সরাসরি প্রধান সামগ্রীতে চলে যান

পোস্টগুলি

নভেম্বর, ২০২৩ থেকে পোস্টগুলি দেখানো হচ্ছে

সোনা

 সোনা ---------- সোনা নিয়ে অনেক কথা আছে। বাংলাদেশ ব্যাংকের ভোল্ট থেকে সোনা চুরি হওয়া থেকে সোনা খুবই গুরুত্বপূর্ণ হয়ে উঠেছিলো। বাংলাদেশে 'সোনা' বেশ জনপ্রিয়। মানুষের নাম আছে সোনা মিয়া। জায়গার নাম আছে সোনারগাঁও, সোনাগাজী, সোনাপুর। বাচ্চাদের আদর করে 'সোনামণি' ডাকেনি এমন মানুষ পাওয়া যাবে খুব কম। মেয়েদের তো সোনা ছাড়া চলেই না। এমন মেয়ে মধ্যবিত্ত, নিম্ন মধ্যবিত্ত পরিবারে পাওয়া যাবে কিনা জানিনা যার কাছে একটাও সোনার গয়না নেই। সোনার বহুমুখী ব্যবহার। স্বর্ণ কবে থেকে সোনা হলো তা জানি না।  অনেক এলাকায় নারী পুরুষের শরীরের বিশেষ অংশকেও সোনা বলা হয়। হয়তো সোনা দামি বলে। সোনা যেমন আদরের তেমনি তাচ্ছিল্যেরও। সোনা নিয়ে গালিও আছে। দেশের অনেক অব্যবস্থাপনায় অনেক ভদ্রলোককেও গালি দিয়ে বলতে শোনেছি, “সোনার দেশ”। ইন্টারমিডিয়েটে পড়তাম তখন। রেইসকোর্স, কান্দিরপাড়, ঝাউতলায়ই আমার ইন্টারমিডিয়েট পর্যন্ত জীবন কেটেছে । যা জীবনের খুব গুরুত্বপূর্ণ সময়। টাটকা যৌবন। উচ্ছ্বলতায় ভরপুর। বিকেলে কান্দিরপাড়েই আড্ডা। কতো মানুষ কম ছিলো!  ১৯৮৪/৮৫ সালে কথা। আমরা কয়েক বন্ধু কান্দিরপাড় দাপিয়ে বেড়াতাম। এক বিকেলে উঠলাম পৌর মা...

হুমায়ুন -গুলতেকিন

আমেরিকায় শুরুতে বেশ অর্থ কষ্টে ছিলাম। নুন আনতে পান্তা ফুরায় অবস্থা। একটা উদাহরণ দিয়ে পরিষ্কার করছি। বড় মেয়ের প্রথম জন্মদিন। তারিখটা বেকায়দা ধরণের, ২৮ অগাস্ট। মাসের শেষের দিকে। বেতনের চেক পেতে আরো তিনদিন লাগবে। হাতের সব ডলার শেষ। মেয়ের মা'র মেয়ের প্রথম জন্মদিন নিয়ে নানা পরিকল্পনা। আমি উপহার কিনে নিয়ে এলাম দুই কেজি ময়দা। মেয়ে ময়দা চানতে পছন্দ করে। আমি প্যাকেট খুলে মেয়ের চারপাশে ময়দা বিছিয়ে দিলাম। সে মহানন্দে দুই হাতে ময়দা ছানাছানি করতে লাগল। সে আনন্দে যতই হাসে, তার মা দু :খে ততই কাদে। মেয়ের প্রথম জন্মদিনে দুই কেজি ময়দা! তার কষ্ট দেখে আমি বলেছিলাম, দোআ করছি যেন তোমার সব ছেলেমেয়ে থাকে দুধেভাতে। যেন তারা কখনো অর্থকষ্টে না পড়ে। পরম করুনাময় আমার প্রার্থনা শুনেছেন। গুলতেকিন আমার অর্থকস্ট লাঘবের জন্যে নেমে পড়ল। বেবি সিটিং করে। পত্রিকার এড দেখে কাপড় রিপু করে দেয়। —হুমায়ূন আহমেদ (বলপয়েন্ট) * লেখালেখি করে কোটি কোটি টাকার মালিক হয়ে,  খ্যাতির শিখরে উঠে সেই দু:সময়ের ২৮ বছরের জীবন সঙ্গীকে অপমান করে তাড়িয়ে দিয়েছেন। কোটি কোটি টাকা থাকলেও আপনার তিন মেয়ে এক ছেলেকে টাকা পয়সা দেননি! তারা অনেক কষ্ট করে ল...

লাওস Laos

 লাওস Laos ------------------- কুয়ালালামপুর থেকে এয়ার এশিয়ায় উড়ে এসেছিলাম লাওস। দশ বছর আগে। ২০১২ সালে। আড়াই ঘন্টার ফ্লাইট। লাওস আমাদের ঘরের কাছে। সাবেক বার্মা-বর্তমান মায়ানমারের প্রতিবেশি দেশ লাওস। আয়তন ২,৩৬,৮০০ বর্গ কিলোমিটার। বাংলাদেশের প্রায় দ্বিগুণ। লোক সংখ্যা মাত্র ৬০ লাখ। এক দলীয় সমাজতান্ত্রিক সরকার পরিচালিত গরিব দেশ। অফিসিয়াল নাম 'লাও পিপলস ডেমোক্রেটিক রিপাবলিক' ( LPDR)। রাজধানী ভিয়েনতিয়েন ( Vientiane)। মেকং (Mekong) নদীর পাড়ে।  ভুবেস্টিত দেশ লাওস। সমুদ্র নেই। মায়ানমার, থাইল্যান্ড, ভিয়েতনাম, কম্বোডিয়া আর চীন এর প্রতিবেশি। থাইল্যান্ডের মতোই লাওসের মেয়েরা। ফ্রি গোয়িং। ভিয়েনতিয়েন এয়ারপোর্টে ল্যান্ড করে বিমান থেকে বের হয়ে দেখি একটা কাঠের দোতলা ঘরই এয়ারপোর্ট। বিমান থেকে নামার জন্য বোর্ডিং বৃজের কোনো ব্যবস্থা নেই। হেঁটে হেঁটে ইমিগ্রেশনে যেতে হয়েছে। পুরো এয়ারপোর্টে তিনটা ছোট বিমান দেখেছিলাম। ইমিগ্রেশন কিন্তু খুব কড়াকড়ি। কি জানি বাংলাদেশি পাসপোর্ট দেখে হয়তো। মহিলা ইমিগ্রেশন অফিসারটি আমার পাসপোর্ট খুঁটিয়ে খুঁটিয়ে দেখছিলো। আমার মেশিন রিডেবল পাসপোর্ট। সঙ্গের বাকি তিনটা পুরনো পাসপো...

Grief Specialist- দুঃখ বিশেষজ্ঞ

 Grief Specialist- দুঃখ বিশেষজ্ঞ ----------------------------------------------- প্রিন্সেস ডায়ানা মারা যান ৩১ আগস্ট ১৯৯৭। প্যারিসে সীন নদীর তীরে গভীর রাতে একটি টানেলে ডায়ানার মার্জিডিজ মারাত্মক দুর্ঘটনায় পড়ে। মিশরীয় মুসলিম বন্ধু ডডি আল ফায়েদ, ডায়ানা, ড্রাইভার হেনরি পল সকলেই মারা যান। পশ্চিমা বিশ্বে এই মৃত্যু বিরাট আলোড়ন সৃষ্টি করেছিলো। আমেরিকায়ও ডায়ানা এতো প্রিয় ছিলো জানা ছিলো না। ডায়ানার মৃত্যুর পর পরবর্তী সংখ্যার যায়যায়দিন ম্যাগাজিনে আমেরিকানদের প্রতিক্রিয়া নিয়ে একটা চমৎকার লেখা লিখেছিলাম। তখন আমি নিউইয়র্কে। সেদিন সন্ধ্যায় আমি থার্ড এভিনিউ আর লেক্সিংটন এভিনিউ মাঝে ২৮ স্ট্রিটে যাই। সেখানে গিয়েই শুনি ডায়ানা মারা গেছেন। ম্যানহাটনে এই এলাকাটিতে বেশ বাংলাদেশির আড্ডা। কারি এন্ড হারি, জয় অফ ইন্ডিয়া, কস্তুরি, শাহীন রেস্টুরেন্টসহ আরো অনেক রেস্টুরেন্ট আছে। ম্যানহাটনে বাঙালি কম থাকে। এখানে বাসা ভাড়া খুব বেশি। তাই বেশিরভাগ বাংলাদেশি কুইন্স, ব্রুকলিন, ব্রুনক্স এসব জায়গায় থাকে। আমি ম্যানহাটন থার্ড এভিনিউতেই থাকতাম। বাসা থেকে বের হলেই বেলভিউ হসপিটাল, এম্পায়ার স্টেট বিল্ডিং, জাতিসংঘ সদর দফতর, টা...

ওমাওয়ারিসান

 ওমাওয়ারিসান  ---------------------- করিম চৌধুরী টোকিওর ব্যস্ত এলাকা শিনজুকুতে আমাদের স্কুল। নামমাত্র ল্যাংগুয়েজ স্কুলে যাই। নামমাত্র বললাম এই জন্য যে, টোকিওর মাটিতে পা রেখেই শুধু ভাষার কারনে দেশটি আমার অপ্রিয় হয়ে গেলো। যদিও জাপানি খুব শ্রুতি মধুর একটা ভাষা। আমরা কয়েক বন্ধু এই স্কুলটিতে ভর্তি হয়ে ঢাকার জাপানি দূতাবাস থেকে ভিসা নিয়ে পড়াশোনার উদ্দেশেই টোকিও গিয়েছিলাম। আমাদের ভিসা স্ট্যাটাস ছিলো ৪-১-১৬-৩ । ছয় মাস পর পর ভিসার মেয়াদ বাড়াতে হয়। আমাদের ল্যাংগুয়েজ স্কুলটির নাম ছিলো ‘জাপান ফরেন ল্যাংগুয়েজ ইন্সটিটিউট ইনকর্পোরেটেড’ (Japan Foreign  Language  Institute Incorporated) সংক্ষেপে বলা হতো জাফলি JAFLI. পৃথিবীর বিভিন্ন দেশের প্রচুর ছাত্রছাত্রী এই স্কুলে। বিশেষ করে অনুন্নত দেশগুলোর। চীন, ফিলিপিন্স, মঙ্গোলিয়া, ভিয়েতনাম, বাংলাদেশ, কম্বোডিয়া,  ইন্ডিয়া, উত্তর কোরিয়া, পাকিস্তানসহ আরো অনেক দেশের। কিন্তু জানুয়ারি মাসের প্রচন্ড শীতে টোকিওর নারিতা এয়ারপোর্টে নেমে 'স্কাই লাইনার' এক্সপ্রেস ট্রেন ধরে টোকিও মূল শহরে পৌঁছে প্রায় পাগল হয়ে গেলাম। কিচ্ছু পড়তে পারিনা। দোকানের সাইনবোর্...

খেলা

 খেলা -------- পরিশ্রমী খেলাধুলার প্রতি আমার আগ্রহ স্কুল জীবন থেকেই নেই। কানামাছি, গোল্লাছুট, কুতকুত, দড়ি লাফানি, হাডুডু, দাঁড়িয়াবান্দা, হাইড এন্ড সিক ছোটবেলা যাকে বলতাম লুকপলান্তি, মার্বেল খেলাসহ অনেক খেলা আছে। বড় হয়েতো আর এসব খেলা যায় না। এসব ছোটদের খেলা। স্কুল জীবনে মাঝে মাঝে ফুটবল খেলেছি। কিন্তু অনেক কষ্ট। এতো দৌঁড়াদৌঁড়ি! কলেজ জীবনে ক্রিকেট খেলা দেখতাম। অনেকেই অবাক হবেন, ক্রিকেট আমার পছন্দের খেলা নয়। এতো দীর্ঘ সময়ের খেলা! সারাদিন ধরে খেলে! কখনো তিন চার দিন ধরে খেলা!  অন্য সব খেলার মতো ক্রিকেট খেলা নিয়েও অনেক জোকস চালু আছে। তারই একটি- সাবেক জার্মান ডিকটেটর এডলফ্ হিটলার তার সহযোগী আইখম্যানকে বললো, বৃটিশরা এটা কি খেলে যা জার্মানরা খেলে না? জার্মান পৃথিবীর শ্রেষ্ঠ জাতি। ডয়েচলান্ড বলে কথা। [ইংরেজিতে জার্মানি। জার্মান ভাষায় ডয়েচলান্ড( Deutschland) ]। আমাদেরকেও এই খেলায় এফিশিয়েন্ট হতে হবে। ইংরেজদের কোনো কিছুই আনচ্যালেঞ্জড ছেড়ে দেয়া হবে না। এখন থেকে জার্মানরাও ক্রিকেট খেলবে। তবে তার আগে আমি খেলাটি একবার দেখতে চাই। ফুয়েরার (নেতা) এর ইচ্ছা পূরণে সঙ্গে সঙ্গে এসে গেলো ক্রিকেটের ভিডিও ...

পীর, মাজার ও ওয়াজ মাহফিল

 কমেন্টারি: পীর, মাজার ও ওয়াজ মাহফিল ----------------------------------------------------- শীতকাল এসেছে। ওয়াজ মাহফিলের ব্যবসা শুরু হবে। সকাল, দুপুর, বিকাল ওয়াজের মাইকিংয়ে কান জ্বালাপালা হবে।  ওয়াজ মাহফিলের ব্যবসার সাথে জড়িত চান্দিনার একজন। চান্দিনা কুমিল্লা শহর থেকে ২০ কিলোমিটার পশ্চিমে। তিনি সুফিবাদের অনুসারী। বয়সে আমার জুনিয়র। নাম হাবিব। তিনি সব সময় সাদা পাজামা পাঞ্জাবি আর নামকরা হোটেলের শেফদের মতো খাড়া সাদা টুপি পরেন। তার বাবার নাম খোরশেদ আলম। নামের শেষে লাগিয়েছেন 'বকশী'। এখন তার নাম খোরশেদ আলম বিকশী। এক সময় তিনি কুস্তিগির ছিলেন। কুস্তিগিরকে কুমিল্লায় গ্রামে 'মাআল' বলে। মাআল হিসেবে উনার বেশ পরিচিতি।  পাঁচ ছয় বছর আগে আমি হাবিবের সঙ্গে কয়েক মাস চলেছি। ১৫/২০ দিন তার বাসায় গিয়েছি। এক দিন গল্প করতে করতে রাত হয়ে যাওয়ায় খোলা ছাদের উপর সারারাত কাটিয়েছি।  তিনি তার গ্রামসহ পাশের গ্রামের অনেকের সাথে বন্ধুত্ব করেছেন। কুমিল্লা সেনানিবাসের মার্কেটে এসেও তিনি আমাদের মতো কিছু বন্ধু বানিয়েছেন। আমি যে তিন মহাদেশের ২৬ টা দেশের পানি খেয়ে আসছি তা জেনেও তিনি এই আমাকে মুরিদ বানাতে চেয়ে ...

অনেক পারিবারিক সমস্যার একটি

 অনেক পারিবারিক সমস্যার একটি  ------------------------------------------------- আমার সমবয়সী সব বন্ধুরাই কেউ শ্বশুর, কেউ নানা, কেউ দাদা হয়েছেন। বাংলাদেশের সমাজে অনেক সমস্যার মধ্যে বড় সমস্যা পারিবারিক সমস্যা। এমন পরিবার আমি দেখিনি যে পরিবারে সমস্যা নেই। অনেক সমস্যার মাঝে বড় একটি সমস্যা হলো বিবাহিতা মেয়েকে দীর্ঘ দিন বাবার বাড়িতে রাখা। আমার পরিচিত অনেক ঘনিষ্ঠজন আছেন। কাইন্ডলি কেউ পার্সোনালি নেবেন না। সারা বাংলাদেশে এই সমস্যা। আমার এই ছোট গবেষণা অনেকের বিপক্ষে যাবে। এমন কমেন্টারিতে (Commentary) সবাইকে খুশি করা যায় না। আশা করি, লেখাটির বিষয়বস্তু সকলে বিবেচনা করবেন৷ আট দশজন বিবাহিতা মেয়ের পিতার সঙ্গে মত বিনিময় করে এই কমেন্টারি  লিখছি। বাংলাদেশের প্রেক্ষাপটে দেখা যায়, বেশিরভাগ মধ্যপ্রাচ্য প্রবাসী ছেলেদের স্ত্রী তাদের বাবার বাড়িতে থাকে বিভিন্ন কারণে। ইউরোপ আমেরিকার মতো মধ্যপ্রাচ্য প্রবাসী ছেলেরা তাদের স্ত্রী ও সন্তানদের ওই দেশে নিতে পারে না। বিয়ের পর স্বামী বিদেশে থাকলে স্ত্রীরা শ্বশুর বাড়িতে থাকে না বিভিন্ন সমস্যার কারণে। স্বামী দেশে না থাকলে শ্বশুর বাড়িতেও মেয়েদের  অনেক সমস...

ইসরাইল- ফিলিস্তিন সংঘাত

 ইসরাইল- ফিলিস্তিন সংঘাত ----------------------------------------- ১৯৪৮-৪৯, ১৯৫৬, ১৯৬৭, ১৯৭৩, ১৯৮২, ২০০৬ এই ছয় বার পূর্ণ মাত্রায় আরব- ইসরাইল যুদ্ধ হয়েছিলো। একবারও আরবরা জিততে পারেনি। ২২টি মুসলিম দেশ নিয়ে আরব লীগ। আজ পর্যন্ত কোনো বিষয়ে তারা একমত হতে পারেনি। কেনো? The Arab League  formally the League of Arab States is a regional organization in the Arab world, which is located in North Africa, West Asia, and part of East Africa. The Arab League was formed in Cairo on 22 March 1945, initially with six members: Egypt, Iraq, Transjordan, Lebanon, Saudi Arabia, and Yemen joined as a member on 5 May 1945. Currently, the League has 22 members. Headquarter: Cairo, Egypt.  Official Language: Arabic ৫৭টি দেশ দেশ নিয়ে অর্গেনাইজেশন অফ ইসলামিক কনফারেন্স। গত কিছুদিনের যুদ্ধে ওআইসি কিছুই করেনি। The Organisation of Islamic Cooperation (OIC) is the second largest inter-governmental organisation after the United Nations, with the membership of 57 states, covering four continents. The OIC is...

কেলোসাহাটশি-র তীরে

 কেলোসাহাটশি-র তীরে ---------------------------------- করিম চৌধুরী আমেরিকার পঞ্চাশটি স্টেটের যেমন ভিন্ন ভিন্ন প্রতীক, ফুল, পাখি, পতাকা, সংবিধান, রাজধানী, জীবনযাপন, তেমনি আবহাওয়াও ভিন্ন। নিউ ইয়র্ক, মেরিল্যান্ড, অরেগন, ইন্ডিয়ানা, কেন্টাকি, কলোরাডো, ইলিনয়েস, ওয়াশিংটনে (ওয়াশিংটন ডিসি আমেরিকার রাজধানী। ওয়াশিংটন স্টেট ওয়েস্ট কোস্টে কানাডার ভ্যাংকুভারের সঙ্গে। যার রাজধানী অলিম্পিয়া) যখন প্রচুর তুষারপাত হয়, শীতে মানুষ জমে যায়, মাইনাস তাপমাত্রায় নাকের পানি ঝরে, কান লাল হয়ে যায় তখন কয়েক কেজি কাপড় পরতে হয়। যেমন স্যান্ডো গেঞ্জি। তার ওপর টেরিউলের গলাবন্ধ ফুল হাতা গেঞ্জি। তার ওপর জিন্স বা মোটা কাপড়ের শার্ট অথবা ভারী সোয়েটার। তার ওপর মাথা ঢাকা লেদার জ্যাকেট অথবা হাঁটুর নিচ পর্যন্ত ওভারকোটসহ হাত মোজা বা গ্লাভস। গ্লাভস না পরলে মাইনাস তাপাত্রায় আঙুলের ডগায় ফ্রস্ট বাইট হতে পারে। ফ্রস্ট বাইট হলে আঙুলের ডগাগুলো চিরদিনের জন্য অসাড় হয়ে যায়। ওই সব স্টেটে নভেম্বর থেকে ফেব্রুয়ারি পর্যন্ত যখন রক্ত ঠান্ডা করা শীত তখন ফ্লোরিডায় একটি টি-শার্ট এবং শর্টস পরে ঘুরে বেড়ানো যায়। কয়েকদিন আগে ফেসবুকে আমাদের এক মেয়ে বন্...

দরকার নাই হায়

 দরকার নাই হায়                ----------------------- হিন্দি ভাষা সম্পর্কে আমার জ্ঞান নেই বললেই চলে।তবে হিন্দি প্রেমের গান বুঝি! ওই ভাষার প্রতি আমি কখনোই আকর্ষণ বোধ করিনি। অনেকদিন আগে আমার হিন্দি বলার ধরণ নিয়ে ছোট করে লিখেছিলাম। আমার এক বন্ধু সম্ভবত হিন্দি নিয়ে আমার ওই পোষ্টটি পড়েননি। গতকাল তিনি আমাকে দুটো এসএমএস করেছেন হিন্দিতে। ইংরেজি বর্ণমালা দিয়ে হিন্দি লিখেছেন। ১। ‘Main tujko kitna chahta hoon ye tu kabhi soch na sake .’ ২। ‘Main chaahun tujko meri jan bepanaah Fida hoon tujphe meri jaan bepanaah.’ ১ নাম্বারটা এমন হতে পারে, ম্যা তুজকো কিত না চাতা হু ইয়ে তু কাভি সোচ না সাকে। এটুকু বুঝেছি যে, আমি তোমাকে কতোটা চাই তা তুমি বুঝতে পারো না।(জানি না হয়েছে কিনা।) ২ নাম্বারটা কিছুই বুঝিনি তবে এখানে ভালোবাসার কথা আছে। ‘ম্যা চা হু তুজকো মেরি জান….’ আছে তো। শেষের লাইন কি তা বুঝিনি। যা হোক, আমি যেভাবে হিন্দি পারি বন্ধুকে সেভাবেই উত্তর লিখেছি। “আমি হিন্দি নেহি বুঝতা হায়। তুমি কেনো আমাকে হিন্দি লিখতা হায়?" তাজমহলে এমন হিন্দি বলায় এক হকার আমার দিকে অবাকভ...