড়ায়- ডিজিএফআই এর ১৪ তলা ভবনের ৫ম তলা পুরোটি নিয়ে নেয় র। প্রধানমন্ত্রীর অফিস, গণভবনে ঘাটি গাড়ে, প্রতিটি সেনানিবাসে তারা নজরদারী বাড়ায়, মিলিটারী থেকে ...

কঠোর ব্যবস্থা নিন

কঠোর ব্যবস্থা নিন নতুন সড়ক পরিবহন আইন বাতিলের জন্য শ্রমিকদের ধর্মঘট চলছে। সরকারের উচিৎ তাদের রিরুদ্ধে কঠোর ব্যবস্থা নেয়া। এরা কোনো রোড ম্যানার্স জানে না। গাড়ির হেল্পার থেকে ড্রাইভার হয়েছে। তাদের ১০০ জনের মধ্যে ৭০ জনেরই লাইসেন্স নেই। বাংলাদেশ ছোট একটা দেশ। এখানে অনেক বাজার, স্কুল, মসজিদ,গ্রামের উপর দিয়ে রাস্তা গেছে। এসব জায়গায়ও ওরা গতি কমায় না। পত্রিকায় পড়লাম, প্রতিবছর ১৩৬০০ জন সড়ক দুর্ঘটনায় মারা যায়। এই জরিপ করা হয়েছে পত্রপত্রিকায় প্ রকাশিত দুর্ঘটনার খবর নিয়ে। সব দুর্ঘটনার খবর কি পত্রিকায় প্রকাশিত হয়? কমপক্ষে ২৫/৩০ হাজার লোক প্রতিবছর সড়ক দুর্ঘটনায় মারা যায়। কি আশ্চর্য এক দেশ! গাড়ি একজন পথচারীকে, বাইকারকে,ছোট সিএনজিকে ধাক্কা মেরে নির্বিকার ভঙ্গীতে চলে যায় যেন কিছুই হয়নি। অথচ তাদের মৃতদেহ পরে আছে পেছনে। এর কোনো বিচার নেই! এটা হত্যাকান্ড। সরকার বিরোধী দলকে নির্মূল করতে পারে। এই শ্রমিক সংঘঠনকে পারে না কেনো ? প্রত্যেক জেলায় প্রধান প্রধান শ্রমিক নেতাদের গ্রেফতার করে জেলে পুরে দিলেই আন্দোলন থেমে যাবে। আওয়ামী লীগ নেতা সাবেক নৌ পরিবহন মন্ত্রী শাজাহান খান এ...

অযোগ্যরা শুধু রাজনীতি নয়,দখলে নিয়েছে সবকিছু

অযোগ্যরা শুধু রাজনীতি নয়,দখলে নিয়েছে সবকিছু আমাদের দেশের বর্তমান সময়ের মানুষদের মধ্যে যারা সমাজের নেতৃত্বদেন বা নেতাকে প্রভাবিত করেন কিংবা করতে সক্ষম তাদের চিন্তা ভাবনার স্তরের উন্নতি অতি আবশ্যক। বিশ্ববিদ্যালয়ের ভিসির যুবলীগ নেতা হতে চাওয়া যে লজ্জাজনক ও লোভীর মতো আবদার, এটা বুঝার ক্ষমতাই আমাদের জনগণের একটা বিরাট অংশের নেই। সুবিধাবাদী অসুস্থ চিন্তার প্রসার সমাজে এতোটাই বেড়েছে যে, সমগ্র দেশই যেন আর স্বার্থের বাইরে নিরপেক্ষ চিন্তা করতেই পারেন না। কারো দুর্নীতি দেখে এক শ্রেণির মানুষ বলতে শুরু করে, আপনারা তার দুর্নীতিটাই দেখলেন, তার যে কত অবদান ছিল সেসব কেন ভুলে গেলেন? আরেকদল বলে এই লোকের চাইতেও অমুক সালে তমুক লোক আরো বেশি সন্ত্রাস বা দুর্নীতি করেছিল, সেসব কথা কি করে ভুলে গেলেন- ইত্যাদি। মানে আগে অন্য কেউ এসব করেছিল তাই এখন আমরা এসব করব। এদের দোষের কি আছে? ছাত্রনেতা চাঁদার ভাগ চাওয়াতে কিভাবে অন্যায় হয়েছে ছাত্ররা তা বোঝে না; যুবকরা মাস্তানি করলে বা অন্য অপরাধে যুক্ত হলে বলা হয় এসব তো নতুন কিছু না; এসব অনেক আগে থেকে শুরু হয়েছে, তাছাড়া তাদের তো অবদান আছে। স্বেচ্ছাসেবিকা য...

বদনা গিফট

বদনা গিফট ও স্মৃতিতে তাপস ভাই বদনা আমাদের জীবনে এক অপরিহার্য উপাদান।নিত্য প্রয়োজনীয় জিনিসের অন্যতম একটি।  বিশেষ করে প্রাচ্যের মুসলিম প্রধান দেশগুলোতে। পাশ্চাত্য দেশগুলোতে টয়লেট টিস্যুই বদনার কাজ করে। কিন্তু আমাদের দেশে বদনা ছাড়া চলেই না। প্রধানমন্ত্রী থেকে বস্তিবাসী সকলেরই বদনার প্রয়োজন। বদনার বহুমুখী ব্যবহার। ছোটবেলা দেখেছি, কারো জ্বর হলে মাথার নীচে ওয়াল ক্লথ দিয়ে খাটের নিচে বালতি রেখে বদনা দিয়ে কপালে পানি দেয়া হতো। এতে জ্বর কমতো । কাজেই বদনার মাহাত্ম্য অনেক। বদনা শুধু পশ্চাৎদেশে নয়। সময় মতো কপালেও আসে। বদনা দিয়ে ফুল গাছ ও অনন্যা ছোট গাছে পানিও দেয়া হয়। পুরনো বদনা দিয়ে অনেকে বাসার সামনে,ছাদে ফুল গাছ ও অনন্যা ছোট সবজির চাষও করেন। পল্লী কবি জসিম উদ্দিনের 'পরান পুকুর' কবিতায়ও বদনার উল্লেখ আছে । ......"বদনায় ভরা একটুকু, তারি ভরসায় গেঁয়ো চাষি, চৈত্র- রোদের করুণ করিয়া বাজাত গানের বাঁশি ।" বদনার দাবিতে এদেশে মিছিল হয়েছে । মিটিং হয়েছে । সংবাদ সম্মেলন হয়েছে । কতো প্রয়োজনীয় বদনা ! বদনা নিয়ে আমার এক স্মৃতি আছে ফ্লোরিডায়। সেই স্মৃতির সঙ্গে জড়িয়ে আছেন ফ্লোরিডার ফোর্ট মায়ার...

নিম্মি আপা ও গান

নিম্মি আপা ও গান ছাত্রজীবনে সব বন্ধু, ক্লাসমেট, ইয়ারমেটের চেয়ে আমার কাছে সবচেয়ে বেশি গান আর বইয়ের কালেকশন ছিলো। আমাদের সময় অডিও ক্যাসেট ছিলো। ক্যাসেট রাখার জন্য আমার আলাদা একটা র‍্যাক ছিলো। সব ক্যাসেটে ছোট করে গানের প্রথম লাইন আর শিল্পির নাম লিখে রাখাতাম। যে গান বেশি ভালো লাগতো তা রিওয়াইন্ড করে বার বার শুনতাম। কান্দিরপাড় 'বাসরী' আর 'সানাই' নামে দুইটি অডিও ভিডিও দোকান ছিলো। তখন আমরা ক্যাসেট কিনে ওদের কাছে গানের লিস্ট দিতাম। কোনটার পর কোন গান সে হিসেবে কাগজে লিখে লিস্ট দিতাম। ৬০ মিনিটের একটা ক্যাসেটে দুই দিকে সর্বোচ্চ ২০ টি গান কপি করা যেতো । আর ছিলো ৯০ মিনিটের ক্যাসেট। Maxell, TDK, Sony দামি ক্যাসেট ছিলো। ক্যাসেট দেয়া নেয়া, গল্প, উপন্যাস, কবিতার বই আদান প্রধানের কারনে অনেক মেয়েবন্ধু আমাকে পছন্দ করতো । অনেক সিনিয়র আপারাও আমার কালেকশনের গান শোনে আমাকে ভিন্ন দৃষ্টিতে দেখতেন । খালি গলায় নিজেও ভালো গাইতাম । কবিতা আবৃতি করতাম । তখন ওইসব দোকানে কোনো নতুন বাংলা গাল এলে ওরা বড় স্পিকার দিয়ে ফুল ভলিউমে গানটা বাজাতো। হিন্দি গানের দাপট তখনো শুরু হয়নি । দু'টো দোকা...

টাকা ও নারী

টাকা ও নারী রহিম রংপুরের । আমার সঙ্গে তার পরিচয় নিউ ইয়র্কে । ঢাকা বিশ্ববিদ্যালয় থেকে ইংরেজিতে এম,এ করেছিলো । আমরা মাঝে মাঝে সময় কাটাতাম এক সঙ্গে । এক বিকেলে আমরা জাতিসংঘ সদর দপ্তরের লাগোয়া ইস্ট রিভারের (পূর্ব নদী) সিঁড়িতে বসে গল্প করছিলাম । অনেকগুলো ছোট বিমান নদীতে । পানি থেকে উড়ে যায় । নিউ ইয়র্কের এরিয়াল ভিউ(Aerial View) দেখে আবার পানিতে এসেই ল্যান্ড করে । ধনী দেশের নাগরিকদের তো আর আনন্দের সীমা নেই । যেভাবে খুশি সময় কাটায় । আমি দেশে ফিরে আসবো বলায়, রহিম বলল ো,কি করতে যাবেন ? কি আছে বাংলাদেশে ? আমিতো মরবোও আমেরিকায় । রহিম বিবাহিত ছিলো । স্ত্রী দেশে । আমি জানতে চাইলাম, স্ত্রীর জন্য খারাপ লাগেনা ? রহিম বললো, না । মোটেও না । এখন স্ত্রীও খুব ভালোবাসে । অনেক কদর করে । আমেরিকা থেকে ডলার যায় তো । টাকা থাকলে বউও বেশি ভালোবাসে । আপনিতো বিয়ে করেননি তাই টের পান না । আমি রহিমের কাছে জানতে চেয়েছিলাম, টাকা থাকলেই কি মেয়েরা ভালোবাসে ? রহিম বলেছিলো, আলবৎ । আপনি দেখি এ ব্যাপারে এখনো শিশু । আমি বললাম , কই নাতো । আমাকে তো অনেক মেয়েরাই ভালোবাসে । অনেকের সঙ্গে প্রেমও আছে । রহিম বলেছিলো, আপ...