সরাসরি প্রধান সামগ্রীতে চলে যান

পোস্টগুলি

জুন, ২০২০ থেকে পোস্টগুলি দেখানো হচ্ছে

একদিন প্রাগে

একদিন প্রাগে -------------------------- Aerial View of Prague from Prague Castle,Capital of Czeck Republic. Photo Credit : Mr.Tomas. সেই কবে চেক রিপাবলিক বেড়াতে গিয়েছিলাম । সঙ্গে ছিলো টমাস । সাবেক সোভিয়েত ব্লকের সমাজতান্ত্রিক দেশগুলোতে ঘুরতে বেশ মজা । মানুষজনও বেশ আন্তরিক । খরচও খুব কম। দ্বিতীয় বিশ্বযুদ্ধের পর ইউরোপটাকে ভাগাভাগি করে নিয়েছিলো আমেরিকা আর সোভিয়েত ইউনিয়ন । প্রথম নাম ছিলো চেকোস্লোভাকিয়া । ১৯৪৮ সাল থেকে ২৩ এপৃল ১৯৯০ পর্যন্ত চেকোস্লোভাকিয়ায় সমাজতান্ত্রিক শাসন চালু ছিলো । ৯০ দশকে সোভিয়েত ব্লকের পূর্ব ইউরোপের সবগুলো দেশে সমাজতন্ত্র ভেঙে পরে। আমি তখন অস্টৃয়ার রাজধানী ভিয়েনা ছিলাম। পূর্ব ইউরোপের ওই উত্তাল দিনগুলো এখনো চোখের সামনে ভাসে। কতো আনন্দই না করেছিলাম ইউরোপীয় জীবনে!!! চেকোস্লোভাকিয়াকে সোভিয়েত ইউনিয়নের স্যাটালাইট রাস্ট্র বলা হতো। সমাজতান্ত্রিক চেকোস্লোভাকিয়ার শেষ প্রেসিডেন্ট ছিলেন আলেকজান্ডার ডুবচেক। চেকোস্লোভাকিয়ার বিপ্লব ছিলো শান্তিপূর্ণ । কমিউনিস্ট প্রেসিডেন্ট আলেকজান্ডার ডুবচেক জনরোষ দমন করতে সেনাবাহিনী নামালেও লাখ লাখ চেকোস্লোভাকিয়ান রাস্তায় নেমে...

দোয়া

দোয়া --------- জুম্মার নামাজে ইমাম সাহেবদের অনেক কথাই আমি বিশ্বাস করতে পারি না। উনারা কেবল মসজিদ, মাদ্রাসায় দান করার কথা বলেন। এতে নাকি বেশি সওয়াব হবে। আল্লাহ বরকত আরো বাড়িয়ে দেবেন। প্রতিবেশি গরীব আর অসুস্থদের জন্য শুধু দোয়া করতে বলেন ৷ তাদের টাকা দিয়ে সাহায্য করতে বলেন না। তাদের জন্য শুধু দোয়া!! আমার দেখা, যারা মসজিদে দান খয়রাত বেশি করে তারা প্রায় সকলেই দূর্নীতিবাজ। জুমার নামাজে যে বাক্সটা সবার সামনে ঠেলে দেয়া হয় টাকা দেয়ার জন্য এটা আমার কাছে মোটেও ভালো লাগে না। গরীব লোকেরা ১/২ টাকা দেয়। তাদের সামর্থ্যই এই। কিন্তু এদের আল্লাহ বরকত বাড়িয়ে দেয় না। এরা বছরের পর বছর গরীবই থাকে ৷ আর দূর্নীতিবাজ যারা টাকা বেশি দেয় তাদের সম্পদ অনেক বাড়ে। আমার আশেপাশেই এমন অনেকে আছে। দোয়া কোনো কাজে লাগে বলে আমি মনে করি না। ১৯৪৮ সাল থেকে আজ পর্যন্ত কোটি কোটি মুসলিম প্যালেস্টাইনিদের জন্য দোয়া করে আসছে। দোয়ায় কাজ হলে এতোদিনে ইসরাইল রাস্ট্রের অস্তিত্বই থাকতো না। © Karim Chowdhury 8 June,2020 Cumilla.

সত্য মিথ্যা

সত্য মিথ্যা -------------------- সত্যই শক্তি। সত্য বর্জিত জাতির জীবন অন্ধকার। মিথ্যা দিয়ে কোনো ব্যক্তি বিশেষের সাময়িক উন্নতি হতে পারে কিন্তু কোনো জাতি এগুতে পারে না। বাংলাদেশের প্রায় সব পলিটিশিয়ান মিথ্যাবাদী। এই যদি রাজনীতি হয় তবে চরিত্র বিসর্জন দিয়ে রাজনীতি না করাই ভালো। মিথ্যা বলে বড় হতে চাওয়ার মাঝে কোনো গৌরব নেই। যদি মিথ্যাকে পরিহার করে চলতে না পারেন তবে দেশ সেবকের আসন ত্যাগ করে বরং গ্রামের একজন অজ্ঞাত মানুষ হউন। ছোট জীবনের ক্ষুদ্র কর্তব্যগুলো পালন করুন। মিথ্যার সাহায্যে যদি ক োনো বড় কাজ করতে অগ্রসর হউন, বুঝতে হবে আপনি সে কাজের যোগ্য নন। © Karim Chowdhury 8 June,2020 Cumilla.

দেশে বিদেশে

দেশে বিদেশে ------------------------ করিম চৌধুরী (যায়যায়দিনের "বর্ষা" নিয়ে বিশেষ সংখ্যায় এই লেখাটি প্রকাশিত হয়েছিলো ১৯৯৯ সালের আগস্ট মাসে। নিউ ইয়র্ক থেকে লিখেছিলাম। পড়ার সময়, সময় মনে রাখতে হবে। ফেসবুকের নাম গন্ধও ছিলো না তখন। নয়তো বিভ্রান্তি হতে পারে। এই সকালেই প্রচুর বৃষ্টি নেমেছে কুমিল্লায়। তাই বৃষ্টি নিয়ে এই স্মৃতিকথা। মা'র প্রসঙ্গ আছে তাই ছাত্র জীবনে মায়ের সঙ্গে কয়েকটা ছবি।) ছাত্র জীবনে বর্ষা নামের একটি প্রবন্ধ আমাদের পাঠ্য ছিলো। লেখক প্রমথ চৌধুরী। লেখকের নামটি লিখতে এবং বলতে প্রায়ই ভুল করতাম। আমি বলতাম প্রথম চৌধুরী। সহপাঠীদের ইয়ার্কি আর স্যারদের তিরষ্কার এ জন্য কম সহ্য করতে হয়নি। সহপাঠীরা কিছু দিন আমাকে প্রথম চৌধুরী বলেও ডেকেছিলো। চার বছর আগে ইউরোপ থেকে দেশে গিয়েছিলাম বেড়াতে। গ্রামের বাড়ীতে কয়েকদিন ছিলাম। এক দুপুরে ঝম ঝম শব্দে বৃষ্টি নামলো। কিছুক্ষণের মধ্যেই রোদ বৃষ্টি শুরু। শর্টস পরে দৌঁড়ে পুকুর পাড়ে এসে দাঁড়ালাম। অনেকক্ষণ ভিজে যখন শীত শীত লাগছিলো তখন ঘরে এসে শরীর মুছছি, এমন সময় আমার প্রয়াত প্রিয় মা কাঁদো কাঁদো গলায় বললেন, বাড়ির সবাই...

বেশ্যাকে বেশ্যা বলা যাবে না

শুয়ে আছি। এক বন্ধু ফোন করে কুশল বিনিময় করে বললো, দোস্ত, তুমিতো ফেসবুকে বেশ সরব দেখি। কথাতো ঠিকই লিখো। কিন্তু দোস্ত, এখন আমরা এমন দেশে আছি, যেখানে চোরকে চোর বলা যাবে না। বেশ্যাকে বেশ্যা বলা যাবে না। তাদের পক্ষে অনেক মানুষ। বিবৃতিও দেয়। আমি বললাম, গু এর সঙ্গে মাছি আর বাজে কিছু পোকা থাকেই। Karim Chowdhury 10 June, 2020 Cumilla.

লুডু খেলা

লুডু খেলা ---------------- এখন অনেক মেয়েরাই অনলাইনে লুডু খেলেন। ইন্টার ফার্স্ট ইয়ারে পড়ার সময় আমার ইয়ারমেট শায়লা একদিন লুডু খেলার জন্য আমাকে আমন্ত্রণ জানিয়েছিলো। আমি বলেছিলাম, ধুর,এটা মেয়েদের খেলা। তারপরও সে খুব অনুরোধ করেছিলো। আমি তখন বললাম, তাহলে বাজিতে খেলবো। সে জিজ্ঞেস করলো,কি বাজি? আমি বললাম, যদি আমি জিতি তবে তোমাকে একটা চুমু খাবো। আর যদি তুমি জিতো তবে তুমি আমাকে একটা চুমু খাবা। আমার ক্লাসমেট বান্ধবী বললো, করিম তুমি খুব বান্দর। জিতলেও তোমার লাভ,হারলেও তোমার লাভ । তবে সে রা জি হয়ে খেলেছিলো। আমি ইচ্ছা করে হেরে গেছি। পরের কাহিনী ইতিহাস। © Karim Chowdhury 11 June,2020 Cumilla.

কোটা সমর্থক নাতী-পুতি গং

কোটা সমর্থক নাতী-পুতি গং ------------------------------------------ জেনে রেখো যে, একটি গ্রাজুয়েট/মাস্টার্স সনদ আর মুক্তিযোদ্ধা সনদ এক জিনিস নয়। মুক্তিযোদ্ধা সনদ কোনো ডিগ্রি নয়, ডিগ্রির চেয়ে হাজার গুণ বেশি এক অমূল্য স্বীকৃতি-দেশপ্রেমের সনদ। জীবন বাজি রেখে বীরত্ব দেখিয়ে দেশের স্বাধীনতার জন্য ঝাপিয়ে পরে মুক্তিযোদ্ধার সনদ অর্জন করতে হয়। মুক্তিযোদ্ধার সনদ এক জিন্দেগীতে বারবার অর্জনের সুযোগ খুব কমই পাওয়া যায় কিন্তু শিক্ষার সনদ জীবনভর নেওয়া যায়। ডিগ্রির সার্টিফিকেটে চাকরি হয়, পদ োন্নতি পাওয়া যায়; দেশ প্রেমের সার্টিফিকেটে ইতিহাসে স্থান হয়। চাকরির চেয়ে ইতিহাস বড়। এই বোধ যাদের নেই তারাই মুক্তিযোদ্ধা সনদের বিনিময়ে চাকরি চায়। © Karim Chowdhury 12 June,2020 Cumilla.

ভাল্লাগেনা!!!!!

ভাল্লাগেনা!!!!! -------------------- কম্পিউটারের কী বোর্ড টিপতে ভাল্লাগেনা! কম্পিউটারে না বসলেও ভাল্লাগেনা! ইনবক্সে কারো ম্যাসেজ ভাল্লাগেনা! হোমপেইজ ভাল্লাগেনা! শুয়ে থাকলে ভাল্লাগেনা! বসে থাকলে ভাল্লাগেনা! কথা বলতে ভাল্লাগেনা! চুপচাপ থাকলেও ভাল্লাগেনা! টিভি দেখতে ভাল্লাগেনা! টিভি ছাড়াও ভাল্লাগেনা! একজন ফেসবুক মেয়ে বন্ধুকে ভালোবাসতাম। তাকে ভালোবাসতেও ভাল্লাগেনা। কিছু লিখতে ভাল্লাগেনা। আবার না লিখলেও ভাল্লাগেনা। গান শোনতে ভাল্লাগেনা। গাইতেও ভাল্লাগেনা। ভাল্লাগেনা বলতেও ভাল্লাগ েনা! © Karim Chowdhury ১৩ জুন,২০২০ কুমিল্লা।

বিদেশে আমাদের ভাবমূর্তি

বিদেশে আমাদের ভাবমূর্তি বিদেশে আমাদের ভাবমূর্তি নিয়ে অনেক লেখা যায়। দীর্ঘ রচনা। ছোট্ট করে লিখছি। কয়েক লাইন। ১৯৯৪ সালে খালেদা জিয়া গেলেন জাতিসংঘ সাধারন পরিষদে ভাষণ দিতে। আমি তখন নিউ ইয়র্কে। চাকরি করতাম রকফেলার সেন্টারে। সেখান থেকে জাতিসংঘ সদর দপ্তরে হেঁটে যেতে সময় লাগে মাত্র দশ মিনিট। ইষ্ট রিভারের পাড়ে জাতিসংঘ নামের ওই ক্লাবটি অবস্থিত। আমি ম্যানেজারকে বুঝিয়ে ২ ঘন্টার জন্য ছুটি নিয়ে হেঁটে হেঁটে গেলাম ইউনাইটেড নেশানস হেড কোয়ার্টারে। দেখলা ম, ভবনের সামনের রাস্তায় শত শত বাংলাদেশির এক হাতে খালেদা বিরোধী প্ল ‍ ্যাকার্ড আরেক হাতে জুতা। আওয়ামী লীগসহ সমমনা দলগুলোর খালেদা জিয়ার বিরুদ্ধে প্রতিবাদ। NYPD এর কি ব্যস্ততা বাংলাদেশিদের সামাল দিতে! পৃথিবীর প্রায় সবগুলো দেশের সরকার প্রধান তখন নিউ ইয়র্কে। এক আমেরিকান ভদ্রলোক আমাকে জিজ্ঞেস করেছিলো, পৃথিবীর অনেক দেশের নেতা এখানে আছেন। কেউ তো তাদের দেশের নেতাকে এভাবে অপমান করছে না। তোমরা করছো কেনো? আমি তাকে স্পষ্ট বলেছি, We are uncivilized Nation. Don’t you know that? ১৯৯৬ তে প্রধানমন্ত্রী হয়ে শেখ হাসিনা গেলেন আমেরিকায়। গ্র্যান্ড হায়াত হোটেলে...

এ যেন এক মহানায়কের গল্পঃ

এ যেন এক মহানায়কের গল্পঃ জন্ম হয়েছিলো ১৯৪১ সালের ২৭ ডিসেম্বর। চট্টগ্রামের রাউজানে এক রাজকীয় পরিবারে। ছাত্রাবস্থায় তিনি চড়তেন ব্যক্তিগত গাড়িতে। লন্ডনে পড়ার সময় রাজকীয় দর্জি বাসায় এসে তার স্যুটের মাপ নিয়ে যেতো! এজন্য পরিশোধ করতে হতো অতিরিক্ত ২০ পাউন্ড। অথচ স্বাধীনতার পরে সমাজতন্ত্রে বিশ্বাসী তিনি বেছে নেন অতি সাধারণ জীবন। দেশ বিদেশে তার কোনো ফ্ল্যাট নেই। পৈত্রিক সূত্রে পাওয়া বাড়ি দান করে দিয়েছেন ছোট বোনকে। মরণোত্তর দেহ দান করেছেন। ফলে প্রয়োজন হবে না কোনো দাফনের কাপড় কিংবা কবরের জমি। তাঁর সম্পর্কে জাহানারা ইমাম তার একাত্তরের দিনগুলি বইয়ের ১৬১-১৬২ পৃষ্ঠায় লিখেছেন - জাফরুল্লাহ তখন লন্ডনে এফ আর সি এস পড়ছেন ঢাকা মেডিকেল কলেজ থেকে এম বি বি এস শেষ করে। চার বছরের হাড়ভাঙা খাটুনির পরে যখন পরীক্ষার মাত্র এক সপ্তাহ বাকি, তখন জানতে পারলেন পাকিস্তানি বাহিনীর ২৫ মার্চের নির্মম হত্যাকান্ডের কথা। পরীক্ষা বাদ দিয়ে ভারতে এলেন। যুদ্ধাহত মুক্তিযোদ্ধাদের জন্যে তৈরি করলেন হাসপাতাল। যা আজকে গণস্বাস্থ্য কেন্দ্র নামে পরিচিত। পাকিস্তানি নির্মমতার প্রতিবাদে লন্ডনের হাইড পার্কে নিজের পাকিস্তা...

মাস্ক

  মাস্ক  আমার পরিচিত অনেকেই মাস্ক পরেন না। জিজ্ঞেস করলে বলেন, হায়াত মউতের মালিক আল্লাহ। তাহলে বেকার ছেলেদের কাছে মেয়ে বিয়ে দেন না কেনো? আর মেয়েরাও বেকার ছেলেকে বিয়ে করে না কেনো? রিজিকের মালিকও তো আল্লাহ। বাঙালী মুসলমানের পদে পদে স্ববিরোধীতা!!! Karim Chowdhury 16 June,2020 Cumilla.

আজ সংবাদপত্রের কালো দিবস

আজ সংবাদপত্রের কালো দিবস আজ ১৬ জুন। সংবাদপত্রের কালো দিবস। ৪৪ বছর আগে ১৯৭৫ সালে এই দিনে তৎকালীন রাষ্ট্রপতি শেখ মুজিবুর রহমান অধ্যাদেশ জারির মাধ্যমে দৈনিক বাংলা ও বাংলাদেশ অবজারভার পত্রিকার ডিকারেশন বহাল রেখে সব পত্রিকার ডিকারেশন বাতিল করেন। পরে ইত্তেফাক ও বাংলাদেশ টাইমসকে নতুনভাবে ডিকারেশন দিয়ে সরকারি ব্যবস্থাপনায় নিয়ে মোট চারটি পত্রিকার প্রকাশনা অব্যাহত রাখেন। এর আগে তিনি চতুর্থ সংশোধনীর মাধ্যমে একদলীয় বাকশাল গঠন করেন এবং এ ব ্যবস্থাকে দ্বিতীয় বিপ্লব হিসেবে উল্লেখ করেন। এই বিপ্লব সফল করতেই তিনি চারটি দৈনিক পত্রিকা রেখে সব দৈনিক পত্রিকা বন্ধ করে দেন। কয়েক হাজার সাংবাদিক ও সংবাদপত্রসেবী বেকার হয়ে পড়েন। Karim Chowdhury 16 June,2020 Cumilla.

"শালা শুয়োরের বাচ্চা"

"শালা শুয়োরের বাচ্চা" ছাত্র জীবনে দাউদ হায়দারের কবিতা পড়েছিলাম কিছু। আমি আর রাজু কয়েকমাস এক রুমে ছিলাম। মনোহরপুর সোনালী ব্যাংক কর্পোরেট অফিসের ঠিক পেছনে। তখন ইন্টারমেডিয়েট লেভেল। রাজু ভালো ছাত্র। এখন একটা কলেজে সহকারি অধ্যাপক। আদর্শিক রাজনীতি করতে গিয়ে জেল খেটেছে। নিজের ক্যারিয়ার নষ্ট করেছে। অনেক সেকৃফাইস আছে রাজুর। বিশ্ববিদ্যালয়ের শিক্ষক হতে পারতো সে। দাউদ হায়দারের কবিতা রাজুও পছন্দ করতো। আমাদের প্রতিবেশি ছিলো ইলিয়াস নামের এক যুবক। আমাদের বয় সি। বন্ধুস্থানীয়। সে লেখাপড়া করতো না। একটা ভেস্পা চালাতো সেই বয়সেই। চলাফেরা ছিলো বুং বাং। আমরা পড়াশোনা নিয়ে ব্যস্ত থাকতাম আর একটু প্রেম ট্রেম করতাম বলে ইলিয়াস আমাদের হিংসা করতো। মাঝে মধ্যে টিপ্পনি কাটতো। একদিন আমি বললাম, ইলিয়াসকে কিভাবে সাইজ করা যায় রাজু ? তার তাফালিং তো আর ভালোলাগছে না। রাজু ইনটেলেকচুয়ালের মতো ভাব নিয়ে বললো, কাল থেকেই শুরু হবে। আমি জানতে চাইলাম, কিভাবে ? রাজু বললো, দাউদ হায়দারের " জন্মই আমার আজন্ম পাপ " কবিতার কয়েক লাইন ইলিয়াসকে দেখলেই জোরে জোরে পড়বো। " শালা শুয়োরের বাচ্চা, আমরাই পাপীরে হারা...

উচ্চ শিক্ষিতরাই বেশি অমানুষ

উচ্চ শিক্ষিতরাই বেশি অমানুষ ৫ সন্তানের জনক ছিলেন বাংলার নবাব সিরাজউদ্দৌলা খ্যাত শক্তিমান অভিনেতা আনোয়ার হোসেন। স্কুল জীবনে প্রায় সব সিনেমায় তাকে দেখা যেতো। জীবনের সকল আয়, ব্যয় করেছেন সন্তানদের পেছনে। বড় ছেলে সুইডেন, বাকী ৩ ছেলে ও ১ মেয়ে আমেরিকায়। একা বাসায় ধুকে ধুকে মরলেন। ১টি সন্তানও এলেন না বাবাকে দেখতে। জীবনের শেষ বেলাতেও অভিনয় করতে হয়েছে পেটের তাগিদে চাকর,বাকরের চরিত্রে। ২ সন্তানের জনক সময়ের সাহসী কবি আল মাহমুদ। বনানীর বাড়ী বিক্রি করে সন্তানদের বিদেশে পাঠান। আর ফিরে আসেনি আদরের দুলালেরা। কবি আজ নিজ গ্রামের বাড়ীতে বিছানায় পড়ে রয়েছেন। দেখার মতো কেউ ছিলোনা। আর এভাবেই এক সময় চলে গেলেন না ফেরার দেশে। সন্তান মেধাবী হলে বাবা মা তাঁদের পেছনে পয়সা খরচ করতে কৃপনতা করে না। বাড়ী, গাড়ী, সোনা, গহনা সবই বিক্রী করে দেয় তবুও মা-বাবার আনন্দের সীমা থাকে না----। অথচ এই সন্তানগুলোই বড় হয়ে ভাল পজিশনে পৌঁছে মা-বাবাকে কষ্ট দেয়- ভীষণ কষ্ট দেয়। বিশ্বাস না হলে বৃদ্ধাশ্রমগুলো একবার ঘুরে আসুন। তার প্রমাণ সহজেই পেয়ে যাবেন। ৯০% উচ্চ পদস্থ কর্মকর্তা, ডাক্তার, সচিব, সেনা অফিসার, ইঞ্জিনিয়ার, ...

সুঁই

সুঁই আমাদের এক মেয়ে বন্ধু, ফেসবুকে যার যথেষ্ট পরিচিতি,অনেক সেলিব্রেটিও তার বন্ধু। তিনি লিখেছেন, " নিউ মার্কেটে সুঁই বিক্রেতা ডাকছেন - আফা, সুঁই লাগবো সুঁই? মোটা সুঁই, চিকন সুঁই, লম্বা সুঁই সব আছে। মাত্র ৫ টাকায় ভালো মানের সুঁই। নেন আফা নেন। কাজে লাগবো।" তারপর তিনি লিখেছেন "কেউ আমারে সুঁই দিয়া খোঁচাইয়া মাইরালা।" আমি তার কাছে কমেন্টে জানতে চেয়েছি, তিনি কেমন সুঁই চান? আমার কাছে একটা লম্বা ও মোটা সুঁই আছে, অনেকদিন ব্যবহার হয় না। তিনি জানতে চেয়েছেন, ঝং ধরেছে কিনা? আমি জানিয়েছি, একটু ঘষলেই ঝং টং ক্লিয়ার হয়ে যাবে। Karim Chowdhury 22 June, 2020 Cumilla.

বানান

বানান ( মি. করিম চৌধুরী, আপনার সঙ্গে একেবারেই নতুন পরিচয়। অনেকদিন আগে আপনাকে ফ্রেন্ড রিকো পাঠিয়েছিলাম। একসেপ্ট করেছেন মাত্র ২ দিন আগে। আপনার কয়েকটা লেখা পড়লাম। আপনি অসাধারন লিখেন। লেখার স্টাইল, প্রকাশভঙ্গী, বিষয়বস্তু খুব সুন্দর। আপনার ভাষার স্টাইলও ভিন্ন । যেমনঃ আমরা লিখি "ক্রিম" আপনি লিখেন "কৃম" আমরা "এপ্রিল" আপনি "এপৃল" আমরা "ব্রিগেডিয়ার" আপনি "বৃগেডিয়ার" আমরা "স্ট্রিট" আপনি "স্টৃট" আমরা "ফ্রি" আপনি "ফৃ" আমরা "থ্রি" আপনি "থৃ" লিখেন। এটা কি আপনার নিজস্ব বানানরীতি ? এভাবে লিখলে ভুল হবে কিনা? সুন্দর লেখার জন্য আপনাকে ধন্যবাদ ) । আমার এক নতুন মেয়ে বন্ধু গতকাল আমাকে ইনবক্সে লিখেছেন । আমি ভাষা বিশেষজ্ঞ নই। লেখালেখি করলে ভাষা সম্পর্কে জ্ঞান অবশ্যই প্রথম শর্ত। তবু চেষ্টা করবো আমার অল্প জ্ঞানে যা জানি তা জানাতে। যুগে যুগে ভাষা পরিবর্তন হয় প্রয়োজনে। স্কুল জীবনে আমরা ‘শ্রেনী’ লিখতাম এখন লিখি ‘শ্রেণি’। এক সময় ঢাকার বানান ছিলো Dacca. এই বানানের কারণে বিদেশিরা আমাদে...

লেখালেখি

লেখালেখি অনেক দিন আগে, ঠিক অনেক দিন আগে না, অনেক বছর আগে ছাত্র জীবনে মিসেস তালেয়া রেহমানের লেখা একটা বই পড়েছিলাম। নাম ‘লেখালেখি’। ওই বইতে তিনি লিখেছিলেন-আপনি যদি লেখক হতে চান তবে প্রতিদিন একটা নির্দিষ্ট সময়ে কাগজ কলম নিয়ে টেবিলে বসে পড়ুন। কিছু না কিছু লেখার চেষ্টা করুন। কিছু না লিখতে পারলেও ওই নির্দিষ্ট সময়ে কাগজ কলম নিয়ে টেবিলে বসে পড়ুন। আর কিছু না পারলেও কি ভাবছেন তাই লেখার চেষ্টা করুন। পরে পড়ে ভালো না লাগলে লেখার কাগজটা ছিড়ে ফেলে দেবেন। এভাবে প্রতিদিনই কিছু না কিছু লিখবেন। তিনি আরো লিখেছেন-লেখক হওয়ার জন্য কোনো উচ্চতর ডিগ্রীর প্রয়োজন নেই। মেধাই যথেষ্ট। তবে লেখক হতে হলে পাঠক হতে হবে আগে। পাঠক না হয়ে লেখক হওয়া যায় না। এটা লেখক হবার পূর্বশর্ত। সাপ্তাহিক যায়যায়দিনের একটা শ্লোগান ছিলো ‘লেখকই যার পাঠক-পাঠকই যার লেখক’ । পরে আমাদের কাছে হয়ে গেলো’যায়যায়দিন এ এক নিষিদ্ধ নেশা’। ধুর, এ মুহূর্তে মনে পড়ে গেলো ছাত্র জীবনের সেই মধুর চেয়েও মধুময় দিনগুলোর কথা। আমি লিখতে বসেছিলাম ইউরোপের একটা ঘটনা। মনে পড়ে গেলো ছাত্র জীবনের কথা। ম্যারাথন আড্ডা মারতাম কান্দিরপাড়। যায়যায়দিন প্রকাশিত হ...

মানুষ

মানুষ কিশোর বয়সে রুশো’র একটি উদ্ধৃতি পড়েছিলাম, “ মানুষ স্বাধীন হয়ে জন্মায়, কিন্তু সর্বত্রই সে শৃঙ্খলিত ।” এর চেয়ে সংক্ষিপ্ত ও তীব্রভাবে মানুষের ইতিহাস আর ব্যক্ত করা যায় না। মানুষ মানুষের কাছেই পরাধীন। মানুষ তৈরি করেছে বিচার ব্যবস্থা, কিন্তু মানুষই মানুষের প্রতি সবচেয়ে বেশি অবিচার করে। জীব জগতে সবাই স্বার্থপর,তবু মানুষ ভালোবাসা শব্দটি নিয়ে গর্ব করে, অথচ মানুষের ইতিহাস হত্যা লীলায় ক্লেদাক্ত। এককভাবে কিছু কিছু মানুষ শুভ্র,সুন্দর,উদার হতে পারে,কিন্তু সঙ্ঘবদ্ধভাবে মানুষের নিষ্ঠুরতা হিংস্রতম পশুর চেয়েও সাঙ্ঘাতিক। একটি সিংহের সঙ্গে অন্য সিংহের যতই প্রতিদ্বন্দ্বিতা থাক,কেউ কাউকে হত্যা করেনা,এমনকি একটা পিঁপড়াও স্বজাতীয় অন্য পিঁপড়াকে মারে না। বাঘ যখন হরিন শিকার করে তখন অন্য কোনো বাঘ তাতে জোর করে ভাগ বসাতে আসে না, কিন্তু সুসভ্য হিসেবে চিহ্নিত যে মানুষ, সে-ই শুধু অন্য মানুষের মুখের গ্রাস কেড়ে নেয়। © Karim Chowdhury 23 June,2020 Cumilla

ফেসবুক ও সাম্যবাদ

ফেসবুক ও সাম্যবাদ প্রথম যখন ফেসবুকে ঢুকি ১০ বছর আগে তখন ছিলো এক রকম অবস্থা। ফেসবুক এতো জনপ্রিয় ছিলো না। ২০১৩/১৪ সালে এসে ফেসবুক জনপ্রিয় হয়। তখন দুষ্টুমি করে লিখতাম “হে ফেসবুক, তুমি মোরে বানিয়েছো মিথ্যুক। পেঁচার ছবিতেও কমেন্ট করি,ওয়াও কি সুন্দর মুখ”। মেয়েদের ছবিতে বা এক লাইন ভালোবাসার কথায় অগনিত কমেন্ট আর লাইক পড়তো। এখনো পড়ে। এদেশে প্রথম মোবাইল ফোন অপারেটর সিটি সেল। তখন মোবাইল ফোন স্ট্যাটাস সিম্বল ছিলো। এক ফোনের দাম ছিলো ১ লাখ থেকে দেড় লাখ টাকা। পরে গ্রামীণ এর সিম ৩০ থেকে ৪০ হাজার টাকাও বিক্রি হয়েছিলো। মিনিটে সাড়ে সাত টাকা কলরেট। এখন সিমের দাম ১০০ টাকা। অনেক ক্ষেত্রে মাগনাও পাওয়া যায়। ২ হাজার টাকার মধ্যে স্মার্ট মোবাইল সেটও কেনা যায়। এটা কি খুব ভালো হলো? ২০০৫ সালে সাংবাদিকতার উপর একটা পোষ্ট গ্র্যাজুয়েশন ডিপ্লোমা করেছিলাম। আমাদের শিক্ষক ঢাকা বিশ্ববিদ্যালয়ের গনযোগাযোগ ও সাংবাদিকতা বিভাগের ড. শাখাওয়াত আলী খান একদিন আমাদের মোবাইল ফোন নিয়ে সম্পাদকীয় লিখতে বললেন- ওই সম্পাদকীয়র এক জায়গায় আমি লিখেছিলাম “ রাত ১২টা থেকে ভোর ৫ টা পর্যন্ত যে মোবাইল ফোন অপারেটরগুলো ২৫ পয়সা মিনিটে ক...

বাংলাদেশের শিক্ষা ব্যবস্থা

বাংলাদেশের শিক্ষা ব্যবস্ থা বাংলাদেশের শিক্ষা ব্যবস্থা একেবারেই শেষ করে দেয়া হয়েছে। শিক্ষাক্ষেত্রে এমনভাবে দুর্নীতি ঢুকেছে সরকার যতোই ডিজিটাল বলুক, বিনামুল্যে বই দিক, উপবৃত্তি দিক, কোনো লাভ হবে না। নকল বন্ধে সৃজনশীল পদ্ধতি এসেছিলো। কিন্তু এই পদ্ধতি বাংলাদেশে কার্যকর নয় বলে প্রমাণিত হয়েছে। আমাদের সময় ছিলো নোট বই আর এখন নাম হয়েছে সলিউশন বুক। ঐ একই। পরীক্ষা কক্ষে এভাবে ১৯৭২ সালেও বলে দেয়া হতো না। ১৯৭২ সালের এসএসসি পরীক্ষা নিয়ে খুব বিতর্ক আ ছে। সদ্য স্বাধীন দেশে যে যেভাবে পারছে সেভাবেই পরীক্ষা দিয়েছে। কেউ কিছু বলেনি। কিন্তু শিক্ষকরা ছাত্রদের উত্তর বলে দেয় নি। যদিও ১৯৭২ সালেও অনেক মেধাবী ছেলে পাশ করেছে নকল ছাড়াই। কিন্তু সৃজনশীল পদ্ধতি আসার পর, সব পরীক্ষায় ৪০ নাম্বার এমসিকিউর উত্তর শিক্ষকরাই বলে দেয়! এক আশ্চার্য ঘটনা !!! সব স্কুলে একই চিত্র। শিক্ষকরা এখন লাখ লাখ টাকার মালিক। অনেকে কোটিপতি। ২/৩ টা বাড়ি।শিক্ষকতা পেশায় এতো টাকা আসে কোত্থেকে? তাদের সম্পদের তদন্ত করা দরকার। ইংরেজি বা অন্য কিছু বই নিয়ে হয় তেলেসমাতি কান্ড! এই বই সরকার বিনামূল্যে দেয় না। ছাত্রছাত্রীরা নিজের টাকায়...

দুধ খাওয়া

দুধ খাওয়া গত দুইমাস ধরে প্রতিদিন আধা কেজি গরুর দুধ খেয়ে আসছি। রাতে। ৮/১০ দিন হয়,দেখি আমার প্যান্টের কোমড় একটু টাইট। কী ব্যাপার? মানে পেট একটু বেড়েছে। কয়েকজনকে জিজ্ঞেস করলাম। সবাই বললো,দুধে ফ্যাট আছে। কয়েকবছর আগে ক্লাশ থৃর বইতে একটা প্রশ্ন দেখেছিলাম। কোন একটি মাত্র খাবার খেয়ে মানুষ সুস্থভাবে সারাজীবন বেঁচে থাকতে পারে? উত্তর আমার জানা ছিলো না। ক্লাস থৃর বইতে জেনেছি,দুধ। কাল সন্ধ্যায় এক বন্ধুকে জিজ্ঞেস করলাম, এই, দুধ কখন খাওয়া উচিৎ? রাতে না সকালে? বন্ধু বললো,রাতে ঘুমের আগে। আমি বললাম,আরে এটা তো অনেক আগেই জানি। সব বিবাহিত পুরুষ মানুষই ঘুমের আগে দুধ খায়। আমি গরুর দুধের কথা বলছি। বন্ধু বললো,তুমি একটা........। বন্ধুরা কেউ কি জানেন গরুর দুধ খাওয়ার সঠিক সময় কোনটা? © Karim Chowdhury 3 June,2020 Cumilla.

দোয়া

দোয়া 'টপি টপি', 'আমিই সেই', 'চাঁদের আলো', 'লাইকার বয়', 'অচিরা কাজি', 'শুধু তোমার', 'আমার আমি', 'রেইনবো', 'গ্রামের মেয়ে', 'প্রিন্সেস নীলা', 'আমি মুসলিম'সহ এ জাতিয় অনেক ফ্রেন্ড রিকোয়েস্ট জমা হয়েছে। আগেও একবার তাদের জন্য দোয়া করেছিলাম। আজ আবারো দোয়া করছি,মহান রাব্বুল আলামিন যেন তোমাদের নিজ নামে আইডি খোলার তওফিক দান করেন। হে পরওয়ারদিগার, আপনি তাদের মস্তিস্কে আপনার খাস রহমত ঢেলে দিন। আমার মতো পাপী বান্দা আপনার দরবারে দুই হাত তুলে ফরিয়াদ করছি। আপনি তাদের সুমতি দান করুন। আপনার সাধ্যের বাইরে কিছুই নেই। আর নয়তো আপনি তাদের এই দুনিয়া থেকে নিয়ে যান। তাদেরকে দুনিয়াতে রেখে লজ্জা দিবেন না মাবুদ। তারা তাদের নাম প্রকাশ্যে বলতে লজ্জা পায়। এর চেয়ে দু:খ,বেদনা,কষ্ট আর কি হতে পারে? এই কষ্টের চেয়ে মৃত্যু অনেক ভালো। তাদের আর কষ্ট না দিয়ে এই পৃথিবী থেকে নিয়ে যান মাবুদ। আপনি তাদের দয়া করেন। আমীন। © Karim Chowdhury 3 June,2020 Cumilla.

ঐতিহাসিক ছবি

ঐতিহাসিক ছবি এটি একটি ঐতিহাসিক ছবি। তখন Amocoতে জব করতাম। সেদিন ছিলো ১৭ মার্চ ২০০৩। বিকেল ৪ টা বাজে। মাসুদ এলো। আমাদের সকলের তো একদিনে ছুটি হয় না। তাই যার যেদিন ছুটি থাকতো, অন ডিউটিতে থাকা বন্ধুদের কর্মক্ষেত্রে একবার ডু মারবেই। ছুটির দিন নিজের কাজকর্ম শেষ করে গাড়ি নিয়ে এদিক সেদিক ঘুরাই ছিলো আমাদের প্রধান বিনোদন। রাতে একটু ক্লাবে যাওয়া। রোববার ফুটবল খেলা। এই খেলা নিয়ে আরেকদিন লিখবো। তো সেদিন মাসুদ এসে কফি খেয়ে গল্প করে বললো, আংকেল একটা ছবি তুলি? মাসুদ আমার অনেক জুনিয়র ছিলো। সে তার ক্যামকেডরে ছবিটা তুলেছিলো। আমি দেশে ফেরার পর ইমেইলে ছবিটা পাঠিয়েছিলো অনেক পরে। আমেরিকায় সেদিন কি যে উত্তেজনা!! আমিও ভীষণ উত্তেজিত। সেই রাতেই -২০০৩ সালের ১৭ মার্চ আমেরিকা ইরাক আক্রমণ করেছিলো। এটা সেদিনের ছবি। © Karim Chowdhury 3 June,2020 Cumilla.

মেয়েদের ষোল কলা

মেয়েদের ষোল কলা    আমাদের এলাকায় মেয়েদের নিয়ে একটা বহুল প্রচলিত কথা আছে... “মেয়েদের ষোল কলা”। ছোটবেলা থেকেই তা শুনে আসছি । অবাক হয়ে ভাবতাম, একটা না দুইটা না, ষোলটা কলা আছে মেয়েদের ! কিন্তু কখনো এই কলা দেখিনি । ছোটবেলা বড়দের মুখে এই কলার কথা শুনে মনে হতো ইশ, একটা কলা যদি দেখতে পেতাম বা খেতে পারতাম ! ভালো বলুন আর খারাপ বলুন ছোট বেলা থেকেই আমি কৌতূহলী । নতুন কিছু শুনলেই ওটার প্রতি আকর্ষণবোধ করতাম । আমাদের এলাকার এক সিনিয়র ভাই যিনি সবার কমন ফ্রেন্ড । তিনি আমার বড় ভাইদের বন্ধু আবার আমারো বন্ধু । নাম জহিরুল ইসলাম । লেখাপড়া খুব কম হলেও তিনি খুবই ফানি । আজো । নবম শ্রেণিতে পড়ার সময় তাঁর কাছে জানতে চাইলাম, আচ্ছা জহির ভাই, মেয়েদের নাকি ষোলটা কলা আছে ? আমি যদি দেখতে বা খেতে চাই তবে কি করতে হবে ? তিনি বললেন, এই কলা দেখা যায় না, খাওয়াও যায় না । কিন্তু যে একবার দেখেছে সে জীবনেও আর দেখতে চাইবে না । আমি অনুনয় বিনয় করে বললাম, আমার যে দেখতে ইচ্ছা করে জহির ভাই । তিনি বললেন, তুইতো এখনো ছোট । অনেক বড় বড় মানুষ যেমন ধর শিক্ষক, হুজুররা এই কলা দেখেছে । তারা আর দেখতে চায় না । আ...

প্রেমে পড়লে

প্রেমে পড়লে প্রেমে পড়লে মানুষের মন ও শরীর শান্ত হয়। বিশেষ এক ধরনের হরমোন নিঃসৃত হওয়ার কারনে মানুষের নার্ভাস সিস্টেমকে পুনঃগঠনে সাহায্য করে। এতে ব্রেনসেল তৈরি হয় যা স্মৃতিশক্তি বৃদ্ধি করে। যদি কেউ তার কাঙ্খিত মানুষটির সাথে কথা বলে তাহলে তার হার্টবিট তিনগুণ বেড়ে যায়। গবেষনায় দেখা গেছে এমন ক্ষেত্রে শরীরের স্বাভাবিকের চেয়ে বেশি রক্ত চলাচল করে যা স্বাস্থ্যের জন্যও ভালো। প্রেমিক যুগল যারা পাশাপাশি বসে সময় কাটায়, নিঃস্বার্থভাবে একে অন্যকে ভালোবাসে তাদের চিন্তা ক মে যায়, হতাশা দূর হয়,মানসিক স্বাস্থ্যের উন্নতি ঘটে। যাদের মনে ভালোবাসা নেই তাদের ইমিউন এন্ডোকার্ডিও ভাস্কুলার সিস্টেম ক্ষতিগ্রস্ত হয় বলে জানিয়েছ মার্কিন দি ইনিস্টিটিউশন অফ রিসার্চ অন আনলিমিটেড লাভ । এছাড়া তারা একাকীত্বে ভোগে যা তাদের অকাল মৃত্যুর আশঙ্কা পাঁচগুণ বাড়িয়ে দেয়। ভালো না বাসলে মনে ক্ষোভ জন্মে যা শরীরের জন্যও ক্ষতিকর। ভালোবাসা এক মহা-ঔষুধের নাম । ভালবাসায় জন্ম নেয়া এন্ডোফিল নামক হরমোন শরীরের ত্বককে নরম ও মসৃণ করে । বাড়ায় মুখের সৌন্দর্য, এমন তথ্য দিয়েছেন নর্থ ক্যারোলাইনা বিশ্ববিদ্যালয় এর একদল গবেষক। ভালবাসার ...

ইংলিশ টু নোয়াখালী

ইংলিশ টু নোয়াখালী-----(ওই যে একবার লিখেছিলাম "আঁই কিচ্চি"।) -------------------------------------------------------------------- . # She is looking at me. . *হেতি আঁর মুই রেনি রইছে। . # May I come in, sir? . *-ছার, আঁই হান্দাইতামনি?: . # He tells a lie. . *হেতে মিছা কতা কয়। . # The moon gives us light. . *চাঁন আঙ্গোরে হ'রদেয়। . # What do I do? . * আঁই কিত্তাম? . #-The sun rises in the east and sets in the west. . - *সুর্য হুব মুই উডে , হচ্চুইম মুই ডুবে। . - # Where are you from? . *-তুই কোনান তুন আইছো ?

দাঁড়ি

দাঁড়ি যারা খুব " ধার্মিক"। ইসলাম ধর্ম নিয়ে বাড়াবাড়ি করেন। দাঁড়ি রাখাকে ইসলামের অন্যতম কাজ মনে করেন, সুন্নত তরিকা নিয়ে হৈ হুল্লুর করতে পছন্দ করেন, তারা কাইন্ডলি আমার লিস্ট থেকে চলে গেলে আমি কিছু মনে করবো না। পাজামা,পাঞ্জাবি,দাঁড়ি, টুপি,রাবারের স্যান্ডেল পরার চেয়ে প্যান্ট,শার্ট, কোট,টাই,জুতা,মোজা পড়তেই আমার বেশি ভালো লাগে। কিছুক্ষণ আগে একজন মুফতিকে জিজ্ঞেস করেছি,দাঁড়ি না রাখলে কোনো পাপ হবে কিনা? তিনি বলেছেন,পাপ হবে না। তবে ধর্মীয়ভাবে নিয়ত করে দাঁড়ি রেখে আবার কেটে ফেলল ে পাপ হবে। আমি ধর্মীয় কারনে গদগদ হয়ে দাঁড়ি রাখিনি। তাবলীগে গিয়েছিলাম। সেখানে সেভ করার মতো পরিবেশ ছিলো না। তাই কাটা হয়নি। এরপর আর কাটা হয়নি। আর আমি যেভাবে দাঁড়ি রেখেছি এটা সুন্নত তরিকার দাঁড়ি নয়। সুন্নত তরিকা অনুযায়ী এক মুষ্টি প্রায় ৬ ইঞ্চি দাঁড়ি রাখতে হয়। © Karim Chowdhury 4 June,2020 Cumilla.

নীল রঙ

নীল রঙ কে প্রথম বলেছিলেন"বেদনার রঙ নীল" তা আমি জানি না। অনুমান করি,বৃটিশ শাসনামলে নীল চাষিদের উপর যে অত্যাচার করা হতো,যে বেদনা চাষিরা ভোগ করতেন, সেই থেকে 'বেদনার রঙ নীল' কথাটা হয়তো এসেছে। দশন শ্রেণিতে দীনবন্ধু মিত্রের ' নীল দর্পন' পড়েছি। অনেক অত্যাচার হতো নীল চাষিদের উপর। কিছু মানুষের সাদা কাপড়কে নীল দিয়ে আরেকটু সাদা করার জন্য মানুষ কী আত্যাচারি হয়!! নইলে দুনিয়ায় এতো রঙ থাকতে 'নীল' কেনো হবে বেদনার রঙ? আরেকটা কারণ থাকতে পারে৷ শোনেছি, কাউকে সাপে কাটলে বিষে তার শরী র নীল হয়ে যায়৷ এখানেও তীব্র বেদনা। প্রকৃতপক্ষে, 'নীল' একটা সুন্দর রঙ। তাছাড়া নীল এখন আর ওইভাবে চাষও করে না। এখন নীল রঙ আবিষ্কার হয়ে গেছে। উজালা,চমক এসব নীল না। নীল রঙ। তাই নীল রঙের শার্টের ছবি। নীল আনন্দের রঙ,সুখের রঙ,ভালোবাসার রঙ। © Karim Chowdhury 4 June,2020 Cumilla.

ফ্লোরিডা

ফ্লোরিডা আমেরিকার পঞ্চাশটি ষ্টেটের যেমন ভিন্ন ভিন্ন প্রতীক, ফুল,পাখি,পতাকা,সংবিধান, জীবনযাত্রাও ভিন্ন তেমনি আবহাওয়াও ভিন্ন। নিউইয়র্ক, পেলসিভানিয়া, মেরিল্যান্ড, অরেগন, মিশিগান, ইন্ডিয়ানা, কলোরাডো, ইলিনয়, নিউজার্সি, টেক্সাস,নেভাডাসহ প্রায় সব স্টেটে যখন প্রচন্ড তুষারপাত হয়,শীতে মানুষ জমে যায়,মাইনাস তাপমাত্রায় নাকের পানি ঝরে,কান লাল হয়ে যায়। কয়েক কেজি শীতের কাপড় পড়তে হয়। ফ্লোরিডায় তখন একটা টি শার্ট আর শর্ট পড়ে ঘুরে বেড়ানো যায়। নভেম্বর থেকে এপৃল পর্যন্ত অন্যান্য স্টেটে প্রচুর শীত। অথচ ফ্লোরিডায় গরম। প্রতিটি স্টেটে ট্যাক্স, নিয়ম-কানুন, আইন এমনকি মানুষের জীবন যাত্রাও ভিন্ন। ইংরেজি উচ্চরনেও কিছুটা পার্থক্য আছে। এমনকি চাকরির বেতনেও পার্থক্য । আমার কাছে মনে হয়েছে ৫০টি ষ্টেটই ৫০টি দেশ। সব কয়টি মিলেই ইউনাইটেড স্টেটস অফ আমেরিকা। আমরা যেমন পরিচয় দিই বা নিই কে কোন জেলার তেমনি নিউ ইয়র্কের লোকেরা পরিচয় দেয় I am New Yorker. ফ্লোরিডার লোক পরিচয় দেয় I am Floridian. ক্যালিফোর্নিয়ারর লোক ক্যালিফোর্নিয়ান। ফ্লোরিডা দক্ষিণ- পুর্ব আমেরিকার শেষ ষ্টেট । ফ্লোরিডার এক দিকে জর্জিয়া ও অ্যালা...

"শহীদ" কোন ব্যক্তিগত সম্পত্তি নয় যে তাঁর উত্তরাধিকার থাকবে।

"শহীদ" কোন ব্যক্তিগত সম্পত্তি নয় যে তাঁর উত্তরাধিকার থাকবে। "শহীদ" শব্দটা আমরা ইসলামের ঐতিহ্য থেকে ধার করেছি। এটা সর্বোত্তম সন্মানের মৃত্যু। এই মৃত্যু সৌভাগ্যের, কারণ জাতি, সমাজ বা রাষ্ট্র শহীদি মৃত্যুকে সকলের তরফ থেকে গ্রহণ করে; সে অমরত্ব পায়। শহীদি মৃত্যু তখনই মহান যখন সেই শহীদের আত্মত্যাগের উত্তরাধিকার হয় সেই সমাজ, জাতি বা রাস্ট্রের সবাই। শহীদের একটা বায়োলজিক্যাল জীবনও থাকে। সেখানে তার প্রিয়জনেরা থাকে, সেই হিস েবে সেই পরিবারের কাছে শহীদের মৃত্যু একটা ব্যক্তিগত শোকের বিষয়ও বটে। কিন্তু তাই বলে শহীদের বায়োলজিক্যাল পরিবারের শহীদের আইকনিক এনটিটিতে তার আলাদা কোনো উত্তরাধিকার জন্মায় না। সেটা জন্মালে শহীদ শব্দটা তার তাৎপর্য হারায়। এটা করতে গেলেই সে, শহীদি মৃত্যুকে তার সামস্টিক উত্তরাধিকার থেকে ছিন্ন করে পরিবারের সম্পদ বানায়। এভাবে শহীদি মৃত্যু তার মর্যাদা হারাতে থাকে। শহীদের আদর্শিক উত্তরাধিকারে তার বায়োলজিক্যাল পরিবারের ততটুকুই হিস্যা যতটুকু হিস্যা তার একজন সহ- নাগরিকের। শহীদের পুত্র বা কন্যা হয়ে আপনি দেশের তাবৎ মানুষের মাথা কিনে নেন নি জনাব। আপনার পি...

ফেসবুক নিরীক্ষণ

ফেসবুক নিরীক্ষণ ফেসবুকে বেশি লাইক, কমেন্ট পাওয়ার মানে সবক্ষেত্রে এই নয় যে পোস্টদাতা অনেক জ্ঞানী বা শিক্ষিত, অথবা তাঁর স্ট্যাটাসটা high thought এর। তবে সে তাঁর বন্ধুূদের কাছে জনপ্রিয়। বলাইবাহুল্য তাঁর বন্ধুরাও তাঁরই ক্যালিবারের। সুন্দর একটা মেয়েের ছবি দিয়ে কেউ যদি শুধু "Hi, Hello অথবা, সবাই কেমন আছো?" লিখেও স্ট্যাটাস দেয় ; দেখা যায় মেয়েটার উল্লেখিত স্ট্যাটাসে ৫০০,৭০০, হাজার লাইক কমেন্ট অতিক্রম করে যায়। যে কোনো নারী দু'চার লাইন লিখলেও অনেক লাইক কমেন্ট থাকে! এর কারণ কি? কারণ হলো পুরুষের বিপরীত বা Opposite sex এর প্রতি আকর্ষণ। বেশির ভাগ সাধারণ মানুষেরই এই আগ্রহ থাকে প্রবল। উচ্চশিক্ষিত, মার্জিত রুচিশীল ব্যক্তিরা এসব মেয়েদের তোয়াক্কা করেন না। তাঁরা বরাবরই এদেরকে এড়িয়ে চলেন। ফেসবুকে এই উচ্চশিক্ষিতদের হার কত? আমার ধারণা 0.1% এর চেয়েও কম। আরো একটা অদ্ভুত বিষয় লক্ষ্য করেছি আমি ফেসবুকে। যারা প্রচুর বানান ভুল লিখে তাঁদের জনপ্রিয়তা বেশি। মানুষ তাদের প্রতি বেশি Responsive. এর রহস্য বা কারণ আমি সঠিক জানি না। হতে পারে যারা এরকম বানানভুলজনিত স্ট্যাটাস দেন, তাদের বন্ধুরা...

এদেশে ক্রাইম উত্থানে এক শ্রেনীর উকিল সরাসরি দায়ী

এদেশে ক্রাইম উত্থানে এক শ্রেনীর উকিল সরাসরি দায়ী টাকার জন্য তারা সরাসরি অবস্থান নেয় ক্রিমিনালদের পক্ষে। চোখের সামনে ঘটে যাওয়া বাস্তব প্রমান থাকতেও নরপিশাচ টাইপ উকিল সম্প্রদায় প্রকাশ্যে ক্রিমিনালদের পক্ষে অবস্থান নিয়ে বিচার বিভাগকে করে প্রশ্নবিদ্ধ। এমন উকিল সম্পূর্ন প্রত্যক্ষ মদদে সত্য প্রমান ধ্বংসের জন্য জন্ম দেয় সাক্ষী বিলুপ্তির নামে আরো হাজারো ক্রাইম। তাই যদি হয়ে থাকে তাহলে ক্রাইমকে সমর্থন দিয়ে, ক্রাইমের পক্ষে অবস্থান নিয়ে আদালতের সামনে সওয়াল করতে গেলে সে বা তারা কেনো ক্রিমিনাল হবে না? কেনো তার বিরুদ্ধে একই রকম দায় আরোপ করা হবে না ? বিচার প্রক্রিয়াকে স্বচ্ছ করতে গিয়ে, যে সকল ক্রাইম দিনের আলোর মতো প্রমান সকলের সামনে পড়ে রয়েছে সকল স্থানে তার বিপক্ষে একজন উকিল যখন দায়িত্ব কাঁধে তুলে নেয় তাহলে চারদিকে সামাজিক দেয়াল ভেঙে পড়ে, সামাজিকভাবে নব প্রজন্ম নিজের কাছেই নিজে ধাক্কা খায়। তাদের মধ্যে বাসা বাঁধে এক ধরনের অনাস্থা, অবিশ্বাস এবং দুর্বলতা । বিশেষ করে একজন উকিল যখন রাজনৈতিক পাওয়ার নিয়ে, শুধুমাত্র টাকার জন্য ক্রাইমকে ধরে রাখতে সোচ্চার হয় তাহলে বুঝতে হবে সমাজ ধ্বংস হতে আর বাকি...

ছোটবেলার কিছু কথা

ছোটবেলার কিছু কথা শুয়ে শুয়ে টিভি দেখছিলাম। সিএনএন। গত দু দিন বাসা পরিস্কারের অভিযানে ব্যস্ত ছিলাম। কঠিন অভিযান ছিলো। আজো ক্লান্তি আছে। ছোটবেলার অনেক কথা মনে পড়লো। কতো কিছু শুনেছিলাম। দেখেছিলাম। ধারনাও করেছিলাম। সব কি ঠিক ছিলো? বড় হয়ে দেখলাম-সব ই ভুল ছিলো। ১। ভাগিনা ভাগ্নীকে মামা মারতে পারে না। মারলে মামার হাত কাঁপে। আমি ভাগিনা-ভাগ্নী মেরেছি কিন্তু আমার হাত কাঁপেনি আজো। ২। কোনো ফলের বিচি খেয়ে ফেললে পেটের মধ্যে ওই ফলের গাছ হয়। পেয়ারা থেকে শুরু ক রে আরো অনেক ফলের বিচিই খেয়ে ফেলেছি কিন্তু পেটে গাছ গজায়নি। ৩। বিয়ে করলে বাচ্চা হয়- না করলে হয় না। বড় হয়ে বিয়ে না করে বাচ্চা হওয়ার বিচার/শালিস দেখেছি। বিদেশে গিয়ে দেখেছি বিয়ে না করেই সবার বাচ্চা হয়। এখন বাংলাদেশেও হয়। ৪। কুকুরের গু পাড়া দিলে গোসল করতে হয়। নয়তো মারাত্মক রোগ হতে পারে। মানুষের গু, পশু পাখির গু পাড়া দিলে গোসল করতে হয় না। পা ধুয়ে ফেললেই হয়। কিন্তু কুত্তার গু পাড়া দিলে গোসল করতে হবে কেনো? ছোট বেলায় অনেক মুরুব্বিকে এই প্রশ্ন আমি করেছিলাম। সবাই আমতা আমতা করেছে। কেউ আমাকে সন্তুষ্ট করার মতো উত্তর দেয় নি। পরে আমি নিজে নিজ...

এই খবরদার

এই খবরদার আমেরিকার বেশির ভাগ পুলিশ গরমের সময় মাথা কামায়। কামানো মাথার অনেক পুলিশ আমি দেখেছি নিউ ইয়র্কে। ফ্লোরিডায় আরো বেশি। হয়তো ফ্লোরিডার আবহাওয়া সারা বছরই গরম বলে। এ ব্যাপারে তাদের ইন্টেরিয়র মিনিস্ট্রি থেকে হয়তো কোনো বিধিনিষেধ নেই। তাদের দেখে আমিও মাঝে মাঝে মাথা কামাতাম। বেশ আরাম। শ্যাম্পু করার ঝামেলা নেই। গোসলের পর মাথা মোছার ঝামেলা নেই। হেয়ার জেল দেয়ার দরকার নেই। মাথা আঁচড়ানোর প্রয়োজন নেই। বাতাসে চুল এলোমেলো করার সম্ভাবনা নেই এক কামানোতে চার পাঁচ এই শান্তি। একবার শিল্পী রফিকুল আলম,আবিদা সুলতানা ও রথীন্দ্রনাথ রায় গেলেন আমেরিকায় কনসার্ট করতে। আমরা সংগীতপ্রিয় অনেকে মিলে তাদের নিয়ে একটা কনসার্টের আয়োজন করেছিলাম ফ্লোরিডার ফোর্ট মায়ার্স(Fort Myers City)সিটিতে । মিতালী মুখার্জি ও ভুপিন্দর সিং এর গাওয়া " যেটুকু সময় তুমি থাকো পাশে মনে হয় এ দেহে প্রাণ আছে বাকিটা সময় যেন মরণ আমার হৃদয় জুড়ে নামে অথৈ আধাঁর ...'' এই রোমান্টিক বাংলা ডুয়েট গানটি আমার খুবই প্রিয়। একটু রিদমিক। অনেক পরে রফিকুল আলম ও আবিদা সুলতানাও এই ডুয়েট গানটি গেয়েছিলেন। কনসার্ট শুরু হলো। আমি কা...