সরাসরি প্রধান সামগ্রীতে চলে যান

পোস্টগুলি

মার্চ, ২০১৮ থেকে পোস্টগুলি দেখানো হচ্ছে

ডিজিটাল কোকেইন

ডিজিটাল কোকেইন “পৃথিবীর তিন ভাগের এক ভাগ মানুষই এখন সামাজিক যোগাযোগের মাধ্যম ফেসবুকে অভ্যস্ত । এর একটা ব্যাপক প্রভাব পড়েছে সমাজে । কিন্তু আপনি কি জানেন আপনার শরীরেও পরছে এই প্রভাব ? চলুন জেনে নিই এরকম কয়েকটি প্রভাবের কথা । * ডিজিটাল কোকেইনঃ অনলাইন আসক্তিকে মনোবিজ্ঞানীরা এখন ডিজিটাল কোকেইন নাম দিয়েছেন । ফেসবুক যারা ব্যবহার করেন তাদের অনেকেই বলেছেন, একটু পর পর ফেসবুকে ঢুকে তাদের দেখতে ইচ্ছে করে নতুন কোনো নোটিফিকেশন এলো কিনা ?আর একবার ঢুকলে কিভাবে যে ঘন্টার পর ঘন্টা পার হয়ে যায় তা যেন তারা টেরই পান না । শোনে মাদক আসক্তির মতো মনে হচ্ছে না ? ব্রেন স্কেনে মাদকাসক্ত আর অনলাইন আসক্তদের একই রকম ছবি দেখা গেছে । দুজনেরই মস্তিষ্কের সামনের ওয়েব ম্যাটারগুলো ক্ষয়ে যাওয়া । ব্রেনের ওয়েব ম্যাটার নিয়ন্ত্রন করে মানুষের আবেগ, মনোযোগ ও সিদ্ধান্ত গ্রহণকে । আর তা ক্ষয়ে যাওয়া মানে এই ক্ষমতাগুলো কমে যাওয়া । কাজেই সোশ্যাল মিডিয়ার নিয়ন্ত্রনহীন ব্যবহার আপনার আবেগকে ভারসাম্যহীন করতে পারে । নষ্ট করতে পারে আপনার মনোযোগ ও সিদ্ধান্ত নেয়ার সামর্থকে । মানুষের মস্তিষ্কে ডোপামিন নামে এক ধরনের কেমিক্যাল ন...

আমাদের এই বাংলাদেশ!!

আমাদের এই বাংলাদেশ! এক সময় ধর্ম মানুষকে শান্তি দিতো। মানুষকে উদারতা, মানবতা, পরোপকার, শিখিয়েছে। ঐক্যহীনকে ঐক্যবদ্ধ করেছে। শত্রুকে ভাই বানিয়েছে। আজ এই ধর্মের ধারক বাহক একে অপরের শত্রু। হাজারো মাজহাব ফেরকায় বিভক্ত। সাধারণ শিক্ষায় শিক্ষিতরাও বিভক্ত। ডাক্তার, ছাত্র,শিক্ষক, ইঞ্জিনিয়ার, ব্যবসায়ী, উকিল, রাজনীতিবিদ কোথাও ঐক্যের সুর নেই। কেবল বিভাজন আর হিংসা। আধিপত্য বিস্তার নিয়ে রীতিমতো প্রায় প্রতিদিন মারামারি। আগে একজনের বিপদে আরেকজন এগিয়ে যেতো। এখন রাস্তায় একজনকে কেউ আক্রমণ করলেও অন্যরা ফিরেও তাঁকায় না। শত শত মানুষের সামনে একজন আরেকজনকে হত্যা করলেও কেউ এগিয়ে যায় না। যৌথ পরিবারগুলো ভেঙে টুকরো টুকরো হয়ে গেছে। ভাইয়ে ভাইয়ে বিরোধ, বাবা মায়ের সম্মান নেই,গুরুজনদের মান্য করার প্রশ্নই উঠে না। প্রতিটি মানুষ বিচ্ছিন্ন। কেউ কারো খবর রাখে না। দেশ জাতি রসাতলে গেলেও কারো কোনো ভাবান্তর নেই। সবাই আছে নিজের স্বার্থ নিয়ে। আনন্দ ফুর্তি নিয়ে। মিডিয়া আছে তাদের ব্যবসা নিয়ে। আমরা তাদের কাস্টমার। রাত ১২ টায় শুরু হয় টক শো। একেকজনের কথা একেকরকম। মোবাইল অপারেটরগুলো রাত ১২টা থেকে ভোর ৫টা পর্যন্ত ২৫ পয়সা ম...

পরামর্শ

পরামর্শ কাল ২৬ মার্চে আমার একটা স্মৃতি আছে । যা ফেবু আমাকে মনে করিয়ে দেয় । এক বছর আগের ওই স্মৃতির পোষ্টটার সঙ্গে ফেবুতে বন্ধুত্বের একটা ঝামেলার কথা লিখেছিলাম । বাস্তব অভিজ্ঞতা । কাল পোষ্ট দেবো বলে একজন বিশ্বস্ত বন্ধুকে লেখাটি ইনবক্সে পাঠাই । এবং তার মতামত চাই । অনেক বড় লেখা । অনেক স্মৃতি । অবাক করার মতো তথ্য । তিনি অন্য জেলার হয়েও আমাকে কিছু পরামর্শ দিয়েছেন । ইনবক্সে আমরা দুই বন্ধুর কথা...........( একটু সম্পাদনা করে ।) তিনিঃ ভাই, যেসব লোকের কাছ থেকে পুলিশ অফিসারেরা বিভিন্নভাবে টাকা পায়, তারা সুবিধেজনক লোক নয় । ন্যায়ের পক্ষে থাকা লোক আজকাল খুবই কম (এতই কম যে, প্রায় নাই বললেই চলে) বলে এধরণের লোকেরই জয়জয়কার এদেশের সর্বত্র । তাছাড়া আপনার কাছে ……. অপরাধের কোন প্রমাণ নেই । তাই এফবিতে এই কথাগুলো লিখলে আপনার বিরুদ্ধে …….. মানহানির মামলাসহ অনেক কিছুই করতে পারে ৫৭ ধারার সুযোগ নিয়ে। সেজন্যে আমার পরামর্শ হল: দয়া করে দুজনকে মন থেকে মুছে ফেলুন চিরতরে। আমার পরামর্শে আস্থা রাখতে না পারলে রহমত ভাই এবং আরও যারা আপনার শুভাকাঙ্খী আছেন, তাঁদের সাথে পরামর্শ করুন। তাই আমার ধারণা, আবেগের রা...

'তাজউদ্দীন আহমদ : নেতা ও পিতা'

 'তাজউদ্দীন আহমদ : নেতা ও পিতা' ''পূর্ব পরিকল্পনা অনুযায়ী ২৫ মার্চের ভয়াল কালো রাতে আব্বু গেলেন মুজিব কাকুকে নিতে। মুজিব কাকু আব্বুর সঙ্গে আন্ডারগ্রাউন্ডে গিয়ে মুক্তিযুদ্ধ পরিচালনা করবেন...সেই অনুযায়ী আত্মগোপনের জন্য পুরান ঢাকায় একটি বাসাও ঠিক করে রাখা হয়েছিল।...অথচ শেষ মুহূর্তে মুজিব কাকু অনড় রয়ে গেলেন। তিনি আব্বুকে বললেন, 'বাড়ি গিয়ে নাকে তেল দিয়ে ঘুমিয়ে থাকো, পরশুদিন ( ২৭ মার্চ) হরতাল ডেকেছি।' মুজিব কাকুর তাৎক্ষণিক এই উক্তিতে আব্বু বিস্ময় ও বেদনায় বিমূঢ় হয়ে পড়লেন। এদিকে বেগম মুজিব ঐ শোবার ঘরেই সুটকেসে মুজ িব কাকুর জামাকাপড় ভাঁজ করে রাখতে শুরু করলেন।... পাকিস্তানি সেনার হাতে মুজিব কাকুর স্বেচ্ছাবন্দি হওয়ার এইসব প্রস্তুতি দেখার পরও আব্বু হাল না ছেড়ে প্রায় এক ঘণ্টা ধরে বিভিন্ন ঐতিহাসিক উদাহরণ টেনে মুজিব কাকুকে বোঝাবার চেষ্টা করলেন...যাঁরা আত্মগোপন করে মুক্তিযুদ্ধ পরিচালনা করেছিলেন। কিন্তু মুজিব কাকু তাঁর এই সিদ্ধান্তে অনড় হয়ে রইলেন।''__ শারমিন আহমদ, 'তাজউদ্দীন আহমদ : নেতা ও পিতা', ২০১৪, পৃ.৫৯-৬০

Status

Status ফেসবুকের লেখাকে স্ট্যাটাস কেন বলা হয় তা নিয়ে অনেক ভেবেছি। কোন কুল কিনারা পাই নি। তাই আজ আবার সেই ডিকশনারি দেখলাম। আমাদের সময় স্ট্যাটাস বলতে সামাজিক পদমর্যাদাকেই বুঝাতো । Status শব্দের অর্থ ডিকশনারিতে লেখা আছে.... “অবস্থা, হাল, পদমর্যাদা, প্রতিষ্ঠা, অবস্থান, সাবালকত্ব, ঠাটবাট, সামাজিক মর্যাদা।” স্ট্যাটাস বলতে এখানে লেখার মর্যাদাকে বুঝানো হয়ে থাকতে পারে। কিন্তু ফেবুতে কি মৌলিক কোনো লেখার তেমন গুরুত্ব আছে? লেখা একটু বড় হলেই বিশেষ তেমন কেউ পড়েনও না। দায়িত্ব হিসেবে একটা লাইক দিয়ে যায়। লাইক দেয়ার অর্থ শুধু "পছন্দ করেছি" তা বুঝায় না। পোষ্টটি বা ছবিটি আমার " নজরে পরেছে" তাও বুঝায়। মেয়েদের কোনো পোষ্ট বা ছবির ক্ষেত্রে এই থিওরি প্রযোজ্য নয়। বিবাহিতা কিংবা স্পিনস্টার (Spinster) কিছু সাধারণ মেয়েদের ছবিতেও ( তারা সেলিব্রেটিও নয়)। প্রচুর কমেন্ট থাকে । আজ দেখালাম একজন লিখেছেন “ মেয়েদের ছবিতে Lovely, Sweet, Amazing, Attractive, Awesome, Beautiful, Fabulous, ওয়াও, জাক্কাস, সেইরাম হইছে, রাজকন্যার মতো, আর লাভ রিয়েক্ট দেয়া ওই মেয়েটির প্রতি ওইসব পুরুষের যৌন...

ছোটবেলা

· ছোটবেলা ছোট বেলায় শ্লেটে লিখতাম । চক বা গ্রাফাইট (সম্ভবত) পেন্সিল দিয়ে । ভেজা কাপড়ে মুছে আবার নতুন কিছু লিখতাম । হাতের কাছে পানি না পেলে কখনো বা থুথু দিয়ে শ্লেট মুছে ফে লতাম । বড় সাইজের জাম্বুরা দিয়ে ফুটবল খেলেছি অনেক । কখনো বা কাগজের বড় ঠোঙায় খড় ঢুকিয়ে মোটা সুতা দিয়ে পেঁচিয়ে ওই ঠোঙাকে ফুটবল বানাতাম । সমবয়সী মেয়েদের সঙ্গে "বৌ-জামাই" খেলেছি অসংখ্যবার । সেই হিসেবে আমার কয়েক ডজন বৌ ছিলো । ডাংগুলি খেলা ছিলো কমন । হাই স্কুল জীবনে কখনো সখনো বাজারে পাঠালে বাজারের টাকা থেকে চুরি করে থার্ড ক্লাশে বাংলা সিনেমা দেখা যে কি আনন্দের ছিলো তা বলাই বাহুল্য । ''অবুঝ মন''(শুধু গান গেয়ে পরিচয় -অবুঝ মনের গান ) "সাধু শয়তান"( আগে পিছে দেখে চলো কাঁটা ফুটবে পা-য়- চোরা কাঁটা হলে পরে তারে খোলা যায়-প্রেমের কাটাতো খোলা যায় না-একবার যদি বিঁধে যায় কি উপায় বলো- সাধু শয়তানের গান)" দোস্ত দুশমন "(চুমকি চলেছে একা পথে- দোস্ত দুশমনের গান) "কি যে করি"( শোন গো রূপসী ললনা- কি যে করির গান) "ময়নামতি"( অনেক স...

সুজানা

  সুজানা প্রথম ছবির ছোট্ট বর্ণনা :- এইতো সেদিন পাঁচ বছর আগে । টুরিস্ট বাসে পুরু সিঙ্গাপুর ঘুরে এসে নামলাম । এই জায়গাটির নাম সানটেক সিটি । সিঙ্গাপুর খুব ছোট দেশ । লম্ব ায় ২২ মাইল আর প্রস্থে ১৪ মাইল । লোক সংখ্যা মাত্র ৫২ লাখ । যে ঝর্ণাটা দেখা যাচ্ছে তা রাতের বেলায় কেমন হয় তা যারা দেখেননি তাদের লিখে বুঝানো কিছুতেই সম্ভব নয়। ‘কৃশ’ হিন্দি মুভিটি প্রায় সবটাই এখানে শুটিং হয়েছিলো । এখানে ছবি তুলবো । কিন্তু আমি একা । দু’টো মেয়ে দেখলাম ঝর্ণার পাশে দাঁড়িয়ে । ওদের দেখেই বুঝেছি ওরা বিদেশি । দুইজন বিদেশি তৃতীয় কোন দেশে খুব সহজেই আপন হয়ে যেতে পারে । ওদেশে দুজনই আগন্তুক । এগিয়ে গিয়ে নিজের পরিচয় দিয়ে সৌজন্য বিনিময় করে জানলাম মেয়ে দু’টো ভেনিজুয়েলার । কারাকাস (ভেনিজুয়েলার রাজধানী) ইউনিভার্সিটিতে ফটোগ্রাফিতে পড়াশোনা করছে । আমার সঙ্গে অল্প কথায় এই মেয়েটি ঘনিষ্ঠ হয়ে গেলো । আমেরিকায় ছিলাম বলে দক্ষিন আমেরিকার দেশগূলো সম্পর্কে আমার ধারণা আছে । ব্রাজিল, বলিভিয়া, আরজেন্টিনা, পেরু, কোস্টারিকা, হন্ডুরাস ,কলামবিয়া , গায়ানা ,উরুগুয়ে, সুরিনাম, ইকুয়েডর ,নিকারাগুয়া, এল সালবাদর, প্যার...

হিন্দি

  হিন্দি আমি হিন্দি বলতে পারিনা । কখনো চেষ্টাও করিনি । তবে বুঝি । ছোটবেলা থেকেই আমার ধারণা ছিলো, ক্রিয়া পদের শেষে ''তা" আর যে কোন বাক্যের শেষে "হায়" জুড়ে দিলেই হিন্দি হয় ে যায় । যেমন 'যাইতা হায়', 'খাইতা হায়' 'করতা হায়' 'বুঝতা হায়' 'ঘুমাইতা হায় ' 'আমি তোমাকে ভালোবাসতা হায়' ইত্যাদি । তো দুইবার ভারতের উত্তর প্রদেশের আগ্রায় তাজ মহলে গিয়েছিলাম । তাজ মহলের আশেপাশে প্রচুর হকার বিভিন্ন জিনিষ বিক্রি করে । আমাদের মতো টুরিস্ট দেখলে ওরা খুব জ্বালায় । কেনার জন্য পীড়াপীড়ি করে । কয়েকজনকে ইংরেজিতে I don't need বলে বিদায় করেছি । তারপরও অনেক হকার যন্ত্রণা করছিলো । এক পর্যায়ে আমি রেগে গিয়ে হিন্দিতে বলেছিলাম " দরকার নাই হায় " ।

শনব্রুন Shoenbrun

শনব্রুন Shoenbrun শনব্রুন, ভিয়েনা,অস্টৃয়া । সতের শ শতাব্দীতে জায়গাটি নেপোলিয়নের হেড কোয়ার্টার ছিলো । এমন সুন্দর জায়গা পৃথিবীতে কম দেখেছি । ওই বাগানে চিৎ হয়ে শুয়ে আকাশ দেখেছি । চমৎকার অনুভূতি । খোলা জায়গায় চিৎ হয়ে শুয়ে আকাশ দেখতে দারুণ । অস্টৃয়ার প্রধান গুরুত্বপূর্ণ এবং ঐতিহাসিকভাবে আকর্ষণীয় এবং নাম্বার ওয়ান টুরিস্ট স্পট শনব্রুন। এর ভেতরে পর্যাপ্ত পে ফোন আছে । রিসিভার তুলে কয়েন ঢুকালে নেপোলিয়ন,ভিয়েনার ইতিহাস,এই জায়গার ঐতিহাসিক গুরুত্ব আরো অনেক কিছু প্ রথমে জার্মান ভাষায় ও পরে ইংরেজিতে আকর্ষণীয় মধুর মেয়েলি কন্ঠে বর্ণনা শোনা যায় । অটো রেকর্ড করা আছে । নেপোলিয়ন,ভিয়েনা,অস্টৃয়া,শনব্রুন সম্পর্কে কাউকে জিজ্ঞেস করতে হয়না । ভিয়েনার খুব গুরুত্বপূর্ণ জায়গা শনব্রুন । শনব্রুন শব্দটি জার্মান । Schoenbrun মানে সুন্দর ফোয়ারা । এখানে চমৎকার একটি ঝর্ণা আছে। নগর জীবনের চেয়ে এসব নিরিবিলি জায়গায় সময় কাটাতে আমার ভালো লাগতো। এখনো লাগে ।

ভ্লাদিমির পুতিন

  ভ্লাদিমির পুতিন সিএনএন দেখছি। মস্কো থেকে লাইভ দেখাচ্ছে। ভ্লাদিমির পুতিন ৭৬% ভোটে এগিয়ে আছেন প্রেসিডেন্সিয়াল ইলেকশনে। ১৯৯০ সালে তৎকালীন সোভিয়েত প্রেসিডেন্ট মিখাইল গরবাচেভের পেরেস্ত্রোইকা আর গ্লাসনস্ট নীতির কারনে লেনিনের প্রতিষ্ঠিত সমাজতন্ত্র ভেঙে বরিস ইয়েলৎসিনের নেতৃত্বে রাশিয়ায় "গণতন্ত্র" প্রতিষ্ঠিত হলেও এটা কেমন গণতন্ত্র আমার মাথায় ঢুকে না। ইয়েলৎসিনের মৃত্যুর পর তার ডান হাত বলে বিবেচিত পুতিন আজো প্রেসিডেন্ট। কয়েকবছর আগে দিমিত্রি মেদভেদেভকে প্রেসিডেন্ট বানিয়ে পুতিন প্রধানমন্ত্রী হয়। কারন দু ইবারের বেশি প্রেসিডেন্ট হতে পারবে না বলে রুশ সংবিধানে উল্লেখ ছিলো। তারপর সংবিধান পরিবর্তন করে আবার পুতিন প্রেসিডেন্ট হয়। এবারও পুতিনই প্রেসিডেন্ট! এর চেয়ে সমাজতন্ত্রই ভালো ছিলো। দুই পরাশক্তি ছিলো। সমাজতন্ত্র ভেঙে আমেরিকাকে একক পরাশক্তি বানিয়েছে সম্ভবত গরবাচেভ। অনেকেই গরবাচেভকে সিআইএর এজেন্ট মনে করেন। Putin was born in Leningrad in the Soviet Union. He studied law at Saint Petersburg State University, graduating in 1975. Putin was a KGB foreign intelligence officer ...

জনি ওয়াকার-ব্ল্যাক লেবেল

  জনি ওয়াকার-ব্ল্যাক লেবেল সব বিষয়ে কথা বলতে চাই না । বলা উচিতও নয় । কিন্তু আমার সামনে এমন সাবজেক্ট এসে যায়, না বলেও পারি না । বলতে আবার ভয়ও হয় । কারণ কথা বলতে তো মুখে দিয়ে কতো কথাই এসে প ড়তে পারে । ভালো কথা, মন্দ কথা, খারাপ কথা, আকথা,কুকথা, অনেক রকমের কথা আছে । কথার কোন শেষ নেই । যে কথা বলে শেষ করা যাবে না । তবু একটু বলি । এটা আমার পড়ার টেবিল । বাসায় থাকলে এখানেই বেশি সময় কাটে । আমার কাছে কিছু লোক আসেন মাঝে মাঝে । ওরা আমাকে তীব্রভাবে অপছন্দ করে। কিন্তু আমার কাছে এসে গল্প করে । আমি খুব বেশি সময় দিই না তাদের । শুনেছি,আমার কাছে তাদের আসার একমাত্র কারণ আমার সঙ্গে গল্প করে তারা কিছু শিখতে চায় । একদিন একজন সরাসরি আমাকে বলেছে , বেশি লেখাপড়া করিনি ঠিক কিন্তু এতো বেআক্কেল আমি না যে, কাজ ফেলে আপনার সঙ্গে আড্ডা দেবো । আপনার সঙ্গে কথা বললে অনেক কিছু জানতে পারি । তো আমার টেবিলে জনি ওয়াকার-ব্ল্যাক লেবেল( Johnnie Walker-Black Label ) এর ১ লিটারের একটা হুইস্কির বোতল আছে । আমি এখন ডৃং করিনা । তবে ব্ল্যাক লেবেলের প্রতি আমার বেশ দুর্বলতা আছে । তাই ওই বোতলট...

স্মৃতি তুমি বেদনা

 স্মৃতি তুমি বেদনা ছোট বেলা দেখেছি গ্রামের মহিলারা সাদা কাপড়ে রঙিন সুতা দিয়ে লিখতো " স্মৃতি তুমি বেদনা। " " যাও পাখি বলো তারে সে যেন ভুলে না মোরে। " " ভুলনা আমায়" "পুকুরেতে জল নাই পদ্ম কেনো ভাসে? যার সাথে দেখা নাই সে কেনো হাসে।" "বসন্ত আসিলে ফুল দুটি ফুটিবে আবার, যৌবন চলিয়া গেলে ফিরিবে না আর!" এসব কথা ফ্রেমে বাধাই করে ঘরে টাঙিয়ে রাখতো। এখনকার মতো দামি পেইন্টিং ছিলো না।

কিছু রাজনৈতিক ও রাজনীতিসংশ্লিষ্ট ব্যক্তির হিউমার

কিছু রাজনৈতিক ও রাজনীতিসংশ্লিষ্ট ব্যক্তির হিউমার ১। ইরাক যুদ্ধের আগে তৎকালীন প্রেসিডেন্ট জর্জ বুশ (জুনিয়র) এক প্রেস মিটিংয়ে বললেন, ইরাকের বিরুদ্ধে যুদ্ধ এখন অন িবার্য হয়ে উঠেছে । সাদ্দাম হোসেনের গনবিধ্বংসী অস্ত্র থেকে বিশ্বকে বাঁচাতে কিছু ইরাকি ও আমাদের জনপ্রিয় অভিনেত্রী জুলিয়া রবার্টসের জীবন হুমকির মুখে পড়তে পারে । এক সাংবাদিক বুশকে প্রশ্ন করেন, মি. প্রেসিডেন্ট, ইরাকিদের জীবন হুমকির মুখে পড়তে পারে তা বুঝলাম, কিন্তু জুলিয়া রবার্টস কেন ? বুশ হাসতে হাসতে বললেন-Yes, I understand . You are not worried about the Iraqis, you are worried about Julia . ২। আমরা জানি, পৃথিবীর প্রাচীনতম পেশা হচ্ছে পতিতাবৃত্তি । আশির দশকে আমেরিকান প্রেসিডেন্ট রোনাল্ড রেগান প্রেসিডেন্ট থাকা অবস্থায়ই বলেছিলেন, রাজনীতি হলো পৃথিবীর দ্বিতীয় প্রাচীন পেশা এবং আমি এই উপলব্ধিতে পৌঁছেছি যে, এটির সঙ্গে প্রাচীনতম পেশাটির যথেষ্ট মিল রয়েছে । ৩। রাজনীতি বিশ্লেষক রবার্ট বায়ার্ন বলেছেন,একজন প্রতিশ্রুতিশীল যুবক যদি আজীবন প্রতিশ্রুতিশীল থাকতে চায়, তাহলে তার উচিৎ রাজনীতিতে যোগ দেয়া । কারণ তাতে তার প্রতিশ্রুতি কোনোদিনই...

স্মার্ট ফোন

স্মার্ট ফোন স্মার্ট ফোন বা ফেসবুক কে বা কারা ইউজ করতে পারবে বা করা উচিৎ এ নিয়ে আমাদের সমাজে বিতর্ক আছে । আমার জুনিয়র বা ছাত্রছাত্রীদের মধ্য েও অনেকেই জানতে চেয়েছে তারা মোবাইল ফোন বা ফেসবুক ইউজ করতে পারবে কিনা । এ প্রশ্নের উত্তর দিতে হলে একটু ভূমিকা লাগে । ইসলাম ধর্মের অনেক মাওলানা, মুফতি, ক্বারি, কিছু ধর্মীয় গুরু (যাদের আমরা পীর মানি), ইমাম সাহেবকে বলতে শুনেছি, ইসলামের দৃষ্টিতে এসব ব্যবহার করা নিষেধ । টিভি, মোবাইল, কম্পিউটার, ইন্টারনেট অর্থাৎ আধুনিক প্রযুক্তি ব্যবহারে এরা বাঁধা দেয় । এরা মনে করে,এসব প্রযুক্তি ইসলামের মুল্যবোধকে আঘাত করে । এরা বলে, এসব ইহুদি নাসারাদের সৃষ্টি । ইসলাম বা মুসলমানদের ধ্বংস করার জন্য বিধর্মী বা নাস্তিকরা এসব বানিয়েছে । সেখান থেকেই এগুলো ব্যবহারের বৈধতার প্রশ্ন এসেছে প্রধানত । কিন্তু সবচেয়ে হাস্যকর বিষয় হলো, আমার দেখা এসব মাওলানা, মুফতি, ক্বারি, ইমাম সাহেব সবাই স্মার্ট ফোন ব্যবহার করেন ! অনেকেরই ফেসবুক একাউন্টও আছে । এ প্রসঙ্গে কলেজ জীবনের এক স্মৃতি মনে পড়লো । ইন্টারমেডিয়েট পাশ করে যখন বিভিন্ন ভার্সিটিতে টেস্ট পরীক্ষা দিচ্ছিলাম, তখন একদিন বা...

পাত্রী চাই

পাত্রী চাই আমাদের ছাত্রজীবনে হাতে গোনা কয়েকটা দৈনিক পত্রিকা ছিলো। টিভি বলতে বিটিভি। প্রধান কয়েকটি পত্রিকা ছিলো, ১। ইত্তেফাক ২। দৈনিক বাংলা ৩। সংবাদ ৪। দৈনিক খবর ৫। ইনকিলাব ( তা এরশাদের সময় প্রকাশিত হয়।) ৬। The New Nation ৭। The Bangladesh Times ৮। The Bangladesh Observer সাপ্তাহিক এর মধ্যে ছিলো, ১। রোববার ( ইত্তেফাক গ্রুপের) ২। বিচিত্রা ( Bangladesh Times ও দৈনিক বাংলা গ্রুপের যা সরকারি ছিলো। এখন বন্ধ)। ৩। যায়যায়দিন ৪। আজকের সূর্যোদয় ৫। চিত্রবাংলা ৬। বিচিন্তা (যায়যায়দিন এরশাদ ১৯৯৫ সালে নিষিদ্ধ করলে মিনার মাহমুদ বের করেন।) ৭। দেশবন্ধু ( সম্পাদক ছিলেন বর্তমান ৭১ টিভির মালিক মোজাম্মেল বাবু) ৮। Dhaka Courier ( সম্পাদক এনায়েত উল্লাহ খান যিনি UNB- United News of Bangladesh সংবাদ সংস্থারও মালিক ছিলেন। এনায়েত উল্লাহ খান এরশাদের পালিত কন্যা জেবিনের হাসব্যান্ড।) আর ছিলো কিছু দলীয় পত্রিকা। যেমন : বাংলার বাণী ( আওয়ামী লীগ) ভ্যানগার্ড ( জাসদ/বাসদ), সংগ্রাম ( জামায়েত ইসলামীর,ন্যাপ এর পত্রিকার নামটি ভুলে গেছি। সিনে পত্রিকার মধ্যে ছিলো "পুর্বানী" আর "চিত্রালী...

কী ? বিয়ে শাদী করছো ?

কী ? বিয়ে শাদী করছো ? “ কী ? বিয়ে শাদী করছো ? না এখনো আজান দিয়েই চলতেছো?” এই কথা স্কুল জীবন থেকেই শুনে আসছি, সিনিয়র ভাইদের মুখে এমন কথা শুনে কিশ োর বয়সে ভাবতাম, বিয়ের সাথে আজানের কি সম্পর্ক ? আজান দিয়ে চললে কি বিয়ে করতে হয় না ? কলেজে পড়ার সময় আমরা বন্ধুরাও বিষয়টা বুঝে একে অপরকে এই কথা বলতাম । কিন্তু এর শানে নুযুল জানতাম না । ইউরোপে থাকতে একবার সুইজারল্যান্ড গিয়েছিলাম বেড়াতে । অস্টৃয়া-সুইজারল্যান্ড প্রতিবেশি দেশ । ভিয়েনা থেকে সুইজারল্যান্ডের জুরিখ ট্রেনে যেতে সময় লাগে ৭ ঘন্টা । আমি, কালাম, বাবু, নিউটন, পিটার আর মাইকেল । কালাম ফেনির, আমি কুমিল্লার, বাবু ঢাকার গোরানের, নিউটন টাঙ্গাইলের, পিটার আর মাইকেল অস্টৃয়ান । আমাদের প্রধান কাজই ছিলো ঘুরাঘুরি করা । বাড়ি ভাড়া আর নিজের খরচের জন্য ৮ ঘন্টা চাকরি করা । ইউরোপ আমেরিকায় কাজের নির্ধারিত সময় দৈনিক আট ঘন্টা । সপ্তাহে ৪০ ঘন্টা । দুইদিন ছুটি । ছুটি না নিয়েও দুইদিন প্রতিবেশি যে কোন দেশে বেড়াতে যাওয়া যায় । আমরা ১ সপ্তাহ ছুটি নিয়েই গিয়েছিলাম । যুবক বয়সের ‘পোংটামি’ আর কি ! সুইজারল্যান্ড গিয়ে আমরা কি কি করবো জুরিখ অভিমুখী দ...

সেলফি ( Selfie)

সেলফি ( Selfie) ইদানীং সেলফি ( Selfie) শব্দটি খুবই জনপ্রিয় । বহুল ব্যবহৃত । সালমান খান তো গানই গেয়েছেন ছবিতে "চল বেটা সেলফি লে লে" । অনেকের হাবভাব দেখে মনে হয় যেন সেলফি একটা বি রাট কিছু । অনেকেই এমন ছবি দেন; ২ হাত ২ পাসহ সারা শরীর দেখা যায় । তিনি কিভাবে মোবাইল ধরলেন এটা আমার মাথায় এখনো ঢুকছে না । আবার নিচে ক্যাপশন লিখেন "আজকের একটা সেলফি" । SELFIE শব্দের আভিধানিক অর্থ নিজের ছবি নিজে তোলা । তো এটা এমন বিরাট কিছু কি ? এটা নিয়ে এতো লাফালাফি করারই বা কি আছে ? ২০/৩০ বছর আগেও তো আমরা অনেকেই নিজের ছবি নিজে তুলেছি । ক্যামেরাতে টাইমার সেট করে, একটা টেবিল বা চেয়ার বা অন্য কিছুর উপর ক্যামেরা রেখে শাটার বাটন প্রেস করে তাড়াতাড়ি গিয়ে বসে, দাঁড়িয়ে যে কোন পোজ দিলে ১ মিনিটের মধ্যে ( ক্যামেরাতে ইচ্ছামতো টাইম ফিক্সড করা যায় ) ক্যামেরা অটো স্ন্যাপ নিবে । আমি নিজে এমন অনেক ছবি তুলেছি ক্যামেরায় । সেলফি শব্দটি এদেশে পরিচিত হওয়ার অনেক আগে থেকেই আমি মোবাইলে নিজের ছবি নিজে তুলেছি অনেক । তখনো জানতাম না এটাকে যে সেলফি বলে । বাংলাদেশেও তখন সেল...

ফেসবুকে লেখা

 ফেসবুকে লেখা  আমি ফেসবুকে না লিখলে দেশ ও জাতির কোনো ক্ষতি তো হবেই না বরং অনেকে আনন্দিত হবেন । কেউ কেউ যে আমাকে পছন্দ করেন না তাও জানি । ২০১৪ সালে একবার ফেসবুকে থাকবো না বলে স ্ট্যাটাস দিলে কয়েকজন আলহামদুলিল্লাহ্‌ বলে কমেন্ট করেছিলো । আবার অনেকে ভালোওবাসেন তাও জানি । আমার লেখায় নিজেকে হাইলাইট বেশি করা হয় বলে অনেকেই মনে করতে পারেন । অনেকেই ভাবতে পারেন, আমি নিজেকে বেশি জাহির করছি । লেখার পর আমি নিজে কয়েকবার লেখাটা পড়ি । আমার কিছুই করার নেই । আমার জীবনে হয়তো পাগলামি একটু বেশি । আছে এমন অনেক মানুষ । আমরা জানি না । তারা ফেসবুকেও লিখেন না । এক সময় বিশিষ্ট সাংবাদিক মি. আবেদ খান এর সঙ্গে আমার সখ্য ছিলো । জাপান থেকে ফিরে আমি ইত্তেফাক অফিসে গিয়েছিলাম তাঁর লেখা নিয়মিত উপসম্পাদকীয় “ নিবেদন-ইতি” যা তিনি ‘অভাজন’ ছদ্মনামে লিখতেন; সেই এক বছরের তাঁর কলামগুলো যোগাড় করতে । সেদিন আবেদ ভাইকে অল্প কিছু কথা বলায় তিনি বলেছিলেন, বাহ, তোমার জীবনতো বেশ বৈচিত্র্যময় । তখনো ইউরোপ- আমেরিকায় যাইনি । তাহলে এখন ওই “বৈচিত্র্যময়” কি হয়েছে ? ছাত্র জীবনে আমি পছন্দের লেখা সংগ্রহে রাখতাম ।...

মোবাইল ছিনতাই

মোবাইল ছিনতাই গতকাল একাধিক মোবাইল নাম্বার নিয়ে লিখতে গিয়ে ২০১১ সালে আমার মোবাইল ছিনতাই হয়েছিলো ঢাকা পররাষ্ট্র মন্ত্রণালয়ের প্রধান গেইটে উল্লেখ করেছিলাম । এখানে সময়ের একটু ভুল ছিলো । আসলে ২০১২ সালের প্রথম দিকে হবে । আমি একটা লেখা মৌচাকে ঢিল সম্পাদক মি.শফিক রেহমানকে দিতে তাঁর ১৫ ইস্কাটন গার্ডেনের বাসায় গিয়েছিলাম । তিনি আমাকে স্নেহ করতেন । ভালো লিখি বলে উৎসাহ দিতেন । তাই সময় পেলেই আমি তাঁর বাসায় যেতাম । যায়যায়দিন-এ লেখা থেকেই উনার সঙ্গে আমার আন্তরিক সম্পর্ক গড়ে উঠেছিলো । যায়যায়দিনে সব লেখাই আমি আমেরিকা থেকে লিখতাম । তিনি পশ্চিমা মানসিকতার আধুনিক মানুষ । অনেক দিন দেখা না হলে তিনিও কখনো আমাকে ফোন করে বাসায় যেতে বলতেন । অথবা সজীব ওনাসিস (সহকারি সম্পাদক)কে দিয়ে ফোন করিয়ে আমাকে বাসায় যেতে বলতেন । আমাকে তিনি সব সময় তাঁর বাসার ভেতরের ভিআইপি ড্রয়িং রুমে নিয়ে গল্প করতেন । আমাকে তিনি ডাক নামেই ডাকতেন । তো সেবার একটা লেখা দিয়ে সম্ভবত চৈতালি ভালোবাসা সংখ্যার জন্য “ভালোবাসার গান” শিরোনামে লেখাটি দিয়ে আমি ইস্কাটন গার্ডেন থেকে রিকশায় পল্টন ফিরছিলাম । তখন রাত ৯টা হবে । সেদিন ইনডিয়ান ...

একাধিক মোবাইল নাম্বার বা সিম কার্ড

একাধিক মোবাইল নাম্বার বা সিম কার্ড এই লেখা একান্তই আমার ব্যক্তিগত চিন্তা ও অভিজ্ঞতা । একজন মানুষের একটিই ফোন নাম্বার থাকবে । এবং এটাই স্বাভাবিক । সে জন্যই আই ফোন এবং এলজি ফোনে একটা সিম কার্ডই ইউজ করা যায় । একাধিক নয় । একজন মানুষ কেন একাধিক নাম্বার ব্যবহার করবেন ? বাংলাদেশের প্রেক্ষাপটে একজন মানুষ বড় জোর দুইটি নাম্বার ইউজ করতে পারেন । বেশিরভাগ ফোনে দুই সিম কার্ড ইউজ করার অপশন আছে বলে । এবং এই দুই নাম্বারের যে কোনটিতেই ফোন করলে ও ই ব্যক্তিকে পাওয়া যাবে যখন তখন । আমার অভিজ্ঞতা থেকে দেখেছি, যারা দুইয়ের অধিক নাম্বার ব্যবহার করেন তারা তুলনামূলক অসৎ হয় । একেকজনকে একেক নাম্বার দেয় । ওইসব নাম্বারে ফোন করলে তা বন্ধ পাওয়া যায় । যারা বিভিন্ন জায়গায় আর্থিক লেনদেনে ঝামেলা করেন তারাই দুইয়ের অধিক নাম্বার ব্যবহার করেন । অথবা অন্য কোনো অসৎ উদ্দেশ্য যাদের থাকে । মেয়েদের ক্ষেত্রেও একই অভিজ্ঞতা আমার আছে । মেয়েরা ছেলেদের সঙ্গে যে নাম্বারে কথা বলেন তারা কোনো কারনে সম্পর্ক রাখতে না চাইলে সেই নাম্বারটা বন্ধ করে দেন । অবশ্য দায়িত্বশীল, সৎ, ভালো মেয়েরা তা করেন না । এটা ঠিক যে, আপনি চাইলে একাধ...

ধর্ম

ধর্ম আশির দশকের পর থেকে ইসলামকে বেশি বিতর্কিত করেছেন ওসামা বিন লাদেন । ইসলাম ধর্মের অনুসারী অনেকেই তাঁকে( লাদেন) হিরো মনে করেন ! ১৯৯১ এর গালফ ওয়ারের সময় আমি ভিয়েনায় ছিলাম । আবার ২০০৩ সালে আমেরিকার ইরাক আক্রমনের সময় আমেরিকা ছিলাম । কেবল চাকরি করে বাসায় এসে ঘুমিয়েছি আর টাকা জমিয়েছি তাতো নয় । ওইসব দেশের অনেকের সঙ্গেই কথা বলে দেখেছি তারা আমাদের সম্পর্কে কী ভাবে ? সাবেক যুগোস্লাভিয়ার এক মুসলিম মহিলা আমার সঙ্গে চাকরি করতো অস্টৃয়ায় । একদিন সে পরিচয় দিলো যে, সে যুগোস্লাভ মুসলিম । নাম সোফিয়া । আমার সিনিয়র ছিলো সে । সে আল্লাহ বলতে পারতো না । বলতো ‘আলা’ । ডৃংক করা, সেক্স করা সবই করতো ইউরোপিয়ানদের মতোই । তখন হালকা মনে হতো, ধর্ম মনে হয় একেক দেশে একেক রকম । এক জায়গায় পড়েছিলাম, ধর্ম বিশেষ করে ইসলাম, যে সব দেশে কায়েম হয়েছে সে দেশের কৃস্টি, ঐতিহ্য, জীবনধারণ পদ্ধতির সঙ্গে মিশেই কায়েম হয়েছে । সৌদি আরবের মানুষের পোশাক, খাদ্যাভ্যাস, জীবন যাপন আর আমাদের জীবনযাপন এক নয় । আমেরিকার টুইন টাওয়ার ধ্বংসের পর পৃথিবীই বদলে যায় । প্রেসিডেন্ট বুশ তার ভাষণে তখন ক্রুসেড (Crusade) শব্দটি বেশি ব্যবহার...

হাজতবাস

হাজতবাস করিম চৌধুরী আমরা যারা ব্যাচেলর এবং বিদেশে থাকি এবং যারা বিবাহিত অথচ স্ত্রী দেশে থাকে রান্না তাদের জীবনের এক অবিচ্ছেদ্য অংশ । এই মহা বিরক্তিকর কাজে ফাঁকি দেয়ার কোনো সুযোগ নেই । চেষ্টা করে দেখেছি । লাভ হয়নি । ম্যাকডোনাল্ডস, হটডগ, বার্গার কিং, পিৎসা, স্টেক, কেএফসি কাহাতক সহ্য হয় । তবে রান্নার কারণে ঘন্টা খানেক হাজতবাস আমার কাছে ঐতিহাসিক ঘটনার মতোই । ফ্র্যাংকলি বললে ঘটনাটি এ রকম । তখন ইউরোপে থাকি । চার বছর আগের কথা । ( মানে ১৯৯৪ সালে । এখন থেকে ২২ বছর আগের কথা) দেশ থেকে দু’জন বন্ধু পোল্যান্ড হয়ে জার্মানী এসেছে । রাজনৈতিক আশ্রয় প্রার্থনা করে সরকারি বাড়িতে ফৃ থাকা খাওয়া ও চিকিৎসার সুবন্দোবস্ত সাময়িকভাবে হয়েছে । ফোনে আমার সঙ্গে যোগাযোগ হলো । বললো, দোস্ত পারলে একবার আয় । আমার ভাগ্য কিছুটা ভালো ছিল । জার্মানীর প্রতিবেশী দেশ অস্টৃয়াতে তখন আমার ওয়ার্ক অথরাইজেশনসহ পারমানেন্ট রেসিডেন্ট পারমিট আছে । ভালো বেতনের ভালো একটি চাকরিও আছে । দিনে আট ঘন্টা ডিউটি । সপ্তাহে দু’দিন ছুটি । যে কোনো এমবাসিতে ভিসা চাইলে কর্তৃপক্ষ কৃতজ্ঞ হয়ে যান । ছুটি না নিয়েও উইকএন্ডে ইউরোপের যে কোন...

ভিয়েনা

ভিয়েনা   ে ইরাকের রাজধানী বাগদাদ । আমেরিকার নিউ ইয়র্কভিত্তিক সেবাদানকারী সংস্থা মার্সারের করা “এইটিনথ কোয়ালিটি অফ লাইফ র‍্যাংকিং”তালিকায় এ তথ্য উঠে এসেছে । অস্টৃয়া, ভিয়েনা নিয়ে আমি আগেও ছোট ছোট নোট লিখেছিলাম । ছয় বছর ভিয়েনা ছিলাম । এই প্রিয় শহরটিতে আমার যৌবনের প্রধান সময় কেটেছিলো । আজো চোখের সামনে জলজল ভাসে । ওই সময়েই ভিয়েনা অনেক পরিচ্ছন্ন ছিলো । ভিয়েনা অনেক আগেই প্রথম হওয়ার কথা ছিলো । যে শহরে আমি অনেক বছর ছিলাম সেই শহরটি বসবাসযোগ্য নগরী হিসেবে বিশ্বে প্রথম স্থান অধিকার করেছে । নিউজটা পড়ে অনেক স্মৃতি মনে হলো অস্টৃয়ান জীবনের । পুরনো একটি পোস্ট সম্পাদনা করে । অষ্টৃয়াকে বলা হয় বাফার জোন । অস্টৃয়ার অবস্থান মধ্য ইউরোপে । বাংলাদেশের সামান্য ছোট অষ্টৃয়া দেশটি প্রাকৃতিক সৌন্দর্যের এক অপূর্ব লীলাভূমি । সাতটি ষ্টেট নিয়ে অষ্টৃয়া ফেডারেল সরকার পরিচালিত একটি দেশ । বর্তমান জনসংখ্যা বিরাশি লাখ । আমি যখন ছিলাম তখন ছিলো ৭৫ লাখ । অষ্টৃয়ার ভাষা জার্মান । মুদ্রার নাম সিলিং । শিল্প সংস্কৃতিতে অষ্টৃয়া বিখ্যাত দেশ । বিশ্ব বিখ্যাত সঙ্গীতজ্ঞ মোজার্ট (Mozart) অষ্টৃয়ার নাগরিক । জার্মান ড...